খেয়ালী মন এর সকল পোস্ট

কালো জলের দীঘির মাঝে

ইচ্ছে করে আবার
ফিরে যাই
ডুব সাঁতারের দেশে
গরমে নরম জলে
তুলি বুদবুদ
চোখ রক্তজবা হলে
কি বা দোষ
চলে আয় চলে আয়
কালো জলের দীঘির মাঝে
হই ডাহুক কিংবা দলপিপি………

ছবি দুটি বরিশাল থেকে তোলা।

স্মৃতিপথে সুখের তোরঙ

স্মৃতিপথে সুখের তোরঙ

টুকরো মেঘ হয়ে ভিজিয়ে দিয়েছো সারাটা শহর তবুও পথিক হয়ে হেঁটে যাই অচেনা গন্তব্যে বিরামহীন ; কখনো পা পিছলে কাদাজলে যদি শরীর হয় কলঙ্কিত ভেবে নেবো স্রোতের বিপরিতে ভূগোলবিদ্যা জানতে পারিনি কোনদিন। চাঁদের অালোয় পরিপূর্ণ আলোকিত তাজমহলেও জড়িয়ে আছে অপূর্ণ দুঃখের বিলাপ।

সত্যি কিন্তু তাই নয় যেখান চোখের সীমানা আকাশ মাটি বা সমান্তরাল রেলপথ দৃষ্টিপথে মিলন রেখায় সমান্তরাল। আমি ভালোবাসি ভালোবাসার জন্য, কাব্যিক স্বাধ স্বপ্নিল আবেগ জীবনভর উজানের নৌকা ; আশাহত না হয়ে গন্তব্যে পৌছানোর ধারাবাহিক চলা এনে দিতে পারে ছন্দোবদ্ধ সুর।

যার জন্য অঘোষিত স্বাধ স্বপ্নময় হতে পারতো; সেই কারুকাজ করা হাতের চুড়ি পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের আলিঙ্গনের অপেক্ষার প্রহর গোনে। আমার কি দায় শুঁকনো মাটি হবার, মরূদ্যান মাঝে ক্যাকটাস খুব কি আশাহত জীবনী। যাও ভেসে যাও মেঘের মত দেশ পালিয়ে দেশান্তরে … আমি না হয় চাতক হয়েই অষ্ট প্রহর কষ্টেসৃষ্টে ডানায় ভাসি ;

খুব বেশী নয় অল্পসল্প সুখেরকাঁটায় দুঃখ গাঁথি মালার মত
মেঘ হয়ে ভিজিয়ে দিও দুঃখের মালার গভীর ক্ষত।

আর কিছু নয়
এমন করেই দিনের শেষে
গল্প গুলো রাখবো তুলে
যেমন থাকে খেলনাপুতুল
বাক্সবন্দি বয়সকালে।
______________

* ছবি নেট থেকে।

স্বপ্নক্ষুৎ

স্বপ্নের আড়ালে জীবন মেঘে ঢাকা
প্রাপ্তির ফলাফল নাগরদোলায়
উপেক্ষিত জীবন বৈষম্য ছাড়া কিছু নয়
তুলির আঁকা চিত্র গুলো
ধুলায় লুটানো বিবর্ণ প্রায়
পারিকর্ম জীবন বিন্যাসে
পরাস্ত গঙ্গারাম
নিরম্ভর ভালোবাসায়
নির্গ্রস্থ হতে খোঁজে মোক্ষ্ম।

নখরায়ুধ বধু পকেটের তমোময় গৃহে
সূর্যালোক না হোক কৌমুদী ভালোবাসা খোঁজে
ঝাঁপি উল্টে যায়
দুঃস্বপ্নের লাশ তোলপাড় করে
তেরেট কাগজে, কলমে কালিতে,
জীবনে যৌবনে।

ত্রপিত মানুষ পৌনঃপুনিক স্বপ্নের ভিখারি
ফারখতির বিধায়ক নয়।

তুমি ও তোমাকে

তুমি ও তোমাকে

মাতাল হয়ে এলোমেলো
হাঁটে আমার মন
তুমি আমার নেশা ওগো
তুমি ই আপনজন

তোমায় নিয়ে বসত করি
মরা নদীর তীর
হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যায়
হাজার লোকের ভীর

হাজার সুখের অাহাজারি
হাত ধরে চলা
গোপন কিছু গভীরখাঁদে
হয়নি তোমায় বলা

আমার স্বপ্ন পাহাড়চূঁড়া
ঘুমাক আকাশ বুকে
পথিক হয়ে পথ হাঁটি আজ
ভগ্ন প্রেমের সুখে।

১৩/০৪/১৯

ফিরে দেখা পথ

ফিরে দেখা পথ

তোমার পদচিহ্ন ধরে হেঁটে যাই সময়ের পথে
পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে ফিরে আসি পুনরায় পরিচিত শস্যক্ষেতে;
তোমাকে আর পাওয়া হয়না, ক্লান্ত শরীর স্মৃতি গুলো নিয়ে পরে থাকে;
সমাধানের পথ গুলো সমাপ্ত হয় না তবু, বার বার ফিরে যায়
দিগন্তের ধূসর স্মৃতির পথে।
কল্পনার ছবি গুলো বেশ জীবন্ত হয়ে হেঁটে বেড়ায় আমার চারপাশে
সেই চরিত্র গুলো খুব উপভোগ করি;
তোমার শাসন,তোমার বকুনি
তোমার অভিমান,তোমার বেদনা
তোমার অশ্রু,তোমার অভিযোগ
তোমার ভালোবাসা, তোমার ফিরে চাওয়া
তোমার শূন্যতা, তোমার পূর্ণতা
তোমার শাড়ির আচল, তোমার কপালের টিপ
তোমার শব – তোমার সব কিছু চলমান চরিত্র হয়ে ফিরে আসে
তবু তোমার শেষ দিনের দান আমাকে একাকী করে চলে যায়
অচেনা গন্তব্যের পথে।
হে পথ তোমাকে খুঁজেছি বহুবার, হে পথ তোমাকে রচেছি বহুবার
হে পথ তোমাতে হেঁটেছি বহুদিন, হে পথ তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়েছি অবিরত
তবুও খুঁজে পাইনি তোমায়, তবুও ফিরে পাইনি তোমায়
তবুও জানতে পারিনি তোমায়, তবুও বুঝতে পারিনি তোমায়
তবুও পারিনি ছেড়ে যেতে ,তবু পারিনি ফিরে যেতে

আজো চোখ মেলে তাকালে দেখতে পাই ধূলো উড়া গেরুয়া পথে
জোনাক জ্বলা শাড়ির আঁচল।
সব কল্পনার শক্তি স্বপ্নকে পিছে ফেলে হেঁটে যায় বহুদূর
যেখানে সুখের সরোদ বাজে করুণ বিলাপে।

কিছু সত্যি পায়না প্রকাশ

কিছু সত্যি পায়না প্রকাশ

কিছু সত্যি পায়না প্রকাশ
ভয়ের তারনায়
সত্যি কিছু যায় ভেসে যায়
সময় ভাবনায়

পরকিয়ার সত্যি গুলো
পরের ঘরে রয়
সেই সত্যি প্রকাশ করা
কেমনে বলো হয়

সত্যি অর্থ সত্যি পথে
ছড়ায় বলো কে
অনাসক্তি হতে সত্যি
বিক্রি করে যে

রংধনু রং সত্যি গুলো
ধূলোর ঝড়ে ঢাকা
ঝড়ের পরে আকাশ নীলে
রং গুলো তার ফাঁকা

কিছু সত্যি সময় ঘোরে
লাগায় চোখে ধাঁ ধাঁ
আদালতে সত্যি লোকের
চোখ দুটো যে বাঁধা

ক্ষুধার রাজ্যে মনের সত্যি
বিকৃত হয় রোজ
ক্রয় শর্তের সাথে থাকে
রঙ্গিন পানি আর ভোজ

সত্যি নিয়ে দ্বন্দ চলে
বউ শাশুড়ির মাঝে
সত্যি নিয়ে কোথায় যাবে
ছেলে ভাবে পাছে

বাবা সত্যি বৃদ্ধ তিনি
সত্তর বছরে ঠেকেছে
তনুজ পুত্র দ্বায় মিটাতে
বাজার দত্ত করেছে

সীতার সত্যি রাম বোঝেনি
রামের সত্যি সীতা
সকল সত্যি হয় কি পালন
কোরান কিংবা গীতা

বেদস্তুর সত্যি
অনেক সত্যি আমায় কাঁদায়
সকাল, বিকাল, সাঁঝে
নিরম্ভর সব সত্যি গুলো
ছবি হয়ে সাজে।

সত্যি কথা অনেক ব্যাথা
বুকের মাঝে গুজে
সত্যি ঘুমের ভান করে রোজ
থাকি যে চোখ বুঝে।

অচেনা দর্শনে উড়াল পাখি

অচেনা দর্শনে উড়াল পাখি

হঠাৎ করে বুকের পাঁজরের শ্যাওলা পরা দালান
ভূমিকম্পে নড়েচড়ে উঠে এই বুঝি ভেঙ্গে পরে
এত দিনের চেনা ঘরবাড়ি
জমে থাকা আস্তরনে কে যেন তার
আঙ্গুল দিয়ে লিখে যায়
তোর চোখের ধূলঝড়ে বেঁচে আছি।

দুদিন পরে নতুন কোন ধূলো
আবার গতানুগতিক দিন
আবার সমাজের জীব
সামাজিক মানুষ।

এই মনে পরা ভূমিকম্প থেকে বের হতে পারিনা।
একই আকাশের নীচে আছি বলে..
তার মেঘে আমার সকাল কালো
তার আলোতে আমার চোখে তাপ
তার বৃষ্টি আজো আমায় ভিজায়
তাহার চৈত্রে আমার বুকে জলের ধারা চায়।

এমন করে জীবন কাটে
কেমন করে তাই
ভাবছি বসে নতুন কোন
বৈশাখী ঝড় চাই
আবার মনে পরে যদি
তারে যদি পরে পোড়া চোখের
পাতায় আবেগী কোন ভোরে

সব চেনা বিলীন করে দেব এক অচেনা দর্শনে,
ভীত বুক সেই দিন স্পন্দিত হবে মাদলের তালে তালে
আবার হবে অচেনা দর্শন
তার ঘোর লাগা চোখে
আমি হবো উড়াল পাখি।

রাজভক্ত দুর্বৃত্ত নৃত্য

রাজভক্ত দুর্বৃত্ত নৃত্য

রক্তের নক্সা আঁকা মানচিত্র ভুলে গিয়ে
রাস্তা জুড়ে চারুকলার হাতেখড়ি
ভাবপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা যত্রতত্র
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে মিছিলের উত্তপ্ত লাভা
পাণ্ডুর দিনে ইতিহাস ভুলে নয় ইচ্ছার
বিবর্ণ প্রকাশ, স্বাধীনতার নামে
ধর্ষন হয় খবরে খবরে।

যাকে পাড়ানির কড়ি বলে সযতনে
বুকের কাছে বুকপকেটে তুলে রাখি
তাই হয়ে যায় বৈশাখী ঝড়,
কৃষকের পাকা ধানের ক্ষেতে
বিজয় উৎসব করে এক পাল পতঙ্গ!
মাতাল উন্মাদনায় আর প্রলোভনে
অবশেষে প্রাপ্তির কোটা ভরে তুষের আগুনে।

এখন ভালোবাসা মনে চব্বিশ ঘন্টার জন্য
মাইক ভাড়া করে তোমার বক্তৃতা আর
কিছু দেশের গান বাজিয়ে পাখিদের নিদ্রা ভঙ্গ,
এখন ভালোবাসা মানে ভালোবাসার দিবস,
চাঁদা তুলে গরিব খাওয়াবার নামে
খিচুরির সাথে রঙ্গিন পানীয় আর
আমার পকেট একমাসের জন্য নিরাপদ

এখন ভালোবাসা মানে স্মরণ বেদীতে পুষ্পমাল্য
টিভিতে চেহারার প্রদর্শন
নগ্ন পা ভুলে গিয়ে নগ্ন মানসিকতার পায়ে
বুট জুতায় খোঁজা মাটির ঘ্রাণ, লেবাস কেতাদুরস্ত
তবু আমি তোমাদেরই লোক
চল্লিশের পরে কি কেটে যায় শোক !

গরম তেলই ভাজতে হবে মাছ
তা না হলেই ফুরুৎ পাখির
চোখ শকুন হয়ে আকাশে
দৃষ্টি যার গনকবরে।

মস্তিস্কে হলুদ পাখোয়াজ

মস্তিস্কে হলুদ পাখোয়াজ

মন ভালো নেই তাই
যেখানে তে যাই
সবকিছুতেই কেমন যেন
হলুদ গন্ধ পাই।

আজকে ভোরের আকাশ হলুদ,
রোদের রং হলুদ, তাপ হলুদ,
রাস্তা হলুদ, রাস্তার যানজট হলুদ,
মানুষ গুলোও কেমন যেন হলুদ করে চায়।

অফিসে সবার ব্যবহার একই রকম তারপরও
তাদের কাজগুলো কেমন যেন হলুদ হলুদ
নৌকার পাল হলুদ, জেলেদের জাল হলুদ,
নদীর জল হলূদ, গাছের পাতা হলুদ,
হলুদ রং এর পাখি গুলি হলুদ হলুদ ডাকে
কিছু হলুদ জমে থাকে সন্ধ্যাবেলার ফাঁকে।

গির্জার ঘন্টা, আজানের সুর, পূজার ঢোল
কিংবা হরিবোল
সব কিছুতেই কেমন যেন হলুদ মনে হয়
হলুদ দেখার জন্য লাগে চোখ খুলতে ভয়।

রবীন্দ্র কিংবা নজরুল গীতি
ফেলে আসা জীবনের অনাবিল স্মৃতি
নাট্য মঞ্চের কোন সংস্কৃতি
পার্কের বেঞ্চে বুড়ো রাজনীতি
সব কিছুতেই কেমন যেন
হলুদ গন্ধ পাই,
তারপরও সময় নিয়ে আড্ডা দিতে যাই

বন্ধুদের আড্ডা হৈচৈ ঠিকই চলে
চলে আলোচনা, সমালোচনা
চলে সুখ দুঃখ, কথোপকথন
চলে মশকরা
কোন নায়িকার ইয়ে কেমন
সব কিছুতেই কেমন যেন
হলুদ গন্ধ পাই।

বাসায় ফিরলে গরম ভাত আর পাখা হাতে
বউ বসে যায় আমার কাছে
ছোট্ট আমার ছেলে মেয়ে
জড়িয়ে ধরে গলা
তবু তাদের সাহস করে হয়নি কভু বলা
সব কিছুতেই কেমন যেন
হলুদ গন্ধ পাই।

ভালোবাসার গহীন চোখেও
হলুদ নিলো ঠাই
এমন হলুদ নিয়ে এখন
কোথায় আমি যাই
এই অবেলায়
সব কিছুতেই কেমন যেন
হলুদ গন্ধ পাই।

চাই সবুজ পাণ্ডুলিপি

চাই সবুজ পাণ্ডুলিপি

নিরবলম্বন জীবনে
অপারগতা বা অক্ষমতার কথা জানাতে
লজ্জিত হই না যা পারিনা, তো পারিনা
বয়স ভেদে সব কিছু শিখতে হবে বা জানতেই হবে
এমন কোন দিব্যি কে কোথায় দিয়েছে?

এই বয়সে এসেও আমি পারুষ্য অ আ শিখতে তোমার কাছে
ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে রাজি।
জীবনের সঠিক মানে কি!
তা আজো সঠিক ভাবে জানা হয়নি ।
জীবন উৎসে নাবী ধান হয়ে
এতটা সময়।

প্রমদা প্রলুব্ধ হয়ে ক্ষণকাল মোহগ্রস্ত
কল্পক ঢঙে জীবন নয়
রুদ্র দোষে জীবনের পোড়া খাই সমুদ্রসমান।
তোমার প্রজ্ঞার বীজে
আমার জমিতে বপন কর
সবুজ দিনের পাণ্ডুলিপি।

মৃতদের শব

মৃতদের শব

আসলে বিবর্ণ যে কোন কিছু মৃত,
আর তার অাবরণে জেগে থাকে যে খোলস
তাকেই শব্দহীনতায় বন্ধী করে তৈরী করি কফিন।
একটি মানুষ বহুবার সেই স্বাদ গ্রহন করে
কখনো প্রেমে,কখনো বিসর্জনে
কখনো মনে, কখনো শরীরে
কিছু লোক তো আছে খাবারের অভাবে বিবর্ণ
কিছু লোক বিবর্ণ চাঁদের আলোর দড়ি কিনে
গলায় ফাঁস দিয়েছে;
এখনো শব্দহীনতার অাকাশে ভেসে চলে যে গাঙ্গচিল
সেগুলো হয় কবি নয় ঝড়ে যাওয়া প্রেমিক পুরুষ।
আজকাল সত্যিকারেরর মানুষ গুলোই রংহীন গোত্রহীন
পরে থাকে অতলান্ত নিঃশব্দতা নিয়ে
উড়ে বেড়ানো রঙিলা পাখির দল
শব্দতুলে নৌকাবাইচ করে।

ক্লান্তিহীন, নিদ্রাহীন চিরনিদ্রায় শুয়ে আছে তামাম
গৃহীজীবন, জলের ভাঁজে ভাঁজে কাগজের নৌকাগুলো একটু দুরে সরে হেলে পরে সেই উর্মিমালায়;
বৈতরণীর তীরে তৈরী থাকে যে তীর তা থেকে কেউ কোন দিন বের হতে পারে না, এটাই শেষ অঙ্ক; কিন্তু
সেই পথে যাবার আগে প্রতি নিয়ত যে জলসম রং ঘিরে ধরে তার থেকে কেউ বের হতে পারি না;
হয়তো মুচকি হাসির খোরাক দিয়ে শুরু হয় বসন্তসুখ
সব সখিদের তার পর সখিদের শব নিয়ে চলে যায় ধূসরিত দিন, আর
আমাদের মাঝে বয়ে চলে
ঝরনার বিবর্ণ জল
পাহাড় থেকে
সমতলে।

_________
১৩/০২/২০১৯

আবছায়া ভালোবাসা

আবছায়া ভালোবাসা

নক্ষত্রের পথে আজো হেঁটে চলে
ক্লান্ত পায়ে কোন যৌবনা নারী
বাতাসে শাড়ীর আঁচল উড়ে
মেঘেদের মত ঢেকে দেয় চাঁদ
তবু আবছায়া আলোতে দূরে আরো দূ রে
চোখের তৃষ্ণা জেগে থাকে খুব
পুরুষ কেমন হয় ?

ভালোবাসাই বা কেমন ?
সেও কি আকাশ মাটির মত
দূর থেকে দেখি মিলে মিশে একাকার
কাছে গেলেই যোজন যোজন ফাঁক !

আকাশ মাটির ফাঁকে হাওয়া হয়েই
অপূর্ণতা ঢেকে দিতে জানালার গ্রীলে
বন্দী সময়। আহা জীবনে কত লালায়িত সুখের
কাব্য শীতের শেষে ঝড়া পাতার মত ক্ষয়, বুঝতে পারনি
বা বোঝাতে পারিনি চৌচালা টিনের ঘরে
সুখ বা দুঃখের বৃষ্টির শব্দ গুলো
গড়িয়ে গড়িয়ে মৃত্তিকার বুকে,
ভালোবাসা হয়তো এমই হয়।

আড়ষ্ট প্রতিবিপ্লব

আড়ষ্ট প্রতিবিপ্লব

হাটতে গেলে রাস্তা হারাই
ছুড়তে গেলে তীর
চাইতে গেলে অন্ধকার সব
পথ ভাঙ্গা চৌচির

ফুল গুলো সব কাঁটায় ভরা
ডানা ভাংগা পাখি
পানি বিহীন শুকনো নদী
তৃষ্ণা ভরা আঁখি
বৃষ্টি ছাড়া মেঘ গুলো সব
কোথায় উড়ে যায়
বুকের মাঝে ভীষন খড়া
করে যে হায় হায়

ডাল গুলো সব শুকনো গাছের
পাখির কোথায় ঘর
যুগল হতে যুদ্ধ করি
সেই না পাখি পর
স্বপ্ন ভয়ে রাত্রি জাগি
দিনের বেলায় ঘুম
দুঃস্বপ্ন পরশ করে
দেয় যে তাহার উম

লক্ষ্মী হতে অলক্ষ্মী হই
ভালো হতে মন্দ
নিজের ভিতর নিজকে নিয়ে
বেঁচে থাকার দ্বন্দ্ব।

___________________________________________
আগ্রাসনের শিকার নিরীহ শিশু বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস এর কবিতা।

স্বপ্ন দেখার ভুলে

স্বপ্ন দেখার ভুলে

জাতিগত বিদ্যা আর পরদেশে মন
জাতির জাতীয়তায় খুব প্রয়োজন
ভিনদেশে থাকে যারা জানে বোঝে সব
সভ্যতার মঝে খোঁজে নিজ দেশের শব

আসল বচন হলো জাত ধর্ম ভাই
অভ্যাসের সেই ধর্ম নিজে দেশে চাই
ভালোতে ভালো দেখে মন্দে মন্দ জন
দুরাশার আশা করে কারো কারো মন

যা পাই তাই সুখ ভিন্ন ধরন কথা
ভিন্নতার জন্য মন ছোটে যথাতথা
এখন মাতৃভূমি অনাচারে চরা
বোঝার আগে ছিলো ফলে ফুলে ভরা।

কামরাঙ্গা শীত

কামরাঙ্গা শীত

অভাবী স্বভাব কাপড় অভাব
শীত বড় ভয়, কুয়াশা তো নয়
কোথা পাই ঠাঁই
আগুন তো নাই
রেল গেটে মশা করে উৎপাত
শীত গুলো কেন বোঝে না তো জাত।

ও ধারেতে রাতে কম্বল হাতে
বাবু মশায় আছে, দেবে নাকি ভিক্ষা
এ কথাতো ঠিক, ভোটে কেনা বেচা,
এই ভাবে চলে তার প্রচারণা।

যাবো বলে ভাবি কিন্তু এ আঁখি
ভেজে কুয়াশায় অন্য সে ভাষায়
বোঝে এই মন, ফকিরের হাতে
ব্যঙের গুপ্তধন।

তবু এই গীতে কামরাঙ্গা শীতে
আলো জ্বেলে যায় চ্যানেলের লোক
খবরের ফাঁকে নিজেদের নিয়ে
শীত কেনা বেচা, তার বেশী ঝোঁক।

এই ধারা রোজ তবু চলে খোঁজ,
উষ্ণতা কোথা ধিকিধিকি বাঁচা
জীবনের খাঁচা উড়তে না পারা
চেষ্টা তো তবু নিজ পায়ে খাড়া।