ট্যাগ আর্কাইভঃ বাংলা কবিতা

যে দিন চলে যাব

Chole_Zabo

যে দিন আমি চলে যাব
রবোনা এ দুনিয়াতে,
রেখে যাব না কোনকিছু
দিতে প্রিয়জনদেরকে।
রেখে যাব না কোন স্মৃতি
কারও চোখের পাতাতে,
আমি চাই না কারও দুঃখ–কষ্ট
চাইনা কাউকে কাঁদাতে।

যে দিন আমি হারিয়ে যাব,
পাবেনা কেউ আমাকে
আমি তো হারাবো না তাদের
হারাবো না আমি কাউকে।
যে দিন তোমরা আমায় ভুলে যাবে
আর মনে করবে না আমায়;
কেন ভুলতে পারি না আমি
কেন স্মৃতি এসে আমাকে কাঁদায়।
যে দিন সবাই জানতে পারবে
আমার মনের কথা,
বুঝবে সে দিন সকলেই যে হায়
আমার মনের ব্যথা।

সইতে পারিনা আর

1197342

এত অবহেলা আমি আর সইতে পারিনা প্রিয়,
সইতে পারিনা এত বেশি উপেক্ষা আর।
এত বেশি ঝাঁঝালো দুপুরের রোদ,
নিতে পারিনা আমি আর চোখে সয়ে।
ম্লান হয়ে আসে সকল অনুভূতি শিরায় শিরায়,
সংকুচিত হয়ে যায় সকল আবেগ অন্তর আত্মায়।
ধীরে চারপাশ ঘিরে ধরে গভীর ঘন অন্ধকার,
কুড়েকুড়ে খায় ছাড়পোকা সবটা শরীর।
এত বেশি ক্রন্দনে ক্রমশ নেমে আসে ক্লান্তি ভীষণ,
আদিগন্ত ভরে যায় নরকের অভিশপ্ত হাওয়ায়।
রক্তের দেহে এত বেশি যন্ত্রণা সইতে পারিনা আর,
মেনে নিতে পারিনা ভালোবাসার বিপরীতে এত অবহেলা তোমার।
.
২৭/০৯/২০২১

তুমি কত সুন্দর

001. Tumi_Koto_Sundor

‘তুমি কত সুন্দর’
দক্ষিনের জানালায়,
ফোঁটা স্নিগ্ধ গোলাপ-
সু-গন্ধ ছড়ায় দিনভর
তুমি তারচেয়ে সুন্দর।।

‘তুমি কত সুন্দর’
উষ্ণ গরমের দিনে,
ক্লান্ত শ্রান্ত মনে,
দমকা হাওয়ায়
জুরিয়ে যাওয়া-
শরীর আমার;
তুমি তারচেয়ে সুন্দর।।

‘তুমি কত সুন্দর’
সুন্দর ধরণীর বুকে
সুন্দর মানবী তুমি
তোমার জন্যে-
পাগল আমি,
যেমনি মাটির টানে
বৃষ্টি পড়ে ঝরঝর;
‘তুমি কতই না সুন্দর’।।

সমাজ গড়ার কারিগর

সমাজ গড়ার কারিগর হে প্রিয় শিক্ষক।
তোমাদের ঘরে নাই বাজার-সদাই!তা দেখে করবার নাই কোনো নিরীক্ষক।
যা মাইনে পাইতা অতীতে,
তাঁহাতে চলতো সংসার কোনো মতে।
তবে, আজিকা সেই মাইনে পাওয়ার রাস্তায় নেমে এসেছে কুয়াশা।
তাই তো মনে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা!

ত্রানের লেশমাত্র অবলোকন করো নাই চক্ষে,
তোমার মনে ভয়, এই বুঝি মান যাচ্ছে।
ঘরের ঘরণী চিক্কুর দিচ্ছে!
হাটের বেলা ফুরচ্ছে।

তোমার অনটন দেখবার নাই কোনো জন-টন!
মাথা বারবার করে উঠে টনটন
কার থেকে পাওয়া যায় ঋণ-টিন;

পকেট তাঁর শূন্য
তবু শিক্ষা দানে করনা কখনো কার্পণ্য
তাই তো তোমার সম্মানের ঝুলি পরিপূর্ণ।
সর্বদা চাইছ সংকটের বেলা তাইতো
খেয়ে না খেয়ে ধরে রাখতে সম্মান সম্পূর্ণ।
আমি ও চাই; হে প্রিয় শিক্ষক তোমার মর্যাদা বাঁচুক সর্বক্ষণ,
তোমার শিক্ষায় গড়ে উঠুক জ্ঞানী গুণী আর ত্রান চুর, মান চুর, সব চুর,সব চুর।

সংকটময় সময়

ঘরে নাই অন্ন,
ক্ষুধা নিবারনে জীবন প্রায় বিপন্ন!
কার কাছে চাহিব ভাত?
আমার যে করে লাজ।

নাই চাকরি, নাই তো বাকরি।
টাকা নাই, পয়সা কই পাই?
চাল নাই, ডাল নাই, নাই মশলা পাতি।
খাদ্যের অভাবে মরবে এই জাতি।

নাই, নাই, নাই।
আমার চাহিদার অন্ত নাই।
পূর্ণ করবার রাস্তা-বন্ধ।
খুলবার নাই, নাম-গন্ধ।

আমার খাবার কে দিবি?
আই ছুটে আই।
করে যা ক্ষুধা নিবারন,
দিয়ে যা প্রশান্তির মহা জাগরণ।

তবে, আজি এই সংকটে ধনীরাই আছে বেশ।
রাস্তার উলঙ্গ, পাগলেরা ও আজি পাচ্ছেনা খাদ্যের লেশ।

তবে আমার জীবন কেনো বিপন্ন?
জুটছে না দুমুঠো অন্ন।
চলছে জীবন ছুটন্ত।
বিশ্ব মানবতা কেনো ডুবন্ত?

নিষিদ্ধ কর্ম

যুবক তোমাকেই বলছি, শুনো।
জগতের সকল পাপ করতে তোমার মন চাইবে, যৌবনের উষ্ণতায় তুমি শক্ত পাথর হয়ে রবে।

যুবতী মেয়েদের বুকে তুমি চোখ রাখবে,
হাতে হাত ধরতে মন ছুটবে।
কিন্তু না, এ-তো ধর্মে নিষিদ্ধ!
চোখ নামাও, হাত ছাড়ো।

মন তোমার উড়ুক্কু হবে, নষ্ট প্রায় হয়ে যাবে।
ধর্ষন কিংবা জেনা করতে যৌবন তাড়না দিবে।
কিন্তু এ-তো ধর্মে নিষিদ্ধ!
তুমি সালাতে ফিরে আসো।
তোমার প্রভুর দর্শন লাভ করো।

নিশিতে তোমার মন বলবে,
বিশ্বগ্রামের সকল নিষিদ্ধ পাপের জগতে ডুবদিতে।
নীলছবিতে রাতের যৌবন হস্ত-মৈথুন করে কাটিয়ে দিতে।

কিন্তু না, তোমার ধর্মে তা নিষিদ্ধ!
সার্চ করো কোরআনের তরজমা,
পড়ো তফসির,
মনে আওড়াও হাদিসের বিনা।

যৌবন তোমায় বলবে করিতে নিষিদ্ধ প্রেম, বলিবে রাতের আঁধারে চাপিতে তরুণীর বুক!
মন চাইবে উত্তাপে ভরিয়ে দিতে রমণীর লোমকূপ।

কিন্তু না, এ হয় না।
তুমি হালাল ব্যবসা করো, রুটি-রুজির রাস্তা খুঁজ, অতঃপর শরিয়তের নিয়মে বিয়ে করো।

এতো চমৎকার ধর্ম ত্যাগে তুমি কিছুই পাবে না যুবক, তবে জাহান্নামের লেলিহান লালসার মুখে তুমি পরে যাবে।
তখন আফসোস করে বলবে…
আর একটা দীর্ঘ সিজদাহ্ যদি করতে পারতাম প্রভু তোমার তলে;
বড়ই শান্তি পেতাম, আমার এই মন বলে।

মহীয়সী, কই তুমি?

মহীয়সী, কই তুমি?
তোমায় খুঁজি ফিরি।
দিগন্ত হতে দিগ্বিদিক এই আমি।

এ কেমন কি খেলা?
কেন দাওনা ধরা…………?

আমার চোখের আড়াল হয়ে
থাকতে পারবে কি?
যাও যত দূর আমায়
ভুলতে পারবে কি?

তোমার শয়নে স্বপ্নে আমি বিনে
আর কে আছে?
কে সে যে আমার চেয়েও
অধিক ভালোবাসবে তোমাকে?

শুনছো কি এই আমাকে?
অবয়ব অনুভবে,
তুমি বিনে এ মনে হাহাকার বইছে।

মনে আছে কি তোমার ?
কথা ছিল করবো সংসার একসাথে!
তোমায় নিয়ে বাধবো ঘর,
কোন এক অজানা প্রান্তরে।

পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিখা আছে
হৃদয়ের দেয়াল জুড়ে,
প্রতিটি কথা প্রতিটি ওয়াদা,
কখনও যাবে না মুছে।

মহীয়সী, কই তুমি?
তোমায় খুজি ফিরি।
দিগন্ত হতে দিগ্বিদিক এই আমি।

এ কেমন কি খেলা?
কেন দাওনা ধরা?