এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

ধৈর্য হারিয়ো না কেউ বিপদের বেলা

chhh

রবের উপর থাকিলে ভরসা, ভয় আর কীসে
ধৈর্যের ওপারে আছে সুখ লুকানো,
কেবল অপেক্ষা অল্প,
একদিন সুসময় আসবে ধেয়ে
সুখ হবে হাতের মুঠোয়।

আমলের ফল হাতে ধরতে হয় দুনিয়াতেও
মেনে নিতে হয়, বিপদ যা আছে কপালে লিখা,
রব দিয়েছেন ব্যথা, সয়ে নেয়ার ক্ষমতাও দেবেন
কেবল অপেক্ষার বুকে রেখে দিতে হয় ধৈর্য!

করুণাময়ের ইচ্ছেতেই রাখিতে হয় মন
বুক পেতে নিতে হয় এই দুনিয়ার যত শাস্তি,
শাস্তির বিছানায় শুয়ে যদি রই
পাপ কিছু কেটে যায় অনায়াসে।

এখানে তো আসিনি চিরদিনের জন্য
তবু অবেলায় কে আর যেতে যায় চলে
কে বাড়াতে চায় পা বেলাশেষের খেয়ায়
ধৈর্যের সাথে খেলতে হয় তাই খানিকটা লুকোচুরি।

অনুতাপে পুড়তে হয়, চাইতে হয় মুহুর্মুহু ক্ষমা
মনের অহম ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয়
জিদগুলো মেঝেতে ফেলতে হয়
জিদ হয়ে যাক কাঁচের চুরি।

ইবাদত দিতে হয় বাড়িয়ে, নামাজ না করে আর ক্বাযা
আগাতে হয় পথ কেবল প্রভুর নাম ঠোঁটে করে জপ,
শাস্তি পেয়েও যদি অহম রাখো মনের কিনারে
চূড়ান্ত শাস্তির জন্য হও মানুষ এবার প্রস্তুত।

শুভ্র মেঘ’রা ডাকছে হাত বাড়িয়ে

chooo

স্বচ্ছ নীলের বুকে এক ঝাঁক মেঘ
মেঘ’রা দোল খায় পেলে হাওয়ার বেগ
চোখের কিনারে কিছু মুগ্ধতা তুলে রাখি,
আরও মেঘ আসুক উড়ে, মন বাড়িয়ে ডাকি।

মেঘেদের হল্লা আকাশ জুড়ে
কিছু মেঘ নিমেষেই যায় দূরে,
মন উদাস আমার, আকাশে আছি তাকিয়ে তাই
আকাশে তাকিয়ে প্রার্থনায় রই, প্রভুর দয়া চাই।

দুনিয়ার সব আয়োজন একদিন ভেসে যাবে জলে
তবুও মোহ পুষি বুকে, আরও সুখ চাই ছলে বলে
এসব থেকে চাই মুক্তি
বাড়াতে চাও আখেরাতের প্রতি অনুরক্তি।

এক আকাশ দয়া চাই প্রভু তোমার কাছে
তুমি ছাড়া বল কে আর আমার আছে,
চাই সুস্থতা, হিংসা যেতে চাই ভুলে
তোমার দয়াই বুকের বামে রাখতে চাই তুলে।

মেঘের মত স্বচ্ছ করে দাও মন
হৃদয় তারে দাও বাজিয়ে শুদ্ধতার সুর অনুরণ।
কেন যে গীবতে রাখি ঠোঁট
চাই না আর প্রভু করতে দুনিয়ার মোহ লোট।

মনটারে সুস্থতায় দাও ভরে,
সন্তুষ্টি এনে দাও মন ঘরে,
অতি চাহিদার হাপিত্যেশ করে দাও মন হতে দূর
মনকে কর প্রভু মানবিকতার সমুদ্দুর।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

পার্কের বেঞ্চে বসে আকাশ দেখি ইচ্ছে

yui

রকমারী কাজের বুকে বসে কতই না স্বপ্ন দেখি,
দিন ফুরিয়ে যায় একি!
আকাশ দেখা হয়ে আর ওঠে না,
মন বাগানে আর ইচ্ছের ফুল ফুটে না!

তুমিও এক আজবতরো মানুষ
কাজের আকাশে ওড়াও ব্যস্ততার ফানুস,
আকাশ দেখার কাব্য লিখে দাও না মনের খাতায়,
বেহুদা ব্যস্ততাই ঘুরে তোমার মাথায়।

এই হেমন্তের এক বিকেল আমার নামে করে দাও,
কর্ম হতে ছুটি নাও,
চলো হাতে নিয়ে বাদামের ঠোঙা পার্কে বসি
আকাশ দেখি, মনের খাতায় সুখ অঙ্ক কষি।

নির্ভেজাল হাওয়ায় চলো মন ডুবিয়ে আসি
সুর মিলিয়ে বলো বন্ধু, আকাশ ভালোবাসি,
আকাশ দেখে মনকে করে নিয়ো বিস্তির্ণ
যত অহংকার মনের হয়ে যাক চূর্ণ।

একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো রেখে দেব স্মৃতি ঘরে,
একদিন বুড়োবেলা স্মৃতি রোমন্থন করবো মন ভরে,
আকাশের মত মন আমার তুমি ডানা মেলো,
এক্ষণে চলো ঘুরি, মনে হয়ে আছে এলোমেলো।

হেমন্তের আকাশ শুভ্র মেঘ নেই, তবুও আকাশ সুন্দর
আকাশে তাকিয়ে জোরে টানলে নিঃশ্বাস সুখী হৃদ বন্দর,
হেলায় কাটিয়ে দিতে চাই না সময় ঘরে থেকে বন্দি
চলো আকাশ দেখার করি আয়োজন মনে আঁটি বেরোবার ফন্দি।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

গরমের সাথে খেলছি লুকোচুরি

vvv

উষ্ণ হাওয়া এসে লাগলেই গায়
বিতৃষ্ণা দেহে লুটোপুটি খায়,
চায়ের কাপে আছে রাখা অদৃশ্য সুখ,
চায়ে ঠোঁট রাখলেই বিন্দু স্বস্তি দাঁড়ায় সম্মুখ।

পাতায় পাতায় জমে আছে ধুলা
দিন যেন হয়ে রয় জ্বলন্ত চুলা,
কোথায় শান্তি হারালো, সময় হাঁসফাঁস
দিনের বুকে আছে জমে এক সমুদ্দুর দীর্ঘশ্বাস।

শান্তি হারিয়ে কাঁদি প্রভুর দরবারে
তাঁরে ছাড়া আর ডাকি কারে,
নীল আসমান করে দাও প্রভু অমানিশা কালো,
নিভে যাক দিন, চাই এক পসলা বৃষ্টির আলো।

হাতে নিয়ে চায়ের কাপ
খাচ্ছি দিনের উত্তাপ
যে উত্তাপে পুড়ে যায় দেহ,
প্রভু ছাড়া হিম শান্তি পারবে না দিতে কেহ।

আয় বৃষ্টি আয়,
উষ্ণতার সাথে খেলে যা লুকোচুরি
ত্রাহিত্রাহি গরমে প্রাণ যায়,
আসমান হতে ঝরাও রব বৃষ্টির নুড়ি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

স্বপ্নগুলো গুঁড়েবালি

328

স্বপ্নগুলো হয় না সত্যি
হয় না কোথাও যাওয়া
কত ইচ্ছে মনে গোপন
হলো না আর পাওয়া।

ইচ্ছে ছিল পাহাড়ে যাই
বসি গিয়ে ঘাসে
গল্প করবে ভালোবাসার, থাকবে
এমন একজন পাশে।

আমার আশা গুঁড়েবালি
মনের বাড়ী খরা;
সেই খরাতে জল ঢালতে কেউ
আসল না কেউ ত্বরা।

ইচ্ছে ছিল ঝর্ণার তলে
একটুখানি দাঁড়াই
ইচ্ছে ছিল বনারণ্যে
সুখের তরে হারাই।

ইচ্ছেগুলো হয় না পূর্ণ
বিষণ্ণতায় মরি
আর ভাসানো হলো না যে
আমার জীবন তরী।

মনের তরীর মাঝি হতে
আসলো না কেউ কাছে
নিয়ে যাবে ভাসাবে নাও
এমন কেউ কি আছে!

যে যার মত হাঁটি শুধু
উল্টো পথটি ধরে,
নীল বিষাদের তুফান ওঠে
আমার মনের ঘরে।

অযথায় নেটে সময় কর না অপচয়

ytre

কিছু একটা কর, মন দাও সৃজনশীলে কাজে
ইনকামের পথ খুঁজে নিয়ে নিজেকে সাজাতে পারো নতুন সাজে
অনলাইন সে সুযোগ দিয়েছে তোমায়
অযথা কেন পড়ে থাকবে চ্যাটিংয়ের কোমায়!

দিনভর পড়ে থাক নেটের আড্ডাখানায়
লাইক কমেন্ট পেলেই বেশি উড়ো কল্প ডানায়
রূপ দেখিয়ে কী আর হবে ছবি আপলোড করে,
সময় অপচয়ের অনুতাপ আনো এবার মনঘরে।

ব্যবসা করতে পারো যতটুকু পাও অবকাশ
নিজের সৃজনশীলতাই করো বিশ্বে প্রকাশ
নিজের ইনকামে পড়াশোনা যেতে পারো চালিয়ে,
যেয়ো না নেটের প্রেমে কারো হাত ধরব পালিয়ে।

নিজের রূপ গোপন রাখো, বিশ্ব তোমার রূপে হবে না পাগল
বাড়াতে পাপ রেখো না খুলে আর রূপের আগল,
কিছু একটা করো মনোযোগে যাতে থাকে না পাপ ,
রূপ তোমার বুড়ো হবে একদিন করতে হবে অনুতাপ।

চ্যাটিংয়ে না দিয়ে মন, পড়াশোনায় হও আগ্রহী
যে পথ কাঁটাযুক্ত, সে পথ নয় তোমার জন্য সহী,
মোহ পথে যদি একবার বাড়াও পা,
সে পথ হতে ফিরতে পাবেনা প্রভুর কৃপা।

যতটুকু পারা যায় শালীন থাকো,
ইসলামের বিধিতে এবার মন রাখো,
মানবিক হতে শিখো, মোহ পথে এগিয়োনা আর,
হালাল ইনকামে লাগাতে মন হও ইচ্ছে দৃঢ় বিশ্বাসের পিঠে সওয়ার।

বাঁশের সাঁকো আহা স্মৃতিময় দিনগুলো সেই

ui

বাঁশের সাঁকো দেখলেই মনে পড়ে যায় বিদ্যালয় স্মৃতি
ভুল শুদ্ধতার কাটাকাটিতে ভরে যায় তখন মন জ্যামিতি;
কী ঝড় কী তুফান আমরা সাঁকো পেরিয়ে যেতাম বিদ্যালয়ে
ফিরতাম বিকেল হলেই সাঁকো ধরে আপন আলয়ে।

খোয়াই নদীর উপর সেই বাঁশের সাঁকো
ফিরে যেতে সেখানে মন এখনো করে আকুঁপাকু;
কত হাসির টাট্টায় কেটে যেত পথের পর পথ
বান্ধবীরা এক সাথে থাকার সেদিন নিয়েছিলাম শপথ।

কেউ সাঁকো পা রাখতেই জলে টুপ করে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ
ওঠতো সুর হাসির কুচকাওয়াজ
ভয়ে দুরু দুরু বুক কাঁপে, ভয় দেখায় কে কারে;
যেতে হত তবুও সাঁকো বেয়ে ওপারে।

আমাদের ভালোবাসার খোয়াই নদী
আজো বয়ে যায় জল কলকল নিরবধি;
তার বুঁকে কত সাঁকো একদা হতো তৈরী
ভয় হতো খাড়া সম্মুখে আবহাওয়া হলে বৈরী।

এখন নদীর মাঝ বরাবর ব্রীজ আছে,পিলার সাজানো থরে থরে
মানুষ এখন আগায় পথ কত সুবিধার হাত ধরে
আমাদের খোয়াই নদী শীতের শুকনোতে ভাসে বালিচর
এখন যে বৃদ্ধা, যৌবনাবতী তখন ছিল, সাঁকো বুকে নিয়ে বেঁধেছিল ঘর।

বিদ্যালয়ের পোষাক পরে আমরা বান্ধবীরা সাঁকো ধরে
এগিয়েছি পথ, কখনো ঝাপটে ধরেছে অথৈ বৃষ্টি ঝরে;
সেই স্মৃতিগুলো আজও মনে আছে গেঁথে,
সেখানে যদি পারতাম ফিরতে, উঠতাম আবার সুখে মেতে।

(ক্যানন ৬০০ডি, জিন্দাপার্ক, নারায়ণগঞ্জ)

আমাদের গাঁয়ের বিকেল

314

তালপুকুরের পাড়ে
কিংবা মেঠোপথের ধারে,
বিকেল এলেই মেঘ বালিকার দল,
নানা রঙ্গের খেলায় হইচই কখনো বাঁধায় কোন্দল!

বিকেল এলেই সব ভাই বোন এক সঙ্গে,
কেটে যেত হেসে খেলে রঙ্গে,
বিকেলের হাওয়া লাগিয়ে গায়
আমরা গল্পে হতাম মত্ত তাল খেজুরের ছায়!

বিকেল পড়তো গিয়ে গোধূলির কাঁধে,
আমরা পড়ে যেতাম আকাশে তাকিয়ে মুগ্ধতার ফাঁদে
আমাদের সেই হইচই বেলা আকাশ কী রেখেছে মনে,
আজ এখানে আকাশে তাকিয়ে বেলা গড়ায় স্মৃতি রোমন্থনে।

ক্ষেতের আলে কিংবা পথের পথ হেঁটে দৌঁড়ে
কেটে যেত কৈশোর বেলা, সে কী স্বপ্ন ঘোরে,
ফড়িং লেজে বেঁধে সময় নিয়ে গেলো দূরে কোথায়,
আমরা হারাচ্ছি শূন্যে যেন, পড়ছে টান ভবিষ্যতের সুতায়।

এখানে যন্ত্র হয়ে গেল মন
জাগে না আর বুকের তারে সুখ শিহরণ,
আমি সেই সন্ধ্যার আযানের সুর আজও শুনতে পাই,
নীড়ে ফেরা আমরা পাখির দল… মায়ের ডাকে ঘরে ফিরে যাই।

এখানে সন্ধ্যার আযানে কেউ ফিরে না নীড়ে
মানুষ হারায় যে যেমন পারে ব্যস্ততার ভিড়ে,
এখানে আকাশে দেয় না কেউ একটুও উঁকি,
মুগ্ধতা ছুঁতে কর্ম ফেলে নেয় না কেউ সময় হারানোর ঝুঁকি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও, মিয়াবাড়ী, চুনারুঘাট)

মিঠে রোদ আকাশে

318

বিকেল বড্ড ছোট, আকাশটাও দ্রুত সূর্য হারায়
দিন যাবে রাতের বাড়ি পশ্চিমে পা বাড়ায়,
ভাতঘুমের আশা বাতিল করে চলো বিকেল দেখে আসি,
হেমন্তের রোদ ভালোবাসি, চলো দেখে আসি!

ছুটির দিনের সময় নয় অবহেলা আর
চলো হই বিকেলের পিঠে সওয়ার।
গোধূলির রং আসি চিনে
ভাল্লাগে না আকাশ দেখা বিনে।

রোদ মরে যায় ঐ বিকেলের আলোয়
সময় কাটবে বন্ধু নিশ্চয়ই ভালোয়
মিহি হাওয়া বইছে পাতায় পাতায়,
কিছু মুগ্ধতা চলো তুলি মনের খাতায়।

এখানে ঘরের ভেতর গুমোট হাওয়া
যায় না এক বিন্দু শান্তি পাওয়া
চলো সময় কাটাই খোলা আকাশের নিচে
এমন সুখ তো নয় মিছে।

বেলা পড়ে এলো ওই
এই তুমি গেলে কই
চলো মিঠে রোদ খেয়ে আসি
দেখে আসি পশ্চিমে ডুবে যাওয়া সূর্যের হাসি।

কি আর চাই বলো,
এটুকুনই, বাহিরে ঘুরতে আমায় নিয়ে চলো
হেমন্তের আকাশ দেখতে মন বড় চায়
চলো বিকেলের শিশির লাগিয়ে আসি পায়।

.
(samsung এস নাইন প্লাস ঢাকা)

ভালোবাসার রঙ গোলাপী

33

ভালোবাসার রঙ গোলাপী জানো কি তুমি?
কী মায়াবী রঙ তাই না?
গোলাপী রঙ ফুল দেখলেই মুগ্ধতায় ভরে বুক ভুমি
গোলাপী ফুল দিয়ো;
না, লাল নীল হলুদ ফুল চাই না।

কিছু ফুল গোলাপী রঙ শাড়ীতে সাজে
শাড়ীর পাড় সবুজ
এমন আমাকেও পারো সাজাতে সন্ধ্যা সাঁঝে
এমন গোলাপী পরি সাজতে যে মন অবুঝ!

নিয়ে এসো সঙ্গে করে কাঁচের চুড়ি
আর দুটো গোলাপী রঙ ফুল
বিকেলের হাওয়ায় হতে ইচ্ছে প্রেম ঘুড়ি,
হারাতে চাই তোমার সনে সংসার কূল।

উড়ে যেতে চাই বন হতে বনারণ্যে
কিছু সময় হাতের মুঠোয় দিয়ো তুলে
কাজ ফেলে কিছু সময় নিয়ে এসো আমার জন্যে
যেয়ো একদিন কিছু জরুরী কাজ ভুলে।

এমন করে তাকিয়ো না, লজ্জা পাই
বেহুদা আবদার তাই কি?
গোলাপী রঙে আজ পরী সাজতে চাই
এ ছাড়া বলো হীরে মতি হেম চাই কি?

দীর্ঘশ্বাসের প্রহরগুলো দিতে চাই ছুটি
বায়নাতে মন রাখো যদি;
এই অবেলা উপহার দাও গোলাপী রঙ ফুল দুটি,
হয়ে যাবো নিমেষেই তোমার বয়ে চলা প্রেম নদী।

.
(ক্যানন ৬০০ডি, চুনারুঘাট)

বিবর্ণ আকাশে কেবর পাখিদের মেলা

3

বিবর্ণ আকাশ ছুঁয়ে পাখিরাই উড়ছে শুধু, মেঘ নেই
হোক ফিকে রঙ আকাশ, তবুও আকাশে রাখি চোখ
তুমিও এসো পাশে দাঁড়াও
আকাশে তাকিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে জোরে মন করো প্রশস্ত।

দেখো তাকিয়ে পাখিরা কী স্বাধীনতায় উড়ছে
আমরাও উড়তে পারি সব ব্যস্ততা ঠেলে
মনটারে স্থির করো
চলো ঘুরে আসি আকাশের শেষ সীমানায়।

কেমন যেন সময়গুলো হাওয়ায় যাচ্ছে উড়ে
বসন্তের হাওয়া এসে লাগছে মনে
মন কেমন কেমন করছে,
তুমি মনের ছেঁড়া পালে লাগাও সুখের হাওয়া।

আকাশে তাকিয়ে দেখ কত বড় তার বুক
মন আর রেখো না সংকীর্ণ
প্রশস্ত বুকে ভালোবাসার মেঘ উড়াও
আমার হাতে ধরে নিয়ে যাও দূরে কোথাও।

এবেলা দাঁড়িয়ে আছি একা,
আকাশে চোখ রেখেও হচ্ছি বিষণ্ণ
পাশে এসো, মনের বিষাদ জঞ্জাল দূর করে দাও
ঠোঁটে এনে দাও এক টুকরো হাসি।

মন আকাশে উড়ুক আজ শুভ্র মেঘ
তুলোর মন করে নিয়ো
তোমার করে নাও আমার মনের আবেগ
এসো আকাশ দেখি, কাছে এসে দাঁড়াও প্রিয়।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

বুকের বামে ব্যথার পাহাড়

3362

বুকের বামে নীল সমুদ্দুর
জমা ব্যথার পাহাড়,
সময় করছে নিত্য বুকের
আমার সুখ অভ্যাহার।

দোষ কী তবে আমারই সব
কান্নাগুলো আমার
কষ্ট এসে ঘটায় বুকে
কান্ড তাই ধুন্ধুমার।

আমি কেন সয়ে যাচ্ছি
একার কী আমার ভুল
ব্যথাগুলো আর হলো না
ভালোবাসার ফুল।

আমার বুকে কেন তবে
দীর্ঘশ্বাসের লহর
কোন্ কারণে বিষণ্ণতায়
কাটে আমার প্রহর।

আপন মানুষ কেউ নেই আমার
সইছি ব্যথা একা
কেন তবে ললাটজুড়ে
আঁকা শনির রেখা।

কোন্ সে ভুলে জীবন আমার
কষ্ট ব্যথায় ভরা
কেন লেগে থাকে বুকে
বারোমাসি খরা।

কান্না কেন আমার একার
আমি কেন দুঃখী
ধৈর্য চেয়ে প্রার্থনার রই
চেয়ে উর্ধ্বমুখী।

দেখে আসি অন্য শহরের আকাশ

325

এই যন্ত্র শহরের আকাশে কেবল কালো ধোঁয়া
উড়ে ধুলোর কণা, পাই না আর মুগ্ধতার ছোঁয়া,
দেখে আসি তবে অন্য শহরের আকাশ
এখানে কেবল ভ্রান্তি, ফেলতে হয় মুহুর্মুহু দীর্ঘশ্বাস।

ঘুরে আসি অল্প
শুনে আসি অন্য শহরের গল্প,
কে কেমন আছে, শহর কী পরিচ্ছন্ন
নাকি কালো ধোঁয়া, বৃক্ষ ছাড়া শহর শুকনো অরণ্য।

অন্য শহরের আকাশে আছে নাকি শুভ্র মেঘ,
নাকি কেবল আছে বৈরী হাওয়ার বেগ,
দেখে আসি সেই শহরের বুকে আন্তরিকতা আছে কী না,
বাজে কী না মানুষের মনের তারে মানবিকতার বীণা।

এখানে মানুষের সাথে নেই মানুষের মিল
চলতে হয় দিয়ে অভিনয়ের গোঁজামিল,
এখানে আকাশের তারে বাজে যন্ত্রের ভেঁপু সুর
দেখে আসি অন্য শহরের মানুষের বুকে কী সুখ সমুদ্দুর।

এই আকাশ ছুঁয়ে কেবল কাক’রা উড়ে
দেখি অন্য শহরের বুকে কী টিয়া ময়না শালিক কোকিল উড়ে ঘুরে
মেঘের ভেলায় কী মানুষের স্বপ্ন ভাসে,
দেখে আসি কোন কবি আকাশ দেখে কি না বসে
দূর্বাঘাসে।

আকাশের কিনারে সেখানে আছে কি না রঙধনু
দেখে আসি সেই শহরের গাছে পাতায় বাজে কি সুখ বেণু,
যন্ত্র শহর ছেড়ে একটু না হয় ঘুরে আসি,
খুব শুনি ইচ্ছে স্বচ্ছ হাওয়ায় বাজে পাতার বাঁশি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

ব্যস্ততা কেড়ে নেয় কবিতার প্রহর

33

ভেবে ভেবে লিখবো,
সাজাবো কবিতার খাতা শব্দে শব্দে,
কিছু মানসম্মত কবিতা বেরোবে কলম হতে
হয় না এমন হয় না আর, আমার কবিতার প্রহর
কেড়ে নেয় সময়।

মানহীন কবিতায় ভরে রেখেছি হৃদয় খাতা;
তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতায় পড়ে থাকে কষ্টে বোনা সব শব্দ
কবে জানি পাবো ফিরে আমার কবিতা লিখার প্রহর
হয়তো পাবো না আর তবুও নিরাশায় বাঁধিনি বুক।

কবিতা নিয়ে বসলেই হু হু করে বয় বৈরী হাওয়া
মানুষ এসে দেয় গল্প জুড়ে,
কত কাহিনী, কত যন্ত্রণা শেষে এক তিল অবসর
সেই অবসরে লিখে ফেলি হাজার কবিতা।

কবিতা পড়ে না কেউ হয়তো,
কেউ দেয় না প্রশংসার ছোঁয়া;
তবুও কবিতা নিয়েই কাটিয়ে দেই আর দু’দন্ড অবসর
একদিন আসবেই আমার সেই মহেন্দ্র ক্ষণ।

ভাগ্য একদিন হবে সুপ্রসন্ন
আমি কবিতার প্রহর পাবো হাতের মুঠোয়
সেদিন কী আর ভাবনাতে পারব কবিতা সাজানোর শব্দ
হয়তো হারিয়ে যাবে সেদিন আমার কবিতারা।

যখন উচ্ছাস প্রাণে, হাজার শিরোনাম ঠোঁটে
অথচ লিখতে না পারার যন্ত্রণা ধরে রাখে আমায়
আমার মূল্যবান সময়গুলো হারিয়ে যায় ব্যস্ততার সাগরে
আমি মানহীন কবিতাই তবে লিখে যাবো অনন্তকাল।

কী সুন্দর ভোরের আলো

332

লাল বেনারসি রঙ শাড়ি পরে আকাশ
দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় ভোর হতে সকালে
কী মিহি হাওয়া! দেহ ভেসে যায় শান্তির সমুদ্দুরে
আলহামদুলিল্লাহ বলে হয় আমার দিনের শুরু।

আকাশে তাকিয়ে বলি নিঃশ্বাস ছেড়ে
নিতে পারছি নিঃশ্বাস
আল্লাহর করুণা না হলে পারতাম কী করতে
ভোরের আলোয় নিজেকে সুখী আবিষ্কার।

লাল বেনারসি আকাশের কপালে লাল সূর্য টিপ
পাখিদের ওড়াউড়ি আর হাওয়ায় আস্ফালন
জানিয়ে দেয় শীতের মৃত্যু আসন্ন
বইবে রঙ্গের হাওয়া বাংলার আকাশ জুড়ে।

নিজেকে সুখি ভেবে পার হই সকালের পথ
ব্যস্ততার ভার কাঁধে
দুপুরের আকাশে কী রঙের মেঘ উড়ে কে জানে
কর্মের ভিড়ে হারিয়ে হারাই আকাশ দেখার স্বপ্ন।

তবুও বেঁচে আছি এক পাহাড় সন্তুষ্টি নিয়ে
প্রভুর কৃপায় দৃষ্টি জুড়ে স্বচ্ছ শুভ্র মেঘের মত আলো
সে আলোয় জীবন হাঁটে তাঁর করুণা মাথায় নিয়ে
শোকর গুজার করি প্রভুর হাজার।

আকাশের বুকে হাঁটে স্বপ্ন আমার
আমি আল্লাহর নিয়ামত বুকে পুরি হরদম
কেবল চাই তাঁর দয়া, রহমত আর নিয়ামত,
জীবন পথে চাই অথৈ ধৈর্য।

.
((স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)