খেয়ালী মন এর সকল পোস্ট

ফাগুনের কবিতা

ফাগুনের কবিতা

নাটাই আমার হাতেই ছিলো
সুতাও ছিলো ভালো
মেঘের মাঝে ঘুড়িও ছিলো
আকাশ ছিলো কালো।

নাটিকাতে নায়ক ছিলো
গল্পও বেশ ভালো
জোড়ালো বেশ কথাও ছিলো
নায়িকা যে কালো।

নৌ ছিলো যে ময়ূরপঙ্খী
নোঙর ছিলো খোলা
নাইয়া ছিলো নিখাদ সুরের
বাদাম তবু তোলা।

ভালোবাসার দশ দিগন্ত
হাতের মুঠোয় ধরি
তোর কাছেতেই কোড়া কাগজ
প্রেমের হাতে খড়ি।

শঙ্কা করি ভূতের বাতাস
আসবে কি এই দিনে
তারিখ দিয়ে ভালোবাসা
নিলাম যখন কিনে।

নোনা জলে ভেসে যাও তুমি

নোনা জলে ভেসে যাও তুমি

অগ্নুৎপাতের মত বিভিন্ন আলোর
দ্বিধাহীন রঙে দুরন্ত দুপুরটাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
মেঘেদের আনাগোনা ছিলে সারাদিন
তবু বৃষ্টি হয়নি আজ এই মধুমাসের
প্রচণ্ড তাপে।

সিঁদুর রঙের সাথে কালো সাদার
সামাজিক বুনন ছিলো পড়ন্ত বিকেলে
সন্ধ্যা নামে, জমে থাকা অল্প জলে
ব্যাঙদের কবিতা আবৃত্তির সাথে
পল ছুঁয়ে কিছুটা সময় চলে যায় বেশ একা;

তবু দরজার ওপারের তোমার কাছ থেকে
পাইনি সারা, অথচ তোমার অপেক্ষায়
মেঘেদের আড়ালে ঘুম চোখে চাঁদ,
আজ ছিলো বৌদ্ধ পূর্নিমা।

চাঁদের চোখে জমে থাকা নোনা জলের
তপ্ত অনুভবে শেষ রাতের ঘোষনা ;
তবু তুমি আজো বললে না কি ছিলো
অনুভবে তোমার
চাইলেই পেতে স্নিগ্ধ সকাল, বৃষ্টির ফোটা, রঙিন বিকেল
চাঁদের আলো অথবা একাকী আমায়।

রাত শেষে শুধু দুকূল ভাসানো তপ্ত নোনা জলে
ভেসে ভেসে ভেসে চলে গেলে
অমলিন অনাঘ্রাত প্রভাতের আশায়।

সারবন্দী ভিন্ন বৃক্ষ

সারবন্দী ভিন্ন বৃক্ষ

পাখিদের মত ডানা মেলতে পারিনি বলেই আজ ভালোবাসার আঁচল খুঁজি,
পাখিদের মত ভালোবাসতে পারিনি বলেই আজো শুধু তোমার বুকেই মুখ লুকাই
শুধু জৈবিক জীবন পশুদের, পাখিদের
পর্যায়বৃত্ত হতে হতে বিরক্তিকর ঘুণপোকা বৈঠক করে সুচিন্তার জালে বসে
নিজেকে নগ্ন দেখতে বড় ভয় হয় তাই বেলদার হয়ে উঠি ক্রমশ;
বৈদগ্ধ্য ভাব আনতে গিয়ে বেলেল্লাপনার ভয় নিজেকে গুটিয়ে রাখি
শামুকের মতো খোলসের আড়ালে।

তোমার বাঁকে যতটা মসৃন ভাবে বন্ধক হীন ঋণী
ততটা ভাবাবেগ অন্য কোথাও নেই
আমার সন্তানের প্রজায়িনী।

বৃক্ষের মত স্থবির হতে পারিনি বলেই আজো ভিন্ন ডালে সুখের উপমা
বৃক্ষের মত গভীরে শেকড় নেই বলেই জীবনের ভেলা কাদামটির উপরে
তেমন জীবন বৃক্ষ, লতাপাতার
ভাসমান বলেই তোমার আঁকড়ে ধরার সাধ,

সাধ বীজ বপনের
মুদ্রা দোষে আমি তোমার রথের সারথি
পারিজাত ভেবে তুমি তোল রন্ড বৃক্ষ রথী।

ফিরে দেখা পথ

ফিরে দেখা পথ

তোমার পদচিহ্ন ধরে হেঁটে যাই সময়ের পথে
পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে ফিরে আসি পুনরায় পরিচিত শস্যক্ষেতে;
তোমাকে আর পাওয়া হয়না, ক্লান্ত শরীর স্মৃতি গুলো নিয়ে পরে থাকে;
সমাধানের পথ গুলো সমাপ্ত হয় না তবু, বার বার ফিরে যায়
দিগন্তের ধূসর স্মৃতির পথে।
কল্পনার ছবি গুলো বেশ জীবন্ত হয়ে হেঁটে বেড়ায় আমার চারপাশে
সেই চরিত্র গুলো খুব উপভোগ করি;
তোমার শাসন,তোমার বকুনি
তোমার অভিমান,তোমার বেদনা
তোমার অশ্রু,তোমার অভিযোগ
তোমার ভালোবাসা, তোমার ফিরে চাওয়া
তোমার শূন্যতা, তোমার পূর্ণতা
তোমার শাড়ির আচল, তোমার কপালের টিপ
তোমার শব – তোমার সব কিছু চলমান চরিত্র হয়ে ফিরে আসে
তবু তোমার শেষ দিনের দান আমাকে একাকী করে চলে যায়
অচেনা গন্তব্যের পথে।
হে পথ তোমাকে খুঁজেছি বহুবার, হে পথ তোমাকে রচেছি বহুবার
হে পথ তোমাতে হেঁটেছি বহুদিন, হে পথ তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়েছি অবিরত
তবুও খুঁজে পাইনি তোমায়, তবুও ফিরে পাইনি তোমায়
তবুও জানতে পারিনি তোমায়, তবুও বুঝতে পারিনি তোমায়
তবুও পারিনি ছেড়ে যেতে ,তবু পারিনি ফিরে যেতে

আজো চোখ মেলে তাকালে দেখতে পাই ধূলো উড়া গেরুয়া পথে
জোনাক জ্বলা শাড়ির আঁচল।
সব কল্পনার শক্তি স্বপ্নকে পিছে ফেলে হেঁটে যায় বহুদূর
যেখানে সুখের সরোদ বাজে করুণ বিলাপে।

প্রতিবিম্ব প্রতিবাদ

প্রতিবিম্ব প্রতিবাদ

কোন প্রতিবিম্ব তোমার মত হয়
কোন প্রতিবিম্ব আমার মত নয়
তোমার দেখা আয়নায় মুখ, তোমার
কপালের টিপ, সিঁথির সিঁদুর, কপোলের
অাবীর ছোঁয়া সব কিছু, খুব যত্ন নিয়ে তোমার;
নদীর পাড়ে ঝুঁকে দেখা প্রতিবিম্ব তাও তোমার।
শরীরের ডাকে বদলে যায় যে শরীরের রূপক রূপ
সেই রূপসী রূপ তোমার, তোমার থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়া যা কিছু
তা তোমার আদলে তৈরী।

আমি শুধুই কারিগর, তৈরি কৃত সব কিছুর কারাগার বন্ধী কারিগর হয়েও সঠিক জানিনা ফসলের আসল মালিক কোন মহাজন, আমি জানিনা নদীর ঘাটের নৌকাখানি কোন দড়িতে বাঁধা, আমি জানি না সত্যি কোন অালিঙ্গনে কাউকে বদলে দেবার কোন ক্ষমতা আমার আছে কিনা কিংবা আকাশে উড়ে উড়ে যাওয়া পাখিটাকে ভালোবেসে নীচে নামাবার কোন শক্তি আমার আছে কিনা;

আমি শুধু জানি জলের উপর প্রতিবিম্ব সঠিক নয়, মনের উপর ছাপ ফেলে যাওয়া সঠিক নয়, ভালোবেসে বদলে দেয়া পৃথিবী সঠিক নয়, কুড়িয়ে পাওয়া সত্যিগুলো সঠিক নয়, আমি সঠিক নই, তুমি সঠিক নও আমাদের কোন কিছুই ততটা সঠিক নয়, কারন

সব প্রতিবিম্ব সব সময় সব কিছুই উল্টো তুলে ধরে।

শব্দ ভাঙার শব্দ

শব্দ ভাঙার শব্দ

তুমি আসবে …
কথাটা জানাজানি হবার পর
এক ঝাঁক পাখির ব্যস্ততা বেরে গেছে কয়েকগুণ
শুকিয়ে যাওয়া নদীটিতে ফিরে আসে স্রোতপ্রবাহ
শীতের সকালে কুয়াশার চাদর আরো একটু বেশী সময় স্থায়ী হয়

এই আমি খুব সকালে হাটতে বের হই,
উচ্ছাসের রাজ্যজয় করে এক কাপ গরম চায়ে
মুখ পুড়িয়ে ফেলি প্রায়।
আগে কখনোই গরম চায়ে অভ্যাস ছিলো না।

তোমার কথা ভেবে শীতের ভোরে
হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে আছে ধ্যানরত সাদা বক,
শীতের বাতাসে শরীরের পালক হয়তো খসে পরে,
উড়ে যায় দূরে, ডানার শক্তি হারায় ক্রমশ
ঘাস ফড়িং এর দল ছোট ছোট লাফ দিয়ে ক্রমশ দূরে চলে যায়
অপেক্ষার প্রহর অনাদিকাল ডেকে আনে মস্তিষ্কের শিহরণে।

অপেক্ষায় অপেক্ষা করি উষ্ণতায়
অপেক্ষা শিহরণের, অপেক্ষা স্রোতে ভেসে যাবার আর
আক্ষেপ সময়ের হারিয়ে যাবার সৌখিন বিলাস।

বুকের মাঝে গলার কাছে কিছু একটা আটকে আছে,
ঠোঁটের কাছে জমে আছে একরাশ শব্দ।
শব্দের আকুতি নীড় খুঁজে পায় না।

তবুও জেগে আছি অপেক্ষার শব্দ ভাঙার শব্দের আশায়
কুয়াশার অাবরনে, তবুও আশায় থাকি কাদাজলে হেঁটে যাবার,
তবুও হেঁটে যাই পোড়া মাটির গন্ধো নিয়ে আগুনের উনুনের কাছে।
সেই অাগুন থেকে আর ফিরে আসা হয় না বাস্তবিক জীবনে।

তুমিও আসবে আর আমিও পুড়তে থাকি একরোখা কাঠের উনুনে।

জীবন তেপান্তর

জীবন একা, একলা তেপান্তর।
অনিচ্ছাতেও ইচ্ছে সাজাই
একা জীবন ভর।
পাশের কাছের তারা গুলো
গুনতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলি
তবুও আমি তারা গুনি
একা জীবন ভর
জীবন একা, একলা তেপান্তর।

রূপকথার রাজকন্য ঘুমিয়ে আছে
হৃদয় কাছে, ইচ্ছে পুরন কাঠি হারাই
ইচ্ছে করে ফুলকে এড়াই
একলা থাকার সহজ পথে
একাই আমি হাতটি বারাই;
জীবন একা, একলা তেপান্তর।

প্রথম প্রেমের শিউলি, বকুল
হারাই আমি একুল ওকুল;
বিকেল থেকে রাত নেমে যায়
সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে হায়,
পাশের বালিশ কাঁদছে একা
একা ভোরের সূর্য দেখা
তার বুকের লালছে আগুন
আমার মাঝে ভর,
জীবন একা, একলা তেপান্তর।

প্র্রহর গুলো কেবল হলুদ
নীরব বিষাদ সুর বহুদূর
কঠিন ঋণে বদ্ধো জীবন
কেউতো আমার হয় না আপন
স্মৃতী গুলোর হই ক্রীতদাস;
দিকবধূরা হয় উপহাস
ভালোবেসেই একলা হলাম
স্বরবৃত্তের ঘর,
জীবন একা, একলা তেপান্তর।

রাস্থা জুড়ে হাজার মানুষ
ভিন্ন ভিন্ন পথকে সাজায়,
নগ্ন শরীর সূতোয় ঢেকে
সুঠাম নারী যায় যে হেঁটে
হাতের মাঝে ফুলের তোরা
খুনসুটি স্বপ্ন মোড়া,
পাহার ভাঙ্গে অবলীলায়
অজন্ম সে স্বপ্ন বিলায়
আমিই শুধু অপেক্ষাতে
কিংবা কোন পক্ষাঘাতে
বিরান মাঠে সাতার কাটি
হাওয়ায় করে ভর।
জীবন একা, একলা তেপান্তর ।

কাল্পনিক – ৫ (চৌরঙ্গীর দিন)

অনেক স্বপ্নের ভীড়ে
জলের দামে শূণ্য করেছি যে শৈশব
অর্জিত সাত রাজার ধন দিয়েও তাকে আর ফেরত পাবো না
আজ আমি ফিরে যেতে চাই সেই সরল বিশ্বাসে যেখানে
লালসা জাগরনহীন হয়ে জেগে থাকে শুধুই তোমার সৌখিন সাম্রাজ্য,
যেখানে ভেঙে যেতো তোমার হাসির আড়ালে উর্মি উচ্ছলতা,
উড়ে যেত প্রজাপতিরর দল তোমাকে ছুঁয়ে,
মেঘের চলার পথ বদল করে তোমাকে সিক্তবস্ত্রে আবৃত করতো।

অনেক প্রাপ্তি কখনো কখনো ঘুনে ধরা সমাজ তৈরী করে।
যে চঞ্চল প্রান ছিলো হাতের মুঠোয় তাকে ত্যাগ করে বৈষ্ণবী হয়ে
প্রাপ্তির খাতায় অংক তুলেছি, সেই হিসাবের খাতা এখন আর
ফিরিয়ে দিতে পারে না ধূমায়িত চায়ের কাপে বেহিসাবি আড্ডার কর্নেডের সুর।
এখন শুধুই গীর্জার কোরাস সংগীত, আজানের সুর
আর মন্দিরের মন্দিরার শব্দে কেটে যায় যুগ
আমাদের সেই মৌলিক দিন, আমার সেই যৌগিক দিন,
তোমার সেই সরল সঙ্গীত হারিয়েছি বিবর্তনের পথে।

আজও কোন সুখের হিমালয়ে বসে পথ খুঁজে ফিরি
ফেলে আসা সেই সবুজ পৃথিবীর যেখানে
জীবন ছিলো উপভোগ্য, বিবাদ গুলো ছিলো ভালোবাসার মোড়কে
অার আমরা ছিলাম স্বাধীন অতিথি বলাকা।

চৌরঙ্গীর দিন খুবলে খেয়ে নিয়েছে আমাদের সাজানো দিন,
দিয়েছে কল্পনার ধূসর জগৎ কৃষ্ণগহ্বরের মাঝে।

ছোট কুবিতা ১২৩

ছোট কুবিতা -১
জীবন একেবারে তাবিজ কবজের গল্প হয়ে
কৌটার ভিতরে মৃত্যুবান;
তরতাজা মগজের কোষে
অবারিত ভাবনাগুলো তারিত করে ।
আটপৌড়ে শাড়ির আঁচলে জরানো শুধুই সামাজিক বুনন;
উচ্চ বিলাসি যন্ত্রনা চেটেপুটে খায় সময়ের ক্ষার।
আমিও ভেসে চলি পারভাঙ্গা নদীর স্রোতে
জোয়ার কিংবা ভাটায়।

ছোট কুবিতা -২
অনন্ত প্রহর সময়ের ভাঁজে বন্ধী
অপেক্ষার আক্ষেপ বসন্ত দিন পযর্ন্ত
ঘোলা চোখে তাকিয়ে থাকে।
অব্যক্ত ভাষায় শুধুই নিস্পলক আকুতি;
প্রজাপতির পাখায় ফাগুনের রং কবে আসবে
প্রতিক্ষায় থেকে থেকে আমিও হয়ে যাই
আদিম বাসনা।

ছোট কুবিতা-৩
সেই ছেলে বেলা
সেই মারবেল খেলা, সেই ঘুড়ির সুতো
সেই চাঁদের বুড়ি, সেই ডুব সাঁতার
সেই মায়ের আচার, সেই বোনের আদর
সেই ঘোরে… সেই ঘোর
আর কাটে না।
আপনি তুমি তুই
সেই এক আকাশের নীচে
ভিন্ন জগত ছুঁই।

সময়ের সাথে সাথে পালটায় রং
পাল্টায় জীবনধারা,
প্রথাগত জীবনের আটপৌরে স্বাধীনতা
বুকের জমিন, চোখের কাজল
তবু থেকে যায়..সেই প্রথম থেকে শুরু
আপনি তুমি তুই….

কাল্পনিক – ৪ (চৌরঙ্গীর দিন)

অনেক স্বপ্নের ভীরে
জলের দামে শূণ্য করেছি যে শৈশব
অর্জিত সাত রাজার ধন দিয়েও তাকে আর ফেরত পাবো না
আজ অামি ফিরে যেতে চাই সেই সরল বিশ্বাসে যেখানে
লালাসা জাগরনহীন হয়ে জেগে থাকে শুধুই তোমার সৌখীন সাম্রাজ্য, যেখানে ভেঙে যেতো তোমার হাসির আড়ালে উর্মি উচ্ছলতা,উড়ে যেত প্রজাপতিরর দল তোমাকে ছুঁয়ে,মেঘের চলার পথ বদল করে তোমাকে সিক্তবস্ত্রে আবৃত করতো।
অনেক প্রাপ্তি কখনো কখনো ঘুনে ধরা সমাজ তৈরী করে। যে চঞ্চল প্রান ছিলো হাতের মুঠোয় তাকে ত্যাগ করে বৈষ্ণবী হয়ে প্রাপ্তির খাতায় অংক তুলেছি, সেই হিসাবের খাতা এখন আর ফিরিয়ে দিতে পারে না ধূমায়িত চায়ের কাপে বেহিসাবি আড্ডার কর্নেডের সুর।
এখন শুধুই গীর্জার কোরাস সংগীত, আজানের সুর আর মন্দিরের মন্দিরার শব্দে কেটে যায় যুগ
আমাদের সেই মৌলিক দিন, আমার সেই যৌগিক দিন, তোমার সেই সরল সঙ্গীত হারিয়েছি বিবর্তনের পথে।
আজও কোন সুখের হিমালয়ে বসে পথ খুঁজে ফিরি
ফেলে আসা সেই সবুজ পৃথিবীর যেখানে
জীবন ছিলো উপভোগ্য, বিবাদ গুলো ছিলো ভালোবাসার মোরকে অার আমরা ছিলাম স্বাধীন অতিথি বলাকা।
চৌরঙ্গীর দিন খুবলে খেয়ে নিয়েছে আমাদের সাজানো দিন, দিয়েছে কল্পনার ধূসর জগৎ কৃষ্ণগহ্বরের মাঝে।
০৮১০২০১৮

বেদস্তুর সত্যি


অনেক সত্যি আমায় কাঁদায়
সকাল, বিকাল, সাঝে
নিরম্ভর সব সত্যি গুলো
ছবি হয়ে সাজে

কিছু সত্যি পায়না প্রকাশ
ভয়ের তারনায়
সত্যি কিছু যায় ভেসে যায়
সময় ভাবনায়

পরকিয়ার সত্যি গুলো
পরের ঘরে রয়
সেই সত্যি প্রকাশ করা
কেমনে বলো হয়

সত্যি অর্থ সত্যি পথে
ছড়ায় বলো কে
আনাসক্তি হতে সত্যি
বিক্রি করে যে

রংধনু রং সত্যি গুলো
ধূলোর ঝড়ে ঢাকা
ঝড়ের পরে আকাশ নীলে
রং গুলো তার ফাঁকা

কিছু সত্যি সময় ঘোরে
লাগায় চোখে ধাঁ ধাঁ
আদালতে সত্যি লোকের
চোখ দুটো যে বাঁধা

ক্ষুধার রাজ্যে মনের সত্যি
বিকৃত হয় রোজ
ক্রয় শর্তের সাথে থাকে
রঙ্গিন পানি আর ভোজ

সত্যি নিয়ে দ্বন্দ চলে
বউ শাশুরীর মাঝে
সত্যি নিয়ে কোথায় যাবে
ছেলে ভাবে পাছে

বাবা সত্যি বৃদ্ধ তিনি
সত্তর বছরে ঠেকেছে
দনুজ পুত্র দ্বায় মিটাতে
বাজার দত্ত করেছে

সীতার সত্যি রাম বোঝেনি
রামের সত্যি সীতা
সকল সত্যি হয় কি পালন
কোরান কিংবা গীতা

সত্যি কথা অনেক ব্যাথা
বুকের মাঝে গুজে
সত্যি ঘুমের ভান করে রোজ
থাকি যে চোখ বুঝে

**********
কুবিতায়
সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই………….

খুঁজে পাবে নাকো তুমি

এখনো ডোবেনি বেলা
ঘাটের নোঙ্গর খুলে যদি ফেলো এই অবেলায়
নতুন বন্দরের খোঁজ পাবে নাকো তুমি,
শুধুই সাঁতারে সাঁতারে চলে যাবে মাঝ নদী বরাবর।
হাওয়ায় ভেসে সারাটা জীবন কাঁটে না কোন পাখির,
গাছের ডালে ফিরতেই হয়। পরিপ্রেক্ষিত প্রেমে শিহরণ জাগা,
থিরি থিরি কাঁপনে রোমাঞ্চিত হওয়া, স্থির রসাতলে জীবন বিন্যাস,
কথায় কথায় ভাঙ্গনের উড়ো হাওয়া সব কিছুই তোমার
শিরার সাথে জরিয়ে কৌশলে কেড়ে নেবে সঠিক ইষ্টিশান।
বন্দরের খোঁজ তুমি পাবে না জোয়ার আসেনি বলে।

এখনো শুকায়নি ফুল গুলো গাছের ডালে,
মাটির উঠান শুধু ভিজে আছে শেষ হেমন্তের শিশিরে ;
রোদ ওঠেনি বলে, জেগে যদি ওঠো ত্প্ত দুপুরে
ফুলের সুভাস পাবে নাকো তুমি,
শুধুই ঝুড়ি ভর্তি ঢলে পরা অলস দিন তোমার
আঙ্গিনায় গড়াগড়ি খাবে।প্রকাশের কোন ভাষা
খুঁজে পাবে নাকো তুমি।

চাঁদ তার আলুথালূ লুটিয়ে পরা কাপড়
গুটিয়ে চলে গেলে তুমি স্বপ্নহীন, ঘুমহীন জেগে রবে,
যেমন জেগে থাকে বিরহী চৈত্রের বাতাস;
কৃষ্ণচূড়া ছায়া ফেলা পথের বাঁকে, তবু
নতুন বন্দরের খোঁজ পাবে নাকো তুমি।