কাজী জুবেরি মোস্তাক এর সকল পোস্ট

শুধুই অপেক্ষা

অতীতের চোখে রাত ভেঁসে যায়,
সুখের মুহূর্তগুলো তখন ঢাল হিসেবে সামনে
এসে দাঁড়ায়;
ঢেউএর সাথে লেগে থাকে সমুদ্র উপত্যকার
সূর্যোদয়;
আকাঙ্ক্ষারা প্রবাহিত হয়; বায়ুও সময়ের
ডানায় উড়ে যায়।

স্মৃতির বারান্দা জুড়ে শুধু তুমি,
চোখের জলের আর্তনাদ সবার মতোই হয়তো
দেখেছো তুমি;
হৃদয়ের আর্তনাদ না লোকজন দেখেছে, না
দেখেছো তুমি;
তোমার স্মৃতিরা সরীসৃপের মতো প্রতিনিয়তই
আমাকে যায় চুমি।

অপেক্ষাতেই থাকি বসন্ত এলে,
নতুন সবুজ পাতার মতো সতেজতা নিয়ে বুঝি
ফিরে এলে;
পৃথিবীর বারান্দা জুড়ে স্মৃতির হলুদ পাতারাও
ঝরে চলে;
আর আমার আজন্মকালের অপেক্ষা শুধু তুমি
আসবে বলে।

গতকাল আজ আগামীকাল

গতকাল আজ আগামীকাল এইতো জীবন,
গতকাল জীবনটাকে ছুঁয়ে যায় রাতের মতন;
আর রাত স্মৃতিগুলো নিয়ে পরে থাকে অচেতন।

গতকাল আজ আগামীকাল এইতো জীবন,
আজকে গতকালের থেকে করো শিক্ষা গ্রহণ;
গতকালটা যেন তোমার কাছে করে আত্মসমর্পণ।

গতকাল আজ আগামীকাল এইতো জীবন,
আজও যেমন করে করছো গতকালের স্মরণ;
আগামীকাল ঠিক তেমনি রবে আজকের বিচরণ।

গতকাল আজ আগামীকাল এইতো জীবন,
আজটা আগামীকালও হবে গতকালের মতন;
আগামীকালও আবার হয়ে যাবে আজকের মতন।

পরাধীনতার কবর

যখন অশালীন আগুন মানবতা, নীতি ও আদর্শকে
গ্রাস করে ;
তখন জ্বলন্ত আগুনের মতো চিৎকার করে রাষ্ট্রের প্রান্তর ।
আর একটা পাগল ক্রোধের আগুনে এই শহরটাকে
জ্বালিয়ে দেয় ;
এবং ঘৃণার চোখে তাকিয়ে থাকে এ পোড়া শহরের
আঙিনায় ।

যখন এই শহরের কোন ব্যালকোনীতে বসে ধর্ষনের
খবর পড়ি ;
তখন মনে হয় যেন আত্মঘাতী হই আর যা ইচ্ছা হয়
তাই করি ।
প্রতিনিয়ত যখন ভঙ্গুর শরীর থেকে জীবন ছিনতাই
হয়ে যায় ;
অনাকাঙ্খিত মৃত্যু তখন এই শহরেই অনেক সস্তায় পাওয়া যায়।

পত্রিকার ব্যালকোনী জুড়ে যখনই স্থান পায় খুনির মুক্তির খবর ;
রাষ্ট্র তখন মানচিত্রের মাঝে খুঁড়ে চলে পরাধীনতার এক কবর ।

খুন

জীবনের খাতায় পুরো অধ্যায় বদলে যাচ্ছে
অদৃশ্য অস্ত্রে রক্তপাতহীন ভাবে যুদ্ধ চলছে ;
প্রতিনিয়তই এখানে মানুষকে খুন হতে হচ্ছে।

সংঘর্ষ ছাড়াই সম্মুখ থেকে খুন হয়ে যাচ্ছে
আর লাশগুলো পৃথিবীর মর্গে পড়ে থাকছে ;
আবার স্বজন সৎকার ছাড়া সমাধিস্ত হচ্ছে।

এখানে জীবিকার সাথে স্বপ্ন হারিয়ে যাচ্ছে
আর প্রতিনিয়ত জীবিত মানুষেরা খুন হচ্ছে ;
আকাশ জুড়েও চিল শকুনের উল্লাস চলছে।

মসজিদ মন্দির গীর্জা সবই আজকে ফাঁকা
সর্বশক্তিমানও উপসানালয়ে আজকে একা ;
ধর্ম আর অধর্মের যুদ্ধে মানুষই হচ্ছে বোকা।

এ যুদ্ধে কোন আহত সৈনিক বা যোদ্ধা নেই
আমিও হয়তো খুন হয়ে যাবো একটু পরেই ;
তবুও এ হত্যাকাণ্ডগুলো ধামাচাপা পড়বেই।

মানুষ তুমি মানুষ হও

সারা পৃথিবী আজ বাঁচার জন্য লড়ছে
ঈশ্বরের সামনে নতজানুই বসে থাকছে;
সকলে থাকতে চায় মহাবিশ্বের উপরে
মুখোশের উপরে আরেক মুখোশ পড়ে।

ক্ষমতার দম্ভ নেই আজ পৃথিবীর বুকে
অহিংসা পরম ধর্ম বাণী সকলের বুকে;
কাঁধে কাঁধ রেখে বাঁচার স্বপ্নটা দেখছে
ব্রহ্মাণ্ডের এমন দৃশ্য কে কবে দেখেছে ?

পৃথিবী জুড়ে আজ শুধুই মানুষ মরছে
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ভেদাভেদ ভুলেছে;
আলোর অপেক্ষায় পৃথিবীটাও বহমান
জ্বালো আলো ঈশ্বর; আল্লাহ; ভগবান।

যুদ্ধ দাঙ্গা ভুলে মানবতা এক কাতারে
মহানুভবতা থমকে যায়নি কাঁটাতারে;
মানুষ আজকে মানবতা ফেরি করছে
সব ভুলে ভালোবাসাটাও বিলি করছে।

ভেঙে চুরে গেছে আজ সব অহংকার
ভাগাভাগি করে করছে সবাই আহার;
কিসের এতো দম্ভ জীবনটাইতো ছোট
মানুষ তুমি আবারও মানুষ হয়ে ওঠো।

ফেরার আশা

অশ্রু আর বিষাদে ভরা আজ সারা পৃথিবী;
পৃথিবীর বারান্দা জুড়ে শুধু ভয় আর ভীতি
জাতি ধর্ম বর্ণ মিলে মিশে গড়েছে সম্প্রীতি।
সারা পৃথিবীটাই আজ হয়ে আছে গৃহবন্দী;
ভুলে গেছে সবাই আজ কে কার প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রত্যেকে নিজের ঘরের কন্ডেম সেলে বন্দী।
সাহস আর ক্ষমতার নেই কোনই বাহাদুরী;
মৃত্যুর ভয়ে ভীত আজ পৃথিবীর সব নগরী
প্রতিটি ঘরই আজ একটা করে জেলবাড়ি।

পৃথিবীর প্রচ্ছদ জুড়ে আজ মৃত্যুর উল্লাস;
নতুন মলাটে পুরনো পৃথিবীটার সিলেবাস
প্রতিটি সিলিং এ বন্দী অনাহারী দীর্ঘশ্বাস।
আজ নেই পরিবেশ দূষণ ; নেই শব্দ দূষণ;
নেই কোন বিশ্বনেতা ;নেত্রীর বেহুদা ভাষণ
নেই মোড়ল দেশের শাসন কিম্বা নির্যাতন।
লাগামহীন ঘোরার মতো ছুটে চলার বিশ্বে;
আজ সবাই ভুলে গেছে কার ব্যস্ততা কিসে
তবুও স্বপ্ন এ বিশ্ব ফিরবেই চিরচেনা দৃশ্যে।

লাশঘর

এই পৃথিবীটা যেন আজ এক লাশঘর
মরছে মানুষ হোকনা সে আপন কিম্বা পর;
পৃথিবীর উঠোন জুড়ে আজ কারফিউ
এমন দৃশ্য এ ব্রহ্মাণ্ডে দেখেনি আগে কেউ।

জমজমাট এই মহাবিশ্ব আজকে স্তব্ধ
কাঁটাতারের এপার ওপার নেই কোন যুদ্ধ;
জাত কিম্বা ধর্মে আজ নেই ভেদাভেদ
মানুষ মরছে মহাবিশ্বে তাইতো আজ খেদ।

চেনা পৃথিবীর যেন অচেনা এক রুপ
জমজমাট এই মহাবিশ্ব এক নিমিষেই চুপ;
যার ভেতরে ছিল প্রতিশোধের নেশা
সেও আজ করছে মানুষ বাঁচানোর আশা।

আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকা এ নগরী
আজকে যেন হয়ে গেছে একটা মৃত্যুপুরী;
মানুষ তুমিও মানুষের পাশে দাঁড়াও
পৃথিবী জুড়ে ভালোবাসার সৌরভ ছড়াও।

স্বাধীন স্বাধীনতা

স্বাধীনতা !
পেয়েছো কি তুমি পূর্ণতা
নাকি আজো সংবিধানেই আটকা ৷
কোথায় তুমি স্বাধীনতা ?
এদিক ওদিক কৈ আমি তো দেখছিনা,
নাকি বুক সেল্ফে দিয়েছো গা ঢাঁকা ৷
স্বাধীনতা
তুমি কি সেই স্বাধীনতা
আছে যার একঝুড়ি বীরত্বগাথা
যে ঋন কোনদিন শোধতো হবার না ৷
স্বাধীনতা আমি চাই সেই স্বাধীনতা
শৃংখল থেকে মুক্তি পাওয়া সেই স্বাধীনতা
স্বাধীনতার নামে উশৃঙ্খলতা
না চাই না আমি সেই স্বাধীনতা ৷
স্বাধীনতা !
তোমার বুকে আজও ঘোরে সেই শকুনেরা
আমার মা,বোন যাদের কাছে হয়েছিলো ধর্ষিতা ৷
স্বাধীনতা
আমি চাই সেই স্বাধীনতা
যে দেবে আমায় ঘরে ফেরার পূর্ণ নিশ্চয়তা ৷

আমার চাওয়া

বুক সেল্ফে বন্দী পড়ে থাকা গণতন্ত্র আমার চাইনা,
যে গণতন্ত্রর মুখোশে স্বৈরাতন্ত্রর বাস তাকে চাইনা,
বুক ফুলিয়ে যে গণতন্ত্রে কথা বলা যায় তাকে চাই।
পর্দার আড়ালে বিদ্রোহী কবিতা আবৃতি করবোনা,
জনমঞ্চে দাঁড়িয়ে পাঠ করতে চাই বিদ্রোহী কবিতা,
আজকে আমি আমার বাকস্বাধীনতার মুক্তি চাই।
রাজনীতির পকেটে বন্দী গণতন্ত্রকে অামার চাইনা ক্ষমতা চাই।
যে আইন দূর্বলের না হয়ে সবলের হয় তাকে চাইনা,
ক্ষমতা অার টাকায় বিক্রি হওয়ার আইনও চাইনা,
আমার আইন সেতো ভরসা ও আস্থার হওয়া চাই।
আমার দূর্বলতাকে পূঁজি করে দুর্নীতি হতে দেবোনা
আমার ন্যায্য হিস্যায় অনিয়ম হবে তাও মানবোনা
দুর্নীতিহীন অধিকারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া চাই।

সেই ভালো হতো

যদি মুর্খ হতাম সেই ভালো হতো
লিখতে হতোনা আর তোমাদের কুকর্মগাথা
বিসর্জিত হতোনা জীবন লিখে সত্য কথা ৷
যদি বোবা হতাম সেই ভালো হতো
রাজপথে মিছিলে আর ধরতে হতোনা স্লোগান
ঝরাতে হতোনা বুকের রক্ত আর এই প্রাণ ৷
যদি অন্ধ হতাম সেই ভালো হতো
দেখতে হতোনা এই ভঙ্গুর সমাজের অবক্ষয়
করতে হতোনা আর মিছে কান্নার অভিনয় ৷
আমি যদি পঙ্গু হতাম সেই ভালো হতো
পায়ে হেঁটে যেতে হতোনা আর তোমাদের দ্বারে
পেনশনের ফাইল ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্যে ৷
আমি যদি পাগল হতাম সেই ভালো হতো
বুঝতে হতো না আর তোমাদের স্নায়ু যুদ্ধ
জড়াতে হতো না আর মিছে বাকযুদ্ধে ৷
আসলে যদি মানুষ না হতাম সেই ভালো হতো ৷

বুলেট রাখো

আমার জন্য কোন ফুলের দরকার নেই
তারচেয়ে বরং একটা বুলেট রেখে দাও,
আমার কণ্ঠে প্রতিবাদ উচ্চারিত হবেই
আমি বলতে পারবোনা তোমরা যা চাও।

আমার কোন সংবর্ধনারও দরকার নেই
তারচেয়ে বরং একটা বুলেট রেখে দাও,
এ মাথা যে নোয়াবার না কোন কিছুতেই
যদি বুলেট রাখো কাজে লাগবে তবুও।

আমিতো আমার জন্য কভু বাঁচতে চাইনা
আমি মানুষের জন্যই আজও বেঁচে আছি,
তুমি শোষক আমি শোষিত ভুলে যেওনা
আমি নিশ্চুপ রবোনা আমি যে বিদ্রোহী।

যত্ন করে একটা বুলেট রেখো আমার জন্য
সে বুলেট শরীরে ব্লাড ফায়ার হয়ে জ্বলবে,
অধীর আগ্রহে আছে রাজপথ আমার জন্য
আমার রক্ত বুকে ধারণ করে রাখবে যে সে।

আমার রক্তে কোন সমাধি বা সৌধ চাইনা
আমি চাই রক্ত লেগে থাক পিচঢালা পথে,
এ রক্তই হবে কিছু যুবকের অদম্য প্রেরণা
আর কিছু পথিক না হয় যাবে নাক সিঁটকে।

শহীদ মিনারের গল্প

আমি আছি নিথর দাড়িয়ে
এক খণ্ড জমি দখল করে
সালাম, বরকতের রক্ত যেখানে
স্তরে স্তরে গিয়েছিল জমে,
রক্ত স্নানিত সেই পিচ ঢালা পথে ৷
এই আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে
ভাষা আন্দোলনের নীরব স্বাক্ষী করে,
ইতিহাসের স্বাক্ষী করে৷
আমি দাড়িয়ে আছি সেই খানটাতে
যেখানে আমাকে গড়া হয়েছে,
অথচ, আজ মনে হয় ______
বুঝি আমার নির্মাণ ব্যার্থ হয়েছে !
কালের বিবর্তনে আমাকে ভুলে যাচেছ,
শুধু একবারই আমি উদ্ভাসিত হই
এই বাংলার বক্ষস্হলে
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টায়ে
যখন ফেব্রুয়ারির “২১” আসে,
এগার মাস পড়ে যখন “২১” আসে
ফুলে ফুলে আমায় ভরিয়ে তোলে ৷
তবুও আমার প্রশ্ন রইলো
চুরি করা ছাড়া ক’টা ফুল দিয়েছো আমারে ?
আমি “২১”
আমি শহীদের রক্তে রাঙ্গানো মিনার
আমি এই বাঙ্গালী জাতির উৎস
আমিই এই স্বাধীনতার উৎস
গৌরব ভরে স্মরণ করো আমারে
নয়তো !!!!
তোমাদের ঘরে যে আগামী প্রজন্ম আছে
তারা ভুলে যাবে একুশ,
ভুলে যাবে ভাষা আন্দোলন,
ভুলে যাবে শহীদদের,
ভুলে যাবে শহীদ মিনারের ইতিহাস ৷

অব্যাক্ত ভালোবাসা

আজ বসন্তের এই বাসন্তী উৎসবে
তোকে দেবো বলে বুক পকেটে করে
একটা গোলাপ এনেছিলাম সাথে ৷
বাসন্তী রঙা শাড়ীতে তোকে দেখে
ভালোবাসার মগ্ন চৈতন্যে হারিয়েছি নিজেকে ৷
বারবার বলতে ইচ্ছে হয়েছে ,
গাছের ডালে ফুল না ফুটলেও
মনের বনে ভালোবাসার ফুল ঠিক ফুটেছে ৷
তারপর বসন্তের বাসন্তী উৎসব সেরে
তোকে নিয়ে উন্মুক্ত রিক্সায় ঘোরাঘুরি
পার্কে বসে বাদাম খাওয়া কফি সপে কফি
এতো কিছুর পরেও গোলাপটা তোকে দিতে পারিনি ৷
আড়চোখে তুই বারবার তাকিয়েছিস আমার দিকে,
কিন্তু আমি চেপে গেছি স্বভাব সুলভ আচরনে
বলতেই পারলাম না গোলাপটা তোর জন্যে ৷
আচ্ছা তুইওকি কিছুই বুঝিসনি নাকি বুঝতে চাসনি,
আমি জানি গোলাপটা তোর নজর এড়ায়নি,
কিন্তু গোলাপের কাঁটার আঘাতটা তোর নজর এরিয়েছে ৷
আর আমার ভালোবাসার কথা অব্যাক্তই রয়ে গেছে।

নতুন পথ চলা

চলছে এ এক আজব খেলা
চারদিকে শুধুই মুখোশের মেলা,
মানুষ খুঁজতে খুঁজতেই চলে যায় বেলা ৷
ব্যানার, ফেস্টুন, মানববন্ধনে
দেখি কতশত স্লোগান ঝরে পড়ে,
আপন গৃহে তারাই দেখি নির্যাতনও করে ৷
মানবতা সে শধু কথার কথা
রুগ্নতায় জরা জীর্ণ আজ মানবতা,
তবুও আশাবাদী ধ্বংস হবেই এ নগ্ন প্রথা।
বন্ধ হোক এই আজব খেলা
যাক’না ভেঙে ঐ মুখোশের মেলা,
আলোর পথে শুরু হোক নতুন পথচলা ৷
ভেঙে যাক মানবতার রুগ্নতা
মানুষে মানুষে ঘুঁচে যাক সব জড়তা,
মানুষ আর মানবতায় হয়ে উঠুক একাত্মা।

প্রতিবাদ

শিক্ষার্থী তোমরা তোমাদের বই বুকসেল্ফে রেখে দাও ;
চাকরীজীবিরা তোমরা আজ স্ব কর্মস্থলে ইস্তফা দাও ,
ব্যবসায়ীগণ তোমাদের ব্যবসা আপাতত গুছিয়ে নাও ;
হারানো গণতন্ত্র আর স্বাধীনতা ফেরাবার প্রস্তুতি
নাও ।

স্বাধীনতা সেতো আজ শুধুই নেতাদের ঘরের বনসাই ;
এই শহরের রাস্তায় আজ কোন স্বাধীনতার দেখা
নাই ,
গণতন্ত্র আছে লাল এর বুকে, সবুজ সেতো বেঁচে নাই ;
স্বৈরশাসকের ইচ্ছায় চলছে শহর গণতন্ত্রের মূল্য
নাই ।

এই শহরে স্বাধীনতা নেই গণতন্ত্র নেই কোন কিচ্ছু নেই ;
ক্ষমতা টাকাকড়ি যার সবকিছু আজ বরাদ্দ তার জন্যেই ,
ঘুষখোড় দূর্নীতিবাজদেরও আজকে অসৎ বলতে নেই ;
এখানে সাদা কে সাদা কালো কে কালোও বলতে নেই।

পুলিশকে সৎ ও সততার কথা বলাই আজ যেন পাপ ;
আর স্বাধীনতা চাওয়াটা এযেন আজ আজন্মের মহাপাপ,
স্বপ্ন সাধের গণতন্ত্র আমজনতার জন্য আজকে অভিশাপ ;
পরিবারতন্ত্রর অভিশাপ থেকে গণতন্ত্রও পায়নি মাফ।

শহরটা আজ প্রতিবাদ প্রতিরোধের অপেক্ষায় আছে ;
ভীত মুখগুলো গর্জে ওঠার জন্যই আজ প্রহর গুনছে ,
রাজপথটা নির্যাতিতের মিছিলের জন্যই উন্মুখ আছে ;
গণতন্ত্রর দেশে স্বাধীনতাই আজ পরাধীন হয়ে
আছে ।