শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

পারিবারিক দায়বদ্ধতা ও বন্ধন মানুষে আত্মসম্মান তৈরি করে

প্রকৃতি বিচারের ক্ষেত্রে অন্ধ নয়। যার যেটা প্রাপ্য সেটা সে দ্বিগুণ আকারে ফিরিয়ে দেয়। প্রকৃতির মাঝে বিচরণ করে জুলুম করে প্রকৃতিকে ঘুষ দিয়ে থামানোর কোন উপায় নেই, অন্যায়-অপরাধ অপকর্ম করে ক্ষমা চাওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে নিরুপায় নয়। প্রকৃতি সর্বদাই প্রতিশোধ পরায়ণ। প্রকৃতি যেভাবে অপরাধের বিচারের দায়ভার নেয় মানুষ এভাবে কখনোই নিতে পারে না। প্রকৃতি তার সময়ের অপেক্ষা করে দ্বিগুণ আকারে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। ভালো কিংবা মন্দ প্রকৃতি দুয়েই খেয়াল রাখে দুটোই ফিরিয়ে দেয় অনেকগুণ।

প্রকৃতিকে ঘুষ কিংবা উপঢৌকন এর মাধ্যমে পাশে রাখা যায় না পাশে পাওয়া যায় না। কিংবা প্রকৃতির কোন সহমত ভাই নেই। প্রকৃতির নিরব মারণাস্ত্র অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। প্রকৃতি কোন ভ্রম নয়, খেয়াল নয়। প্রকৃতির উপর বিশ্বাস অন্য কেউ হারালেও আমি কখনো হারায় না। কারণ আমি বিশ্বাস করি প্রকৃতি আমাদের জীবনকে দারুন ভাবে সাজিয়ে দেয়, বেঁচে থাকার জন্য।

বিশ্বাসী বন্ধু কিংবা প্রতারকগণ সর্বদা পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। কিছু ভেবে যদি ক্ষমা করেও দেন সারাজীবন আপনার পাশে থাকলেও বিশ্বাসী হয়না। হৃদয়ে তার জন্য ঘৃণা ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই থাকে না। ঘৃণা এমন একটা জঘন্যতম স্থান। কাউকে যদি একবার সেই ঘৃণার স্থানে রাখা হয় কোনদিনও সেই মানুষ তার সুন্দর জায়গা তৈরী করে নিতে পারেনা।

তাই বলবো বিশ্বাস অর্জন করে ধোঁকা দেয়ার পরিণাম খুব ভয়ংকর হয়। এমনকি তা জীবিত থেকে উপভোগ করা মানে মৃত্যুর চেয়েও নোংরা এবং জঘন্যতম। এর চাইতে আত্মসম্মান হীন জীবন আর হয় না। এখানে বেঁচে থেকেই নরক যন্ত্রণার তিরস্কার উপভোগ করা মানে নিকৃষ্ট জীবন ছাড়া কিছু নয়। এরচেয়ে নামে-বেনামে প্রাণীর জীবন সুন্দর।

পারিবারিক দায়বদ্ধতা ও বন্ধনের মধ্যে থেকে মানুষ যে আত্মসম্মান তৈরি করতে পারে স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে শ্রদ্ধা স্নেহ ও ভালবাসায় সর্বদা তাঁদের আগলে রাখে। সে হোক নারী কিংবা পুরুষ সমাজে কেউ কোনভাবেই ঊশৃংখল আচরণ কিম্বা অশ্লীলতা ছড়াতে পারে না।

নারী কিংবা পুরুষ তাদের ভাষা ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরী সেটা হোক পরিবারে হোক সমাজে হোক পরিচিত অপরিচিত আলোচনা-সমালোচনায়। প্রত্যেকটা মানুষ একজন আরেকজনের প্রতি সবার সাথে সুন্দর আচরণ ভালো ব্যবহার অবশ্যই কাম্য তার পরেও তাদের ভেতরে যদি অশ্লীল বাক্য উচ্চ কণ্ঠস্বর কিম্বা ঊশৃংখল আচরণ যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় তবে তার ভেতরে কোনো লজ্জা বোধ নেই। এরা সর্বদা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের যে আচরণ সেটাই করে থাকে।

এরা যেকোন পরিবারের জন্যই বিপদজনক সমাজ এদের জন্য কোনভাবেই জায়গা ছেড়ে দেয় না। কারণ সমাজে যখন ঊশৃঙ্খলা দেখা দেয় তখন সমাজ সেই ঊশৃঙ্খলা থামানোর জন্য সেই ঊশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারীকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করে। সমাজের সিদ্ধান্তের বাইরে কেও যেতে পারে না কেউ যদি তা ভঙ্গ করে সমাজ তাকে তার অবস্থান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

অস্তিত্বের খণ্ডন

কৃপণ’রা জীবনে কোন কিছু উপভোগ করতে পারে না। একজন চিন্তাশীল বিবেকবান ও উদার মনের মানুষ তার জগৎ জীবনে ধন-দৌলত অর্থ-সম্পদ নানাবিধ ঐশ্বর্য উপভোগ করতে পারেন। আপনি যখন যথার্থরূপে নিজেকে বুঝতে পারবেন তখন অন্যের সম্পর্কে দারুন সব ধারণা তৈরি হবে। মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে গেলে প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে আপনি সেই সম্পর্কটা অর্থের মাধ্যমে করছেন কিনা।

অর্থের সম্পর্ক সারা জীবন মানুষকে একটা ধূম্র ধোঁয়াশার মায়াজাল এর মধ্যে আবিষ্ট করে। যা অন্তরের চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থ দিয়ে দেখা যায় না। চোখের সামনে অনেক অনেক সত্য দেখা অনুভবে খারাপ লাগলেও আপনার অন্তরের ভাবনাটা ভুল হতে পারে। আমরা যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সেইসব বিষয়গুলোকে বিবেচনা করি এবং নিজের চিন্তাশীল আচরণের দ্বারা সেটি যদি ধৈর্যের সহিত বোঝার চেষ্টা করি সেটা যদি সময় নিয়ে ও হয় তবুও ভালো।

আপনার আগ্রহের বস্তু যেটাই হোক না কেন ভুল চিন্তার জন্য উপশম রয়েছে,, ভুল ধারণার জন্য উপশম রয়েছে, ভুল ভাবনার জন্য উপশম রয়েছে কিন্তু যখন আচমকা অন্যকে ভুল মুঝে তুলে ধরেন সেটা আপনার বোধ, বুদ্ধি ও বিবেক থেকে বাইরে এসে অবিবেচকের মতো আচরণ করছেন। অনুভব করছেন আপনি যা কল্পনা করছেন তার ওপর ভিত্তি করে যদি আপনি সেই বিষয়টি নিয়ে একটি অ্যাকশন এর পর্যায়ে বিবেকে সমাবেশ করেন তবে সেই মুহূর্তে সেটা অবশ্যই ভুল চিন্তার প্রতিফলন।

আমাদের পারস্পারিক জীবনে আমরা নিজেরা নানাভাবে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি কিন্তু সেগুলোকে নিজেদের ভেতর থেকে মোকাবেলা করতে হবে। যদি আপনি সেই মোকাবেলা টা পরস্পরের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে না করেন তবে সেখানে তৃতীয় পক্ষ দ্বারা এমন একটি ঘটনা ঘটবে যে ঘটনার জন্য কোন এক সময় অনুশোচনায় ভুগতে পারেন। বিবেকের সাথে চিন্তা করার অনুশীলন করায় মানব জীবনের সুফল বয়ে আনতে পারে বোধগত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ভাবগত জীবনে আপনি কখনোই সত্যকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না।

সে সত্যটা যদি আপনি ভুল বোঝার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন তবে জীবনের প্রত্যেকটি লক্ষে আপনি হেরে যেতে পারেন। অর্থ মানব জীবনে চলতে গেলে বোঝা পড়ার জন্য প্রয়োজন। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে পরিকল্পনায় আপনাকে সফলতার দিকে আনতে পারে আপনি যদি পরিকল্পনার সহিত চিন্তা করেন। তবে সেই চিন্তা গুলো অবশ্যই যথার্থরূপে গ্রহণ হবে। চিন্তার পরিপক্কতা আপনাকে সুদুরপ্রসারী চিন্তার মধ্য দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনা। যদি সেখানে আপনি আপনার ভাবগত জীবনের বিষয়াদি নিয়ে চিন্তাশীল আচরণের বাইরে গিয়ে অবিবেচক ধারণা পোষণ করেন তবে সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার জীবনে উদার মানসিকতার বৈচিত্র্য উপলব্ধি করতে পারবেন না।

এজন্যই বলা হয় উদার ব্যক্তিরা তার জগত জীবনে সকল ধরনের ঐশ্বর্যকে উপভোগ করতে পারে। মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে গেলে অবশ্যই বিবেক এবং সুন্দর মানসিকতার প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যেকটি আগ্রহের সম্পর্কে নিজেকে সচেতন হতে হবে, বুদ্ধিমান হতে হবে, চিন্তাশীল হতে হবে, বিবেকবান হতে হবে এমনকি বোধ সম্পন্ন হতে হবে তবেই আপনার আগ্রহের যাত্রাপথ অনুকূলে আসবে। যেকোনো অনুকূল পরিবেশে আপনি যাতে নিজেকে খুব সহজে গ্রহণ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার চিন্তা আপনার ভাবনা আপনার বিবেক আপনার মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো অবশ্যই সুন্দর ভাবে নিপুণতার সহিত উপলব্ধি করতে হবে। নয়তো তা নিমিষেই ভেস্তে যাবে।

প্রত্যেকটি চিন্তাশীল প্রতিভাবান মানুষ হেরে যেতে পারে না। আবার মানব জীবনে মানুষই একমাত্র যারা অন্যের শক্তির কাছে হেরে যায় সামর্থ্যের কাছে হেরে যায় ক্ষমতার কাছে হেরে যায় জ্ঞানের কাছে হেরে যায়।
কিন্তু সেই হেরে যাওয়াতে অনেক ক্ষতি হলেও একটা মানুষকে কোনদিন পেছন ফিরে তাকানোর অবকাশ রাখা উচিত নয়। মানুষ হেরে গেলেও সামনের দিকে গমন করে আরেকটি ক্ষেত্রে দুর্বল মানুষেরা হেরে গেলে তার সামনে শেষ দেয়ালটি দেখে এবং সে নিজেকে আর ধরে রাখতে না পেরে জীবনকে নিঃশেষ করে দেয়।

চিন্তাশীল মানুষেরা মানবসমাজে যুগের পর যুগ ধরে তাদের সুন্দর কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকে। মানুষ যদি নিজেকে আগ্রহের বস্তু মনে করেন তবে সেটি খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার, মানুষকে হতে হবে আগ্রহী, আগ্রহের মানুষ। যাকে নিয়ে অন্য কেউ চিন্তা করবে অন্য কেউ ভাববে। মানুষ যখন শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে তখন তার ভেতরে অগাধ পরিমাণ স্বার্থপরতা কাজ করে। স্বার্থপরতা সব সময় প্রতিহিংসার দিকে ধাবিত করে যেখানে অপরের চিন্তা-ভাবনা অপরের কথা বলার সুযোগ নস্যাৎ করে দেয়। এরকম অবিবেচক মানুষ সব সময় আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গ্রোথিত হয়ে রয়েছে ওরা কখনোই অন্যের ক্ষেত্রে বিবেচক হয় না। তারা কখনোই অনুভব করতে জানেনা অপরের অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হওয়া জরুরী।

একজন মানুষ যখন শুধুমাত্র নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তখন তার বক্তব্যকে কোনভাবেই গ্রহণ করছে না তখন সম্পর্কের দরজাটা আপনাআপনি শেষ হয়ে যায়। ভেঙ্গে যায় তছনছ হয়ে যায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। এটি যদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্থির থাকে তবে জীবনের সব জটিল দিক গুলো পুনরায় তার জীবনে এসে বাসা বাঁধবে যা আর কখনই সেই বিদ্যমান জায়গা থেকে সরে আসবে না।

পরিশেষে যা হবার তাই হবে একটি দূরত্ব একটি দেয়াল একটি বিধ্বস্ত চিন্তা একটি অসামঞ্জস্য ভাবধারা পার অধঃপতনের জন্য দায়ী থাকবে সেটি কারো জন্য কাম্য নয়। তাই বলবো প্রত্যেকটি মানুষকে তাঁদের আপন আপন জায়গা থেকে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ সংবেদনশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরী। যখন একজন মানুষের অনুভূতির দেয়াল একদম ক্ষীর্ণ হয় তখন তার মধ্যে কোনভাবেই জাজমেন্ট থাকেনা তারা অ্যাগ্রেসিভ হয় আগ্রাসী হয় এমনকি এমন সব ঘটনা ঘটে যা অন্য কেউ ভাবার সুযোগ পাওয়ার আগেই ঘটে যায়। একজন বোধ সম্পন্ন মানুষ তার বক্তব্যকে যখন বারবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে একজন নির্বুদ্ধি পরায়ণ মানুষ তার জায়গা থেকে অটল অনড় এটা তো বিচক্ষণতা নয় এটা তার মস্তিষ্ক গত ভাবনার পরিধি যেখানে চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই।

তাদের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক বা অন্য কোন কিছু করাই উচিত নয়। তারা তাদের স্বার্থের বাইরে কখনোই যাবে না, যেতে পারে না। অপরের প্রতি কোনভাবে করুণা দেখানো উচিত নয় তবে অপরের প্রতি সর্বদা সহানুভূতি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেটা যদি কাছের মানুষ আপন জন প্রিয় মানুষ হয় তবে তো অবশ্যই নয়। আমি কাউকেই সেই জায়গা থেকে বিবেচনা করার সমর্থন করতে পারি না। সহানুভূতির পাশাপাশি একজন মানুষকে দায়িত্ববান হতে হবে বিবেকবান হতে হবে সুন্দর মানসিকতার মধ্য দিয়ে সেই মানুষটা যখন অপরের চিন্তাকে বুঝতে পারবে তখনই সেই মানুষটা তার জায়গা থেকে একটি সুন্দর স্থান দখল করে নিতে পারেন।

করুণা বোধ সম্পন্ন না হলেও এটি একজন অন্ধ মানুষের পথ চিনে নেয়ার মতই স্পর্শ কাতর ব্যাপার। কাউকে করুনা না দেখিয়ে তার জায়গা থেকে দায়িত্ববান আচরণ করা প্রকৃত মানুষের কর্ম। যে কর্ম গুনের কোন মূল্য অর্থ-সম্পদ ধন দৌলত দিয়ে নির্ণয় করা যায় না। চিন্তা ও উদার মানসিকতা উদার ভাবনা কিংবা সকল ধরণের প্রতিহিংসাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়। উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিম্ন চিন্তা নির্বুদ্ধিপরায়ন বাকবিতণ্ডা সর্বদা অশুদ্ধ রাখে। নিকৃষ্ট মনোভাবাপন্ন ভাবনা জগতের সবচেয়ে জঘন্যতম কাজের মধ্যে একটি তাই বলবো সব কিছুকে করুনার জায়গা থেকে না দেখলেই ভালো এসকল স্থান গুলো কে সহানুভূতির জায়গায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই জায়গাটা না থাকলে কোনো মানুষই মানুষ হতে পারবে না।

আপনি একজন মৃত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারেন না। যদি তাকে সাহায্য করেন তাহলে জীবিত অবস্থায় আপনার জন্য এটি সঠিক কাজ ছিল। জীবিত অবস্থায় যদি সেই মানুষকে আপনি সহানুভূতি দেখান সাহায্যের হাত বাড়ান বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখান তাহলে সে মানুষটা মৃত্যুর জায়গা থেকে আরো অনেক বছর বেঁচে থাকার সুযোগ পায়।
দান দুই প্রকার
১. দেখিয়ে দান করা
২. মহৎ উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থভাবে দান করা

দানে স্বার্থ থাকেনা যে দানে স্বার্থ থাকে সে দান গ্রহীতার জন্য বিপদজনক অসম্মানের দায়িত্বের জায়গা থেকে সেদান কখনোই গ্রহণ করা উচিত নয়। আবার যে দামে স্বার্থ থাকেনা যে দান স্বার্থহীন যে দান মানব কল্যাণের জন্য সূচিত হয় রচিত হয় সেই দানের মহত্ব অসীম। আমাদের এই সমাজে কিছু কিছু মানুষ নিজেকে প্রকাশ করার জন্য জাহির করার জন্য নিজের প্রতি অন্যের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য অন্যকে আনুগত্য করনের জন্য অন্যের কাছে ভালো সাজার জন্য দেখিয়ে-দেখিয়ে দান করে এই মানুষেরা এক জায়গায় বুক দেখায় আর অসংখ্য জায়গায় পিঠ দেখিয়ে চলে। এরাই সেই মানুষ যারা আপনার সামনে আপনাকে ভালো বলবে কিন্তু পেছন থেকে আপনাকে মন্দ বাক্য বলতে দ্বিধা করবেনা।

সর্বদা সুযোগসন্ধানী বড় কিছু পাবার জন্য ছোট-ছোট ত্যাগ করে আর সেই ব্যর্থতাকেই তারাতান বলে চালিয়ে যায়। আসলে তারা ভালো কাজে কখনোই আপনাকে সহযোগিতার হাত বাড়াবে না। নিঃস্বার্থ দানশীল মানুষ সর্বদা মানব চক্ষুর আড়ালে বসবাস করার চেষ্টা করে যে মানুষের সমাজে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দান করে সেই মানুষদের প্রতি অন্যের যে দৃষ্টি তা নিতান্তই জগত জীবনের জন্য দারুণ এক উপমা বহন করে। আমরা এই মানুষদের সামনাসামনি কদর করতে না জানলেও আড়াল থেকে তাদের আলোচনা-সমালোচনা দুটোই করা হয় তবুও তারা কখনই থেমে থাকে না তারা থেমে থাকে না অন্যের কথা শুনে। তাই এই মানুষদের মাঝে সর্বদা হাস্যজ্জল মুখ উপলব্ধি হয়।

যাদের ভেতরে অপরের জন্য ভালোবাসার আকুতি বিরাজমান তারা কোনদিনও অন্যের কোন বিপদে পিছুপা হয়না। এ মানুষদের সমাজে কদর না থাকলেও তারা গ্রহীতার হৃদয়ে দীর্ঘকাল বসবাস করে। এটাকে মনুষত্ববোধ বলে; এটাই মনুষত্ববোধ এর প্রথম কর্ম পরিচয় এই কর্মটি প্রত্যেকটি মানুষের ভেতরে যত্নের সহিত লালনপালন করা উচিত। মৃত ব্যক্তির কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না যে অনুদান অর্থ সাহায্য মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছবে না সেটি কোন সাহায্য নয় এটি কোনো সহানুভূতি নয়, কোনো সুন্দর কর্মনয়। আপনি কখনও বেওয়ারিশ লাসের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন যদি তা করে থাকেন সেটা অবশ্যই জগতের সবচেয়ে সুন্দর কর্মের একটি।

যে চিন্তা মানব জীবনে ক্ষতি সাধিত করে সে চিন্তা করার চেয়ে না করা ভালো। অভিঘাতের প্রাণান্ত চেষ্টা বড় বড় মানুষকে নিম্ন মানসিকতার পরিচয় এর দিকে ধাবিত করে। সুন্দর মানুষ কখনোই অন্যের ক্ষতির জন্য প্রার্থনা করতে পারে না পক্ষান্তরে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসা মানুষ সর্বদা অন্যের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়। জ্ঞান মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোয় এনে সত্তের দরজা খুলে দেয়। সহৃদয় ভাবনা-চিন্তায় জিহবা কখনও আহত হয় না। দ্রতার মাধ্যমে বিবেক উদিত হয় দ্রতা যখন তার বিবেকের প্রকাশ ঘটায় তার নীতি বা আদর্শের কখনো অনুভব করতে পারে না। কিন্তু অপর প্রান্তের একজন বুদ্ধিমান মানুষ তার জায়গা থেকে ঠিকই অনুভব করতে পারে।

একজন মানুষের দ্বারা যে কোন ভালো কাজ করার পর সেই মানুষটি অন্তর থেকে সুখ বোধ করে। ভদ্র মানুষেরা খুব তীক্ষ্ণ ধারালো বুদ্ধিমান হয় না এমনটা নয় কম কথা বলা মানুষ সমাজের বাইরের এমনটি ভাবা উচিত নয়। ভদ্র মার্জিত মানুষেরা যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কথা বলার প্রয়াস করে থাকে তবে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যে মানুষ সারাজীবন তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন না হওয়ার কারণে পিছিয়ে যান। এরা পিছিয়ে পড়লেও অন্যের ক্ষতি করবে এমন হৃদয় তাদের ভেতরে জায়গা করতে পারেনা। তাত্ত্বিকভাবে তারা সর্বদা ধৈর্যশীল। এই মানুষেরা এক সময় পিছিয়ে পড়লেও আর একসময় অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে কারণ তাদের ছোট ছোট কর্মই তাদের কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়তা করে এবং মজবুত একটা ভিত্তি স্থাপন করতে সহায়তা করে যা ভাঙ্গার কোন প্রয়াস রাখে না।

জীবন চলার পথে অনেক মানুষকে সামনে পাওয়া যায় যাঁরা নিজেদের সুবিধার্থে সর্বদা ঊর্ধ্বমুখী। মানুষেরা অন্যকে বিপদে ফেলতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনা। এ মানুষেরা যখন কোন পরিবারে প্রবেশ করবে সেই পরিবারের সব কিছু পুড়ে ছারখার করে দিতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনা। এরা নিজেরাও বুঝতে পারে কিনা তারা কখন কি ধরনের আচরণ করছে এমনকি পণ্যের ভালো তাদের চক্ষুশূল হয়ে থাকে এরা অন্যের ভালো কিছু দেখলে আফসোস ফেটে পড়েন এমনকি তাকে অপমান করার জন্য উদ্যত হয় যেকোনো মূল্যে ক্ষতি করার জন্য পিছপা হন না। আসলে পচনশীল হৃদয় কখনোই মমতা বা সমতার গান শুনতে পান না তারা তাদের নিজের চিন্তা জায়গা থেকে বধির হন। কখনোই তাদের চোখ দ্বারা সুন্দর দৃষ্টিতে তাকানো উপমা খুঁজে পায় না এরা সর্বদা ব্যর্থ জীবনের পথে নিজেদের ধাবিত করে যা তাদের জীবনকে অন্ধকারের পথে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

এই মানুষের একটা সময় একুল ওকুল সব কুল হারিয়ে পথে বসে কিন্তু তবুও যদি তাদের হৃদয়ে একবার সেই অনুশোচনা একবার সেই ভাবনাটা তাদের ভেতরে উপলব্ধি হতো তবে তাদের নতুন করে সুন্দর একটি জীবন শুরু করার দারুন একটা সম্ভাবনা থাকে। এটাতো আমাদের হিসাবের কথা। তারা কখনোই এই পর্যায়ে যেতে পারে না। ছোটখাটো ব্যাপারেও অনেক জটিল এবং কঠিন পরিস্থিতি দাঁড় করিয়ে দিতে পারে এজন্য এদের সাথে অতিরিক্ত ভাবে কোনো কথা না বলাই শ্রেয়। তাদের সাথে প্রয়োজনের বাইরে যখনই আপনি কোন কথা বলতে যাবেন তখনই তারা তাদের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে পড়ে এবং একটা সময় আপনি আপনার অস্তিত্বকে অনুপস্থিতির দাঁড়া অনুভূতি শূন্য হৃদয় খুঁজে পাবেন। সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ এর সমাহার অত্যন্ত দীর্ঘ। এই মানুষেরা সারা জীবন নিজেদের ভেতরে যা কিছু রয়েছে তার সবটুকু আত্মত্যাগের মাধ্যমেই অতিবাহিত করে এদের কষ্টের সীমা অসীম হলেও এদের কোন দুঃখ অনুশোচনা হারানোর ব্যথা জাগ্রত হয় না।

কারণ তারা জানে তার সামর্থ, তারা জানে তাদের কি করতে হবে তারা জানে তাদের জীবন কিভাবে পরিচালনা হবে এবং তারা জানে তাদের জীবনকে কিভাবে অন্যের মাঝে টিকিয়ে রাখতে গেলে বন্টন করতে হবে।
তারাই প্রকৃত মানুষ প্রকৃত মানুষরা কখনোই সমাজের আলোড়িত ব্যক্তির মধ্যে ওঠা বসা করতে পারেনা এই মানুষেরা লোকচক্ষুর আড়ালেই নিজেদেরকে রাখতে অভ্যস্ত তাই তাদের মানুষ সমাজে খুব কমই উপলব্ধি হয়। বস্তুতঃ তাদের দেবতুল্য জীবনকে খন্ডন করা যেতে পারে।

আমাদের এই অস্তিত্বশীল জীবনে কষ্ট মানুষকে দুর্দান্ত কিছু নরক যন্ত্রণার উপহার দেয়। আমি ইহকাল অনুভব করি না পরকাল। আমি অনুভব করি আজ এবং আগামীকাল। আজও আগামীকাল সেটি অন্যের ও হতে পারে।
এ দু এর মাঝখানে ইহকাল এবং পরকাল বিদ্যমান। আজ এবং আগামীকাল আপনি যদি সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হন নিজের বিবেকের মাধ্যমে নিজেকে নিজের অস্তিত্বের তারা পথ দেখান তবেই আপনি আপনার ইহকাল এবং পরকালকে সুশোভিত করতে পারেন।

আত্মসম্মান ও ভালোবাসা, টাকা পয়সা অর্থ-সম্পদ ধন-দৌলত এ সবকিছু নিজের ক্ষমতাবলে করায়ত্ত করা যায় তবে জীবনে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যে জিনিস একবার যদি হারিয়ে যায় একবার যদি চলে যায় একবার যদি হাতছাড়া হয়ে যায়। একবার যদি প্রতারণা মাধ্যমে তা নিজের থেকে দূরে চলে যায় আর তাকে যদি ভালবাসার গভীর মসনদটি তার নামেই দিয়ে দেয়া হয় তার পরেও সে যদি সেই জীবন থেকে সেই মানুষটার নিকট থেকে চলে যায় তাহলে তার জীবন যাপনের সব সৌন্দর্য নিমিষের মধ্যে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধুলোর সাথে মিশে যায়। কিন্তু সেটা যদি আপনজনদের নিকট থেকে পাওয়া কষ্ট যন্ত্রণা হয় তাহলে আরও কঠিন থেকে কঠিনতর জীবন যাপনের পথ উন্মোচিত করে যা আর কখনো সুন্দর স্বচ্ছ ও সোজা পথ তৈরি করতে পারে না।

মানবজীবনে অস্তিত্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে আপনাকে অবশ্যই বিবেকের পথে বিচক্ষণতার সহিত হাঁটতে হবে এগিয়ে যেতে হবে যার কোন বিকল্প নেই। মানুষ অমর হতে পারে না তার কর্মগুণ অমর হয় অমর করে দেয় অমর করে রাখে যে কারণে মৃত্যুর হাজার বছর পরেও মানুষ টিকে থাকে পৃথিবীর এই বৈভবে যে সমৃদ্ধ সুনীতি তিনি তৈরি করে গেছেন এই মসনদের তিনিই হোন একমাত্র রাজা।

একটা অস্তিত্বের গান

24336

আমি নিরবে নিরুদ্দেশে
গোপন হয়ে যাব।
দেখা এই অস্তিত্ব থাকবে না আর।

লোকালয়ের ল্যাম্পপোস্টের বাতি
জ্বলে যদি থাকে সারারাত
আমার এই হাত দুটো
কর্মের ফাঁক গলে, লেখবেনা আর;

তারপর, শোরগোলের পথ ধরে
আলোয় হেসে খেলে জাগবেনা আর।

বন্ধুদের আড্ডায়
হবেনাতো যাওয়া আসা
মিথ্যে এই মায়াজালে বাঁধা।

অস্তিত্বের কলরবে
মুছে যাবে ছায়াটা
স্পর্শের মতো কিছু থাকবেনা আর।

বিবেকের মসনদ
উড়ে যাবে শূন্যতায়
থাকবেনা ভালোবেসে ডাকার।

মায়ের ওই চোখ দুটো
ছানি পরে ঢেকে যাবে
কষ্টের ব্যাঘ্রতায় কান্না।

হেসে খেলে দিন যাবে
অবহেলা রাখে যে
ভুলে যাবে ঠিক একদিন।

বিশ্বাসের দরজাটা
ভেঙে দিয়ে চলে যায়
বিবেকের ডালপালা চতুরতায় ভরিয়ে…

আবার নতুন করে
সর্বশান্ত হবে কেও
মিথ্যে ওই মায়াবি চোখের জাদুতে।

ছলনাতে ভরা মন
নতুন মানুষ ধরে
পুরাতন গল্প সে, আবার বলা হবে।

একই রকম আঁধারে
হেরে যাবে মানুষেরা;
মুছে যাবে জীবনের স্বপ্ন।

শুধু, থেকে যাবে ব্যাথাগুলো
গোপন হৃদয় জুড়ে
কোনোদিন শেষ হবে পথ।

বিচারের দায়ভার
প্রকৃতির নিরবতায়
ভেঙে যাবে অন্যায়ের শক্তি।

মুক্তি কী পাবে তারা
ডুবে থাকা গল্পে
অন্যের ক্ষতি করে নীরবে।

ঠিক ঠিক
সেই দিন, প্রকৃতির
হিসাব হবে

নিবারণের জায়গা টা
ভাষা থেকে উঠে যাবে
দূর হতে দেখবে সে মজলুম।

অন্ধকার পথে চলে
তৈরী যেই মঞ্জিল
মুছে যাবে প্রকৃতির আঘাতে।

বিশ্বাসে বাঁধতে চাওয়া
অবিশ্বাসী মানুষগুলো
হারাবে তার বিশ্বাসের স্থান।

আগামীর মানুষেরা দেখবে তা দাঁড়িয়ে
খুঁজে পাওয়া যাবে না
হাত দুটো বাড়ানোর
দেখা হবে দূর হতে দাঁড়িয়ে।

নিজের মূল্যবোধকে জাগিয়ে তুলুন …

আপনি তখনই অস্তিত্ব অনুভব করতে পারবেন যখন আপনার অস্তিত্ব সম্পর্কে সুন্দর ধারণা থাকবে। জীবনের চূড়ান্ত সত্য হল সর্বদা সোজা পথে থাকা। ভালোকে গ্রহণ করা মানে খারাপকে উপেক্ষা করা। রহস্যময় সত্য দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত কদর্যতা অনুভব করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অহংকার, ক্রোধ, বিরক্তি, অন্যায় তাড়না আমাদের মানুষের জীবনে অন্ধকার নিয়ে আসা কর্মগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ;

এই জিনিসগুলো মানুষের জীবনে কোন মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। এই সমস্ত বিষয়ে জড়িত না হয়ে অপেক্ষা করা একটি উন্নত জীবনের পথ সুগমনের জন্য। কিন্তু আপনি আপনার কর্মজীবনের সঠিক পথ বেছে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অধ্যবসায় ব্যবহার করতে পারেন। অন্যথায় জাগতিক জীবনে এটি ব্যবহার করার কোন উপায় নেই।

যদি আপনি তা করেন, আপনার চারপাশের পরিবেশ এবং এমনকি আপনার সুন্দর জীবন একটি অসম্ভব অদ্ভুত আচরণের দ্বারা জটিল অন্ধকারে ফিরে আসবে যেখান থেকে বের হওয়া সত্যিই কঠিন। এই জীবনের মাধ্যমে মনস্তাত্ত্বিক অস্তিত্বের দিকে পরিচালিত করবে। অতএব, সঠিক কর্ম মূল্যায়ন করুন। এখানে আপনার মূল্যহীন জীবন রচিত। তাই আমি বলি সুন্দর সময় বেছে নিন। সমস্ত সৌন্দর্য উপলব্ধি করুন। সুন্দর সময়টিকে অবহেলা না করে এই সময়টিকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করুন এবং যেভাবে চলছে সেভাবে এগিয়ে যান।

মনে রাখবেন যে আপনি চাপের মধ্যে যাই করুন না কেন, আপনি যাই করেন না কেন, কোন সন্দেহ নেই যে একদিন তা নানান উপায়ে উপলব্ধি করা হবে। এই সময়ে আপনার জীবনে সেই কর্মের দ্বারা ভাল বা মন্দ যাই হোক না কেন, আপনি কখনই মুক্তি পাবেন না। আপনি আপনার নিজের পথ বেছে নিতে পারেন বিবেক বুদ্ধি জ্ঞান ও সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির দাঁড়া। এখানে আপনার অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত হবেন এখানে আপনার জীবন সম্পর্কে ধারনা পাবেন এখানে আপনার পদ সম্পর্কে অবগত হবেন এখানে আপনার যাত্রা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। এখানে আপনার জীবনের কর্ম ও অনবদ্য অনুসরণীয় অভাবনীয় সকল মনস্তাত্ত্বিক জাগতিক ব্যবহারিক অব্যবহারিক ভালো-মন্দ দর্শনকে উপলব্ধি করতে পারবেন। যা আপনার যাবজ্জীবনের প্রত্যয় সাফল্য অসফল বা কিছু রয়েছে তার তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব বহন করবে।

অতএব, এখনই সময়; ধৈর্য ধারণ করুন, হিরো স্থির হোন, ক্রোধকে দমন করুন, জেদকে উপেক্ষা করুন অশান্ত মনের কর্ম বাসনাকে প্রশমিত করুন অসন্ত মনের চাহিদাকে সংবরণ করুন অযাচিত ভাবনাগুলোকে উপেক্ষা করুন। যে সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি ফেরানোর জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের জায়গাকে নির্বাচন করুন। নিজের অবস্থানকে মূল্যায়ন করুন; নিজের মূল্যবোধকে জেগে তুলুন, জাগিয়ে তুলুন নিজের অস্তিত্বকে; ভাবতে পারেন এখানে ছাড়া আপনার কোন নতুন জগৎ নেই যেখানে নতুন করে কোনো কিছুর সৃষ্টি করতে পারবেন এখানে যা মূল্য দেবেন সেখানে তারই মূল্য পাবেন। এখানেই আপনার জীবনের পরম পাওয়া এখানে আপনার জীবনের চরম চাওয়ায় এখানে আপনার জীবনের সকল সাফল্য অর্জিত হবে।

অবোধ অবস্থায় জটিল-কঠিন অন্ধকারে যদি আপনি সফলতা অর্জন করে পৃথিবীতে আগমন করে থাকেন তাহলে আপনার চোখ কান নাক মস্তিষ্ক জ্ঞান সবই রয়েছে। এখানে আপনাকে চিরস্থির হতেই হবে এখানে আপনাকে নিজের বিবেক দ্বারা নিজের সত্যকে নির্বাচন করতে হবে নিজের অস্তিত্বকে অনুধাবন করতে হবে। নিজের জগৎ সম্পর্কে অবগত হতে হবে। নিজের চাওয়া সম্পর্কে পাওয়া সম্পর্কে বুঝতে হবে নিজের সুন্দর ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনাকে সকল ধরনের পদ নির্ণয় করতে হবে যা আপনার জীবনে আপনার অস্তিত্বের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য পৃথিবীর সকল পথকে সুগম করবে।

দাঁড়াও পথিক!

242799

এখানে একটু থেমে যাও বন্ধু আমার’
নতজানু শরীরের ভাঁজে জমেছে অনেক ক্লান্তি
অদূরে লাল টুকটুকে খেজুর বাগান,
অজস্র নক্ষত্রের আলোয় মুখরিত।

ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর একাকিত্বের বোঝা নিয়ে
আটকে আছে সুদীর্ঘকাল;
এখানে একটু থামো; বিশ্রামের এটাই দারুণ সময়।
আমার পাশেই বিস্তৃত আঙ্গুরের ক্ষেত
কি এক মাতাল বাতাসে নিজেকে ঘুমিয়ে দিচ্ছে।

যদি শরীরকে শক্তিশালী করতে চাও
তবে এখানে বিশ্রাম এর বিকল্প নেই
আমাদের যেতে হবে বহুদূর
এখানেই দাঁড়াও বন্ধুরা আমার থেমে যাও এখানে।

এখানে ঐ এলেবেলে বেলে পাহাড়ের ঢালে
প্রাচীন ক্যাকটাস বিস্তৃত মরুভূমির বুক চিরে জীবন সাজিয়েছে।

কতটা কোমল পানীয় আর বিষাক্ত পানি
সে ধারণ করছে কেউ জানে না।
এখানেই বিশ্রামের সবচাইতে উপযোগী স্থান
এখানে বসে পড়ো বন্ধুরা আমার।
এখানে প্রার্থনা করো যার যে কষ্ট
লোহিত সাগরের বুকে ঝেড়ে ফেলো
জীবনের বেদনাবিধুর শ্লোক।

আমরা যেখানে বসে আছি
একদিন এই মরুভূমির বুকে সাগরের উপস্থিতি ছিল।
এখানে সবেমাত্র জীবনের গন্ধ এখানেই তাবু ফেলো যার যা কিছু আছে তা নিয়ে।

এখানে রচিত হয়েছে বালুর বুকে প্রাচীন জাহাজ
এখানে বিস্তৃত মরুভূমি জুড়ে রয়েছে
প্রাচীন জীবাশ্মের ফসিল
এর চেয়ে সুন্দর স্থান আর কোথাও পাবে না।

এখানে রাত্রির গভীরে খুঁজে পাবে
আকাশের ফুটন্ত তারা ছুটে চলা নক্ষত্র
আর মিল্কিওয়ে ছায়াপথ গ্যালাক্সি।

এখানে রাত্রি মাঝে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাবো আমাদের সাবধান থাকতে হবে
আমরা রাত জেগে বিশ্রাম নিয়ে পাহারা দেবো আমাদের এই বিশ্রামাগার।

এখানে সূচিত হয়েছে প্রাচীনতম ইতিহাসের
সবচেয়ে নজরকাড়া প্রত্নতাত্ত্বিক জীবনের গান।
ওরা বসবাস করেছিল চিহ্ন রেখে গিয়েছে
কিন্তু ইতিহাস তাদের বিরক্ত করেনি বিলুপ্ত করে নি।

এখানে চারদিক থেকে প্রাচীনতম
জীবনের গান যদি না আসে তবে বাতাস আসবে।
কোন চিহ্ন মুছে যায়নি অস্তিত্বের বিলীন হয়েছে
কিন্তু শরীরের রেখে যাওয়া চিহ্নগুলো শেষ হয়নি।

এখানে অস্তিত্বের বিচ্ছেদ দেখা যায়
শরীরের বিচ্ছেদে, এখানে প্রাণের বিচ্ছেদ দেখা যায় প্রাণহীন ভাবে তবুও বিলুপ্ত হয়ে যায়নি
মুছে যায়নি কোনো ইতিহাস

কোন প্রাণ কোন স্মৃতি কোন জীবনের সুঘ্রাণ। এখানে কোন কিছু নির্জনতায় ছুঁয়ে যাবে না
মুছে যাবে না আমাদের এই জীবনের পদোন্নতি।

এখানে এই বিচ্ছেদের পর থেকে
আমরা অনেক কিছু খুঁজে পেতে পারি
বন্ধুরা আমার এখানে পৃথিবীর নতুন এক
জীবনের শুরু হয়েছে যুগের শুরু হয়েছে
সময় শুরু হয়েছে।

এখানে জীবন্ত কোন গোত্রের সন্ধান না পেলেও প্রাচীনতম প্রাণীর দেহাবশেষ ঢেকে আছে
এ মরুপ্রান্তরে। তাদেরকে কি বিচ্ছেদের জ্বালা শুনিয়েছে জীবনের এই যন্ত্রণাদগ্ধ অস্তিত্বে।
এখানে এই প্রাচীনতম ইতিহাসের বুকে
কী এক দুঃখ বহন করছে এই মরুর অনুর্বর বুক। চোখের কোনে ইতিহাসের জ্বলন্ত উদাহরণ
অকাতরে কান্নার রোল তুলে থামিয়ে দিয়েছে
সুরেলা হাওয়া,

দামাল বাতাসে কান্নার মুখ
বিষণ্ণতা বাড়িয়ে দেয় বহমান পথিক।
হে বন্ধুরা আমার এখানে এসে দাঁড়াও
এখানে এসে সবাই জোট বেঁধে তাকিয়ে দেখো
মরুর অদৃশ্য সীমানা।
এখানে বসে গাইতে পারো কষ্টের বিলাপ।

সুরের কি প্রয়োজন রয়েছে
অসুর এই যন্ত্রণাদগ্ধ মরুপ্রান্তর
অবিরাম কান্না ধারায় মুখরিত জীবনের এই পথ

এখানে বসে নির্জনে কাঁদতে পারো
কষ্টগুলোকে ঘিরে ফেলে হাঁটতে পারো
মেঘের ফাঁক গলে জোসনার আভা আর নক্ষত্রের খেলা গুলো দেখতে পারো।

এখানে কেউ করবে না মানা
কেউ রবে না তোমায়।
যা মন চায় তা করতে পারো যা খুশি ভাবতে পারো
যা কিছু বলার বলতে পারো
এখানে কেউ দেবে না বাঁধা।

শুধু এটুকু চাও,
চাও সান্তনা অন্তর থেকে
এখানে তোমাদের ছোটখাট জ্যোতিষ
শাস্ত্রের ইতিহাস গুলো রচনা করতে পারো
নতুন করে ঝালিয়ে নিতে পারো
ধ্রুপদী জীবনের আবরণ,

চন্দ্রের গমন কৃত পথের দিকে তাকিয়ে
দেখতে পারো তার খেলা
নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে দেখতে পারো
তার চমকিত দর্শন।
দুঃখগুলো যত আছে তা মোচন করবে
এই মনোহরি রাত্রির আলো।

এখানে তোমায় নির্জনতা দেবে
কীটপতঙ্গের সুরেলা মধুর বাঁশরী।
এখানে কান পেতে শুনতে পারো প্রাচীনতম
জীবনের প্রতিধ্বনী

এখানে শুয়ে বসে কান পেতে অনুভব
করতে পারো প্রাচীনতম জীবনের ছুটোছুটি।
চোখ মেলে চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে পারো
তাদের অস্তিত্বের আলোড়ন।

এসো বন্ধুরা আমার
কজন আমরা আজ এই রাত্রি গভীরে
কিছু নতুন সৃষ্টির ডিগনিটি রচনা করি।
আমরা একে একে ভাগ হয়ে আমাদের রাত্রির আয়োজন সেরে নেই

তোমার হাতে যে আইনের পেয়ালা
ছড়িয়ে দাও জীবনের পথে
না হয় মাতাল না হও
এই বিজয়ী দর্শনের পথ ধরে আজ না হয়
ইতিহাস গড়। আজ না হয় সমবেত
এই আয়োজনে মেলে ধরো জীবনের সকল অজানা কাহিনী।

পরিবেশ-পরিস্থিতি দ্বারা সময়ের মূল্যায়ন করা উচিত

24272

অযথা চিন্তা ভাবনা ও উদ্যত আচরণ মানুষকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয় তাই বলবো পরিবেশ-পরিস্থিতি দ্বারা সময়ের মূল্যায়ন করা উচিত। সুস্থ চিন্তা সুস্থ মস্তিষ্ক সুস্থ ভাবে চলতে মানুষকে সারাক্ষণ সহযোগিতা করে আমাদের জগৎ জীবনে সুস্থ্য ও সাবলীল চিন্তারাম মানুষের সংখ্যা নেহায়েতই নগণ্য। আমাদের জীবন যাপনের প্রত্যেকটি মুহূর্তের সময় জ্ঞান ও পরিবেশ পরিস্থিতির দ্বারা কিভাবে মূল্যায়ন করা উচিত! আমরা কি কখনো ধীর স্থির হতে পারি না?

সেই ক্ষেত্রে যদি নিজেদের রাগ, জেদ, ক্ষোভ কিংবা উত্তেজিত মনোভাবাপন্ন বিষয় গুলোকে চিহ্নিত করি, হঠকারিতা সিদ্ধান্তকে নিজেদের মস্তিস্ক জ্ঞানে সংযম করি, সংযত করি, প্রশমিত করি পরিশেষে তার পরবর্তী সিদ্ধান্তকে সঠিকভাবে পরিমাপ ও মূল্যায়ন করি তবে অনেক ভুল বুঝা বুঝির অবিবেচিত অভিযোগ বোধগুলো খুব সুন্দর ভাবে অবসান ঘটে। কিন্তু আমরা তা না করে যদি বারংবার নিজেদের ভেতরের রাগ-ক্ষোভ দ্বারা একটি সুন্দর পরিবেশকে বিশৃঙ্খলা রূপ দেই তবে তার ফলাফল অত্যন্ত কঠিন জটিল ও খারাপ পর্যায়ে ধাবিত হবে কোন সন্দেহ নেই।

তাই বলব আমরা আমাদের জীবনে যা কিছু করি না কেন তা অবশ্যই সময় ও সেই পরিস্থিতি দ্বারা মূল্যায়ন করতে হবে। যে মূল্যায়ণটি সঠিক ও নিরপেক্ষ অথবা তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে পরিগণিত হবে। যে কোন সমস্যার জটিল পরিস্থিতিকে হঠকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অবোধ সম্পন্ন চিন্তাধারায় ভঙ্গুর দশার দিকে নিয়ে যাওয়ার আগে ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থন করা অত্যন্ত জরুরি তা না করে কোনো ভাবেই জটিল পরিস্থিতি ঘোলাটে করা কোনোভাবেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

আমরা আপাদমস্তক ভাবে যে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করছি তা অবশ্যই বিবেক ও নিজের বিচক্ষণতার দ্বারা পরিমাপ করার পরেই তার পূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে কোন নির্দোষ মানুষকে সেই দোষে দোষী করে প্রদর্শিত করা নিতান্তই একজন মানবীয় গুণাবলীর মানুষ দ্বারা অপরাধ বলেই সাব্যস্ত হবে বলে মনে করি। যা একটি অপরাধ ঘটার পর আরেকটি অপরাধ ঘটার শামিল বলে মনে করি। তবে একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে প্রত্যেকটি বুদ্ধিমান সম্পন্ন মানুষ ভুল করে, অপরাধ করে আমরা মানুষ বলেই আমাদের ভেতরে এই ধরনের অপরাধের সূচনা হয় বাস্তবায়ন হয় সূচিত হয়।

কিন্তু জেনে বুঝে যে মানুষ ভুল করবে সেটা কখনো ভুল হিসেবে গৃহীত হয় না। সেটি অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। ভুল আর অপরাধ এক নয় বলেই অপরাধের শাস্তি অবশ্যই গ্রহণ যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করতে হয়। আমাদের অস্তিত্বশীল জীবন জুড়ে তাই দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভুল/অপরাধ গ্রহণযোগ্য নয় (বড় ধরণের) মানুষের জীবনের যেকোনো সমস্যা সৃষ্টি করার অনেক পথ রয়েছে কিন্তু সমাধানের পথ বের করা বিচক্ষণতার দ্বারাই সম্ভব। তাই সমাধানে আসতে বিবেকের বিচক্ষণতা কে গ্রহণ করি না কেন তবেই না একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সমাধানের পথ সুগম হয়।

আমরা কি পারিনা নিজেদের জেদ রাগ-ক্ষোভ কে সংযম করতে, প্রশমিত করতে, অধৈর্য চিন্তাভাবনার রুপরেখা থেকে বেরিয়ে এসে ধৈর্যধারণ করতে, ধৈর্যের সাথে যেকোন জটিল ও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে?
তবে আমরা সবই পারি চাইলে সবকিছুই আমাদের দ্বারা সম্ভব। কিন্তু আমরা যা চিন্তা করিনা সেটাই যখন একজন মানুষ তার উদ্যত অবিবেচিত অবোধ সম্পন্ন নির্বুদ্ধি পরায়ণ মস্তিষ্ক দ্বারা অনুভব করে তবে সেটা নিতান্তই দুঃখজনক ও অপরাধমূলক কর্ম।

এই চিন্তা ভাবনা মানুষকে অনেক কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে নিয়ে যায়। যা কোনো সুস্থ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ কোনভাবেই করতে পারে না কিংবা অন্য কেউ সেই মানুষ দ্বারা এমন জঘন্যতম কাজকে সমর্থন করবে না অথবা আশা করে না। তবে আমরা কি সমস্যা সমাধানের চেয়ে জটিলতর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে বা সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে না বসে সেটিকে ত্বরান্বিত করতে ভালোবাসি? আমার মনে হয় এই শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি যা সমাজ পরিবার ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গ্রথিত। আমাদের এই সমাজ ও পারিবারিক জীবনে এমন পরিবেশ তৈরি করার লোকের সংখ্যা যদি অত্যন্ত বেশি হয় তবে যেকোন সমস্যার শেষ পরিণতি ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে খারাপের দাঁড়ায় শেষ হতে পারে।

এখানে কোন কিছু ঘটার আগে ভালো হতে পারত কিন্তু সেই সমাপ্তিটা যদিও অনেক কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই উদঘাটন করা যেত তবে কারো মাঝে কোনভাবেই ভুল বোঝাবুঝির পরিবেশ সৃষ্টি কখনোই হতো না। তাই বলব ভেবে দেখুন উশৃংখল পরিবেশ তৈরির পূর্বে আমরা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা কোনো অঘটন ছাড়াই সমাধানের পথ খুঁজে পেতে প্রত্যেকের জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে আমাদের জীবন ব্যবস্থায় সমস্যা আছে থাকবে যেখানে সমস্যা সেখানেই সমাধান এই সহজ ব্যাপারটা আমরা যদি না বুঝিয়ে তবে কোনো ভাবেই সেই মানুষটি বোধসম্পন্ন বলে বিবেচিত হয় না।

যে কোনো নতজানু পরিস্থিতি সমাজ ও পরিবারের বিশাল একটি ঝড় হিসেবে স্থাপিত হয় কিন্তু সেই ঝড়ে যদি আমরা সাঁতার ব্যাবহার না করি তাহলে সেই ঝড়ের সাথে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
কোন উশৃংখল পরিবেশ তৈরি হওয়ার পর যদি সেখানে জান ও মালের ক্ষতি হয় তবে সেখানে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টির অশনিসংকেত দেখা দেয় যে কোন ভাবেই কোন হৈহুল্লোড়ে শরীরকে ভাসিয়ে না দিয়ে বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টির ব্যবহার করুন এতে সমস্যার সমাধান সূচিত হয়।

একটি কবিতার কবিতা

212370a

প্রিয়তমা,
ভালোবাসা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে হয়
যেভাবে ক্ষমতা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়।
কারো জীবনে যদি আপনি
প্রভাব বিস্তার করতে যান
তবে অবশ্যই তাকে ভালোবাসার
মাধ্যমেই প্রভাবিত করতে হবে।

বন্ধুত্ব ভালবাসা ও সম্পর্কের মধ্যে
যেমন বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার সম্পর্কের
অপব্যবহার হয়
তেমনি সেখানে একটা দৃষ্টিনন্দন
আসনও তৈরি করা যায়’ সে মানুষের জীবনে;

কিন্তু আমরা কি সেটা অনুভব করতে পারি
বুঝতে পারি জানতে পারি
কিভাবে তা বিতৃষ্ণায় পরিণত হয়?

আমাদের এই চলমান জীবনে
ভালোবাসার মাধ্যমে কারও জীবনে
এমন কোনো মানুষ যদি প্রভাব বিস্তার করে

আমি তোমার প্রতি, কিম্বা তাঁর প্রতি
একটি ইশতেহার তৈরি করতে চাই

পার্থিব জীবনের এই অনন্ত শেকল
একদিন ভেঙ্গে-চুরে শেষ হয়ে যাবে
আমাদের জীবন পথে হেঁটে
যা পেয়েছি তা আমরা ভুলে যাই
যা কখনই পাইনি তার প্রতি আগ্রহ জন্মে
আমরা যদি তার প্রতি আকৃষ্ট হই, যা পেয়েছি;

তাহলে জীবন অত্যন্ত পবিত্র হতে পারে
অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হতে পারে
অত্যন্ত সুন্দর হতে পারে
অত্যন্ত সৃষ্টিশীল হতে পারে

যা দেখে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়
যা দেখে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়’ চারদিকে যাঁর আলোকরশ্মি উজ্জ্বলতর থেকে
আরও উজ্জ্বল করে, সুন্দর থেকে
আরও সুন্দর করে।

ভালোবাসার শেষ নেই, তা কখনও শেষ হয়না
আঘাতে আঘাতে তা শুধু বেড়েই চলে
অন্তরখড়ার মাধ্যমে জগৎ জীবনের
এই সাদৃশ্যের পথে যাঁর অভাবনীয়
বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
আরও গভীর থেকে গভীরে পৌঁছে।

কোনো এক চাপা কষ্টের আঁধারে
সেই প্রেম যদি, সেই ভালোবাসা যদি,
প্রসমিত হয় তা একসময়
মরীচিকার আবর্জনা স্তূপে চাপা পড়ে

একটা প্রভাব…
অতিরিক্ত খামখেয়ালীপনা
অতিরিক্ত বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
এমনকি অতিরিক্ত চোখে চোখে রেখে তাকে যদি আপনি নজরবন্দী করে চলেন
তবে তার প্রতি আপনার বিশ্বাস কি
ভালোবাসা বিষাদময় জীবনের শেষাংশ
এটিকে কদর করতে হয়।

বৃক্ষে ফুল ফোটে নতুন লতাপাতা গজায়
মানুষ যখন বিশ্বাসে অবিশ্বাস খোঁজে
সেখানে বিশ্বাস এর পরিবর্তে
অবিশ্বাস করাটাও এক সময়
বিস্বাদে পরিণত হয়।

কারণটা হলো প্রভাব।
আপনি একটা মানুষের জীবনে
কিভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন
ক্ষমতার জোরে উগ্র মেজাজ দেখিয়ে
নাকি ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ করে।

আমাদের জীবনের ইশতেহারে
কি লেখা আছে, কি বলা হয়েছে
আর কি করতে হবে তা যদি আমরা
অনুভব করতে পারি
তবে জীবন সুন্দর হবে পরিস্ফূটিত হবে
উজ্জ্বল থেকে আরও উজ্জ্বল হবে।

তবে জীবন হোক মরুভূমির চাঁদের
রাত্রির মতো, যেখানে লক্ষাধিক জ্যোৎস্না
নক্ষত্ররাজির মিলন মেলা বসে।
নক্ষত্রের মতো সুন্দর আলোকিত
সেখানে শত বাধা শত ঝড় ঝঞ্ঝাট
শত বিপত্তি আসলেও অন্ধকার
কখনই ধাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না
আপন জীবন।

আমি তোমাকে আবিষ্কার করেছি
হৃদয়ের অন্তর্দহন থেকে
যেখানে বারোমাস খরাপীড়িত অঞ্চল ছিল;
যেখানে বারোমাস সূর্যের তাপে
আমার পুড়ে যাওয়া শরীর
হৃদয়কে দগ্ধ করে, শরীরকে অগ্নিগর্ভ করেছিল।

আমি তোমাকে অন্তর্দহন থেকেই
আবিষ্কার করেছি।
এখানে তুমি আমার জীবনে এসে
নতুন করে জীবন দেওয়ার জন্য
নানান রূপে অসংখ্যবার বৃষ্টি বর্ষিত করেছিলে
আমি তা ভুলবোনা কোনোদিন।

আমার হৃদয়ের কর্ষণরেখা ভেদ করে
হৃদয়ে করেছিলে কাটাছেঁড়া
তখন ক্ষতির প্রলেপ ছুঁয়ে দহণে
এনেছিলে ক্ষতের বুক চিরে শুশ্রূষা ভালোবাসা।
আমি এখন সেই ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে আছি
আমি এখন পাখি হব,
মুক্ত আকাশে বিচরণ করা পাখি;

যার কোন কষ্ট নেই যার কোন দুঃখ নেই
আমি এখন মুক্ত আকাশ
আমি এখন মুক্ত বাতায়ন
আমি এখন মুক্ত জীবনের আলোয়
নতুন করে জেগে উঠব

এখানে নিবিড়ভাবে বুনেছি ভালোবাসার বটবৃক্ষ।
যেখানে তোমার হবে অবাধ বিচরণ।
যেখানে তোমার হবে সমাধি।

একটি অসমাপ্ত কবিতা

Female and man's hands with red hearts

ব্যাথার অনলে পুড়তে গেলে
ব্যাথা লাগার কথা নয়
তবুও ব্যথায় জমে গিয়েছে বুক।
এই জনমে কমবে কী আর মননের অসুখ
তুমিও জানো কী অসুখে মন রয়েছে শূন্য
মস্তিষ্কেরই নিউরণে রয়েছো পরিপূর্ণ।

নিয়ে নাও

203555_n

তুমি যদি আমার হৃদয়টা চাও
নিতে পারো…
এখানে পবিত্রতার ছুয়ে যাবে
রাত্রি রুপালি চাঁদ;

এখানে বিশ্বাস নিয়ে
কদাচিৎ রচনা করতে পারো
আরাধ্যতার প্রার্থনাগাঢ়;

আমি বহুকালের সোনালী বরফদ্বয়
সূর্যের তাপে রচনা করি তোমারই সৌন্দর্য
সূর্যের ঢ’লে পড়ায়
যে পিদিম রিফ্লেক করে
পশ্চিমের আকাশে জাজ্বল্যমান
একছত্র সোনালী মেঘ।

আমার অবয়ব জুড়ে রয়েছে
পৃথিবীর সৃষ্টি ও ধ্বংসের রহস্য
আমি সৃষ্টির প্রথম জীবাশ্ম
রেনু থেকে যেভাবে জেগে উঠেছি
বরং আজ তা আমাদের
শরীরের আঁকার;

এখানে
একটাই লাল গোলাপ
ফুটেছিল,
ভালোবাসার নিঃশ্বাস থেকে

অথচ একটি অন্ধকার
আর অবগুণ্ঠন রাত্রির মূর্ছিত লজ্জা
প্রলুব্ধকর জোসনাকে ঢেকে দিয়ে
গভীর সমুদ্রে নিক্ষেপ করে
জীবনের সব রঙ;

সব ভাবনা,
সব বাক্য একেকটি শব্দ
এই বিচ্ছিন্নতার স্বভাব রহস্যে ঢাকা!

অস্পষ্ট জীবনের শূন্যতা ছুঁয়ে
বিস্তৃত করেছে শুদ্ধতার পথ।

আমি এখন
নিরানন্দ গল্প ছাড়া কিছু নয়;
সকাল আর বিকেলের সমুদ্রের
বুকে, ছুটে চলা শঙ্খচিল
আমি এখন সাগরের ঝড়, বুঝি।

ঝড়ের পূর্বাভাস
আমাকে শিখিয়ে দেয়
সমুদ্রের শূন্যতা ও
অধিষ্ঠিত হওয়ার সময়।

তাই সবকিছু ছেড়ে
জীবনের নির্জনতায় নিজেকে
সঁপে দিয়ে কাছে নিয়েছিলাম
একেকটি বিদগ্ধ শূন্যতা…

যেখানে জীবনের কোন শুরু
আর প্রান্ত বেলা নেই, ছিলনা
তবুও কোথায় থেকে যেন

একটি জীবনের মোহর এসে হঠাৎ করেই
জেগে তুলল নতুন এক অস্তিত্বের কলরব।

যেখানে সুদূর হতে ভেসে আসা,আশা।
বিলীন থেকে উঠে আসা
প্রেমের উত্তাপ আবার নতুন করে
সঞ্চারিত করে নতুন কোন অস্তিত্ব

কিম্বা কোন শূন্যতার মাঝে
স্টার ফল! মনে হয়
কোনো এক নীহারিকার
সংকোচনে সৃষ্টি হয়েছে
নতুন একটি সভ্যতার।

এখানে নিয়মের কাঠখর পুড়ে
জীবনের রঙ বদলে
শুরু হয় নতুন অস্তিত্বের লেহন

নতুন একটি নক্ষত্র…
যা আমাদের কপাল ছুঁয়ে
চুম্বনের মতোই ঘুরতে থাকবে
যেখানে জন্ম নিবে নতুন সৌরমণ্ডল

যে স্বপ্নগুলো নীরব কাফনে
মোড়ানো ছিল দীর্ঘকাল
তা সোনালী স্মৃতির মাঝে আবার
জেগে উঠবে,

সভ্যতার এই অভূতপূর্ব অভ্যুদয়ে
যেখানে তুমি আর আমি
নিশিযাপন এর শেষ মুহূর্তটি ও
কখনোই হবে না সঙ্গীহীন।

তুমি যদি আমার হৃদয়টা চাও
নিতে পারো;
যেখানে তুমি মাথা রেখে
দিবসরজনী রচনা করবে’

সেটা তোমারি থাক
তুমি যদি আমার ভুবন চাও
নিতে পারো;
এখানে তো আমরা সবাইকে বাদে
নিজেদের করেছি অস্বীকার!

তবুও কখনো ফেরাতে পারিনি মুখ
চোখ বুজে যত কষ্টের চুমু
নিজেকে করেছে দহন
নিজেকে পুড়িয়ে আবার পড়েছে
কাফনের কাফন।

তবে কেন ভয় কেন সংশয়
তবে দ্বারাও জ্যোতিষ
একটু দিয়ে যাও মত
কোন মুল্লুকে গিয়ে শেষ হবে পথ।

আমিতো সময়ের আঁধার ঘেরে
বন্দী ছিলাম অনন্তকাল
আমাকে বলে যাও জীবনের মানে
বলে যাও সৌন্দর্যের মধুমিতা

যেন নতুন গৌরবে নিতে পারি
সৃষ্টির নতুন রহস্য
যেন নিতে পারি সময়ের উত্তাপে জ্বলে
উত্থাপিত জীবনের নতুন উদ্যান।

যেখানে ফুল ফুটবে
মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হবে
অস্তিত্বের সকল সত্য;

দুঃস্বাপনিক সময়ের সেই
বেড়াজাল ছিন্ন করে
আর দুর্বোধ্য সেই অন্ধকার ভেদ করে
উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হবে
আমাদের জগৎজ্যোতি।

তুমি আর আমি যেখানে আকারহীন
থেকে আকার দেবো
ভবিষ্যতের রুদ্রতাপে
রৌদ্রস্নাত সলোক বেলা।

অস্তিত্বের কোলাহল থেকে …

89425_n

অস্তিত্বের কোলাহল থেকে …
আমি এখন জীবনের পথচলা মানুষ
কেউ একজন
আমার অস্তিত্বের সময়চক্র থেকে
বহমান পাথর সরিয়ে দিয়ে
এনে দিয়েছে ভালোবাসা।

আমি এক সময় প্লাউমিতসা’র
পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়েছিলাম
সেখানকার কাশবন ছুঁয়ে জীবনের সে
জটিল দিনগুলোকে
আড়াল করার চেষ্টা করেছি’ পারিনি।

তাইগেকোস পর্বতের চারপাশে
ঘুরতে-ঘুরতে যখন জল তরঙ্গ ছুঁয়ে যায়
হৃদয়ের ভূমধ্য অঞ্চল
তখন প্রকৃতির বিশালতা আমাকে
বিশাল করতে পারেনি।

অবশেষে ফিরে আসি শূন্যস্থান থেকে
নক্ষত্রখচিত একটি গোলাপ হাতে নিয়ে।

আমি হয়তো ভেবেছিলাম
কোন একদিন এই গোলাপটি
কারো হাতে পৌঁছাবে;

হোক সেটা দীর্ঘ সময় একদা
সেটা শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ।

অস্তিত্বের লড়াইয়ে টিকে যাওয়া
জীবন কখনো খুঁজে পায়নি পথের দিশা
সে জীবন একসময় তো
সবকিছু ফিরে পাওয়ার
যে বাসনা করেছিল তাই এখন
একটি দিনের মতোই উজ্জ্বল।

আমার অন্ধকার পথের সময়
থেকে এখন জীবনের আলো
ফুলকির মতো উতসারিত হয়
আমি এখন জেনে গেছি বেঁচে থাকার মানে

আমি এখন জেনে গিয়েছি
বেঁচে থাকতে গেলে কিভাবে যুদ্ধ করতে হয়
আমি এখন জেনে গিয়েছি
জীবন চলার পথে কোন মানুষের প্রয়োজন;

কোন মানুষ আপনাকে
অপ্রয়োজনে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।
কষ্টের সরোবরে হাঁটতে হাঁটতে
কবে যে কষ্টের খেরোখাতা বন্ধ করেছি
আজ তা কেও জানেনা।

দণ্ডপ্রাপ্ত দেহ

221550

হে মানুষ তোমাকে স্মরণ করো
………. প্রত্যহ ঘুম শেষে।
আপনার ভেতরে আপন সত্তাকে
অনুভূতি দ্বারা চেনো;

হৃদয়ের সেতুবন্ধনে
স্বতঃলব্ধ জ্ঞান যেভাবে পাঠ করেছ
প্রতিজ্ঞার বাক্য ভরে চয়নে চয়নে।

তবু জেগে তোলো
অদৃশ্যের অনুভূতি অদৃষ্ট-যোগে;
ইন্দ্রিয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে
ভিন্ন যৌগের চিহ্ন নিয়ে।

মুছে ফেলো, বিবেকের গোপনীয়তা
মুছে ফেলো দাসত্বের ক্রন্দন
তারপর, ভালবাসতে শেখো।

শ্রাবণের কালো মেঘ চিরে
বেরিয়ে আসা, গোপন তকলিফ
কিছু টগবগে ফুটন্ত আলোয় ঢেকে দিয়ে
ধারালো স্মৃতির পদভারে দিশেহারা।

একদা জেগে তুলবে ঊষার লগ্নে
সোনালী সকালের প্রথম হাসি।

অন্তরের জন্মানো বুদবুদ যখন
বাইরে এসে ভেসে বেড়াবে
পাথরের বুকে জন্ম নেওয়া পদ্ম;

জমিনের বুকে জন্ম নেয়া গোলাপ
জলের বুকে ভেসে তুলবে
………..মসৃণ শাপলা।

আমাদের সবুজ আবৃত পৃথিবী;
জীবনের সেই মিলনক্ষেত্র।
কোন এক অপার্থিব
জীবনের গল্প একে পরিপূর্ণ করবে
কানায়-কানায়, দর্শনের নদ।

দৃশ্যমান এই ঝর্না…
আর পরিযায়ী স্মৃতির পটভূমিকা
অকারণে দুঃখের ফেরি করে
খুশি ঝরায় অন্যের মুখ।

এভাবেই অস্তিত্বের কলরবে
মুখর হয় পৃথিবীর পথ
নিরব হৃদয়ের দগ্ধকে বিদায় দিয়ে
অন্তরে তৈরি করি প্রেমের সাইরি।

জীবনাদর্শন ও একান্ত ভাবনা

71221

🔷কাজের প্রতিদানই কী ভাগ্য নয়! আমরা যে ভাগ্যে বিশ্বাসী সেই ভাগ্য বলে কিছু আছে কি? আপনি আজ অন্যের সাথে যে ব্যবহার করবেন ঠিক কোনো এক সময়ে আপনার কাছে সেই ব্যবহারটি ফিরে আসবে। আমরা যদি সেই বিশ্বাসটি নিয়ে আরও কিছু চিন্তা করে থাকি তবে আমরা ব্যথাটি অনুভব করতাম না। সুতরাং আমি যা বুঝতে পেরেছি তা হল নিয়তি হ’ল কর্মের ফল, কাজের প্রতিদান আপনার কাছে আসবে। আমরা যদি আমাদের জায়গা থেকে অন্যের সাথে খাঁটি আচরণ করি তবে বিনিময়ে আপনিও সেই শুদ্ধ আচরণের প্রাপ্য। আমাকে কেবল মনে রাখতে হবে যে আমি যদি এটাই চিন্তা করে জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে পারি তবে আমাদের কোনও অনুশোচনার পথ অতিক্রম করতে হয়না।

🔷২. যেমন …
🔷সৌন্দর্যের অহংকার চূর্ণ হয়।
🔷সন্দেহের ঘর সবসময় ভগ্ন।
🔷হতাশার পথ প্রত্যেকটা মুহূর্তে রুদ্ধ।
🔷অধৈর্যের কর্ম ফলাফল সুখকর নয়।
🔷রাগের ফলাফল শূন্য।
🔷বিশ্বাস এর দরুন বিশ্বাস অর্জিত হয়।
🔷ভালবাসার প্রতিদান নৈকট্য লাভ।
🔷শ্রদ্ধার প্রতিদান ভালোবাসা।
🔷অশ্রদ্ধা ও অসম্মানের প্রতিদান লাঞ্ছিত
🔷খারাপ ব্যবহার একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গ জীবন লাভ

🔷৩.
🔷তিরস্কৃত আচরণ আত্মসম্মানহীনতার বহিঃপ্রকাশ।
এসব কারণে হলেও মানুষকে সংযম শীল হতে হয়
বিবেকের দরজা বন্ধ রেখে যখন আপনি পথ চলবেন তখন আপনার দুনিয়াটা টোটালি অন্য দিকে মোড় নেবে যে জীবন আপনাকে খুব ভালো কিছু উপহার দিতে পারবে না।

🔷৪.
🔷অতএব, মনকে উদ্যান করুন সেখানে যেন প্রকৃতির সকল সৌন্দর্য ধরা দেয়। মনকে ময়লার স্তুপ করবেন না। মনে রাখতে হবে আমাদের কলুষিত জীবন কখনো আড়াল করা যায় না। আমাদের জীবন প্রণালীতে যার-যার অবস্থান থেকে যেমন তা যদি আপনি আমি কোনভাবেই আড়াল করতে না পারি তাহলে কি লাভ সে পথে বিচরণ করে।

.
২০.০৮.২০২১ রাত: ৮:৩৫pm.

স্পৃহা

10511-13

মাঝেমধ্যেই শোনা যায় ভালো মানুষ বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে না। এটি প্রকৃতির কোন খেলা কিনা জানিনা তবে এখানে মানুষের হাত রয়েছে। কিন্তু ভালো মানুষ কি শুধু বেশীদিন বাঁচেনা নাকি খারাপ মানুষের ও যেমনি ভাবে না হয় অন্য দিন বলব তবে এটুকু বলতে পারি “ভালো মানুষ মরে না শরীর থেকে আপন আত্মাটা শুধু চলে যায়” কিন্তু তাকে মানুষ স্মরণ রাখে। তাই আমি খুব বৃদ্ধ হয়ে মারা যেতে চাই তোমাকে নিয়ে।

১.
আমি ক্ষুদ্র কিছু পাবার জন্যে
তোমার মাঝে, বেঁচে থাকতে চাই।
এই বলে আমি বেঁচে থাকতে চাই
যে, আমি কোন অনুদান গ্রহীতা না।
আমি কিছু না পাওয়ার যন্ত্রনা
বুকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছি হাজার বছর…
পাওয়ার প্রত্যাশা কোনোকালেই
আমার নেই, ছিলনা।
তবুও আমি ক্ষুদ্র কোন প্রাণের
জন্য বেঁচে থাকতে চাই
ক্ষুদ্র কোনো ভালো লাগানোর জন্য
বেঁচে থাকতে চাই

তাইতো
তোমার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই
তোমার জন্য বেঁচে থাকতে চাই

আমি খুব বৃদ্ধ হয়ে
এই ইহলোক থেকে প্রত্যাগমন করার
প্রয়াস নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই
খুব সামান্য কিছুও পাবার মোহ নিয়ে
মারা যেতে চাই তোমার জন্য

২.
আমি খুব ছোট ক্ষুদ্র
একটা বালুকণার মত সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে
অন্যরকম কিছুর জন্য
বেঁচে থাকতে চাই

আমি তোমার, তোমার আমার সন্তানের
এমনকি আমার চারপাশের
সবার তরে খুব, খুব ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র শখ
পূরণ করার জন্য
হলেও বেঁচে থাকতে চাই

তোমার ছোট-ছোট ইচ্ছাগুলো
তোমার ছোট-ছোট আবদারগুলো
পাওয়া না পাওয়া গুলো
পূরণ করার জন্য হলেও
তোমার জন্য বেচে থাকতে চাই
তোমার বেঁচে থাক অবধি
এই সুন্দর লোকে বেঁচে থাকতে চাই

আমি বেঁচে থাকতে চাই
সাধারন কিছু জীবনের প্রত্যাশা নিয়ে
সন্তানের হাসি দেখার জন্য
বেঁচে থাকতে চাই

৩.
সন্তানের আবদারের জন্য
বেঁচে থাকতে চাই
আমি একটা পরিবারের
মাঝে সুন্দর একটা পরিবার
নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই

যেখানে আমি থাকবো
তুমি থাকবে আমাদের সন্তান থাকবে
মাঝখানে আর দুই পাশে
থাকবে দাদিমা নানিমা…

আমি একটা ফুল হাতে নিয়ে
প্রতিদিন বাইরে থেকে ফেরার পথে
তোমার হাতে তুলে দেয়ার জন্য
হলেও বেঁচে থাকতে চাই

আমি বেঁচে থাকতে চাই
বড় চুলের খোপা তৈরি করে
দেয়ার জন্য হলেও
মাথায় বিলি কেটে
ঘুমিয়ে দেয়ার জন্য হলেও
বেঁচে থাকতে চাই…

৪.
আমি বেঁচে থাকতে চাই
বুকের মধ্যে নিয়ে
ঘুমিয়ে থাকার জন্য হলেও
বেঁচে থাকতে চাই
বেঁচে থাকতে চাই
তোমার চোখে চোখ রেখে
কথা বলার জন্য…

আমি তোমাকে নিয়ে
প্রকৃতির খোলামেলা উদ্দানে
ঘুরতে-ঘুরতে হাত ধরে পথ
চলতে-চলতে স্বপ্ন দেখতে-দেখতে
কথা বলার জন্য হলেও
বেঁচে থাকতে চাই

হ্যাঁ, আমি বেঁচে থাকতে চাই
তোমার চোখে-চোখ রেখে
দীর্ঘ সময় তাকিয়ে দেখার
জন্য হলেও বেঁচে থাকতে চাই

আমি বেঁচে থাকতে চাই
দীর্ঘদিন দীর্ঘ মাস দীর্ঘ বছর
দীর্ঘ যুগ দীর্ঘকাল!


এর মধ্যে না হয় এক শতাব্দী
দুই শতাব্দী তিন শতাব্দী
কিংবা এমন হাজার শতাব্দী
পেরিয়ে যাক শতায়ু নিয়ে
আমরা বেঁচে থাকতে চাই
জীবনের এই অঢেল সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে।

তোমার হিমেল শরীরে
শীতের রাতের উষ্ণতা হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই
শীতের রাতের পশমি
মখমলের পোশাক হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই
তোমার মাঝে তোমাকে জড়িয়ে

আমার কবিতার মাঝে
বেঁচে থাকতে চাই
তোমাকে বেঁচে থাকতে চাই
তোমার কবিতার মাঝে
আমি বেঁচে থাকতে চাই

হ্যাঁ, খুব প্রাণভরে বেঁচে থাকতে চাই
বেঁচে থাকতে চাই
তোমার ভালোবাসার মাঝে

৬.
তোমার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
চাওয়ার মাঝে পাওয়ার মাঝে
দুষ্টু মিষ্টি হাসির মাঝে
দুষ্ট-মিষ্টি জিতের মাঝে

আমি তোমার জন্য
খুব ক্ষুদ্র কিছু হয়ে বেঁচে থাকতে চাই
তোমার আসল হয়েও বেঁচে থাকতে চাই
চোখের কাজল হয়ে বেঁচে থাকতে চাই
তোমার নিঃশ্বাস বেঁচে থাকতে চাই

আমি বেঁচে থাকতে চাই
তোমার বিশ্বাস হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই তোমার অহংকার হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই তোমার অনুপ্রেরণা হয়ে
আমি তোমার শক্তি হয়ে বেঁচে থাকতে চাই
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ প্রতি মিনিট
প্রতি ঘন্টা প্রতি সেকেন্ড বেঁচে থাকতে চাই

বেঁচে থাকতে চাই বিপদে সাহস হয়ে
একলা পথের সাথী হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই যাতে
কোনো বিপদের আভাস না পাও
যাতে তুমি একলা ফিল না হও

৭.
বেঁচে থাকতে চাই অন্যের মাঝে গল্প হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই তোমার মুখে মুখে
তোমার অহংকার হয়ে বেঁচে থাকতে চাই
বড্ড পিপাসিত জীবন নিয়ে
বেঁচে থাকতে চাই তোমার জন্য

হ্যাঁ, বেঁচে থাকতে চাই
বেঁচে থাকতে চাই অনুপ্রেরণা হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই দুর্লভ কিছু শক্তি হয়ে
বেঁচে থাকতে চাই তোমার প্রতিনিয়ত সাহস হয়ে

আমি হেরে যাওয়ার ভয়ে
কোনদিন তোমাকে ছেড়ে যাব না চলে
সে জন্যই বেঁচে থাকতে চাই তোমার মাঝে
তোমার জীবন জুড়ে তোমার অস্তিত্বে
জানিনা এভাবে অন্য কেউ বেঁচে থাকতে চায় কিনা
কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে চাই
আমি বেঁচে থাকতে চাই তোমার হৃদয়ে

হে প্রিয়তমা,
হে প্রিয়সি আমার,
হে স্ত্রী বাঁচবো কি আমি?
বেঁচে রাখবে কি তোমার মাঝে
আমি তো তোমার হয়ে গিয়েছি
বহু আগেই বহুকাল বহু যুগ পূর্বেই
জেনেছ কি কখনো?

.
স্পৃহা
(ইচ্ছা, বাসনা, আকাঙ্ক্ষা, কামনা, অভিলাষ, স্পৃহা)

কবিতা: তুমি

24119

জীবন বেড়ে ওঠে
কখনও ফুল হয়ে,কলি হয়ে,
স্বপ্ন হয়ে, সুন্দর হয়ে।
জীবন বেড়ে ওঠে
শেকর হয়ে, ছায়া হয়ে,
বৃক্ষ হয়ে, রূপসী চাঁদ হয়ে,
মুগ্ধস্পর্শী পূর্ণিমা হয়ে,
মায়া হয়ে, ছায়া হয়ে, কায়া হয়ে,
নীরবে-নিভৃতে বেড়ে ওঠে।

জীবন বেড়ে ওঠে…
জীবন জেগে ওঠে…
এক বিন্দু ভালোবাসা হয়ে,
এক বিন্দু জল হয়ে,
এক বিন্দু শস্য হয়ে,
এক বিন্দু স্বচ্ছ হয়ে,
এক বিন্দু ধূলি-ধূসর
পৃথিবীর দীপ্ত তা হয়ে,
জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে।

জীবন ব্যাকুল হয়ে ওঠে…
হতে পারে ভালোবাসায়,
হতে পারে ভালবাসাহীন,
খেয়ালে বেখেয়ালে মূল্যহীন,
জীবন ব্যাকুল হয়ে ওঠে…
কারো ব্যথায়,
কারো আঘাতে,
কারো ক্ষতবিক্ষত আচরণে,
কারো দুঃখে,
কারো জ্বালায়,
কারো যন্ত্রণায়,
কারো প্রগাঢ় ভালোবাসায়।

জীবন বেড়ে ওঠে…
জীবন জেগে ওঠে…
কারো চোখের দিকে তাকিয়ে,
কারো মুখের দিকে তাকিয়ে,
কারো আশা’র দিকে তাকিয়ে,
কারো ইচ্ছার দিকে তাকিয়ে,
কারো ভাবনার থেকে তাকে,
কারো ভালোবাসার দিকে তাকিয়ে।

জীবন মন্ত্রমুগ্ধ, কারো প্রহরে,
জীবন মন্ত্রমুগ্ধ হয়
কারো উতলা হাওয়ায়…
এক বস্তু থেকে
একটু হাসি থেকে
সামান্য চাওয়া-পাওয়া থেকে
ক্ষুদ্র অনুভূতি থেকে
কারো স্বপ্নে বিভোর হয়ে
কারও প্রবল বাসনায়
কারো প্রগাঢ় ভালোবাসায়

এভাবেই জীবন চলে যেতে চায়
এভাবেই জীবন পাড়ি দিতে চাই
এভাবে জীবন মুক্ত হতে চায়
কারো ইচ্ছেতে, অনিচ্ছাতে
হঠাৎ করেই চঞ্চল হয়ে ওঠে,
উজ্জ্বল হয়ে ওঠে,
স্বচ্ছল হয়ে ওঠে,

যখন আমি
মন থেকে জানলাম;
প্রাণ থেকে জানলাম;
হৃদয় থেকে জানলাম;
অন্তরের অন্তর থেকে জানলাম
আমি তোমার,
শুধু তোমার,
চিরদিন তোমার,
চিরদিনের জন্য তোমার।

মহাকালের জন্য তোমার
একাল আর সেকালের জন্য তোমার
তখন মহাকালের এই সমুজ্জ্বল সকাল
সন্ধ্যা রাত্রির সু-প্রহরে
আমি রয়ে গেছি অনাগত ভবিষ্যতের দিকে
তখন আমি জানতে পারলাম
মহাকালের প্রলুব্ধকর ইন্দ্রজাল
তোমার জন্যই সাজে রয়েছে
পৃথিবীকে আবিস্কার করে
আমি এখন সেই ইন্দ্রজালের জন্যও তোমার
জীবন যখন তোমার হয়ে ওঠে।
এই একটি কালে এসে
তখন আমি মহাকালের জন্য তোমার।

নতুন করে পথ চলা…

21158

জ্ঞানের গভীরতা ও কোন মানুষকে বদলানোর মনস্তাত্ত্বিক দর্শন কেমন হওয়া উচিত। নতুন করে পথ চলা…

পৃথিবীর সবকিছুই পরিবর্তনশীল’ দিন বদলে যায় রাত আসে, ভোর আসে, সকাল হয়,আবার রাত হয়ে যায়, আবার আসবে দিন। আমাদের এই চলমান জীবন অভিধানে সময়ের ঘড়ির কাটায় বেঁধে দেয়া সময় বদলে সময় আসে’ মানুষগুলো তাদের জায়গা থেকে মানুষই থেকে যায় তবে তাঁদের রঙ বদলায়। কিছু কিছু মানুষ তার জীবনের সত্য নীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে না পারলেও অন্য কেউ বদলানোর চেষ্টা করবে। তবে সর্বক্ষেত্রে বোঝা যায় যে, মানুষের প্রয়োজনে মানুষই পণ্যসামগ্রীর মত ব্যবহৃত হয়।

আমাদের মানুষ সমাজ’ কিছু কিছু মানুষের মধ্যে যখন কোন কিছুর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তখন আবার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার নানান কলাকৌশল চলতে থাকে। এসব মানুষের জীবনযাত্রা বিষয়ে আমি খুবই গভীর ভাবে অবলোকন করি তাদের অন্তর তুষ্টির কথা! আদতে তারা কি কখনো সুখী ছিল? সুখী হয়েছিল? সুখী জীবনের কোন চিন্তা করে কী, তাদের ভিতরে কোন সুখি ভাবনা রয়েছে নাকি তারা শুধুই মরীচিকার পিছে ছুটে চলে?

এর পেছনের উত্তর কি হতে পারে সেটা আপনাদের কে আর খোলাসা করে বলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না। আশা করছি আমার এই লেখা শব্দগুলোর ভেতরেই তাদের চিন্তাভাবনার উত্তরগুলো রয়েছে যা নতুন করে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। জীবনের এই চক্র মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত ঘটে, ঘটে চলে এটা চলমান থাকবে এটা জারি থাকবে থাকবে। যে সমাজ ব্যবস্থায় যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যে পরিবার ব্যবস্থায় মানুষের সততা, মানুষের বিশ্বাস’ মানুষের মর্যাদার কোন মূল্য নেই, সেই সমাজ পরিবারও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এর পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না তবে আমরা আশায় বুক বাঁধি স্বপ্ন দেখি সবকিছু পরিবর্তন হবে সবকিছুতে নতুনের ছোঁয়া লেগে জীবনের এই চলমান গতি নতুন করে শুরু হবে সমাজ পরিবার রাষ্ট্র নীতি তে কিংবা অর্থনীতিতে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

এই সমাজ ব্যবস্থায় এই পরিবার ব্যবস্থায়। যারা দুই দিনের আলোয় এসে নিজেকে আলোকিত বলে দাবি করে, যারা দুই দিনের জীবন বিধানের পথে হেঁটে নিজেকে অনেক জানেওয়ালা বোঝানোর চেষ্টা করে আসলে তাঁরা একটি ক্ষুদ্র চিন্তার ভেতরেই নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছে বলেই মনে করি। এইটুকু ক্ষুদ্র চিন্তার মাধ্যমে যখন কোন মানুষ অন্যকে বদলানোর প্রয়াস করে তারা কি প্রকৃত মানুষ? প্রকৃত সত্যের চর্চা করে? প্রকৃত জ্ঞানের চর্চা করে? প্রকৃত ঈশ্বর ভাবনার চর্চা করে? তবে আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থায় একজন খারাপ মানুষ কখনোই একবারে হঠাৎ করে বদলে যায়না। পেছনে একটা রিজন থাকে রহস্য থাকে এমনকি অনেক চড়াই-উতরাই পার করে তারা তাদের সঠিক গন্তব্যের পথে প্রত্যাবর্তন করেন এটা কে আমি সাধুবাদ জানাই।

এই জগতে কারো যদি কোন বদ অভ্যাস থাকে সেটাকে কোন মানুষই একদিনে সংশোধন করতে পারেনা, যখন কোন মানুষ একজন মানুষকে সামান্য একটা কথার মাধ্যমে হঠাৎ করে বদলানোর চেষ্টা করবে তখন বুঝতে হবে তার চিন্তার পরিধি কতটুকু বা কতটা অসম। যে কোনো বিষয়ে একজন মানুষকে বদলানোর প্রয়োজন বোধ করলে তার খারাপ গুন গুলো ধরে ফেলুন তার সাথে একটু একটু করে কথা বলুন প্রতিদিন একটা করে কথা বলুন প্রতিদিন একটা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ দিয়ে শুরু করুন প্রতিদিন একটা তথ্য নিয়ে হাজির হন সেখানে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে অবশ্যই সময় নিয়ে বদলানোর ভাবনা রাখতে হবে এর পেছনে অবশ্যই আপনাকে সময় দিতে হবে। একটা মানুষের জীবনে সাধনা ব্যতীত কোন কিছুর সফলতা অর্জন হয় না। সৎ চিন্তা সৎ ভাবনায় সৎ উপাসনায় সমাজের কিছু বদল ঘটাতে গেলে অবশ্যই সমাজকেও সেই সময় টা দিতে হবে।

বদলানোর যদি কোন রিজন থাকে তাহলে তার পিছে লেগে থাকতে হয়। ভালো কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে একজন মানুষ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সমাজে এমন অনেক খারাপ কাজ হয় পরিবারে এমন অনেক জঘন্য অপরাধ হয় সেগুলোকেও পরিবর্তন করা দরকার। আপনি যদি কোন কিছু বদল ঘটাতে চান তবে অবশ্যই আপনার পরিবার থেকে বদলটা শুরু করতে হবে। তার আগে কোনভাবেই অন্যকে জ্ঞান দেওয়া যায়না তার আগে কোনো ভাবে অন্যকে বদলানোর চিন্তা মাথায় আনা যায় না।

যখনই আপনি আপনার ঘর থেকে বদলানোর চিন্তা না করে অন্যকে বদলানোর চিন্তা করবেন তখন আপনাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। ভালো কাজে অবশ্যই প্রশংসার যোগ্যতা রাখে কিন্তু এক দিনের ভিতরে জগতের কোন কিছু পাল্টানো অসম্ভব। আমাদের জগতের এই সিস্টেম একদিনে কেউ পাল্টাতে পারবে না। আর এই জগতের সিস্টেমটাও একদিনের আসেনি মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও একদিনে গঠন হয়নি মানুষের বুঝ পরামর্শ একদিন শুরু হয়নি মানুষের অনুধাবন, চিন্তা, একদিনে উন্মোচন হয় না। অতএব, যা কিছুই করেন সেই চিন্তার বিষয়বস্তুকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।

আমাদের পরিবার পরিজনের অসহায়ত্বকে একদিনে বদলাতে পারবেন না আমাদের জীবনের মনস্তাত্ত্বিক ভাবনাকে কেউ একদিনে বদলাতে পারে না। তার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন সেজন্য ধৈর্যের প্রয়োজন রয়েছে, প্রত্যেকটা মানুষের; যারা সমাজের সেই বদলানোর দায়িত্বটা নিয়েছেন তাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হয়। যারা পরিবারের সেই দায়িত্বটা নিয়েছেন তাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হয়।

যারা সমাজের সেই দায়িত্বটা নিয়েছেন তাঁদেরকে ধৈর্যশীল হতে হয় এমনকি ধৈর্যশীল হতেই হবে। ধৈর্যশীল না হওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই। পরিবর্তনশীল মানুষদের জন্য পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে খুবই কৌশলী হতে হয়। তাছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। কাউকে যদি বদলানোর প্রয়াস থাকে তাহলে তার হৃদয়ে প্রবেশ করতে হবে, অন্তর থেকে অন্তরের গভীরে তার অবস্থান করতে হবে। তাদের অতীত ভাবনা, তাদের বর্তমান ভাবনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও একটা মানুষের পেছনে যদি কেউ লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বদলাতে পারে’ বদলে যায়, বদলাতে হয়।

সেটা আপনজনের জন্য পরিবারের জন্য অন্য কোন শ্রেণীর জন্য কিংবা সমাজের জন্য কিংবা রাষ্ট্রের জন্য কিংবা এই পরিবর্তনটা করতেই হবে। কিন্তু আমরা কি সত্যিই পরিবর্তন করতে চেষ্টা করি? আমাদের মত এই সমাজের মানুষদের প্রতি আমার একটি প্রশ্ন?

আমরা কি জানি, সেই পরিবর্তন করতে গিয়ে আরো খারাপ পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছিনা তো আমরা? পরিবর্তনের রীতি নীতি দৃঢ় হতে হয়। রাগ কিম্বা বদ মেজাজ অথবা নিজের মস্তিষ্কের সুস্থ ব্যবহার না করে আপন গতিতে হুংকার দিয়ে জগতের কোন সিস্টেমকে পরিবর্তন করা যায়না। কোন মানুষকে পরিবর্তন করা যায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে মানুষটা আপন বিবেকের মধ্যে পরিবর্তনের বিশ্বাসটা অর্জন করতে না পারবে। এর জন্য চাই সুকৌশল সাদৃশ্য মান চিন্তা চেতনা, এসব ব্যতীত অন্য কোন কিছু দিয়ে সমাজ পরিবারের কোনো মানুষকে পরিবর্তন করা যায়না।

এসব কোনো কাজের বিষয় নয়। আমরা যখন কোন অবস্থান থেকে সরে আসার প্রমোদ বাসনা অন্তরে ধারণ করি লালন করি কিংবা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই তখন একজন মানুষের ভেতরে অনেক ধরনের ভুল চিন্তা কাজ করে, ভুল ভাবনা কাজ করে, একজন মানুষের দীর্ঘ বছরের চিন্তাভাবনাকে যখন আপনি একদিনে পরিবর্তন করতে যাবেন তখন বুঝতে হবে আপনার কোনো যোগ্যতা নেই অন্যকে জ্ঞান দেবার। আমি জানি ভালোবাসা দিয়ে জগতে মানুষ অনেক কিছুকেই জয় করে, যদি আপনি ভালোবেসে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, অবশ্যই সময় নিয়ে সেই বিষয়টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। যদি কারো মাঝে সেই যোগ্যতাটা না থাকে তবে সেই মানুষটা কোন ভাল কাজ করেও সাফল্য অর্জন করতে পারে না।

পরিবর্তনের বিষয়টি টোটালি একজন মানুষের সম্পূর্ণ অন্তর্দৃষ্টির ব্যাপার। অন্তরের গভীর থেকে একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের যখন শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয় তখন সেই মানুষটা অবশ্যই চাইবে সে মানুষটার জীবন ভালো কাটুক সুন্দর কাটুক পরিবর্তনের অমোঘ স্পৃহা যখন হিংস্রতায় পরিণত হয় তবে তাকে অবশ্যই কোন সফল মানুষ হিসেবে পরিগণিত করা যায় না। যে মানুষ অন্যকে বুঝাতে অক্ষম কিন্তু তার রাগ অশ্লীল বাক্য ব্যবহার কিংবা ঊশৃংখল আচরণের মাধ্যমে সবকিছুকে পরিবর্তন করতে চায় সেই মানুষটা অবশ্যই সমাজের অযোগ্য মানুষ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আমাদের জগৎ জীবন তখনি সুন্দর হয় তখনই উজ্জ্বল হয় তখনই ঊর্ধ্বগামী হয় যখন মানুষের হৃদয়ে মানুষের বিবেককে মানুষের চিন্তায় মানুষের প্রজ্ঞা, মানুষের ভাবনায় সৃষ্টিশীল চিন্তার অস্তিত্ব বিদ্যমান বলে উপলব্ধি হয়।
আমরা কি আদৌ এই পৃথিবীর সিস্টেমকে বদলাতে পারবো? আমরা কি সাধারণ মানুষ হয়ে একটি দেশের সিস্টেমকে বদলাতে পারবো? আমরা সাধারন মানুষ হয়ে এদেশের চিন্তাশীল মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে পারব?

না, তা কখনোই সম্ভব নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের যার যার অবস্থান থেকে সেই চিন্তাটা না করবো, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই চিন্তার জায়গাটা আপনার কাছে অন্ধকার বলে বিবেচিত হবে। আপনি যদি সেই চিন্তা শীল মানুষের চিন্তার বিষয় বস্তুকে খনন করেন এবং সেটাকে অন্য কেউ সঠিক বলে বিবেচিত করে অবশ্যই সমাজ নয় সে মানুষটা বদলে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সে মানুষটা তার জায়গা থেকে সরে আসবে, সেই মানুষটার নিকট আপনার সম্মান অবশ্যই বৃদ্ধি হবে। পৃথিবীর এই অন্ধকার মুখী সমাজব্যবস্থায় অনেক কঠিন বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলো কখনোই পরিবর্তন করা যায় না।

আমরা একজোট হয়ে লড়াই করলেও সেই বিষয়টাকে কখনোই পরিবর্তন আনতে পারব না যতক্ষণ পর্যন্ত সেই জায়গা থেকে সেই মানুষের ও তার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম না হবে। আমাদের অক্ষমতা কখনোই দুর্বলতা নয় আমাদের অক্ষমতা কখনোই বোকামি নয় পৃথিবীতে সবাই অক্ষম মানুষ নয়। আমরা যদি এসবে হাত না দিয়ে প্রথমে ঘর থেকে শুরু করি তবে আপনি বলতে পারেন অন্যের পরিবর্তনে কোন কথা। তবেই আপনি বলতে পারেন অন্যের পরিবর্ধনের কথা। তবে আপনি বলতে পারেন অন্যকে বদলানোর কথা।

কিন্তু আপনি নিজে কতটুকু বদলেছেন কতটুকু বদলে গেছেন ততটুকু দিয়েই কি পরিপূর্ণ হয়েছেন নাকি আপনার জীবনে আরও জানার বিষয় রয়েছে আরও বোঝার বিষয় রয়েছে আরও ভাবার বিষয় রয়েছে? নাকি আপনি অল্পতেই বিদ্বান হয়ে গিয়েছেন? নাকি আপনি অল্পতেই সবজান্তা হয়ে গিয়েছেন? আপনি কতটুকু নিজে জানার চেষ্টা করেছেন দুই দিনের জ্ঞানধর্মের তালিম নিয়ে আপনি যদি সর্ব জ্ঞানী হয়ে যান সে ক্ষেত্রে আমি মনে করবো আপনি ভিন্ন জগতে বাস করছেন। আপনার চিন্তার খোরাক সেই সামান্যতম। এই চিন্তা দিয়ে ফসলের মাঠে কোনভাবেই কোন ফসল ফলাতে পারবেন না। ফসল ফলানোর জন্য অত্যন্ত সূক্ষ্ম জ্ঞানের প্রয়োজন ফসল ফলানোর জন্য যে জ্ঞান দরকার সেই জ্ঞান নিতান্তই আলাদা রয়েছে।

মানুষের ভেতরে যদি আপনি জ্ঞান তৈরী করতে চান মানুষের ভেতরে যদি আপনি চিন্তা তৈরি করতে চান মানুষের ভেতরে যদি আপনি পরিবর্তনের কোনো কথা বলার চেষ্টা করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই সর্ববিষয়ে অন্যের চেয়ে সর্বাপেক্ষা জানতে হবে। এমনকি তাদের ভেতরে সেই বোঝার মত জ্ঞান থাকতে হবে। আমরা যারা এডুকেশনাল সার্টিফিকেট কিংবা তার কোয়ালিফিকেশন নিয়ে গর্ববোধ করি আমরা যারা সমাজ পরিবার ও রাষ্ট্রে যাদেরকে মেধাবী বলে পরিচয় দিই বা স্বীকৃতি দেয় তাদের বিষয়ে আপনি যদি একবার ভাবেন বা চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন একটা দুইটা কিংবা তিনটা বই এর উপরেই সর্বোচ্চ ডিগ্রীটি নেয়!

কিন্তু যারা আমাদের এই সমাজে বহুবিধ চিন্তার অধিকারী বহুবিধ ভাবনার অধিকারী বহুবিধ যুক্তিকে খন্ডন করতে পারে বহুবিধ ভাবনার প্রয়াস ঘটাতে পারে এসকল মানুষ তাদের মুক্ত জ্ঞানকোষ এর মাধ্যমে যখন কোন নিত্য নতুন ভাবনার উদ্ঘাটন করে চলেছে যারা বহু জ্ঞানে জ্ঞানানিত্ব আমরা কি তাদেরকে জ্ঞানী বলে আখ্যায়িত করি? আমরা কি তাদেরকে মেধাবী বলে পরিচয় করে দিতে পারি? অবশ্যই না। অবশ্যই না … পারি না। আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় যারা একটা বই পড়ে ডিগ্রি নিয়ে মেধাবী হয়ে যায় তারাই সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ।

এখানে আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতা নিজেদেরকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। আসলে আমরা জ্ঞানের চর্চা করতে জানিনা বলে আমরা জ্ঞানীর কদর করতে জানিনা। আমরা যদি সমাজের সেই সকল মানুষদেরকে একটু সুযোগ দিতাম কোন কিছু বলার একটু সুযোগ দিতাম কোন কিছু উদঘাটন করার তবে এই সমাজ এই পরিবার এই রাষ্ট্র’ অনেকদূর এগিয়ে যেত বদলে যেত, বদলে যেত পৃথিবীর অবকাঠামো, সমাজব্যবস্থা, জগত সুন্দর ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠত প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে সফলতা অর্জন হতো।

আমরা কুসংস্কারে বিশ্বাসী কিন্তু আমরা যখন কাউকে কোন কিছু বলার প্রয়াস করি তখন আমরা একবার ভেবে দেখি না যার সঙ্গে কথা বলছি তার সাথে কিভাবে কথা বলা উচিত। কিভাবে কথা বললে তার কাছে একটা সঠিক জায়গা করে নিতে পারব কিভাবে কথা বললে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। তবে আমি এটুকু বিশ্বাস করি জগতের সর্বাপেক্ষা মূর্খ শিক্ষিতরা। অন্ধকার জগতের সেই কুসংস্কারকে এখন পর্যন্ত হৃদয়ে ধারণ করে। তাদের ভেতরে বদলানোর কোন যোগ্যতাই নেই আসলে বদলানোর মতো জ্ঞান যদি থাকতো তারা অবশ্যই সেই জ্ঞানেরই প্রয়োগ করবে। যদি কেউ কোনোদিন কোনভাবে জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে পারে অবশ্যই একজন মানুষ পরিবর্তন হতে বাধ্য।

কারণ সত্য সবার জন্যই সমান ভূমিকা পালন করে সত্য সবার জন্যই গ্রহন যোগ্যতা রাখে, সত্য সবার জন্যই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে, সত্য সবার জন্যই চমৎকার একটা সমাজ ব্যবস্থা রচনা করে যে সমাজ ব্যবস্থায় আমরা সকলেই সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারব। যেখানে মানসিক প্রশান্তি জীবনের সকল বিষয়বস্তুকে আলাদা করে এক সাইডে রেখে নিজের জীবনকে উন্নত ও একটি শ্রেণীবদ্ধ জীবনের আওতায় এনে সমৃদ্ধ ঘটাতে সক্ষম হয়। এখানে মানব জীবনের পরিস্ফূটিত সুন্দর ভাবনাগুলো রচিত হয়। মানুষ এগিয়ে যায় আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে আর ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে উঠে আলোকিত মানুষ। আমরা সেই আলোকিত জীবনের স্বপ্নই দেখি।