নূর ইমাম শেখ বাবু এর সকল পোস্ট

নূর ইমাম শেখ বাবু সম্পর্কে

রোজ কবিতা রচি কবিতার মাঝে বাঁচি, কিন্তু আমি বসত করি মৃত্যুর কাছাকাছি!

লাশ পচা দুর্গন্ধ

বীভৎস লাশ পচা দুর্গন্ধ,
পরপারে নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য!
দণ্ডিত আজ যার নেই অন্যায়,
অনাচারে ভাসে অশ্রুর বন্যায়!

প্রতিজ্ঞ প্রশাসন বিক্রিত,
জাগ্রত ভান ধরে নিদ্রিত!
রাষ্ট্রীয় ব্যাধি নিয়ে সাজসজ্জা,
মিথ্যাচারে নেই লাজলজ্জা!

বাহ্যিক রূপ করে মহানন্দ,
ভেতরে গলিত লাশ দুর্গন্ধ!
নেতৃস্থানীয়র লোভ অম্লান,
সাধারণ জনতার প্রাণ বলিদান!

সুকৌশলে পাতা ভয়াবহ ফাঁদ,
আইনের শেকলে বাঁধা প্রতিবাদ!
বীরত্ব বিক্রি হয় সস্তায়,
উপঢৌকন পেয়ে নাচে অন্যায়!

বিস্মিত বিস্ময়ে ভরা অন্তর,
চারিদিকে অবিচার শুধু ব্যভিচার!
চিৎকার হাহাকার নিরানন্দ,
চারিদিকে লাশ পচা দুর্গন্ধ!

কান্না!

কেউ কেঁদেছে সঙ্গী খুঁজে কেউবা আবার ঘর,
এক বিছানায় শুয়ে কেহ চিরদিনের পর!
চিরসুখী হেসেছে কেউ একলা একা থেকে,
অঝোর ধারায় কেঁদেছে কেউ সঙ্গী পাশে রেখে!

দুই দেহ এক প্রাণ হয়েও দেয়াল কিসের রয়?
হাসির নীচে চাপা কান্না কার কাছে কে কয়!
স্বজন সাথী শুভাকাঙ্ক্ষী শুন্য তবু ঘর,
ধনের মাঝে জনের মাঝেও তৃষ্ণার্ত অন্তর!

অসংখ্য আপনের মাঝে থেকেও একলা একা,
মুখে নিয়ে সোনার চামচ দুখের বলিরেখা!
আপন আপন চারিদিকে আপন কেহ নয়,
যার কারনে রক্তক্ষরণ সেইতো দূরে রয়!

চারিদিকে সবাই আছে কেউ তবুও নেই,
যার অপেক্ষায় বসে থাকা পরতো স্বয়ং সেই!
যাকে ভালোবেসে আপন প্রাণকে সপে দেয়,
সওয়া কঠিন সে যদি গো অন্য কারো হয়!

বুকের মাঝে আগলে রেখেও আপন হওয়া দায়,
কার কোলে কে মাথা রেখে কাকে ভেবে যায়!
কেউ পেয়েছে মনের মানুষ পায়নি খুঁজে ঘর,
অট্টালিকায় শুয়েও কারো কেঁদেছে অন্তর!

চলছে ক্যাসিনো

কে আনলিরে ক্যাসিনোরে
আমার সোনার দেশে?
দানে দানে টাকার বহর
মদের বানে ভাসে।

বাইরে নানান রঙের বাতি
চোখ মারে আর ডাকে,
সব হারিয়েও আবার ছোটে
খোয়া টাকার লোভে।

প্রশাসনের নাকের ডগায়
রোজ চলে এই জুয়া,
পুলিশ বলছে জানি না তো!
সত্যি? নাকি ভুয়া?

কথায় বলে ঢাকায় নাকি
কাঁচা টাকা ওড়ে,
আমি দেখি ভাঙা রাস্তায়
হোঁচট খেয়ে পড়ে!

রেল লাইনের পাশে ঘুমায়
গৃহহীন লোক জন,
টোকাই ছেলে কোথায় পেলো
এপলের আই ফোন?

রাতারাতি ধনের পাহাড়
সোনার খাটে শোয়,
মদের টাকায় খাঁটি দুধে
জুয়ার চর্কি ধোয়।

হা ডু ডুর এই সোনার দেশে
জুয়া এলো কবে?
জ্ঞানী গুণী মানী লোকেও
মাতলো সেই উৎসবে!

কয়লা যেমন ধুলে ময়লা
যায় না কোনদিনো,
পিরীতি কাঁঠালের আঠা
চলছে ক্যাসিনো।

কি দিলে তার নাম?

দিবালোকে দাও গণিকা গালি
তাকাও বক্র চোখে,
রাতের আঁধারে কত ভালোবেসে
টেনে নাও ওই বুকে।

অপরিশুদ্ধ অপয়া বলে
রেখেছো পায়ের তলায়,
আঁধার নামলে ওই পার তলে
খুঁজে ফেরো আশ্রয়।

এ হাতে ও হাতে বদলাই বলে
এতটা ঘেন্না হয়?
সারারাত থাকি যার গার তলে
তাকে কেন ঘৃনা নয়?

দিনের আলোর সভ্য তোমরা
যা খুশি বলতে পারো,
সন্ধ্যার পরে কে কোথায় থাকে
নজরে আসে কি কারো?

পতিতা বলে সভ্য তোমরা
দিয়ে গেলে ধিক্কার,
তাকে ডেকেছো কি নামে আমি
ভোগ্য হয়েছি যার?

তোমাদের চোখে আমি অপরাধী
সে কেন দোষী নয়?
যার ব্যভিচারে আমার গর্ভে
জারজেরা জন্মায়?

অবিদ্যা কসবী বানাতে আমায়
যার ঝরেছে ঘাম,
নীরবে ভেবো সময় পেলে
কি দিলে তার নাম!

ভয়ে ভয়ে ফিস ফিস

চারিদিকে ফিস ফিস
শুধু কানা কানি,
কপালেতে শনি আছে
হলে জানাজানি!

দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ
তবু বলা দায়,
বাঘে শেয়ালে এক
ঘাটে জল খায়।

ভয়ে কাঁপে থর থর
শুধু ফিস ফিস,
দেয়ালেরও কান আছে
হল কি নালিশ?

যাবে যাবে গেল প্রাণ
ভয় শুধু ভয়,
ভয়ে ভয়ে দিন শুরু
ভয়ে শেষ হয়!

বীর কাপুরুষ হল
হাতে পরে চুড়ি,
ভয়ে ভয়ে ফিস ফিস
কাঁদা ছোড়া ছুড়ি।

আইন মুখের কথা

আসল দু দিন পরে নিবো সুদের হিসাব চাই,
পয়সা থাকলে সনদ কিংবা চাকরীর অভাব নাই।
বাপের টাকা খরচা করে হয়েছি ডাক্তার,
জ্যান্ত মানুষ ফেলব মেরে এসে কি যায় কার?

এই নে নাম্বার রাত্রি বেলা বিকাশ করে দিবি,
পরীক্ষার ঠিক আগের রাত্রে প্রশ্ন পেয়ে যাবি।
সরকারী চাকরী তো ব্যটা একটা ফোনের ব্যাপার,
বস্তা ভরে আনবি টাকা কোটা আছে আমার।

নিচ্ছি কেড়ে ফেয়ার শেয়ার কে করবে কোন চ্যাট?
আমার দল ক্ষমতায় থাকতে কিসের আবার ভ্যাট?
পাগলা কুত্তায় কামড়ায়নিতো দেবো ঋণের টাকা,
পাবলিক থাকতে ব্যাংক কখনো খালি হয়না বোকা।

আমার কাজে বাধা দিলে হারিয়ে যাবি সে,
হাকিম হুকুম সবই আমার বিচার করবে কে?
ঘুসের টাকায় আজকে আমি হইছি গভর্নর,
পাচার করব দেশের টাকা চুপ রবে সরকার।

বেশী কথা বললে ঘসবো তাঁর মুখেতে ঝামা,
ইচ্ছেমত সংখ্যা বসা যত পারিস কামা।
মাদক বেঁচে অনেক কষ্টে হইছি বড় নেতা,
আমার কর্মকাণ্ড শাসন আইন মুখের কথা।

আমার মতন হয়ে যাও

এত কষ্ট কোথায় পাও? দাওনা কিছু আমায় দাও!
আর যদি না দিতে পারো, নিভৃতে তা সয়ে যাও!
হোক সে যত ছোট ভুল, একদিন তার বিধবে হুল!
প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে, ছাড়তেই হবে সুখের কূল!

অর্থ বিত্তে জীবন যার, জানো তার মনের খবর?
দুশ্চিন্তা আর অশান্তিতে, কাটে গো নৈশ প্রহর!
বিন্দু মাত্র কষ্ট পেয়ে, ভাবছো আকাশ পানে চেয়ে?
এত কষ্ট কেন আসে, শুধু আমার পানে ধেয়ে?

অশ্রু ভেজা কাটাও রাত? ভেবে ভেবে যায় প্রভাত?
পেয়ে হারানো যন্ত্রণারা, নিত্য করে কষাঘাত?
ভেবেছো কি পায়নি যারা? কেমন কষ্টে আছে তারা?
শূন্য হাতে শূন্য বুকে, কেমন তাদের শূন্য ধরা?

পায়নি যে তার কষ্ট কিসের? হারানোর তো জ্বালা বিষের!
চোখটা মেলে তাকিয়ে দেখ, সবার আছে অভাব সুখের!
পাওনি দেখতে চতুর্দিকে, কষ্টে ধরার রঙটা ফিকে!
তাতেও যদি শান্ত না হও, আমার জন্য দিও রেখে!

আছে তোমার দু:খ যত, দিও আমায় অবিরত!
আমার মনের শান্তি নিয়ে, সারিয়ে নিও প্রানের ক্ষত!
যদি সুখী হতে চাও, নীরব কষ্ট সয়ে যাও!
আর যদি না সইতে পারো, আমার মতন হয়ে যাও!

আর কত লাগবে বল?

খয়রাতিকে না দিয়ে তুই খেলি ত্রাণের চাল,
রডের বদলে বাঁশ দিয়েছিস ধরেছে ফাঁটল!
মিনারেলের নামে খাওয়াস নদীর ঘোলা জল,
তুলে নিয়ে পালাক্রমে রেপ করে কতল!

সুযোগ বুঝে হাত পা ধরে করিস দল বদল,
ঋণ দিয়ে তার খুলে নিলি ভাঙা ঘরের চাল!
এতিমের ধন লুটে নিলি চোখে তাদের জল,
নিজের ঘরে গুদাম করলি শীতার্তের কম্বল!

ওরা কাঁদে জেলে বসে তুই বাজাস বগল,
ছটফটিয়ে কাঁদে রোগী ভরা হসপিটাল!
মুচকি হেসে বাজি ধরিস ক্রিকেটে কোন দল,
আজকে পুরো নগর জুড়ে ব্যথার কোলাহল!

বারে বসে মেয়ে নিয়ে গিলিস এলকোহল,
ভার্সিটির ওই তাগড়া ছেলে ছিল কি চঞ্চল!
বাবা মায়ের নয়ন মনি শেষ বেলার সম্বল,
তার বুকেতেও ঠেকিয়ে দিলি বন্দুকেরই নল?

নামল পুরো দেশটা জুড়ে কান্নাকাটির ঢল,
দেশের সেবায় যে জন ছিল দৃঢ় অবিচল!
যার ভাসনে বাঙ্গালীদের বাড়ত মনোবল,
তাকেও মারলি পুরো জাতি ব্যথায় বিহ্বল!

ভাইয়ে ভাইয়ে লাগিয়ে দিলি সহিংস কোন্দল,
সবুজ শ্যামল দেশটা আমার ছিল সুশৃঙ্খল!
হৃদয় জুড়ে ছিল সবার আনন্দের কল্লোল,
তাজা রক্তে ভিজিয়ে দিলি জননীর আঁচল!

মহানন্দের ফাগুন বেলায় জ্বালালি অনল,
জাতি ছিল সাদা সিধা কি সহজ সরল!
তোদের থেকে কবে পাবে এ দেশটা সুফল?
সব হয়েছে শেষ তোদের আর কত লাগবে বল?

এসো বাস্তব সত্ত্বায়

কল্পনা ছেড়ে এসো বাস্তব সত্ত্বায়,
মহা উম্মাদনায় আছো মিশে আত্মায়।
লাঞ্ছনা সয়ে সয়ে, সয়ে জ্বালা যন্ত্রণা,
প্রাণপণ সারাক্ষণ তুমি তুমি কল্পনা।

দূরে দূরে থেকে থেকে শুধু করা পরিতাপ,
ও মনের গভীরতা করিনি তো পরিমাপ।
তৃষিত এ অন্তরে কল্পিত সজ্জা,
স্বপ্নতে ভেঙে দাও সব লাজ লজ্জা।

হৃদয়ের গভীরে ভাবনার উত্থান,
সারাক্ষণ শুন্যতায় আত্মার ক্রন্দন!
এ তোমার আশীর্বাদ? নাকি কোনো অভিশাপ?
অতল গহীনে ফেলে তুমি তো নিরুত্তাপ!

স্বপ্ন যে কি কারনে এত সুমধুর হয়,
যদিও তা ক্ষনিকের দীর্ঘস্থায়ী নয়।
উড়ন্ত মেঘ হয়ে এসো খোলা আকাশে,
আবদ্ধ করে রাখো প্রেমময় আবেশে।

সুখ সন্ধানী এই বর্নীল ভূবনে,
অন্তরে গেঁথে রাখো প্রেম দিয়ে যতনে।
আপনের আপন করো বিশ্বাস আস্থায়,
কল্পনা ছেড়ে এসো বাস্তব সত্ত্বায়।

শোন প্রিয়া তোকে বলি

শোন প্রিয়া তোকে বলি, বেশরম কেন হলি?
প্রকাশ্যে দিবালোকে, ঢলে পড়া ডলাডলি?
তুই যে মায়ের জাত, বেছে চল জাতপাত,
তুই জগতের আলো, হার মানে কালো রাত।

তোর বাকা হাসিতে, ঝোলে লোক ফাঁসিতে,
মায়াবী পরশ পেতে, পারে স্রোতে ভাসিতে।
প্রিয় প্রান চলে যায়, তবু তোকে পেতে চায়,
তোর তুলনা যে তুই, কভু আর কেহ নয়।

রয়েছিস তুই বলে, মানবীয় ধারা চলে,
ওপারের স্বর্গ, প্রিয়া তোর পার তলে।
প্রিয়া তোর লালনে, স্নেহ মায়া পালনে,
তুমি আমি আমরা, সুন্দর ভূবনে।

আজ তোর লজ্জায়, রোজ ফুলশয্যায়,
জগতের ক্লান্তি, নিভৃতে ঝরে যায়।
যেখানে দৃষ্টি তোর, সেখানে রাতের ভোর,
তোতে ভালো মন্দ, কি নিশি বা কি প্রহর।

পবিত্র তুই হলে, অশান্তি যাবে চলে,
শান্তির কোলে ধরা, আনন্দে পড়বে ঢলে।
প্রিয়া তুই লজ্জায়, রাঙা হ এ ধরায়,
ক্ষতি কি তাতে যদি, চিরকল্যান হয়?

খাল কেটে এনে কুমির

খাল কেটে এনেছো কুমির বুঝতে পারোনি?
বুঝবে আঙুল বাঁকা করে তুলবে যখন ঘি!
সহজ সরল বাইরে কিন্তু অগাধ জলের মাছ,
অগ্নিশর্মা হলে পরে তবেই পাবে আঁচ!

অথৈ জলে পড়লে কেহ দিতে হবে ঠাই,
বিবেক, মানবতা, ধর্ম বলে এই কথাই।
কিন্তু সেটা হতেও পারে আগুন নিয়ে খেলা,
নয় কি উচিৎ এখন থেকেই সাবধানে পা ফেলা?

ঠিকই একদিন হয়ে যাবে হিতে বিপরীত,
হোমরা চোমরা পাবে তখন ফিরে হিতাহিত।
হালে পানি পেলেই কিন্তু চেপে ধরবে গলা,
হাড় হাভাতে রাষ্ট্রযন্ত্র বৃথা আমার বলা!

হরিলুটের কর্ণধারের আছে হীরার ধার,
হাতের পাঁচে টান পড়িলে সময় পাবে আর?
হাঁটে হাড়ি ভেঙে গেলেই শেয়ালের এক রা,
পোদ্দারের হয় ঠাকুর ঠুকুর কামারে দেয় ঘা!

সাতেও নয় পাঁচেও নয় সাক্ষী গোপাল যারা,
শরতের শিশিরের মত অতি আপন তাঁরা।
লাল বাতি জ্বালিয়ে দিবে যেদিন শাখের করাত,
খাল কেটে এনে কুমির আজ পাথর তলায় হাত!

ধর্মব্যবসা

দুনিয়া ব্যাপী দাঁড়ি টুপির কেন অসম্মান?
কেন বলছে মুসলমানদের সন্ত্রাসী এখন?
সত্য ধর্ম ইসলাম নিয়ে ব্যবসা চলছে যখন,
মুসলমানই মুসলমানের চরম শত্রু তখন!

হজ্জ বা যাকাত দূরের কথা নামাজী লোক নেই,
বাহবা পেতে শাড়ী লুঙ্গী বিলায় অনেকেই!
কোরবানি আজ কম্পিটিশন ত্যাগ তো তাতে নেই,
দরিদ্ররা পায়না রে তা ভরে যে ফ্রিজেই!

শেষ বয়সে নাম কামাতে ছুটে চলা হজে,
জোব্বা পরা হাজী সাবের স্বভাব ভীষণ বাজে!
ফজর কাটে গভীর ঘুমে দিনে ব্যস্ত কাজে,
এশার সময় ক্লান্ত ভীষণ আয়েশ দু চোখ বুজে!

বাণিজ্য আজ কুরআন নিয়ে বিশাল উৎস আয়ের,
আগে ছিলো ধানের শীষে এখন মাঝি নায়ের!
তোষামোদে তেলবাজিতে গোছায় তাঁরা আখের,
স্বার্থ আছে যার কাছে তার ছাল রাখেনা পায়ের!

লম্বা দাড়ি টুপি পরা খাঁটি মুসলমান,
শিশু বৃদ্ধাও তাদের হতে পায়না পরিত্রাণ!
আল্লাহ্‌ রাসুল দোহাই দিয়ে ব্যবসার উত্তরন,
বিশ্ব জুড়ে জঙ্গি বলে লানত তাই এখন!

মুমীনেরা করছে ঘৃনা বলছে কুলাঙ্গার,
অমুসলিমের ইশারাতেই চলছে অত্যাচার।
লস কি তাতে ভরে যাচ্ছে পকেটটা বাবার,
মরার আগে তওবা করে ভাবছে পাবে পার!

চলছে পথে সামনে রেখে পবিত্র কুরআন,
দিলেন আল্লাহ্‌ বিত্ত সুনাম জস ক্ষ্যাতি সম্মান!
তাঁদের জন্যই দাড়ি টুপির নিত্য অসম্মান,
শান্তির ধর্ম ইসলাম নিয়ে ব্যবসা চলছে এখন!

বিপদ যদি আসে!

রাখাইনবাসী আশ্রয় পেলো
সোনার বাংলাদেশে,
কাশ্মীরা হয়তো যাবে
পাকিস্তানে শেষে!

আমরা কোথায় যাবো বন্ধু
বিপদ যদি আসে?
হয়তো যেতে হবে
বঙ্গোপসাগর জলে ভেসে!

বৌদ্ধরা মারছে মিয়ানমারে
দেখছি নির্বিচারে,
খ্রীষ্টানেরা আফগানী মারে
প্রকাশ্যে দিন দুপুরে!

ফিলিস্তিনিদের রক্তে ইহুদী
নিত্য গোসল করে,
ভারতবর্ষে মুসলিম মরছে
হিন্দুর অত্যাচারে!

ভাইয়ে মারছে ভাইকে আমার
সোনার বাংলাদেশে,
সাগর জলেই ভাসতে হবে
বিপদ যদি আসে!

আমি গণতন্ত্র!

আমি গণতন্ত্র, রাষ্ট্রের মূল মন্ত্র,
জনস্বার্থ বিক্রি করেও, সর্বদা স্বতন্ত্র!
আমি সর্বশ্রেষ্ঠ, অন্ধত্বে পথভ্রষ্ট,
উগ্রবাদ আর সহিংসতা, আমি দ্বারা সৃষ্ট!

আমি আদর্শে ন্যায়বান, নিত্য রচি অভিধান,
শোষণের বীজ বপন করে, খুঁজে ফিরি সমাধান!
আর দেই যদি হুংকার, কাঁপে রাজা রাজ দরবার,
নিষ্পেষণ আর নিপীড়নে, জনতার হাহাকার!

শাস্ত্রীয় শক্তিতে, অকাট্য যুক্তিতে,
অশ্রু জলে প্লাবন বয়, মানবতার মুক্তিতে!
প্রকাশ্য দিবালোকে, গণহত্যা দেখি চোখে,
অপরাধীকে আঁচলে বেঁধে, ইতিহাস যাচ্ছি লিখে!

আমার শক্তি জনগণ, তাদের নিয়েই প্রহসন,
ধর্ম বর্ণের যুদ্ধে রাঙা, আমার সিংহাসন!
অবিচল নিষ্ঠায়, সচেষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠায়,
তাইতো শাসক শোষিতদের, তাজা রক্তে নায়!

আমি রাষ্ট্রের স্রষ্টা, জনতার স্বপ্ন দ্রষ্টা,
শোসন লিপিতে পূর্ণ করি, আইনের পৃষ্ঠা!
আমি গণতন্ত্র, রাষ্ট্রের মূল মন্ত্র,
ষড়যন্ত্র রুখতে করি, হাজার ষড়যন্ত্র!

আহা স্বপ্নের ঢাকা!

আহা স্বপ্নের ঢাকা! ওড়ে ধোঁয়া ঘোরে চাকা,
বৃষ্টিতে হাঁটু জল, বাজারে পকেট ফাঁকা!
যানজট বিখ্যাত, ধোকা পরিকল্পিত,
মাস গেলে সব শেষ, যা থাকে সঞ্চিত!

কিনে এনে তাজা মাছ, কাটবে খ্যাচ খ্যাচ?
না বাবা খুলে যায়, কেমিক্যালি মারপ্যাঁচ!
চলায় আছে শর্ত, সারা পথে গর্ত,
কে জানে কোথা যায়, বাজেটের অর্থ!

কিচেনের কান্না, গ্যাস বীনে রান্না,
সিটি করপোরেশনে, রোজ রোজ ধর্না!
বাড়ছেই বাড়ি ভাড়া, ব্যচেলর খায় তাড়া,
হু হু করে ওঠে দাম, পণ্যের মনগড়া!

ভেজালের কারখানা, চেহারাটা টানাটানা,
এর চেয়ে ঢের ভালো, গ্রামের কচুরিপানা!
বানিজ্য রোগী নিয়ে, সেবা করা নাম দিয়ে,
চেকআপে টাকা শেষ, মরে ডেঙ্গু হয়ে!

সুখী যদি থাকে টাকা, টাকাহীন লোক বোকা,
বেশী টাকাওয়ালাদের, সম্মান দেয় ঢাকা!
আহা স্বপ্নের ঢাকা, যায়না আকাশ দেখা,
ধোঁকাবাজে ভরে গেছে, বড় দায় সৎ থাকা।