চারু মান্নান এর সকল পোস্ট

–কাগজের নাও

–কাগজের নাও

মেঘ মোল্লার শ্রাবণ দিনে
উঠান যখন জলে ভাসে
ভুতু সোনা কাগজের নাও
ভাসিয়ে দিয়ে বসে থাকে।

টাপুর টুপুর বৃষ্টির ফোটা
কাগজের নাও ভিজে সারা
স্রোতের টানে গড়িয়ে যায়
খেই হারিয়ে দিশে হারা।

ভুতুর পুষি লেজ নাড়িয়ে
নাও ভাসার খেলা খেলে
যেই লেগেছে বৃষ্টির ছোঁয়া
লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেলে।

—জলভরা মেঘ আঁকে

ভুতুসোনা শ্রাবণ মেঘের আকাশে
জল রঙ এ জলভরা মেঘ আঁকে,
পুব আকাশে রংধুনুর সাত রং
মেঘের ভাঁজে রঙতুলিতে সাজে।

রংধুনুটা আঁকতে সদা অপলকে
সাদা কাগজে রং পড়েছে অযতনে,
অযতনের নানা রং তুলিতে ভিজে
নদী পাড়ে সবুজ গাঁও খাল বিল আঁকে।

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

মেঘ চুমে যায় তোর জানলায়

–মেঘ চুমে যায় তোর জানলায়

মেঘ চুমে যায় তোর জানলায়
তেইশ তলায় দক্ষিণা জানলা তোর; জলসার্পোটে ভেঙ্গেছে স্বচ্ছ নীল কাঁচ!
শ্রাবণ মেঘ তোর যাতনা ভুলায়
আজ নগর ঢেকেছে শ্রাবণ মেঘে; ঝর ঝর বরিষনে ভুলায় যত লীন বেদন!

ঐ যে ঐ, মেঘ সনে বায়ু
তেড়ে আসে আঁধার কালো রুপ রসে; তনুমনে তোর বিরহ যাতনা মজে!

কি বা চেয়ে ছিলে কত দিন পরে?
যাতনা সয়ে সয়ে নিরবে একাকি; জানলার আগল খুলে দু’হাত ভিজালে!
কত কাল শ্রাবণ জল ছুঁয়ে দেখোনি? উপর তলায় উঠতে ভেসে গেছে সব!
এখন ফেরাবে বলে কত শ্রাবণ গেল ভেসে?

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

অস্বস্তির বেড়াজাল

অস্বস্তির বেড়াজাল

কোন কিছুতেই স্বস্তি নেই
বিরামহীন অস্বস্তির বেড়াজালে; যাপতি কাল
খসে পড়ে নন্দন বিভুতি
নন্দ কোমলে ফুরায়াছে সুবাস!

বিভ্রুম যাতনার গুহা হতে নিত্য ভেসে আসে
অনামি চিৎকার; সমূলে বিথীকায় ধরেছে ঘুন।
নিত্য আঁধারে ঢাকে! যত কোলাহল অনামি অস্বস্তি
বিকার গ্রস্থ লোলুপ পুঁজির ডেরা রঙে রাঙা
মোহিত কোমল আক্রান্ত সোদা সম্ভ্রম লুটেরা।

লুট হতে হতে দিগন্ত পাড়ের মরিচীকার মতো
সভ্যতার সম্ভ্রম উঠেছে গড়ে; নিত্য মহৎ এর ঝালড় উড়ে
নিশান উড়ে গর্ভভরে কুৎচিত ইতিহাস যায় ঢেকে
যুগে যুগে কালে কালে এমনি বিভৎস দোষণ
কি করে স্বস্তি ফিরে,,,,,,?

১৪২৫/শ্রাবণ/বর্ষাকাল।

যা ইচ্ছা তাই

যা ইচ্ছা তাই

যা ইচ্ছা তাই
তোমার মৌনতা বিছানো উঠানে;
সে রাতের কোজাগরি চাঁদ হরণ করে ছিল, সজনে দানি
সদ্য ভিজে ছিল শ্রাবণ জলে সজনের পাতা, শরীর
কদাচিত ডালিম তলায় চড়ুই খুনসুঁটি।
চারিদিক শ্রাবণের ছেঁড়া মেঘের উড়া উড়ি
মেঘের চাতালে মেঘ কৃঞ্চ কালো বরণে
অন্তপুরে ভেজা মেঘের শীতল হাওয়া কুন্তুল
কলার মোচায় বেগুনী ধূসর গায়ে বৃষ্টির ফোটা।

পুবে তাকালে যখন আনারি মেঘের খন্ড খন্ড দলছাড়া
কইতরের ঝাঁক মিলেছে ঐ মেঘ অরন্যে;
চেয়ে দেখলে, চোখ ফিরে আবার উঠান মূর্চ্ছনায়
এই এসে গেলো বুঝি ঝর ঝর বৃষ্টি লগ্ন!
থেমে গেছো, এখনো হাতের মুঠোয় আধেক শুকনা কাপড়
বিমূর্ত হাওয়া তোমায় কাঁপিয়েছে বটে
তবুও চেয়ে ছিলে মেঘে মেঘে কোন সে পরতের খোঁজে?
আধেক বৃষ্টিতে ভিজে আচানক এক মৌনতা বিভ্রুম!
অতীত কোন কৃঞ্চলোহরী; শুধু যা ইচ্ছা তাই

১৪২৫/শ্রাবণ/বর্ষাকাল।

শ্রাবণের প্রথম রাত্রি

শ্রাবণের প্রথম রাত্রি

শ্রাবণের প্রথম রাত্রি,
বৃষ্টি এলো টিপ টিপ, ঝর ঝর
মৃদু মাদকতায় ভিজে যায় নগরের শরীর
আধো কাঁপনে নিয়ন বাতির স্পর্শে চমকে উঠে যেন!
নন্দিনী আবেদনময়ি নন্দন নগর; জোছনার আধেক আলোতে
নির্লিপ্ত বাসনায় চুপসে রয় শ্রাবণ ধারায়।

নিশির সিঁথান জুড়ে বাহারি নগর যেন
অম্ল আবেশে নিদ্রা যাপনে ভোর বিলাস;
মেঘের ফাঁকে ফাঁকে নক্ষত্রের ভাঙা ভাঙা আলো খেলা করে
শ্রাবণ বৃষ্টির নিয়ন ধরে; মুখ লুকিয়ে জোছনা
নমিত বৃষ্টির ছায়ার আদলে এ কি বীণা বাজে?
শীতল হাওয়া মূর্চ্ছা যেতে যেতে; ইট সুরকির গায়ে মিলায়।

মিলায় এ কোন যাতনা?
বর্ষা জলে ধোয়া পিচঢালা পথে;
লক্ষ লক্ষ নন্দিত পাদুকার ছাপ এলোমেলো
জ্যামিতিক হারে নগর মৃত্তিকায় নমিত স্বপ্ন আঁকে।

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

মুক্তির যথাযথ প্রস্তাবনা

মুক্তির যথাযথ প্রস্তাবনা

একক সানিধ্যে
মুক্তির যথাযথ প্রস্তাবনা, এ যে হাওয়ার মিশেল
কি রঙ্গ কলায় আসে যায় নিত্য?
তুচ্ছতায় খুঁজে না কেউ;

সময় মাপনে দূরে সরে রয়, ঐ যে বিষম খেলা খেলে যায়
বুঝতে নারে জানতে নারে
অবেলায় বায়ু বয়; সবুজ পাতায় উল্কি আঁকে
মিহি দানায় বিছিয়ে আঁচর সদল বলে
হারিয়ে যায় তো, মিলিয়ে যায় যথাতথা!

দেখি নিত্য,
কখনো অগচরে রয়? ভুলে, পিছন ফিরে
চেতনা ঘোর আঁধারে বিপন্ন প্রাণ অনাহারে রয়
চলুক বাঁচুক নিত্য নতুন বায়ু ছুঁয়ে টেনে
বিষম টেনে উদাস আকাশ পালিয়ে বেড়ায়।

১৪২৫/শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

তা ধীন ধিনতা নাচে রে

তা ধীন ধিনতা নাচে রে

দেরাজ গোলায় উঠল ডেকে মেঘ
বাঁশ ঝাড়টায় উচ্ছ্বলে পড়া পাখির ঝাঁক
মেঘলা সাঁঝের দোর খোলা; এই নামবে বুঝি
অমানিশার আঁধার কালো রাত।

আষাঢ়ে এ কেমন সন্ধ্যা?
আকাশ বাতাস রোমাঞ্চে সারা
বৃষ্টির খিরকী খোলা; এ কোন যাতনার মূর্চ্ছনা
আপ্লুত বাঙের ছাতা।

মেঘেরও গুমরু, গুরু গুরু ডাকেরে
তা ধীন ধিনতা নাচে রে
আলোকলতার স্বর্ণ শরীর; জলজ রসে মজেরে
তা ধীন ধিনতা নাচে রে।

১৪২৫/ বর্ষাকাল।

–সন্ধ্যাবতীর সাঁঝ

–সন্ধ্যাবতীর সাঁঝ

সন্ধ্যায় বর্ষা জলের হেম মেখে
নিবির সিক্ততায় সন্ধ্যাবতী আমার! যেন নির্জিব মাধুকুরি;
পাড়ার এ বাড়ী ও বাড়ী হতে উনুন চালে ধুঁয়া উঠে সাদা ফকফকা
ঝির ঝির বৃষ্টি ফাঁকে, সাঁঝের আলো আঁধারি লুকোচুরি যেন
সন্ধ্যাবতীর মেঠো পথ কাদায় প্যাসপ্যাসে
সাঁঝ আধারে দক্ষিণ পাড়া পথে ধান বোঝাই
গরুর গাড়ি পড়েছে প্যাকে;

—যেন বেহুলার ভেলা

দিনের আলো নিভে আসে
সন্ধ্যাবতী বর্ষার জলে সিক্ত, যেন বেহুলার ভেলা
খাল পুকুর ডুবেছে, জলে থই থই পুবের মাঠে সবে আইল ডোবা জল
আগাছার অগোছালো ছোট্ট ছোট্ট ফুলগুলো, জলের ছোঁয়ায় লকলেক
সন্ধ্যাবতী এখন জোছনার সখ্যতার প্রহর গুনে
আষাঢ়ে মেঘ মোল্লার আনাগুনা সারা আকাশে
জোছনার মৌনতা ঢাকে;

—-সন্ধ্যাবতীর ঘাটে

সন্ধ্যাবতীর রাত গভীরে
ব্যঙের ডাকে মাতোরা
অজানা কত কীটপঙ্গ?
রাত গভিরে হোলি খেলা।

বৃষ্টি ভেজা গোল লাগা রাতে
শ্যো শ্যো করে বাদুর উড়ে
কলার মোচায় চুপটি করে বসে
পেয়ারা গাছে পেয়ারা চিবায় উল্লাসে।

গঞ্জ হতে ফিরেছ নাও
সন্ধ্যাবতীর ঘাটে
ঝিয়েরা না কি এসেছে নাইর?
ঐ যে সুদূর ঐ গাঁওটা হতে।

—–সন্ধ্যাবতীর জলছবি উঠান

সন্ধ্যাবতীর জলছবি উঠান
জোছনা রাতে ঝকমক করে, বৃষ্টি ঝরা বাউরি বাতাস
সজনে ডাল কেঁপে উঠে।

বাঁশ ঝাঁড়ে পাতার ফাঁকে
জোছনার লুকোচুড়ি, বাঁশের ডগায় সাদা বক
দোল খায় নিরবোধি।

মেঘের ফাঁকে জোছনার ছায়া
টিপ টিপ বৃষ্টিতে কাঁপে, ঐ দেখা যায় হুতুম পেঁচা
ডোবার ধারে বসে।

সন্ধ্যাবতীর জলছবি উঠান
টোনা টুনির ডালিম তলা, পুঁই মাচায় কে এলো?
চালের টুঁইয়ে চড়ুই ঝিমায়।

১৪২৫/ আষাঢ়/বর্ষাকাল।

মিহি দানার প্রক্ষালন

– মিহি দানার প্রক্ষালন

না দেখা পাতা উল্টালেই
কবিতা বুনে যায়, যেন যাপিত নগরের গহন লাগা তন্দ্রা
পুড়ে যায় বিভ্রম দহনে।

এখন তীব্র মৃত্যু শোক কোলাহল
দিকে দিকে চারিদক; লুট হয়ে যায় সম্ভ্রম প্রকাশ্য দিবালোকে
বিদগ্ধ মনন আজ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়!
কে বা কার? কার দায় সভ্য নগর?
ফিরে আসে না আর; সুখ সনদ সু-শ্রী রুপে কদর্য্য মুছে
দেহ বল্লরী উর্বশি রুপে স্বপ্ন নগর।
তবুও স্বপ্নরা ঝাঁকে ঝাঁকে ডানা মেলে
উড়ে আসে হেতায়; ঐ মেঘ মোল্লার পাড় হতে গাঁও কুঞ্জবন ছেড়ে
সুখ সমৃদ্ধি বাঁচার সহচার্য্য উর্মিল সভ্যতায়।

ফিরে আসে চেতনা বার বার দারুন ক্ষোভে
বিদগ্ধ চেতনা জানান দেয়; মুখ গুঁজে নেতিয়ে পরে বাঁচার আহ্লাদ
স্বপ্ন মিলিয়ে যেতে যেতে, মিহি দানার প্রক্ষালন!

১৪২৫/ আষাঢ়/ বর্ষাকাল।

আষাঢ়ে নগর উর্বশী

আষাঢ়ে নগর উর্বশী

এখন কেন জানি?
সব কিছুতেই নিবির চুপচাপ
কেউ যেন সারায় জাগে না?
ডুবে থাকে যেন সবাই একা একা
নৈবদ্যের অপেক্ষায়;
কেউ আর বসে থাকে না?
সময় যেন মুষ্ঠিগত
করতলে নিয়ন আলো শুধুই
একা একাকিত্তের বাসনায় ডুবে রয়
এ যে নগর সভ্যতার উম্মাতাল।

বর্ষায় যখন ভিজে সারা ব্যঙের ছাতা
উম্মাতালে ভিজে ইট, সুরকি, দালান
বিন্দু বিন্দু স্ফটিক জলে
সানগ্লাস ভিজে নগর উর্বশীর।

নাঙা ধসূর কাক বড়ই উচাটন
আজ মেঘ জলে ভিজে;
কবিতা আওড়ায় ঠোঁটে ঠোঁটে

১৪২৫/ আষাঢ়/বর্ষাকাল।

বিরহের জলছবি

বিরহের জলছবি

কবে কোন কথা লিখেছিলে?
তোমার চিরকুটে আজও তা প্রাঞ্জল
যৌবন বেলা কথা কয় আজও
“বিরহের জলছবি” যেন মেঘে মেঘে
রঙধনু আঁচড়ে পৃথিবীর না না প্রান্তে
জলজ আহল্লাদে দৃশমান।

কিন্তু তুমি চুপসে গেছো
সময় ক্ষেপ; হয়তো তাড়িয়ে বেড়ায় আজও
চাওয়া পাওয়ার দোলা চলে
হিসেব কসে শুন্য মিলে! বারং বার
শুন্য যাপন তাথই থা রমনে বাতাস ছুঁয়ে যায়
এ কোন বিরহ বিভূতি রাঙা বরণে?
বার বার নমিত বদনে সমুখে আজ
যন্ত্রণা পোড়ায়; বেদুইন হাওয়া
বার বার ফিরে আসে এমন নন্দন বিরহে।

১৪২৫/ আষাঢ়/বর্ষাকাল।

চাওয়া যদি জল টলমল

-চাওয়া যদি জল টলমল

চাওয়ার অন্তঃপুরে কার বসবাস?
মন শরীর মনন নাকি?
কালের ওপাড়ে চেতনার ক্ষেপ
সুবোধ দিশার প্রহর গুনে; শরীর যদি নাই বা থাকে
কোথায় তবে রয় পরে সে?

ঘুড়ি যদি চাওয়ার রঙে রাঙা
নাটাই বিনে কেমনে উড়ে পতপতিয়ে?
চাওয়ার সাথে কে বা রয়?
বন্ধু বুনে জনম ভরে;
জীবন সুধায় রাঙা রসে যৌবন বেলা
উড়াল স্বপ্নে স্বপ্ন সে তো!
বিলিয়ে বেড়ায় ধাঁধা বুনে মরিচীকা।
চাওয়া যদি জল টলমল
তৃঞ্চা কেন জীবে? মন শরীরে একই চাওয়া
জল ফুরালে সব মিছে।

বাসনা বায়ু রয় কিসে?
সে কি চাওয়ার অন্ত:পুরে?

১৪২৫/ আষাঢ়/ বর্ষাকাল।

অসীম সসীমের আখ্যান

–অসীম সসীমের আখ্যান

সময় ক্রান্তিকাল। নন্দন সে তো মহালয়। কালে কালে টানিতে কাছে, কত কত সুত্র পরাহত? বৃত্তের ছক কসে, একই বিন্দু ছুঁয়ে নিত্য টানা টানি। না না ভূঁজে না না প্রতিছায়া। মেঘ নীলের ছায়ার মতো না না অন্তরায় রয়ে যায়। ক্রান্তিকাল না মিটে, না আসে নন্দন সুখ? এ যে মহাশুন্য অসীম সসীমের আখ্যান!

১৪২৫/ আষাঢ়/বর্ষাকাল।

ভালোবাসার সেঁতু

-ভালোবাসার সেঁতু

ভালোবাসা কি মায়া? মননে বসবাস তার!
আত্মার সমীপে অহরহ, ছিটে ফোটায় ঘুরে বড়ায়
এখানে ওখানে যখন তখন আত্মীয় বুনে;
নাকি শরীরিও আত্মিক সোদা বসবাস?

পৃথিবী প্রাণীর সৃষ্টিকমল রসে
সহসা রসালো ভালোবাসায়,কালে কালে
যুগের ইতি কথায় প্রত্যয়ি প্রাঞ্জল, কোথা হতে আসে সে?
কোথায় তার নিত্য বসবাস?

ভাবনা প্রদ্বীপ জ্বেলে জ্বেলে নিঃস্ব কাল পেরুলো
তল হতে তল নাহি পায় আপনারে
কালে কালে যুগে যুগে শুধু স্হানান্তরে
মত্ত রয়ে গেল ছড়িয়ে আলো মতো করে;
যে যত পেরেছে ধরিতে আপন মনে? আপনারে
ভালোবাসার সোনা রোদ!
সে তো যুগে যুগে সেঁতু ধরে চলাচলে
আনমনে ছড়িয়েছে বিভাস; সুখ দুঃখ বিরহে,,

বায়ু সনে প্রেম

বায়ু সনে প্রেম

বায়ুরোধি ছিলে না কখনও
বায়ু খেলেছে সুধা সনে মনে রমনে; কখনও শুন্য ঘ্রাণে
নিপার্ট মুক্ত হতে চেয়ে ছিলে! পারোনি
বরং তারই রমনে মিশে গেছো ভাসে গেছো জলের সুখসনে।

কাব্য তারিত যাতনায় বার বার মুর্চ্ছা গেছো আচম্বিতে
বুঝতে পারোনি, বায়ুরোধি ছিলে না কখনও
এলোমেলো হাওয়া কেশ বিন্যাশে দেয় দোলা
এলো মেলো করে দিল নির্দিধায়; দস্তনা ঝালর
উড়িয়ে দেয়, ছুঁয়ে দেয়, হাওয়ার যত খেলায়!

অথচ দেখো এই বায়ু সনে প্রেম হয়নি কখনও
মিশে ছিল,থাকে এখনো আছে
তবুও তার প্রেম নাহি বাঁধে; আষ্টেপিঠে সহচরি সোদা
বাঁচা মরা সহসা, ঘ্রাণে শ্বাসে মর্মে মিশে
তারই প্রেমে জীবন বেড়ে উঠে
তারে ভালোবাসোনি কখনও জীবন চরাচরে।

১৪২৫/ আষাঢ়/ বর্ষাকাল।