কাজী জুবেরি মোস্তাক এর সকল পোস্ট

চিৎকার হবো

আমি ঘন্টা ধ্বনির চিৎকার হবো,
ইসরাফিলের বাঁশির আওয়াজে ধ্বংস-যজ্ঞ হবো ;
এ সমাজে পাপের সাম্রাজ্য ভেঙে চুরমার করবো
পুরোনো শহরের বুক চিরে আগামী হয়ে জন্মাবো।

আমি ঘন্টা ধ্বনির চিৎকার হবো,
নির্যাতিতের ক্রোধাগ্নি নিয়ে প্রতিবাদী হয়ে জ্বলবো ;
আমজনতার মিছিল নিয়ে রাজপথের দখল নেবো
আমি চে’র মতো শপথ নেবো মরবো নাহয় বাঁচবো।

আমি ঘন্টা ধ্বনির চিৎকার হবো,
মানুষ রুপী অমানুষ ধ্বংস করে তবেই ক্ষান্ত হবো ;
আমি নিয়ম করে নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম গড়বো
আমি নিয়মিত হত্যা হলেও নতুন গর্ভে জন্ম নেবো।

আমি ঘন্টা ধ্বনির চিৎকার হবো,
আমি নির্ঘুমই থাকবো পৃথিবীর অতন্দ্র প্রহরী হবো ;
ধর্ম বর্ণ বিদ্বেষ ভুলে মানুষের কাতারেই বেঁচে রবো
এক আকাশের এ পৃথিবীতে মানুষের কথা বলবো।

#সংক্ষিপ্ত

দুঃখবাজ

আমার চারপাশে অজস্র দুঃখ লুটোপুটি খেলছে
সাগরের বালুচরে যেমন নূড়িপাথররা পড়ে থাকে,
কেউ আনমনে হেঁটেও চলে যায় দু’পায়ে মারিয়ে
কেউবা আবার তা কুরিয়েও নেয় অতি যত্ন করে।

চাতক পাখি যেমন নদীর তীরে মরে পড়ে থাকে
বৃষ্টি জলের আশায় আকাশপানেই চেয়ে থেকে,
আমার চারপাশেও অজস্র স্বপ্ন মরে পড়ে আছে
একটা চাকরী না পাওয়ার দুঃখ আর হতাশাতে।

তোমাদের মুঠোফোনে যেমন খুঁদে বার্তারা জমে
আমার মনপাড়াতে তেমন দুঃখ আর কষ্ট জমে,
খুঁদেবার্তার মতো করেই তা অনাদরে পড়ে থাকে
অযত্ন অবহেলায় কেউ পড়েও দেখেনা আমাকে।

আমিও কেমন যেন দুঃখজীবি হয়েই বেঁচে আছি
দুঃখগুলো যে ঘরের ছাদও ছুঁয়েছে তবুও আছি,
কোন একদিন দুঃখচাপা পড়ে মারা যাবো আমি
কেউ তা জানবে না ; যে জানবে সেতো শুধু তুমি।

নিষ্ঠুর শব্দটা

একটি শব্দ ধর্ষণ
ইস্ কি দুর্বিষহ যন্ত্রনা আছে শব্দটাতে
কি মর্মান্তিক নিষ্ঠুরতা জড়িয়ে আছে তাতে ৷

একটা অসহায় নারী আর কতো আকুতি
তবুও বেমালুম ভুলে গেলি নারীই তোর জন্মদাত্রী
নির্দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পরলি দেখে অসহায় নারী
ধর্ষণ করে নর্দমায় ফেলে তৃপ্তির হাসি হাসলি ৷

তোর তো শালা চেহারায় মানুষের আবাস
অথচ অন্তরে তোর হিংস্র পশুর বাস ৷
যে নারীর চোখে আগামী জয়ের স্বপ্ন ভাসে

অসহায় নামক বেড়াজালে রাখলি তাকে ঘিরে
আর সুযোগ বুঝে সেঁটে দিলি
ধর্ষণ নামক সাইনবোর্ডটা ওর গায়ে ৷

প্রাচীন ঘুম

আমি জেগে আছি প্রাচীন কাল থেকে; আমি জেগে আছি এ পৃথিবীর কোল জুড়ে,
ইসরাফিলের বাসির অপেক্ষাতেই যেন আমি নির্ঘুম জেগে আছি অনাদিকাল ধরে।
আমার চোখে এখন রাজ্যের ঘুম; বিষণ্নতার ছোঁয়া যেন আমার সারা শরীর জুড়ে,
নরম চোখ নিয়েই এখনো জেগে আছি আমি কালো আঁধারের শরীরে ভর করে।
চোখের গভীরে তামাম পৃথিবী পোড়ানোর ক্রোধাগ্নি নিয়ে আমি ঘুমাই কি করে ?

সময়ের কড়চা

অপেক্ষার সময় কিন্তু ধীরে ধীরে অতিক্রম হয় ;
যেমন মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে ভীত সন্ত্রস্ত হয় ।

আমাদের আলাদা হওয়ার সময় কিন্তু দীর্ঘ হয় ;
আর উপভোগ্য সময়টা বড় না হয়ে ছোটই হয় ।

কষ্টের সময়ও ছোট নয় কষ্টের সময় সুদীর্ঘ হয় ;
আমাদের খুশির সময়টা কিন্তু খুব সংক্ষিপ্ত হয় ।

আমাদের থমকে যাওয়ার সময় মর্মান্তিকই হয় ;
তবে ভালোবাসার জন্যই থাকে অফুরান সময় ।

অস্থায়ী

এই পৃথিবীতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়;
সবকিছুই একসময় চলে যায় নয়তো হারায়
আজ যে সবুজ ভূমি সেও কাল শুকিয়ে যায়।

এই পৃথিবীতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়;
মানুষ, পাখি, গান কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়
ভালোবাসাও সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়।

নবজাতক শিশুও প্রাপ্ত বয়স্ক হয়;
সময়ের সাথে সাথে সেও বুড়ো হয়ে মরে যায়
এই মহাবিশ্বে কিন্তু কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়।

তোমাতেই বেঁচে আছি

এই যে তুমি বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছো আমি কেমন আছি? কেমন আছি?
বিশ্বাস করো আমি একদমই ভালো নাই।

এভাবে কি সত্যিই বাঁচা যায়? আমিতো না মরে শুধু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বেঁচে আছি;
যদি হাতটা বাড়াও তবে আমি বেঁচে যাই।

এই যে তুমি বারবার একই প্রশ্ন করো আমাকে আমি ঠিক কতটা ভালোবাসি?
আকাশের থেকে বড় উপমা এখানে নেই।

বৃষ্টির জলের মতো পরিশুদ্ধ আর নিরেট ভালোবাসা তোমার জন্যই তুলে রাখি;
আর বুদ হয়ে থাকি তাই শুধু তোমাতেই।

মানচিত্রে বন্দী স্বাধীনতা

স্বাধীনতার শরীর জুড়ে আজ পরাধীনতার শেকল
রক্তখেকো হায়েনার দল দেখতেও মানুষ অবিকল;
প্রতিবাদ প্রতিরোধের মহড়ায় হয় রাজপথটা দখল
কাঙ্খিত চাওয়া পাওয়ারাই শুধু থেকে যায় বিফল।

মাদক সন্ত্রাস আর দূর্নীতি নিচ্ছে মানচিত্রের দখল
ওদিকে রাষ্ট্র যন্ত্র গল্প শোনায় তারাও নাকি সফল;
শহরের ভেতরের শহর রোজই হয়ে যাচ্ছে বেদখল
অথচ রাষ্ট্রের বিহ্বলে সুর ওঠে চল চল চলরে চল।

প্রিয় পতাকার শরীরটা জুড়ে আজও রক্তের ছাপ
ব্যানার ফেস্টুন আর ফেসবুক টুইটারে সব উত্তাপ;
ওদিকে রোজ কতো খুন হয় অথচ খুনি পায় মাফ
হায় অভাগা রাষ্ট্র প্রতিনিয়তই তোমাকে অভিশাপ।

এ সমাজটা আজ বুদ হয়ে থাকে মাদকের নেশায়
অথচ সুশীলরা টাকা পেলেই দেখি টকশো মাতায়;
রাজনীতিকে আজ দেখি ব্যবসার প্রধান অন্তরায়
এ দিকে আহাম্মক আমজনতা মরে রোজ রাস্তায়।

আদালত সে নিজেই আজ বিবেকের কাঠগড়াতে
আর আইন সেতো বন্দী আজ ক্ষমতাধরের হাতে;
অপরাধীরাই মুক্তি পায় নিরপরাধী মরে অপঘাতে
আমার স্বাধীনতা বন্দী আজকে আমার মানচিত্রে।

অনেক শিখেছি

এখন আমি ভীষণ রকম ভালো আছি
এখন আমার বাড়ি ফেরার জন্য কোনই তারা নেই,
বাবা নেই; মা নেই; ভালোবাসার মতো মানুষও নেই
তবুও এখানে আমি নির্লজ্জের মতো বেঁচে আছি।

বাস্তবতা বহু কিছু শিখিয়েছে আমাকে
এখন আমি গেঞ্জী রুমাল ধুতে পারি; রাঁধতেও পারি,
এঁটো বাসন ধোয়া; দুয়ার খোলা; বন্ধ করা সব পারি
একা থাকাও পুরোপুরি শিখে গেছি আমি আজকে।

বিছানা বালিশও আর টানেনা আমাকে
মুঠোফোনে চার্জ থাকেনা; দিয়াশলাই খুঁজে পাইনা,
তোমাকে নিয়ে যে কবিতা লিখি তা কেউ জানেনা
তামাক পাতার মতো প্রতিনিয়ত পুড়াচ্ছি নিজেকে।

এখন আমি আঁধারেও হাঁটতে থাকি
ঘরে যে বাল্ব নষ্ট তাও জানিনা; ডিমলাইটও জ্বলেনা,
তাতে কি; এই ঘরের প্রতি ইঞ্চি আমারও বেশ চেনা
আঁধারে আজ একা জন্য ভয় করেনা দিব্বি থাকি।

এখন আর ঘুম ভাঙেনা প্রেমময় ঢাকে
রোজ চা এর সাথে বিস্কুট ডুবিয়ে নাস্তাটা শেষ করি,
এখন আমার পোশাকেও আর নেই কোন বাবুগিরি
চাওয়া পাওয়া ভুলে এ শহরে আজ কষ্ট বিক্রি করি।

ভালোবাসা জীবনের অবলম্বন

ভালোবাসা হলো সবচেয়ে রোমাঞ্চকর একটা যাত্রা
সূর্যোদয়ের প্রণয়ী চুম্বনে শুরু হয় নতুন দিনের যাত্রা,
ভালোবাসাতো এ পৃথিবীতে সবচেয়ে সংবেদনশীল
ভালোবাসায় থাকা অভিজ্ঞতাই একে করে যত্নশীল।

ভালোবাসাতো হলো আনন্দ ও দুঃখের যৌথ ফসল
ভালোবাসায় থাকে হাসি অশ্রুধারার যৌথ ফলাফল,
ভালোবাসায় দুটি আত্মা হয়ে যায় একত্মার সামিল
এখানে থাকেনা কোন দ্বিধা-দ্বন্ধ আর মতের অমিল।

ভালোবাসাতে থাকেনা কোনই একাকীত্বে অনুভূতি
এখানে থাকে শুধুই ভালোবাসা আর সুখময় স্মৃতি,
ভালোবাসা ঝড়ে যাওয়া বৃষ্টি ফোঁটার মতো পবিত্র
ভালোবাসা গোলাপ পাপড়ির চেয়ে মারাত্মক অস্ত্র।

ভালোবাসাতো হলো প্রতিদিনেরই গৌরবময় ভ্রমণ
কখনো ময়লা রাস্তায় কখনো রিক্সায় সময় ক্ষেপন,
ভালোবাসাময় স্পর্শতে থাকে অপরিমেয় উদারতা
থাকে তৃষ্ণার্তের শিরায় উপশিরায় ভ্রমণের ক্ষমতা।

মধ্যরাতে ভালোবাসার মিলনে আগামী খেলে যায়
ভোরের সূর্য ওঠার পূর্বে তাই অঙ্গগুলো নিদ্রা যায়,
ভালোবাসাতো কোমল তুলার মতোই স্পর্শ কাতর
ভালোবাসায় ভরে উঠুক প্রতিটি গ্রামাঞ্চল ও শহর।

প্রাণভিক্ষা

না রাষ্ট্রপতির কাছে আমি আমার প্রাণটা ভিক্ষা চাইবোনা
এখানে আইন টাকা আর ক্ষমতার কাছে জিম্মি
তাই বাঁচতে চাইনা
যে রাষ্ট্র আজও মিথ্যার চামচামি করে সে রাষ্ট্রে
প্রাণভিক্ষা চাইনা ।

না এই সুউচ্চ প্রাচীর কিন্তু আমার সমাধীর জন্য
তৈরি করা না
এ জেলখানা কিন্তু অনেক বড় কিন্তু আমার ঘর
বেশি বড় না
আগামীকাল আবার জন্ম হবে আমার তাই আজ বাঁচতে চাইনা

বদ্ধভূমির জেলখানায় ঘুমটা আসলে বিশ্বাসঘাতক
এক অপরাধী
আর কয়েদিরা একেকজন যেন ঘুমহীন একেকটা চাতক পাখি
আর জেল পুলিশগুলো পাখিদের উপরে রেখেছে
তীক্ষ্ণ নজরদারি ।

জেলখানার খুপরিঘর গুলোর দেয়ালে বন্দী রয়
চাপা আর্তনাদ
সু-উচ্চ প্রাচীরেই আটকে থাকে ভেদহীন শতশত
বন্দীর দীর্ঘশ্বাস
তবুও স্বপ্নগুলো কয়েদিদের দিচ্ছে বেঁচে থাকার
জন্য আশ্বাস।

যে সমাজটা আমার সু-শৃঙ্খল জীবনকে করেছে
উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী
যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতি পদেপদে জন্ম দিচ্ছে আমার মতো সন্ত্রাসী
সে সমাজে বাঁচার জন্য অযোগ্য রাষ্ট্রে প্রাণভিক্ষা চেয়ে লাভ কি ?

আমাকে নাহয় বন্দীই করেছো এই সুউচ্চ প্রাচীর
ঘেরা জেলখানায়
কিন্তু আমার চিন্তা চেতনা মস্তিষ্ককে বন্দী করবে কোন জেলখানায়
মনে রেখো এই মৃত্যু চিরস্থায়ী নয় প্রতি সকালেই আমার জন্ম হয়।

তুমি থাকলে

যদি তুমি পাশে থাকো; আমার জীবনে গতকাল কখনোই আসবেনা,
বরং থাকবে আগামীর অপরিসীম সুখ।

যদি তুমি পাশে থাকো; এই জীবনে দুঃস্বপ্নগুলো কখনোই আসবেনা,
বরং স্বপ্নগুলোও দেখবে আলোর মুখ।

যদি তুমি পাশেই থাকো; আমার জীবনে কোনই
অতীত থাকবেনা,
বরং ভালোবাসাও পেতে রবো উন্মুখ।

যদি তুমি পাশে না থেকে দূরে-দূরে থাকো; কিছুই
করতে পারবোনা,
শুধু প্রেমের জানাজাতে খুঁজবো সুখ।

আমি তোমার দখলে

যতোই সময় যাচ্ছে
তোমার ওজন বেড়ে যাচ্ছে
তুমি জেকে বসছো এ অন্তরে,
প্রতিনিয়ত তোমার বিস্তৃতি ঘটছে
তুমি দখল নিয়েছো এই অম্তরে।
যতোই সময় যাচ্ছে
তোমার আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে
ছায়ার মতো থাকছো আমার পাশে,
আর তোমার বসতি গড়ে উঠছে
আমার এই ভাংগাচুরা অন্তর জুড়ে।
যতোই সময় যাচ্ছে
আমি হারিয়ে ফেলছি নিজেকে
তোমাকে দেখছি সারা সত্তা জুড়ে,
নির্ভরশীল হচ্ছি তোমার উপরে
ঠিক পরজীবিদের মতো করে।
যতোই সময় যাচ্ছে
বেওয়ারিশ চর দখলের মতো করে
আমিও যাচ্ছি তোমার পূর্ণ দখলে।

এখানে সবাই একা

কেউ হাঁটবার জন্য নেই আমার সঙ্গে ;
অগণিত মানুষ হাঁটছে শহরের পথে
কিন্তু আমি একাই হাঁটি আমার সঙ্গে।

কেউ কথা বলারও নেই আমার সঙ্গে ;
সবাই সবার সাথে ঠিক কথা বলছে
অথচ আমি আছি একাকীত্বের সঙ্গে ।

কেউ শোনারও নেই আজ এই শহরে ;
সবাই শুধু বলার জন্য উন্মুখ থাকে
তবুও কেউই শোনেনা কাউকে শহরে।

অগণিত মানুষের বসবাস এই শহরে ;
মুখোশের আড়ালে বহুরূপী সাজে
আর মানবতা চলে গেছে শহর ছেড়ে ।

সবারই এখানে ব্যস্ততা নিজের মতো ;
ভালোবাসাও কর্পোরেট হয়ে গেছে
তবু সবাই সোশাল নেটওয়ার্কেই ব্যস্ত ।

জীবন যোদ্ধা

মুঠোফোনের বাঁশির সমনে ঘুম ভাঙে খুব ভোরে
তেল চিটচিটে আকাশটা তাকিয়ে থাকে হা করে ;
তখনও ক্লান্তিতা থাকেই কোষ গুলো দখল করে
তবুও শ্রমিক জীবিকার তাগিদে বিছানাটা ছাড়ে ।

ঘুম জড়ানো চোখে মাথা গুঁজে হেঁটে চলে সবাই
প্রত্যেকে ওরা জীবন যোদ্ধা ; করছে শুধু লড়াই ;
ফোরম্যানের কর্কশ খিস্তি তবুও করে যায় সেলাই
ওরাই আঁধারে আলো জ্বালানোর সুপ্ত দেয়াশলাই ।

ফিরতি পথে কষ্টের গুষ্টির ষষ্ঠী করে ঘরে ফেরা
আর তামাক পাতায় ক্লান্ত শরীরটাকে চাঙা করা ;
এ যেনো ওদের দৈনন্দিন জীবনেরই বোঝা পড়া
তবুও সুন্দর আগামী গড়ার প্রত্যয়ে প্রত্যয়ী ওরা ।

সুতোর ফোঁড়ে ফোঁড়েই ওদের নতুন দিনের স্বপ্ন
তাই নতজানু হয়েও ওরা কাজ করে চলে নিমগ্ন ;
ধনীর স্বার্থে শ্রমে শ্রমে জীবনটা করে যায় বিপন্ন
তবু শ্রমিকের রক্তেই ধনীদের তৃষ্ণা মেটে আজন্ম ।

অভিশপ্ত রোদে তামাম শহর আজকে পুড়ে যায়
শ্রমিকের ঘামে তবুও এই শহর সচলই রয়ে যায় ;
গরীবের অশ্রু আর ঘামে ধুয়ে যাওয়া সেই রাস্তায়
যুগে যুগে ধনীরাই চড়ে দামী গাড়ি লাল গালিচায় ।