নূর ইমাম শেখ বাবু এর সকল পোস্ট

নূর ইমাম শেখ বাবু সম্পর্কে

রোজ কবিতা রচি কবিতার মাঝে বাঁচি, কিন্তু আমি বসত করি মৃত্যুর কাছাকাছি!

উপস্থাপন


উপস্থাপন অসাধারণ, নেশায় দোলে তাই দেহ মন।
সীমানাহীন এই প্রয়োজন, বাড়ে বাড়ুক মনের দহন।
জেগে থাকা ঘুমের বেশে, ভেতর কাঁদে বাহির হাসে।
মহাশান্তির সে আবেশে, মৃদু সুখে হৃদয় ভাসে।

বোঝা কঠিন মনের ভাষা, গহীন প্রাণের ভালবাসা।
অধৈর্য কেউ হয় নিরাশা, কারো ভাঙে সুখের বাসা।
পরাজয়ের গ্লানি ধুয়ে, স্বপ্ন আশায় জীবন ছুয়ে।
হাজার গ্লানি ব্যাথা সয়ে, যাচ্ছে সাধের জীবন বয়ে।

কোমল মনের সরলতা, চিত্তভরা প্রাচীন প্রথা।
মনই জানে মনের কথা, আপন হলে বোঝে ব্যাথা।
উদারতা করলে প্রকাশ, প্রাণে জাগে খুশীর প্রয়াস।
সরলতার রঙিন উচ্ছাস, জীবন জুড়ে খুশীর আভাস।

সকাল সন্ধ্যা সে প্রার্থনা, আসবে কবে নিলাঞ্জনা।
ব্যাকুলতার এ লাঞ্ছনা, বুকের মাঝে জমা ঘৃণা।
কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, রৌদ্র তবু হয়না নিরাশ।
থাকবে না সে বৃষ্টি বিলাশ, বইবে যখন ঝড়ো বাতাস।

পরিপক্ক অশেষ আশা, অন্ধ প্রাণে বাঁধে বাসা।
উদ্দেশ্যহীন যাওয়া আসা, ইচ্ছে করে বানে ভাসা।
আসক্তিতে ভরা ধরন, নেশায় মেতে করি বরন।
প্রাণে পেতে রাখা আসন, তুমি তোমার উপস্থাপন।

পরাজিতা


দিয়েছো ঠেলে দূরে, ডেকে কামনার সূরে
মাঝখানে ছিল কিছু অনুভব,
সাময়িক উপভোগ, হৃদয়ের অভিযোগ
করে যায় কষ্টের উৎসব!

থাকতে চাওনি একা, তাই কাছে ধরে রাখা
এ জীবন নয় কোন নিক্তি,
করে না পরিমাপ, করে যায় পরিতাপ
ভাবনায় খাঁড়া করে যুক্তি।

বেদনার উল্লাসে, নিয়তির পরিহাসে
এই প্রাণ যেন আজ যায় যায়,
আবেগের সত্ত্বা, ভুলে যায় রাস্তা
অবশেষে করে শুধু হায় হায়!

ভাসে চোখে সারাক্ষণ, আজো সেই আবেদন
শুধু একবার চাই ছুঁতে চাই,
মিটে গেছে প্রয়োজন, তাই যত প্রহসন
চাওয়া আছে প্রাণে ভালোবাসা নাই!

কাকে দিলে প্রশ্রয়, কি আশা ও আত্মায়?
কোন নতুনে পেল অধিকার?
প্রেমের ফাঁদে ফেলে, গেছে দিন হেসে খেলে
মন মত করে গেলে ব্যবহার!

আজব বাজার


কালকে রাতে স্বপ্নে চড়ে
গেছি আজব বাজারে,
পয়সা বীনে সব পাওয়া যায়
আজব ব্যাপার আহারে!

অফুরন্ত সূর্যের আলো
চারিদিকে ছড়ানো,
রাত্রি জুড়ে চন্দ্র হাসে
জ্যোৎস্না যে মন মাতানো।

হরেক রঙের হাজারো ফুল
ফুঁটে আছে বাগানে,
হৃদয় উজাড় করা ঘ্রাণে
ভ্রমরকে কাছে টানে।

ঝরনা ঝরে অঝর ধারায়
স্রোতে ভাসায় নদীরে,
সব সেখানে পয়সা বীনে
কি আনন্দ আহারে!

শুধু বাতাস পাইনি খুঁজে
ওইনা আজব বাজারে,
যেটা কিনা বাঁচিয়ে রাখবে
আর কিছু দিন আমারে।

ধর্ম যন্ত্র

ব্যকুল মনের কল্পনা, ব্যর্থ হবার লাঞ্ছনা।
আবেগের শেষ প্রান্তে, দ্বিমতের বিভ্রান্তে।
পরাজিত প্রাণের গ্লানি, নাভিশ্বাসে টানা ঘানি।
স্বপ্নে ভাসে প্রতিচ্ছবি, আকাশ জুড়ে শোকের রবি।

দুর্বলতার প্রাদুর্ভাব, ক্লান্ত দেহের মহোৎসব।
জর্জরিত বিষণ্ণ, বার্ধক্যে এই তারুণ্য।
বিজ্ঞাপনে চমৎকার, কাকতালীয় রুদ্ধদার।
আসল খোঁজার অধ্যয়ন, ইচ্ছাকৃত সঞ্চালন।

মায়াকান্না ছদ্দবেশ, সহানুভূতি নিরুদ্দেশ।
সয়ে চলা অত্যাচার, গড়ে তোলে অহংকার।
অভ্যন্তরে বক্রতা, প্রাণে প্রাণে হিংস্রতা।
অনুভূতির যন্ত্রণা, আবেগ বেচে প্রার্থনা।

বীণা অশ্রুর ক্রন্দন, স্বার্থসিদ্ধি ততক্ষণ।
মানবতার প্রত্যাহার, দাবীদার আজ প্রশংসার।
আভ্যন্তরীণ কোন্দলে, সামাজিকতা জঙ্গলে।
প্রাধান্য পায় হিংস্রতা, নম্র বেশে নগ্নতা।

অন্তরায় আজ অজস্র, ইচ্ছে করেই বিবস্ত্র।
রুদ্ধ শাস্ত্র আনকোরা, আত্মশুদ্ধি প্রাণ ভরা।
সম্মিলিত মন্ত্রনায়, ধর্ম বর্ণ মূর্ছা যায়।
অত্যাধুনিক যে যন্ত্র, ধর্ম শেখায় সে মন্ত্র।

গেলে আর আসে না


এই শ্বাস টেনে নিলে
পারবে কি ছাড়তে?
ভাঙা ঘর ভাঙা কাঁচ
পারবে না জুড়তে!

থেমে গেলে এই দম
পারবে কি নড়তে?
ভাঙা পা নিয়ে গাছ
পারবে না চড়তে!

পাবে না তাকে আর
নেই যে এ রাতে,
বিরহ দিবে উকি
হাজারো আঘাতে!

যে গেছে ব্যথা দিয়ে
পারবে না ভুলতে,
যার তরে সুখ পাও
বাঁধা তারে তুলতে।

আসে যায় আসে যায়
যায় আর আসে না,
হারানোর ব্যথা কেউ
কোন দিন ভোলে না।

প্রাণের সংক্রমণ


দেখাতে গিয়ে বীরত্ব,
যদি বেড়ে যায় দূরত্ব।
মুক্তি পেলেও দাসত্ব,
আড়াল ক্ষমার মহত্ত্ব।

নিত্য নতুন উদ্ভাবন,
জগত জুড়ে আস্ফালন।
আড়ালে চাপা যে ক্রন্দন,
তাতেই ছিন্ন এ বন্ধন।

ভাগ্য দিল স্বীকৃতি,
কষ্ট পেল নিষ্কৃতি।
এই চরিত্রের বিকৃতি,
দুঃখ কষ্ট প্রভৃতি।

সবার প্রাণের সংকলন,
লজ্জা করতে সংবরণ।
ব্যাথি আত্মার উত্তরণ,
এটাই প্রাণের সংক্রমণ।

অতিষ্ঠ


করেছো অতিষ্ঠ হয়েছে অনিষ্ঠ,
দেহগুলো ক্লিষ্ট প্রাণ অবশিষ্ট।
সবুজ এই স্বর্গ প্রীতি ভরা অর্ঘ,
যুদ্ধের দুর্গ লাশে ভরা মর্গ।

সুখ অফুরন্ত স্বপ্ন অনন্ত,
করেছো অশান্ত বেদনা দুরন্ত।
স্বার্থের তেষ্টা ব্যর্থ চেষ্টা,
রসাতলে দেশটা আছে কি শেষটা?

ত্যাগের স্বাধীনতা শহীদের শোকে গাঁথা,
মুখে দেশপ্রেম কথা আড়ালে বর্বরতা।
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ভ্রান্তির অনুভূতি,
জনমনে জমা ভীতি চায় পেতে নিষ্কৃতি।

মেনে নেয়া দুরুহ সহদরে কলহ,
বিপদ সমূহ প্রাণ ভরা বিরহ।
অশান্ত পরিবেশ আছে কি পরিশেষ?
ছড়িয়েছে বিদ্বেষ অবিচারে নিঃশেষ।

তুমি বল সন্ধি প্রাণ ভরা ফন্দি,
হলে প্রতিদন্ধি জনগণ বন্দী।
জাতি পদপিষ্ঠ করেছো অনিষ্ঠ,
সয়ে সয়ে ক্লিষ্ট হয়েছে অতিষ্ঠ।

কি লাভ হবে হায়!


ঘসে মেজে দেহ টাকে
মনি মুক্তোয় মুড়ে রেখে
কি লাভ হবে হায়,
সেইতো মাটির দেহ
মাটির সাথেই মিশে যায়।

শ্বেত পাথরের গড়লে বাড়ি
কোটি টাকার চড়লে গাড়ি
কি লাভ হল হায়,
খাটিয়াতেই চড়ে যদি
শেষ যাত্রা হয়।

কত সালাম প্রণাম মেলে
সম্মুখে কি সুনাম বলে
কি লাভ তাতে হায়,
চোখের আড়াল হলে যদি
অভিশাপই দেয়।

কত নিরাপত্তায় ঘেরা
হাজার আপন জনে ভরা
কি লাভ পেলে হায়,
আসার বেলায় একলা সবাই
একলাই যেতে হয়।

বিজ্ঞান


বিচক্ষণ প্রতিযোগিতায় সময় কখনো হার মানবে না,
অবাধ বয়ে চলা তাঁর দাড়াবে না কখনই থমকে।
প্রযুক্তির অভিশাপে প্রকৃত মানুষ বিপন্ন প্রায়,
সূর্য তবু অস্তমিত হয়নি চিরতরে।

নক্ষত্রের রশ্মি ছড়িয়ে আকাশ সাজানো,
আজো বিদ্যমান এবং তা চিরন্তন।
ধুমকেতু আর ছায়াপথে বিচরন করতে,
এক অলৌকিক অনুভূতি জাগে শুনেছি।

মেঘের ভেলায় ভাসতে কার না মন চায়,
চাঁদের আলো মেখে বসে থাকে জ্যোৎস্না।
গ্রাস করে শান্তির নিরলস ছন্দ,
আঁধারে ঘিরে ধরে আবিষ্কারের নেশাকে।

পরিচ্ছন্নতায় মেতে ওঠে সুদুরের ছায়াপথ,
প্রাণপণে ছুটে চলে গ্রহ থেকে নক্ষত্রে।
কৌতূহল হয়তো দায়ী নয় অশান্তির জন্যে,
তবু তাঁর থেকেই উদ্ভব সময়ের দূষণ।

মহাকাশ বেয়ে নেমে আসে প্রকৃতির ক্রন্দন,
ধুমকেতুর ইশারায় পেরিয়ে যায় সহস্র বছর।
বাঁধভাঙ্গা ক্রন্দন বুকফাটা চিৎকার প্রতিক্ষণে,
ঠিক তখনি অন্য কোথাও আবিষ্কারের উৎসব।

পেট নীতি


ফালতু কথার ধার ধারিনা আসল কথা কই
আমি কিন্তু হেরে হাওয়া দলের পক্ষে নই।
যখন যে দল ক্ষমতাতে সে দল আমার দল
দেহ আমার আত্মা আমার নেতার বলই বল।

মিটিং বল মিছিল বল আমি সবার আগে
নগদ টাকায় ভাড়া খাটি যখন যেমন লাগে।
খাওয়ার আগে মাইরের পিছে ভাইয়ের বলই বল
নোটের গন্ধে ছুটে চলে আমার কৌতূহল।

খুন খারাবী পারি সবি এটাই আমার নেশা
নেতার কথায় মাদক বেঁচা আমার আসল পেশা।
নেতার নামে শেষ করি দিন নেতার নামে শুরু
নেতার কথায় উঠি বসি নেতাই আমার গুরু।

চাঁদাবাজি ভূমী দখল আমার প্রিয় কাজ
নিয়ম নিষ্ঠার সাথে সবই করছি আমি আজ।
জেল খানাতেও আমি কিন্তু বেজায় খাতির পাই
এমনিতে নয় পিছে ভাইয়ের মদদ আছে তাই।

ভাইয়ে করে সমাজ সেবা বিশাল সংগঠন
গণতান্ত্রিক নেতা আমার গঠনতান্ত্রিক মন।
গণতন্ত্রের ছাতার তলায় সে করে রাজনীতি
আমি নেতার ছায়ার তলে করে যাই পেট নীতি।

অভিলাষী


তুমি আশে পাশে,
আমি সবুজ ঘাসে।
ঘাসের বিন্দু শিশির,
আগ্রহ তাই অধীর।

আঁধার একলা রাত,
ধরলে দুটি হাত।
মধুর সূরে গাওয়া,
করুণ সূরে চাওয়া।

কামনার সে ভুল,
নেয় খুঁজে যে কুল।
একলা তুমি আমি,
ক্লান্ত হয়ে ঘামি।

লজ্জা থেমে যায়,
ক্লান্তি পিছু নেয়।
সুখের বৃষ্টি ঝরে,
সুগন্ধে ঘর ভরে।

উর্বরতা পেয়ে,
ওঠো নেচে গেয়ে।
সুখে বিমোহিত,
প্রজন্ম অর্জিত।

ঝরল বৃষ্টি ফোঁটা,
ব্যাকুল হয়ে ছোটা।
গহীন বনের পাশে,
ওই না সবুজ ঘাসে।

ক্লান্তির মাঝে সুখ,
তোমার হাসি মুখ।
লজ্জা রাঙ্গা হাসি,
হৃদয় অভিলাষী।

নৈসর্গিক তৃষ্ণা


ঝরনা ঝরে অশ্রু ঝরে,
সাগর তারে বক্ষে ধরে।
কষ্ট জমা মনের ঘরে,
পরই পরকে আপন করে।

বাঁধন হারা আপন ঘর,
আপন সে তো নিজেই পর।
জনারণ্যে বনবাস,
ধৈর্য হীনের সর্বনাশ।

মেঘের যত পরিতাপ,
আকাশ করে পরিমাপ।
বজ্রকে ঠাই দিয়ে বক্ষে,
ভূপৃষ্ঠের অভিশাপ।

সূর্য কষে যে অংক,
তাতে চাঁদের কলংক।
ঋণ শোধাতে অগ্রসর,
আমাবশ্যার আতংক।

ঝরে পড়া বৃষ্টি ধারা,
ভেজায় না মরু সাহারা।
দু এক ফোঁটা পায় কদাচিৎ,
তাতেই সুখে পাগল পারা।

বাতাসে কোন বাঁধন বাঁধে?
সবুজ পাতায় সূর সে সাধে।
তৃষ্ণা নিয়ে বুকের মাঝে,
জল কি নিজে কভু কাঁদে?

মাতলামি


সাদা পানি, সোডা জল
সাথে নাও এলকোহল,
প্যাক ভরা নিকোটিন
গেল মেধা গেল বল।

পেতে চাও সস্তায়?
ঠাঁই নাও বাংলায়,
বুঝবে পাকস্থলী
কিভাবে পঁচে যায়!

ওয়াইনের আড্ডায়
না গেলে মান যায়,
ষ্টমাক ক্যান্সার
শুধু শুধু কি হয়?

ইয়াবার কদরে
ঘুমাবে ওপারে,
হেরোইন খেয়ে দেহ
কংকাল আহা রে!

ইথিওপিয়ার পাতা
যায় কোকেনে ব্যাথা,
গাঁজা হল শাক ভাত
খেতে খেতে বুক ব্যাথা।

রোগী মরে কি ভাবে
ওষুধের অভাবে,
মাদকের দরকার?
হাত বাড়ালে পাবে।

পেট পুরে ভোদকা
খায় রোজ যে খোকা,
তার বাবা, মা ভাবে
কি করে এত টাকা?

যাক টাকা গেল দেহ
গেছে পুড়ে অন্তর,
নিরুপায় দেখে যাই
মাতলামি কারবার।

অপবর্তন


আঙুল ফুলে কলা গাছ,
চুনো পুঁটি সে ও মাছ।
দেখি অকাল পক্কতায়,
না বালিকাও মা হয়!

সতীন দেখে গা জলে,
বিয়ের আগে তিন ছেলে!
আশির পরেও বুড়ো ভাম,
করতে শাদী ঝরায় ঘাম!

শনি শনি আট দিনে,
বাপের জমি নেয় কিনে।
দাদার আগে গজায় গোঁফ,
বিবেক বুদ্ধি পায় বিলোপ।

চোরের তো নেই শ্বশুর বাড়ি,
থাকুক যতই বাড়ি গাড়ি।
সে তো আপন স্বভাব দোষেই,
ভরা হাটে ভাঙে হাড়ি।

ঠাণ্ডা লেগেই গরম জ্বর,
জন্মের পরে মা ও পর!
উত্তেজনার এই শহর,
কুরুক্ষেত্র স্বামীর ঘর!

খেজুর পাতার বাজল বাঁশি,
মন্ত্রী কন্যাও শুনে দাসী।
রাজপুত্রের জন্ম দিনে,
আনল খাসি বাকী কিনে।

তুমি দুঃখ চেনো না

তুমি কখনো দুঃখ দেখোনি, সওনি যন্ত্রণা,
সবাই তোমাকে মমতা দিয়েছে, করেনি ভৎসনা।
ভুলেও নামেনি বৃষ্টি তোমার, ডাগর চোখের কোনে,
পাবার শান্তি ভোগ করেছো, নিভৃতে আনমনে।

ভেবেও দেখোনি ওই ঝরনা, কোন সে কষ্টে কাঁদে,
কত মমতায় নদী তাহারে, আপন বক্ষে বাঁধে।
মেঘ কেঁদেছে আপন কষ্টে, ভরেছে সাগর নদী,
মৃত্তিকা ফেঁটেছে প্রখর তাপে, দেখতে ভেবে যদি।

হাজার সুখেও বুঝতে তবে, দুঃখ কাকে বলে,
সূর্য হতে ধার করে চাঁদ, জ্যোৎস্না বিলিয়ে চলে।
ভরা পূর্ণিমার ঝকমকে চাঁদ, তাতেও রয়েছে দাগ,
কোনো মানবের ভাগ্যে জোটেনি, আনন্দ শতভাগ।

আঁকাবাঁকা এই জীবনের পথে, কষ্ট রয়েছে বলে,
ক্ষুদ্র সুখের ছোয়া পেয়ে সে, দিব্যি বয়ে চলে।
পথপানে চেয়ে সারাটা জীবন, কেউ করে দেয় পার,
সুখের আশায় ধুকে ধুকে মরে, অবশেষে পরপার!

সার্থকতার পরশ পেয়েছো, মেখেছো চাঁদের আলো,
ভেবেও দেখোনি কতটা আঁধার, আমাবশ্যার কালো।
হয়তো কাউকে কাঁদতে দেখেছো, দিয়েছো শান্তনা,
অনুভব করতে পারোনি যে তার, হৃদয়ে কি যন্ত্রণা!

সোনার চামচ মুখেতে নিয়ে, এসেছিলে এই ভবে,
ফুলের টোকা লাগলেও তোমার, অনেক কষ্ট হবে।
চোখের জলে কত কথা বলে, ঝরে অঝরে ঝরে!
সুখের প্রাসাদে থেকে সে কষ্ট, বুঝবে কেমন করে?