শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

প্রেম…

762395

কখনো কখনো
ভালোবাসা হেরে গিয়েও জিতে যায়;
প্রেমের মুগ্ধতা, নজরকাড়া-শুভ্রতা ছড়ায়।
নতুন বৃক্ষে গজানো কচি পাতার মতই
সজীব হয়ে ওঠে’

প্রেম যেন নদীর তীরবর্তী পথ ধরে
এগিয়ে চলে মহা পথের দিকে…
যেখানে চারপাশ ঘেসে পাহাড়ি উপত্যকা
আর নির্জন মেঠো পথ’ জল স্থল মারিয়ে
পেরিয়ে যায় অসীম এক জটিল পথে।

অবশেষে প্রেম জিতে যায়।
সকল দৈন্যতা’ সকল দুর্দশা, সকল কষ্ট,
সকল ক্লান্তি, সকল বিঘ্নতা অতিক্রম করে
প্রেম জিতে যায়; ভালোবাসা জয়ী হয়।

ভালোবাসা জিতে যায়।
প্রেম জয়ী হয়, জয়ী হয় দুজনের
কাছে আসার পথ সুগম করে।
ভালোবাসা জিতে যায় সাগরের
উত্তাল ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে জিতে যায়।

প্রেম জিতে যায়, নদী মহা নদীর স্রোতের
বিপরীত মুখে পাড়ি দিতে দিতে’
হাঁটাচলা করতে করতে…
এভাবেই প্রেম জিতে যায়
এভাবেই ভালোবাসা জয়ী হয়।

প্রেমই জিতে যায়।
প্রেমের শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়ে দিগ্বিদিক
প্রেম যেন জগতের বিস্তৃত পাহাড়ের মতোই অসীম।
প্রেমের কাছে, ভালোবাসার কাছে, যেন
প্রস্তর যুগ, তাম্রযুগ, লোহিত যুগ, বরফ যুগ
যা কিছু রয়েছে যে কোন কিছুই বাধাহীন।

প্রেমের সজীবতা যেন
অনন্ত পৃথিবীর সকল
মরে যাওয়া প্রাণকে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করে।
আর একে যায় সুন্দর পৃথিবীতে নতুন এক পদচিহ্ন!
প্রেম যেন মরুভূমির রাত্রিতে অনন্ত চাঁদ,
অনন্ত জোসনা, অনন্ত রূপের মুগ্ধতা ছড়ায় আকাশ পানে।

প্রেম যেন সাগরের উত্তাল হৃদয়;
প্রেম যেন মরুভূমি বিস্তৃত পথ।
প্রেম যেন দূর নক্ষত্রের তারাভরা অসীম আকাশ।
প্রেম যেন স্বপ্নের মোহনীয়তা…
প্রেম যেন কঠিন হৃদয়ে উর্বর ফসলের মাঠ।

প্রেম যেন কঠিন শাসকের হৃদয়েও
ভালোবাসার কাঁপন তোলে;
প্রেমই যেন আমাদের অন্তর তন্ত্রের নিয়ন্ত্রক;
আমাদের শাসক’ আমাদের সবকিছুর মূলে
প্রেমই যেন জগতের সুন্দর বার্তাবাহক।
নানাভাবে বার্তা দিয়ে যায় নানা রঙের নানা সমঝোতায়।

প্রেম ও ভালবাসার রাস্তায় ক্ষত হলে
মরে যায় প্রেম; মরে যায় ভালোবাসা, মরে যায়
একটি একটি করে দুটি জীবন।
প্রেম নানা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে নির্বাণের পথ খোঁজে।
আসলে প্রেম খোঁজে শৃঙ্খলা, শান্তি কোমলতা।
প্রেম আত্মিক কামনায় নানাভাবে বলিদান দেয়।

যুগল মনে সঞ্চার করে নতুন এক দিগন্ত।
প্রেম হিংস্রতা খোঁজে না কারও বিরুদ্ধে গিয়ে।
বিপন্নতা খোঁজে না, সহ শতাব্দি ধরে
মৌনতা ভরে তুলে দেয় পাখির কন্ঠে, সুমধুর সুর।
ভালোবাসা অস্ত্র হাতে তুলে নেয় না।
প্রেম, মনের নগণ্য ভাবনা, নগণ্য চিন্তা আর নগণ্য
অযাচিত প্রবঞ্চনার দানা বাঁধা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

আসলে প্রেম বিদ্রোহী নয়
প্রেম বিদ্রোহ করেনা প্রেমে ভালোবাসা থাকে,
অভিমান থাকে, তারপরেও
সবকিছুকে ভুলে গিয়ে কাছে আসে, কাছে যায়।
প্রেম শুধু পবিত্র স্বচ্ছ পানির মত পবিত্র নয়।
তার চেয়েও বেশি কিছু তার চেয়েও সুন্দর।
প্রেম ভালোবাসা শুধু সৃষ্টির সূচনা করে না
প্রেম রচিত করে সমাধির প্রাচীন কবর।
প্রেম মরুর বুকে সৃষ্টি করে নতুন জীবন
শুনেছি প্রেম পাথরে ফুল ফোটায়, মরা বৃক্ষে পাতা জন্মায়।

প্রেম শুধু পবিত্র নয়।
প্রেমের পবিত্রতা জগতের অন্য সব কিছুর
চেয়েও সুন্দর’ অন্য সবকিছুর চেয়ে আলাদা
অন্য সব কিছুর
চেয়েও অনন্য অসাধারণ।
প্রেম সঙ্গীত এর চেয়েও সুন্দর, সুমধুপুর।
রাতের ধ্রুব তারার চেয়েও উজ্জ্বল
ধূসর চাঁদের চেয়েও অমায়িক।
প্রেম কঠিন সূর্যের মতো কখনো কখনো জ্বলে ওঠে!
প্রেম নগরের প্রস্তর কঠিন দেয়াল প্রাচীর…
প্রেম সংগীতের চেয়েও সুমধুর
রহস্যের চেয়েও রহস্যময়, অলৌকিকতার চেয়েও অলৌকিক।

প্রেমকে কিভাবে তুলনা করবো বলো,
ভালোবাসাকে কিভাবে তুলনা করবো…
যার কোনো কিছু দিয়ে তুলনা হয়না তাকে কোনো কিছু দিয়ে তুলনা করা যায় না।
প্রেম হেঁটে চলা হাজার কিলো পথ…
প্রেম দীর্ঘ দৈহিক দৌত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইতিহাস গড়ে
প্রেম প্রস্ফুটিত কোমল আলোর চেয়েও সুন্দর।

প্রেম যৌবনের বাধাকে ছেড়ে চলে যায়।
তৈরি করে নতুন এক জীবন আসলে প্রেমের কোন বয়স নেই
ভালোবাসার কোন ছোট বড় নেই।
প্রেম যে কোন ধরনের আগাছা মুক্ত করে
এগিয়ে চলে নতুন এক দিগন্তের দিকে…
প্রেম আগুনকে ভয় পায়না, পানিকে ভয় পায় না।
ঝড় কে ভয় পায় না, তুফান কে ভয় পায় না।
টর্নেডোকে ভয় পায়না, সাইক্লোনকে ভয় পায় না
এমন কি কোন কিছুতে নয়!

প্রেম-ভালোবাসা শাসকের বুকেও কাঁপন ধরায়।
আসলে প্রেম ভালোবাসার জ্যোতির্ময় উৎস
যাকে বারংবার অনুধাবন করতে হয়।
প্রেম সুন্দর, একমাত্র জগত, এই মহান পৃথিবী।
প্রেম ভালোবাসা একজন প্রেমিক মনে পৃথিবীতে বেহেশত তৈরি করে।
প্রেমের মধ্যে স্বর্গের সবকিছু রোহিত।

ভালোবাসা আত্মার নিকটতম মসনদ
থেকে ভেসে আসা রহস্যময় মুগ্ধতা
সৌন্দর্য আর বন্ধুত্বের প্রতীক।
প্রকৃতির মতোই সুন্দর, বন্য হাওয়ার মতই পাগল করা।

প্রেম পৃথিবীর নতুন এক প্রহর…
প্রেম পৃথিবীর নতুন এক দিগন্ত…
প্রেম পৃথিবীর নতুন এক সন্ধ্যা…
প্রেম কখনো সমাহিত নয় সমাদিত হয় চারদিকে
প্রেম যখন জেগে ওঠে অন্তরের কঠিন কলরব থেকে
তখনই বিস্ফোরিত হয় নতুন উজ্জ্বল আলোকরশ্মি নিয়ে।

প্রেম পৃথিবীর অন্য এক রূপ।
যেখানে কোন বর্ণ নেই, সেখানে কোন ধনি-গরীব নেই যেখানে কোন ছোট বড় নেই
আসলে প্রেমের কোন ধর্ম নেই জাতপাত নেই।
প্রেমের কাছে সবাই সমান
প্রেমের কোন বয়স নেই, ভালোবাসার কোনো ঠিকানা নেই।

প্রেম নিজেই এক অসীম ক্ষমতার অধিকারী
প্রেম-ভালোবাসা নিজেই সৃষ্টি করে একটি সাম্রাজ্য।
প্রেম আমাদের আত্মার সুদূর থেকে ভেসে আসা উচ্ছ্ল কলহাস্য।
প্রেম সেই বন্য হাওয়া, যা তোমাকে তোমার বোধের মাঝে সমাহিত করে।

আর শাসন করে শাসক হয়ে
আমাদের সুজলা সুফলা সুন্দর পৃথিবীকে
এখানে মানুষ সবাই সমান।
এখানে মানুষ মানবতার আলোকে নিজেকে রাঙ্গিয়ে
এগিয়ে চলে ভবিষ্যতের দিকে।
আমাদের অন্তরে যদি প্রেম না থাকে, ভালোবাসা না
থাকে তবে তার মাঝে সৃষ্টির কোন কিছুই বিদ্যমান নয়।

প্রেম পরিযায়ী পাখির মতই সুন্দর
পরিযায়ী পাখির মতই দেখতে
প্রেম প্রাচীন হ্রদ এর মতই মানুষকে কাছে টানে
প্রেম আসলে সভ্যতার উদ্যোক্তা…
প্রেম ছাড়া জগতের কোন কিছুই সুন্দরভাবে গঠন হয় না, পরিচালিত হয় না।

যাঁর হৃদয়ে প্রেম আছে ভালোবাসা আছে
তার চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই, কেউ নেই।

অন্যকে বাঁচাতে নিজে সতর্ক হোন, অন্যকে সতর্ক করুন

175

গণ চিতায় জ্বলছে ভারত। পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ! আমাদের অসতর্কতা আমাদের গাফিলতি আমাদের কেউ কি এমন নির্মম পরিণতির শিকার করবে? আমরাও কী তবে মাটিচাপা পড়বো? করোনা আপনার কাছে আপনাআপনি আসবেনা একে বাইরে থেকে আমরাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের অসতর্কতা অসচেতনতা গাফিলতি হেঁয়ালিপনা’ই মহামারীতে রূপ দিচ্ছে।

আমরা যদি আমাদেরকে সতর্কতার সহিত নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলেই করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পাবো, নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। অতএব বাইরে যেখানেই যান মাস্ক ব্যবহার করুন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর ব্যবহার করুন। নিজের প্রটেকশন ছাড়াও আপনার আশেপাশের যে সকল গরিব মানুষ অসহায় মানুষ আছে তাদেরকেও এসব ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন, সহযোগিতা করুন এতে আপনার সামাজিক দায়িত্বটিও পালন হবে।

বিনা কারণে বিনা প্রয়োজনে বাইরে অকারণে ঘোরাঘুরি করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী চারপাশের গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করুন। আপনার সামান্য সহযোগিতাই পারে একটা পরিবারকে রক্ষা করতে। মনে রাখবেন কোন জীবনী ছোট নয় মূল্যহীন নয়, অপ্রয়োজনীয় নয়, জীবন অতি সহজলভ্য বস্তু নয় যা অকারণে হারাবে।

রাষ্ট্রের এই বিপদে যার যার জায়গা থেকে যার যার অবস্থান থেকে যার যার সামর্থ্য থেকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করতে পারেন। জীবন বাঁচাতে জীবন রক্ষা করতে জীবনের মূল্য দিতে। এই বিপদ কেটে গেলে অবশ্যই আমরা আবার মিলিত হব, সবাই হাতে হাত রেখে চলতে পারবো, প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পারবো, নতুন একটা জীবন নিয়ে আবার নতুন করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।

আপনার পরিবার আপনাকে নিয়ে যেভাবে চিন্তিত তেমনি চিন্তিত ওই গরীব অসহায় দিনমজুর মানুষের পরিবারটিও। আপনি যেমন আপনার পরিবারের হিরো সেই গরীব অসহায় পরিবারের একজন পিতা একজন ভাই একজন মাথা একজন বোন। এই করোনা মহামারী নিশ্চয়ই আপনাকে বুঝিয়ে দিয়েছে দুনিয়াতে অর্থ সম্পদের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বড় কিন্তু এই করোনা মহামারীর কাছে আপনার জীবনের মূল্য একদম বেকার। করোনা ধনী গরিব দুঃখী অসহায় মানুষ দেখে আসে না, আমাদের অসহায়ত্ব আমাদের দুর্বলতাগুলো আমাদের হেঁয়ালিপনা আমাদের ছোট ছোট ভুল করো না আমাদেরকে আক্রমণ এর জন্য দায়ী।

আমরা চাইলেই একে প্রতিরোধ করতে পারি। আসুন জীবনের মূল্য দিতে জীবনের জন্য এগিয়ে আসি। এই মহামারী হেরে গেলে নতুন একটা জীবন পাবো আমরা। এই মহামারী যদি তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে পারে তাহলে আমরা হেরে যাবো। আমরা অতীতে বহু যুদ্ধ জয় করেছি এই যুদ্ধ একইসঙ্গে লড়ি; এই যুদ্ধ আমরা জয় করব এই যুদ্ধ থেমে গেলে আমরা আবার নতুন করে শ্বাস নেবো। সবাই সতর্ক থাকুন সবাই সবার কে সহযোগিতা করুন, সবাই সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

আমাদের সতর্কতা এবং আমাদের সহযোগিতাই পারে আমাদের দেশকে এমন বিপদ থেকে রক্ষা করতে। আমাদের পরিবারকে রক্ষা করতে। আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে। আসুন আমরা হাতে হাত মিলে এই ভয়ঙ্কর মহামারী বিরুদ্ধে লড়াই করি। আমরা বেঁচে থাকলে আগামী প্রজন্ম বেঁচে যাবে। আমরা বেঁচে গেলে আরেকটি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবো। আমাদের এই লড়াইটা নিজের সাথে নয়; অদৃশ্য একটি শক্তির সাথে এই অদৃশ্য শক্তি কে হারাতে গেলে, অবশ্যই নিজের শক্তির সাথে আপোস করতে হবে।

নিজের সামর্থ্যের সাথে আপোস করতে হবে। নিজের চিন্তা ভাবনার সাথে আপোস করতে হবে। নিজের বিবেক বিবেচনাবোধের সাথে আপোষ করতে হবে। নিজে যদি এই আপোষহীনভাবে যাচ্ছেতাই ভাবে ঘোরাফেরা করি, চলাচল করি তাহলে এই যুদ্ধে আমরা হেরে যাবো আর এই যুদ্ধে হেরে যাওয়া মানে এই যুদ্ধ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া। বিশ্বের অন্যান্য লড়াকু জাতির মত ওই আমরা একটি লড়াকু জাতি, আমরা কোন বিপদে দেশের বিপদে, রাষ্ট্রের বিপদে, সমাজের বিপদে, পরিবারের বিপদে অদৃশ্য শক্তির বিপদে পেছনে ফিরে তাকাতে পারিনা।

এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে হলে সম্মুখ সারিতে থেকেই লড়াইটা করতে হবে। আসুন করোনাকে ভয় না পেয়ে ধৈর্যের সাথে তার মোকাবেলা করে করোনাকে ভয় না পেয়ে তাকে প্রতিহত করার দুর্গ গড়ে করোনাকে ভয় না পেয়ে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
👍🏿মাস্ক পড়ুন
👍🏿ঘনঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন
👍🏿হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন
👍🏿খালি চোখে চলাচল বন্ধ করুন
👍🏿শরীরে প্রটেকশন পোশাক পরিধান করুন
👍🏿বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে গোসল করুন
👍🏿অফিস আদালতে কলিগ সহপাঠী সহকর্মী বন্ধু-বান্ধবদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলুন,কথা বলুন।

👍🏿 বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন
👍🏿যে পোশাক পড়ে একবার বাইরে গিয়েছেন দ্বিতীয়বার পরিধান করার চিন্তা না করে বাইরে রাখুন প্রয়োজনে খোলা মাঠে বা বারান্দায়, ছাদে সূর্যের তাপমাত্রায় রেখে দিন এবং দ্রুততার সহিত পরিষ্কার করুন।

👍🏿ঘনঘন গণসমাবেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন
👍🏿যাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার সামর্থ্য নেই অথবা মার্কেটে শর্ট সাপ্লাই হচ্ছে পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে কি করবেন ঘরে ব্যবহারের জন্য আপনি নিজে নিজেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে পারেন।

যেভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাবেন
👍🏿১.৫ লিটার পানির মধ্যে একটি লাইফবয় সাবান, ডেটল সাবান অথবা ব্যাকট্রল সাবান গুলিয়ে নেবেন তারপর কিছুক্ষণ আগুনে জ্বাল করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না সাবান পিকগুলো মিইয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বাল করে তরল জাতীয় হবে যখন তখন তা যে কোন স্প্রে বোতলে তুলে ব্যবহার করতে পারেন।

দ্বিতীয় নাম্বার অপশন হলো
👍🏿১ মুঠো পরিমাণ ডিটারজেন্ট পাউডার (রিন চাকা হুইল অথবা ফাস্ট ওয়াশ) ডিটারজেন্ট পাউডার ১.৫ লিটার পানির মধ্যে গুলিয়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
👍🏿নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান নিজে সতর্ক হোন; অন্যকে সতর্ক করুন।
Stay safe stay home.

লেক্সোটানিল দুই!

প্রতিদিনের মত
চোখ দুটো এই গভীর রাতেও খোলা;
কে রেখেছে টেনে!
কি রয়েছে ধ্যানে
পাই খুঁজে তার কোনো উত্তর
দীপ্ত চোখে চেয়ে থাকা শুধু।

ঘুমহীন এই রাত কেটে যায় বন্দী একা ঘরে!
কিসের নেশায়
কিসের চিন্তায়
কিসের ভয়ে যু যু!

কি হারাবো কিই বা পাবো
নাই সে এমন হিসাব
মনের মাঝে এমন কোন
জমা তো নাই বিষাদ
তবে কেন এমন কঠিন
রাত এসে যায়, রাত কেটে যায়
ভোর হয়ে যায় দিন
এ দুই চোখে শুধুই থাকে
ঘুমের শুধু ঋণ।

বাসি না ভালো এমন কোন ছলা কলা
কি হারাবো, কিই বা পাবো
এমন ভাবনাও মিছে…
এমন কিছু নাই তো সেসব
আমার কোন পিছে।

তবে কেন রাত জেগে রয় চোখ
অস্বস্তিতে ভোগা আমার মন;
কাতর কণ্ঠে চাইছি শুধু ঘুম।

মিথ্যে কিছু চিন্তা করে কাটাইলাম না দিন
ক্লান্তি চোখে কেন আসেনা
পাড়িয়ে দিতে ঘুম।
ঘর হতে সে বেড়িয়ে দেখি
অর্ধেক কালা জোছনা মাখা
অর্ধেক খানা চাঁদ
আমার চোখেও আসতো যদি
অর্ধেক খানা ঘুম ভালোই হতো তবে।

দেখতে পেতাম
কালকের নতুন ভোর
দেখতে পেতাম
আরেকটা সোনালী দিন।

এভাবেই যদি পার হয়ে যায় রাত
এভাবেই যদি পার হয়ে যায় সময়
মৃত্যু তবে খুব নিকটে
ভয় করি না তবু;
ঘুমের জন্য অপেক্ষাতে
করছি তবু সবুর।

অসুস্থ এ সমাজ অসুস্থ সে মানুষ
অস্থিরতার দেশ
এরই মাঝে কাটছে মানুষ
না না অস্বাভাবিক জীবন

অসুস্থ এদিন অসুস্থ এ রাত অসুস্থ এই শরীর;
ঘুমহীন এই কাটিয়ে নিচ্ছে তাদের সাধের স্বাদ।

একটি পথ ও তাঁর শেষ পরিণতি

তুমি যদি আমার কষ্টের ভাষা না বোঝো
তবে ভালোবাসার ভাষা বোঝায় দ্ব্যর্থহীনভাবে ব্যার্থ
তাহলে চলো আমরা আমাদের পরিষ্কার করি
তোমাকে পাবার জন্য তোমার সমীপে জীবনের সবটুকু অর্জন ধীরে ধীরে করেছি বিসর্জন
এখন অবশিষ্ট রয়েছে একটি শূন্য হ্রদ
এখানে আর নেই কোনো জল নেই কোন রং
চোখের সাগর থেকে ফুরিয়েছি সমস্ত অশ্রু
প্রতিনিয়ত সেই সাগরের উপর ঘনিভূত দুর্বিনীত কালোমেঘ তবুও বৃষ্টি নেই
এখন আমার অবগুণ্ঠন রাত্রির মাঝে
নিজেই নিজেকে করেছি আড়াল
হুট্ করে যদি কেউ এসে বলে ভালোবাসি
তাঁকে দেওয়ার মতো কিছু নেই
কোনোদিন মনোযোগের দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে দেখিনি কাছে কিম্বা দূরের চাঁদ,খোলা মাঠ গোলাপ ফুল
কটূক্তি অশ্লীলতা এ যেন আমার কাছে দম বন্ধ হয়ে যাওয়া নিষ্প্রাণ ভাবনা
এই অন্তর জ্বলেপুড়ে খাক মূর্ছিত যন্ত্রণায়
বীনার তারগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে শেষ হয়েছে
নতুন কোনো তার আর ইন্সটল করা অসম্ভব
তুমি যখন ব্যবহারকারী হিসেবে নিজেকে পরিচ্ছেদ করলে তবে তার মূল্য দেবে কী
এ তোমার লোভনীয় মূর্ছিত নির্লজ্জতা
তুমি আর কিইবা দিতে পারো
তবে আমি আর মূল্য চুকাতে ফিরবো না অন্যকোনো ফুলের বাগানে!

কবিতা/প্রেম প্রকৃত

Female and man's hands with red hearts

প্রকৃত প্রেম উর্বর ভূমির মতোই শস্যময়, প্রেম জয়ী হয় একে অন্যের বোঝা পড়ার মাধ্যমে। প্রেমের নিদারুণ শুভ্রতা ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের পুষ্পিত বাগান। প্রেম যেন এক অমর বৃক্ষ, প্রেম যেন এক টুকরো মহাকাশের চাঁদ, প্রেম যেন নক্ষত্র হয়ে ছুঁয়ে দেয় রাতের অন্ধকারে আলোর বিচ্ছুরণ আর সৌন্দর্যের প্রলুব্ধ গভীরতা।

প্রেম যেন সাত সমুদ্র তেরো নদীর গল্পের চেয়েও বেশি কিছু। প্রেমের মধ্যে কোন সীমা পরিসীমা উচ্চতা অনুচ্চতা নেই। প্রেমের হ্রদে যে জল জমা হয় তার মতো পবিত্র আর কিছু নেই। প্রেমের মধ্যে পদচিহ্নহীন কোনো ছায়া মানব থাকতে পারে না। প্রেম যেন শত্রুকেও বন্ধু বানায় অচেনাকেও চেনা বানায়, পরকে বানায় আপন।

প্রেম সবকিছুকে পার করেই ভবিষ্যৎ গড়ে। প্রেমের মরুভূমিতে লক্ষাধিক চাঁদ, তারা, নক্ষত্র; রাতের আকাশে বিকিরণ করে জাগিয়ে তোলে যুগল বাসনা। হৃদয়ের প্ল্যাটফর্মে প্রেমই একমাত্র শাসক’ শাসন করে এই হৃদয়ের মহারাজ্য যেখানে অন্যান্য জাগতিক রাজা মহারাজা উপেক্ষিত।

দুটি হৃদয়ের মধ্যে যদি কখনো যুদ্ধ হয় সেখানে আত্মার আকুতিতে জয়ী হয় প্রকৃত প্রেম। প্রকৃত প্রেম সেই যে বিসর্জন এর মাধ্যমে বিনির্মাণ করে নতুন এক পথ, নতুন এক জীবন, নতুন এক দিগন্ত, নতুন এক আস্বাদন যেখানে প্রেমিক প্রেমিকার শাসক হয় নিয়ন্ত্রক হয়।

প্রেম কখনো বিদ্রোহী হতে পারে না, মানুষের আত্মা, মন, অন্তর যখন কোনো কষ্টকে ছুঁয়ে যায় তখনই মন বিদ্রোহী হতে পারে, তবে একজনকে প্রেমের নিয়ন্ত্রক অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হয়; তবে তো প্রেম জাগ্রত হবে, তবে তো প্রেম মুক্তি পাবে, তবে তো প্রেমের আলোয় আলোকিত হয়ে জীবনের আলোয় দীপ জ্বলবে।

প্রেমের অশ্রু অসম কিন্তু পবিত্র মন মরে গেলে প্রেম মরে যায়; বন্ধন ছিঁড়ে গেলে প্রেমের সমাধি ঘটে, প্রেম তার আদি গন্তব্যে যায় আপন কষ্ট নিয়ে যেখানে বিরহের সংগীত আকাশ বাতাস সমুদ্র নদী মহানদীকে ভারী করে তোলে।

প্রেমিক প্রেমিকার প্রেম নিবেদন বিনোদন, আনন্দ কলহাস্য বরাবরই উষ্ণতা ছড়িয়ে চলে মুক্তির গান গেয়ে জীবনকে এনে দেয় সজীবতা, সমস্ত দলছুট চিন্তাকে একত্র করে, সংসারী বানায় সংগ্রামী বানায় মুক্তিকামী বানায়।

প্রেমের আগুন জগতের সব কিছুকে ছেদ করে বেরিয়ে যেতে পারে প্রেমের আগুনকে পোড়াতে পারেনা দ্বিতীয় কোন আগুন। প্রেমের আগুন যদি কেউ সহ্য করে, এঁটে দেবে প্রেম তার জীবনের যুগল জীবনের পদচিহ্ন।

প্রেমের উষ্ণ আগুন নারী-পুরুষকে যখন দগ্ধ করে
তখন সেই নারী পুরুষ হয় হীরার মতো দামি, হীরার মতো খাঁটি, হীরার মতো চকচকে আর পোড়ামাটির মতোই নিষ্পাপ। একমাত্র প্রেমেই রয়েছে অন্তর্জগতের সবচাইতে অজানা রহস্য, প্রেমে না পড়লে কেউ জানবে না সেই রহস্যের মর্মবাণী কী, প্রেমে না পড়লে কখনোই জানবে না সেই রহস্যের অজানা কাব্য কথা।

প্রেম মরুর বুকে শস্যদানা ফলায় প্রেম পাথরে ফোটায় ফুল, মরুভূমিতে জাগায় রস আর মরা বৃক্ষকে দেয় প্রাণ- সেখানে জাগায় সবুজ পাতা সঞ্চারিতকরে এক অসামান্য অজানা জলের লহর। প্রেম মেঘকে গলিত রূপে পৃথিবীর জমিনে এনে ইতি ঘটায় হাজার বছরের। প্রেমের মত সত্য আর কিছু নেই, প্রেমের মত সৌন্দর্য আর কিছু নেই, প্রেমের মত সুপ্তবাসনা আর কিছু নেই।

প্রেমের সাফল্য; প্রেমে মুক্তি, প্রেমে রয়েছে জ্ঞানের তাপস। প্রেম আমাদের আত্মার যৌবন ফিরিয়ে আনে, বয়সের ভারে নুব্জ্য শরীর। প্রেমের রয়েছে বন্য হাওয়া যা প্রেমিক যুগলকে ভাসিয়ে দেয় প্রেমের সাগরে, প্রেমে রয়েছে বোধের তাপস, প্রেমে আলোকিত হয় পৃথিবী, নতুন ভোর, নতুন সূর্যোদয়, নতুন সন্ধ্যা, নতুন রাত্রি এ যেন প্রেমেরই অপর নাম।

তাই বলবো, প্রেম দাও প্রেম নাও। প্রেমকে গ্রহণ করো, আত্মার অভ্যন্তরে জেগে তোলো পরমসুখ, পরম আনন্দ, পরম ভালোবাসা, প্রেমই হোক জীবনের এক মাত্র দান, যেখানে কোন অনুদান থাকেনা, যেখানে কোন বিনিময় থাকেনা।

প্রেমে যা কিছুই করা হয় সেটা অন্তরের অন্তস্থল থেকে হোক, প্রেমের মরচে পড়া মুখ যন্ত্রণায় ভেজা চোখ, স্বপ্ন ভাঙ্গা আত্মা নিমিষে প্রেমের আলোয় আলোকিত হোক, প্রিয়জনের মুখোমুখি বসে ভরে যাক সবকিছু, কলহাস্যে ভাসিয়ে যাক জীবনের সকল দুঃখ কষ্ট জ্বালা যন্ত্রণা। আর এভাবেই প্রেম হোক খাঁটি, প্রেম হোক অমর, প্রেম হোক মহাজাগতিক সৌন্দর্যের আর ভালবাসার আফ্রোদিতি।

দায়িত্বের দণ্ডে অপদেবতার ছায়া অপদার্থের বাস

মিথ্যুকরা অন্যকে বিশ্বাস করানোর জন্য বরাবরই শপথ করে কথা বলে, মিথ্যুকরা সবচাইতে বেশি মিথ্যা বললেও আবার তারাই বলে মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। যেভাবে মিথ্যুকদের হাতে ধর্মের ঠিকা, প্রতারকদের কাছে রাষ্ট্রের দেখভাল যেভাবে ঠগীদের কাছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা অর্থহীন।

মনীষীরা কি বলল সেটাতে বিশ্বাস করিও না, একজন রাজা কি বলল সেটা বিশ্বাস করিও না, একজন মহান ব্যক্তি কি বলল সেটা বিশ্বাস করিও না, একজন জ্ঞানী কি বলল সেটা বিশ্বাস করিও না, একজন গুণী মানুষ কি বলল সেটাকে বিশ্বাস করিও না, আমি কি বললাম সেটাও তুমি বিশ্বাস করবে না।

কারণ তোমার বিদ্যা বুদ্ধি আছে জ্ঞান আছে বিবেক আছে তুমি যদি কোন কিছুতে অসম্পূর্ণ না হও তবে তোমার বিবেক কি বলে তোমার মনুষ্যত্ববোধ কি বলে তোমার চিন্তা চেতনা কি বলে তোমার বিচার বুদ্ধি কি বলে সেখানে এই বিশ্বাস স্থাপন করো।

বিশ্বাস অর্জন করো বিশ্বাসকে খুঁজে বের করো তবে তুমি প্রকৃত মানুষ তবে তুমি প্রকৃত সত্যকে উদঘাটন করতে পারবে তবে তুমি প্রকৃত সত্যকে জানতে পারবে তবে তুমি প্রকৃত সত্যকে উপস্থাপন করতে পারবে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করতে পারবে।

বিচিত্র এক মানব সভ্যতা

প্রকৃতির সকল উপাদান আমরা ভোগ করলেও প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীর মতো আমরা নই। যদি ধরে নেয়া যায় পৃথিবীর যত প্রাণীকুল রয়েছে’ তাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য খাদ্যাভ্যাস হতে শুরু করে যার যা কিছু প্রয়োজন পড়ে সবকিছু প্রকৃতি থেকেই পায় তাদের কোন কিছু কেনার প্রয়োজন হয় না।

খাদ্য পোশাক বাসস্থান জৈবিক চাহিদা পথে-ঘাটে চলাচলের জন্য বিস্তৃত রাস্তা পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে সবকিছুর প্রয়োজন মেটায় তাদের বিস্তৃত পথ তৈরি করে। অথচ আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব বলে দাবিদার একমাত্র মানবজাতি পৃথিবীর সকল মহোৎসব পালনের জন্য রাখতে হয় অসীম অর্থ ভাণ্ডার আর অর্থনৈতিকভাবে আমরা সেভাবেই গড়ে নিয়েছি সব কিছু আমাদের স্থান কাল পাত্রের যে অমোঘ সূচনা হয়েছে তাঁর প্রত্যেকটি চাহিদা মেটাতে রয়েছে অর্থের প্রয়োজন।

আমরা প্রকৃতির শক্তির উৎস থেকে আমাদের প্রয়োজন মেটাতে গেলেও মানবের তৈরীকৃত যে অর্থের প্রয়োজন পড়ে সেটাই এক আশ্চর্য ব্যাপার আমরা পৃথিবীর এই প্রকাণ্ড ব্রহ্মাণ্ডের যেখানেই ছুটে যাই না কেন এর পেছনের যে মেধা শক্তি সামর্থ বিদ্যাবুদ্ধি চিন্তা চেতনা জ্ঞান বিজ্ঞানের হাত রয়েছে তা আমরা মরণশীল মানুষ নিজেদের আয়ত্তে নিতে পেরেছি আর এসবের প্রয়োজন ছিল বলেই তার সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ উৎকৃষ্ট ভাবে এগিয়ে নিয়েছি যেখানে কোন কিছুরই কমতি ছিল না (!) বলে মনে পড়ে না।

তবে এখনো আমাদের অনেক কিছু করার বাকি আছে অনেক পথ অতিক্রম করার জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তাকে আগামীর দিকে নিয়ে যাওয়ার নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতে যা আরও গভীর ভাবে মানবের বহুল আলোচিত মন জ্ঞানগর্ভ ভাবে ভাবতে শুরু করবে। তবে, আমরাই প্রথম সভ্যতা গড়ি আবার ভেঙে ফেলি আমাদের দাঁড়ায় ধ্বংস বিনাশ শুরু এবং শেষ হয়। বিগত ৪৫০ কোটি বছর ধরে পৃথিবীর সকল প্রাণীকুল যেভাবে বিনা অর্থে তাঁদের জৈবিক চাহিদা পূরণ করে আসছিল তা ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে মানব সভ্যতার উষা লগ্নে।

আমরা যেভাবে প্রকৃতিকে নির্বাচন করেছি অর্থনৈতিক অবকাঠামো থেকে সেভাবে যদি অন্যান্য প্রাণীকুল তাঁদের অভ্যাসগুলো গড়ে নিতো পারতো তবে কোনো সভ্যতাই ঠিক ঠিক টিকে থাকতে পারতো না। এমতো অবস্থায় প্রকৃতিতে কোন প্রাণী খাদ্যের অভাবে মৃত্যুবরণ করে না এদিকে আমরা মানবজাতি প্রতিদিন খাদ্যের জন্য যুদ্ধ করতে হয় খাদ্যের জন্য প্রাণ দিতে হয় বাসস্থানের জন্য যুদ্ধ করতে হয় বাসস্থানের জন্য প্রাণ দিতে হয় মাটির জন্য যুদ্ধ করতে হয় মাটির জন্য প্রাণ দিতে হয়।

শত্রুর মোকাবেলা প্রকৃতিও করে প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠা প্রাণীরাও করে প্রকৃতির নিয়মে এতটাই নিখুঁত ( প্রকৃতি ও নিখুঁত নয় প্রকৃতিতেও ধ্বংস হয় সৃষ্টি হয় প্রকৃতির এই অপার অপরূপ বিচিত্র বিকিরণ) যে কেউ যদি অন্যায় করে প্রকৃতিই তাঁর দায়িত্ব নেয় এদিকে মানবজাতি নিজেরাই তাঁর স্বজাতিকে শাস্তির বিধান পড়িয়ে শোনায় আবার তারাই শাস্তি নির্ধারণ করে।

মৃত্যু নিশ্চিত করে সবলের শক্তি হয় দুর্বলের উপর এ এক বিচিত্র শিহরণ, এ এক বিচিত্র নিয়ম যেখানে প্রতিনিয়ত ঘটে চলে সত্য আর মিথ্যার খেলা। আমাদের মধ্যে রচনা হয়েছে জাত পাত ঘৃণা বিদ্বেষ অবহেলা যুদ্ধ বিগ্রহ লোভ লালসা বিচার অবিচার শান্তি অশান্তি ভালো মন্দ এসবের সবকিছু নিয়েই আমরা মানুষ আমাদের কাছে সবকিছু বিক্রি করা যায় বিক্রি হওয়া যায় আমরাই নিজের সম্ভবত আমরাই এক মানব জাতি আপন ইচ্ছেতে করি আমাদের দাসত্ব।

মৃত্যুর অহংকার

মৃত্যু আসে, আসবে; মৃত্যুকে ভয় পাওয়ার কি আছে¡ মৃত্যুর কোন অহংকার নেই’ আদর্শ নেই, নিয়ম-নীতি নেই, বাধ্যবাধকতা নেই। মৃত্যু আসে, নানা জনের নানা মতে, নানা ভাষা নানা কর্মে, নানা বর্ণে নানা ধর্মে, মৃত্যুতে ভয় পাওয়ার কি আছে? আর মৃত্যুরই বা অহংকার করার কি আছে …
গর্বিত হওয়ার কি আছে, নির্ভীক না হয়ে ভীতু হওয়ার কি আছে, মৃত্যুরই বা দেমাগী রূপ ধারণ করার বা কি আছে, মৃত্যুর কাছে অস্তিত্বের নত হওয়ারই বা কি আছে!

মৃত্যু, আমাদের এই সমাজ তোমাকে নানা মডেলে উপস্থাপন করে’ তাতে কি তোমাকে যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই বলে! যারা তোমাকে যেভাবে চান সেভাবে অনুভব করে? মানুষের দেখার দৃষ্টি, চলার দৃষ্টি বলার দৃষ্টি, সোনা ঝরানো রোদ বৃষ্টি ঝড় বোঝার দৃষ্টি একেকজনের একেকরকম, কেউ কারো কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, কেউ কারো কোন বিষয়ে বিষোদগার জানায় না।
মৃত্যু তোমাকে এতো স্মরণ করারই বা কি আছে?
তুমি কি গর্ব করে বলতে পারো মৃত্যুর স্বাদ মধুময়
কিন্তু না’ তুমি তা পারোনা।
তুমি অহংকারী, তুমি হুংকার ছেড়েই বল মৃত্যুর
স্বাদ সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।
আরে এ আর এমন কি! মৃত্যু যদি সবারই হয়
মৃত্যু যদি সবাইকেই নাড়া দিতে আসে
সেখানে অহংকারের কি আছে, গর্বের কি আছে,
বেশি বেশি স্মরণ এর বাকি আছে?
তুমি অপ্রতিরোধ্য বলে, তোমাতে নতজানু হতে হবে!
তুমি অপ্রতিরোধ্য অহংকারী বলে তোমাকে নমস্য করতে হবে?
মৃত্যু, নিজেকে দেখিয়ে তুমি নিজেকে করোনা গর্বিত, এটা কোন গল্প নয়’ এটা অহংকার;
মনে রেখো, অহংকার যে করে সে আধা শিক্ষিত।
আচ্ছা বলতো তুমি কি নিজেকে ভয়ঙ্কর ভাবতে শুরু করেছো?
তুমি কি বলতে চাওতোমার সাধ একেকজনের কাছে একেক রকম!
আমি তা মনে করি না তুমি তেমন কিছু,
আমি জানি তুমি তাও না, তুমি তেমনটা নয়।
মৃত্যুর কি কোন রং আছে, মৃত্যুর কি কোন ছায়া আছে, আকার আছে…
মৃত্যু তো বিভিন্ন ভাবে আসতে পারে
নানারূপে নানা কর্মে নানা ধর্মের নানা বর্ণে আসতে পারে, নানা হেতাবভ্যাসে আসতে পারো তুমি!
তোমার গর্বিত মুখ গর্বিত, গর্বিত চাহনি এ এক শিশুসুলভ আচরণ, যা দেখে আমার বরাবরই হাসি পায়।
আমাদের এই মহাজগতে যাদেরকে তুমি দংশন করেছ, যাদেরকে তুমি গ্রাস করেছ, তারা কি সত্যিই তোমার অহংকারে নত হয়েছে, তারা কি সত্যিই তোমার অহংকারে পৃষ্ঠ হয়েছে,
তুমি কি বলতে চাও তুমি তাদের পরাজিত করেছ?
আমি বলবো না তাও পারোনি তুমি;
কোন জীবের মৃত্যু হয় না’ তারা ফিরে যায় তাদের কর্ম সম্পাদন করে এক রূপ থেকে আরেক রূপে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে’ পরিবর্তন আর পরিবর্ধনের মাধ্যমে তারা গ্রহণ করছে আমাদের এই পৃথিবী।
তারা ফিরে যায় বাতাসে ভর করে, শিশিরের ঘ্রাণ নিয়ে তারা ফিরে যায় কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘের দেশে, তারা ফিরে যায় বৃষ্টি প্লাবিত জীবনের পথ ধরে।
মৃত্যু, নিজেকে নিয়ে গর্বিত হইও না, যে মানুষ দারিদ্র্যতায় মৃত্যুবরণ করেছে এখানে তোমার আর গর্ব কিসের? যে মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুবরণ করেছে সেখানে তোমার গর্ব কিসের, অহংকার কিসের, শক্তিমত্তা কিসের নতজানু কিসের?
যেখানে মানুষ অসহায় জীবন নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে সেখানে তোমার স্বাদ কিসের আহলাদ কিসের, তবে কিসের সেই দেমাগ’ এমন মৃত্যু তো মানুষ প্রতিদিনই বরণ করে করছে।
একগাদা আফিমের ঘ্রানে মৃত্যু আসতে পারে
মৃত্যু তো সেখানে আরও গভীর আরো নিবিড় পরিচর্যায় আরো শীতল আরো উষ্ণতায় ভরে দেয় জীবন সময় সন্ধিক্ষণ।
মৃত্যু তো আরো ভালো এক প্যাক ক্যানাবিসের নেশায়
প্রতিদিন যে মানুষ মরে তার আবার নতুন করে নতুন ভাবে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার কি আছে
শেখার কী আছে, মৃত্যুকে নতুন করে দেখার কিছু নেই ভাবার কিছু নেই বোঝার কিছু নেই কিন্তু শেখার অনেক কিছুই আছে।
প্রতিদিন মৃত্যুকে উপভোগ করে আমাদের বদ অভ্যাসগুলো ক্রেজি উত্তেজক মাদকতায় মোহগ্রস্ত মানুষের দল তাদের আবার মৃত্যুর সাথে কিসের নতুন করে বোঝাপড়া ওরা প্রতিদিন মরে প্রতিদিন জেগে ওঠে আবার প্রতিদিন ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।
মৃত্যু তো প্রতিদিনই দেখি, ঘুমের মধ্যে যদিও সেখানে স্বপ্নেরা জেঁকে বসে, না না ছলে নানা অজুহাতে।
আমাদের পূর্বসূরীরা তোমার কাছে চলে গিয়েছে বহু আগে’ আমাদের সন্তান যাবে স্ত্রী যাবে পুত্র যাবে বোন ভাগ্নি মা-বাবা সবাই যাবে, আজ নয়তো কাল তারা পাড়ি দেবে এই মহাসমুদ্র।
আমরা যাব তার সাথে সাথে আমাদের অন্ত সীমায় নিমজ্জিত জীবনের সকল গল্প স্বপ্ন আশা নিরাশা ভালোবাসা অতীত বর্তমান ভবিষ্যত ও যাবে।
আমরা দেখি তোমাকে প্রতিদিন প্রতিরাত প্রতি মুহূর্তে জীবনের প্রতিপাদ্যে প্রতিটি গল্পে প্রতিটি শিক্ষনীয় জায়গায় যদি তুমি থাকতে’ তাহলে অবশ্যই তোমার থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল মৃত্যু, তুমিতো অহরহ তুমিতো নানা মুনির নানা কথা নানাভাবে নানা দেখায়।
তোমার আর গর্ব কি, তোমার আর অহংকার কি
তোমাকে আর নত হওয়ায় কি আছে
তুমি মানুষের কর্মের দাসত্বে লিপ্ত, তুমি মানুষের ভাগ্যের দাসত্বে লিপ্ত, তুমি মানুষের নানা প্রবঞ্চনায় লিপ্ত তাইতো তুমি নিজেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন
মৃত্যু তোমার অহংকারী করার কি আছে!
তুমি যদি আসবে তবে তোমার অপরাজিত রূপ কি তুমিতো পরাজিত হয় নানা ধরনের নানা ক্ষমতায় নানাভাবে নানা বিচারে নানা দৈন্যতায়
তোমার নানা রূপ দেখি মহামারীতে না না ভাইরাসে মার্স ভাইরাস সার্চ ভাইরাস অ্যানথ্রাক্স ভাইরাস ইবোলা ভাইরাস পরিশেষে করোনা ভাইরাস
এরাও তো মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে তাহলে তার গর্ব কি মৃত্যু আমাদের শরীরে কাঁথা এক কোষ মৃত্যু আমাদের যত্নহীনতায় মৃত্যু আমাদের বুদ্ধি হীনতা
মৃত্যু আমাকে তুমি ভয় দেখাতে পারো না আমাকে তুমি মিথ্যে প্রবঞ্চনার শক্ত করতে পারো না কারণ আমি জানি মৃত্যু কি;
নিজেকে যতটা বিস্তার করো ততটা না ও নিজেকে যতটা অংকারি করো ততটা তুমি ক্ষমতাবান নও
তোমার অস্তিত্ব একসময় বিলীন হয়ে যাবে তুমি আসবে দুর্যোগে অন্যের অমনোযোগে
তুমি হবে এক চিলতে সার্চ বাহক কারণ তোমার অহংকার তোমার গর্ববোধ তোমার জানিয়ে দেবদুলাল আচরণ একসময় তা তোমার হাতেই থাকবে না চলে যাবে মানুষের হাতে
আমি জানি তুমি মানুষের ভাগ্যের দাসত্ব করো জীবের ভাগ্যের ওপর ভর করে যে তোমার নিজস্ব রুটিরুজি করো দাসত্ব করো প্রাণীদের ভাগ্যের দাসত্ব করো
তুমি কি জানো বিশ্রামের কত আনন্দ কত সুখ কত ভাবনা কত মত্ততা তুমি কি জানো
তাহলে তোমার দিকে কে এগিয়ে যাবে ভয় পেয়ে! অবশ্যই আমি না, আমাদের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনুষত্ববোধ যখন তোমাকে নত করবে যখন আমাদের দেহ মৃত্যুর অহংকার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে দেবেতখন তুমি কি করবে
তখন তোমার কি বা করার থাকবে
তুমি শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে তুমি শুধু রবে এক্সিডেন্টে তুমি শুধু রবে দুর্বৃত্তের অস্ত্রে সজ্জিত খুনি হয় তুমি শুধু রবে আচমকা এক দমকা হাওয়ায় যেখানে তোমার কোন নিজস্বতা থাকবে না যে, অন্য কোন ক্ষমতাবলে তুমি ছুটে যাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে শুধুমাত্র মৃত্যুকে আলিঙ্গন দিতে।
তোমার কোন অহংকার আমার কাছে আর কোন অহংকার নয় তোমার কোন ক্ষমতা, ক্ষমতা নয়। মৃত্যু, নিজেকে নিয়ে তুমি গর্বিত হইও না তোমার অহংকার মূর্খতা ছাড়িয়ে যাবে পৃথিবীর বুক চিরে
তোমারও একদিন দারিদ্রতা আসবে আত্মার মুক্তি দিয়ে তুমিও একদিন হতচকিত হয়ে থমকে দাঁড়াবে দাসত্ব করবে জীবিতদের
মৃত্যু, মনে রেখো ঘুম তোমার চেয়েও সুখদায়ক আরামদায়ক আনন্দদায়ক নেশা তোমার চেয়েও স্বস্তিদায়ক।

দেওয়ালের অপরপ্রান্তে খোলা মাঠ

f440801

আপনার মনোযোগকে অন্যের প্রভাব বলয় থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে হবে, তবে সেই মনোযোগের সংশ্লিষ্ট বলয় কতটা পরিশুদ্ধ তা অবশ্যই আপনার জানাও বোঝার প্রয়োজন রয়েছে।
আপনার পরিশুদ্ধ বলয় যদি পরিণত হয় তবে অবশ্যই আপনার উচিত হবে নিজের মনোযোগের দিকে সম্পূর্ণরূপে খেয়াল রাখা তখন নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনার দ্বারা অন্যের প্রভাব বলয়কে রহিত করে বুঝিয়ে দিন অন্যের সংশ্লিষ্ট বলয় কতটা গুরুত্বহীন।

আপনার গভীর চিন্তার উৎকর্ষ যখন আগামীর বিশ্বস্ত সমর্থন ক্রমাগত নেতিবাচকভাবে দিগ উন্মোচন করবে তখন আপনার চারপাশের মানুষ আপনার প্রভাবে আস্থা রাখবে। অন্যের দুর্বলতাগুলোকে ভুল বলে বিবেচিত করবেন না, অন্যের দুর্বলতাগুলোকে যদি আপনি সমালোচনা দৃষ্টিতে তাকান তবে বলব আপনিও সুযোগসন্ধানী। অন্যের দুর্বলতাগুলোকে অবশ্যই সহানুভূতি দৃষ্টিতে তাকাতে হবে আপনি যখন অন্যের দুর্বলতাকে ভুল বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন তখন আপনিও সেই ভুলেই জর্জরিত।

প্রত্যেক মানুষের দুর্বলতাকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকিয়ে এগিয়ে যান এটা প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অনুশীলন করুন তবে অন্যের দুর্বলতা নিয়ে কখনো মুখ খুলবেন না নিজের দুর্বলতাকেও নয়।
মানুষের দুর্বলতাকে বুঝিয়ে দেয়ার অনেক ক্ষেত্র থাকে অনেক সুযোগ থাকে গল্পের ছলে নানাভাবে আপনি যখন অন্যের দুর্বলতাগুলোকে নিয়ে আলোচনা করবেন তখন সে নিজের ভেতরের দুর্বলতাগুলোকে ফাইন্ড আউট করতে পারবে। এটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি তাকে কিভাবে সুযোগ্য করে গড়ে তুলবেন আপনি কিভাবে তাকে সমাদর করছেন মূল্যায়ন করছেন
নিজের ভাষার দৃষ্টান্তকে অবশ্যই নেতিবাচকভাবে জাহির না করে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করুন নিজের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হন নিজের ব্যাপারে প্রো-অ্যাকটিভ মনোভাব প্রদর্শন করুন এবং তা অনুশীলন করা আপনার দায়িত্ব।

জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে আপনার ভাবা উচিত আপনার চিন্তা ভাবনাই পারে চারপাশের অনেক কিছুকে মূল্যায়ন করতে এবং শেষ পর্যন্ত বদলে দিতে। এখানে মানুষের গোপন সাফল্য লুকিয়ে থাকে এখানে মানুষের গোপন সন্তুষ্টি অন্ধকারের বুক চিরে বাইরে আনয়ন করে। এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি সাফল্যের ক্রমবর্ধমান ভারসাম্য যদি আপনি রক্ষা করতে পারেন তবে আপনার ভবিষ্যৎ অগ্রসর হবে এবং উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে সামনের দিকে আপনি অবশ্যই সক্ষমতা অর্জন করবেন।

মনের ভেতরের চূড়ান্ত চিন্তায় আপনাকে চারপাশের মানুষ থেকে আলাদা ভাবে পরিচিত করবে। নিজের ভেতরের প্রত্যেকটি পরিবর্তন সম্পর্কে সজাগ থাকুন আপনার যদি প্রতিনিয়তঃ ভাষার পরিবর্তন ঘটে তবে তাকে নতুন করে জোড়া লাগান এবং শেষ পর্যন্ত সেটা নিয়ে চর্চা করুন এটা সর্বক্ষেত্রেই তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা নিন নিজের ভেতরের মেধাস্বত্বা দিয়ে বর্তমানে আপনি যে অবস্থানে আছেন সেই অবস্থান থেকে আপনার এর সমাধান বের করতে হবে। নিজের ভাষার প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখুন এবং নিজের ভাষার নিজস্বতা সম্পর্কে অবগত হন সমস্যাটা কি অথবা কোথায় সেটি যদি বুঝতে সচেষ্ট হন তবে অবশ্যই আপনার উপযুক্ত করণীয়টাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
Screenshot_20201230-181307
( এমনই কিছু লেখা নিয়ে এবারের একুশে বই মেলায় বের হতে যাচ্ছে মহাকালের ইন্দ্রজাল আশাকরছি বইটি পাঠকসমাজকে তার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতে পারবে এবং মূল্যায়ন করতে পারবেন)

আপনি যদি একই রকম প্রচলিত ধারার ভাষার মধ্যে অবস্থান করে থাকেন যা আপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় আর সেখানে আপনিও দীর্ঘদিনের অধ্যাবসায় থেকে বাইরে এসে গতানুগতিকভাবে সেই বলয় রেখায় আবিষ্ট যা হঠাৎ চটে যাওয়া কালার এর মতই দেখায়। সেখানে আপনি নিজের মতাদর্শ সম্পর্কে যখন কোনো পরিবর্তন আনয়ন করবেন না তখন আপনার নৈতিক ভাষার কেন পরিবর্তন ঘটবে অন্যের ভাষার বলয় থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ভাষার চর্চা করুন। আপনি যা প্রতিনিয়ত করে চলছেন তার প্রতি মনোযোগী হোন যখন নিজের ভাষা সম্পর্কে satisfied’ হবেন তখন অবশ্যই আপনার বিরক্তির পরিমাণ কমে যাবে।

এটাই হবে আপনার জন্য ইতিবাচক সমাধান তবে প্রত্যেকটা ব্যক্তির কর্মের সমাধান তার নিজের কাছে আপনি কোন বলয় কথা বলবেন কোন বলয় চলবেন কোন বলয় আবিষ্ট হবেন সেটা একমাত্র আপনার মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার এর উপরেই স্থির। আপনার সমাধান একমাত্র আপনার কাছেই সেটা অন্যকারো প্রতিশ্রুতিতে অবশ্যই সমাধান হবে না অন্য কেউ আপনার কথায় মনোযোগী হোক আর না হোক তবে আপনাকে আপনার কথায় মনোযোগী হতে হবে নিজের কথার মাধ্যমে অন্যের দৃষ্টিতে ফেরাতে হবে। অন্যকে যখন নিজের দৃষ্টির দিকে আনয়ন করতে হবে সেখানে কেউ যদি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটাকে এড়িয়ে যান এমন অসংখ্য প্রতিক্রিয়া আপনার চোখের সামনে দিয়ে আসবে কিন্তু তাকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এই ইগনোর করতে হবে।

এখানে আপনার ভাষাগত বৈশিষ্ট্যকে সামনে রেখে অন্যের চিন্তা বোধের সংশোধন করুন সমাধান দিন তাৎক্ষণিকভাবে তারা যাতে বুঝতে পারে আপনার ভাষার প্রভাব বলয় ঠিক আপনার মতই প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।

তবে না আপনি নিজের মনোযোগী বিশ্বাসী হতে পারবেন। তবেই না আপনি আপনার নিজের সংশ্লিষ্ট বলয়ে আস্থা রাখতে পারবেন আর অন্যের প্রভাব বলয় থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সচেষ্ট হবেন।
04817191
4-1-2021 রাত 1:20am

ইন্দ্রজাল

images

আমার মনের ভেতরে এক
রূপসী মেঘ’ লুকোচুরি খেলে, তাড়া করে
দক্ষিণ-পশ্চিমের বয়ে চলা ব্লু-রে এর মতো
যেখানে অনবরত বিস্তৃত হওয়া
বরফের পাহাড় ছিঁড়ে নেমে পড়ে ঝুলন্ত মেঘমালা-
আর চারদিকে বরফের টুকরো
মাংসের পিন্ড ভেদকরে যখন ছুঁয়েছে শরীর
আমি তখন শীতের ঘনত্বে হিম হয়ে
স্থির বাতাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এক অনবদ্য ভারবাহী প্রকৃতির যুদ্ধাহত সন্তান।

আমরা পৃথিবীর এই বিস্তৃত পথের বিভাময় মানুষ
কোন না কোন এক অসহায় পথিক সেজে
ছুটে চলা নিরন্ন জীবনের কাণ্ডারি
চোখের দূরত্ব অতিক্রম করে সাজিয়ে নিচ্ছি জগৎ সংসার।
যেখানে আমাদের ডেকে দিয়ে যায়
প্রতিদিন কোনো না কোনো মেকী মেঘ
আমাদের এই নিরন্ন কৌশলী পথে
দুঃস্বপ্নের জগৎ আর সু-স্বপ্নের মায়াজাল
পাহাড়ের ভয়ংকর জংলি
মাকড়সার মতই মায়াময়
কী এক ইন্দ্রজাল বিস্তার করে ঘটে চলছে স্বপ্নদর্শী খেলা।

যেখানে সবাই কোনো এক প্রেমের দঙ্গলে
ভরকরে লুকোচুরিতে আকৃষ্ট
এই যে বরফগলা রোদ্দুর, বরফগলা সূর্য
চাঁদের হিমাংকিত উষ্ণতা নিয়ে পিষে ফেলছে শরীর;
আমাদের এই সুবিশাল হৃদয়’ সমুদ্রের মাঝে
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জমা পড়ে নিদারুণ বিষণ্নতা,
জমা পড়ে মনের গহীন অরণ্য থেকে
ভালোবাসা, সুখ, দুঃখ, জমা পড়ে বিশাল সমুদ্রের
হতাশার পেছনে, আরেকটি হতাশা; আরেকটি সুখ
আরেকটি দুঃখ আরেকটি চাওয়া পাওয়া।
এ যেন এক মনের বাগানে হাজার ফুলের সুবাস
বয়ে নিয়ে চলছে আমাদের জীবনের বোঝা
যেখানে হৃদয় এর মূল্য জীবনের মূল্যে বিক্রি হয়।
যেখানে অর্থের মূল্যে স্বপ্নকে কেনাবেচা হয়।

যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিস্তীর্ণ মেঘ মালাকে নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে
অন্য একটি জীবনের দিকে ছুঁড়ে দেয়া যায়’
যা নিমিষে ধ্বংস করবে সুন্দর একটি জীবনের মানে।
আমার মনের ভিতর রূপসী এক মেঘ
সুস্বপ্ন বয়ে নিয়ে বৃষ্টিপাত করছে
বাতাসের ঘনত্ব নিয়ে পরিবহন করছে জীবনের
আকাঙ্ক্ষাগুলো যেখানে সীমাহীন দৃষ্টির
বাইরে গিয়ে খেলছে অদৃষ্টের খেলা।
ঘুর্ণয়মান পৃথিবীর এই মহাখেলা যেখানে সর্বদা বিরাজমান।
যেখানে এঁকেবেঁকে চলা পথ বাঁকানো অন্ধকার
জীবন কে আলোর পথে চলার এক অমল
বার্তাবাহক হয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে
কোন এক সৌন্দর্যমণ্ডিত জীবনের অলংকৃত গান।

আমাদের খুঁজে ফেরা পৃথিবী

rece39

আমাদের জীবন নিঃশ্বাসের
পরোতে পরোতে এক অজানা
আশঙ্কার বিবরণ।

আমাদের বাতাসে ভর্তি উত্তাল
আফিমের দূষিত গন্ধে উন্মাদনা
মানুষের নিঃশ্বাস বিষে বিষাক্ত।

খুঁজে ফেরা মুখে মুক্ত শাঁস
নেয়ার চেষ্টা, তবুও প্রবীণ পৃথিবী
গন্ধে ভরা ভয়ার্ত ভীষণ।

আমরা শোনাই,সামনে সোনালি
দিন, আমরা শোনাই আসবে
মুক্তির পথ।

দেখা যাবে, দেখা যাবে শীতের
মখমল কাপড়ে মোড়ানো সকাল
দেখা যাবে,

দেখা যাবে, হেমন্তের শঙ্খচিল
উড়ে উড়ে ভেসে যায় দূর
অজানায়।

আমরা প্রতিদিন প্রহর গুনি
আমরা প্রতিদিন অপেক্ষায় কাটি
সকাল দুপুর বিকাল রাত্রি।

তবুও আমাদের এই অপেক্ষার
প্রহর প্রচলিত প্রথায় এগিয়ে
চলছে হিসাব ছাড়াই

দিনের পরে দিন রাতের
পরে রাত মাসের পর মাস
বছরের পর বছর শেষ হয় না।

উড়ে যাওয়া সকালের
শঙ্খচিলের ফিরে আসে বিকেলে
ফিরছে ঘরে।

যে সূর্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলছে
সে আবার সকালে এসে একই
জায়গা থেকে উদিত হচ্ছে।

আমাদের প্রস্থানে কোন যায়
আসে না ভোরের পাখিদের
ভোরের সূর্যের; আর সময়ের…

এইতো জীবন, যে জীবন ছুটে
চলে মূল্যহীন এক অজানার পথে,
যে পথে কোন উদ্দেশ্য নেই।

দীর্ঘকালের জমানো স্বপ্ন সে যেন
স্বপ্নই থেকে যায় এ এক
হতচ্ছাড়া পৃথিবীর অহমিকা।

আমাদের যেন তাড়িয়ে নিয়ে
চলছে কোন এক অজানা
গন্তব্যের পথ।

যেখান থেকে ফিরে আসার
কোন জো নেই কোন উদ্দেশ্য
নেই কোনো স্বপ্ন নেই।

কোন আশা নেই আকাঙ্ক্ষা নেই
প্রেম নেই ভালোবাসা নেই মোহ
নেই ইচ্ছা নেই।

দিন শেষে যে আমি এটুকুই
বলতে পারি ভালো থেকো
পৃথিবী ভালো থেকো স্বপ্নেরা।

ভালো থেকো সুন্দর ভালো
থেকো ধ্বনি আর গরিবের
পার্থক্যগুলো।

একে একে ভালো থেকো সব
ভালো থেকো সব কিছু ভালো
থেকো নীরবতা।

ভালো থেকো অপলক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে দেখা আমাদের
চোখগুলো; ভালো থেকো।

___________________________
শামীম বখতিয়ার
২৩ অক্টোবর ২০২০ রাত ১২ টা ৫৫ মিনিট।

শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে নিজ পরিবারের দুর্নীতি এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ

শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে নিজ পরিবারের দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। ১৯৭২ সালে মুজিব ক্ষমতায় যাওয়ার পর মুজিব পরিবারের প্রত্যেক সদস্য ঘুষ-দুর্নীতির চুরি ডাকাতি রাহাজানি ছিনতাই হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে বেগম মুজিব বাড়িতে বসে ঘুষ নিয়ে সবার কাজ করে দেন লাইসেন্স পারমিট ডিলারশিপ প্রভৃতি কাজের জন্য বেগম মুজিব এই ঘুষ গ্রহণ করতেন।

বেগম মুজিব মন্ত্রণালয়ে নির্দেশ দিতেন এই কাজের জন্য পাঠালাম কাজটা ঠিক মত করে দিও। শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল ছিল বখাটে যুবক। তার ছিল এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। শেখ কামাল শত্রুদের হত্যা করতো, সুন্দরী যুবতী ধর্ষণ করতো, দিনে-দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি করে আসার পথে পুলিশের গুলিতে আহত হন। শেখ কামাল এক সুন্দরী যুবতীকে জোরপূর্বক তুলে এনে বিবাহ করে।

বিদেশ থেকে আসা ত্রাণ সামগ্রী ভারতের ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে রাতারাতি ধনী হয়ে যান এবং একমাত্র ক্ষমতার মোহে ধরাকে সরা জ্ঞান ভাবতে শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে পরেরদিন এই পৃথিবী থেকে তাকে বিদায় নিতে হতো। এভাবে তার ত্রাসের রাজত্ব শুরু। সে একজন সেনা কর্মকর্তার সুন্দরী স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে একটুও বিচলিত হননি। সেই সেনা কর্মকর্তা শেখ মুজিবের কাছে নালিশ নিয়ে গেলে উল্টো চাকরি হারান। “”সম্ভবত এটাই সেই মেজর ডালিমের কথা বলা হচ্ছে”।

শেখ মুজিবের ছোট ভাই শেখ নাসের সুন্দরবনের কাঠ চুরি করে বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতো। ঠিকাদাররা কাজ পেতে হলে শেখ নাসের’কে কমিশন দিতে হতো। অন্যথায় কাজ পেতনা। অথবা কাজ শেষে বিল পেতনা। শেখ নাসের, বিদেশ থেকে আসা ত্রাণ সামগ্রী ভারতে পাচার করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে রাতারাতি বিশাল ধনী হিসেবে পরিচিত লাভ করে। যশোহর থানার ওসি একবার না জেনে শেখ নাসেরের ১২ ট্রাক চাউল আটক করায় ওসিকে থানার ভিতরে থাপ্পর মেরে তার ইউনিফর্ম খুলতে বাধ্য করে, পরে সে চলে যায়।

ফজলুল হক মনি শেখ মুজিবের ভাগ্নে। ফজলুল হক মনির বাড়ি বরিশাল। বংশ পদবী মোল্লা। কিন্তু তার বাবা ঘরজামাই থাকতেন। টুঙ্গিপাড়ায় স্ত্রীর ভাগের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করতেন। মনির বাবা কোনদিনও বংশ পদবী বলেননি সকলে তাকে ইন্দু মিয়া বলতো। শেখ মুজিবের ভায়রা শেখ মুসা মনির বাবাকে ইন্দুনিয়া বলতো শেখ মনি ছিল দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। শেখ মুজিবকে কোন মূল্য দিতেন না।

রাজধানী ঢাকায় জমি জালিয়াতি করে দখল করা, ব্যাংক ডাকাতি, দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকা অফিস, জায়গা বাড়িসহ দখল করা, এসবই ছিল শেখ মনির কাজ। শেখ মনির নিজস্ব একটি বাহিনী ছিল। রাজনীতিতে শেখ মনি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনি, শেখ মনি, শেখ মুজিবকে সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে চলতেন।

টুঙ্গিপাড়া থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মুজিবের সম্মুখে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি হতে ঘাড় ধরে বের করে দেয় ফজলুল হক মনি। শেখ মুজিব নিজের জীবন বাঁচাবার জন্য নিজ কন্যা শেখ হাসিনাকে বিবাহ দিতে চেয়েছিলেন মনির সঙ্গে আর বেগম মুজিব চেয়েছিলেন তার ভাগ্নে শেখ শহীদের সঙ্গে কন্যা হাসিনাকে বিবাহ দিতে। পারিবারিক দ্বন্দ্বে ফজলুল হক মনি শেখ শহীদকে শেখ মুজিবের সামনে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি হতে চরম অপমান করে বের করে দেন। শেখ মুজিব ভয়ে কোন প্রতিবাদ করেননি। শেখ মুজিব মনিকে খুব ভয় পেতেন। শেখ মুজিব ভাবতেন। মনি’ শেখ মুজিবের চরম ক্ষতি করবে, অন্য কেউ সাহস পাবে না। কথাটি বাস্তবে ঘটেছিল যার প্রমাণ পরবর্তীতে জানতে পারবেন।

শেখ মো: মুসা শেখ মুজিবের ভায়রা। একই বাড়ি একই ভিটা একই উঠান। শেখ মো: মুসা শিক্ষকতা করতেন। বঙ্গবন্ধু তার আপন ভায়রা হওয়ার কারণে বহু লোককে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছে। বহুদিন ঘুরাঘুরি করে চাকরি না পেয়ে চাকরিপ্রার্থীরা যখন টাকা ফেরত চাইলেন তখন পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে বিভিন্ন মামলায় জরাবার ভয় দেখাতেন। মামলায় যাবার ভয়ে পরে কেউ আর টাকা ফেরত চাইতো না।

শেখ মো: মুসা একবার গোপালগঞ্জ হতে টুঙ্গিপাড়ার বাড়িতে যাচ্ছিলেন স্পিডবোটে বর্ণী গ্রামের বাওর পার হয়ে যখন খালে প্রবেশ করে তখন সাত বছরের একটি অবুঝ ছেলে বরই গাছে ঢিল মেরে বরই পারবার চেষ্টা করছিল। সাত বৎসরের অবুঝ বাচ্চার একটা ঢিল স্পিডবোটে গিয়ে পড়ে। স্পিড বোর্ড এর কোনো ক্ষতি হয়নি এমনকি কারো গায়ে লাগেনি অথচ শেখ মো: মুসা স্পিডবোর্ড তীরে ভিড়িয়ে সেই সাত বছরের অবুঝ বাচ্চাকে প্রকাশ্য দিবালোকে অসংখ্য মানুষের সামনে পায়ের তলায় পিষে হত্যা করে। সাত বৎসরের অবুঝ শিশু বাঁচার জন্য অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিল। বাচ্চার মা বাবাও পা ধরে সন্তানের প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল কিন্তু পাষাণ হৃদয় গলায় কে?

৭ বছরের অবুঝ শিশু ঘটনাস্থলেই প্রচুর রক্তক্ষরণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ভয়ে কেউ ঠেকাতে আসেনি। কারণ তিনি শেখ মুজিবের ভায়রা। শেখ মোঃ মুসার সঙ্গে রক্ষীবাহিনী ছিল। এই নির্মম হত্যার বিচার চাইতে গিয়েছিল থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে। আর সেই বিচারের উত্তরে সেদিন পেয়েছিল থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে চরম লাঞ্ছনা।

সেদিন শেখ মুজিবের সম্মুখে তারই ভাগ্নে ফজলুল হক মনি থানা কমান্ডারকে রাজধানীর ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল এবং বলেছিলো “শেখ পরিবারের লোকেরা এরকম দু’চারটা পায়ের তলায় পিষে ফেললে কিছুই যায় আসে না”। শেখ মুজিব পরে থানা কমান্ডার এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অথচ মনিকে টু শব্দও করতে সাহস পাননি।

শেখ মুজিবের ভায়রা শেখ মুসার আরো একটি ঘটনা এলাকায় সবাই জানেন। টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিব তার মায়ের নামে শেখ সাহেরা খাতুন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল তৈরি করেন। হাসপাতালের এক হিন্দু সুন্দরী যুবতী নার্স ছিল সুন্দরী নার্সকে শেখ মো: মুসা বাড়িতে ডেকে পাঠান হাসপাতালের ডাক্তার নার্সকে নির্দেশ দেন মুসা সাহেবের বাড়ি গিয়ে সেবা-যত্ন করার জন্য। শেখ মো: মুসা সুন্দরী নার্সকে রুমের ভেতর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

নার্স আত্মহত্যা করার হুমকি দেয়। অবশেষে মান-সম্মানের চিন্তা করে সে ডাক্তারের সহযোগিতায় বুঝাতে চেষ্টা করেন যে সে যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তবে তাকে বিবাহ করবে। যদি সে অন্য কোন চিন্তা করেন বা ব্যাপারটা প্রকাশ করে তবে তার বাবা মা ভাই বোনদের হত্যা করা হবে। এই হুমকির ভয়ে বাবা মা ভাই বোনদের কথা চিন্তা করে নার্স শেখ মো: মুসার প্রস্তাবে রাজি হয়।

শেখ মো: মুসা পরবর্তীতে এই কিছুদিন পর তোমাকে বিবাহ করব, কিছুদিন পর ঢাকায় নিয়ে বিবাহ করব ইত্যাদি বলতে বলতে বছর গড়িয়ে যায়। এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শেখ মো: মুসা তখন বিবাহের দিন ধার্য করে কথা মতো নির্দিষ্ট তারিখে মুসা সাহেব’কে বিবাহ করার জন্য তার সঙ্গেই স্পিডবোটে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুংগীপাড়া ত্যাগ করে কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, সে নার্স আর কোনদিন ফিরে আসেনি। মধুমতি নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।

এলাকাবাসীর নদীতে লাশ পেয়ে শেখ মুজিবের নিকট ঘটনাটি জানায় কিন্তু শেখ মুজিব ভায়রার অপরাধ চাপা দেয়। এই ঘটনা যারা শেখ মুজিবকে জানিয়েছিলেন তাদের শেখ মুজিব এবং বেগম মুজিব অর্থ দ্বারা মুখ বন্ধ করে দেন। ঘটনা ওই পর্যন্ত চাপা পড়ে যায়।

শেখ মুজিবের শ্যালক শেখ আকরাম শেখ আকরাম টুংগীপাড়া থানার ওসিকে থানায় ঢুকে স্যান্ডেল দিয়ে পেটান ওসি মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে বদলি হয়ে যায়। গোপালগঞ্জ মহকুমার এসডিও সাহেবকে বহু লোকের সামনে তারই সরকারি অফিসে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে থাপ্পড় মারেন। মান-সম্মানের ভয়ে এসডিও সাহেব কোন উচ্চবাচ্য করেননি। প্রশাসনের লোক আলোচনা সমালোচনা করেন। ঘটনাটি শেখ মুজিবের কাছে পৌঁছে যায়। অথচ শেখ মুজিব এরও কোন বিচার করেন নি।

অবশেষে লজ্জায় এসডিও সাহেব চাকরি থেকে পদত্যাগ করে বিদেশ চলে যান। এরূপ অসংখ্য অন্যায় কাজ করে গেছেন শেখ পরিবারের লোকেরা। আর পার পেয়ে গেছেন শুধুমাত্র শেখ মুজিবের কারণে। অথচ একটি অন্যায়ের বিচার ও শেখ মুজিব করেননি। মানুষের অভিশাপ শেখ পরিবার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন পাপের পালা, ক্রমে ক্রমে ভারী করে তুলেছিল। পাপ কোনদিন ক্ষমা করেনি, করেও না। সত্য প্রকাশ পাবেই, তবে সত্যের জয় দেরিতে হলেও হবে। এটাই নিয়ম এটাই সত্য।

এ. আর. ভূঁইয়া
গণতন্ত্রের কবর
বইটির স্বত্বাধিকারী নিজ। বইটি বিক্রির জন্য নহে।
বইটির প্রথম প্রকাশ আজ থেকে ৩৩ বছর আগে।
Translate by Shamim Bakhtiar.

আমাদের কিছু জানা ও কিছু অজানা ইতিহাস

কিছু বই আছে যে বইয়ের শব্দগুলো মানুষের কান পর্যন্ত পৌঁছেনি। সেই বইয়ের মলাট হয়তোবা কেউ খুলেও দেখেনি। হতে পারে এমন কোন বই আছে যে বইগুলোর মধ্যে একাত্তরের সেই ইতিহাস হতে শুরু করে অনেক অজানা সত্য আছে যা আমাদের বর্তমান সময়ের মানুষদের অজানাই রয়ে গেছে।
বইটির লেখক। এ. আর. ভূঁইয়া। বইটির নাম ‘গ ণ ত ন্ত্রে র ক ব র’

আমরা ইতিহাসকে কাছ থেকে না দেখলেও দলীয় হাইব্রিড ইতিহাসবিদরা যা লিখে গেছে হতে পারে সে গুলোকে আমরা বেশি প্রাধান্য দেই। কিন্তু তার পরেও কিছু নিরপেক্ষ মানুষ কিছু বই লিখে গেছেন যে বইগুলো সেই সময়ে বাজারে বিক্রি করার মত অবস্থা ছিল না। সেটা সেই সময়ের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও পরিবেশের কারণে তেমনি একটি বই “গণতন্ত্রের কবর” বইটির লেখক সত্বাধিকারী শুধুমাত্র লেখক নিজে। বইটি লেখক তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে রেখেছেন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীকে উপহার ছাড়া বিক্রির অনুমোদন দেননি। আমার সৌভাগ্য বইটি আমার কাছে আছে।

বাকিটা পড়লে হয়তো আপনারা জানতে পারবেন বুঝতে পারবেন সেই সময়ের প্রেক্ষাপট গুলো কি রকম ছিল। মানুষের মূল্যবান জীবনের পরিবর্তন কিভাবে ঘটেছে। মানুষ কতটা অসহায় ছিল কতটা নির্যাতিত ছিল কতটা দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছে তাদের জীবন।

এই বইয়ের কিছু কিছু লেখা আমি ট্রান্সলেট করে আপনাদের মাঝে পরিবেশন করবো।

গণতন্ত্রের কবর
– এ. আর. ভূঁইয়া।

শেখ মুজিবের শাসনামল।
১৯৭২ সালের ১০ ই জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের দায়িত্বভার গ্রহণের পর ২৬ শে মার্চ থেকে শুরু করেন এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রশস্ত্র জমা নেওয়া। লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সব অস্ত্রশস্ত্র জমা দিতে থাকেন কিন্তু একটা শ্রেণি তাদের কোনো অস্ত্রশস্ত্র জমা দেয়নি। রাতের অন্ধকারে প্রকাশ্য দিবালোকে যখন সুযোগ পেয়েছে তখনই তারা ডাকাতি খুন, রাহাজানি এবং ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে ৫ লক্ষ লোককে তারা হত্যা করেছিল।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ আর রহমান তাঁর বইতে এই প্রশ্নটি ছুড়ে দিয়েছিলেন এই শ্রেণি কারা? কে তাদের নেতৃত্ব দিত? শেখ মুজিব দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন যুদ্ধের পর একটি নব্য স্বাধীন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সার্বিক অবস্থা খুব শোচনীয় আকার ধারণ করে। পাকিস্তানি সৈন্যরা এবং তাদের এ দেশীয় দালালচক্র ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ছারখার করেছিল। যুদ্ধে রাস্তাঘাট সবকিছু ধ্বংস হয়েছিল। চারদিকে শুধু হাহাকার আর হাহাকার। বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী, অর্থ, খাদ্য, বস্ত্র সাহায্য আসতে থাকে।

সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য যে সাহায্য প্রয়োজন ছিল তার দ্বিগুণ সাহায্য বাংলাদেশ পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা কালোবাজারে সেগুলো বিক্রি করে দেয়। তারা নামমাত্র ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে থাকে মানুষ। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অবশেষে মৃত্যুবরণ করে লক্ষাধিক মানুষ। দেশে আইন বলতে কিছু থাকে না। ক্ষমতাশালীরা আইনকে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নেয়। শাসন ব্যবস্থা করুন পরিণতি দেখা যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এদেশ সফরে এসে বলেছিলেন “Bangladesh is a bottomless basket” অর্থাৎ বাংলাদেশ একটা তলাবিহীন ঝুড়ি। এর অর্থ বাংলাদেশকে যতই সাহায্য করা হোক না কেন উপকারে আসবেনা। লুটেরা বাহিনী খেয়ে ফেলবে। শুধু হেনরি কিসিঞ্জার নয় স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন ৮ কোটি কম্বল, সাড়ে সাত কোটি মানুষ, আমারটি কোথায়? প্রকৃতপক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনরাই প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ত্রাণ সামগ্রী লুট করে ভারতে বিক্রি করে।

এ দেশের গরীব, অসহায় মানুষেরা ঠিকমতো সাহায্য পায়নি, তাদের লুট খুন-ধর্ষণ জালিয়াতির মাত্রা এতটাই সীমালংঘন করেছিল যে স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন “সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।”

শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল পর্যালোচনা করে দেখা যায় এই বাংলাদেশ, এমনকি বিশ্বের অন্য কোন দেশেও এইরূপ অরাজকতা কখনো সৃষ্টি হয়নি। মানুষ শেখ মুজিবের কাছে কি চেয়েছিল? আর কি পেয়েছিল? যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, চিকিৎসার কোনো উন্নতি, হয়নি বাসস্থানের কোন উন্নতি হয়নি, কৃষিকাজে কোন উন্নতি হয়নি, কল-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি।

এমনকি বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় আসার পর গণমাধ্যমকে গলা চেপে ধরা হয়েছিল। মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেনি মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারেনি, মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি।

তাহলে মানুষ কি চেয়েছিল? আর কি পেয়েছিল? কি জন্য ২৫ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে এই স্বাধীনতার নামে জাতির সাথে প্রতারণা? এই কি সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শাসন এই কি সেই ২৫ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশ?

মনঃসমীক্ষা

201016-12

🔴অস্থিতিশীল জীবন আর পতনশীল মনের জন্য একজন সাইক্রেটিস জরুরি তবে আমাদের চিন্তা কি বলে আমাদের চৈতন্য বোধ হলো এমন একটি সত্তা যে বিষয়টা একবার ভাবতে থাকে, তা আর সহজে দমানো যায় না। তাহলে কি আমাদের চেতনাবোধের সাথে কি আমরা কোনভাবেই পেরে উঠতে পারছিনা?

আমাদের কোন কিছু তুচ্ছ করে দেখতে নেই ছোট ছোট ভুলগুলো যখন ছোট করে দেখা হয় তখন ধীরে ধীরে এই ছোট ভুলগুলো বড় বড় ভুলের জন্ম দিতে থাকে কিন্তু এই ছোট ছোট ভুলগুলোর জন্য যদি বড় বড় রিএক্ট করেন কেউ, তবে তার জন্য আমি চিন্তিত।

চিন্তিত এই কারণে যে আমাদের যে বিষয়টা নিয়ে যতটুক ভাবার দরকার ততটুকুই ভাবতে হবে। তার বেশি কিছু করতে গেলেই বিপত্তি এবং বারবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এ বিষয়টা মাথায় না রেখে যদি আমরা চলাচল করি তাহলে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করবে এবং সমস্যায় জর্জরিত হবে ঘনীভূত হবে সময়ের সেই পথ চলা।

ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে বড় বড় এই রিএক্ট একেবারে তুচ্ছ করে দেখার কোন সুযোগ নেই, যুক্তিকতা নেই বা কারণ নেই ছোট ভুলগুলোর জন্য এই রিয়েক্ট খুবই বিপদজনক আপনি এতক্ষণ যতটা ভাবছেন তার চেয়েও বেশি পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সেই ব্যক্তিসত্তাকে।

আমাদের চেষ্টা আমাদের সাধনা আর আমাদের জ্ঞান। মাঝেমধ্যে এমন সব উৎকণ্ঠার তালবেতাল রহস্যের জন্ম দেয় যা প্রত্যাশা করার মতো নয়। এই উন্মাদনা মানুষের জীবনের নতুন একটি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়।

জীবনের পাহারাদার হলো মানুষের মন মানুষের বিবেক মানুষের বধিসত্ত্বা আমাদের দেখভালের জন্য নিজের ভেতরে তৈরী হওয়া কামনা যা সম্পদের আধিক্যের চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান।

যুগে যুগে মানুষের স্বভাবের জন্য মানুষ নিজেই নিজের ভুলের কারণে পতনের দিকে চলে গিয়েছে এবং সে আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। এ সবার থেকে মানুষকে অবশ্যই অতিসত্বর খুব দ্রুততার সহিত বেরিয়ে আসতে হবে।

*এই স্বভাবটি ও মানুষের গারো অন্ধকার দিক; কোন মিথ্যাচার ছাড়াই অন্য আরেকজনের জীবনে মতের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব আর প্রভাব খাটানো মানে একজনের জীবনে বিশদভাবে হস্তক্ষেপ করা।

যে বিষয় টা একটি মানুষের অন্ধকার দিক এই একই ব্যাপারটা যদি বিপরীত দিক থেকে হস্তক্ষেপকারীর জীবনে ঘটে তবে তিনি নিশ্চয়ই ব্যাপারটা বরদাস্ত করবে না।

একজন মানুষকে বিশ্বাস দিয়ে যদি খুঁজতে যান তবে অবশ্যই সেই মানুষটা তার প্রতি আপনার বিশ্বাসের আস্থার অমর্যাদা করবে না।

কিন্তু যখন কারো জীবনে আরেকজন মানুষ আস্থা রাখার বা তৈরি করার বদলে বারবার কোন ঠুনকো ব্যাপার নিয়ে গালমন্দ বিষোদগার করবে ভিত্তিহীনভাবে দোষারোপ করবে তখন বলতেই হবে তার ভেতরে আস্থাহীনতার অভাব।

এমনকি তিনি অন্য মানুষের সাথে যে কাজগুলো করেন সে কাজগুলো তার কাছের মানুষগুলোর উপর যখন এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে পরিবেশন করেন বা অপপ্রয়োগ করেন তখন আপনি ধারণা করবেন যে তার মস্তিষ্ক গত সমস্যা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এটার মূলে রয়েছে বিষণ্ণতা ক্রোধ রাগ ক্ষোভ এই সমস্ত জটিল সমস্যাগুলো প্রতি সারাক্ষণ লেগে থাকার কারণে বারবার তার মনে উদ্ভূত সমস্যাগুলো সৃষ্টি করতে বাধ্য করছে। সে ব্যক্তিটি তার মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে এবং তার মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে যে অদ্ভুত পরিস্থিতির জন্ম হচ্ছে সেটাকে কোনভাবে দুর্ঘটনা বলা যাবে না।

এ সমস্যাটা কি মনোবিজ্ঞানের ভাষায় কিভাবে সম্বোধন করে সেটা আমি জানি না তবে আমার ধারণা এই সমস্যাটার কারণে যে প্রজাতির পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটা কে অবশ্যই মনোগত জটিল ব্যাধিগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি রোগের সাথে আখ্যায়িত করা যায়।

এটি ঘটতে পারে উক্ত ব্যক্তিটির মানসিকতা বা মানসিক ডিজাস্টার এর জন্য অথবা সে মানুষটার ভেতরে কিছু ঘটনা আছে যা অন্য কারোর সঙ্গে প্রকাশ করেনি একই সাথে সে মানুষটা অতীতের সেই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে অন্য আরেকটি মানুষের সান্নিধ্যে আসার মাধ্যমে।

এ ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে একজন মানুষের মনের ভেতরে পাহাড়-সমুদ্র তুল্য অনেক অনেক স্ট্রেস থেকে আমি ব্যাপারটিকে দোষের কিছু বলবো না। এগুলো সে তার মনের ইচ্ছাতে করছে না তবে যেকোনো একটি পরিস্থিতি তৈরীর মাধ্যমে এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

এমনকি কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি তার পরেও সে তার সন্দেহবশত মনে কোন কারন ছাড়াই এমনটি করছে অথবা অতীতের এমন কিছু জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন যে কারণে এই সমস্ত উদ্ভূত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।

এমনও হতে পারে সেই মানুষটি বিগত সময়ে এমন কোন ভয়ঙ্কর পথ ও বিপদ সংকুল ঘটনার সাক্ষী অথবা সম্মুখীন হয়ে থাকে। তবে এটা তার ভেতরে এমন দ্বৈতনীতি তৈরি করার কারণ হতে পারে।

আর এমন কোন ঘটনার বাস্তব সাক্ষী বা উদাহরণ হয়ে থাকে তাহলে তার জীবনের ওপর বিশ্লেষণ করে এটি বোঝা যায় যে সেই মানুষটা একজন ভুক্তভোগী তবে একই ক্ষেত্রে যদি বলা যায় যে মানুষটি আরেকজন মানুষের জীবনে নতুন করে পথ চলা শুরু করেছে সে মানুষটার ফ্রেন্ডলি আলোচনার জন্য তাকে নজরে নজর বন্দি করে রেখে কটুক্তি করে।

তবে সে মানুষটাকে বুঝে ওঠার আগেই নানাভাবে অপদস্থ করা হলো এটি নেহায়েত একজন আরেকজনের প্রতি কাম্য নয়। তার পরেও এই বিষয়টি যখন ঘটতে থাকে তখন দুজনের ভিতরে মতামতের বা চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় বলে ধারণা করা হয়।

সেই সাথে একজন আরেকজনের প্রতি বিশদভাবে এমন আচরণগত সমস্যা সৃষ্টির মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি হয় বলে প্রতীয়মান হয়। এই সমস্যার একটাই সমাধান সেটা হল দুজন দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া এই বোঝাপড়ার বিষয়টি যদি আপোষ না হয় শেষ পর্যন্ত সেই সমস্যাটি চরমে পৌঁছে তবে তখন আর বোঝাপড়ার ব্যাপারটি থাকেনা।

বোঝাপড়ার ব্যাপারটি যখন নিজেরদের দৈত্যনীতির কারণে বেরিয়ে যায় তখন একজন আরেকজন মানুষ থেকে টোটালি বিরক্ত হয়ে যায় ডিটাস হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত তাদের ভেতরে মতানৈক্য সৃষ্টি হবে এবং পরিশেষে বড় ধরনের মতাদ্বন্দ্বের কারণে তারা একজন আরেকজন থেকে অনেক দূরে চলে যায়।

আমার একটি প্রবাদ বাক্য আছে সেটি হল
“যে মানুষ একটি বৃত্তের মধ্যে নিজেকে ধারণ করে সে মানুষ আর কিছু না হোক সে মানুষ কখনোই ওই বৃত্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না পরিশেষে সেই বৃত্তের ভিতর ঘুরপাক খায় তার বাইরে যেতে পারে না”

অতএব আমাদের কারো প্রতি বিষোদগার বা ভিন্ন মাত্রার কোন দায় চাপিয়ে দেয়ার পূর্বে যদি আমরা সেই মানুষ সম্পর্কে সঠিক চিন্তা সঠিক ধারণা তৈরী করতে না পারি তাহলে সেই ব্যর্থতা অন্য কারো নয় যে ভাবছে এই ব্যর্থতা একান্তই তার এই দায় একান্তই তার ব্যক্তিগত এবং তারই প্রাপ্তি।

অতীতের একজন মানুষের জীবনে যে ঘটনাই ঘটুক সেই অতীতের দায়ে বর্তমানে এসে অন্য আরেকজন মানুষের উপর কোন দায় চাপিয়ে দেয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। এক ধরনের অন্যায় সেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য না হলেও মানবসভ্যতার এই পরিমণ্ডলে এটি মানবতার জন্য বিশেষ বিশেষ বিশেষ এবং বিশেষ একটি অপরাধবলেই আমি মনে করি।

মানব জীবনের পরিব্যাপ্তির মাধ্যমে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছে সে সভ্যতার দিক দিয়ে এটি অপরাধ মানবতার দিক থেকে অপরাধ সভ্যতার দিক থেকে অপরাধ বলে গণ্য হয়।

আমি বলব জীবনে আপনি যদি কারো প্রতি সত্যিকারে সমালোচনা করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই নিজের দিকে তাকাতে হবে। আপনার যেমন এক ব্যক্তি জীবনের স্বাধীনতা আছে ঠিক তেমনি অন্য আরেকজন মানুষের জীবনে ও তার নিজস্ব ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে এটি যখন লঙ্ঘিত হবে তখন একজন আরেকজনের প্রতি তৈরি হবে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।

*আপনি যাই বলেন এটি কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না এবং মঙ্গল জনক নয় নয়ও বটে। আমরা নিজেরা যেমনটি না সেটি বলতে গিয়ে অন্যকে যেভাবে কাঠ গড়ায় অপরাধীর আসনে বসাতে চাই সেটি যদি নিজের দিকে আঙ্গুল তুলে নিজের দিকে বিবেচনা করি তবেই আসল সত্য প্রকাশ পেত।

আপনি যখন নিজের অস্তিত্বে বিশ্বাসী হবেন তখন আপনার অন্যের অস্তিত্বে বিশ্বাসী হওয়া অত্যন্ত জরুরী তা যদি না হয় আপনি নিজেই আপনার কাঠ গড়ায় অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবেন। যে অপরাধের শাস্তি আপনি অন্যকে দিতে যাচ্ছেন সে অপরাধের শাস্তি আপনি নিজেই ভোগ করছেন। তবে আপনার কোন অধিকার নাই অন্যকে দোষারোপ করে একজনের শাস্তি আরেকজনকে দেয়া।

কিন্তু আপনি যদি নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে ব্যর্থ হন, নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন, আর শেষ পর্যন্ত সেটা যদি অন্যের বিরক্তির কারণ হয় তবে সেটি জুলুম, অন্যায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটে মানুষের জীবনে ভুল মানুষের সঙ্গে চলে, ভুল চিন্তা করে, ভুল পথে পরিচালিত হয়ে শেষ পর্যন্ত ভুল কর্ম করে। পরবর্তীতে যা শেষ হয় বড় একটি ভাঙ্গনের সুর তুলে।

একটা মানুষের জীবনে যদি এমনটি বারবার ঘটে চলে তাহলে তার স্থিতু কোথায় হবে! আমি বলব কারো জীবনে যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে বড় বড় মনীষীদের জীবনী পড়তে দেয়া উচিত। কারণ সেই সমস্ত মনীষীরা যেভাবে তাদের জীবন নিয়ে গ্রন্থিত করে গেছেন সেগুলা পড়াশোনা মাধ্যমে যদি সে তার মনে গেঁথে নেন তবে অবশ্যই সেই সমস্ত সমস্যাগুলো একটা মীমাংসিত পথ বেরিয়ে আসবে।

এবং সেসব বিষয় গুলো তাকে জানতে হবে বুঝতে হবে এবং মহা মনীষীদের জীবনী বইয়ের মহাসমুদ্রের ডুবে থেকে কিছু জ্ঞান আহরণ করতে হবে ধৈর্য্য সহ্য শক্তি তাদের ভিতর উর্বর করতে হবে।

এবং সৎকর্ম করা ভালো ভালো আলোচনা করা যুক্তিবাদী কথাবার্তা বলা ঠান্ডা মস্তিষ্কে খন্ডন করা এবং উত্তর দেয়া অবশ্যই একটি ভাল দিক নির্ণয়ের কারন হবে।

শেষ পর্যন্ত এমনটি যদি না হয় আর তেমনি বিষোদগার পূর্ণ কথাবার্তা জারি থাকে তবে আমরা পরস্পর পরস্পরের জন্য অশান্তির কারণ হব। পরস্পর পরস্পরের জন্য ক্ষতির কারণ হব।

আর এমনটা হওয়া মানেই একজন আরেকজনের থেকে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা যেটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত বিষয় নয় এটা যে কোন মানুষের ক্ষেত্রেই কষ্টের কারণ হবে অতএব আমি চাইব এই সমস্ত বিষয় গুলো নিজেদের মধ্যেই সমাধান করে নেয়া যা পরবর্তীতে কোন ভাবেই জটিল পরিস্থিতির তৈরি না করতে পারে।

আমাদের বুঝতে হবে ”অসময়ের সুখ অপেক্ষা সুময়ের সেই দীর্ঘ জীবনের অবকাশ যাপন অত্যন্ত জরুরী”। এটি পূর্ণাঙ্গভাবে সাকসেস করতে চাইলে অবশ্যই একজন আরেকজনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে একজন আরেকজনের প্রতি সহনশীল হতে হবে।

একজন আরেকজনের প্রতি খাঁটি বিশ্বাসে বিশ্বাসী হতে হবে একজন আরেকজনের প্রতি সদায় থাকতে হবে একজন আরেকজনের প্রতি বোঝার মত জ্ঞান বা মানসিকতা রাখতে হবে তবে জীবন সুন্দর সুখী ও সাবলীল হবে। 16 অক্টোবর 2020.

বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য আত্মায় জন্ম নেয়া আত্মিক জ্ঞান থাকা জরুরি

🔴”একজন মানুষকে বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য আত্মায় জন্ম নেয়া আত্মিক জ্ঞান থাকা জরুরি।” আপনার ভেতরে যদি প্রখর আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব থেকে থাকে তবে সেটা আপনাকে কখনো সততার সাথে পরিচিত হতে দেবে না। আপনার সকল লক্ষ্য সমূহ অন্ধকারের আবদ্ধ কুটিরে বন্দিত্ব বরণ করবে।

আজ এই সময়ে আপনি যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন সেটা কোন ক্ষেত্র বিশ্বাসেও সফলতার বর্ণিল স্তরে নবায়ন হবে না। পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে যে দৃষ্টিভঙ্গি আপনার কোন ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছাড়া অন্য কোন জীবনের মানে খুঁজে দেবে না যা কখনোই বিস্তৃতির পথে ধাবমান নয়।

আপনার নানা কেন্দ্রিক দ্বৈততা ক্রমানুসারে আপনার জীবনকে যতনা ধ্বংস করছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতির দিকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা হতে পারে আপনার পরিবারকে, আপনার আপন জনকে, আপনার চিত্তকে আপনার চেতনাবোধকে।

জীবনের এই অনুর্বর মরুভূমিতে যদি উর্বর প্রাণবন্ত সৌহার্দময় মোহনীয় বাগান তৈরী করতে চান তবে সেখানে অবশ্যই আপনার প্রয়োজন জলের।

মানুষের সুখ-দুঃখ জ্বালা-যন্ত্রণা শোক-তাপ নানামুখী ক্ষতের ব্যথা যদি আপনার হৃদয়ের মসনদকে কিছুটা বিচলিত করে, নাড়া দেয় তবে ভাববেন আপনি সেই জীবনের সন্ধান পেয়ে গেছেন আর সেই সাথে জল এর সন্ধান দাও পেয়েছেন।

আপনাকে যদি সেই সন্ধান’ অনুসন্ধিৎসা বিবেক জারি রাখতে বলে তবে অবশ্যই আপনার আপন সত্তায় ঢুকে পড়া স্ববিরোধীতাকে বর্জন করতে হবে। তবে সভ্যতার মুক্তি আপনার মুক্তি আপনার ভেতরে থাকা আপনার মুক্তি।

আমাদের দৈনন্দিন জীবন চর্চায় রাষ্ট্রসমাজ পরিবার কিংবা চারপাশের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোকে যেমন ভাবে না প্রয়োজন বোধ করি তার চেয়ে বেশি অনুভব করি ‘উসুল’ ভাবনায়।

আমরা বরাবরই আমাদের সততা মনুষত্ববোধ জীবন দর্শনের জন্য যতটা না চিন্তিত তার চেয়ে বেশি চিন্তিত থাকি অবৈধ উপার্জনের পথিকৃত হয়ে “রুদ্ধহীন ভাবে চালাতে” নিজেকে সমাজের একদম উচ্চশিখরে প্রতিষ্ঠা করতে।

আমাদের জীবন দর্শন থেকে অনুমান করি আমরা বরাবরই আমাদের সবচেয়ে নিকটতম কর্মগুলোকে অগোচরে রাখতে আমরা ভুলে যাই আমরা কি করছি। আমরা ভুলে যাই আমাদের কি করা উচিত কি করতে হবে কি না করতে হবে।

জগতের কোন অপরাধে আত্মিক প্রশান্তি নেই সমাজে সেই মানুষই সফল যিনি ভ্রাতৃত্ব পূর্ণ ভালোবাসার মাধ্যমে চারপাশের মানুষকে একাধারে ভালোবেসে গেছেন। এটি যদি তার নিজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য হয় তবে এই মহত্তর ভাবাপন্ন মানুষের চিন্তা চেতনাটি অনুসরণীয় বা অনুশীলন যোগ্য।

একজন মানুষের নেতৃত্বে আসতে গেলে যেমন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আকৃষ্ট করার শক্তি প্রয়োজন হয় যে মানুষের কর্ম পরিকল্পনা নির্ণীত করা যায় একমাত্র সাফল্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই মানুষটাকে সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষই নির্ভর করে।

জগতের যে কোন মানুষ তার মানদণ্ডের গুণগত স্তরকে তার কর্মপরিকল্পনার দাঁড়ায় তার চিন্তা চেতনার দাঁড়ায় তার ভাবনার দাঁড়ায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভেবে জীবন চারণের সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তবে সে যেন জগতে অনেক কিছুকেই আয়ত্ত করতে পারছে।

এজন্য প্রত্যেকটা মানুষকে প্রো-একটিভ থাকা জরুরি। একজন মানুষ সবকিছু পরিকল্পনামাফিক করতে যাচ্ছে কিন্তু তারপরেও যদি সচেতন না থাকে অসচেতন হয় প্রো-একটিভ না হয় তবে সে যেন তার সব কিছুকে সাগরের মাঝ দরিয়ায় বৈঠা ছাড়া নৌকা ছেড়ে দেয়ার মত করল।

অতএব যে কোন কাজ করার আগে তার ফলাফল সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে এবং সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে অন্যথায় যদি আপনি সেই হিসাবগুলো না করেন তবে আপনি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন আপনার কাজের কোন লক্ষ্য অর্জিত হবে না।

তাই একজন মানুষকে তার কাজের কাঙ্খিত ফলাফল প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে, অর্জন করতে চাইলে, অবশ্যই তাকে সেই সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে এবং নিজেকে সে বিষয়ের উপর খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে হবে।

আপনার কর্মকে একটা মর্যাদাবান আসনে স্থান দিতে চাইলে অবশ্যই আপনার অন্যকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি নিজেই সব কিছু বোঝেন বোঝার চেষ্টা করেন এবং সেই হিসেবে কাজ করা শুরু করেন তবে সেটা আপনার জন্যে মঙ্গলজনক হবে না।

প্রত্যেকটা কাজে একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া যেমন অসম্ভব এবং কোন পরামর্শ বিনা কোন কাজ করতে যাওয়া একজন সাধারন অজানা মানুষ জলে ঝাঁপ দেয়ার মত।

ব্যস্ত জীবন, কতটা সুন্দর হতে পারে? ব্যস্ত জীবন সেটা কিভাবে সর্বতোভাবে নাকি অন্য কোনভাবে! ব্যস্ত জীবন মানব জগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজেকে চেনা;

নিজেকে চিনতে গেলে চিনতে হলে প্রশিক্ষণের কোন প্রয়োজন নেই আপনার হৃদয়ের আয়নার সামনে যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন নিজেকে, যে সারা জীবন আপনি কিভাবে চলেছেন কি করেছেন কার জন্য করেছেন এভাবে যদি প্রশ্ন রাখেন তবে অবশ্যই আপনি খুঁজে পাবেন

নিজের সাথে নিজের যে ভাব বিনিময় হবে সে ভাববিনিময়ের মধ্যে নিজের স্ববিরোধিতাকে বোঝার চেষ্টা করুন তার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন যদি বুঝতে শেখেন তবে এই দৃষ্টান্ত মানব সভ্যতার জন্য আমাদের এই অন্তর্জগতের জন্য এ এক অর্থপূর্ণ বিষয় বলে মনে করা হয়।

যে আত্মিক জ্ঞান এই জগতে মানুষকে মহান করে তোলে যে ব্যক্তিত্ব যে নৈতিকতা যে চরিত্র মানুষকে ভালো আর মন্দ পথে পরিচালিত করে সেই প্রভাবিত জীবনের চাইতে অন্য অন্যরকম জীবন অনেক শ্রেয়।

যেখানে মানবতা থাকে যেখানে আদর্শ থাকে যেখানে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে চলে অন্যায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যেখানে নির্দিষ্ট একটি ঠিকানা পাওয়া যায় সেখানেই ব্যক্তি জীবন সম্ভবত নিজের প্রতিমূর্তির দাঁড়া অন্যকে প্রভাবিত করে

সেখানে গভীরতম ভালোবাসার এক নজির স্থাপন করা যায় যেখানে বিশ্বস্থতা নম্রতা ভদ্রতা সাহসিকতা ন্যায়-পরায়নতা ধৈর্য পরিশ্রম এবং সুবর্ণ সফলতার সারল্য সুযোগ অনেকটা নির্লিপ্তভাবে তৈরি হয়। যা মানব রচিত জীবনের সুন্দর এক অধ্যায়।