জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

জীবন তরী ও সত্যের পথে

জীবন তরী
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪+৪/৪+২

সুখের দুখের জীবন তরায়
একই সঙ্গে থাকে,
লোকের মুখের একটা বুলি
দুঃখ পুষে রাখে।

জীবন নদে নৌকা বয়ে
সতত তারা চলে,
নানা জনের নানা বুলি
কিছুই না’রে বলে।

দীর্ঘদিনে একসঙ্গে
থাকে দু’জন তারা,
একে অন্যের মনের কথা
বলে হয় যে সারা।

কখন গেছে কেমন দিবস
জানেন যে দুজনে,
সেই সব কথা বলে বলে
ভাবে শত ক্ষণে।

লোকের মুখের বাঁকা কথায়
রাখলে জীবন থেমে,
দুঃখে ভরা জীবনটাতে
দুঃখ আসবে নেমে।

রচনাকালঃ
১৬/০৭/২০২১
————————–
সত্যের পথে
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪+৪/৪+৪/৪+১

মিথ্যা ছাড়ো সত্য ধরো
নইলে মিথ্যায় পুড়ে মরো
আখের হবে ভার,
সত্যের পথটি ধরে রাখো
জনম জনম সুখে থাকো
তবেই হবে পার।

সত্যের পথে শান্তি মিলে
মিথ্যার পথে ভয়’যে দিলে
মনটা কাঁপে আজ,
ধরার বুকে সত্য হলো
মিথ্যার চেয়ে ভীষণ ভালো
নেই বলতে আর লাজ।

ধরার যত সাধু লোকে
সত্যের পথে তারা থাকে
করে না তো ভুল,
ধরার বুকে পাপী যারা
ভীষণ মিথ্যা বলেন তারা
নয়তো সাদা ফুল।

সত্যের পথে চলে ভাই সব
মিথ্যা নিয়ে নেই কলরব
চলে সত্যে পথ,
জীবন মুখে খাড়া থাকা
মিথ্যায় ভীষণ কালিমাখা
চলবে না প্রাণ রথ।

রচনাকালঃ
১৬/০৭/২০২১

কলমের আত্মকাহন ও শুধুই প্রিয়ার জন্য

কলমের আত্মকাহন
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৬+৬+৬+২ মাত্রা বৃত্ত

আমি তো কলম লিখি মানবের সব বিরহের কথা
যাহা লিখিতে যে আমার হৃদয় কোণে লাগে শুধু ব্যথা।
আমার জন্ম ইতিহাস হেন গরবের নয় ভাই,
আমাকে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করে নাই।

আমি তো সবার কথাই লিখেছি স্ব কিছুই লিখি নাই
ভেবেছি লিখবো নিজের কথাই মন অভিলাষে তাই।
আমাকে দিয়ে যে কবিরা কবিতা লেখেন কত না কত
সে কবিতা খানি শ্রবণে সবার মনে খুশি শত শত।

আধুনিক এই সভ্যতারই যুগে মোর কৃতি ভালো
জ্ঞান আহরণ পথ হলো ভাই ধরার জন্য আলো।
আমি থাকি সদা জ্ঞানী গুণী আর বিজ্ঞ জনের কাছে,
বিচারক রায় লেখার জন্য আমায় ধরেই আছে।

আমাকে দিয়ে যে প্রশ্নে জবাব লেখেন স্কুলে বয়
অযত্নে থাকি আমার কথা যে কেউ আর নাহি কয়।
আমি অত্যন্ত ভাষাহীন ভাবে জীবন দিলাম পারি
আমার জীবন কালি শেষ হলে ডাস্টবিন যে বাড়ি।

আমি আজ নিজ জীবনের কথা ভাবতে ভাবতে ফাঁদে
কি আমি লিখিনি যে কথা ভাবিতে হৃদয় আমার কাঁদে।
সুখের বচন দুখের কথন লিখেছি পরের ভাষা,
আমার জীবনে অভিলাষ ছিলো লিখবো আপন আশা।

রচনাকালঃ
১৪/০৭/২০২১
——————————–
শুধুই প্রিয়ার জন্য
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪+৪/৪+২

হৃদয় কোণে আমার আশা
শুধু প্রিয়ার জন্য
প্রিয়াকে যে কাছে পেলে
জীবন হবে ধন্য।

হৃদয় কোণে প্রিয়ার জন্য
গভীর ভালো’বাসা,
জীবন আমার পূর্ণ হবে
মিটলে মনের আশা।

প্রিয়া তোমার কথা আমার
খুবই পড়ে মনে,
সাঁঝ প্রভাতে সন্ধ্যা রাতে
ভেবে ক্ষণে ক্ষণে।

হৃদয় জুড়ে প্রেম বিরহ
জ্বলছে সদা আগুন,
কেন সেকালে আসবে আমার
হৃদয় কোণে ফাগুন।

আমার অবুঝ মনটা ভীষণ
তোমাকে চাই প্রিয়া,
তুমি ছাড়া কাঁদে আমার
এই না অবুঝ হিয়া।

রচনাকালঃ
১৫/০৭/২০২১

স্বার্থপর ও পরচর্চা

স্বার্থপর
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪+৪/৪+২

মানুষ ছুটছে স্বার্থে পিছু
এই না ধরার বুকে,
পাপের টাকায় সবি করে
থাকতে চাই যে সুখে।

পাপের ফলে নষ্ট ধরা
লোভী হলে পাপী,
স্বার্থের পিছু হাটে তারা
চায় না’তো ভাই মাফি।

আপন স্বার্থের জন্য মানুষ
খুন সংঘাতে মাতে,
মৃত্যু হলে যেতে হবে
শুধুই খালি হাতে।

কিসের জন্য স্বার্থের পিছু
পাগল হয়ে ঘোরো,
ভালো মন্দের ভালো জ্ঞানে
ভালো পথটি ধরো।

আপন কথা আপন স্বার্থ
সতত ভাবো তুমি,
তোমার চাওয়া পুরো ধরার
যতো আছে ভুমি।

রচনাকালঃ
১৪/০৭/২০২১
—————————–
পরচর্চা
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪+৪/৪+৪

নিন্দা করা নিন্দুকের কাজ
এমন করেই চলে ধরা,
নিন্দুকের ওই নিন্দার ফলে
শুদ্ধ হয় ভাই জীবন তরা।

খুটিনাটি ভুল করলে ভাই
নিন্দুকের ওই চোখে পড়ে,
শুদ্ধিকরণ পুরো জীবন
থাকবে জনম জনম ভরে।

বিনা মূল্যে ময়লা ধুয়ে
নিন্দুক করে পবিত্র ভাই
তাহার মতো আপন স্বজন
পৃথিবীতে কারো তো নাই।

নিন্দা করবে নিন্দুক ভাই
এটাই রীতি জগৎ মাঝে,
তোমার আমার নিন্দা করা
তাই বলো কি কভু সাজে।

নিন্দুক হলো ধরার বুকে
সবার খুবই ভালো মিত্র,
করলে ভুল ভাই সাথে সাথে
তুলে ধরে কাজের চিত্র।

রচনাকালঃ
১৫/০৭/২০২১

শুধুই আশা ভালোবাসা ও মৃদুস্বরে হাসি

m08

শুধুই আশা ভালোবাসা
৬+৬/৬+২

হৃদয়ের কোণে – প্রতি ওই ক্ষণে
ফাগুন কাঁদিছে ওই
নিরালয়ে বসে -মন খুশি হাসে
প্রাণ চাই সদা সই।

মনের আগুন -আগত ফাগুন
ফোটে ওই নানা ফুুল,
শুধু ভালোবাসা – মনে বেশি আশা
সহে না’তো কোনো ভুুল।

পাখিদের সাথে – ভালো তবিয়তে
মন গাহে কত গান,
পাশে পাশে থাকি – নানা ছবি আঁকি
ভরে সদা মন প্রাণ।

জোনাকির আলো -মনে লাগে ভালো
তুুুমি আমি এক হয়ে
প্রাণ রথে রথে – চলি ঠিক পথে
কভু মোরা ভুল নয়ে।

সইয়ের কথা – মন ছোঁয়া ব্যথা
ভাবি বসে আমি তাই,
তোমার যে মতো -সাথী শতো শতো
পৃথিবীতে সাথী নাই।

রচনাকালঃ
০৮/০৭/২০২১
——————————

মৃদুস্বরে হাসি
৪+৪/৪+২

ছেলেবেলায় শুনেছি যে
কত হাসির কথা
সেই হাসির কি কথা বলা
যাবে যথা’তথা।

মৃদু হাসি আছে মুখে
হাসি কত প্রকার
জনে জনে আমি বলি
আছে হাসির আকার।

কারো মুখে অট্টহাসি
কারো মুখে মৃদু
কোন হাসিতে বলো আছে
দৃষ্টিকারা জাদু।

তেমন হাসি মুখ ওই আমি
কিনতে চাই যে তবু
এমন হাসি মুখ’কি ধরায়
পাওয়া যাবে কভু।

মৃদু হাসি মুখে আছে
তারে লাগে ভালো,
হোক না ধরার বুকে তিনি
খুউব খুউব কালো।

রচনাকালঃ
০৮/০৭/২০২১

ইচ্ছে খুশি ও বাংলার নারী

৫+৫/৫+৪

ছোটন সোনা বায়না ধরে
ইস্কুলে সে যাবে তাই
করোনারই দরুন ভাই
ইস্কুল তো খোলা নাই।

ছোটন সোনা চাঁদের কোণা
শিখবে ভাই লেখাপড়া,
ইচ্ছে তার জানবে সে যে
জানা অজানা পুরো ধরা।

মহামারি ও দরুন দেশে
লকডাউন নেই শেষ,
ছোটন সোনা বলে সতত
ইস্কুলে যে যাবো বেশ।

শিক্ষা থেকে ছিটকে গেছে
ধরার সব ভাই শিশু,
বায়না বড় ছোটন সোনা
ঘোরে সতত মোর পিছু।

কৌতূহল যে ছোটন সোনা
জ্ঞানের পথে সে চলবে,
গুরুর সাথে মুখে মুখেই
পড়া সতত যে বলবে।

রচনাকালঃ
০৮/০৭/২০২১
————————————–
বাংলার নারী
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪/৪+২

বাংলার নারী পড়ে শাড়ি
নানা রকম সাজে,
জি সিরিয়াল দেখে তারা
মন বসে না কাজে।

অসল সময় করে পারি
সদা করে গল্প,
যদি কেউ ভাই যেতে রে চাই
বসো একটু অল্প।

ভালো কাজে মন বসে না
দারুণ বিমুখ তারা,
পরচর্চা করে নারী
কাটে দিন যে সারা।

ইচ্ছে মতোন ঘুরাঘুরি
জি সিরিয়াল দেখে,
মনের ভিতর অনেক কথা
সবকে বলতে থাকে।

আগের মতোন নারীর মন ভাই
কাজের দিকে ওই নাই,
হেলায় হেলায় সময় কাটে
শুধু শুধু ও ভাই।

রচনাকালঃ
০৪/০৭/২০২১

ধনী ও দরিদ্র, দূষিত পৃথিবী

৪+৪/৪+২

দরিদ্র কয় ও ধনী ভাই
আছিস সুখে তোরা,
খাদ্য বিহীন উপোস থাকি
দরিদ্র যে মোরা।

সুখের সাথে তোদের কাটে
দিন যে কত ভালো,
দুখের সাথে জীবন কাটে’
কষ্ট ভীষণ কালো।

একটু খাদ্যের জন্য মোরা
কষ্ট করি কত,
মন খুশিতে নষ্ট করে
খাদ্য শত শত।

অট্টালিকার উপর বসে
মন খুশিতে হাসি,
নিত্য দিনে মোদের জন্য
খাদ্য পঁচা বাসি।

এভাবেই তো জীবন নদে
নৌকা বয়ে চলে,
ও ধনী ভাই জীবন কষ্টে
চলি নানা ঝলে।

.
রচনাকালঃ
০৭/০৭/২০২১
———————————

দূষিত পৃথিবী

৮+৮ অক্ষর বৃত্ত

এমন দূষিত ধরা আমি চাইনি তো কভু
চেয়েছিলাম রে ভ্রাতা দূষণহীন ভূ তবু।
যেখানে আছে আমার খোলামেলা বিচরণ
সতত সবাই কাটে সারাবেলা ভাই বন।

বিচার বিহীন সবে দূষণ করে যে ধরা
তারে তরে পৃথিবীতে শুধু শুধু হয় খরা।
মানুষের হয় শুধু নানা ধরনের রোগ
মাটি, পানি দূষণ যে নানা রোগে ভাই ভোগ।

পরিবেশের সাথে যে মানুষের নাই যোগ
গাছগাছালি কাটিয়ে সবে সয় দুর্ভোগ।
নাই ভ্রাতা তত ভালো আগের মতোই ধরা
দূষণে দূষণে ভ্রাতা এই পৃথিবীটা ভরা।

নাই কোথায় রে ভ্রাতা একটু ভালো যে কিছু
যদি থাকে তা আনার সবে ছুটে পিছু পিছু।
আগে মতো পৃথিবীতে ডাকে না তো কভু পাখি
একটু পাখির ডাক শোনা তরে চেয়ে থাকি।

পরিবেশ দূষিত রে সব কিছু বদ ফল
পানি দূষণের হেতু যেখানে সেখানে মল।
এমন হওয়ায় যে সকল জিনিস আনা
নাই কেউ ভ্রাতা ভালো এ বিষয়ে শুধু জানা।

.
রচনাকালঃ
০৭/০৭/২০২১

শ্রেষ্ঠ নেতা ও রক্তাক্ত আগস্ট

৪+৪/৪+২

মুজিব হলো শ্রেষ্ঠ নেতা
বাঙালির ওই জন্য,
মুজিবকে যে পেয়ে জাতি
জীবন তবে ধন্য।

মুজিব হলো বাঙালির ওই
স্বাধীনতার জনক,
তার ইতিহাস ওই জগৎ জুড়ে
করছে মাইল ফলক।

মুজিবের ওই নেতৃত্ব ভাই
মুক্ত হলো ভূমি,
মুজিব হলো নক্ষত্র তুল
তোমায় সবাই চুমি।

তোমার জন্য দেশের মানুষ
স্বাধীন ভাবে চ’লে,
মুজিব হলো জাতির পিতা
সারা বিশ্ব ব’লে।

হাজার বর্ষের শ্রেষ্ঠ তুমি
তুমি বাংলার আলো,
তোমায় ছাড়া বাঙালির প্রাণ
ভীষণ ভীষণ কালো।

রচনাকালঃ
১৩/০৮/২০২১

——————————-
রক্তাক্ত আগস্ট
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪/৪+২

শোকের ছায়া আগস্ট জুড়ে
মুজিব ভক্তের চোখে,
মীর জাফররা সোনার বাংলায়
বেঁচে আছে দুখে।

মুজিব ভক্ত মুজিব সেনা
অঝোর ধারায় কাঁদে,
শেখ মুজিবকে হত্যা করে
বাঙালিরা সব ফাঁদে।

এমন দিনটি দেখতে হবে
ভাবেনি কেউ কভু,
মীর জাফরের বংশের লোকতা
দিয়ে গেলো তবু।

মুজিবের ওই রক্ত সারা
দেশে গেছে ছেয়ে,
তাঁহার কীর্তি কাব্য বাংলা
তাঁহার গানটা গেয়ে।

শত কষ্ট করে মুজিব
স্বাধীন করলো বাংলা,
চাইলে কেউ না করতে পারে
ইচ্ছে খুশি হামলা।

সোনার বাংলায় মুজিব কীর্তি
ভুলবে না তো কেহ,
তাঁহার জন্য বাংলার নরের
বেঁচে আছে দেহ।

রচনাকালঃ
০৯/০৮/২০২১

পশ্চাতের সময় ও আমাদের কথা

৮+৬ অক্ষর বৃত্ত ছন্দ
পেত্রার্কীয় সনেট
কখখক/কখখক/গঘগঘগঘ

পশ্চাতের দিনগুলো খুব ছিলো ভালো
হেসেখেলে নানা খেলা সারাদিন কাটে,
গিরিপথ দিয়ে বয়ে গেছি কত হাটে;
পশ্চাতের দিনগুলো প্রাণে খুব আলো।
ইচ্ছে খুশি ঘুরে ফিরে রাগটা যে কালো
পশ্চাতে আছে জীবনে সুখে তো ললাটে
হেনকালে দুখে ভাসে আঁখিজলে পাটে;
নদী তীরে স্নিগ্ধ ভোরে সূর্য প্রভু জ্বালো।

ছেলেবেলা মতো সুখে ক্ষণ কাল নাই
বাবা মায়ের কাছেতে ধরি মর্জি কত,
চেয়েছি যে আমি যা যা পেয়েছি তো তাই
সারা প্রাণ ক্ষণ কাল লেগে থাক শত।
আসিবে না কভু ফিরে অতীত তো ভাই,
করি মোরা বৃথা চেষ্টা প্রাণপণে যত।

রচনাকালঃ
১৩/০৮/২০২১
———————
আমাদের কথা
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪+৪/৪+১

মোদের কথা বলবো কি আর
কষ্ট প্রাণে আজ
মানুষ হয়ে মানুষ মারে
এ কেমন ভাই কাজ।

ভাবি আমি তাদের কথা
অন্তরে নেই ভয়,
নরহত্যা করে তারা
ভয় করেছে জয়।

পাখির প্রতি মানুষের ওই
যত মায়া ভাই
নরের জন্য নরের রে ভাই
তত মায়া নাই।

নরহত্যা জঘন্য কাজ
সবাই জানে ভাই,
মারার বেলায় তাদের কথা
মনে জাগে নাই।

আছে তাদের পরিবার ভাই
কষ্ট কাটে দিন,
যারে তুমি হত্যা করলে
কি ছিলো তার ঋণ।

রচনাকালঃ
০৬/০৭/২০২১

তুমি আমি ও লেখাপড়া

৪+৪/৪+২

থাকো তুমি যতই দূরে
গিরি কিংবা বনে,
পাখি হয়ে উড়ে গিয়ে
বাঁধবো বাসা মনে।

থাকবো তোমার পাছে পাছে
প্রতিক্ষণে ক্ষণে,
বাতাস হয়ে বয়ে চলবে
প্রিয়া তোমার সনে।

চোখের আড়াল তোমায় আমি
করতে চাইনা কভু,
কাঁকন নোলক হয়ে সদা
থাকবো শুধু তবু।

ভালোবাসি বলেই আমি
ঘুরছি পাছে পাছে,
সকাল সাঁঝে নিত্য কাজে
থাকবো কাছে কাছে।

তোমায় খুশি করার জন্য
ফুলের বাগে ফুটবো
তোমার জন্য নদী হয়ে
সাগর পানে ছুটবো।

রচনাকালঃ
০৬/০৭/২০২১
—————————
লেখাপড়া
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪/৪+২

লেখাপড়া শিখতে হবে
বুঝতে হবে ভালো,
জানতে হবে পুরো ধরা
আনতে হবে আলো।

লেখাপড়া মনে ময়লা
সদা করে ধ্বংস,
লেখাপড়া সুখের উল্লাস
সমাজের ওই অংশ।

জ্ঞানে দৃপ্ত শুদ্ধ ভাবে
গেছে সমাজ জুড়ে,
মনের সকল স্বপ্ন গুলো
যাচ্ছে রে ভাই দূরে।

পুরো জীবন স্বপ্ন নিয়ে
চলতে দেয়’রে শিক্ষা,
জ্ঞানের প্রতীক শিক্ষাগুরু
দিলেন তিনি দীক্ষা।

শিক্ষা ছাড়া জীবন পথে
চলা যায় না কভু,
শিক্ষা হলো মেরুদণ্ড
বিজ্ঞ বলেন তবু।

রচনাকালঃ
০৬/০৭/২০২১

বই পড়া ও কাঠবিড়ালি

৪+৪/৪+২

পাঠক রে ভাই যাচ্ছে কমে
মুঠোফোনের প্রেমে
তা বলে কি কবির কলম
থাকবে রে ওই থেমে।

থামবে না’রে কবির কলম
বই যদি না পড়ে
টেলিভিশন মুঠোফোন ওই
সবার ঘরে ঘরে।

মুঠোফোনের প্রেমে পড়ে
পাঠক গেছে কমে
আস্তে আস্তে ধরার বুকে
আঁধার আসবে জমে।

জ্ঞানে আলো অতি ভালো
বই পড়ে ভাই সবে
নইলে তোমরা অজ্ঞ হবে
পিছে পড়ে রবে।

ভালো জ্ঞানের উৎস হলো
বই, তা সবাই জানে
বই পড়ার ওই কথা জ্ঞানীর
কারা এত মানে।

রচনাকালঃ
০৫/০৭/২০২১
——————————–
কাঠবিড়ালি
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪/৪+২

খোকার সাথে কাঠবিড়ালি
করে ভালো খেলা,
খোকা জানে বিকেল বেলা
কাঠবিড়ালির মেলা।

ইচ্ছে খুশি ছুটে চলা
সবার সাথে দলে,
কাঠবিড়ালি খোকার সাথে
শুধু যায়’রে চলে।

কাঠবিড়ালি কোমল দেহ
হাতে হাতে দিয়ে,
খাইতে নাইতে নিত্য চলে
কাঠবিড়ালি নিয়ে।

খোকার সাথে কাঠবিড়ালির
ভালো বোঝা পড়া,
কাঠবিড়ালি জানে সেটা
কাছে গেলে ধরা।

কাঠবিড়ালি সাথে খোকা
সদা খেলা করে
যেতে চাইলে কোনো স্থানে
শুধু পিছু ধরে।

রচনাকাল
৩০/০৬/২০২১

আমার জেলা ও দেশের জন্য

৪+৩/৪+৩/৪+২

বাড়ি আমার ভোলা ভাই
মনটা ভীষণ খোলা তাই
বলে আমার চাচা,
সবার সাথে মিশে যাই
নিত্য বসে খাবার খাই
জীবনটা তো বাঁচা।

আমার জেলায় হয় খেলা
প্রকৃতির সেই দিন মেলা
নানা জিনিস যত,
দ্বীপে ভাসে ওই ভেলা
ঐতিহাসিক নিজ জেলা
পর্যটক ওই শত।

ঢাকা থেকে অনেক দূর
পাখির আছে মধুর সুর
বিভোর করে প্রাণ,
রাতে ছাড়ায় জোনাক নূর
বনে আছে হাতির শূঁড়
দেখে ধরি গান।

রচনাকালঃ
০৫/০৭/২০২১
——————————
দেশের জন্য
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪+৪/৪+১

আসুক যতোই ঘাত প্রতিঘাত
আসুক যতোই ঝড়
দেশের জন্য লড়বো মোরা
করবো নাকো ডর।

আপন দেশে পরের শাসন
মানবো না’রে ভাই
আপন দেশে আপন শাসন
করতে মোরা চাই।

আপন দেশে পরের বিধান
মানতে কষ্ট হয়
পর তাড়াতে লড়তে হবে
যোগ্য নেতা কয়।

দেশকে মুক্ত করতে হবে
দেশই হলো মা
তার গর্ভে যে জন্ম মোদের
মোরা যে তার ছা।

মনে আছে ভাই যাদের ডর
থাকবে দাস তাই
ঐক্য গড়ো বাঙালি সব
অন্য উপায় নাই।

রচনাকালঃ
০৫/০৭/২০২১

সেই তুমি ও বর্ষাকাল

৪+৪/৪+১

তুমি আমার সোনার পাখি
তুমিই আমার জান
রোজ বিকেলে হর্ষে ধরে
মিষ্টি মধুর গান।

তুমি আমার আশার আলো
তুমিই আমার সব
তোমায় নিয়ে নিত্য বলি
আল্লাহ আমার রব।

তুমি আমার চাঁদের মতো
বিভোর করা প্রাণ
তুমি আমার শুধু চাওয়া
তুমিই আমার মান।

তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি
তুমি আমার চাঁদ
তুমি আমার আমি তোমার
রেখে না’রে ফাঁদ।

যুগল বন্দী জীবনে ওই
থাকে না’রে দুখ
হাতে হাতে রেখে আমরা
লাভ করবো সুখ।

রচনাকালঃ
০৪/২০২১
———————–
বর্ষাকাল
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪+৪+২/৪+৩

জলে থৈথৈ করে রে ভাই বর্ষার ওই না সময়
শিশুদের ওই নাইতে ভয়
হাসি মজার নিত্য হয়
সুন্দর সুন্দর কথা কয়
শাপলা শালুক ফুলে ফুলে ভরে গেছে মৃন্ময়।

ভেলা চড়ে ঘোরাঘুরি বন্ধুদের ওই সনে
দিবানিশি ভাবি তাই
বহু কিছু দেখতে’রে পাই
নানা রকম কাঁদা ভাই
মনের খুশি দেখা যায় রে আনন্দ যে ক্ষণে।

জেলেরা সব ধরেছে মাছ তটের সবাই ওই পাশ
ছোটো ছোটো নানা মাছ
দেখতে চাই যে বারো মাস
জলের তলে প্রচুর ঘাস।
টোপা পানা ক্ষুদি পানা জলে ইচ্ছে ওই ভাস।

সাতার কেটে বর্ষাকালে নানা যে হয় খেলা
লাফালাফি করেছি
নানা বাজি ধরেছি
পিছলে কত পড়েছি
মন আনন্দে সবার সাথে ঘোরা নিয়ে ভেলা ।

রচনাকালঃ
২৭/০৬/২০২১

মানব জীবন ও ছোটন সোনা

৪+৪/৪+২

জন্ম আমার মানবকুলে
মনে কত আশা,
আশা গুলো বলবো আমি
খুঁজে পায় না ভাষা।

প্রভুর বিধান মেনে চললে
জীবন হবে ধন্য
বিধান মেনে না চললে ওই
আখের হবে শূন্য।

মানব জন্ম নয়তো সহজ
পদে পদে বাঁধা
সব বাঁধা যে কাটতে পারলে
মনটা হবে সাদা।

সৃষ্টিসেবা করে যেজন
মনে প্রাণে সবে
নিখিল বিশ্ব সবি তারি
তিনি মালিক ভবে।

সময় বয়ে চলে সদা
মানব জীবন সেরা
দায়িত্ব আর কর্তব্যতে
পুরো জীবন ঘেরা।

রচনাকালঃ
৩০/০৬/২০২১
———————–
৪+৪+৪+৪

ছোটন সোনা
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

খোকা খুকি দেখতে পেলো
ছোটন নাকি নাইতে গেলো
নদীর জলে
সাতার চলে
মায়ের ভয়ে এলোমেলো।

মা আসবে খোকা বলে
ছোটন সোনা দৌড়ে চলে
মনে মনে
ক্ষণে ক্ষণে
শাপলা শালুক নদীর জলে।

খোকা খুকি বিকেল বেলা
মন আনন্দে করে খেলা
ছোটন ডাকে
মায়ের হাঁকে
নদীর তীরে শিশুর মেলা।

দারুণ কাব্য শৈলী কথা
ছোটনের মন আছে ব্যথা
বায়না বড়
জড়ো সড়
বলবো কাকে যথাতথা।

রচনাকালঃ
০৪/০৭/২০২১

শ্রাবণের বারিধারা ও রতির ক্ষতি

শ্রাবণের বারিধারা
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪/৪+১

শ্রাবণের ওই বারিধারা
আশায় থাকে মন,
প্রেমের জোয়ার আসে মনে
যেতে পুষ্প বন।

ভ্রমরের গুন গুণ দেখে তো
মনে জাগে প্রেম,
বারিধারা লাগি পদ্মা নদীর
পলিতে পড়ে হেম।

পদ্মা নদীর প্রেমে পড়ে
সময় গেছে সেই,
তুমি আমার কাছে ছিলে
আজি বুঝি নেই।

শ্রাবণের ওই রিমঝিম রিমঝিম
শব্দ মধুর গান,
প্রেমের কথা প্রেমিক বলে
জুড়ায় মন আর প্রাণ।

স্নান করে তরুলতা
শ্রাবণের ওই ঢল,
প্রেমে ব্যর্থ হলে পারে
থাকে না তার ফল।

রচনাকালঃ
১৩/০৭/২০২১
———————-

রতির ক্ষতি
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৫+৫/৫+২

পরম পিতা রতির মিতা
করছে ক্ষতি সবে
আপন পরে সকলে মরে
বাড়লে অতি তবে।

জীবন খসে খারাপ রসে
হয়ে যে জ্ঞান হারা
খুশিতে যারা আত্মাহারা
প্রাণ দেয় যে সারা।

রতির যাদু শিখায় সাধু
প্রেমের কথা বলে
ভবের হাঁটে তুমি খাটে
শিক্ষা নিয়ে চলে।

সবার প্রাণে রতির টানে
আঁধার নেমে আসে
রতির খেলা রাতের বেলা
নর নারীরা ভাসে।

রতি দমন করো এমন
নইলে মরে যাবে
জীবন রথে সঠিক পথে
শাস্তি তবে পাবে।

রচনাকালঃ
০৩/০৭/২০২১

নারীর জীবন ও গাঁয়ের বধু

৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

মেয়ে মানে জনম জনম
কষ্ট দিয় ভরা,
দুখের ভেলা পারি দিলে
একটু সুখ আর খরা।

মেয়ে মানে সংগ্রামী ভাই
মেয়ে লোকই মাতা,
তাদের কথা লেখা নেই ওই
ইতিহাসের পাতা।

মেয়ে মানে সন্তান লালন
এটা ভুল তো কথা,
ছেলে লোকের কাছে মেয়ের
দাম নেই যথা’তথা।

মেয়ে মানে মনের শক্তি
মেয়েরা সবে কবি
মন খুশিতে বসে বসে
আঁকেন কত ছবি।

মেয়ে মানে কারুকার্য
মনোরম সেই ঘরে,
ছেলেরা সব থাকে সেথায়
জনম জনম ধরে।

১০/০৭/২০২১
—————-

গাঁয়ের বঁধু
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪/৪+১ স্বরবৃত্ত ছন্দ

গাঁয়ের বধু হেলে দুলে
পুকুর ঘাটে যায়,
ঝুমুর ঝুমুর শব্দ তাহার
দিয়ে নুপুর পায়।

নুপুরের ওই দারুণ ছন্দ
পথিক ভোলে পথ,
গায়ের বধু সুন্দর দেখায়
দিলে নাকে নথ।

নুপুর পায়ে হেঁটে চলে
গাঁয়ের বধু ভাই,
কলসি কাঁখে নিয়ে যখন
জল আনিতে যাই।

মিষ্টি মুখের মিষ্টি কথা
পাখির মতো ডাক,
পিছন থেকে কে দিলো রে
মায়া বলে হাঁক।

যেয়ে দেখে পুকুর ঘাটে
পড়ে তাহার জা,
কি জানি কি টান দিয়েছে
তাহার দুটি পা।

রচনাকালঃ
১৩/০৭/২০২১