বোরহানুল ইসলাম লিটন এর সকল পোস্ট

বোরহানুল ইসলাম লিটন সম্পর্কে

কবির জন্ম নওগাঁ জেলাধীন আত্রাই থানার অন্তর্গত কয়েড়া গ্রামের সম্ভ্রন্ত এক মুসলিম পরিবারে। পিতা মরহুম বয়েন উদ্দিন প্রাং ছিলেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাতা লুৎফুন নেছা গৃহিণী। বর্তমানে কবি একই থানার অধিনস্থ পাঁচুপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি অনেকটা ‍নিভৃতচারী লেখিয়ে।

চাঁদনী রাতে নদীর ঢালে আইসো!

tttt

কুসুম কুসুম আদর দিমু
লাজ হারা বায় হাইসো –
চাঁদনী রাতে নদীর ঢালে আইসো!

গান শুনামু মধুর সুরে
পাগল স্রোতের মতো,
কাড়মু রে দুখ শীতল চুমে
বললে অবিরত!
যতন করে রাখমু বুকে
সুখের নায়ে ভাইসো –
চাঁদনী রাতে নদীর ঢালে আইসো!

ঢালমু মায়া চাঁদের মতো
দেখে ব্যাকুল আঁখি,
ঢেউয়ের তালে চাইলে দিমু
মাতাল সোহাগ মাখি!
থাকলে তবু শুকনো রে ভূম
বেহাল ঠোঁটে চাইষো –
চাঁদনী রাতে নদীর ঢালে আইসো!

অন্তরে দাও আমার নবীর রওজা শুধু আনি!

14

প্রভু —
চাই না হতে মোহের তাপে মানী –
অন্তরে দাও আমার নবীর
রওজা শুধু আনি!
টানুক এ প্রাণ যতোই দুখের ঘানী –
অন্তরে দাও আমার নবীর
রওজা শুধু আনি!

শ্রদ্ধা ভরে পড়বো দরুদ অন্তরে দাও বল,
দূর করো সব পাপ কালিমা শয়তানী অনল।
অক্ষিতে দাও আশার বারি
টুটে ধনের খবরদারি
নাই বা হলাম সাধুর সারে জ্ঞানী –
অন্তরে দাও আমার নবীর
রওজা শুধু আনি!

দম ফুরালে যেদিন যাবো একা আঁধার গোরে,
বুক সেদিনও রেখো প্রভু দরুদ দিয়ে ভরে।
কাঁদলে ভয়ে পরাণ পাখি
শীতল করো ব্যাকুল আঁখি
ভুলতে গো এই রঙিন মায়ার ছানি –
অন্তরে দাও আমার নবীর
রওজা শুধু আনি!

এ কি গরম!

2222

গরমের এ কি ধার – আগুনও মানে যে হার
সূর্যটা কেন এতো রেগেছে!
মেঘেরা মেলে না ছাতা – অনড় গাছের পাতা
তবে কি বাতাস ভয়ে ভেগেছে!

পাখিদের ঠোঁট ফাঁক – গো ছাগ দেয় না হাঁক
ফসলের মাঠে নেই ছন্দ,
পাশাপাশি কাক হাঁস – ছায়ে করে হাঁসফাঁস
ভুলেছে বুঝি বা ওরা দ্বন্দ্ব।

বেহালে বাটের সার – ঘাট হারা আবদার
খালে বিলে পানি ঘামে থমকে,
ভীরু চিল উড়ে যায় – দাদু ভাবে খালি গায়
মুসাফির কেন ফিরে চমকে!!

মহা গুজব!

124

মজার খেলা রে ভাই দেখি বসে আকাশে,
মেঘ দেয় হামাগুড়ি মাটি উড়ে বাতাসে।
মান কিনে ডাবগাছ জেগে তাল পুকুরে,
ছাগ গায় হুয়া হুয়া ব্যা ব্যা ডাকে কুকুরে।

মাছ খায় গাছে দোল উদ ঘুরে শুকানে,
নদী কাঁদে ধারা খোয়ে খাল ধায় উজানে।
বিলি দেয় রোজ ছানা মূষিকের আদরে,
ধান গাছে পান ধরে কলা খায় বাঁদরে।

মশা ভাঙে ঢাক ঢোল হাতিদের নাচাতে,
মাঠ হয় চৌচির বরষার আঘাতে।
ঠ্যাঙ তুলে ব্যাঙ নাচে বগীলার আসরে,
চাঁদ ঢালে দিনে আলো জোনাকির বাসরে।

শুয়ো পোকা কুয়ো খুঁজে সূর্যটা নিভিয়ে,
লোহা কাটে উঁই হেসে কটমট চিবিয়ে।
টুনি সেও পাশা খ্যালে পেঁচকের সু’ জবে,
অযথা দিও না কান তুমি শুধু গুজবে।

আষাঢ়ে খুঁজি শালিক

শালিক পাখি

প্রখর রোদের দাপট গেলেই সিক্ত হয় এ আঁখি,
সেই যে তুমি চলে গেলে পত্র লিখে রাখি –
’যতোই ভাবো মোহের কাছে গেলাম আমি হেরে
আসবো কোন আষাঢ় মাসে হয়ে শালিক পাখি!’

কদম কেয়া উঠলে জেগে রয় কি আজও হেলা!
অবাক চোখে চেয়ে দেখি কিশোর মেঘের ভেলা।
হিমেল বাতাস ক্ষণিক এসে অঙ্গ দিলেই ছুঁয়ে,
বুঝি এখন করবে ওরা বৃষ্টি নিয়ে খেলা।

ব্যাকুল আশা দৌড়ে বেড়ায় বাদল ধারার তালে,
এগাছ থেকে ওইগাছে যায় ব্যস্ত ডালে ডালে।
আবার ভাবি থাকতে পারো হতাশ বসে একা,
দিশ হারিয়ে চুপটি কোন নিঝুম খড়ের চালে।

ভাবনা স্মৃতি রোজ তো পড়ে কালের চাকায় খসি,
আষাঢ় এলেই ভাব তবু যায় হরেক আশা চষি।
এমনি ভাবেই চলেছে সময় যায় কখনো থেমে,
ডাক যদি দেয় একটা শালিক হোক আড়ালে বসি।

এক খুকির কথা

images 11

বসে আছি একা টঙের কিনারে
এক খুকি এসে কয়,
দাও না বেড়ার বন্ধন খুলে
আমি কি আপন নয়!

ওপাড়ে দেখেছি পড়ে আছে কতো
টসটসে পাকা জাম,
কুড়িয়েও খেলে করবো না বলো
হরষে তোমারি নাম!

বললুম তারে বাঁধা নেই খুকি
আরও খুশি হবো জেনে,
স্বচ্ছ পানিতে ডুবিয়ে তা খাবে
এ কথা নিলে কি মেনে?

মায়া ভরা চোখে চেয়ে সে বললো
লুকালেই অনুরাগ,
ধুয়ে এনে বুঝি তোমারে দিবো না
সমাদরে ক’টা ভাগ!

জানি না যে কেন সহসা জমলো
অক্ষি কোটরে পানি,
মনে হলো শুধু নিশ্চয় আমি
নই ওর মতো জ্ঞানী!

কদম্ব ফুলের হাসি

prsd40s

বৃষ্টিস্নাত আষাঢ়ের বৈকাল পেলেই
নদীর কিনারা ঘেঁসে ধেয়ে চলে
দলছুট অম্বুদ সেজে ব্যাকুল এ মন,
নিভৃতে ছড়াতে চায় যতনে সোহাগে
ছায়া ঘেরা স্বপ্নময় চেনা এক গ্রামে
অতল পিয়াসী তার আছে যতো অস্ফুট অনুরণন।
লোক-চক্ষুর আড়ালে জাগাতে সে ঘাটে
রঙিলা নায়ের প্রাণ,
গলুইয়ের প্রান্তে বসে গাইতে চায়
ব্যাকুল দোলনে একা গলা ছেড়ে ভাটিয়ালী গান।
সখ্যতা বাড়াতে চায় পাখিদের সাথে
পূবাল বাতাস এনে দোলা দিয়ে থেকে পাশাপাশি,
সোঁদা গন্ধ মাখা কোন উঠোন বাতায়
যদি দ্যাখে আজও আছে পথ চেয়ে অপেক্ষায় সেই
’কদম্ব ফুলের হাসি’।

একটা খেলার মাঠ খুঁজি!

12894a

পড়ন্ত বৈকালে, একটা খেলার মাঠ খুঁজে
আমার মনোরথ,
যার একপাশ দিয়ে সর্পের মতো এঁকে-বেঁকে
বহুদূরে গেছে স্বপ্নিল মেঠো পথ।

যেখানে নেই সেই কিশোরের দল,
হাতে হাতে মোবাইল নিয়ে আনত মস্তকে
গোপন কোন ছবি দর্শণে ব্যস্ততায় যারা অটল।
নেই হরেক খেলায় কোলাহলরত দুষ্টু মতির পরিবর্তে
বেপরোয়া এক ছাগ,
গড়লেও বাচ্ছারা তার তিড়িং-বিড়িং লাফ-ঝাঁপ দিয়ে
ক্ষণে ক্ষণে ডেকে নিষ্পাপ অনুরাগ।

অস্তাচলের পানে চেয়ে স্নিগ্ধ আলোক ধারায়
সূর্যের মুখে থাকবে বিদায়ের রাঙা হাসি,
তবু দুলবে চঞ্চলা ফড়িং ঘাসের ডগায়
রাজ হংসের ডাক শুনেও নির্ভয়ে হয়ে উচ্ছ্বাসী।

আমি দেখবো একপাশে বসে অবাক দৃষ্টিতে
উড়ন্ত পাখির নীলিমায় আঁকা নিখুঁত ছবি দ্যুতি,
আর তার নীচ দিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যাকুল তাড়নে
মিহি ধুলা উড়িয়ে ছুটে চলা এক হাটুরের গাড়ি টানা গরুর
ক্লান্ত খুরের আকুতি।

সন্ধ্যা বেলার তারা

star

খুব ছোট তখন –
সন্ধ্যা হলেই কুপি জ্বালিয়ে বসতাম খোলা উঠোনে,
বাবাই পড়াতেন অতি যত্নে।
বুঝানোর ফাঁকে রোজ শুনাতেন ‍উপদেশ বাণী,
দিতেন স্নেহের পরশে গেঁথে
মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্য জ্ঞান।
আমাকে নিয়ে অনন্ত আশা পুষতেন তিনি মনে।
বুঝতাম না –
হয়তো বা তাই সুযোগে পেলেই উঠতাম দুষ্টুমীতে মেতে
আর তখন তর্জনী উচিয়ে তিনি বলতেন
’ওই যে দেখছো অগণিত তারা,
মরে গিয়ে আমি অমনই এক তারা হয়ে রবো আকাশে!’

একটু বড় হয়েই বুঝতে পারলাম
মানুষই শুধু মরণশীল নয়, এ পৃথিবীটাই নশ্বর।
আর সেই যে বাবার তারা হবার কথাটা! নিছক অভিমান মাত্র।
বাবা চলে গেলেন একদিন।
তারপর –

আজ ঢের বয়স হয়েছে আমার
তবু কেন জানি সন্ধ্যা হলেই দৃষ্টি চলে যায় আকাশে,
দেখি এক ঝলমলে তারা
আর ভাবি, বাবা মিথ্যা বলেন নি
পাশেই ঘুমিয়ে আছে আরেকটি তারা হয়তো আমারই অপেক্ষায়!

দু’টাকার আশা (সনেট)

nhy

যৌবন অঙ্গার হলে বার্ধক্যের ধারে
বইবো বিধ্বস্ত দেহ বহ্নিমান শ্বাসে,
হারলে স্বপ্নিল প্রেম কলঙ্কের দ্বারে
বিক্ষত প্রত্যয়ে রবো অশনির পাশে।

সজীব ব্যস্ততা গেলে মরুদ্যানে থেমে
ভঙ্গুর আস্থার বুকে বাঞ্ছা দিবো সঁপি,
কর্তব্যের তীব্র ঘাতে ক্লান্তি এলে নেমে
অতৃপ্তি যা চষে যাবো কুণ্ঠাহীনে জপি।

দুরন্ত শৈশব তবু নিবো আমি লুটে
নিষ্পাপ ক্রন্দন ধারা এ হৃদয়ে যাচি,
পালাবো ইস্কুল থেকে শত বাঁধা টুটে
বাঁশরী উঠলে হৃদে অনুভবে নাচি।

বৈশাখী মেলায় যাবো ভেবে কথা পাকা,
রাখিস মা বেঁধে যদি অঞ্চলে দু’টাকা।

(সকলের প্রতি রইল বাংলা নববর্ষের
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা অনন্ত)

আমি বিশ্রাম চাই!

14yy

বিশ্রাম চাই গো আমি,
হে আমার অন্তর্যামী!
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত এই ভগ্নসার কায়া,
অস্থির মননে খুঁজি চতুর্দিকে সুশীতল ছায়া।
দেবে কি পুষ্পিত বাগ,
বক্র চক্ষু নেই যেথা হিংসা দ্বেষ
দুর্জনের অনুরাগ?

’অন্ধের অস্ফুট আশা ক্ষুধিতের শ্বাস,
অবলার হৃদে তুমি সুদৃঢ় বিশ্বাস’
কেন জমবে তবে ব্যস্ত নাবিকের হার,
অকূল পাথারে যেবা ক্ষণে ক্ষণে ডাকে
’হে আমার রাহাবার!’

হে চির জগত স্বামী!
ক্ষিপ্র অম্বুদের ধার আজ দেখি স্বপ্নালয়ে
হীরকের চেয়ে দামী!
গর্দভও বলে কি মজা!
ব্যাকুলে যখন টানে হাড্ডিসার অশ্ব
কর্তব্যের তীব্র ঘাতে সভ্যতার বহ্নিমান ধ্বজা!

আমি ভুলতে চাই সব,
যা চঞ্চলা অনুভব!
তোমার চরণে সপে আপনার বিধ্বস্ত হরফ!!

ও সখী রে! (গীতিকাব্য)

14gg

নিশীথে দু’চোখে নামে ঢল!
ও সখী রে,
নিশীথে দু’চোখে নামে ঢল!
জ্বলন্ত শত স্মৃতি
সাজায় বিরহী গীতি
বুঝে তা জোনাকী করে ছল।
ও সখী রে,
নিশীথে দু’চোখে নামে ঢল!

জ্যোৎস্নার ধারে যদি খুঁজি তোর মুখ,
কাতরে বিহগী ডাকে কেড়ে ক্ষীণ সুখ।
নিতে এ আঁজলা আয়ু
ট্যারা চোখে ঘুরে বায়ু
অদূরে মেঘেরা গড়ে দল।
ও সখী রে,
নিশীথে দু’চোখে নামে ঢল!

শ্যামলা নদীর ঢালে যদি গিয়ে বসি,
ব্যাকুলে তারারা বাঁধে এ হৃদয় কষি।
ছন্দিত ঢেউ উঠে
ভীরু আশা নেয় লুটে
সর্পিল স্রোত ধরে গল।
ও সখী রে,
নিশীথে দু’চোখে নামে ঢল!

দুর্গম পথের যাত্রীর প্রতি (সনেট)

21

শ্রমের আঘাতে কভু টলে দেহ যদি
হে পান্থ বিশ্রাম খুঁজো দু’পায়ের তালে,
অক্ষিরে যন্ত্রনা দিলে রৌদ্র নিরবধি
ঘর্মাক্ত দক্ষিণ হস্ত রেখো তপ্ত ভালে।

তৃষ্ণা বা ক্ষুধার তোড়ে বক্ষে এলে ঢল
হে যোদ্ধা বিশ্বাসী ধারে দম নিও গড়ি,
মোহের জৌলুস তবু কাড়ে যদি বল
সাধের জনমই ভেবো অকূলের তরী।

হয়তো ফাগুন গেলে চিরতরে দূরে
রবে না পুষ্পিত বাগে কোকিলের তান,
বাজবে নিশিরও বাঁশি সদা ভীরু সুরে
কখনও বিধ্বস্ত হলে সুহাসিনী চান।

ফিরে না কিঞ্চিত সেও গেলে সেই ধারা,
তবু কি বয় না কূল জেগে তারই সাড়া!

তুমি, জাগবে না কাণ্ডারী!

3

তুমি, জাগবে না কাণ্ডারী!
দ্যাখো না কেমনে আন্ধার ঘুরে
বাঁকা ঠোঁটে দিয়ে আড়ি!

দেয় না আজকে কিঞ্চিত আলো
ক্ষণিকের তরে শশী,
হয়তো বা আছে মেঘের আড়ালে
তারারাও চুপে বসি।
পেঁচক ডাকছে কর্কশ স্বরে
গড়ে দিয়ে ভীতি ক্ষীণ অন্তরে
বায়ু বুঝি তার উগ্রতা দেখে
কেঁদে করে আহাজারি।
তুমি, জাগবে না কাণ্ডারী!

উত্তাল ঢেউ তরণীর গায়ে
আছড়ে পড়ছে আসি,
ঘূর্ণি স্রোতের তাণ্ডব দেখে
বিজলী দিতেছে হাসি।
যেদিকে তাকাই এ কি ঘনঘোর!
এ রজনী কভু হবে না গো ভোর!
কেমনে বলো তো পাবো তবে আমি
ফিরে আপনার বাড়ি!
তুমি, জাগবে না কাণ্ডারী!

সব আছে তবু কিছুই নেই

16ft

কে বলে রে সব আছে নেই চলে অনটন?
চারিদিকে কেন তবে নেই নেই গর্জন?
ধন আছে মন আছে আছে জানি নিঃশ্বাস,
কও দেখি কটা বুকে জাগে তবু বিশ্বাস?

খাল বিল ভুলে গেছে কারে কয় নীল জল,
ধুলি বিনে মেঠো পথ সুর হারা দুর্বল।
কাশ খেয়ো শরতের বুক করে ধড়ফড়,
গোধুলিতে গাড়োয়ান আছে কি রে তৎপর?

গরু নেই ঘরে ঘরে ছাগ হারা বৈকাল,
পান্তাও দেশ ছাড়া সাথে নিয়ে দই তাল।
ফসলের মাঠ নয় খড় ঘাসে রঙ্গিন,
নাও বিনে বরষার বেড়ে গেছে ঢের ঋণ।

বৈশাখী ঝড়ে নেই আম তলে শোরগোল,
রঙ করা ঘর কাঁদে বয়ে ভারি অর্গল।
আষাঢ়ের জল দেখে ভুলে না সে পাতিহাঁস,
মেলা বসে বট ছায়ে গড়ে কে ব্যাকুলে আশ!

মুখে মুখে ডাক আছে মমতার নেই লেশ,
সুর সখা খুঁজে ফিরে চঞ্চলা বিদ্বেষ।
পাখি আছে আঁখি আছে সুললিত নেই তান,
কুল আছে ফুল আছে কোথা সেই খানদান??