শুভ হোক সুন্দর হোক
আসুক ফিরে ফিরে।
হাসি খুশিতে ভরে উঠুক জীবন
প্রশান্তি থাকুক ঘিরে।
ফুল পাখি আর তারার মেলায়
তোমায় স্বাগত।
সবুজের বুকে শুভ হোক যাত্রা
শুভ কামনা সতত।
সফল হোক সার্থক হোক
তোমার আগমন।
ধন্য হোক ধরণী
তোমায় করে বরণ।
জ্ঞানে গুণে বড় হও
বিকশিত হোক দিনে দিনে।
অগনন শুভেচ্ছা নানু
তোমার প্রথম জন্মদিনে।
ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট
হাই টেক টিন
পশ্চিমা চিন্তা চেতনায় টিন এজাররা দারুন ভাবে মগ্ন।
ইলেক্ট্রো মিডিয়ার বদৌলতে হয়েছে সব বাহু লগ্ন।
সাজ সজ্জা চাল চলনে এসেছে আমুল পরিবর্তন।
ফ্যাশন জগতে এসেছে ল্যান্ড মার্ক প্রবর্তন।
হাই টেক বিট ছাড়া তাদের ঘুম আসেনা।
মিউজিক ছাড়া লেখাপড়া মাথায় ঢোকে না।
ধুড়ুম ধাড়াক্কা রকের সাথে নৃত্যে ভাসিয়ে গা।
অবহেলায় সরিয়ে রাখে পল্লী গীতি পল্লী সোনার গাঁ।
আনন্দ বিনোদন হয়না সারা রঙ্গিন পানীয় ছাড়া।
হ্যাসিস হেরোইনের নীল নেশায় তারা মাতোয়ারা।
মোবাইল ইন্টারনেট এনে দিয়েছে বাড়তি এক্সেস।
উত্যাক্ত করতে ইভ টিজার এর দারুন ইজি প্যাসেজ।
অবক্ষয়ের দিকে তরুন সমাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
মরণ ছোবল নেশা আর এইডসের শিকার হচ্ছে।
সুযোগ সন্ধানিরা বসে নেই টু পাইস কামাচ্ছে।
গড্ডালিকা ভাসিদের শেষ পিনটি মারতে উঠে পড়ে লেগেছে।
সময়
সময়ের বড়ো তাড়া চাহে না পিছু ফিরে।
দোর্দন্ড প্রতাপে করছে শাসন চারপাশ ঘিরে।
সেচ্ছায় অনিচ্ছায় আজ্ঞাবহ তার।
ভালো কি মন্দ বিচার বুদ্ধি যার যার।
আবর্তনে রেখেছে ব্যস্ত, চন্দ্র, সূর্য, তারা।
রোদ, বৃষ্টি মেঘ সমুদ্রের স্রোতধারা।
ব্যস্ততা আছে উদয় অস্তে, ব্যস্ততা আছে সৃষ্টিতে।
ব্যস্ততা আছে বিহঙ্ঘকুলে, ব্যস্ততা আছে জলজ প্রাণীতে।
যথা সময়েই মেলে দিতে হয় প্রজ্ঞার বিস্তার।
অসময় অবহেলার খেসারত থেকে নেই নিস্তার।
দৃঢ় চেতনা, দৃঢ় চিত্তেরই পরিচায়ক।
দৃঢ় পদক্ষেপই জয়ের লক্ষ্যে সহায়ক।
সঠিক পথে আগে বাড়া জন আছে উচুঁ শিরে।
ভুলের মাশুল সুধতে সময় কোন মূল্যে না ফিরে।
যুগের চাকায় অভিজ্ঞতার মশাল ঘুরে হাত থেকে হাতে।
হারানো অতীত থেকে শিক্ষা হয় নিতে।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে সবাই নিয়তই।
কালের যোগ বিয়োগের ফলাফলই জীবনের নিয়তি।
ফুলের হাসি
পূব আকাশে সূর্যি হাসে
হাসে ফুলের কলি।
ভোর সকালের হিমেল হাওয়ায়
উড়ে আসে অলি।
শিশির ভেজা ফুল কলিরা
খুশবু ছড়ায় সুখে।
সূর্যিমামা ছড়ায় আলো
লাবন্য ছড়ায় সুখে।
পাপড়িগুলো থরে বিথরে
বিকশিত মায়ায়।
মৌলোভীরা ফুলপরাগে
ব্যস্ত মহুর্মুহু হানায়।
ভোর বাতাসও সুবাস মেখে
জড়িয়ে থাকে পাশে।
তাই না দেখে সূর্যিমামা
মিটি মিটি হাসে।
দিগন্ত মিশেছে যেথায়
সখি সাথে বন পথে গোধুলী বেলায়।
কলসি কাঁখে নদীর ঘাটে অলস অবেলায়।
ছায়ায় ঘেরা অস্ত রাগে।
জলকে চলে অনুরােগ।
কাঁকনের নিক্কনে হাসির গুঞ্জরণে।
কামিনি কুঞ্জে ছড়িয়ে শিহরনে।
ফুল বেনুনিতে চঞ্চলা কিশোরী।
বাসন্তী শাড়ীতে মায়াবী ষোড়শী।
ছায়া পড়ে হরিণ নয়নে।
বাঁধা পড়ে মায়ার কাননে।
বাঁশীর সুরে রাখাল ছেলে,
উদাস করা সুর তোলে।
চকিতে তার মনের কথা ,
সুরের লয়ে মালা গাঁথে।
ছড়িয়ে দিয়ে বিথীকা তরঙ্গে।
বিকশিত করে প্রাণ তরঙ্গে।
দিগন্ত মিশেছে রবিতে নদীতে।
চাতক চাতকী ফিরেছে নীড়েতে।
গোধুলী লগ্নে সোনালী আবীরে।
গড়ে তোলে মন্দির মনের মিনারে।
কর্মক্ষেত্রে নারী
শোনা যায় বীজ বপনে নারীরাই ছিলো অগ্রযাত্রায়।
হয়ত সন্তানের জন্য নয়ত পছন্দের কারনে ধাবিত হয়েছে নতুন আভিযাত্রায়।
স্বীকৃতি ছাড়াই অহ:নিশি করতে হয়েছে ঘর গেরস্হলীর কাজ।
অর্থনৈতিক টানাপোড়নেই জীবনের তাগিদে বাধ্য করেছে সমাজ।
আয়া বুয়ার কাজে বহুদিন ধরে রেখেছে আবদান।
পায়নি তেমন পারিশ্রমিক, পায়নি যথাযথ সন্মান।
মাটি কাটা খোয়া ভাংগা , যোগালির কাজে।
সাহসের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে করেছে সমান তালে।
শতছিন্ন ময়লা বসনে থালা হাতে যায়না দেখা আর কাক ভোরে।
পোষাক শিল্পের আগমনে বদলে গিয়েছে সব এগিয়ে যাচ্ছে নতুন পথ ধরে।
এগিয়ে আসতে হবে সরকার মালিক পক্ষকে নারীর অধিকার সংরক্ষনে।
স্বস্হগত, প্রসবোত্তর ,ডে কেয়ার সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়নে।
পিছিয়ে আছে লেখা পড়ায় অনেক, এগিয়ে আসতে হবে মেয়েদের।
দিতে হবে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা তাদের।
যোগ্যতার সাক্ষর রেখে চলেছে অফিস আদালতে।
স্কুল কলেজ ,হাসপাতাল গুলোতে।
আনুপাতিক হারে দিতে হবে জায়গা মেধা বিচারে।
মানুষ হিসাবে চাই কলিগ, বস, সবার নজরে।
দুই কন্যা হওয়ার কারনে অনেক পরিবারে উপার্যনে নারীরাই।
সেদিকে খেয়াল রেখে অগ্রাধিকার দেয়া চাই।
সর্বক্ষেত্রে যদি দেয়া হয় জননী, ভগ্নি, জায়া, কন্যার সন্মান।
নেপোলিয়ানের কথামত পাওয়া যাবে জাতি মহিয়ান।
বেলা
শিশু রবি হামা দেয় পূব গগনে।
কু্জনে কুজনে জাগে বিহঙ্গ ভোর বিহানে।
আলো আধারি খেলায় রত রং এর বাহার।
রূপালী, গোলাপি, সোনালী বিমূর্ত মূর্ছণা ধরার।
বেহাগে সমীর সন্তরনে ঢেউয়ের নৃত্যে।
ঝিলি মিলিতে রাশি রাশি মীন যোগে স্বাগত নৃত্যে।
পাহাড়ী ঢালে ঝর্নাধারা কুলু কুলু রবে জানায় প্রসন্নতা।
পাখ পাখালী সুরে সুরে জানায় তাঁরই বদান্যতা।
ঊর্ধ পানে সূধা পায়ি গাছ গাছালি জানায় সম্ভাষণ ।
সৃষ্টির স্রষ্টার কারিগরি করে অন্বেষণ।
জীব জানোয়ার পলকে পলকে বাঁচে তাঁরই মহিমা।
বেভুলে হয়োনা নি:স্ব করতে তাঁরই গরিমা।
বেলা বাড়ে, বাড়ে আয়ু নেমে আসে সন্ধ্যা।
নিভে যাবে সব আলো যবনিকা হবে জীবন সন্ধ্যা।
মেঘে মেঘে হল বেলা ঘনিয়ে এল ঘোর।
হেসে খেলে গেলো কেটে বেঘোরে সোনালী ভোর।
জীবন সায়হ্নে মেলাতে বসে জীবনের খেরো খাতা
শুভঙ্করেরর ফাঁকিতে ভরা জাপিত জীবনের পাতা।
তন্ত্রে মন্ত্রে পার হওয়া হবেনা অকূল দরিয়া।
সময় থাকতে বৈতরনী পারে হওরে মরিয়া।
পৃথিবী সমান সোনাও নয় ,নয় কোন সুপারিশে।
এক রুজুই ধরলে পরে , পার পাবে অনায়াসে।
বসন্ত শিহরন
ফাগুনি হাওয়ার বইছে জোয়ার রং ছড়ালো বনে যে।
মহুয়া বনের মাতাল হাওয়ায় সুখসারিরা গাইছে যে।
দিকে দিকে পড়লো সাড়া কিশোলয়ের প্রাণে যে।
ফুলে ফুলে সাজালো বাসর শিহরনে দুলছে যে।
কোকিলেরা কুহুতানে ডালে ডালে মাতলো যে।
আনমনে দোলে হিয়া প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো যে।
ভ্রমর উড়ে কুঁড়ির বুকে আশার আলো জ্বাললো যে।
শিমুল,পলাশের রাঙা হাসি ছড়ালো আলোর বন্যা যে।
আনচান ফাগুনে চকিত চরণে ভীড় করেছে অলি যে।
চনমনে কাননে সজনী যোগে বাসন্তিকা দে দোল যে।
ভালবাসার দোসর হয়ে বসন্ত মেলার শোভা যে।
উদাসী মন প্রেয়সী খোজে রাধা প্রেমে কৃষ্ণ যে।
জোড়া শালিখ
ইটের শাখায় জোড়া শালিখ
মুখোমুখি বসা।
কিচির মিচির কত সুরে
চলছে স্বপ্ন কষা।
নতুন নীড় গড়বো কোথা
বলছে হেসে সখা।
লৌহ গরাদের এই শহরে
যায়না শ্যামল দেখা।
ডিশের শাখায় নেটের শাখায়
ছেয়েছে সারা শহর।
সবুজ শাখা হারিয়ে গেল
কেউ রাখেনা খবর।
বাসা বানাই বাতির খোপে
দুরু দুরু বুকে।
ফোরম্যানরা আসবে যখন
মারবে ধুকে ধুকে।
ভীরু গলায় বললো সখী
মনে ভরা দুখ।
সেদিন কি আর আসবে সখা
মিটবে মনের সুখ।
বুদ্ধিমানরা বুদ্ধি করে
ফন্দি এটেছে।
গাছ গাছালি কেটে সব
উজাড় করেছে।
ডাস্টবীনের এঁটো ঝুটায়
ফরমালিনের ঝাঁজ।
ক্ষেতের দানায় কীটনাশক
পড়েছে মাথায় বাজ।
ইতর প্রাণীর নেই যে দাম
তাদের বিচারে।
যুপকাষ্ঠের বলী তারা
বুদ্ধির অনাচারে।
ইতর প্রাণীর প্রাণ নাশও
তাদের ধংশের কারণ।
সময় থাকতে প্রাণে বাঁচাও
কর সংরক্ষন।
ঝড় বৃষ্টি খরাও তাদের
পিছু নিয়েছে।
ভূকম্পনের ভীতিও তাদের
তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
পরিবেশের উপর যত আঘাত
সব মানবের গড়া।
ছাড় দেবেনা নিতে দাদন
প্রতিশোধ ছাড়া।
বসন্ত জেগেছে
বসন্ত দোলায় দুলছে কানন
পাতা ঝরা ঝংকারে।
ডালে ডালে মঞ্জুরিত
গাছ সেজেছে অলঙ্কারে।
হীম বুড়ী চুপটি করে
উবে গেল হীম ঘরে।
দক্ষিনা হাওয়া ছড়িয়ে হাসি
রং ছড়ালো সাজ ঘরে।
মৌমাছিরা আমের বোলে
মহুর্মহু হানছে বাণ।
তির তিরিয়ে উড়ছে প্রজাপতি
নাচ্ছে উড়িয়ে বাহারী নিশান।
ঘুম ভাঙ্গাতে গাইছে অলি
কলির কানে দিলহারা।
কুহু কুহু কোকিলেরা
দোসর খোজে মাতোয়ারা।
দিকে দিকে সবুজেরা
কিশলয়ে সেজেছে।
সাজ সাজ রবে
বসন্ত জেগেছে।