মুরুব্বী এর সকল পোস্ট

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter

মা দিবস … যে ভালোবাসায় বাঁধি খেলাঘর …

কোন শব্দে এতো আকুলতা !! এতো আবেগ !! এক নিবিড় টান, শেকড়ের টান। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শব্দ ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের গভীরতম সম্পর্কের কাছে সব সম্পর্কই যেন গৌণ। যে সম্পর্কের সঙ্গে আর কোনো তুলনা হয় না। মায়ের তুলনা মা নিজেই। একটি আশ্রয়ের নাম ‘মা’। একটি শব্দই মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম স্নেহ, মমতা আর গভীর ভালোবাসার কথা। মা শাশ্বত, চিরন্তন। শুধু বিশেষ দিন নয়; মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসাময় হোক প্রতিটি দিন। প্রতিটি সময়।

মানুষ হলে তার জন্য প্রতি মিলি সেকেন্ড, সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা বা প্রতিদিনই মা দিবস। আর মানুষ রুপে জন্ম নেওয়া অমানুষদের জন্য কখনোই না। একদিনের জন্য মাকে সম্মান, ভালবাসা দেখানো বা উপহার দেওয়া, তা হবে বিলাসিতা বা রসিকতা। পশ্চিমারা বৃদ্ধাশ্রমে বাবা-মাকে বছরে একদিন দেখতে যায় কিছু উপহার হাতে নিয়ে। টাকা আমাদের কম থাকতে পারে, হতে পারি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র কিন্তু বাবা মায়ের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের মুষ্টিমেয় ছাড়া ভালোবাসা তাদের চেয়ে কোটি লক্ষ গুণ বেশী। সেদিক থেকে আমরা তাদের চেয়ে অনেক বেশী বিত্তবান। এ আমাদের গর্ব। আমাদের রয়েছে ইতিহাস এবং সংস্কৃতির এক গৌরবময় অধ্যায়। আমরা হৃদয় ছুঁয়ে বলতে পারি, আমরা মা ভালোবাসি।

হাজারও না বলা কষ্ট স্বীকার করে মা গর্ভে ধারণ করে সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসে। এ ঋণ কোনোভাবেই শোধ করার নয়। শুধু তাই নয়, সন্তান জন্মের পর নিজের চেয়ে সন্তানই তখন হয়ে ওঠে মুখ্য। এভাবে সারাজীবন মা সন্তানকে আগলে রাখার চেষ্টা করেন। পৃথকভাবে ‘মা দিবস’ পালনের কথা না থাকলেও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রতিনিয়তই মা’কে সম্মান জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘মার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’

বুখারী শরীফে উল্লেখ করা হয়, ‘আবু হুরাইরা রা. বলেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা: দরবারে হাজির হয়ে জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার সুন্দর আচরণের সবচাইতে বেশি দাবিদার কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে পুনরায় জিজ্ঞেস করল, এরপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে পুনরায় জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে আবারও জিজ্ঞেস করল এরপর কে? তিনি বললেন, তোমার বাবা।‘ (সহিহ আল বুখারী, এইচ এম সাঈদ কম্পানি, আদব মঞ্জিল, করাচি, কিতাবুল আদব, ২খ, পৃষ্ঠা ৮৮২)

মা দিবসের ইতিহাস: বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মা দিবস উদযাপন প্রথম শুরু হয় গ্রিসে। গ্রীকরা তাদের মাতা-দেবীর পূজা করত। যার নাম হল ‘রিয়া’। এটা তারা বসন্তকালীন উৎসবের একটি অংশ হিসাবে উদযাপন করত। মা দিবসের ইতিহাসের সঙ্গে প্রাচীন গ্রীস ও রোমের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। প্রাচীন গ্রীসে দেব-জননী রিয়ার উদ্দেশে বসন্ত উৎসব উৎসর্গ করা হতো। রোমে দেবী মা সিবিলির জন্য ছিল বিশেষ উৎসব। ভেনাসকে রোমানরা তাদের জাতির মা বলে মনে করতো। রোমান পুরাণে সিরিস, সিবিলি ও ভেনাস এ তিন দেবীকে এক নামে আলমা মেটার নামে অভিহিত করা হতো। আলমা মেটারের অর্থ হলো জীবনদায়িনী, খাদ্যদায়িনী এবং আশীর্বাদিকা। রোমানদের মা উৎসব পরবর্তীতে খ্রিস্টীয় ধর্মের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মা মেরির সম্মানে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে চতুর্থ রবিবার মাদারিং সানডে হিসেবে পালিত হয়। প্রাচীন রোমেও এ রকম দিবস উদযাপন করা হতো ‘সাইবল’ দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে ‘সাইবল’ হল সকল দেব-দেবীর মাতা। খৃষ্টপূর্ব প্রায় ৫০ সালে রোমে ধর্মীয় উৎসব হিসাবে একটি দিবস পালন করা হতো, যার নাম ছিল ‘হিলারিয়া’। অর্থাৎ দেবী মাতা ‘রিয়ার’ সম্মানে। এটা উদযাপনের সময় ছিল ১৫ই মার্চ থেকে ১৮ই মার্চ। গ্রীক ও রোমান পৌত্তলিক সমাজে দেব-দেবীর মায়ের প্রতি ধর্মীয়ভাবে শ্রদ্ধা জানাতে এ সব দিবস পালন করা হতো, এটাই পরবর্তীকালে মা দিবস হিসাবে চালু করা হয়েছে বিভিন্ন দেশে। সন্তানের প্রতি মায়ের অনুচ্চারিত শব্দ প্রতিপাদ্য যেন সব দেবতার আদরের ধন নিত্যকালের তুই পুরাতন, তুই প্রভাতের আলোর সমবয়সী। তুই জগতের স্বপ্ন হতে এসেছিস আনন্দ স্রোতে, নূতন হয়ে আমার বুকে বিলাসি।

আমেরিকার ‘অ্যানম জারাফস’ নামের এক নারী চিন্তাবিদের কল্যাণে মা দিবস চালু হয়। তিনি নিজের মাকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন, মায়ের ভালোবাসা অক্ষুণ্ন রাখতে জীবনে বিবাহ পর্যন্ত করেননি। তিনি পড়াশোনা করেছেন পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় চার্চ নিয়ন্ত্রিত একটি স্কুলে। তার মায়ের মৃত্যুর দু’বছর বছর পর তিনি সরকারের কাছে দাবি করলেন মায়ের স্মরণে একদিন সরকারি ছুটি দিতে হবে। তার অনুভূতি হল, মায়েরা সন্তানদের জন্য সারাজীবন যা করেন, তা সন্তানরা অনুভব করে না। তাই যদি এ উপলক্ষে একটি ছুটি দেয়া হয়, একটি দিবস পালন করা হয়, তাহলে সন্তানদের মায়ের ভূমিকা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়া সম্ভব।

অ্যানম জারাফসের আন্দোলনে আমেরিকান কংগ্রেসের অনেক রাজনীতিক একাত্মতা ঘোষণা করলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯০৮ সালের ১০ মে প্রাথমিকভাবে আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, ওকলাহোমা ও পেনসিলভ্যানিয়াতে মা দিবস পালন শুরু হয়। ১৯১০ সালে সব অঙ্গরাজ্যে সরকারিভাবে মা দিবস ও তাতে ছুটি পালন শুরু হয়। আমেরিকান কংগ্রেস ১৯১৩ সালের ১০ মে মা দিবসকে সরকারিভাবে পালনের অনুমোদন দেয়। তারা মে মাসের প্রথম রোববারকে মা দিবস পালনের দিন হিসেবে নির্ধারণ করে। আমেরিকার অনুকরণে মেক্সিকো, কানাডা, লাতিন আমেরিকা, চীন, জাপান ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে শুরু হয় মা দিবস পালন। যদিও আমেরিকায় এটা পালিত হয় মে মাসের দ্বিতীয় রোববার, কিন্তু অন্যান্য দেশে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা যায়। যেমন, নরওয়েতে মা দিবস পালিত হয় মে মাসের দ্বিতীয় রোববার। আর্জেন্টিনায় পালিত হয় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় রোববার। দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিত হয় মে মাসের প্রথম রোববার। ফ্রান্সে ও সুইডেনে পালিত হয় মে মাসের শেষ রোববার। জাপান এবং বাংলাদেশে পালিত হয় মে মাসের দ্বিতীয় রোববার। আজ সেই দিন।

আজ যেন সীমানা বিহীন ভালোবাসার একটি দিন।
আজ বিশ্ব মা দিবস যে ভালোবাসায় বাঁধি খেলাঘর।
আজ যেন পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর শব্দ বলার একটি দিন।

আজ বিশ্ব মা দিবস। মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় ‘মা দিবস’। আমেরিকায় মায়েদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ‘মাদারিং সানডে’ নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হতো। এর পর আমেরিকার সীমানা ছাড়িয়ে মা দিবসটি সর্বজনীন হয়ে উঠে সারা বিশ্বে। উদযাপনের জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বড়দিন এবং ভালোবাসা দিবসের পর মা দিবসের অবস্থান। সাধারণত সাদা কারনেশন ফুলকে মা দিবসের প্রতীক বিবেচনা করা হয়। এই দিনে সন্তানরা ফুল এবং নানা সামগ্রী উপহার দিয়ে এবং বাসায় কিংবা রেষ্টুরেন্টে মায়ের সাথে খাবার খেয়ে, অনেকেই ছুটি নিয়ে মায়ের একান্ত সান্নিধ্যে দিনটি কাটিয়ে দেয়। মাকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দেখাতে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করে নেয়ার যুক্তি অনেকের কাছেই সে ভাবে গ্রহনযোগ্য না হলেও অনেকেই মনে করেন মাকে সন্মান দেখাতে, তাকে গভীরভাবে মাকে স্মরণ করতে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত আন্তর্জাতিক মা দিবসের গুরুত্ব রয়েছে। মাকে স্মরণ করে জগৎবিখ্যাত মনীষী আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, ‘আমি যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু হয়েছি, অথবা যা হতে আশা করি, তার জন্য আমি আমার মায়ের কাছে ঋণী’। জগতে মায়ের মতো এমন আপনজন আর কে আছে! তাই প্রতি বছর এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় প্রিয় মায়ের মর্যাদার কথা। মা মাটি আর মানুষের কথা।

হারাই হারাই ভয়ে গো তাই, বুকে চেপে রাখতে যে চাই
জানি না কোন মায়ায় ফেঁদে বিশ্বের ধন রাখব বেঁধে
আমার এ ক্ষীণ বাহু দুটির আড়ালে

.

প্রদায়কের ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

ব্লগবুক অণুলিখন ৭০

ঋতু বিনিদ্র প্রহর যেন দূর্বাঘাসে ছড়ানো এই মলিন ধুলো-চাদর …
এসো জলকণায় অন্তর-শ্বাসে; পুরোনো সেই নিঃসঙ্গ আদর। তুমি বৃষ্টি।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬৯

শ্রম শ্রমিক আর শ্রমবাজারের সম্পূরকে পুরো তিন অধ্যায় …
কেউ অথবা কোনটাই কম মূল্যবান নয়। সচল জীবন পরজীবি।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

বাংলা নববর্ষের ইতিকথা, স্বাগতম ১৪২৫

ঐতিহ্য গত ভাবে বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ, বর্ষবরণের দিন, শুভ নববর্ষ। এদিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে উৎসব আমেজ আর ফুরফুরে বাতাসের দিন বসন্ত। আলপনা আঁকা শাড়ি আর পাঞ্জাবি ছাড়া যেন এদিনটিকে আর পালন করাই যায় না। সাথে লাল সবুজ আর সাদার মিশেলে হাতে, গালে ফুলকি আঁকা এখন হাল ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছরই ক্রমশ বাড়ছে বর্ষবরণের আমেজ। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারের কল্যাণে এখন রমনার বটমূল থেকে পুরো ঢাকা হয়ে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে ঘটা করে নববর্ষ পালনের সংস্কৃতি। শুধু গ্রাম নয় শহর উপশহর রাজধানীর ঢাকারও বিভিন্ন অলিগলিতে বসে বৈশাখি মেলা। পান্তা- ইলিশ, বাঁশি, ঢাক -ঢোলের বাজনায় আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় পূর্ণতা পাচ্ছে বাঙালির এ উৎসব মুখরতা। কিন্তু যদি বলি এই নববর্ষের ইতিহাস কত দিনের ? হয়ত অনেকে বলবেন সেই অনেক বছর আগের ইতিহাস থেকে চলে আসছে বর্ষবরণ। আবার অনেকে হয়ত জানেন এর প্রকৃত ঠিকুজি কুষ্ঠি (ইতিহাস)। তারপরেও একটু ফিরে দেখা বাংলা নববর্ষের পথচলার ইতিহাসের দিকে।

বাংলা নববর্ষের ইতিহাসঃ
হিন্দু সৌর পঞ্জিমতে, বাংলায় বারোটি মাস অনেক আগে থেকেই পালন হয়ে আসছে। কিন্তু গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় দেখা যায়, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় এই সৌর বছর গণনা শুরু হত। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, ভারত বর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য শুরুর পর থেকে আরবী বছর হিজরী পঞ্জিকা আনুযায়ী তারা কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরী সাল চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষি ফলনের সাথে এর কোন মিল পাওয়া যেত না। আর তখনই সম্রাট আকবর এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বাংলায় বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেন। সম্রাটের আদেশ আনুযায়ী সে সময়কার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী সৌর বছর ও আরবী হিজরী সালেরও ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম তৈরীর কাজ শুরু করেন। বাংলা বছর নির্ধারন নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইয়ের প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ই মার্চ বা ১১ ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে পরীক্ষামূলক এই গননা পদ্ধতিকে কার্যকর ধরা হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর তারিখ থেকে অর্থাৎ সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহনের তারিখ থেকে। প্রথমে ফসলি সন বলা হলেও পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিতি পেতে শুরু করে।

বাংলা মাসের নামকরণঃ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলা মাসের নামগুলো বিভিন্ন তারকা রাজির নাম থেকে নেয়া হয়েছে। যেমনঃ বিশাখা থেকে বৈশাখ, জেষ্ঠ্যা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদ থেকে ভাদ্র, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রইহনী থেকে অগ্রহায়ণ, পূষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনি থেকে ফাল্গুন এবং চিত্রা থেকে চৈত্র। আগেকার দিনে অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হত বলে এই মাসকে বছরের প্রথম মাস ধরা হত। তাই এ মাসের নামই রাখা হয় অগ্রহায়ণ। অগ্র অর্থ প্রথম আর হায়ন অর্থ বর্ষ বা ধান। সম্রাট আকবরের সময়ে একটি বিষয় ছিল অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য, তা হল মাসের প্রত্যেকটি দিনের জন্য আলাদা আলাদা নাম ছিল। যা কিনা প্রজা সাধারণের মনে রাখা খুবই কষ্ট হত। তাই সম্রাট শাহজাহান ৭ দিনে সপ্তাহ ভিত্তিক বাংলায় দিনের নামকরণের কাজ শুরু করেন। ইংরেজী বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ইংরেজি ৭ দিনের নামের কিছুটা আদলে বাংলায় ৭ দিনের নামকরণ করা হয়। যেমন : সানডে- রবিবার। সান অর্থ রবি বা সূর্য আর ডে অর্থ দিন। এভাবে বর্ষ গণনার রীতিকে বাংলায় প্রবর্তনের সংস্কার শুরু হয় মোঘল আমলে।

বর্ষ বরণের প্রবর্তিত রুপঃ
তখনকার দিনে শুধু কৃষিকাজ করার তাৎপর্যকে ধারণ করেই বাংলায় বছর গণনার রীতি চালু হয়। কিন্তু বহির্বিশ্বের সাথে বাঙালিদের যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার সুবিধার্থে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই খ্রিষ্টীয় সন ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ ই এপ্রিল নববর্ষ পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত পঞ্জিকা অনুসারে এ দিনটিকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাংলা দিনপঞ্জির সাথে হিজরী ও খ্রিষ্টীয় সনের মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। তা হলো হিজরী সাল চলে চাঁদের সাথে আর খ্রিষ্টীয় সাল চলে ঘড়ির সাথে। একারণে হিজরী সনের নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনের মধ্য দিয়ে, ইংরেজি দিন শুরু হয় মধ্যরাতে আর বাংলা সনের শুরু হয় ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে।

নতুন বছর বরণে বাঙালি আয়োজনঃ
বাংলাদেশে বর্ষবরণের মূল আয়োজন মূলত ঢাকার রমনা পার্কের বটমূলকে (অনেকে বলেন অশ্মথ মূল) ঘিরেই। সেই আনন্দ আয়োজন আর পান্তা ইলিশের বাঙালিয়ানায় পুরো জাতি নিজেকে খুঁজে ফিরে ফেলে আসা গত দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন আর নতুন অনাগত সময়কে বরণের ব্যস্ততায়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি জাতিই নিজেদের ইতিহাস সংস্কৃতিকে বরণের জন্য বিশেষ বিশেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখে।

যেমন প্রাচীন আরবীয়রা ‘ওকাজের মেলা’, ইরানী’রা ‘নওরোজ উৎসব’ ও প্রাচীন ভারতীয়রা ‘দোলপূর্ণিমায়’ নববর্ষ উদযাপন করে থাকত। ( উল্লেখ্য, ইরানী’রা এখনো অনেক ঘটা করেই নওরোজ উৎসব পালন করে থাকে)। এখানে বলে রাখা ভাল, পশ্চিম পাকিস্তান সব সময়ই বাঙালি সংস্কৃতিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করত। রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রতিবাদে ১৯৬৫ সাল ( ১৩৭৫ বঙ্গাব্দে) ছায়ানট নামের একটি সংগঠন রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব পালনের আয়োজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো হে বৈশাখ……এসো, এসো….গানের মাধ্যমে তারা স্বাগত জানাতে শুরু করে নতুন বছরকে। বর্ষবরণ এগিয়ে যায় আরো এক ধাপ। বিস্তৃত হতে শুরু করে ছায়ানট নামের সংগঠনটির। যা এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি মহীরুহে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সালে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এক ধাপ বাড়তি ছোঁয়া পায় বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। ছড়িয়ে পড়ে সবার অন্তরে অন্তরে। প্রতি বছরই কোটি বাঙালির অপেক্ষা থাকে কবে আসবে বাংলা নববর্ষ।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালা :
বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যাণে এখন ভোরে রমনা বটমূলে শুরু হওয়া বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান উপভোগ করে কয়েক কোটি বাঙ্গালি। ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় বৈশাখকে বরণে সব প্রস্তুতি করা হয় আগে ভাগে। পহেলা বৈশাখের দিন ভোরেই শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে উম্মুক্ত কনসার্ট, বাউল, লালন, জারী-সারি, মুর্শেদী গানের আসর। আর শহুরে অ্যামিউজমেন্ট পার্কের স্বাদ থাকলেও এই দিন অন্তত নাগর দোলায় চড়তে চায় অনেক শিশুই।

পান্তা ইলিশ: বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ হল পান্তা-ইলিশ। যেন এই পান্তা-ইলিশ না হলে আর পহেলা বৈশাখের কোন আমেজই থাকে না। বেশ তো এই সুযোগে রমনার লেকের পাড়েই অনেকে বসে পড়েন ইলিশ পান্তা খেতে। সাথে থাকে কাঁচা মরিচ। মানে সম্পূর্ণ ভাবেই বাঙালিয়ানার পরিচয় দিতে যেন ব্যস্ত সবাই।

মঙ্গল শোভা যাত্রাঃ
বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম শুরু হয় যশোরে ১৯৮৫ সালে। এরপর চারুকলায় ১৯৮৯ সালে এই শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পহেলা বৈশাখের দিন সকাল গড়িয়ে যখন রমনা টি.এস.সি শাহবাগে মানুষের উপচে পরা ভিড় থাকে, তখন শুরু হয় মঙ্গলশোভা যাত্রা।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এখানে পশু পাখির মুখাকৃতির ছবিসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা অনুসঙ্গকে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা রং বেরং-এর মুখোশ ও আলপনার মাধ্যমে। ছেলে বুড়ো সবাই তখন মেতে ওঠে বর্ষবরণের মঙ্গলশোভা যাত্রার আনন্দে।

মেলা: বৈশাখ মাস বলতে তো মেলার মাসকেই বোঝায়। একসময় শুধু গ্রাম গঞ্জে মেলা হলেও এখন এর পরিধি বিছিয়েছে শহরের বড়সর এপার্টমেন্ট ও হাই-সোসাইটিতেও। তবে পার্থক্য থাকে গ্রামের আর শহুরে মেলার। বাঁশের বেতের তৈজস আর নানা জাতের খেলার সামগ্রী, নারকেল মুড়কিসহ আরো কত কি থাকে এসব মেলায়- তার ইয়ত্তা নেই। মেলার সময়ে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর বসে এখনও।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে লালদীঘির ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় জব্বারের বলি খেলা। আর বর্ষবরণের এই মেলা প্রবাসীদের জন্য হয় মিলন মেলা। দীর্ঘ ব্যস্ততার অবসরে বৈশাখী মেলা প্রবাসী বাঙালিদের দেয় অফুরন্ত আনন্দ। জাপানে প্রতি বছরই অনেক ঘটা করে বিশাল পরিসরে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। জাপান প্রবাসীদের এ মিলন মেলার রেশটা থাকে সারা বছর জুড়ে। এছাড়া নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় শহরগুলোতে বসে বৈশাখী মেলার আয়োজন।

হালখাতাঃ

প্রাচীন বর্ষবরণের রীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবেই জড়িত একটি বিষয় হল হালখাতা। তখন প্রত্যেকে চাষাবাদ বাবদ চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করে দিত। এরপর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ ভূমির মালিকরা তাদের প্রজা সাধারণের জন্য মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখতেন। যা পরবর্তীতে ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানিরা সারা বছরের বাকীর খাতা সমাপ্ত করার জন্য পহেলা বৈশাখের দিনে নতুন সাজে বসে দোকানে। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুরু করেন নতুন বছরের ব্যবসার সূচনা। এ উৎসব গুলো সামাজিক রীতির অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে প্রতিটি বাঙালির ঘরে। এখনো গ্রাম গঞ্জে নববর্ষে হালখাতার হিড়িক পড়ে।

আধুনিক নববর্ষের সূচনাঃ
আধুনিক নববর্ষ পালনের তত্ত্ব তালাশ করতে গিয়ে জানা গেল ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তন ও পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। এরপরে ১৯৮৩ সালে একই ভাবে ভাল কিছু উদ্যোগ নেয়া হয় নববর্ষ পালনের জন্য। মোদ্দা কথা ১৯৬৭ সালের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালন করা হয়নি। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাড়তে থাকে পহেলা বৈশাখ বরণের সাড়ম্বরতা।

বৈশাখ এলেই এর সাথে আসে কালবৈশাখীর তাণ্ডবের কথা। প্রলয়ংকরী ঝড়ে লন্ডভন্ড করে বসত ভিটা, জমি জিরেত, তারপরেও আবারো ফিরে দাঁড়ায় ঝড়ঝঞ্ঝার সাথে লড়াই করা প্রতিটি বাঙালি। নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে শুরু হয় ঘর বাঁধা। এসব দুঃখ-দূর্যোগকে ভুলে পুরো জাতিই মেতে ওঠে পহেলা বৈশাখের নববর্ষ পালনের আনন্দে। জাতীয় এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা বছরের প্রথম দিনকে বরণের আনন্দে থাকে মাতোয়ারা। উৎসব প্রিয় বাঙালিরা জাতীয় উন্নয়নে এসব পার্বন থেকে নতুন সঞ্জিবনী শক্তি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করলেই আর পিছিয়ে থাকবেনা আমার প্রিয় স্বদেশ, বাংলাদেশ। স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪২০ বঙ্গাব্দ। সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে নতুনের দিনের শুভ সূচনা হোক, জাতি খুঁজে নিবে নতুন মুক্তির দিশারী। : অতিরিক্ত কৃতজ্ঞতা : শূণ্য।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬৮

চিরকালের এই অবিশ্রান্ত প্রবাহের অনুষঙ্গে আমাদের অনেকেই।
লড়াই চলে; চলে লড়াই।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬৭

যে যেভাবেই ডাকুক; যে শব্দ নামেই স্মরণ করুক …
নিরঙ্কুশ আলো-আঁধারে দৃঢ় বিশ্বাসের নাম সৃষ্টিকর্তা।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬৬

.

مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ
তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন।

بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ
উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।

فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

(৫৫ : ১৯, ২০, ২১)
Sura Al Rahman

That’s located in Egypt, it’s called Mediterranean Sea.
Almighty is great that’s the real evidence. Ameen.

youtu.be/ihXUnIF2by8

youtu.be/ggj9nfmzfjQ

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬৫

‘জীবে জীবে চাহিয়া দেখি সবই যে তার অবতার …
ও তুই নূতন লীলা কি দেখাবি যার নিত্যলীলা চমৎকার।’

‘নদনদী হাতড়ে বেড়াও অবোধ আমার মন
তোমার ঘরের মাঝে বিরাজ করে বিশ্বরূপী সনাতন।’
কিংবা ‘জীবে জীবে চাহিয়া দেখি সবই যে তার অবতার
ও তুই নূতন লীলা কি দেখাবি যার নিত্যলীলা চমৎকার।’

___ অনাধ্যাত্মিক জীবনবোধে নিজেকে খোঁজা। বাউল চরণ।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬৪

.

বৃষ্টি-বিধু্রা অমল মধুরায় খুলে নিতে পারো;
বৃষ্টি ছোঁয়া ডাগর পাঁপড়ি মায়া। ধরিত্রী দিবস।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

শব্দনীড়ের ব্যয় নির্বাহে স্পন্সর হয়ে আপনিও পাশে আসুন

সৌহার্দ্য সম্প্রীতিতে মুখরিত থাক শব্দনীড়। থাকুক সর্বজনীনতা; থাক মুক্ত বাক্ স্বাধীনতার অনন্য একটি মঞ্চ যেখানে অনালোকিত নক্ষত্ররা হাতে হাতে রেখে তৈরী করবে ছায়াপথ … এই আশা আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে শব্দনীড়ের পথচলা।

প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো শব্দনীড় কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়। কারু একক ব্যক্তিগত অর্থে শব্দনীড়ের নির্বাহ ব্যয়ভার বহন করা হয় না। বিজ্ঞাপন হীন একটি ব্লগ ঐচ্ছিক সুধীজনের অপর্যাপ্ত স্পনসরে আদৌ চালানো সম্ভব কিনা পরিমাপ করার সময় এসেছে। একমাত্র আমাদের সম্মিলিত অনুদানে ব্লগ চালু রাখা সম্ভব।

শব্দনীড়ে কোন পেইড ব্লগার নেই। সঞ্চালকের কোন বেতন নেই।

আর্থিক অনুদান বললে “নিয়মিত দান বা মানসিক অত্যাচার” মনে করেন কেউ কেউ। ইতিমধ্যে অনেকে এই অস্বস্তির কারণ দেখিয়ে শব্দনীড়কে ভালোবেসে এড়িয়ে চলার পথ বেছে নিয়েছেন। শব্দটিতে তাই নতুনত্ব আনা হয়েছে। আমরা চাই স্পনসর। আমরা বুঝতে চাই কে এবং কয়জন শব্দনীড়কে নিজের ব্লগ মনে করবেন। কেননা শব্দনীড়কে দূর্যোগহীন বাঁচিয়ে রাখতে আপনাদের সঙ্গ এবং স্পনসরশিপ দুটোই প্রয়োজন। প্রয়োজন সহযোগিতা এবং নির্মোহ ভালোবাসা।

আপনার স্পনসর ছোট হলেও ক্ষতি নেই। শব্দনীড় এর হিসাব খাতে স্বনাম প্রকাশ অথবা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিসেবেও আপনি থাকতে পারেন শব্দনীড়ের পাশে। আপনি হবেন শব্দনীড় অংশ এবং অঙ্গ। স্পনসরদের নিয়ে শব্দনীড় পরিচালনা কমিটি তৈরী করা হবে। প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের সম্পর্ক থাকবে অটুট।

অনুগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত প্রস্তাবনা এবং মতামত রাখুন।

* আমরা কি ব্লগকে সরব রাখতে পারি কি না ?
* শব্দনীড়ে ব্লগিং করতে আপনার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা ?
* শব্দনীড় পরিচালনা কমিটিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চান কিনা ?

আমরা চাই একক নয়; দশ হাতে একশো জনের ঘরে শব্দনীড়কে পৌঁছে দিতে। শব্দনীড় থাক সর্বজনীন বাক্ স্বাধীনতায় সকলের পাশে। শুভ ব্লগিং। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬৩

.

‘সখী, হেথা সমীরণ লুটে ফুলবন, সেথা কি পবন বহে না …
সে যে তার কথা মোরে কহে অনুখন, মোর কথা তারে কহে না!’

সখী, হেথা সমীরণ লুটে ফুলবন, সেথা কি পবন বহে না …
সে যে তার কথা মোরে কহে অনুখন, মোর কথা তারে কহে না!
ওগো মিছে মিছে, সখী, মিছে এই প্রেম, মিছে পরানের বাসনা।
ওগো সুখদিন হায় যবে চলে যায় আর ফিরে আর আসে না।
(আংশিক)

কবিতা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬২

‘যে পথে তার পাপড়ি দিয়ে বিছিয়ে গেল ভুঁই
পথিক পরান, চল্, চল সে পথে তুই
অন্ধকারে সন্ধ্যাযূথীর স্বপনময়ী ছায়া …
উঠবে ফুটে তারার মতো কায়াবিহীন মায়া।’

পথিক পরান, চল্, চল্ সে পথে তুই
যে পথ দিয়ে গেল রে তোর বিকেলবেলার জুঁই।
সে পথ বেয়ে গেছে যে তোর সন্ধ্যামেঘের সোনা,
প্রাণের ছায়াবীথির তলে গানের আনাগোনা –
রইল না কিছুই।

যে পথে তার পাপড়ি দিয়ে বিছিয়ে গেল ভুঁই
পথিক পরান, চল্, চল সে পথে তুই।
অন্ধকারে সন্ধ্যাযূথীর স্বপনময়ী ছায়া
উঠবে ফুটে তারার মতো কায়াবিহীন মায়া-
ছুঁই তারে না ছুঁই।

প্রেম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

__________________________
___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬১

.

তুমি নূতন. আবার পুরোনোও হবে একদিন
আবরণহীন সরস বন্দনায় ভুলে যাবো সব পাপ
যেন ভুলিনা আমার কর্ম আর ফেলে আসা অতীত …

__________________________
___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৬০

ভর ঝরোকায় তাই হোক … তবে তাই হোক;
কেটে যাক বরষণ কুয়াশা; দেখা দিক শুভ্র আলোক।
মঙ্গল আলোয় শুদ্ধি ধরায় চকিত প্রাণ … উঠুক জেগে।

__________________________
___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৪৫

যার বুক জুড়ে আঁকা লক্ষ মৃত্যু, ধর্ষণ আর ক্ষুধার্ত রাতের প্রাপ্তি –
একাকী নিভৃত আত্মায় উচ্চারিত চিরকালীন বাঙালী …
একটি বিজয়ের দীর্ঘ উচ্চারণ – জয়বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।