জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

রাখাল ছেলে

৪+৪+৪+৪

রাখাল ছেলে খেলার ছলে
চড়াই গরু দলে দলে
মাঠে গরু
পথটা সরু
স্রোতস্বিনী ছুটে চলে।

বনের ধারে ঝোপে থাকা
বাঘ শয়তানের দৃষ্টি বাঁকা
খেতে স্বাদে
নইলে কাঁদে
বহু দিন ভাই পেটটা ফাঁকা।

হঠাৎ রাখাল দেখতে পেলো
একটি গরু বাঘে খেলো
ধবল রঙের
কান্নার ঢঙের
এক দৌড়ে সে বাড়ি গেলো।

লাঠি হাতে ক্ষিপ্ত মনে
রাখাল ছেলে বাড়ির সনে
কান্না করে
মাকে ধরে
বাঘে খেলো গরু ক্ষণে।

রচনাকালঃ
০৪/০৭/২০২১

ত্যাগের মহিমা

৪+৪/৪+৩

জিলহজ্জ মাসে গগন জুড়ে
কোরবানির চাঁদ ওই হাসে,
ত্যাগের মহান বার্তা নিয়ে
কোরবানির ঈদ যে আসে।

প্রভুর হুকুম মানতে মুমিন
তারা করে কোরবানি,
প্রভুর কাছে যার রে শুধু
তাকওয়া ওই ভয় খানি।

মুমিনগণ ওই সবি করে
প্রভুর হুকুম মেনে ভাই
সহীহ মনে কোরবানি ওই
তাহার মতো পূন্য নাই।

সহীহ নিয়ত সহীহ দিলে
বিশ্বের সকল মুসলমান,
হাজার লক্ষ টাকা দিয়ে
প্রভুর রাস্তায় হয় কোরবান।

কোরবানির ওই ঈদের দিনে
সুখে দুখে মিলে সব,
ত্যাগের খুশি মানব মনে
সদা যেন রাখেন রব।

রচনাকালঃ
১৮/০৭/২০২১

বিরহ অনল

অক্ষরবৃত্ত ছন্দঃ ৮+৬ মহা পয়রা

সেই মুখ সেই কথা ভোলে না’তো মন
মনে কষ্ট নিয়ে ভাই করি এই পণ।
হৃদয়ের কোণে সে তাে ছিলো আলোময়
তারে বিহীন কষ্ট রে দুখে হয় ক্ষয়।

মনে জাগে সেই কথা ভোলে না তো মন
কি হয়েছে তোমা সাথে ভাবি সারাক্ষণ।
হৃদয়ের কথা গুলো মনে পড়ে যাই
বিরহ অনল বুকে কোনো কথা নাই।

প্রেমের কথা বলা যে অতি কষ্ট ভাই
তার মতো এত কষ্ট পৃথিবীতে নাই।
করেছে যেজন প্রেম বোঝে সেইজন
সদা থাকে এলোমেলো বিনিময়ে মন।

শত ব্যথা বুকে নিয়ে গাই সদা গান
বিরহ অনল বুকে উদাসীন প্রাণ।
দিবানিশিতে সতত চাই তোকে মন
বুঝাতে পারি না মন জাগে ক্ষণে ক্ষণ।

তোমায় ছাড়া সতত হতাশায় মন
কেমন দিন যে গেছে তোমার যে সন।
হৃদয় যে ছারখার প্রিয়া যে বিহীন
বসে ভাবি তোমা কথা অরণ্য গহীন।

রচনাকালঃ
২৬/০৬/২০২১

বৃষ্টি এলো

৪+৪/৪+৩

ছন্দ যেনো জল কলতান
মনের মধ্যে তুলেছে ঢেউ,
আষাঢ় মাসে বৃষ্টির ফোঁটায়
মন আনন্দে মাখছে কেউ।

ময়ূর নাচে বৃষ্টির শব্দে
আকাশটা যে মেঘ মাখা
বাহিরে নেই কোনো মানুষ
পাবে তোমরা কার দেখা।

আকাশের বুক ফেটে গেছে
পড়ছে বৃষ্টি একটানা
আষাঢ় মাসে নদীর জলে
সবার আছে ডুব মানা।

শাপলা শালুক নদীর জলে
শুধু ফুটে যে আছে,
বর্ষারাণী কদম কেয়া
ধরে আছে ওই গাছে।

বর্ষাকালে বৃষ্টির জন্য
প্রকৃতি যে হয় সুন্দর,
দেশে সকল নিচু জায়গা
জলে ডোবে ওই বন্দর।

রচনাকালঃ
০৯/০৭/২০২১

প্রকৃতি

৪+৪/৪+১

বৃক্ষরাজি বাঁচলে পারে
সুন্দর হবে দেশ
নির্মল বায়ু গ্রহণ করে
সবাই বলবে বেশ।

বৃক্ষের শাখে বসে পাখি
ধরে মধুর গান
বৃক্ষের ছায়ায় বসে জুড়ায়
পথিকের মন প্রাণ।

বৃক্ষের জন্য পরিবেশ তার
ভারসাম্যতা পায়
বৃক্ষ না ওই থাকলে পারে
অনাবৃষ্টি হায়।

বৃক্ষের কাষ্ঠ দিয়ে সবাই
তৈরি করে সব
বৃক্ষ ওই নাই ক্যামনে শুনবে
পাখির কলরব।

ফলে ফুলে ভরা বৃক্ষে
ভ্রমরের গুন গুন
প্রকৃতি তার নিজস্বতা
ফিরে পায় মাস জুন।

রচনাকালঃ
০১/০৭/২০২১

কৈশোরের স্মৃতি

স্বরবৃত্ত ছন্দঃ৪+৪/৪+২

কৈশোরের ওই স্মৃতি গুলো খুবই পড়ে মনে
ইচ্ছে মতোন ঘোরাঘুরি বন্ধুদের ওই সনে।
কৈশোরের ওই দিনগুলো কি যাই রে কভু ভোলা
কৈশোরের ওই কথা মনে দেয় যে ভীষণ দোলা।

হাসি মজার সময় গুলো গেছে কবে চলে
কৈশোর কেটে যৌবন আসে কভু কিরে বলে।
কৈশোরের ওই কৌতুহল যে সারাজীবন ঘিরে
যতোই রে ভাই চেষ্টা করো পাবো কৈশোর ফিরে।

কৈশোরে ওই নাইতে যাওয়া বিলে ঝিলে নদে ,
কৈশোরের ওই সময় গেছে ভুল যে পদে পদে।
রোজ সকালে কিছুর জন্য বড়সড় বায়না
আমি শুধু সেটাই চাই রে অন্যে কিছু চাইনা।

কৈশোরের ওই বিকেল বেলা বন্ধুর সাথে খেলা
বর্ষাকালে নদে ভাসে যেমন রে ভাই ভেলা।
কৈশোরের ওই সময় শেষে যৌবন আসে যখন
সাথী পাওয়ার জন্য মনটা মিষ্টি হাসে তখন।

কৈশোরের ওই চঞ্চল রাঙা সময় গেছে চলে
যৌবন আসে যাই যে চলে বৃদ্ধ তখন বলে।
কৈশোরের ওই কালো চুল ভাই যখন হবে সাদা
আশে পাশের ছেলেমেয়ে বলবে আমায় দাদা।

রঙের খেলা

৪+৪/৪+২

রঙের শোভায় আত্মহারা
ভালোবাসা ফুলে,
হৃদয় সহে কাঁটার আঘাত
যায় রে পুষ্প কুলে।

পবিত্র প্রেম বিরহে গাঁথা
মনে জাগে আশা
প্রেম কাননের ধারে গিয়ে
খুঁজে পায় না ভাষা।

সহে হৃদয় কাঁটার আঘাত
সহে নাহি কথা
মন মালিন্য হলো পারে
প্রাণে লাগে ব্যথা।

যেমন আছে পাতার বাহার
তেমন সুখীর রুপে
আরতিতে যেমন লাগে
আগর বাতি ধুপে।

পাতার শোভা বৃক্ষের সাথে
প্রেমের শোভা মনে
পাতার প্রেমে নতুন গেমে
বলে ক্ষণে ক্ষণে।

রচনাকালঃ
০৫/০৭/২০২১

ব্যথার কথা

১+৪/৪+৪

আজ ভেবে ছিলাম
লিখবো শুধু প্রেমের কথা
না শুধু লিখলাম
বুক ভরা ওই দারুণ ব্যথা।

আজ শুধু মনে
চাই যে ওগো বন্ধু তোমায়
চাই প্রতি ক্ষণে
তুমি ডাকবে কবে আমায়।

চাই আমি শুধু
সুন্দর রাঙা ওই না বধু
থাক বলে দাদু
খুব হয়েছে কাব্য শুধু।

পাই না তো ভেবে
লিখব কি আর প্রেমের কথা
মন শুধু নেবে
তারই জন্য অশেষ ব্যথা।

তাই আর লিখব না
কষ্টের কথা নিয়ে কবিতা
পাই কষ্ট ওই না
মনের কোণে ভাসে ছবিটা।

রচনাকালঃ
২৯/০৬/২০২১

প্রেম ভালোবাসা

৪+২/৪+২/৪+৪

প্রিয়া তোমার কথা—— প্রাণে লাগে ব্যথা
ভাবি আমি মনে মনে
শুনব নতুন শব্দ—– কেটে যাবে অব্দ
সেই কথা মন ছুয়ে ক্ষণে।

দিয়ে নিত্য আশা ——— কেড়ে ন্যায়’রে ভাষা
বলি না তো আমি কিছু
তার প্রেমের ওই আগুন ——- বসন্ত আর ফাগুন
ঘুরি আমি পিছু পিছু।

তার প্রিয় মোর গানে——— বিভোর করে প্রাণে
পায়ে তার ওই ধবল নুপুর
বিদীর্ণ ওই বেলা———- স্বপ্ন নিয়ে খেলা
নিঝুম একলা ক্লান্ত দুপুর।

তুমি আমি সেইদিন——– ভালোবাসা কূলহীন
দারুণ মিষ্টি মধুর কথা
মনে জাগে আশা—– বাঁধবো মোরা বাসা
তবু মনে জাগে ব্যথা ।

হবে কখন বিয়ে——- চাই’যে আমার হিয়ে
যুুগল বন্দী জীবন নিয়ে
সুখে দুখে মোরা——- দুজনে এক জোড়া
দূূর করব ওই স্বপ্ন দিয়ে।

রচনাকালঃ
০৩/০৭/২০২১

রূপবতী ললনা

৪+৪/৪+১

রুপে গুনে স্বরস্বতী
লক্ষীবন্ত ওই মন,
হাসি মজা নানা খেলা
চলে সবার ওই সন।

দৃপ্ত পায়ে হেঁটে চলা
ইচ্ছে খুশি মত,
তার যে রুপের শোভা বলতে
করণিক যে শত।

দেখে যেজন প্রেমে পড়ে
রূপবতীর যে রুপ,
পূজা করতে লাগে যেমন
আগর বাতি আর ধুপ।

মন ছুয়ে যায় তারই রুপে
ভেবে পায়’না কিছু,
দিবানিশি স্বপ্ন দেখি
ঘুরছি যে তার পিছু।

এলোমেলো ভাবনা গুলো
আর কি হবে বলা,
না পাওয়ার ওই আগুন নিয়ে
জীবন যুদ্ধে চলা।

সুদের টাকায় সব

৬+৬+৬+২

সুদের টাকায় ভোজন রে ভাই
সুদের টাকায় বাড়ি
সুদের টাকায় বিশাল বিশাল
কিনছো অনেক গাড়ি।

সুদের টাকায় ভোজন তোমার
মুখে চমৎকার বুলি,
সাধুর পোশাকে সাধু সেজে ভাই
দিনেই ছাড়ায় ধুলি।

কোনটি সঠিক কোনটি বেঠিক
বোঝার সময় নাই
পাপে পাপে নষ্ট জীবন
শুধুই টাকায় চাই।

সুদের টাকায় মন ভরা যার
সুদের টাকায় সব
কথায় কথায় অনায়াসে বলে
বিধাতা আমার রব।

গরিব লোকেরে টাকা ধার দিয়ে
ভাই নেয় সুদ চড়া,
পাপে পাপে ভরে গেছে রে লিখিল
এই না রে ভাই ধরা।

রচনাকালঃ
১১/০৭/২০২১

বাজেট

সব জিনিসে দাম বেড়েছে
সংসদেই বাজেট পাশ,
দিশেহারা যে দেশের লোকে
বাজারে গেলে নেই যে আশ।

জনগণের কথা ভেবেই
বাজেট পাশ করতে হবে,
নইলে দেশে নর মরবে
না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকেই তবে।

লকডাউন দিয়ে শাসক
বন্ধ করো রেখেছে সব
ক্ষুধার জ্বালা পেটে ঋণের
সকলে করে যে কলরব।

চড়ামূল্য দিয়ে কিনতে
হয় যে সদা সকল কিছু
ছেলেমেয়েরা খাবারের যে
ঘোরে সতত যে পিছু পিছু।

এভাবেই কি জীবন চলে
শুধু শুধুই করে রে ভাই
এবাজেটের উপর যে’রে
জনগণের ভরসা নাই।

.
৫+৫/৫+৫

রচনাকালঃ
০৯/০৭/২০২১

আশার জন্য

মনে কিছু আশা শুধু ভালোবাসা
আর চাই নাহি কিছু,
ওই চোখ দুটি সদা আছে ফুটি
ঘুরি আমি পিছু পিছু।

বুক ভরা আশা মনে জাগে ভাষা
বলবো তোমার সনে,
দিয়ে হাতে হাত হবে বাজি’মাত
শুধু সেই ক্ষণে ক্ষণে।

নব পাতা তলে গান দলে দলে
শুনি দুইজন মিলে,
জীবন ছন্দ ভালো কি মন্দ
কথা বলি ভালো দিলে।

জীবন নদীতে সুখের গদিতে
ভাসবো আমরা তাই,
আমি চাই শিশু খেলবো যে পিছু
খুুুশির যে শেষ নাই।

রব তোমা পাশে সদা বারো মাসে
ইচ্ছে ভাবনা কথা
চলি আমি কভু দূর হয় তবু
মনের সকল ব্যথা.।

৬+৬/৬+২

রচনাকালঃ
০৫/০৭/২০২১

আষাঢ়

6970

আষাঢ় মাসে বাদল ধারা
কাঁদায় হাঁটা কষ্ট,
বাড়ির পাশে রাস্তা সব
ভেঙে হয়েছে নষ্ট।

বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে
রিমঝিম রে শব্দ
শাপলা তুলে তুলে’রে ভাই
কাটে যাক না অব্দ।

বর্ষাকালে দেয়ার ডাক
শুনে শুনেই শক্ত,
ব্যাঙের গানে ভরা এ প্রাণে
সতত হই ভক্ত।

আষাঢ় এলে মেঘের ভেলা
সতত নামে বৃষ্টি,
ধরার বুকে হঠাৎ করে
হলোই অনা’সৃষ্টি।

বাহির হতে শুধুই মানা
বৃষ্টি সদা ঝরছে,
পিছলে খেলা ভালোই লাগে
ক্ষণে ক্ষণেই পড়ছে।

ঋতুচক্রে বাংলাদেশ

৬+৬/৬+২ মাত্রা বৃত্ত

বাংলাদেশের ষড়ঋতু ওই
আসে নানাভাবে তাই
এমন স্নিগ্ধ পরিবেশ বুঝি
ধরা বুকে কভু নাই।

হঠাৎ বৃষ্টি বর্ষাকালের
থামে না’তো কভু
বর্ষার রাণী যে কদম কেয়া
ফুটে যায় ভাই তবু।

নদীর তীরের ফোটে কাশফুল
ইচ্ছে করে তুলে নিতে
শীতের হিমেলে খেজুরের রস
পিঠাপুলি ওই গীতে ।

বসন্তেরই আগমন শুনে
কোকিল গাইছ গান
সবুজ বৃক্ষে নতুন সাজের
জুড়ায় রে মন প্রাণ।

আম জাম লিচু পাকে ফল কিছু
খেতে মজা ভালো
পাকা জাম ওই দেখতে ভাই’রে
ভীষণ ভীষণ কালো।

রচনাকালঃ
০৫/০৭/২০২১