ফকির ইলিয়াস এর সকল পোস্ট

ফকির ইলিয়াস সম্পর্কে

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

বিসর্গ

অনেকগুলো দাগ পড়ে আছে
অনেকগুলো দাগ,
জলের ভেতরে জমে আছে হীরে
ঘুমের ভেতরে ঘুম
তুমি বললে—
আসলে ওগুলো কিছু নয়
এতটুকু মৃত্যুর পরাগ !

আমি আবার তাকালাম
নতুন করে চিহ্নায়নের সূত্র
সাজাবো বলে—
দেখলাম পুরনো মুদ্রার কোণে
লেগে আছে,
সহস্র বছরের পুরোনো বিরাগ !

ফটোশপে বানানো ছায়া

আলো দিয়ে বানাবার কথা ছিল ঘর, তা দখল করে নিচ্ছে
ফিকে রেখা। মানুষের মনে জমে থাকার কথা ছিল যে
বিনীত ধর্মের বয়ন, তা চলে যাচ্ছে মিথ্যের দখলে।
কিছু প্রতারক ছবিদোকান খুলে, বিক্রি করছে, মেকি
হাড়-মাংস, অনুভুতি,অহংকার, প্রেম, এবং ভূমিমাটি।

যাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা ছিল, তারা বেছে
নিয়েছে অন্ধপ্রায় জীবন। যে পাখিগুলো কবিদের পক্ষে
উড়বে বলে জানিয়েছিল প্রত্যয়- ওদের বন্দী করেছে
কিছু বেনিয়া শিকারী। অবশ হয়ে পড়েছে কিছু রাজনীতিকের হাত

ছবিদোকান থেকে মিথ্যে ছবি কিনে, তা বাজারে ছড়াচ্ছে
কতিপয় সুবিধাবাদী। আর আমরা যারা তালিয়া বাজাচ্ছি,
তারা নিজেরাও জানি না, একদিন এই ছবিদোকানে
নিলাম হয়ে যেতে পারে আমাদের ঘর-সংসার, আমাদের ছায়া।

উষ্ণতার আঙিনায়

যে আমি আত্মগোপন করে ছিলাম, আজ ভোরে তারই অস্তিত্ব
খুঁজেছি প্রথম। তারপর এই হাডসন নদীর পাড় মোড়া সাদা
কংক্রিটগুলোকে স্পর্শ করে দেখেছি, প্রাতঃভ্রমনকারীরা কীভাবে
ছুটে চলে ঢেউয়ের সমান্তরাল। ছোঁয়া পেলে অনাবাদী গ্রহও বিতরণ
করে জীবনের ঘ্রাণ। উষ্ণতার আঙিনায় দাঁড়িয়ে যে ঋষি করে
আলোর আরাধনা, কিংবা বনান্তরে একাকী হেঁটে যেতে যেতে
যে বাউল বাজায় সুরেলা বাঁশী, তারাও জানে এই জগত-সংসারে…
সকল বিরহকামীরাই সগর্বে ফিরতে পারে গ্রহের সাকারে।


আঁকাবাঁকা নদীর মতোই পথ পেরিয়ে এসেছো তুমি
দেখেছো ঢেউ, উত্থান, পতনের ভার
অরণ্যের সমাহার, দেখোনি পাতার প্রয়াণ,
রঙগুলো কেমন করে দিয়ে যায় প্রহর আত্মদান !!!

স্তরের স্থিরচিত্র

এসো প্রাণের বদলে আগুনকেই শুকিয়ে,
স্তরে স্তরে এই পথে রাখি।
যে পথে সহস্র কররেখা উঁচিয়ে
একদিন হেঁটে গিয়েছিল সহস্র পালক।
যে রোদে, একদিন বিন্যস্ত হয়েছিল আমাদের
উজ্জ্বল ভাগ্যরেখা। আর বাজপাখিরা গোলাপের
প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দখল করতে চেয়েছিল, গোলাপের
ভালোবাসার আকাশ।

আকাশে মূলত প্রাণগুলোই নক্ষত্র হয়ে স্থির হয় অবশেষে।
সারি সারি মেঘ, তাদের জন্য রাখে প্রেমের দ্যোতনা।
আর গভীর রাত্রির ভেতর
চাঁদ ও সড়ক ডুবে যেতে যেতে
আঁকে পৃথিবীতে বয়ে যাওয়া
প্রথম প্লাবনের চূর্ণরেখা।

শপথ বিষয়ক পথদৃশ্য

শপথের শব্দগুলো শুনে হেসে উঠে কুমিরের দল।

”আমি ফকির সালাহউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াস এই মর্মে
শপথ করিতেছি যে ………………. ”

বলার পর পরই থমকে উঠে আমার কণ্ঠ। কাঁটাবিদ্ধ
হরিণের গলা কিংবা ধনুকবিদ্ধ পাখির ডানা এর আগেও
স্পর্শ করেছে আমার হাড়।আমার দেহের পরাজিত লৌহকণিকা
আমাকে জানিয়েছে,নদীর প্রতিটি বাঁকেই গড়ে উঠেছে
প্রতারকের ফাঁদ।যে ফাঁদে আটকা পড়েছে অগণিত বিবেক।
আর দুষ্ট শিকারীরা সেই দৃশ্য দেখে হেসেছে বহুবার।

এর আগে কতবার আমি পাঠ করেছি শপথবাক্য অথবা
কতটি শপথানুষ্ঠানের পুষ্প বর্ষিত হয়েছে আমার মাথার উপর,
তার পরিসংখ্যান খুঁজার চেষ্টা করি।

” শপথ ভঙ্গ করা ধর্মীয়,নৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় অপরাধ— ”
নির্দেশবাণী আবারও আমার কানে বাজে।

ভাবতে চেষ্টা করি, হোয়াইট হাউসের সিঁড়ি স্পর্শ করার আগে
মহাত্মন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা যে শপথবাক্য
পাঠ করেছিলেন—
কেমন ছিল সে দিনটি। কেমন ছিল সেদিন ওয়াশিংটনের আকাশ।

আমি জানি, শপথবাক্য যদিও খুন কিংবা গুমের স্বীকৃতি দেয় না—
তবুও সেই বাক্য পাঠ করার পরও কারো কারো হাত
রক্তে রঞ্জিত হয়।
আমি জানি, শপথবাক্য পাঠ করার পরও রাষ্ট্রের কাছে দোষী
সাব্যস্থ হন না ঘুষখোর বিচারক।
কিংবা যে সৈনিক শপথ পড়েছিল তার স্বদেশের নামে— সে ও
নেতৃত্ব দেয় অবৈধ রাহাজানির।

আমরা কি তবে শপথবিহীন আদিম পৃথিবীর কাছে ফিরে যাচ্ছি !
আমরা কি তবে উচ্চারণ করছি আমাদের ভুল নাম !

মানুষের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠে বানরের দল।
এবং হিস্যাপর্ব ভুলে গিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে,
আমরাই আমাদের অঙ্গীকার রক্ষা করি—
মানুষেরা করে না।

ঋতু ও রবীন্দ্রনাথ

ঋতুর রঙের কাছে ঋণ চেয়ে হাত পাতি। কিছু ভোর চাই।
কিছু ভালোবাসা বিনিময় করবো বলে নদীর স্রোতে ডুবাই
চোখ। ফিরে আসে নিজের প্রতিবিম্ব আর পরখ করে দেখা
কালের রজক। জানি আমিও এভাবেই মুক্ত আকাশের লেখা
ধার করে সাজিয়েছি কাব্য। বাজনার অজস্র নহরে রেখে হাত
অনুভব করেছি গ্রীষ্ম কিংবা বৈশাখের ঝড়। বিজলীর সাক্ষাত
পাবার জন্য তাকিয়েছি উত্তরে। দক্ষিণের দিন আমার বাহুতে
বাহু রেখে যুগিয়েছে শক্তি। রাতের মধ‌্যাহ্নও এসেছে দিতে
প্রেম, পরিণয়ে বর্ষার ঢেউ। অথবা শরতের ছায়া। কবির চোখে
আঁকা হেমন্তের ধানমাখা মাঠ। শীতের উষ্ণতা নিয়ে সবুজের দিকে
ধাবমান চাঁদের ইশারা। যেখানে এখনও বসন্ত বাতাসে উড়িয়ে
পতাকা, একজন রবীন্দ্রনাথ আসেন আমাদের প্রান্তছায়া হয়ে।

কবিগুরুর পদচিহ্নে

এই জমি খুব পরিচিত আমার। এই নদীর সকল উজানী
ঢেউ- একদিন আমার বুকে রুয়েছিল যে বীজ, আমি যতনে
বৃষ্টি ছড়িয়েছিলাম সেই মনবৃক্ষে। জোড়াসাঁকোর ভোরে
খুব একাকী পড়েছিলাম গন্তব্যের গীতবিতান।

এই গান খুব স্বজন আমার। যে প্রেমিকা আমাকে হাত ধরে
নিয়ে গিয়েছিল প্রান্তিক চত্বরে- সেদিন সেখানেও উপস্থিত
ছিলেন একজন রবীন্দ্রনাথ। তিনি চলে যাওয়ার পর, আমি
সেই মাটির দিকে তাকিয়েছিলাম। দৃষ্টি বিনিময় করেছিলাম
ঘাসগুচ্ছের সাথে। একটি পদচিহ্নের প্রতি বিনীত পালক
ছড়িয়ে দিয়েছিল ঠিক আমার মতোই একটি বিবাগী দোয়েল।

চন্দ্রপথ

পথ মিশে যায়, ছাপগুলো হারায়
পাঁজর খুঁজে চূর্ণ
এর আগে যারা, হলো মাতোয়ারা
তাদের ভুলে পূর্ণ !

চাঁদ এসে বলে, দূরের সকালে
লিখেছো যতো নাম
সবাই কি তবে, এই পরাভবে
হেঁটেছিল অবিরাম।

কেউ থেমে থেমে, এসেছিল নেমে
পূণ্য পরিত্রাণে
কেউ ফিরে গিয়ে, এ মাটি সরিয়ে
ডুবেছে ভুলের ঘ্রাণে।

ভুল করে তবে, সুখের এই ভবে
এসেছে আদম -হাওয়া
সেই পথ ধরে, মোহের সাগরে
ফের হাবুডুবু খাওয়া ………

ভুলে যাওয়া উষ্ণতার গান

আর কোনও দিন বৃষ্টি এসে আমাদের ডাকবে না তাদের কাফেলায়।
বলবে না- চলো সমুদ্র দেখে আসি। দেখে আসি পাখিদের সংসার, আর
লাঙল কাঁধে যে পিতামহ প্রত্যুষে ছুটে চলতেন মাটির টানে-তার পদছাপ।
আর কোনও দিন আমাদের ডাক দেবে না কোনও প্রতিবেশী আগুন।

বলবে না- উষ্ণতা নেবে, উষ্ণতা ! সওদাপাতি কিনতে না পেরে যে
অভিমানী পিতা খালি হাতে বাজার থেকে ফিরে যান, দেখবে তার হাত!
অথবা যে মা- সাবালিকা কন্যার দায় মাথায় নিয়ে ঘুরেন পথ থেকে
পথে, আমাদের ডাকবে না সেই পথও। বলবে না- দ্যাখো মানুষ,
তোমরা ভুলে যাচ্ছো অনেক কিছুই। ভুলে যাচ্ছো- তোমাদেরও একদিন
আয়ু ছিল। অরম্ভ ছিল। এখন এই যে তোমরা বেঁচে আছো, তা কিন্তু
মূলত আয়ুহীন। আরম্ভহীন। আরাধনাহীন। শিকলঘেরা বালাখানায়।

ভাসমান যমুনার মুখ

আমাদের রাত্রিকলায় সংরক্ষণ করে রেখেছি নিরঙ্কুশ নদীদের
জীবন। স্রোতের দেখা পেলে মিশিয়ে দেবো আমূল নগ্নতা,
ভূমিতে-শেকড়ে-স্বপ্নের প্রতিটি বিভায়। একটি ভ্রূণের বৃত্তান্ত
লিখে জানিয়ে যাবো জন্মসংক্রান্তির আদি উন্মীলণ। কারা দেখবে
ভাসমান যমুনার মুখ, কারা পাবে পাপড়ির প্রাণপরিধান – সবই
নির্ধারণ করে লিখে যাবো লাভাপৃথিবীর পৃথক ভূগোল। আপাতত:
উৎপাদিত অগ্নিগিরির অনলে-
নিজেদের মুখ দেখে ভেসে যাবো বেদেদের বাহারি জলে।

পথিক ও পরাণপর্ব

কতটা পথ হাঁটলে হওয়া যায় পথিক! কতটুকু ভূমি
পেলে নির্মাণ করা যায় একটি সড়ক, তা ভেবে আমি,
কখনোই পথে দাঁঁড়াই’নি। বরং কয়েকটি হাসনা-হেনার
ডাল রুয়ে রেখেছি, পথের দু’পাশে। কেউ এসে
নেবে সেই সুবাস।

অথবা কেউ পাঠ করবে মমিচিত্র,মনচিত্র,মানচিত্র
এমন আরাধনায় সাজিয়েছি ভোর, সেরেছি
পরাণপর্বের পঞ্চম সুরবীক্ষণ।

মানুষেরা অনেক কণ্ঠধ্বনিই শোনে না,
মানুষেরা অনেক চিত্রের আদলেই আঁকতে
পারে না নিজস্ব অবয়ব, তা জেনেই
হাত বাড়িয়েছি মানুষের দিকে-
পৃথিবীর সকল পাথরকে সাক্ষী রেখে।

পঁচিশে বৈশাখ

অভয় আনন্দ এসে খুঁজে কার ঘর, কার পথে
অনেকগুলো পথ মিশে যায়- কালের প্রভাতে
আমি তো ব্রাত্যজন-আজীবন অন্বেষণে আছি
একটু সবুজ পেলে, ঘাটে বসে প্রাণ নিয়ে বাঁচি
অথবা সাঁতরে শেষে; সমুদ্রের গভীর প্রণয়ে
থেকে যাই শুদ্ধাচারে- কবিতার নামগুলো লয়ে

অপার উদ্ভিদে এই ভালোবাসা রাখে যে আঙুল
কিংবা ঝড়ের কাছে সারিবদ্ধ রেখে যাওয়া ভুল
সবই কি রবি’র ছায়া বুকে নিয়ে স্রোত হয়ে যায়
সেই নামে বাঁশরিয়া চিরকাল মুরলী বাজায়
শুনি বাঁশি, শুনি ধ্বনি- তন্ময়ের রেখারাজ্য এঁকে
পঁচিশে বৈশাখ এসে তাঁর নামে রোজনামচা লেখে।

দূরে গেলে প্রিয় হয় মর্গের সব কোলাহল

মিথের মর্গ দেখে বড় করুণা হয়।
অনেকটা দূরেই থাকি আজকাল কোলাহল থেকে।
তবু এই সিঁড়ির সংসার দেখে মায়া হয় খুব। এই রাত সুবর্ণ জয়ন্তীর।
এই দিন মুখোশের প্রথম পালক। সবই লেখা আছে আমার অভিধানে। তার
পরও খুলে দেখতে মন চায় মুছে যাওয়া আলতার প্রকৃত উজ্জ্বলতা। এবং চন্দ্র
ভেজা ঘুমের ললাট। কী আঁকা আছে এই চামড়ার গুহায়। কিছুই যদি না লেখা
থাকতো, তবে বার বার কেন পঠিত হয় প্রেম-কামায়ন! দীর্ঘতম পথের গ্রহণ
এসে দেখিয়ে যায় কাঁপার প্রকৃতি। জ্যোতি নেই, তবু জলভরা চোখ দিয়ে দেখে
যাই নদীচাষ বেলা। কীভাবে মৃত্যুও উপাখ্যান হয়ে বাঁক ফেরে, নিঃশব্দ নিয়তি।

আরেকটি মে দিবসের কবিতা

সবাই জেগে থাকতে পারে না। কেউ কেউ আয়ু পাহারা
দেয়। কেউ কেউ হাতঘড়ির কাটার মতো, ঘুরে পৃথিবীর
উত্তর প্রান্তে – যেখানে কেবলই ঢেউ, কেবলই ধূসর।

যারা ঘুমায়, তারা ভালো থাকে অবশেষে। না দেখার
সাম্রাজ্যে সেতু বানাতে বানাতে, অন্যকে পার করার
তাড়না অনুভব করে না। অথবা ধার ধারে না হিসেবের।

জীবনের আদি হিসেবের নাম অর্থ। কানাকড়ির সংসার।
যারা ফেরার সেজে, এই সংসার ছেড়ে যায়-
তাদের বেদনা লিখে রাখে না কোনো প্রেমের খাতা
আর প্রতিটি নিশ্বাস জানে,
আকাশের স্তরে স্তরে জমে থাকে কেমন হলুদ শূন্যতা…

নীরব পাথরচূর্ণদের সাথে কথোপকথন

তিনবছর আগে যে স্থানটিতে হলুদ ফুল ছিল, সেখানে ফোটে রয়েছে
কয়েকটি শাদা ফুল। আমি সেই ফুলগুলোর সামনে দাঁড়ালাম। এখনও
বসন্ত আসেনি এই সেন্ট্রাল পার্কে। ঋজু অশ্বখুর, ভেদ করে যাচ্ছে পীচ
ঢালা পথ। দূর থেকে ছুটে আসা পর্যটক পুরুষ, ধরে আছে প্রেমিকার
হাত। ছুটছে অশ্ব-ডানে বামে ঝুলে আছে বিক্রেতাদের সাজানো খাদ্যতালিকা।

ভেতরে সবুজ ঘাসের উঁকি। নীরব পাথরচুর্ণদের মুখাবয়ব দেখে প্রাচীন
কবি, শত বছর আগে বেঞ্চের হেলানে লিখেছিলেন যে কবিতা—তার হ্রস্ব
পংক্তিমালায় আমার চোখ পড়ে। দেখি একটি ছায়া দাঁড়িয়ে আছে আমার
ঠিক পেছনে। পাথরের ছায়া দেখে কিছুটা চমকে উঠি। এই আঙুলগুলো
কার!তবে কী কোনো মানুষ পাথর হয়ে গেছে এই বৃক্ষবিতানে! কোনো
গ্রীবাচিহ্ন আঁকছে চুম্বনের সর্বশেষ দাগ!পাতার নীচে পড়ে আছে কোনো
ভালোবাসার শেষচিঠি!অবাক হতে হতে হাঁটতে থাকি। আমার মেয়ে আমার
একটি ছবি তুলবে বলে ক্যামেরা তাক করে। আমি হাত দিয়ে উজ্জ্বল সূর্যকে
আমার মুখমণ্ডল থেকে সরাতে চেষ্টা করি। আরেকটি পাথর আমাকে ডেকে
বলে— ঠিক এখানেই একদিন দাঁড়িয়েছিলেন মহামতি রবীন্দ্রনাথ।