ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট

অন্যরকম জীবন

সুউচ্চ ভবনগুলো যেনো আকাশ ছুঁতে চায়,
ভুকম্পনের ভী‍তি বাসিন্দাদের মনে খানিকটা বাড়ায়।
গাছ গাছড়া উবে গেছে যেনো কন্ক্রিটের স্তুপ,
কাজের চাপে যান্ত্রিক জীবনে নেই কোন ফুরসত।
রাস্তা ঘাটে জ্যাম লেগে যায়, বড়ই গ্যান্জাম,
ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খায় দিতে গিয়ে আনজাম।
রাস্তা পারাপারে বড়ই তাড়া কে কার আগে যাবে,
অসহিষ্নু মন কা‍জ করে সড়ক দুর্ঘটনাতে।
ওভারব্রিজগুলো দখলে থাকে দিনে হকারের,
ওগু‍লো থাকে স্বর্গরাজ্য রাতে নেশাখোরের।
রাতের আলোয় মলগুলো সব ভেগাসের এর রূপ নেয়,
ক্রেতাহীন মলগু‍লো সব একান্ত অসহায়।
চলন্ত সিড়িগু‍লো চলতে থাকে বৃথাই,
প্রয়োজনের চেয়ে উৎসাহীরাই লিফ্টে চড়ে শুধুই।
ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোয় ভিড় জমে রাতে,
ড্রিং‍কসের ব্যবসাটা জমে সেই সাথেই।
আড্ডা জমে রেস্তোরাতে, আড্ডা জমে ক্লাবে,
চ্যানেল গু‍লো চলতে থাকে রাউন্ড দ্য ক্লকে।
ওত পেতে থাকে হাইজাকাররা বিভিন্ন পয়েন্টে,
কেড়ে নেয় সব কিছু গান পয়েন্টে।
লেট নাইটে ফেরে তারা যে যার বাড়িতে,
জীবন এখন অন্যরকম, গড়া অন্য রকম ধাতে।

মহা বিজ্ঞান

‍বিজ্ঞানের উৎকষর্তায়,
অনেক অজ্ঞাত ‍বিষয় আজ জ্ঞানের সীমায়।
প্রত‍িদিন নতুন নতুন ‍জ‍ি‍‍নিস আবিষ্কৃত হচ্ছে।
মা‍নুষের মনের রুদ্ধদ্বার উন্মোচিত হচ্ছে।
চাঁ‍দে যাওয়া ‍ছিলো এক‍‍দিন ক‍ল্পলোকের স্বপ্ন,
চাঁদের বুকে পড়েছে মানুষের পদ‍িচহ্ন।
‍বিজ্ঞানের জয়যাত্রার ফলে,
প্রমা‍নিত হচ্ছে হাতে কলমে।

‍১৪শ বছর পূর্বে উ‍‍‍ম্মী নবীর কাছে এসে‍ছিলো ঐশী মহা‍‍বিজ্ঞান।
রহস্যাবৃত ‍‍নিখিল ‍বিশ্বের রব সবই তার এখতিয়ারে,সবই তার ‍জ্ঞান।
স্রষ্টা এক এবং তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব,
প্রমান সু‍বিশাল মখলুকাতই যথেষ্ট।
জ‍ীব জন্তু গাছপালার জীবন ও জীবনচক্র।
মহাজ্ঞানীর সু‍ণিপুণ ‍ক‍ৌশুলির ছোঁয়ায় সক্রিয়।
ইশ্বর, ভগবান, আল্লাহ বিশ্বাসে এক
তারই একছত্র ম‍‍হিমা।

ধ‍‍‍র্মের বা‍‍কি ‍দিক ‍নিয়ে কোন্দল যত।
সহিংস সংঘাত বাড়ছে ততো।
ধ‍‍র্মে নেই কোন জোর জবরদস্তি।
সব ধর্মে সু‍‍শৃঙ্খল ‍জ‍ীবনই পরিশু‍দ্ধি।
কোরআন বলে অন্যের উপাসককে ‍দিওনা গালাগাল।
পাল্টা সেও বলবে তাল বেতাল।
পরমত সহিষ্ন‍ুতা না থাকার ফলে।
জোর যুলুম চলছে সবখানে।

‍বিজ্ঞানী আইনস্টাইন অনেক অসাধ্য সাধনের পরে ,
বলেন,মাত্র বালুকনা ‍নিয়ে নাড়াচাড়া করলাম জ্ঞান সাগরের পাড়ে।
ধর্ম ছাড়া ‍বিজ্ঞান খোঁড়া,
‍বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ।

হাবলের টে‍লিস্কোপে ধরা পড়ে অসংখ্য গ্যালা‍ক্সি যা মাহাকাশের মাত্র দশভাগ।
কসমিক তারে জড়ানো মহা‍বিশ্বের এখনো অজানা ৯০ ভাগ।
‍বিজ্ঞান বলে ঘনিভুত সুক্ষ্ণ আলোক ‍বিন্দু থেকে এক মহা ‍বিস্ফোরনের ফলে
মহা ‍বিশ্বের সৃ‍ষ্টি চলছে মহা সম্প্রসারনে কোরআন ও তাই বলে।
প্রমান মেলে মহা‍‍বিশ্বের সব কিছু চলছে এক ‍‍নিয়মত‍ান্ত্রিক উপায়ে।
স্রষ্টা যে এক মহাজ্ঞা‍নী প্রমা‍নিত হচ্ছে ‍বিজ্ঞানের ‍নিয়মে।
‍বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে হয়ে চলেছে মহা জাগতিক সৃ‍‍ষ্টি।
ব্ল্যাক হোলই হচ্ছে তারকার মৃত্যুকূপ ধ্বংসের পরিসমা‍প্তি।

ছয় ধাপে বা‍নিয়েছেন আল্লাহ এই মহাজাগতিক ‍বিশ্ব।
উনিশের মোজেযা আছে কোরআনে মহা‍বিজ্ঞান,মহা ‍বিস্ময়।
অনেকের ‍বিবেক নত হয়ে এসেছে সত্যের সন্ধানে।
হয়ত নুয়ে আসবে বা‍কিদের সত্য প্রমানে।
“কুন” হয়ে যাও অ‍‍মনি হয়ে যায় আদেশে।
সব‍ কিছু লয় হবে “ফায়াকুন” জাগবে ‍বিচার ‍দিবসে।
সত্য সমাগত, ‍মিথ্যা অপসৃত আর ‍মিথ্যার পতন অনিবার্য।
এগু‍লি প্রমান করে আল্লাহ এক, সত্য, তাঁর হুকুম ‍শিরোধার্য।

দূর্বার বসন্ত

রোদ্রোচ্ছটা ঝলসে দিলো
শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের বুকে।
বসন্ত বাতাস ছুঁয়ে গেলো তরু লতা
দোলা দিয়ে গেলো সুখে।
স্বাগত জানায় পাখ পাখালী
সুমধুর তানে।
ফুলে ফুলে সাজালো তোরণ
তারই আগমনে।
রঙ্গিন প্রজাপতি করছে পরখ
ফুলে ফুলে উড়ে।
চুমু দিয়ে বলছে কলিকে
থেকো সুবাস ভরে।
তাই দেখে দূর্বা ঘাসের
বড়ই অভিমান।
ফুল নেই বলে দলছো পায়ে
নেইকো আমার মান।
বসছে সবাই আমার বুকে
রেখেছি গালিচা পেতে।
ভালো বাসা তো সবার তরে
শোন আজ কান পেতে।
ঘূর্নি বাতাসে দুললো দূর্বা
বসন্ত মাতাল।
সজীবের উল্লাস দিক দিকে
ভালবাসা উত্তাল।

Era.com

E যুগের বদৌলতে বিশ্ব দ্রুত এগোচ্ছে
ক্রমেই পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে।
আসছে নতুন নতুন চিন্তাধারা
পাল্টেছে ক্রাইমের ও ধারা।
রাজনৈতিক ব্যবসায়িক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত
শত্রুতা উদ্ধারে অপরাধীরা সম্যক অবগত।
মাস্টার মাইন্ডের পৃষ্ঠপোষকতায়,
অপরাধী চক্র আরও সক্রিয় আধুনিক উপায়।
টাইম বোমা, মাইন বয়ে আনে শত শত হত্যা
গুপ্ত হত্য প্রকাশ্যে হত্যা, প্রণয়ে হত্যা।

স্ত্রীর জীবন বীমা করে বাথটাবে শ্যাম্পুর ফাঁদে,
হাসতে হাসতে নিয়ে যায় জীবনের যবনিকা পাতে।
মুখের উপর বালিশ চেপে
চিরতরে নিশ্চল মৃত্যুর কোলে সঁপে।
এ্যসিড দগ্ধরা যেন নিজেরাই অপরাধী মুখ লুকাতে ব্যস্ত।
এমনটি হওয়া উচিত যেনো অপরাধী থাকে সন্ত্রস্ত।

আইনকে উপেক্ষা করে উকিল কে বখারা দিয়ে,
আইনের ফাঁক গলে স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়ায় গায়ে ফুঁ দিয়ে।
এই সাহসেই ক্রমশ অপরাধ বাড়ছে
জাতি ঘোর অমানীশার দিকে এগোচ্ছে।
অপরাধীকে জন সন্মুক্ষে শাস্তি দেওয়াই কাম্য
যদি প্রতিষ্ঠিত করতে হয় সাম্য।

আইন, বিচার বিভাগে রয়েছে কতিপয় অসাধু ও পক্ষপাত দোষে দুষ্ট,
টাকার বিনিময়ে এরা অপরাধীকে করে সন্তুষ্ট।
আমাদের বিচার বিভাগ হওয়া উচিত আধুনিক, কার্যকরী, ত্বরান্বিত।
স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি, দুঃশাসন মুক্ত।
নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, প্রতিহিংসা
লালসা, অমানবিকতা, জিঘাংসা।
নির্যাতনের কিছু রূপ সুস্থ বুদ্ধির প্রতিরূপ।

হারিয়েছি আমরা নীহার বানু, সালেহা, রীমাকে
সমিরন, করিমন, আরও অনেক জনকে।
বহুগামীতার মানসিকতা থেকেই উদ্ভব এই ফিতরত
HIV /AIDS তারই খেসারত।
ডট Com যুগের প্রজন্মকে বাঁচাতে চাই সুপরিকল্পিত নীতি মালা
চরিত্র সংশোধনের জন্য চাই জোর প্রচারণা ও বিধিমালা।

সংসার তরণী

সংসার ধরি একটি নৌকা যার কাণ্ডারী স্বামী
পাড়ি দিতে হয় তরঙ্গ বিক্ষুদ্ধ নদী, খাড়ি, বালুচর আর বেলা ভূমি।
বাতাসের দিকে খাটাতে হয় পাল, ধরতে হয় শক্ত হাতে হাল
জোয়ার ভাটার সাথে রেখে তাল।

পাকা মাঝি পাড়ি দেবে যাত্রী নিয়ে, ঠিক পৌছে যাবে তীরে
অন্যথায় দোদুল্যমান হবে ঢেউয়ের তরঙ্গে, নইলে আটকাবে বালুচরে।
স্বামীর চাই সুস্থ বুদ্ধি, বিবেচনা, হৃদয়ের উষ্ণ গভীরতা সহ ভালবাসার মানসিকতা
সন্তানের জন্য চাই মঙ্গলাকংখী নিবেদিত প্রাণ পিতা।
প্রভু নয় প্রিয় হলেই থাকবে পাশে স্ত্রী, পুত্র ,কন্যা থাকবে স্বার্থ অনুকূলে
সংসার তার সুশোভিত হবে স্নিগ্ধ পত্র-পল্লবে, ছেয়ে যাবে ফুলে ফলে।
খামখেয়ালী বিবেচনা হীন পুরুষ নিদারুণ যন্ত্রনা সংসার জগতে
বিক্ষুদ্ধ তরঙ্গায়িত নদীতে যাত্রীকে ঝড় ঝঞ্জায় ডুবিয়ে দেয় মহাকালের স্রোতে।
নারীকে অবলা দুর্বল পেয়ে দেখায় যত পেশী শক্তি অবহেলা অপমান।
আসলে নিজের বংশেই টেনে আনে দূর্যোগ, জ্বলেনা বাতি আর দেদীপ্যমান
যুগে যুগে নিষ্ঠুর বর্বরতায় ঝরে গেছে কত জীবন, ছাই হয়েছে কত সংসার।
নিষ্ঠুর দাবানলে অগনিত নারী, শিশু পুড়ে হয়েছে ছারখার
খামখেয়ালী ভোগ দেয়না শান্তি রিপুর তাড়নায় করে যা ক্ষণস্থায়ী।
ভালবাসায় শান্তি, কমতি হয়না কামনা বাসনায়, রচিত হয় সৌধ মনের মিনারে চিরস্থায়ী।
প্রভূ দাসী অনূপুরক মিলিত সংসারে নেমে আসে দুর্গতি
পরিপূরক স্বামী স্ত্রীর মিলিত প্রয়াসেই শান্তি ,স্বস্থি. প্রগতি।
নর নারী দ্বন্ধ অবসানে কেউ খাটো নয় পরস্পরে দিতে হবে মান
অন্যথায় নর নারী বিভক্ত হয়ে মানব জাতিই বিপন্ন হবে, ভয়াবহ হবে যার পরিণাম।
সৃষ্টি কর্তার অমোঘ নিয়ম নর নারী একে অন্যকে ছেড়ে সুস্থ শান্তির নেই কোন গতি
বুঝে শুনেই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ অধিপতি।

চাষাবাদে নারী

সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রাম,সাজানো সযতন।
শিল্পীর তুলিতে ছোঁয়া ,যেনো ছবির মতন।
ফসলেরা মাঠে মাঠে বাতাসে কুর্নিশ।
চাষীদের মন ফসলের আশায় কাটে অহর্নীশ।
প্রকৃতির ধকল কাটিয়ে যখন আঙ্গিনা ভরে উঠে ফসলে
কিষান কিষানীর মন সততই দোলে।
কোপানো,নিড়ানো,মাড়াই,বাছাইয়ে
বীজ সংরক্ষন, গোলাজাত, প্রক্রিয়াজাতে।
পুরুষের পাশাপাশি অনন্তকাল,
নারীরাও দিচ্ছে যোগান সকাল বিকাল।
লাঙ্গলের জোয়ালে, ঘানির সারিতেও,
যেখানে প্রয়োজন দিয়েছে শ্রম নারীরাও।
হাঁস, মুরগি পশু পালনে,
হাতের ছোয়া আছে ডিম,দুধ,মাংস উৎপাদনে।
মাছ চাষে, ফুল চাষে, চা বাগানেও,
নারীর হাত কর্মী হিসাবে আছে সেখানেও।
এ সব করেনি নারী স্বীকৃতির আশায়।
বলি কবির ভাষায়…
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর।
অর্ধক তার গড়িয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।

মেঘ বালিকা

সাগর মাঝে উত্তাল ঢেউ,প্রচন্ড ঝড়ের বেগ
বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে,চলছে ছুটে মেঘ।
তর্জন গর্জন আর অশ্রু জলে, আকাশ ভারাক্রান্ত
নাইছে জলে বসুন্ধরা, দাপুটে ঝড়ে গাছেরা আক্রান্ত।
সাদা সাদা মেঘগুলি সব, পানির রিসারভার
চলছে ঝুলে সাগর নদী, সজল অভিসার।
নেই যে পাম্প নেই যে পাইপ, চলেছ চক্রাকারে
ধরে রেখেছে বুকে ভূবন, নানা প্রকারে।
তারই ছোঁয়ায় বিশ্ব চরাচর ভরা, শষ্য শ্যামলে
ভোগের নেশায় ব্যাস্ত জীবেরা, পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে।
প্রাণের উৎস পানিই জীবন অমূল্য এ রতন
দুষণ, অবিবেচনায় হারিয়ে যাবে, না নিলে যতন।
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, চলছে পানির খোঁজ
মেলেনি প্রাণের অস্তিত্ব, পায়নি পানির খোঁজ।
সজীব এ ধরা প্রাণ প্রকৃতি, সবই পানির আধার
কলুষিত হলে হরোপ্পা সম, ঢেকে যাবে আঁধার।
মালিক বলেন, কেউ নাই, চলেনা কারো হুকুমত
নজরে আছে সবার হাল হকিকত।

আসমান জমিনে ছড়িয়ে দিয়েছি অসংখ্য নেয়ামত
জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে যত অবক্ষয়, তা কমের খেসারত।
দম্ভের কারণে সৃষ্টকূলের না-শোকরী যখন
লুকাতে পারি প্রতিটি ফোটা, কি করবে তখন?
সময় নেবেনা মেঘ বালিকা, রুষ্ট হওয়ার নিমিত্তেই
দুপেয়ে প্রাণীর দম্ভ যত, থেমে যাবে নিমিষেই।

দুরাশা

এস এস সি পাশ করে কলেজের সোপানে
ভর্তি হতে গিয়ে লড়াই প্রাণ পণে।
যদিও বা পেলাম সিট কোন এক কলেজে
বছরের শেষেও ঢুকলোনা কিছু এই নলেজে।
টেনে টুনে যদিও বা কলেজ পেরুলাম
ভার্সিটির কালে ভয়ে ভয়ে থাকি হয় যদি বিধিবাম।
ভাগ্যক্রমে খুলে গেলো ভার্সিটির দো’র
আহা, কত কাঙ্খিত ভার্সিটির এই করিডোর।
লেখা পড়ার নাম নেই আছে শুধু হরতাল ধর্মঘট
এরপর চাপলো ঘাড়ে সেশনের জট।
দলাদলি, মারামারি রাজনীতির ঘন্ট
খরচ চালাতে গিয়ে বুড়ো বাবা ঋণে ডোবা আকণ্ঠ।
চারিদিকে কেবল বেকার হতাশা নিরাশা
উপায়ান্তর না দেখে কেউ করে নীল নেশা।
এই হলো আমাদের যুব শ্রেনীর দশা
প্রকৃত মানুষ হয়ে বের হওয়া যেন আজ দুরাশা।

নেতারা ছাড়ো এবার, তোমাদের গদি লোভা মন
লালসার শিকার করিওনা বাঁচাও শত মায়ের প্রাণের ধন।
বানিওনা তোমরা চসেস্কু, হিটলার, স্ট্যালিন
জেনে রেখ তবে. দেশ হবে ছারখার হবে বিলীন।
দেশটা তোমাদের নয় শিশুদের থেকে নেওয়া ধার
ওদের আমানত যথাযথ ভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে আবার।

কুটুম পাখি

মহুয়া ডালে কুটুম পাখি
দিচ্ছে সুরে ডাক।
হলদে পাখি কুটুম পাখি
ইস্টি কুটুম ডাক।

কুটুম পাখি মিষ্টি পাখি
বড় কুটুম ডাক।
ঘোড়ায় চড়ে আসবে দামান
বাজবে সানাই ঢাক।

গড়বে তাজ, বাজুবন্ধ
নীল মনিহার,
পায়েলিয়া, ঝুমকো গড়বে
সেকরা তবে ডাক।

হলুদ ডালি সাজিয়ে দেব
লগান রাত সাজবে ।
বাদ্যি, বাজনা থাকতে হবে
গায়েন তবে ডাক।

মিষ্টিমুখ করতে হবে
মিঠাই, মন্ডা, নিমকি হবে,
খীর হবে, দধী হবে
ময়রা তবে ডাক।

টুক টুকে লাল সাজিয়ে দেব
বেনারসিতে।
সিঁদুর, শাঁখে সাজবে মামুনি
দোলা তবে ডাক।

আমার দেখা তিন নতুন শতাব্দী

সৌভাগ্য আমার নতুন তিন শতাব্দী দেখার সুযোগ হলো
ভাবিয়ে তোলে যুদ্ধ, গ্রীন হাউস, এইডস আর মারণাস্ত্র গুলো।
হ্যাপি নিউ ইয়ারের নামে উন্মত্ত আচরন
উন্নত প্রযুক্তির বিপর্যয় যখন Y2K জীবন।
তবুও কামনা শুভ হোক নব বর্ষ
জেগে উঠুক প্রাণে প্রেম প্রীতি হর্ষ।
বিংশ শতাব্দী পার হয়ে এক বিংশ শতাব্দীর পথ ধরে
যিশুর আদর্শ পৌছে যাক দুঃস্থ অনাথের দারে।

হিজরী সনের গোড়া পত্তন হিযরতের পরে
আঁধারের যুগ কেটেছে তখন কোরআনের নূরে।
তৌহিদ প্রচার করে গিয়েছেন শত নির্যাতনের মাঝে।
খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন উম্মতের কাছে
১৪-শ শতাব্দী পার হয়ে ১৫-শ শতাব্দীকে ঘিরে।
নবীর শিক্ষা থেকে বিশ্ব বাসী আজ অনেক অনেক দূরে।

বাংলা সনের গোড়া পত্তন সালতানাতের যুগে
সামন্ত প্রথা মাথা চাড়া দেয় সেই সুযোগে।
করের টাকায় সামন্ত প্রভুরা ছিল বিলাস ব্যসনে মত্ত
শৌর্য-বীর্য সব হারিয়ে ভাগ্যের রবি হয়েছে অস্তমিত।
১৪-শ শতাব্দী পার হয়েছে কালের গভীরে
যোগ বিয়োগের চলছে পালা ইতিহাসের ভিতরে।

খৃষ্টাব্দ মুলত শুরু হয়েছে যিশুর জন্ম লগ্নে
দু হাত প্রসারিত করেছিলেন জ্বরা জীর্ণ রুগ্নে।
ঈসা মারইয়ামের ব্যাটা আল্লাহর বান্দা নবী
ইন্জিল কিতাব প্রাপ্ত হয়ে প্রচার করেছেন সবই।
অশান্ত পৃথিবীতে আসবেন তিনি উম্মতে আখেরী
ইসলামী জাগরণে সঙ্গী হবেন ইমাম মেহেদী।
পাপ পঙ্কিলতা দূর করে করবেন শুচি শুদ্ধ পৃথিবী
আল্লাহর মহিমা উঠবে গেয়ে আবার সকল সৃষ্টি।

শক্তি না শান্তি

আরবের কালো মানিক, গরিবের ঘরে সুন্দরী বউ
উড়ে এসে জুড়ে বসেছে সাদারা,পিছনে রয়েছে ইহুদি ফেউ।
কারণে অকারণে খুনসুটি করে, জড়িয়ে নানা ছলনায়
বলার আগেই সন্ত্রাসের তোহমত, তোলে নানা বাহানায়।
মরুর বুকের তরল সোনা, যে করেই হোক পাওয়া চাই
আপসে হলে ভাল, না হলে B-52 দিয়ে কার্পেট বোনা চাই।
যুদ্ধবাজরা রক্তের নেশায়, হিতাহিত জ্ঞান লুপ্ত
মরিয়া হয়ে নিরীহ জনগন, নিধনে হয়েছে লিপ্ত।
মোল্লা, সাহেবের দর কষাকষিতে, বিশ্বে এল কাল মেঘ ঘনিয়ে
টাই পাগড়ির দড়ি টানা টানিতে,বিশ্ব উঠেছে হাঁপিয়ে।
টানা টানিতে খুলে পড়ে(পাগড়ির) প্যাঁচ, বন্দি হয় সব মার প্যাঁচে
টাইয়ের নট আরও আঁট হয়, আরও যায় ফেঁসে।
মোল্লার হাতে আছে বড় জোর ছোরা,মিস্টারের হাতে ছররা
বোমা ফেলে মিস্টার মারে শত শত, মোল্লা মারে সেথায় দোররা।
আসম যুদ্ধ’র বহু খেসারত, গুনতে হয়েছে মানবে
এত হিংস্রতা কষ্মিনকালে, যায়নি শোনাও পাষবে।
ধর্মের নামে পুরোহিতরা,যুগে যুগে চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ
ক্ষমতার লোভে শক্তিধররা, দেশে দেশে চালায় ধংসযজ্ঞ।
মুক্তির বানী আর পেশীর শক্তি,কভু এক কথা নয়।
শান্তির দূত নিয়ে আসে পয়গাম, না হলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়।
বিনা অস্ত্রই নমরুদ, ফেরাউন, শাদ্দাদ হয়েছে ধুলিসাৎ
চাঁদ, সুরুজ আজও জেগে আছে আল্লাহর হুকুমে তাবৎ।

জেগে থাকা আশা

জেগে রয়েছে ধরিত্রী আঁধার রাতে।
বাতাসেরা বল্গাহীন ঘোড়া ছোটায় ধরাতে।
ক্ষীন শিখা হয়ে পাহারায় তারারা থাকে।
বিজলিরা আকাশে মানচিত্র আঁকে।
ফুঁসে উঠে সাগরের ফেনিল ঊর্মি।
আবর্তনে চক্রাকারে প্রলয় ঘূর্ণি।
জেগে আছে মা সন্তানের শিযরে ।
দুর্দশা দুর্ভাবনা অনন্ত ঘিরে।
একাকি দ্বীপে গোর্কির রাশ ছিড়ে।
পোহাবে কি কাল রাত অমানিশা চিরে।
প্রবল ঝড়ে ছড়ায় মেঘ প্রতন্ত সীমায়।
সজল সলিল বর্ষাতে বসুন্ধরায়।
কুহেলিকা কেটে আশা জাগে কি আগামী মৌসুমের।
শুভ্র রেখা দেখা যাবে কি সোনালী প্রভাতের?

পরিবেশ দূষণ

নিঃসীম নীল আকাশ রয়েছে মহাশূন্যে ভাসি।
তারই প্রতিবেশী গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ভেলার মত চলছে ভাসি।
কি আকর্ষনে চলছে, য়ে যার পথে স্রষ্টার অপার দান।
সৃষ্টির তা বুঝাও দায়, দেবে থাক প্রতিদান।
প্রকৃতিকে নষ্ট করছে মানুষ নানা উপায়ে।
নিজের অজান্তেই মারছে কুঠার নিজেরই পায়ে।
আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি বিষাক্ত করে তুলছে।
গ্রীন হাউস গ্যাস আজ পৃথিবীর বুকে এসে পড়ছে।
আধুনিকতা সুখ সাচ্ছন্দ ভালো, এতো নয় যে, মৃত্যুর কারন হবে।
গাছ পালা পশু পাখি সব বিলীন হয়ে যাবে।
সময় থাকতে সচেতন হওয়া সবার প্রয়োজন।
সুস্হ পৃথিবী যেনো পেতে পারে, পরবর্তী জেনারেশন।

ভালবাসা

ভালবাসা এক তার হীন ঝংকার
হৃদয়ের তন্ত্রিতে।
ভালবাসা রেডসেলের অক্সিজেন
প্রবাহমান ধমনীতে।
ভালবাসা দক্ষিনা বাতাস
বাতায়ন খুলে রাখে।
ভালবাসা সুরোভিত গোলাপ
কাছে পেতে ইচ্ছা করে।
ভালবাসা অজেয় কে জয় করার
এক বুক আশ্বাস।
ভালবাসা দ্বিগ্বীজয়ীর
উদ্দাম উচ্ছাস।
ভালবাসা সাগর পাড়ের
উন্মুক্ত প্রান্তর।
ভালবাসা ছড়িয়ে যায়
পাহাড় নদী গিরী কান্তার।
ভালবাসা পুবালী বাতাস
উড়িয়ে নিয়ে যায় তেপান্তরে
ভালবাসা মানেনা জাত
মন ছুটে যায় দেশান্তরে।
********
ভালবাসা কখনো নীল
ধরায় নীল নেশা।
ভালবাসা কখনো হতাশায় ঘিরে
হারায় পথের দিশা।
ভালবাসা কখনো রক্ত গোলাপ
কাঁটা বিধেঁ রক্ত ঝরায়
ভালবাসা উত্তরী হাওয়া
হাড়ে কাঁপন ধরায়।
ভালবাসা কেড়ে নেয় সুপ্তি
অনিদ্রার আক্রমন।
ভালবাসা বিষন্নতায় ঘিরে
মনোবিকারের আগ্রাসন ।
ভালবাসা কখনো কেড়ে নেয়
কপালের ফুল চন্দন।
ভালবাসা কখনো অকালেই কেড়ে নেয়
বাহাত্তরি স্পন্দন।

আহত ইচ্ছা

রঙ্গিন নেশা ছড়িয়ে পড়ে স্ফুলিঙ্গের মত।
মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে পাহাড় শত শত।
মন ছুটে যায় তেপান্তরে হাওয়ায় ভেসে ভেসে।
সাধ জাগে তার পাখির ডানায় ঘুরবে দেশে দেশে।
নানান রং এর স্বপ্ন গুলো ভাসিয়ে দিয়ে ভেলায়।
ঈচ্ছা গুলো উড়তে চায় প্রজাপতির পাখায়।
গাইবে গান কইবে কথা ঢেউয়ের কানে কানে।
রূপালী আলোয় সাজাবে বাসর নিশীথ চাঁদের সনে।
লুটবে মৌ অলী হয়ে পুষ্প রেণুর ডগায়।
ছড়িয়ে দেবে ফুলে ফুলে জনান্তিকের আশায়।
পদ্ম পাতায় শিশির বিন্দু জ্বলবে মুক্তো হয়ে।
সোনা রোদে মিশবে মেঘে নেশা উবে গিয়ে।
ভাবাবেগে চলছে ছুটে মরু উপাত্যকায়।
ভাবনা গুলো দিশে হারা মায়া মরিচিকায়।
খুশবু হারা সুখ গুলো সব মুখ থুবড়ে পড়ে।
ক্ষত বিক্ষত হয় পালক গুলো অনাচারী ঝড়ে।
ঝরে পড়ে ইচ্ছা গুলো পাপড়ী ঝরার মত।
কাটা বিঁধে ফুলের সোহাগ রক্ত ঝরায় কত।
প্রেম কাননে আসে ধেয়ে অলী কুল যত।
পায় কি তারা প্রেমাসন নিজের ইচ্ছা মত।