(১)
জীবনের গতি কখনো থামবার নয়,
সে ছুটে, কাউকে রাঙিয়ে, কাউকে ভাঙিয়ে।
কে ক্ষুদার্ত তা সে দেখবার নই।
কে দুঃখী, তা সে খুঁজবার নই।
সময়ে মাপকাঠি কার কখন দেহ কাঁঠি তা সে বুঝবার নই।
(২)
বেকারত্বের তকমা গায়ে মাখানো প্রেমিক টি প্রেম করে চলেছে ভঙ্গুর ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে। মায়াবতী প্রেমিকা হাতছাড়া হচ্ছে ;নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়ে সে দেখছে! তাতে কিছুই করবার নেই।
জীবনের গতি তাতেও থামে না, সে ছুটন্ত, ছুটছেই…
ট্যাগ আর্কাইভঃ গোলাম কিবরিয়ার কবিতা
জীবনের গতি
(১)
জীবনের গতি কখনো থামবার নয়,
সে ছুটে, কাউকে রাঙিয়ে, কাউকে ভাঙিয়ে।
কে ক্ষুধার্ত তা সে দেখবার নয়।
কে দুঃখী, তা সে খোঁজবার নয়।
সময়ে মাপকাঠি কার কখন দেহ কাঁঠি তা সে বুঝবার নয়।
(২)
বেকারত্বের তকমা গায়ে মাখানো প্রেমিক টি প্রেম করে চলেছে ভঙ্গুর ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে। মায়াবতী প্রেমিকা হাতছাড়া হচ্ছে ;নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়ে সে দেখছে! তাতে কিছুই করবার নেয়।
জীবনের গতি তাতেও থামে না, সে ছুটন্ত, ছুটছেই…
সমাজ গড়ার কারিগর
সমাজ গড়ার কারিগর হে প্রিয় শিক্ষক।
তোমাদের ঘরে নাই বাজার-সদাই!তা দেখে করবার নাই কোনো নিরীক্ষক।
যা মাইনে পাইতা অতীতে,
তাঁহাতে চলতো সংসার কোনো মতে।
তবে, আজিকা সেই মাইনে পাওয়ার রাস্তায় নেমে এসেছে কুয়াশা।
তাই তো মনে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা!
ত্রানের লেশমাত্র অবলোকন করো নাই চক্ষে,
তোমার মনে ভয়, এই বুঝি মান যাচ্ছে।
ঘরের ঘরণী চিক্কুর দিচ্ছে!
হাটের বেলা ফুরচ্ছে।
তোমার অনটন দেখবার নাই কোনো জন-টন!
মাথা বারবার করে উঠে টনটন
কার থেকে পাওয়া যায় ঋণ-টিন;
পকেট তাঁর শূন্য
তবু শিক্ষা দানে করনা কখনো কার্পণ্য
তাই তো তোমার সম্মানের ঝুলি পরিপূর্ণ।
সর্বদা চাইছ সংকটের বেলা তাইতো
খেয়ে না খেয়ে ধরে রাখতে সম্মান সম্পূর্ণ।
আমি ও চাই; হে প্রিয় শিক্ষক তোমার মর্যাদা বাঁচুক সর্বক্ষণ,
তোমার শিক্ষায় গড়ে উঠুক জ্ঞানী গুণী আর ত্রান চুর, মান চুর, সব চুর,সব চুর।
সময়ের র্কম সময়ে
পিপীলিকা হতে, যদি নাও শিক্ষা এক রত্তি,
তুমি আমি দেখাতাম না, দুর্বলের উপর শক্তি।
মানবতাকে করতাম সবে মিলে সত্যি, সত্যি ভক্তি।
ক্ষুদ্র পিপীলিকা হতে শুনেছিল বাদশাহ সুলেমান নানা রঙের যুক্তি,
কোরআনে আছে পিপীলিকার নামে কত গুণ কীর্তি।
বুঝে না-ও, দেখে না-ও, তাদের থেকে শিখে না-ও কী করে মিলবে মোদের মুক্তি
একতাবদ্ধতা, সততা আর নিষ্ঠা, অবলোকন করে যাও তাহাদের বুদ্ধিমত্তা।
বিশ্ব সংসারে তাদের হিসেবের চিত্রে
অবাক হয়েছে কত নামি-দামি বিজ্ঞে
দুর্দিনের জন্য তাদের কত যে সঞ্চয়
তাই তো বিপদে নাই কোনো সংশয়
জমিয়েছে গরমে চুল-ছেঁড়া হিসেবে,
বসে খেয়েছে গৃহে বিপদের সময়ে।
তাকেই বলে বুঝি সময়ে কর্ম সময়ে,
ফাঁকিবাজি করেনি তাই ভেসে গেছে সুখের জোয়ারে।
সংকটময় সময়
ঘরে নাই অন্ন,
ক্ষুধা নিবারনে জীবন প্রায় বিপন্ন!
কার কাছে চাহিব ভাত?
আমার যে করে লাজ।
নাই চাকরি, নাই তো বাকরি।
টাকা নাই, পয়সা কই পাই?
চাল নাই, ডাল নাই, নাই মশলা পাতি।
খাদ্যের অভাবে মরবে এই জাতি।
নাই, নাই, নাই।
আমার চাহিদার অন্ত নাই।
পূর্ণ করবার রাস্তা-বন্ধ।
খুলবার নাই, নাম-গন্ধ।
আমার খাবার কে দিবি?
আই ছুটে আই।
করে যা ক্ষুধা নিবারন,
দিয়ে যা প্রশান্তির মহা জাগরণ।
তবে, আজি এই সংকটে ধনীরাই আছে বেশ।
রাস্তার উলঙ্গ, পাগলেরা ও আজি পাচ্ছেনা খাদ্যের লেশ।
তবে আমার জীবন কেনো বিপন্ন?
জুটছে না দুমুঠো অন্ন।
চলছে জীবন ছুটন্ত।
বিশ্ব মানবতা কেনো ডুবন্ত?
ভালোবাসায় ভেজানো রাত
কোনো এক নিশ্চুপ রাতে, নির্মল বাতাসে।
ধান ক্ষেতের মাঝেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
মাস টা ছিলো বৈশাখ।
সময় টা বৈশাখের দিন পনেরোর এক রবিবার রাতের কথা।
মনে ছিলো বেশ প্রেমের ঝটকা।
হুটহাট মনে হয়ে যেতো প্রিয় তোমার কথা।
সেই রাতে ও, তুমি এসে আটকে গেলে মনে। তবে,তুমি সেই রাতে এলে গাঢ় অন্ধকার হয়ে।
যখনই, তোমার চিন্তায় আমি মগ্ন।
কি করে মিলবে তোমার সঙ্গ।
ঠিক তখনই,
মেঘ হাঁক দিলো, আকাশ গর্জে উঠলো তাঁর নিজস্ব নিয়মে ।
ফোঁটা কতেক আছড়ে পরলো আমার অঙ্গে।
সে কি! ঠাণ্ডা হাওয়ায়, মনের কোমলতা ফিরে আসছে বার বার।
আমার চোখের লবণজল ও আর, থাকতে পারলো না তাঁর জায়গায়!
সে ও পরছে, বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে।
আর মিশে যাচ্ছে, ধান গাছের আড়ালে।
সেই রাতের অপূর্ণ ভালোবাসায়,
ঝরানো অশ্রুর কথা।
কেউ জানবে না,এই ক্ষুদ্র জীবনে।
তবে সেই, বিশাল মাঠের সবকটা ধান গাছ জেনে গেছে।
তাঁরা জেনে গেছে, আমার ভালোবাসা সীমাহীন।
তাঁরা বুঝে গেছে ভালোবাসার তীব্রতা,
জেনে গেছে চোখের জলের ওজন কতটা।
তাদের বলবার ভাষা নেই।
পারলে, তুমি জেনে নিও তাদের থেকে।
ওজন করে নিও কতটা ভালোবাসার জল ঝরিয়েছি সেই রাতে।
ভালোবাসার জলে ভিজিয়ে দেয় আমি আজও বহু দিবস রজনী।
বুঝলে না শুধু তোমার মতো পাষাণী, ভালোবাসা আসলে কী।
নিষিদ্ধ কর্ম
যুবক তোমাকেই বলছি, শুনো।
জগতের সকল পাপ করতে তোমার মন চাইবে, যৌবনের উষ্ণতায় তুমি শক্ত পাথর হয়ে রবে।
যুবতী মেয়েদের বুকে তুমি চোখ রাখবে,
হাতে হাত ধরতে মন ছুটবে।
কিন্তু না, এ-তো ধর্মে নিষিদ্ধ!
চোখ নামাও, হাত ছাড়ো।
মন তোমার উড়ুক্কু হবে, নষ্ট প্রায় হয়ে যাবে।
ধর্ষন কিংবা জেনা করতে যৌবন তাড়না দিবে।
কিন্তু এ-তো ধর্মে নিষিদ্ধ!
তুমি সালাতে ফিরে আসো।
তোমার প্রভুর দর্শন লাভ করো।
নিশিতে তোমার মন বলবে,
বিশ্বগ্রামের সকল নিষিদ্ধ পাপের জগতে ডুবদিতে।
নীলছবিতে রাতের যৌবন হস্ত-মৈথুন করে কাটিয়ে দিতে।
কিন্তু না, তোমার ধর্মে তা নিষিদ্ধ!
সার্চ করো কোরআনের তরজমা,
পড়ো তফসির,
মনে আওড়াও হাদিসের বিনা।
যৌবন তোমায় বলবে করিতে নিষিদ্ধ প্রেম, বলিবে রাতের আঁধারে চাপিতে তরুণীর বুক!
মন চাইবে উত্তাপে ভরিয়ে দিতে রমণীর লোমকূপ।
কিন্তু না, এ হয় না।
তুমি হালাল ব্যবসা করো, রুটি-রুজির রাস্তা খুঁজ, অতঃপর শরিয়তের নিয়মে বিয়ে করো।
এতো চমৎকার ধর্ম ত্যাগে তুমি কিছুই পাবে না যুবক, তবে জাহান্নামের লেলিহান লালসার মুখে তুমি পরে যাবে।
তখন আফসোস করে বলবে…
আর একটা দীর্ঘ সিজদাহ্ যদি করতে পারতাম প্রভু তোমার তলে;
বড়ই শান্তি পেতাম, আমার এই মন বলে।