ট্যাগ আর্কাইভঃ জামান আরশাদের ভুবন

স্বপ্ন

স্বপ্ন কিনি, স্বপ্ন বেঁচি
স্বপ্ন’র হাটে বাস,
স্বপ্নে হাসি, স্বপ্নে কাঁদি
স্বপ্নে হই উদাস।

স্বপ্নে যখন আকাশ দেখি
বিশাল ভাবনায়,
সেই আকাশেও শকুণ উড়ে
নিত্য ছলনায়।

স্বপ্ন ভাঙ্গে,স্বপ্ন মরে
স্বপ্নে বেঁচে থাকি,
স্বপ্নে লাভ, স্বপ্নে ক্ষতি
স্বপ্নে জীবন ফাঁকি।

images-11

তবুও কোথাও কেউ নেই

কোথাও কেউ নেই
তবু্ও
কেউ কেউ থাকে
অনুভবে, অস্তিত্বে,
কেউ কেউ থাকে আশা জাগানিয়া।
নিভু নিভু প্রদীপ
পূনর্বার জ্বলে উঠতে
আচমকা আবির্ভূত হয়
অমূল্য জ্বালানি হয়েও কেউ কেউ।
কেউ কেউ পাশে থাকে
সাহস হয়ে,
অদম্য শক্তি যোগায়
ঘুরে দাঁড়াবার প্রত্যয়ে।
নিঃস্বার্থ ঢাল হয়েও
পাশে থেকে, সাথে রেখে
বাঁচিয়ে রাখে শ্বাস কেউ কেউ।

তবুও যেন কোথাও কেউ নেই।

ইচ্ছে ছিল

ইচ্ছে ছিল ঝিনুক হবো
পরাকরণ তুচ্ছ করে
বুকের মাঝে মুক্তো ধরবো।

ইচ্ছে ছিল পদ্মপাতার সবুজ হবো
জলের ফোঁটার আলিঙ্গনে
স্বচ্ছতার এক মাত্রা গড়বো।

ইচ্ছে ছিল জলটুপটুপ বৃষ্টি হবো
চোখের কোণের কালি ধুয়ে
ক্ষিতিটাকে সুখে ভরবো।

ইচ্ছে ছিল বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা হবো
মনের গোপন আহ্লাদে
স্বপ্নঘুড়ি হয়ে উড়বো।

ইচ্ছেগুলো ইচ্ছে হয়েই
বুকের কোণে জমাট বেঁধে
পাথর হয়ে রইলো।

করোনায় করণীয়

পরবো মুখে মাস্ক
এটাই প্রথম টাস্ক,
হাত ধুবো ঘন ঘন
জীবাণু পালায় যেন,
গ্লাভস পরবো হাতে
সংক্রমণ না হয় যাতে,
রাখবো বজায় দুরত্ব
দিতে হবে এর গুরুত্ব,
ঘরের বাহির হবোনা
করবো জয় করোনা।

প্রদীপের সলতে, তেল আর আগুন ব্যাতিরেকে

নই তো প্রস্তরখণ্ড, কাঠ কয়লা কিংবা ধূলিকণা
নই তো কোন জীবাশ্ম বা হাসপাতালের বিছানায়
কোমায় যাওয়া কোন জীবন্মৃত।
নই তো প্রদীপের সলতে,
তেল আর আগুন ব্যাতিরেকে
যার নেই কোন কার্যকারিতা।
নই তো সফেদ সুনীল আকাশ,
যার নেই নিজস্ব কোন অনুভূতি
হয়তো তাকে নিয়ে লেখা যায় কবিতা,
দেখা যায় স্বপ্ন।
নই তো বিস্তৃর্ণ সাগরের উত্তাল ঊর্মিমালা,
যাকে সাক্ষী রেখে
পৌছানো যায় স্বপ্নের কোন দেশে।
নই তো কাদামাটির কোন প্রতিমা
আনন্দে হই উথলিত, কষ্টে ব্যথিত।
আমারও আছে অনুভূতি, যেমন লজ্জাবতী লতা।

অনুভূতির অনুপ্রকাশ

নই তো প্রস্তরখন্ড, কাঠ কয়লা কিংবা ধূলিকণা
নই তো কোন জীবাশ্ম বা হাসপাতালের বিছানায়
কোমায় যাওয়া কোন জীবন্মৃত।
নই তো প্রদীপের সলতে,
তেল আর আগুন ব্যাতিরেকে
যার নেই কোন কার্যকারিতা।
নই তো সফেদ সুনীল আকাশ,
যার নেই নিজস্ব কোন অনুভূতি
হয়তো তাকে নিয়ে লেখা যায় কবিতা,
দেখা যায় স্বপ্ন।
নই তো বিস্তৃর্ণ সাগরের উত্তাল ঊর্মিমালা,
যাকে সাক্ষী রেখে
পৌছানো যায় স্বপ্নের কোন দেশে।
নই তো কাদামাটির কোন প্রতিমা,
আনন্দে হই উথলিত, কষ্টে ব্যথিত।
আমারও আছে অনুভূতি, যেমন লজ্জাবতী লতা।

নি

নির্মল প্রতুষ্যের সফেদ অন্তরীক্ষে
নির্বিকার নির্দয় ধরাতলে
নিবিড় আলিঙ্গনে নিমগ্ন,
নির্জন চরাচরে ডাহুকের আর্তনাদে
নির্লিপ্ত মধ্যাহ্নের অলসতা ভেঙ্গে
নিষুপ্ত প্রহরীর অগোচরে
নিখাদ সঙ্গমে বিষবাষ্পের প্রস্রবণ।
নিস্তব্ধ নিশিথে-
নিভেছে প্রদীপ লহমায় শয়ন শিয়রে।

অপেক্ষা

কী এক অদম্য, অবাধ্য আকর্ষণ
কাগজের অপেক্ষায় কলমের
দুর্নিবার খাপ খুলে বসে থাকা।
মানুষের যন্ত্রণা, আনন্দ, ভালোবাসা- বিরহের
কথকতা অস্থির- উন্মাতাল রিফিলের মুখাগ্রে-
যেন উন্মুক্ত করে দেবে লুক্কায়িত
সুক্ষ কপটতার বদ্ধ কপাট।
স্বচ্ছ কাগজের উপরিভাগে কুৎসিত
নোংরামীর প্রলেপ,
পশ্চাতে ষড়যন্ত্রকারীর সুকৌশলে
আক্রমনের মহড়া।
লেখাযোগ্য একটি কাগজ পেলে
নির্ভয়ে নিঃশঙ্কচিত্তে লিখে যাবে
তোমাদের অজানা কাহিনী।

কথামালা – ৩

স্বপ্ন কিনি, স্বপ্ন বেঁচি
স্বপ্ন’র হাটে বাস,
স্বপ্নে হাসি, স্বপ্নে কাঁদি
স্বপ্নে হই উদাস।

স্বপ্নে যখন আকাশ দেখি
বিশাল ভাবনায়,
সেই আকাশেও শকুণ উড়ে
নিত্য ছলনায়।

স্বপ্নে লাভ, স্বপ্নে ক্ষতি
স্বপ্নে জীবন ফাঁকি,
স্বপ্ন ভাঙ্গে, স্বপ্ন মরে
স্বপ্নে বেঁচে থাকি।