জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

আমার শেখা ও বারিধারা

৫+৫/৫+৩

গুরু আমার জগৎ জুড়ে
সবার আমি ছাত্র,
নানা জনের কাছে থেকেই
শিখেছি আমি মাত্র।

চাঁদের কাছে শিখেছি আমি
মিষ্টিমুখে হাসতে,
মাছের কাছে শিখেছি আমি
দারুণ ভাবে ভাসতে।

বায়ুর কাছে শিখেছি আমি
দ্রুত গতিতে চলতে,
টিয়ার কাছে শিখেছি আমি
মধুর বুলি বলতে।

ফুলের কাছে শিখেছি আমি
রম্য ভাবে ফুটতে
নদীর কাছে শিখেছি আমি
দারুণ ভাবে ছুটতে।

পৃথিবী হলো বিশাল খাতা
লেখা নানান জিনিস,
জ্ঞান বুদ্ধি শেখানোর তো
হয় না কভু ফিনিস।

রচনাকালঃ
১২/০৭/২০২১

বারিধারা
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৮+৭/৬ (বিশাখ পয়রা)

আকাশটা ঘন মেঘে /ডেকে আছে কভু রে
ডেকে আছে কভু,
নদীনালা খালে বিলে / জলে থৈথৈ তবু রে
জলে থৈথৈ তবু।

বারিধারা অবিরাম / চলে শুধু চলে রে
চলে শুধু চলে,
কদম কেয়া ফুলের / বর্ষা রানি বলে রে
বর্ষা রানি বলে।

দেয়ার ডাকে সবাই / ঘরে মধ্যে থাকে রে
ঘরে মধ্যে থাকে,
ময়ূর নাচের সদা / পুচ্ছ লুকে রাখে রে
পুচ্ছ লুকে রাখে।

বৃষ্টির দিনে ব্যাঙের/ মনোরম হাঁকে রে
মনোরম হাঁকে,
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ব্যাঙে / মন খুলে ডাকে রে
মন খুলে ডাকে।

কচুরিপানা জলে /জলে সদা ভাসে রে
জলে সদা ভাসে,
নদীনালা খালে বিলে / নানা দব্য আসে রে
নানা দব্য আসে।

রচনাকালঃ
১২/০৭/২০২১

আনন্দ খেলা ও বর্ষার ছন্দ

৪+৪/৪+৪

আয়’রে ছেলে আয়’রে মেয়ে
খেলবি তোরা নেচে গেয়ে।
রোজ বিকেলে হবে খেলা
দেখবো সবে সারা বেলা।

দারুণ হাসি মজা অতি
ছুটবে সবে নেইকো গতি।
লুকোচুরি খেলবে সবে
ভোজন হবে রাতে তবে।

ছোট্টো ছোট্টো ছন্দে ধরে
গানটি তারা যাবে করে।
গানের মেলা ভাঙা যখন
প্রাণে দোলা লাগবে তখন ।

হাতে হাতে রাখা সারা
নানা খেলা খেলে তারা।
গোল্লাছুট আর কানামাছি
ধাক্কা দিয়ে বলে আমি আছি।

দলে দলে নদীর ঘাটে
নাইতে বসে পাটে পাটে।
সাঁতার কাটা বর্ষাকালে
মাছ ধরেছে জালে জালে।

রচনাকালঃ
১১/০৭/২০২১
————————–

বর্ষার ছন্দ
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪/৪+২

মাদল বাজে মনের ভিতর
ওই না বর্ষার ছন্দে
আশেপাশে ভরে গেছে
কদম কেয়ার গন্ধে।

বৃষ্টির শব্দ জল কলতান
দারুণ ভালো লাগে
বর্ষার আরো কত ফুল ওই
ফুটে আছে বাগে।

জেলে নেমে গোসল করা
নৌকা নিয়ে ঘোরা
কদম গাছে কেয়া গাছে
ফুল যে জোড়া জোড়া।

বর্ষাকালে নদের জলে
নানান জিনিস ভাসে,
দূরের কোনো স্থানে থেকে
মাঝি তেরে আসে ।

নতুন জলে নতুন মাছ ওই
করে শুধু খেলা,
মন খুশিতে সবাই ভাসে
নতুন নতুন ভেলা।

রচনাকালঃ
১২/০৭/২০২১

জীবন সাথী

৪+৪/৪+১

জীবন নদে পদে পদে
বাঁধা কত ভাই
জীবন সুখে হাসি মুখে
প্রহর কাটে নাই।

জীবন পথে রথে রথে
নানা রকম খেল,
সাথী ভালো জীবন আলো
নইলে দুখের ভেল।

জীবন সাথী রাতের বাতি
থাকবে আমার সাথ,
নানা বাঁধা সাথী রাঁধা
কাটবে কত রাত।

জীবন আশা সাথীর ভাষা
মিষ্টি মধুর গান,
হাতে রেখে সাথে থেকে
জুড়ায় মন আর প্রাণ।

জীবন বাঁকে নানা হাঁকে
সাথী আলো মোর,
চেয়ে দেখি সাথী একি
সাথে বড় জোর।

রচনাকালঃ
১০/০৭/২০২১

টাকার জন্য

৬+৬+৬+২ মাত্রাবৃত্ত ছন্দ

টাকার পিছনে সকলেই ছুটে
হিতাহিত জ্ঞান ভুলে,
পাপের টাকায় পুরো ধরা শেষ
যাই কিরে পাপ ধুলে।

টাকার জন্য দূর্নীতি করে
সাধু সেজে আছে বসে
ধরার ভন্ড সকল কিছুই
নিজের জন্য খসে।

যত হানাহানি যত খুনাখুনি
সবই টাকার তরে,
মানবের মনে মানবতাহীন
প্রতিটি যে ঘরে ঘরে।

দুনিয়ার মোহে জীবন বিরহে
টাকা চাই ভাই টাকা,
পেতে টাকা শত খুন হয় থাকে
যখন পকেটে ফাঁকা।

টাকার পিছনে ছুটে টাকা ধরে
করেছো বিশাল বাড়ি,
তার সাথে তুমি করেছো অনেক
দামি দামি বহু গাড়ি।

রচনাকালঃ
১০/০৭/২০২১

জীবনের পথে

৩+৪+৪-৪ স্বরবৃত্ত ছন্দ

একটা পথ আঁকড়ে ধরো
জীবন চলার দীর্ঘ রথে
বেশি পথ ধরলে পারে
চলবে ভুলের পথে পথে।

পৃথিবীর বুকে গিরি
যেমন আছে নীরব তবে
স্বপ্ন হয় যদি তেমন
তোমার স্বপ্ন সফল হবে।

সাফল্য নির্ভর করে
দৃঢ় বিশ্বাস সুন্দর মনে
লক্ষ্যহীন জীবন চলে
এক ঝলকের বৃষ্টি ক্ষণে।

মনোবল যাদের ভাঙা
জীবনটা যে সৌরভহীন ফুল
সিদ্ধান্ত যা নিয়েছি
সদা শুধু মনে হয় ভুল।

দেখো ভাই একটা স্বপ্ন
হবে না তো কিছু মন্দ
দেখবে রে তোমার ঘরে
জ্বলছে আলোর ওই না ছন্দ।

রচনাকালঃ
০২/০৭/২০২১

মা পরশ মণি

৮+৬ অক্ষর বৃত্ত (অরিত্রিকছন্দ)

মাগো মোরে চলা পথে নয়নের আলো
মা ছাড়া জীবন রথে চলা নাহি ভালো।
দিবানিশি তুমি ক্ষণে দিয়েছো যে আশা,
তুমি ছাড়া মোরে মনে জাগে না’তো ভাষা।
সুখে দুখে সদা কত ভরসা পেয়েছি,
তোমার আশায় শত প্রহর গুনেছি।
দেবে কভু তুমি কিছু চেয়ে থাকি পথে,
নানা আশা পিছু পিছু জীবনের রথে।

মাগো তুমি আঁখি মণি কোথা গেলে চলি
তোমা পেয়ে আমি গণি কাছে এসো বলি।
সদা মোরে মনে কাঁদে দিয়ে গেল ফাঁকি
তুমি আছো কোনো ফাঁদে বুঁজে দুটি আঁখি।

রচনাকালঃ
০৯/০৭/২০২১

নদ নদী

১০+৭ অক্ষর বৃত্ত মহা পায়রা

নদের চলা বঙ্গের বুকে
কি মনোরম শোভা,
তরুর ছায়া মনের মায়া
গগনে জ্বলে নোভা।

নদীর তীরে পাখির নীড়ে
সুন্দর কলতানে
মাঝির কন্ঠে ভালো মানায়
সতত প্রিয় গানে।

সবুজ তরু নয়ন কাঁড়ে
মনে লাগে’রে ভালো,
পাতা বিহীন সবুজ তরু
দেখায় যেন কালো।

তরুর মায়া সবুজ ছায়া
শীতল করে প্রাণে,
রাখালের যে সময় কাটে
বাঁশি হাতেই গানে।

নদী সতত বয়ে চলে’রে
বঙ্গের অঙ্গ দিয়ে,
গোসল করে বঙ্গের সবে
কাঁদে শিশুর হিয়ে।

রচনাকালঃ
০৯/০৭/২০২১

সাদা কালো (সনেট)

সেক্সপেরীয় সনেট ৮+৬
অষ্টকঃ ABAB CDCD
ষষ্টকঃ EFEF GG

চর্ম দিয়ে নাহি করো নর নারী রায়
সবাই মানুষ তবে কেন দ্বৈব ভাই
জীবন নদীর মাঝি হয়ে নৌকা বায়
সবাই মানুষ মোর কাছে দ্বৈব নাই।

সাদা নর নারী আর কালোদের রক্ত
আছে কিরে কভু দ্বৈব দেখো এসে কাছে
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে যে সাদা কালো শক্ত
মিলেমিশে থাকে সবে একে অন্য পাছে।

সবে মিলে হয়ে গাহি মনুষ্যের গান
ধরার বুকেতে সবে মিলে মিশে থাকো
একে অপরের পাশে জুড়ে দাও প্রাণ
মনে গভীরে হিংসা দ্বেষ নাহি রাখো।

বর্ণ ভেদ ভুলে হাতে হাতে রেখে চলো
আমরা সবে মানুষ এক কণ্ঠে বলো।

রচনাকালঃ
২৭/০৭/২০২১

সত্যে পথে

৪+৪/৪+৪/৪+১

মিথ্যা ছাড়ো সত্য ধরো
নইলে মিথ্যায় পুড়ে মরো
আখের হবে ভার,
সত্যের পথটি ধরে রাখো
জনম জনম সুখে থাকো
তবেই হবে পার।

সত্যের পথে শান্তি মিলে
মিথ্যার পথে ভয়’যে দিলে
মনটা কাঁপে আজ,
ধরার বুকে সত্য হলো
মিথ্যার চেয়ে ভীষণ ভালো
নেই বলতে আর লাজ।

ধরার যত সাধু লোকে
সত্যের পথে তারা থাকে
করে না তো ভুল,
ধরার বুকে পাপী যারা
ভীষণ মিথ্যা বলেন তারা
নয়তো সাদা ফুল।

সত্যের পথে চলে ভাই সব
মিথ্যা নিয়ে নেই কলরব
চলে সত্যে পথ,
জীবন মুখে খাড়া থাকা
মিথ্যায় ভীষণ কালিমাখা
চলবে না প্রাণ রথ।

রচনাকালঃ
১৬/০৭/২০২১

আমার গ্রাম

393_naaa

৫+৫/৫+২ মাত্রাবৃত্ত

পদ্মা নদীর পাড়ের কাছে
আমার ছোট গাঁয়ে,
মনের মাঝে সুখটা আনে
তমাল তরু ছায়ে।

ময়না টিয়া কোকিল ঘুঘু
বহু পাখির মেলা,
গাঁয়ের ছেলে মেয়েরা করে
তাদের সাথে খেলা।

গাঁয়ে আমার বাস করে রে
কামার জেলে চাষা,
পাখির মতো তাদের মুখে
দারুণ ভালো ভাষা।

আছেন যারা সুখী দুঃখী
মিলেমিশেই থাকে,
একে পরের বিপদে সদা
আপন করে রাখে।

ছবির মতো গ্রাম খানি যে
দেখতে লাগে ভালো,
এমন গ্রামে জন্ম মোর
মনে ভীষণ আলো।

রচনাকালঃ
২৭/০৭/২০২১

শিক্ষাগুরুর মর্যাদা

৪+২/৪+২/৪+৪

শিক্ষাগুরু ভালো অন্ধকারের আলো
শিক্ষা দেয় যে রে ভাই তবু,
শিক্ষাগুরুর কথা মন নেই নিতে ব্যথা
আদেশ নিষেধ মানবো কভু।

জ্ঞানের আলো জ্বালো হবে তুমিই ভালো
শিক্ষা ছাড়া কোনো পথ নাই,
গুরুর জ্ঞানে মনে শিষ্যের ক্ষণে ক্ষণে
সদা শিষ্য ভাবে যে তাই।

মাতা পিতা গুরু তার কাছে জ্ঞান শুরু
দেয় যে মনে জ্ঞানের দৃৃৃপ্ত,
শিক্ষক দেব্যতুল্য সম্মান তারাই মূল্য
হয়ো না তাঁর উপর ক্ষিপ্ত।

গুরুর মুখের বুলি তুলবো পায়ের ধূলি
শিখবো অনেক সুন্দর কিছু,
শিক্ষক শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি করবো তাঁকে ভক্তি
জ্ঞানের জন্য ঘুুুুরবো পিছু।

শিক্ষাগুরুর দৃষ্টি শুভ কিছু সৃষ্টি
গিরি সম মর্যাদা ভাই,
শিক্ষক আমার মনে আদর্শ প্রতিক্ষণে
তাঁর সম কেউ ধরাতে যে নাই।

রচনাকালঃ
০৬/০৭/২০২১

সব মিছে

৪+৪/৪+২

মিছে ধরার পিছে পড়ে
করি শুধু খেলা
আপনজনকে দূরে ঠেলে
সুখে কাটে বেলা।

ধরার হলো রঙ্গে ভরা
সময় বয়ে চলে
মুখে দারুণ মিষ্টি কথা
ইচ্ছে করে বলে।

দুই দিনের এই ধরার বুকে
করে কত রঙ্গ
মৃত্যু এসে সকল রঙ্গ
করবে তবে ভঙ্গ।

প্রভুর বিধান মানতে হবে
নইলে পাবে সাজা
মিথ্যা আশা ভালোবাসা
খুশিতে মন তাজা।

কথায় কথায় মনে পড়ে
শুধু মৃত্যুর কথা
যেতে হবে সবে ছেড়ে
থাকবো যথা তথা।

রচনাকালঃ
০২/০৭/২০২১

শৈশবের স্মৃতি

অক্ষর বৃত্তঃমধ্যসম পর্ব ৮+৬

মনে পড়ে সেই স্মৃতি শৈশবের কথা
মা বাবা ডাকিত মোরে খেয়ে যারে খোকা
খাদ্য নিয়ে আমি কিন্তু ঘুরিবো না বোকা
শৈশবের কষ্টে খেলা মনে লাগে ব্যথা।

শৈশবের কত কথা বেশি পড়ে মনে,
কেমন দিবস গেছে ভাবি আমি তাই
শৈশবের স্মৃতি গুলো ভালো মনে নাই
নদের পাশেই বসে ভাবি ক্ষণে ক্ষণে।

অবাধেই ঘোরাঘুরি লুকোচুরি খেলা
নিত্য দিনে মা বাবার কাছে বকাঝকা,
প্রজাপতির কোমল ডানা ধরি একা
শাপলা শালুক তুলি নদে নিয়ে ভেলা।

শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে দেয় দোলা
সাথী দলে বিদ্যালয়ে হেঁটে হেঁটে চলি
সকলে মিলেই মোরা ভাবি গানে কলি
সেই দিনের কথা কি যাবে কভু ভোলা।

খাদ্য নিয়ে বাবা মোরে করিত আদর
আমি আমার মায়ের নাড়ী ছেড়ে ধন,
আমি কখনো বুঝনি মা বাবার মন,
সদা আমাকে দিয়েছো মায়ার চাদর।

রচনাকালঃ
০৯/০৭/২০২১

দেশ

images

৪+৪/৪+৪/৪+২

মায়ের মতো দেশের মাটি
তার মতো কি আছে খাঁটি
সুখে দুখে থাকি,
সোনা ফসল মাঠে ফলে
গরু নিয়ে রাখাল চলে
মায়া জালে রাখি।

কামার কুমার জেলে চাষা
তাদের মুখের সরল ভাষা
মিটায় নানা আশা,
পাখির গানে মুগ্ধ করে
বর্ষাকালে বৃষ্টি ঝরে
বাবুইপাখির বাসা।

ধূলিকণা রাস্তা ঘাটে
পশ্চিম দিকে সূর্য পাটে
হয়তো নানা খেলা,
সারা দেশের সকল কিছু
দেখার জন্য ঘুরি পিছু
ঐতিহাসিক মেলা।

দেশের জন্য জীবন মুখে
আছি মম সুখে দুখে
স্নেহ লালন করি,
একে অন্যের পাশে থাকি
হাসি মজায় ভরে রাখি
শুধু দেশে ভরি।

রচনাকালঃ
১৯/০৭/২০২১

জীবনমুখী গান

৪+৪/৪+১

নতুন ছন্দে মন আনন্দে
লিখবো আমি গান,
যে-ই গান ভাই শুনে সবার
জুড়াবে মন প্রাণ।

গানের অন্তর মেলানো ভাই
অতি সহজ নয়,
তাল লয় যেজন সৃষ্টি করে
ভালো গায়ক কয়।

একতারার ওই সুরে তালে
ধরে গান’রে সব,
নাচে স্বর্গ নাচে মর্ত্যে
গানে খুঁজি রব।

প্রেম বিরহের কত গানে
তুলতে হবে সুর,
না পারলে ভাই গায়ক কবে
রাখবে বহু দূর।

জীবনমুখী গান কবিতা
জীবনমুখী সুখ,
জীবন মুখে দাঁড়িয়ে রয়
শুধু কষ্ট দুখ।

রচনাকালঃ
০২/০৭/২০২১