নূর ইমাম শেখ বাবু এর সকল পোস্ট

নূর ইমাম শেখ বাবু সম্পর্কে

রোজ কবিতা রচি কবিতার মাঝে বাঁচি, কিন্তু আমি বসত করি মৃত্যুর কাছাকাছি!

আকস্মিক


প্রকৃতি জাগ্রত হঠাৎ হল বিব্রত,
আকস্মিকতায় মগ্ন বাধ্য বিস্মিত।
অনাগত আগামী ধর্মের গোঁড়ামি,
সহস্র অজুহাতে আদালতে আসামী।

বিবর্ণ প্রকৃতি অপূর্ণ প্রভৃতি,
শত অনুনয় তবু পাচ্ছেনা নিষ্কৃতি।
বৃষ্টির সন্ধ্যায় ব্যয় হয় সঞ্চয়,
বিঘ্ন ঘটাতে স্মৃতি থাকে অব্যয়।

রক্তিম গোধূলি সূর্য বেখেয়ালি,
রাত্রির আঁধারেরা যে আলোর কাঙালি।
মিটিমিটি জ্বলে তা সুদূর ঐ গগনে,
প্রভাতে ঠাই নেয় প্রকৃতির চরণে।

নিবিড় এই বন্ধন হৃদয়ের স্পন্দন,
দিবালোক হারিয়ে রাত্রির ক্রন্দন।
অশ্রুতে ভেসে যায় পর্বত বক্ষ,
ঝর্ণার ধারা তবু বয় অতি সূক্ষ্ম।

অপরুপ সজ্জায় সজ্জিত প্রকৃতি,
ক্রোধে জ্বললে মেলে না নিষ্কৃতি।
আভাষে ভর করে চলমান দাম্ভিক,
বিজলি চমকায় আকাশে আকস্মিক।

হায়রে বৃষ্টি


হায়রে বৃষ্টি মধুর বৃষ্টি,
অন্তরে হয় দোলার সৃষ্টি।
পথ প্রান্তর জল মগ্ন,
কুঁড়ি ফোঁটায় ডাল শুকনো।

এই বৃষ্টির অঝর ধারা,
ঝর ঝর ঝর ছন্দ হারা।
আকাশ তোলে বিকট আওয়াজ,
ঝরছে বৃষ্টি কি সন্ধ্যা সাঝ।

অমরত্ব চায় কি পেতে?
ঝরছে এমন দিনে রাতে!
নগরবাসী গৃহবন্দী,
বৃষ্টি ধারার একি ফন্দি!

শূন্য প্রায় কর্মক্ষেত্র,
বজ্রধ্বনি খোলে নেত্র।
শ্রমিক মজুর আজ অসহায়,
ঘরে বসেই শুধু হায় হায়।

হায়রে বৃষ্টি পাষাণ বৃষ্টি
এবার একটু থাম,
অনেক আগেই ধুয়ে গেছে
দিন মজুরের ঘাম।

অধিক প্রীতি রুপ নিয়েছে
যেন অত্যাচার,
শূন্য গৃহে ভালবাসা
জমছে না তাই আর।

গুপ্ত তথ্য


কত শত কৌশল নির্ভীক মনোবল,
উত্তম সন্ধানে ক্ষয় যেন পদতল।
মৃত্যুতে নিপতিত সারাক্ষণ বিচলিত,
সম্মুখে ধাবমান থাক যেথা লুকায়িত।

প্রাণের কোলাহল অতিশয় প্রাঞ্জল,
রহস্যের আড়ালে প্রহেলিকা অবিচল।
আবরণ অযোগ্য চেতনায় আরোগ্য,
প্রাণ উপযুক্ত দেহ উপভোগ্য।

মানবের উত্থান নিয়মিত প্রস্থান,
আজীবন করে যায় মানবেই সন্ধান।
বিভিন্ন রীতিনীতি অফুরান সম্প্রীতি,
বিদায়ের লগ্নে অন্তরে জাগে ভীতি।

নিষ্প্রাণ হলে দেহ খোলসে ঢাকে মোহ,
কদাচিৎ অন্তরে চেতনার বিদ্রোহ।
জনহীন প্রান্তর বুকে চাপা প্রস্তর,
রহস্যে ঘেরা তবু প্রাণের সম্ভার।

বৃথা খোঁজা যুক্তি কেন এ বিভক্তি,
কি কারনে প্রিয় প্রাণ দেয় দেহ মুক্তি?
শত নীতি নিষ্ঠা বিফল এই চেষ্টা,
গুপ্ত এ তথ্য জানে শুধু স্রষ্টা।

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা


আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন বিক্রি করি,
যে স্বপ্নকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ প্রলয়ঙ্করী।
বক্ষে পোষণ করতে তারে দেহ অন্তর উজাড়,
নতুনত্বে পরিপূর্ণ প্রাণবন্ত অনড়।

দেশান্তরে অবিরত ছুটছি তাড়নায়,
সম্মুখেতে উত্থাপিত বিস্মিত বিস্ময়।
আলিঙ্গনের সুপ্ত আশা প্রানেতে সঞ্চিত,
আপনমনে বুনে তারে রেখেছি গচ্ছিত।

আহা স্বপ্ন দারুন স্বপ্ন বোঝে প্রাণের ভাষা,
সমাধানে সজ্জিত সে হাজারো জিজ্ঞাসা।
বস্তাবন্দী জ্ঞানের বাতি ভেজা খড়েও জ্বলে,
বাস্তবে রুপ নিতে স্বপ্ন মোমের মত গলে।

স্বপ্ন বেঁচে পরিচ্ছন্ন নগরের জঞ্জাল,
আদর স্নেহে পরিণত বিগ্রহ উত্তাল।
হিংসা বিদ্বেষ রেষারেষি স্বপ্নে ভূলুণ্ঠিত,
স্বর্গ সুখে ভরতে ভুবন সর্বদা উদ্যত।

স্বপ্ন শুধুই স্বপ্ন নয়তো প্রাণের প্রতিচ্ছবি,
স্বপ্ন নিয়ে উদিত হয় অস্তমিত রবি।
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন বেঁচে বেড়াই,
দুঃস্বপ্নের উপস্থিতি অদৃষ্টের দোহাই।

পার্থিব বিগ্রহ


নিভৃতে ক্রন্দন, জাগতিক স্পন্দন।
মানবীয় মায়াজাল, অনাগত পরকাল।
স্বস্তির অনুভব, বিরক্তির কলরব।
শান্তির মন্ত্রনা, বর্ধিত যন্ত্রণা।

আগামীর আহ্বান, বিদ্রোহের উত্থান।
পরাভূত সংগ্রাম, সক্রিয় উদ্যম।
নমনীয় সত্ত্বায়, দ্বিমুখী প্রত্যয়।
পার্থিব শান্তি, দূরীভূত ক্লান্তি।

অনাগত পরকাল, কল্পনায় অবিচল।
সঞ্চিত সত্য, অন্তরে নিত্য।
জাগ্রত করে ভীতি, নিষ্ঠুর সম্প্রীতি।
সাক্ষী মহাকাল, স্থায়ীত্ব ক্ষণকাল।

অযাচিত বিগ্রহ, সম্মুখে প্রত্যহ।
লৌকিক জঞ্জাল, ত্রিভুবন উত্তাল।
কাঙ্ক্ষার মোহনায়, জাগ্রত সংশয়।
নির্ভীক সত্ত্বা, লুণ্ঠিত আস্থা।

ক্ষমতার দম্ভ, মেকি প্রতিবিম্ভ।
অহমিকা স্বীকৃত, চেতনা বিকৃত।
পরিস্থিতি কৃত্রিম, লোকালয় রক্তিম।
মানবতা নির্জীব, বিগ্রহ পার্থিব।

শ্রাবণ


খোলা বাতায়ন বায়ু সারাক্ষণ,
শ্রাবণ কদম ভ্রমর মিলন।
ছোটে মেঘ দল প্রাণ চঞ্চল,
বৃষ্টি ধারায় হৃদয় কোমল।

আঁধার রাতের নীরবতা,
ক্লান্ত দেহের প্রাঞ্জলতা।
হুঙ্কার দেয় ঝড়ো হাওয়া,
বিঘ্নিত হয় পরম পাওয়া।

অধীর মোহের এ আগ্রহ,
শ্রাবণ মেঘের প্রীতি স্নেহ।
বৃষ্টি জলে ভরল উঠোন,
টাপুর টুপুর সেকি ক্রন্দন।

স্মৃতি জুড়ে মন মোহিনী,
হৃদয় কাঁপায় বজ্রধ্বনি।
ঘুচে দিতে এই দূরত্ব,
শ্রাবণ মেঘের সে বীরত্ব।

বাতায়নে আবার একা,
বৃষ্টি ফোঁটায় ভাগ্য লেখা।
দূরে কিংবা কাছে স্বজন,
গভীর স্বপ্নে মগ্ন শ্রাবণ।

সহচর


দুঃখী প্রাণ পায় যদি তোমার স্পর্শ,
হৃদয়ের সাথে শুরু হয় সংঘর্ষ।
তোমার সংস্পর্শে খুঁজে পাই উদ্যম,
তোমাতে ঋণী আমি তুমি সর্বোত্তম।

একাকীত্বের ঘোরে হারিয়ে নিজেকে,
আঁধারের আমাকে নিয়ে এলে আলোকে।
আমরণ মোহ নিয়ে চলবে এ সংগ্রাম,
যদি তুমি দূরে যাও পণ্ড হবে শ্রম।

একত্রে পথচলা তুমি আমি সহচর,
প্রকৃতির কাছ থেকে সফলতা করি ধার।
পৃথিবীর সব ফুল হাসিতে শোভা পায়,
জুড়ায় এ অন্তর বেড়ে যায় প্রত্যয়।

মেঘ হতে ধার করে এক ফোঁটা বৃষ্টি,
যদি হয় ও নয়নে অশ্রুর সৃষ্টি।
অসহ্য যন্ত্রণায় জ্বলবে এ আত্মা,
হাসি খুশী এই তুমি জুড়ে থাকো সত্ত্বা।

তৃষিত অন্তর করে সুখ সন্ধান,
নিজেকে বিলিয়ে তুমি দাও প্রতিদান।
পাশাপাশি পথ চলে থেকে যায় কেউ পর,
হৃদয়ের ঋণে বেঁধে তবে হয় সহচর।

তুমি মানে শান্তি


আবেগিয় সত্ত্বায় তুমি ভরা আত্মায়
অনুভূত সারাক্ষণ তোমার স্পন্দন,
প্রীতের বন্যায় ভাসন্ত অন্যায়
মজবুত করেছে দুজনার বন্ধন।

কষ্টের ছোবলে ঠাঁই নিয়ে আঁচলে
অসাধ্য সাধনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,
নির্বোধ এ আমায় প্রণয়ের আখ্যায়
প্রেমের দীক্ষায় করেছো অভিজ্ঞ।

বাস্তবে পাশে থেকে অনুভবে ছবি একে
আজব এক শান্তির দেখিয়েছো রাস্তা,
সাদামাটা জীবনে তুমি দ্বারা শোধনে
রত্নে রুপ নিল নয় আর সস্তা।

পেয়ে হারাবার ভয় অন্তরে ঠাঁই নেয়
অভয়ের বাণী তুমি করে যাও রচনা,
সারাক্ষণ পাশে থেকে উষ্ণতা দিয়ে ঢেকে
মহাসুখে ভরে দিলে জীবনের মোহনা।

হাত রেখে ও হাতে নিবিড় ঐ ছোঁয়াতে
কষ্ট ভুলে যাই দূর হয় ক্লান্তি,
সব ব্যাথা যাই ভুলে শুধু তুমি সাথী হলে
তুমি মানে স্বর্গ তুমি মানে শান্তি।

বিরহী সত্ত্বা


বিরহের উৎসব হয় সদা অনুভব,
থেমে থাকা জীবনে শান্তির কলরব।
মানবতার উৎস হলে বীভৎস,
নারকীয় কাণ্ড করে স্পর্শ।

অনুভবে অন্যায় বাধ্য করে যায়,
সহ্যের সীমানায় কষ্ট জমে রয়।
পূজারীরা চারপাশ করে যায় উপহাস,
নিয়মের গণ্ডিতে পরিনতির উল্লাস।

রক্তিম অন্তর ধূধূ প্রাণ প্রান্তর,
সুশীতল যুদ্ধে হৃদয়টা অঙ্গার।
অভিনয় সত্য মিথ্যা উপাত্ত,
অনাচারে ঢেকে থাকা জীবনের বৃত্ত।

ঘৃণিত সংগ্রাম আবেগে দেয় দাম,
অর্থ ও বাহুবলে মূর্খ উদ্দাম।
খুঁজে নানা অর্থ জুড়ে শত শর্ত,
মিথ্যার পদতলে সত্য ব্যর্থ।

দারুন এই বিরহ সওয়া হয় দুরুহ,
অমলিন সফলতা জুড়ে থাকে কলহ।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে সময়টা যায় চলে,
পরাজিত সত্তা ন্যায়ের কথা বলে।

আমি বেসরকারি চাকর


আমি বেসরকারি এক চাকর,
কভু পাইনি গুণের কদর!
শুধু পেতে বসের আদর,
সাজি লেজ হীন এক বাদর!

যখন বিশ্ব সেরা জ্যামে,
আমি টেনশানে যাই ঘেমে!
হয়তো চাকরি গেল থেমে,
নয়তো বেতন গেল কমে!

শুনি নিত্য বসের ঝাড়ি,
ফিরি মধ্য রাতে বাড়ি!
অফিস যেতে তাড়াতাড়ি,
আমি আরাম নিদ্রা ছাড়ি!

ভাবি কবে বেতন পাবো,
বাসা ভাড়া কেমনে দেবো!
পুরো মাসটা যে কি খাবো!
কবে সচ্ছল আমি হবো?

খোকার সেমিস্টারের টাকা,
দিতে বাকি শুধুই একা।
ছিল ভাগ্যে এটাই লেখা?
গ্যাপে পড়বে আমার খোকা?

বউয়ের শরীর বড্ড খারাপ,
জ্বরে যাচ্ছে বকে প্রলাপ!
খোদা! করছি আমি কি পাপ?
নেই অর্থ বিত্তের প্রতাপ!

আমি বেসরকারি এক চাকর!
গাধার খাটনি নৈশ প্রহর!
করুণ অভাব জীবন সমর!
এটাই সৎ থাকবার কদর?

মেধা


সমাজের নিবেদন রীতিনীতি অচেতন,
মান নির্ণয় নিয়ে বানিজ্যে গুরুজন।
হতাশা চিন্তায় পুঁথিগত বিদ্যায়,
নির্বাক চেয়ে থাকা অপলক বিস্ময়।

বুদ্ধি দীপ্ত বিফলে ক্ষিপ্ত,
ভ্রান্ত চেতনায় মেধা বিলুপ্ত।
যার নাই দীক্ষা সে দেয় শিক্ষা,
সনদের বোঝা ঘাড়ে করে যায় ভিক্ষা।

অর্থে যোগ্য হোক সে অজ্ঞ,
পূজনীয় আসনে সেই উপভোগ্য।
তেলবাজি পথ্য উলঙ্গ সত্য,
কুৎসিত আবরণে যেন এক ভৃত্য।

প্রখরতা অম্লান মেধা করে সন্ধান,
তীর্থের কাক হয়ে জ্ঞানের প্রস্থান।
প্রতিবাদ অন্যায় রক্তের বন্যায়,
ভেসে যায় মস্তক ভুলক্রমে বলে হায়!

আজ ব্যক্তিত্ব দামী অতিরিক্ত,
ভাঙ্গা মান দণ্ডের দুটি হাত রিক্ত।
মূর্খ নিরিক্ষা পদতলে শিক্ষা,
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মেধা চায় ভিক্ষা।

উদ্যমী তারুণ্য


হোক না নগন্য, অথবা জঘন্য।
থাকলে তারুন্য, হবেই বরেন্য।
ক্ষিপ্রতা সময়ের,উচ্ছাস আবেগের।
ভ্রান্ত পথে চলা, স্বভাব না বয়সের।

বিভেদের মন্ত্রনা, উদাসী যন্ত্রণা,
প্রশান্ত রুপ নেবে, কর শুধু প্রার্থনা।
অগ্রের যাত্রী, কৃষ্ণ রাত্রি।
আলোকিত করবে, দেখবে ধরিত্রী।

কি জাত ধর্ম, মূলধন কর্ম।
নিশ্চয়ই ভাঙবে, বিভেদের বর্ম।
ওরা হল গর্ব, করনা খর্ব।
স্বর্ণের কুণ্ডলী, নয় অথর্ব।

ওরা বলে বলীয়ান, উদাত্ত মহীয়ান।
ভুবনের স্বার্থে, করে সুখ সন্ধান।
সমাজের অবক্ষয়, রুখে দেয় অন্যায়।
পৃথিবীকে হাসাতে, যত যন্ত্রণা সয়।

আলোকিত প্রান্তর, অস্থায়ী নশ্বর।
দাও তারে দীক্ষা, না হয় অঙ্গার।
কর তারে গন্য, ধরা হবে ধন্য।
কল্যাণ জন্য, শুধুই তারুণ্য।

মঙ্গল


খুঁজে ফিরি মঙ্গল লোকালয় জঙ্গল,
দেহময় অসাড়তা অন্তর চঞ্চল।
আজগুবি খবরে ক্লান্তির শহরে,
উদাসী মূর্খতা অনুভূত প্রহরে।

করছে না ব্যক্ত লজ্জিত রিক্ত,
ইস্ত্রি করা শার্ট উদর অভুক্ত।
নয় অযোগ্য দুরুহ আরোগ্য,
কারো কাছে দৃশ্যটা বড় উপভোগ্য।

খুঁজে ফেরা অর্থ চেষ্টা অনর্থ,
স্বেচ্ছায় আলিঙ্গন রীতিমত স্বার্থ।
অনুভূত শুভক্ষন যৌক্তিক প্রহসন,
বিঘ্নিত পথ চলা ভেতরে ক্রন্দন।

অশুভ আত্মা তৃষিত স্বত্বা,
শান্তির সন্ধানে ছুটন্ত অগত্যা।
কষ্টের সংসার তবুও অহংকার,
বিঘ্নতা সর্বদা নেই কারো দায়ভার।

ঘৃণার রাজ্য ভালবাসা ত্যাজ্য,
সারাক্ষণ ক্রন্দন অধিকার ন্যায্য।
লুটপাটে উত্তাল স্ফীত মনোবল,
গ্লানির ঢেউয়ে ভেসে বহুদূরে মঙ্গল।

বহুচারিণী


কখন আসে কার আবেদন
কার সাথে কোন রাত্রি যাপন,
হাসি মুখে কষ্ট চেপে
কখন কাকে করে আপন!

প্রাণের নাকি দেহের ক্ষুধায়
আপন ছেড়ে পরকে শুধায়?
ব্যর্থতাকে পুঁজি করে
সার্থকতার নিশান কোথায়?

প্রাণের দাবী বিপর্যস্ত
কিসের দায়ে অপদস্থ?
উজাড় করে মুক্তি চেয়ে
নিঃস্ব ঘরে রিক্ত হস্ত!

সুখ হয়েছে অচিন পাখী
ইচ্ছে তাঁরে বেধে রাখি,
দেহ দিয়ে সত্ত্বা দিয়ে
অবশেষে শুধুই ফাঁকি!

পরম শান্তির নিবেদনে
মাতম নেশার আবেদনে,
সব হারিয়ে একা পথে
ভীড়ের মাঝে নির্বাসনে!

বলতে শুনি কথার কথা
কবে হবে সেই মমতা?
দেহ আত্মা বিলিয়ে দিয়ে
খুঁজে পাবে সার্থকতা?

আধিপত্য বিস্তার


আধিপত্য বিস্তার অস্তিত্ব রক্ষার,
সম্মুখে শালিনতা হৃদয়ে অহংকার।
প্রাণ অবরুদ্ধ সুশীতল যুদ্ধ,
জাগ্রত হুঙ্কার অনুরোধে ক্ষুদ্ধ।

শান্তির সন্ধান যন্ত্রণার উত্থান,
বৈধতা বিকৃত বিবেকের বলিদান।
উত্তাল প্রান্তর অশান্ত ভয়ংকর,
অসীম দূরত্ব অসম্ভব উদ্ধার।

নির্ভয় দাম্ভিক, দুরন্ত নির্ভীক,
প্রচেষ্টা হননের প্লাবিত চারিদিক।
অতিশয় ধূর্ত কৌশলী শর্ত,
জঘন্য নিভৃতে বিগ্রহ অনর্থ।

আগ্রহ রক্ষার অবিরত ধিক্কার,
অন্দর মহলে ব্যভিচারে চিৎকার।
বিদ্রোহে মুক্তি নীরবে বিভক্তি,
সমবেদনার স্বরে শত্রুর যুক্তি।

তাই মূলমন্ত্র শুধু ষড়যন্ত্র,
বিসর্জন দিয়ে প্রাণ দীক্ষিত মন্ত্র।
দুর্লভ বিস্তার আধিপত্যের সমাহার,
প্রশ্নের উদ্ভব কবে হবে উদ্ধার?