খেয়ালী মন এর সকল পোস্ট

অবহেলার শাল্মলী

অবহেলার মানুষ যখন
তোমার কাছে পাক
আজকে রাতে সকল কিছুই
একলা পরে থাক
লেখার কলম, কাগজ, ফুলদানী,
চুলের ফিতা, পাশবালিশ, রাতের আঁধার
কিংবা ফুলের সুবাস সকল কিছু।

একলা চলুক ঘড়ির কাটা
একলা জ্বলুক প্রদীপ
একলা তোমার চোখের কাজল
একলা থাকুক টিপ।

একলা থাকুক রাস্তা গুলো
একলা রাতের তারা
একলা পথে হাটতে যাবে
তুমি বিহীন যারা।

একলা থাকুক ফুলের সুবাস
ভোমর ছাড়া তোমার আবাস
মস্তবড় একলা খাটে
কর তুমি এপাশ ওপাশ।

রাতের আকাশ একলা দেখুক
ঝিরিঝিরি বাতাস
তোমার মাথার বালিশটাতে
তোমার ই নিঃশ্বাস।

আজকে রাতে সকল কিছু
একলা পরে থাক
আমি আছি ঘোরের ভিতর
ডুবিয়ে যে নাক।

*শাল্মলী – শিমুল গাছ; পুরাণোক্ত সপ্তদ্বীপের অন্যতম। [বিশেষ্য পদ]

বিরহের চৈতী আগুন

বিরহের চৈতী আগুন

অনন্ত বিরহের ডাহুক ডাকে
কাল পূণির্মার রাতে
ডেকে ডেকে খুঁজে ফেরে সঙ্গীহীন বিষের পেয়ালা;
সবুজের মাঝে হারিয়েছে যে দিন
সেই সময় আসে নাকো বিলাপের সুরে;
অবাক চৈত্রের রাতে জোনাকিরা দিয়ে যায় আলো
তবু থেকে যায় হৃদয়ের গভীরতম ক্ষত অন্ধকারের মত।

চোখ মেলে তাকালেই যায় না সব দেখা
তেমনি দিনের শেষে চলে গেছে পথ
নতুন পথের হাতছানি পেয়ে, ম্লান চোখের
দৃষ্টিপথ পার হয়ে;
দূরে আরো দূরে বিভাজন হয়ে
কল্পিত সবুজের ধূসরিত অঙ্গনে।

আমি ডাহুক নহি
আমি সবুজ নহি
আমি জোনাকির আলো নহি
আমি অন্ধকারের ক্ষত নহি
আমার হাতছানি নেই
আমার দৃষ্টিপথ নেই
এমনকি আমার কোন কল্পনা নেই;
আমার যা আছে তা হলো শুধু
চৈত্রের দিন,
যার তাপদাহে ভেসে যায়
চৌচালা টিনের ঘর,
যার তাপদাহে পুড়ে যায়
সবুজের বিলাস বসন,
যার উত্তাপে নিজেকে পোড়াই
নিজের আগুনে।

লিরিকস -৩

বন্ধু তোর নিঃশ্বাস যদি ভারী কিছু টানে
বুকের পাঁজরে ক্ষয় এর আবরণে
সরে গিয়ে দায় থেকে মুক্তি কি মেলে
চলে আয় চলে আয় ভাগ করি
কষ্টের কথন, চলে আয় চলে আয়
এক সাথে চেয়ে দেখি নক্ষত্র পতন

বন্ধু তোর চোখের পাতা যদি ভিজে যায়
অকারণ কোন কারণে
আয় ভালোবাসার আবরণে উল্লাসে মাতি
সেই অশ্রু বিসর্জনে
জানি নোনা জল সেতো যায় না
পান করা তবু
সেই জলেই বুক ভার করা কথোপকথন
সেই জলেই ভরা সাগর আর পাষানের মন

বন্ধু আয়, আয় না একবার কাছে
চলে যাই সেই সব দিনে
যেখানে পাঠশালার পথে
চড়ুই পাখি বাসা
নিজেদের উচ্ছাস আর মায়ের বকুনি ডাকে
আগামী দিনের আশা
নিতান্ত নাবালক নির্দোষ কথার মালায়
আবার সাজাই জীবন
হাটি পাশাপাশি।

লিরিকস -২

দায় মিটাতে মুখাগ্নি হয়
বস্ত্র দান আর আহার
এতে করেই স্বর্গ পথ
খোলা হবে তাহার

যজ্ঞ করো অগ্নি জ্বেলে
ভস্মে ঢালো কি ?
দোষ পোড়ানো এতই সহজ
বৃথা ক্ষয় তোর ঘি।

কবর আজাব হইবে কি মাপ
মুদ্দার ঢাকলি কোন টাকায়
সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ী মন
সেই কবরের দাম হাঁকায়

বুঝে দেখ জন
তোর কিরে মন
সহজ পথে চলতে চায়
শোক পালনের নামে কেন
সাদা কাপড় গায় প্যাচায় ?

বুঝে দেখ জন
তোর কিরে মন
শোকের ভাগ কিবা পায়
ঘরে আগুন জ্বলে না যে
পড়শির দেয়া গোস্ত খায়।

কাল্পনিক- ৪

ভালোবাসার ঘোলা জলে কে প্রথম সাঁতরে পাড়ি দিয়েছিলাম
গায়ে কাদা লাগার ভয়ে আজ আর মনে পরে না।
তবু হুড তোলা রিক্সায় যখন বৃষ্টির ছিটেফোঁটা
এসে চোখের পাতায় কাঁপন ধরায় কিংবা শীতের রাতে
চাঁদের আলোয় কুয়াশায় যখন সব কিছু সাদা হয়ে যায় অথবা
চৈত্রের দুপুরে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় বসে একাকি একা;
কেউ বলে না তোমার মাঝে আমাকে লুকিয়ে রাখো।

এখন শুধুই তোর জন্য ভাবনা ভাবি না,
এখন নিজের জন্য হিসেবী হতে পারি না,
মন চায় না এক দুপুরে আর হারিয়ে যেতে;
শুধু ময়লা গুলো গায়ে লাগার ভয়ে যতটা সম্ভব
সবকিছু পাশ কাটিয়ে চলি।
যৌবনের মত আর তৃষ্ণায় কাতর হয়ে
দুহাত কারো দিকে বাড়িয়ে ধরি না
কুসুম গরম হাতটি পাবার আশায়।

তবুও খেলা চলে নিজের অজান্তে নিজের সাথে,
তবুও কাদা লাগার পবিত্র ঋণ আমাকে চিন্তামগ্ন করে;
তবুও হাতের ফাঁক দিয়ে কলমের কালিতে
তোকে নিয়ে পদ্য বের হয়;
তবুও জীবনের স্বাধীনতাটুকু তোর কারণেই
লাশকাটা ঘরে হেটে চলে গলিত হৃদয়ের আশায়।

মা তোমার জন্য

মা তোমার জন্য

তুমিই আমায় আঁকতে পারো
তুলিবিহীন পৃষ্ঠা জুড়ে;
তুমিই আমার কান্না ধরো
আঁচল পেতে বুকের ভিতর।

জন্ম তুমি, মরন তুমি
তোমার জন্য দশ দিগন্ত;
ভেসে থাকা শ্যাওলা আমি
তুমি আমার জল অনন্ত।

আসছি আমি আসবো আমি
শুধুই তুমিই তুমি বলে;
তোমার জন্য আলো দেখা
জন্ম আমার তোমার কোলে।

আমার জন্য অক্ষর গুলো
তোমার দেয়া গানের সুরে;
পরশ করে নিদ্রা আনে
অবাক ভুবন তুমি আমি।

তুমি আমার জীয়নকাঠী
ঘুমপাড়ানীর গল্প বলা’
শুধু তোমার আদর পেতে
হাজার ধরন ছলাকলা।

হাজার বছর ধরে আমি
তোমার কোলেই রাখছি মাথা;
ভালোবাসার ছোঁয়ায় তোমার
আমার চোখে অশ্রু মাখা।

কাল্পনিক- ১

দেখেছি প্রশস্ত পরিবারে ভাঙ্গনের দাগ
সবুজ ঘাসের বুকে হলুদ ডোরা কাটা শাড়ি।
সকালে ঘুম থেকে জেগে এক কাপ চায়ের সাথে
দুটো টোস্ট বিস্কুট এখন আর হয় না, বিস্মৃতির তরোয়াল
কেটে দু-ভাগ করে তেপান্তরের মাঠ, ঘরের খাট, খাবার টেবিল
আর পাশের সঙ্গিনী, চুম্বনের দাগ বয়স কালে বেশ বিভ্রম ধরায়,
কীর্তনখোলার তীরে বেহুদা হাতে হাত ধরে পাশাপাশি ….।

মেঘ নামে বিকেলের অলোয়
জেনেছি, আমার স্মৃতিরা কোথাও বসবাস করে না;
নদীর ঘোলা জলে ডুব সাতার চলতে পারে
পাহাড়ের পথেও মানুষ হাটে শুধু সৌখিনতায়
তবুও লাল ডাকবাক্স গুলোতে জমে না চিঠির স্তুপ,
তোমাকে আর খুঁজে পাই না
ভাঙ্গাচোরা ঘরদোর এর মধ্যে।

গণ্ডমূর্খ সময়ের শৈথিল্য

গণ্ডমূর্খ সময়ের শৈথিল্য

আমার হাতে তাঁতের শাড়ী দেখে
আঁৎকে উঠে বলেছিলে
ভালোবাসাই সব নয়
তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই
জমকালো ধ্রুপদ।

আজ সেই চৌরঙ্গীর দেয়ালে
শ্যাওলা জমেছে বুঝি !
বলছো কথা নতুন কি এক ভাষায়
ভাবছো তবে অন্য ধারার জীবন
চোখ রেখেছো আটপৌরে আশায়

অনেকটা পথ পেরিয়ে
অনেক কিছুর দায় এরিয়ে
যদি কোন নদীর দেখা পাও
সেই নদীতে ভাসার আগে
ভাসার দিকে না তাকিয়ে
ডিঙ্গি কেমন সেটা জেনে নেও

পছন্দসই তেমন কোন
নৌকা যদি পাও
রং মাখানো মোড়ক খুলে
তন্দ্রালু আবেশ ভুলে
তাতেই উঠে যাও।

দিগ্বিদিক ভ্রষ্ট আলো

দিগ্বিদিক ভ্রষ্ট আলো

অনেক দিন চাঁদের আলো
দু হাতে ধরে স্বাদ নিতে চেয়েছি
হাতের ফাঁক ফোকর থেকে
জোছনা গলে পরে
পায়ের কাছে।

বলেছিলে এটা তোমার বাঁধানো পুকুর ঘাট
এখোনো কি সেথায় বসে
নারীর আলোয় চাঁদের হাট ?

জোছনা ছুঁতেই ভিজলে তুমি
ভারী চাদের আলোয়।

এখন সমস্ত শহর জুড়ে
পতনশীল থৈ থৈ আলো
আমিও কোন নোনা আলোয়
বার বার দিকভ্রষ্ট মানুষের
মত হেটে চলি
লাভার মত গলিত জোছনার
পুড়ে যাওয়া রাস্তায়।

আড়াল

আড়াল

সুখের ভঙ্গুর সময়
দু হাতে আকাশ ধরি
তার একটু নীচে
মেঘেদের ঘর বাড়িতে
নিত্য আনাগোনা
কুমারের মত মাটি ঘেটে ঘেটে
বুঝলাম…
আড়াল কোন সহজ কাজ নয়।

সূদীর্ঘ স্বপ্ন গুলো
দুই হাতে ঝাঁপি বন্ধী করে
সমস্ত বনানীতে খুঁজলাম
শুকনো পাতা হয়ে
সাগরের জল হৃদয় দিয়ে
উল্টে পাল্টে দেখলাম
পাথর গুলো ধূলার মত
ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেখলাম,
না এ ভাবে হয় না

জীবন খোঁজা
পুরনারী অন্তরালে
আমিতো আড়াল হতে পারি না।

শেষ প্রহরে

শেষ প্রহরে

সমুদ্রের পায়ের কাছে দাড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে তাকে ছুঁতে পারিনি
জানালার ওপাশে দাড়িয়ে দেখেছি
ঝমঝম বৃষ্টি;
সেই পাড় ভাঙ্গা উথাল পাথাল বৃষ্টিতে
ভিজতে পারিনি কোন দিন।

আকাশে মেঘের ডাক শুনেছি হর হামেশাই
দেখেছি ভর দুপুরে অলোর পরিবর্তন;
চৌকাঠ থেকে বাইরে পা দিয়ে তাকাতে
সাহস হয়নি, দেখতে পারিনি কেমন করে
নীল আকাশ থেকে থেকে সাদা,কালো ধূসর
কিংবা সিঁথির সিঁদুর হয়ে যায়।

এই সব অবস্থায় তুমিই ছিলে;
তোমার জন্যই আমার দেখা ভূবনে অদেখা
অনেক কিছু।
তবুও অপেক্ষায় বসে আছি
হৃদয় বৃন্তে এক গাঢ় বিশ্বাস নিয়ে
প্রহর শেষ হলেও দিন আসবেই- আসতেই হবে।

অপেক্ষা

অপেক্ষা

তারপরও বসে আছি চৈত্রের হাওয়া গায় মাখিয়ে;
ক্লান্ত সময় কপোলের আবিরের মত মুছে যায় না,
স্মৃতির গহীনে বসে থাকে নেশাখোর মানুষের মত।
জৈবিক তাড়নার থেকে মানসিক সুখ জীবনের
গভীরতা ছুঁয়ে যায় অনেক বেশী। নষ্ট প্রহরের প্রাপ্তি গুলোই
স্ফটিক হয়ে থেকে যায়। নিরুত্তর মানুষের জন্যেই কিছু কিছু
প্রগতি থমকে গিয়ে দগদগে উনুনে মাছ ভাত রান্না করে।
স্বীকার করতে দোষ নেই রাতের আঁধারে আমিও কাল্পনিক
বালক হয়ে উৎসে খুঁজেফিরি তৃষ্ণার জল;
আবার দিনের বেলায় ধার্মিক পুরুষ।

তারপরও বসে থাকি, তারপরও বসতে হয়
চৈত্র দিনের শেষে আধো ফোটা চাঁদের আলোয়
সঞ্চিত উষ্ণতা নিয়ে প্রণয়ীর চপলা আঙ্গুল
কিংবা বৈশাখী ঠোঁটের ঝড়ের আশায়।

কাল্পনিক

কাল্পনিক

এক দিন পা ফেলে ফেলে
গেরুয়া মেঠো পথে যুগল হাত,
বাতাস চুলের সৌখিনতায় হাত বুলিয়ে যায়,
ভিন্ন হাতে তুমি সামলাতে অস্থির শাড়ীর আঁচল;
কি কথায় মাতাল সময় গুড়িয়ে তরল সন্ধ্যা নেমেছিলো।

আজ আর তা মনে নেই। শুধু জানি ভালোলাগার রেশ
আজো একাকি কষ্টের বিলাস বসনের ঘরে।
মরুভূমি হারিয়ে যায় না, সেই পথে মানুষেই খুঁজে পায় না
নিজের শ্লোগান। আসবে বলে যে অপেক্ষায় সাজানো হতো
ঘরের দেয়াল, পড়ার টেবিল, ঝুল বারান্দা আর গাঢ় মেজাজ
এখন সে সব ডাইরীর পাতায় বন্ধী।

তবুও বিহঙ্গ হতে পারিনি,
পারিনি দেশ বদল করে উড়ে যেতে ভিন্ন ভিন্ন দেশে।
তবুও আক্ষেপ নেই,
করিনি কারন ভিন্ন মেরুর মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বাঁচতেই পারে।
তবুও ভুল করিনি
ভুল করা মানুষের মত নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারবো না বলেই।

দিনের শেষ গোধূলি লগনে যে থাকে দুয়ারে

অপেক্ষার দিন শেষে শূন্যতা গ্রাস করে না বরং
একরাশ ভাবনা বিচলিত করে,
সুখের সুখ পাখীকে খাঁচায় বন্ধী করে
দুলানো যায়, ভোলানো যায়, কথা বলানো যায়
কিন্তু বাঁধা যায় না। দিনের শেষ গোধূলি লগনে
যে থাকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে
অপেক্ষার অাক্ষেপের মালা নিয়ে
সে ই আপন জন। আমিও জানি সুখের কান্না চেয়ে
বড় সুখ কিছু নেই, সেই চোখের জল
দু হাতে ধরে মালা না গেঁথে
মুছিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই সক্ষমতা,

এসো হাত ধরো
চলো এগিয়ে যাই
সমুখের পানে
যেখানে মিলনের সিম্ফনি হৃদয়ে গভীরখাদে
পরে হাবুডুবু খায় অার মৌনতা টেনে আনে
অবিচল বিশ্বাস। নিঃশ্বাসে ফিরে পাওয়া
শরীরস্থ ঘ্রাণ পুনরায় পরিপূর্ণ মাতাল করে।

অামি শুধুই ভালোবাসার কাঙাল নই;
চাই আরো কিছু যা ভালোবাসার থেকেও
অনেক দামি, আরো প্রয়োজন আরো গভীর।

_________
১০/০৫/২০১৯

অর্ধাংশ

অর্ধাংশ

ভাগ অংকের জীবন
না জীবনের অংক ভাগ;
অবুঝের মত বুঝতে গিয়েই শুরু হয়েছিলো ভাঙ্গনের গ্রাস
বুঝতে পেরেছিলাম
আমাদের ভূবন তো এমনিতেই ভাগ হয়ে আছে
সেই পৃথিবীতে ভাগাভাগির খেলা তোমার হাতেই শুরু
আমাদের এক জীবনের দুই ভাগ, নষ্ট আর কষ্ট, দুই ভাগ…..

এক ভাগ জীবন অন্য ভাগ দহন
এক ভাগ জল অন্য ভাগ পোড়ামাটি
এক ভাগ আমি অন্য ভাগ রেল লাইন
এক ভাগ আলো অন্য ভাগ ক্ষুধা
এক ভাগ ধারন করে অন্য ভাগ মদ্যপানকারী
এক ভাগ বাতাসে অক্সিজেন অন্য ভাগ
ধোয়া উড়িয়ে মেঘেদের সাথে ভেসে যায় পাহাড় চূড়ায়

এবারে অন্য ভাগ
দুঃস্বপ্নে হাবুডুবু খায়, একভাগ
গহনার ওজন বয়ে নিয়ে চলে বৈকুণ্ঠের পথে,
হিসাবের খাতায় কেহ লিখে রাখে
সুখের ওজন আর দ্বিতীয় দল
সরল অংকে ভুল করে শূন্যতায় হেঁটে যায়
শূন্যতা নিয়ে শূন্যপথে।

এক ভাগ নিকুঞ্জ বন অন্য ভাগ
নিদারুণ তাপদাহে ভাসে পিচ ঢালা রাস্তায়
জিহ্বামূল বের করা কুকুর হয়ে।

আমাদের ভাগের খাতা এক না হয়ে দুই হয়ে নতুন
অাঁকাবাঁকা পথে পথ হারিয়েছে দিগন্তরেখার খুব কাছে।

০৩/০৫/২০১৯