মরুভূমির জলদস্যু এর সকল পোস্ট

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy - Copy

২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয়

২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয়

সূর্যের এই বর্ণবলয় তৈরি হতে কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ও উপাদানের সুসম উপস্থিতী বিদ্যমান থাকতে হয়।

প্রথমত, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ১০ কিলোমিটার উপরে মেঘ থাকতে হয়।

দ্বিতীয়ত, সেই মেঘ কেটে গেলে আকাশে ষড়ভুজাকৃতির লাখ লাখ স্ফটিক বরফ কণা ভেসে বেড়াতে হয়। এবং সেই সব স্ফটিক বরফ কণা আকাশে নির্দিষ্ট ভাবে সজ্জিত থাকতে হয়।

তৃতীয়ত, সূর্যের সঠিক অবস্থান থেকে সেই সব স্ফটিক বরফ কণার ভিতর দিয়ে সূর্যের আলো যেতে হয়।

স্ফটিক বরফ কণা তখন প্রিজমের কাজ করাতে, সূর্যের আলোর প্রতিসরণ ঘটে। ফলে সূর্যকিরণের সাদা আলো সাতটি রঙে ভেঙ্গে যায়। আর সেই ভেঙ্গে যাওয়া সাতটি রং কে আমরা পৃথিবী থেকে ২২ ডিগ্রী ব্যাসার্ধের একটি বর্ণময় সৌর বলয় হিসেবে দেখতে পাই। যেভাবে জলকণার ভিতর দিয়ে সূর্যের সাদা আলো ভেঙ্গে গিয়ে সাত রং এর রংধনু তৈরি করে এটিও অনেকটা একই রকম বিষয়।

উপরের কারণ গুলির কথা বিবেচনা করলে মনে হতে পারে এটা খুবই দূর্লভ একটা ঘটনা। আসলে তা নয়। বরং ২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয় বছরে প্রায় ১০০ বার দেখতে পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ রংধনুর চেয়েও বেশী দেখা যায় এই ২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয়।

আগামী সৌর বর্ণবলয় দেখার শুভকামনা রইলো সকলের জন্য।

বি.দ্র. সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়।

ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : বাড্ডা, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১২/০৭/২০১৮ ইং

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy

আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ১ম পর্ব

প্রাচীন স্থাপত্য দেখার আলাদাটা একটা আকর্ষণ আছে। আমি মাঝে মাঝেই সুযোগ হলে তাদের দেখতে বেরহই। প্রাচীন স্থাপত্য গুলির মধ্যে বাংলাদেশে মসজিদগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রাচীন মসজিদগুলি প্রমান করে কতটা আদিতে দেশের ঐ অঞ্চলে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছিলো। এই প্রাচীন মসজিদগুলি আমাদের দেশের ইতিহাসেরই অংশ। আজ আমার দেখা ৫টি প্রচীন মসজিদের ছবি এখানে রইলো। প্রতি পর্বেই আমার দেখা ও ছবি তোলা ৫টি করে প্রাচীন মসজিদের ছবি ও সামান্য তথ্য উপস্থাপন করবো।

১। ষাট গম্বুজ মসজিদ

অবস্থান : বাগেরহাট
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 22°40’28.2″N 89°44’30.6″E
নির্মাতা : হযরত খানজাহান আলি (র.) এটি নির্মান করেছেন বলে ধারনা করা হয়। [মসজিদে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কে নির্মাণ করেছিলেন সেটার সঠিক তথ্য নেই।]
নির্মাণকাল : ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। [মসজিদে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কবে নির্মাণ হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য নেই।]
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৪ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে সরাসরি বাগেরহাটে বাস যায়। ভাড়া নন এসি ৪৫০ টাকার মত। বাসের হেলপারকে বলে রাখলে ষাট গম্বুজ মসজিদের সামনে নামিয়ে দিবে। বাস স্টেশন থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদ প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে, ইজিবাইক নিয়ে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায়।

২। হযরত শাহজালালের দরগাহ মসজিদ

অবস্থান : সিলেট
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 24°54’07.5″N 91°51’57.6″E
ছবি তোলার তারিখ : ২০/১০/২০১৪ ইং
পথের হদিস : বাস, ট্রেন বা প্লেনে সহজেই সিলেট চলে যাওয়া যায়। সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্রেই হযরত শাহজালালের দরগাহ মসজিদটির অবস্থান।

৩। জিন্দাপীরের মসজিদ

অবস্থান : বাগেরহাট
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 22°39’53.2″N 89°45’50.2″E
নির্মাতা : অজ্ঞাত
নির্মাণকাল : অজ্ঞাত
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৪ ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে সরাসরি বাগেরহাটে বাস যায়। ভাড়া নন এসি ৪৫০ টাকার মত। বাসের হেলপারকে বলে রাখলে ষাট গম্বুজ মসজিদের সামনে নামিয়ে দিবে। বাস স্টেশন থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদ প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে, ইজিবাইক নিয়ে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায়।

৪। মহজমপুর শাহী মসজিদ

অবস্থান : মহজমপুর, নারায়ণগঞ্জ
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°44’05.9″N 90°36’18.5″E
নির্মাতা : ফিরোজ বা ফিরুজ খান নামে জনৈক ব্যক্তি নির্মাণ করেন।
নির্মাণকাল : যতদূর যানা যায় “সুলতান শামসুদ্দীন আহমদ শাহ” এর শাসনকাল ১৪৩২ থেকে ১৪৩৬ খ্রিস্টাব্দের কোনো এক সময় মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে।
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
পথের হদিস : দেশের যেকোন যায়গা থেকে মদনপুর বা ভুলতা বা অড়াইহাজার বাজারে আসতে হবে। সেখান থেকে যেতে হবে মহজমপুর বাজার। বাজারের কাছে পথের ধারে রয়েছে “মহজমপুর শাহী মসজিদ”।

৫। গোয়ালদি মসজিদ

অবস্থান : গোয়ালদি, সোনারগাঁ।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°39’23.4″N 90°35’36.2″E
নির্মাতা : মোল্লা হিজাবর আকবর খান।
নির্মাণকাল : সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহের শাসনামলে ৯২৫ হিজরির ১৫ শাবান অর্থাৎ ১৫১৯ইং খ্রিস্টাব্দের আগষ্ট মাসে গোয়ালদি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে প্রথমে যেতে পারেন বাসে মোগড়াপাড়া। সেখান থেকে অটোরিকসায় সোনারগাঁও হয়ে গোয়ালদি গ্রামের গোয়ালদি মসজিদের সামনে। তাছাড়া সায়দাবাদ থেকে সরাসরি বাস যায় পানাম নগরে। সেখান থেকে রিকসা করে চলে যাওয়া যাবে গোয়ালদি মসজিদ।

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy

১০টি ফুলের ছবি – ৯

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে বেশ কিছু ফুলের ছবি আমি তুলেছি আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত ফুলের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। পরে সেই সমস্ত ফুলের ১০টি করে ছবি নিয়ে একটি করে পর্ব আকবারে প্রকাশ করেছি। এখনো সেই ধারাবাহিকতা চলছে…..

১। ফুলের নাম : রাজ অশোক

অন্যান্য নাম : উর্বশী
ইংরেজি ও কমন নাম : Pride of Burma, Orchid tree, Tree of heaven
বৈজ্ঞানিক নাম : Amherstia nobilis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

২। ফুলের নাম : অক্টোপাস গাছের ফুল

অন্যান্য নাম : ছাতা গাছ
ইংরেজি ও কমন নাম : Australia umbrella tree,Queensland umbrella tree, octopus tree, amate, umbrella tree, Australian ivy palm, brassaia, schefflera ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Schefflera actinophylla
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৩। ফুলের নাম : বিড়ালনখা

অন্যান্য নাম : চুনফুল
ইংরেজি ও কমন নাম : Flinders rose, caper bush ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Capparis brevispina
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৪। ফুলের নাম : রক্তরাগ

অন্যান্য নাম : কামলা বাহাল, ভোকার, বোহারি, লাল লাসুরা ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Broadleaf Cordia, Scarlet Cordia, Aloe Wood, Lolu, Kou Haole, Orange Geiger Tree, Sebesten plum, Geiger Tree, sea trumpet, Spanish cordia ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Cordia sebestena
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৫। ফুলের নাম : অঞ্জন

অন্যান্য নাম : নীল অঞ্জন, বম্বে অঞ্জন, কায়া, অঞ্জনী ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Delek air tree, Ironwood tree, Kaya, Mandi, Lakhonde, Anjani, Anjan, Kaya, Pride Of Matheran ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Memecylon umbellatum
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৬। ফুলের নাম : নীল বনলতা

অন্যান্য নাম : নীল লতা, নীলাতা, নল লতা, নালাতা ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Bengal Clock Vine, Blue Trumpet Vine, Clockvine, Skay Flower ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Thunbergia grandiflora
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৭। ফুলের নাম : মুচকুন্দচাঁপা

অন্যান্য নাম : কলাচম্পা, কুসুম ফুল, কাঠচম্পা, মুছকুন্দা,
ইংরেজি ও কমন নাম : Maple-leaved Bayur, Bayur Tree, Dinner Plate flower, Banana peels flower, karnikara tree, ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Pterospermum acerifolium
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৮। ফুলের নাম : রানিমুকুট

অন্যান্য নাম :
ইংরেজি ও কমন নাম : Napoleona, Napoleon’s Hat
বৈজ্ঞানিক নাম : Napoleona imperialis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৯। ফুলের নাম : মাধবীলতা

অন্যান্য নাম : মণ্ডপ, কামী, পুষ্পেন্দ্র, অভীষ্টগন্ধক, অতিমুক্ত, বিমুক্ত, কামুক, ভ্রমরোৎসব ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Hiptage
বৈজ্ঞানিক নাম : Hiptage benghalensis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ০৩/০৩/২০১৮ ইং

১০। ফুলের নাম : কেশরাজ

অন্যান্য নাম : কেসুতি, কালো কেশী, কেশরী ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : False Daisy, Trailing eclipta
বৈজ্ঞানিক নাম : Eclipta prostrata
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : সাতখামাইর, শ্রীপুর।
ছবি তোলার তারিখ : ২৫/১২/২০১৬ ইং

Chapa-1- (11)

চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি

এই টপিকে মোট ১৩টি ফুলের ছবি আমি শেয়ার করবো যাদের সকলের বাংলা নাম চাঁপা। প্রায় প্রতিটি ফুল দেখতে ভিন্ন ভিন্ন রকমের। অনেকের জাতও ভিন্ন ভিন্ন, তবে প্রতিটি ফুলের নামের সাথে আছে চাঁপা শব্দটি।

১৩টি ফুলের মধ্যে ৪টি ফুলের ছবি তুলেছি আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গাতে গিয়ে। বাকি ছবিগুলি নেয়া হয়েছে গুগল মামার সাহায্যে নেট থেকে কুরিয়ে। তাহলে এবার চাপাবাজি বন্ধ করে চাঁপাফুলের ছবি দিচ্ছি দেখেন একে একে।

ফুলের নাম : কনকচাঁপা

অন্যান্য নাম : রামধনচাঁপা
ইংরেজি ও কমন নাম : Mickey Mouse Plant, Ramdhan Champa, Golden champak
বৈজ্ঞানিক নাম : Ochna squarrosa
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যালগার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ০২/০৪/২০১৭ ইং

ফুলের নাম : অপরূপ চাঁপা

অন্যান্য নাম : কানাঙ্গা
ইংরেজি ও কমন নাম : cananga tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Cananga odorata

ফুলের নাম : কাঁঠালীচাঁপা

অন্যান্য নাম : কাঁঠালচাঁপা
ইংরেজি ও কমন নাম :
বৈজ্ঞানিক নাম : Artabotrys odoratissimus

ফুলের নাম : গোলকচাঁপা

অন্যান্য নাম : গুলঞ্চচাঁপা, কাঠচাঁপা, কাঠগোলাপ, গুলাচি, গোলাইচ, চালতাগোলাপ, গরুড়চাঁপা
ইংরেজি ও কমন নাম : Frangipani
বৈজ্ঞানিক নাম : Plumeria
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : নুহাশ পল্লী
ছবি তোলার তারিখ : ৩১/০৮/২০১৭ ইং

ফুলের নাম : গোলাপী ভুঁইচাঁপা

অন্যান্য নাম :
ইংরেজি ও কমন নাম : Rosy Rain lily, Rose Fairy Lily, Rose Zephyr Lily, pink rain lily
বৈজ্ঞানিক নাম : Zephyranthes rosea

ফুলের নাম : জহুরিচাঁপা

ইংরেজি ও কমন নাম : egg magnolia
বৈজ্ঞানিক নাম : Magnolia liliifera

ফুলের নাম : ডুলিচাঁপা

অন্যান্য নাম : নাগ চম্পক
ইংরেজি ও কমন নাম : Wild Magnolia
বৈজ্ঞানিক নাম : magnolia pterocarpa

ফুলের নাম : দোলনচাঁপা

অন্যান্য নাম :
ইংরেজি ও কমন নাম : Butterfly Ginger Lily, White Ginger Lily
বৈজ্ঞানিক নাম : hedychium coronerium
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : রামকৃষ্ণ মিশন সাটুরিয়া
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৭ ইং

ফুলের নাম : ভুঁইচাঁপা

অন্যান্য নাম :
ইংরেজি ও কমন নাম : Indian crocus, peacock ginger, round-rooted galangale.
বৈজ্ঞানিক নাম : kaempferia rotunda

ফুলের নাম : সুলতানচাঁপা

অন্যান্য নাম :  পুন্নাগ
ইংরেজি ও কমন নাম : Alexandrian laurel, balltree, beach calophyllum, beach touriga, beautyleaf, Borneo-mahogany, Indian doomba oiltree, Indian-laurel, laurelwood, red poon, satin touriga.
বৈজ্ঞানিক নাম : Calophyllum inophyllum

ফুলের নাম : স্বর্ণচাঁপা

অন্যান্য নাম : স্বর্ণচম্পা
ইংরেজি ও কমন নাম : champak
বৈজ্ঞানিক নাম : Michelia champaca

ফুলের নাম : হিমচাঁপা

অন্যান্য নাম : উদয়পদ্ম
ইংরেজি ও কমন নাম : Laural magnolia, Magnolia, Southern magnolia
বৈজ্ঞানিক নাম : Magnolia grandiflora

ফুলের নাম : মুচকুন্দচাঁপা

অন্যান্য নাম : কলাচম্পা,
ইংরেজি ও কমন নাম : Maple-leaved Bayur, Bayur Tree, Dinner Plate flower, Banana peels flower, karnikara tree,
বৈজ্ঞানিক নাম : Pterospermum acerifolium
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : বলধা গর্ডেন, ওয়ারী, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy

১০টি ফুলের ছবি – ৮

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে বেশ কিছু ফুলের ছবি আমি তুলেছি আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত ফুলের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। পরে সেই সমস্ত ফুলের ১০টি করে ছবি নিয়ে একটি করে পর্ব আকবারে প্রকাশ করেছি। এখনো সেই ধারাবাহিকতা চলছে…..

১। ফুলের নাম : কাঠগোলাপ

অন্যান্য নাম : গুলঞ্চচাঁপা, কাঠচাঁপা, গরুড়চাঁপা, গোলকচাঁপা, গুলাচি, গোলাইচ, চালতাগোলাপ।
ইংরেজি ও কমন নাম : Frangipani
বৈজ্ঞানিক নাম : Plumeria
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : কদমরসুল দরগাহ, নারায়ণগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১২/২০১৭ ইং

২। ফুলের নাম : সাদা জবা

অন্যান্য নাম : জবা
ইংরেজি ও কমন নাম : Chinese hibiscus, China rose, Hawaiian hibiscus, shoeblackplant ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Hibiscus rosa-sinensis
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : বদরুন্নেছা মহল, টাঙ্গাইল।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৭ ইং

৩। ফুলের নাম : লঙ্কা জবা

অন্যান্য নাম : জবা, মরিচ জবা, মধুজবা ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Wax mallow, Texas mallow, Sleepy hibiscus, Turk’s Turban ইত্যাদি
বৈজ্ঞানিক নাম : Malvaviscus penduliflorus
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : সিরাজ শাহির মাজার, নারায়ণগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১২/২০১৭ ইং

৪। ফুলের নাম : দাদমর্দন

অন্যান্য নাম : বনচন্ডাল
ইংরেজি ও কমন নাম : Candle Bush, Empress Candle Plant, Seven Golden Candlesticks, Candlestick Cassia, Candlestick Senna, Christmas Candle, Ringworm Cassia, Ringworm Bush, Gelenggang, Daun Kurap ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Senna alata
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : ময়মনসিংহ বোটানিক্যাল গার্ডেন, ময়মনসিংহ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৮/১২/২০১৭ ইং

৫। ফুলের নাম : দেবকাঞ্চন

অন্যান্য নাম : রাঙ্গা কাঞ্চন, রাঙা কাঞ্চন।
ইংরেজি ও কমন নাম : Orchid Tree, Hong Kong Orchid Tree, Purple Bauhinia, Camel’s Foot, Butterfly Tree, Hawaiian Orchid Tree ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Phanera purpurea
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : সংসদভবন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/১২/২০১৭ ইং

৬। ফুলের নাম : বেড়াচিতা

অন্যান্য নাম : রাংচিতা
ইংরেজি ও কমন নাম : Redbird flower, devil’s-backbone, buck-thorn, cimora misha, christmas candle, fiddle flower, ipecacuahana, Jacob’s ladder, Japanese poinsettia, Jew’s slipper, Jewbush, milk-hedge, myrtle-leaved spurge, Padus-leaved clipper plant, red slipper spurge, redbird cactus, slipper flower, slipper plant, slipper spurge, timora misha, zig-zag plant ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Euphorbia tithymaloides, Pedilanthus tithymaloides
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

৭। ফুলের নাম : কুকশিম

অন্যান্য নাম : ছোটো কুকশিম, সাহাদেবী, ডনকুনি, ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Ash-coloured Fleabane, Purple Fleabane
বৈজ্ঞানিক নাম : Vernonia patula
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : ধামরাই, সাভার।
ছবি তোলার তারিখ : ০৭/০২/২০১৮ ইং

৮। ফুলের নাম : লালভান্ডির

ইংরেজি ও কমন নাম : Pagoda Flower, Glorybower, hanuman kireetam ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Clerodendrum paniculatum
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : এল.ডি.ই.জি ঢাকবাংলো, সিলেট।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/০৯/২০১১ ইং

৯। ফুলের নাম : লতা ভান্ডির

ইংরেজি ও কমন নাম : Glory tree, flaming glorybower
বৈজ্ঞানিক নাম : Clerodendrum splendens
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বনানী, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ২১/০২/২০১৮ ইং

১০। ফুলের নাম : বোতল ব্রাশ

অন্যান্য নাম : বতল ব্রাশ
ইংরেজি ও কমন নাম : Weeping Bottlebrush; Creek Bottlebrush; Drooping Bottlebrush; Red Bottlebrush ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Melaleuca viminalis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : অমরাবতী পার্ক, নিউ দীঘা, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ১৭/০৩/২০১৪ ইং

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy

১০টি ফুলের ছবি – ৭

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে বেশ কিছু ফুলের ছবি আমি তুলেছি আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত ফুলের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। পরে সেই সমস্ত ফুলের ১০টি করে ছবি নিয়ে একটি করে পর্ব আকবারে প্রকাশ করেছি। এখনো সেই ধারাবাহিকতা চলছে….

১। ফুলের নাম : বাসর লতা

অন্যান্য নাম : Clock Vine, Lady’s Slipper Vine, Brick & Butter Vine, Dolls’ Shoes, Mysore Clock Vine
ইংরেজি নাম : Mysore trumpetvine, Indian clock vine
বৈজ্ঞানিক নাম : Thunbergia mysorensis

২। ফুলের নাম : বাসর লতা

অন্যান্য নাম : Clock Vine, Lady’s Slipper Vine, Brick & Butter Vine, Dolls’ Shoes, Mysore Clock Vine
ইংরেজি নাম : Mysore trumpetvine, Indian clock vine
বৈজ্ঞানিক নাম : Thunbergia mysorensis

৩। ফুলের নাম : অশোক ফুল

ইংরেজি নাম : Yellow Ashok, Yellow Saraca ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Saraca asoca।
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তানিখ : ০৬/০৩/২০১৭ ইং

৪। ফুলের নাম : লাল পপী ফুল

ইংরেজি নাম : Red Poppy
বৈজ্ঞানিক নাম : Papaver Rhoeas
ছবি তোলার স্থান : মোঘল গার্ডেন, শ্রীনগর, কাশ্মীর, ভারত।
ছবি তোলার তানিখ : ২৮/০৫/২০১৫ ইং
বেলজিয়াম জাতীয় ফুল এই লাল পপী

৫। ফুলের নাম : টিউলিপ

ইংরেজি নাম : Tulip
বৈজ্ঞানিক নাম : Tulipa
ছবি তোলার স্থান : মোঘল গার্ডেন, শ্রীনগর, কাশ্মীর, ভারত।
ছবি তোলার তানিখ : ২৮/০৫/২০১৫ ইং
হল্যান্ড/নেদারল্যান্ডস এবং হাঙ্গেরি এর জাতীয় ফুল এই টিউলিপ

৬। ফুলের নাম : চা ফুল

ইংবেরজি নাম : tea
বৈজ্ঞানিক নাম : Camellia sinensis
ছবি তোলার স্থান : মাধবপুর লেক চাবাগান, শ্রীমঙ্গল।
ছবি তোলার তানিখ : ১৯/১০/২০১৪ ইং

৭। ফুলের নাম : লতা পারুল

অন্যান্য নাম : পারুল লতা, নীল-পারুল, রসুন্ধি, রসুন্ধি-লতা, নীলঘণ্টা, ইত্যাদি
ইংরেজি নাম : Garlic Vine, Wild Garlic, Amethyst Vine, Fake garlic, False garlic, Purple garlic ইত্যাদি
বৈজ্ঞানিক নাম : Mansoa alliacea
ছবি তোলার স্থান : আতিয়া মসজিদের সামনে, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল
ছবি তোলার তানিখ : ২৩/০৫/২০১৪ইং

৮। ফুলের নাম : লতা পারুল

অন্যান্য নাম : পারুল লতা, নীল-পারুল, রসুন্ধি, রসুন্ধি-লতা, নীলঘণ্টা, ইত্যাদি
ইংরেজি নাম : Garlic Vine, Wild Garlic, Amethyst Vine, Fake garlic, False garlic, Purple garlic ইত্যাদি
বৈজ্ঞানিক নাম : Mansoa alliacea
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, ময়মনসিংহ
ছবি তোলার তানিখ : ৮/১২/২০১৭ ইং

৯। ফুলের নাম : লতা পারুল

অন্যান্য নাম : পারুল লতা, নীল-পারুল, রসুন্ধি, রসুন্ধি-লতা, নীলঘণ্টা, ইত্যাদি
ইংরেজি নাম : Garlic Vine, Wild Garlic, Amethyst Vine, Fake garlic, False garlic, Purple garlic ইত্যাদি
বৈজ্ঞানিক নাম : Mansoa alliacea
ছবি তোলার স্থান : আতিয়া মসজিদের সামনে, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল
ছবি তোলার তানিখ : ২৩/০৫/২০১৪ইং

১০। ফুলের নাম: গাঁদা

অন্যান্য নাম : গন্ধা, গেন্ধা, গেনদা ইত্যাদি
ইংরেজি নাম : African Marigold, American Marigold
বৈজ্ঞানিক নাম : Tagetes erecta
ছবি তোলার স্থান : নাগরি, কালিগঞ্জ।
ছবি তোলার তানিখ : ১৪/১১/২০১৭ ইং

7 - Sonakand Durgo (66) - Copy

ফুলের নাম : রঙ্গন

রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। শহর বা গ্রামে বাগানে বা বাড়ির দালানের সানে এমনকি সড়কদ্বীপেও দেখা মেলে এই রূপসী রঙ্গনের। কতে রং এর বাহার এই রঙ্গনের। কমলা, কমলা লাল, গোলাপী, হলদে গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা ইত্যাদি রঙ্গের রঙ্গন হরহামেসাই দেখা যায়।

ফুলের নাম : রঙ্গন
অন্যান্য নাম : রুক্সিনী, রক্তক, বন্ধুক, ঈশ্বর।
ইংরেজি ও কমন নাম : Burning Love, Jungle Flame, Jungle Geranium, Flame of the woods, West Indian Jasmine ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Ixora coccinea

রঙ্গন ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। খুব বড় হয়না, সাধারণত এরা ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে সর্বচ্চ ১২ ফুটের মত লম্বা হতে পারে। বাগানে বা লনে এদেরকে প্রতিবছর ছেটে দিয়ে সুন্দর আকৃতে রাখা হয়। রঙ্গন গাছ কম বা ধীর বর্ধনশীল। গাছে কোন কাঁটা নেই।

রঙ্গনের একক ফুল নলাকৃতি, চারটি পাপড়ির বিন্যাস তারার মতো। রঙ্গনের একএকটি থোকায় প্রায় ১৫ থেকে ৫০ টির মত ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। লাল রঙের থোকার মধ্যে হঠাত হঠাত সোনালী বা ঘিয়ে রঙের একটা দুটা ফুল ফুটে থোকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। ফুল শেষে গাছে গোলগোল ফল হয়। ফল থেকেও চারা করা সম্ভব। পরিপক্ক ডাল লাগালে বা কলম করেও চারা তৈরি করা যায়। নিজে নিজে এই গাছ জন্মে না।

রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফুল ফুটলেও সারাবছরই কম বেশী ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে বর্ষায় রঙ্গন ফুল সবচেয়ে বেশী ফোটে। রঙ্গন ফুল দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং পর্যায়ক্রমে ফুটে।

রঙ্গন গাছের পাতা ঘন বিন্যাসের হয়। পাতা সরল, উপবৃত্তাকার প্রায় ৪ ইঞ্চির মত লম্বা হয়। কচি পাতা বাদামি রং আর পরিণত পাতা চকচকে, মসৃণ গাঢ় সবুজ রঙের। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ। তেমন কোন যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠতে পারে।

রঙ্গনের অপর নাম রুক্মিনী হিন্দু দেবীর নামের থেকে এসেছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে রঙ্গন ফুলের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষে বৌদ্ধরা রঙ্গনের থোকা থোকা ফুল, ডাল, পাতা সংগ্রহ করে ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বৌদ্ধরা এই ফুলকে বিযু ফুল বলে জানে। বৌদ্ধ মন্দিরে পুজার থালায় শোভা পায় রঙ্গন।

রঙ্গনের কোন ঘ্রাণ থাকে না, শুধু ব্যাতিক্রম সাদা রঙ্গনের বেলায়। এই সাদা রঙ্গণকে সুরভী রঙ্গনও বলা হয়। নাম থেকেই বঝা যাচ্ছে যে সাদা রঙ্গনের ঘ্রাণ আছে।

ছবি : সবগুলি ছবি আমার নিজের তোলা।
তথ্য সূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত। তথ্যে কোন ভুল থাকলে জানানোর অনুরোধ রইলো।

7 - Sonakand Durgo (66) - Copy

১০টি ফুলের ছবি – ৬

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে বেশ কিছু ফুলের ছবি আমি তুলেছি আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত ফুলের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। পরে সেই সমস্ত ফুলের ১০টি করে ছবি নিয়ে একটি করে পর্ব আকবারে প্রকাশ করেছি। এখনো সেই ধারাবাহিকতা চলছে….

১। ফুলের নাম : ক্যামেলিয়া

ইংরেজি নাম : Camellia, Japanese Camellia.
বৈজ্ঞানিক নাম : Camellia japonica
ছবি তোলার স্থান : বলদা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং
তনুকা বললে, ‘দামি দুর্লভ গাছ,
এ দেশের মাটিতে অনেক যত্নে বাঁচে। ‘
জিগেস করলেম, ‘নামটা কী?’
সে বললে ‘ক্যামেলিয়া’।
চমক লাগল —
আর-একটা নাম ঝলক দিয়ে উঠল মনের অন্ধকারে।
হেসে বললেম, ‘ ক্যামেলিয়া,
সহজে বুঝি এর মন মেলে না। ‘
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২। ফুলের নাম : রঙ্গন

অন্যান্য নাম : রুক্সিনী, রক্তক, বন্ধুক, ঈশ্বর।
ইংরেজি নাম : Burning Love, Jungle Flame, Jungle Geranium, Flame of the woods, West Indian Jasmine.
বৈজ্ঞানিক নাম : Ixora coccinea
ছবি তোলার স্থান : নিজ বারান্দায়
ছবি তোলার তারিখ : ১৫/০৮/২০১৭ ইং
নিজের গাছের বৃষ্টি ভেজা রঙ্গীন রঙ্গন

৩। ফুলের নাম : দোলনচাঁপা

ইংরেজি নাম : Butterfly Ginger Lily, White ginger lily, Mariposa
বৈজ্ঞানিক নাম : Hedychium coronarium
ছবি তোলার স্থান : কামানখোলা জমিদার বাড়ি, লক্ষ্মীপুর
ছবি তোলার তারিখ : ১৮/০৮/২০১৭ইং
দোলনচাঁপা কিউবার জাতীয় ফুল

৪। ফুলের নাম : স্পাইডার লিলি

ইংরেজি নাম : Spider Lily, Beach Spider Lily
বৈজ্ঞানিক নাম : Hymenocallis Littoralis
ছবি তোলার স্থান : কামানখোলা জমিদার বাড়ি, লক্ষ্মীপুর
ছবি তোলার তারিখ : ১৮/০৮/২০১৭ইং

৫। ফুলের নাম : স্পাইডার লিলি

ইংরেজি নাম : Spider Lily, Beach Spider Lily
বৈজ্ঞানিক নাম : Hymenocallis Littoralis
ছবি তোলার স্থান : কামানখোলা জমিদার বাড়ি, লক্ষ্মীপুর
ছবি তোলার তারিখ : ১৮/০৮/২০১৭ইং

৬। ফুলের নাম : রক্তদ্রোণ

অন্যান্য নাম : লাল দন্ডকলস, লাল দ্রোণপুষ্পী, লাল দেবদ্রোণী, লাল দিব্যপুষ্পী ইত্যাদি।
ইংরেজি নাম : Honeyweed, Chinese Motherwort, Little marijuana
বৈজ্ঞানিক নাম : Leonurus japonicus
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং

৭। ফুলের নাম : রক্তদ্রোণ

অন্যান্য নাম : লাল দন্ডকলস, লাল দ্রোণপুষ্পী, লাল দেবদ্রোণী, লাল দিব্যপুষ্পী ইত্যাদি।
ইংরেজি নাম : Honeyweed, Chinese Motherwort, Little marijuana
বৈজ্ঞানিক নাম : Leonurus japonicus
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং

৮। ফুলের নাম : চন্দ্রপ্রভা

অন্যান্য নাম : হলদে চন্দ্রপ্রভা, সোনাপাতি ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Tecoma stans
ইংরেজি নাম : Yellow bells, Yellow trumpet, Yellow-Elder
ছবি তোলার স্থান : হাতিরঝিল, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ০৮/০৩/২০১৭ ইং

৯। ফুলের নাম : রাধাচূড়া

অন্যান্য নাম : রত্নগণ্ডি, সিদ্ধেশ্বর, গুলেটুর।
ইংরেজি ও কমন নাম : Poinciana, Peacock flower, Red bird of paradise, Mexican bird of paradise, Dwarf poinciana, Pride of Barbados ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Caesalpinia pulcherrima
ছবি তোলার স্থান : হাতিরঝিল, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৫/০৩/২০১৭ ইং
রাধাচূড়া বার্বাডোস এর জাতীয় ফুল

১০। ফুলের নাম : পিওনী

ইংরেজি নাম : Peony, Paeony
বৈজ্ঞানিক নাম : Paeonia suffruticosa
ছবি তোলার স্থান : চশমাশাহি মোঘল গার্ডেন, শ্রীনগর, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/০৫/২০১৫ ইং

7 - Sonakand Durgo (66) - Copy

ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ – সোনাকান্দা দূর্গ

গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানই পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি মদনপুর চৌরাস্তায়। রাস্তা পার হয়ে সকালের নাস্তা করে নিয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করি ৩০০ টাকায় গোটা আটেক স্থানে যাবো বলে।

প্রথম লক্ষ্য ছিল “বন্দর মসজিদ” (মিলের মসজিদ) বলে একটি পুরনো ৩ গম্বুজ মসজিদ দেখার। কিন্তু সেটি খুঁজে বের করতে না পেরে চলে যাই কাছাকাছি থাকা “১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দিরে”। মন্দিরটি দেখে আমরা চলে আসি নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত “T Hossain House” দেখতে। শত বছররে পুরনো কিন্তু এখনো ঝকঝকে চমৎকার বাড়িটি দেখে আমরা চলে আসি “কদম রসুল দরগা” তে। দরগার সুউচ্চ তোরণ এবং আশপাশটা দেখে আমরা চলে যাই “বন্দর শাহী মসজিদ” দেখতে। প্রাচীন এক গম্বুজ মসজিদ দেখা আমরা যাই “নির্মাণাধীন মাজার” দেখতে। নির্মাণাধীন মাজার” দেখে চলে “সিরাজ শাহির আস্তানা” তে। “সিরাজ শাহির আস্তানা” দেখা শেষে আমাদের এবারের গন্তব্য “সোনাকান্দা দূর্গ”

“সোনাকান্দা দূর্গ” মোঘল আমলে তৈরি করা একটি জলদূর্গ। তৎকালীন সমৃদ্ধ শহর ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকাকে নদী পথে মগ ও পর্তুগিজদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ও জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে রক্ষ্যা করার জন্য ১৬৫০ সালের দিকে তৎকালীন বাংলার সুবাদার মীর জুমলা এ সোনাকান্দা দূর্গ নির্মাণ করেন। ঐ একই সময়ের কাছাকাছি সময়ে এমন তিনটি জলদূর্গ নির্মাণ করা হয়। যার দুটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে। একটি শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ে “হাজীগঞ্জ দূর্গ” । অন্যটি শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে এই “সোনাকান্দা দূর্গ” । তৃতীয়টি মুন্সিগঞ্জের “ইদ্রাকপুর দূর্গ”

চতুর্ভুজাকৃতির সোনাকান্দা দূর্গটি চারপাশে মজবুত উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা। দূর্গের ভিতরে নিরাপদে থেকে দেয়ালের মধ্য দিয়ে গোলা নিক্ষেপের জন্য বহুসংখ্যক প্রশস্ত-অপ্রশস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র আছে। সেগুলি দিয়ে বন্দুক এবং হালকা কামান ব্যবহার কর যেতো। দূর্গের চার কোনায় অষ্টভুজা-কৃতির চারটি বুরুজ রয়েছে।

দূর্গের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে এর পশ্চিম অংশে উঁচু বিশাল গোলাকার কামান প্ল্যাটফর্ম। অনেকগুলি বড়বড় সিঁড়ি টপকে উঠতে হয় প্ল্যাটফর্মে। দূর্গের পশ্চিম দিক দিয়েই বয়ে যেতো শীতলক্ষ্যা নদী। তাই এই পশ্চিমমুখী কামান প্ল্যাটফর্মের উঁচু মঞ্চে শক্তিশালী কামান স্থাপন করা ছিল নদীপথে আগত জলদস্যুদের ঠেকাতে।

দূর্গের উত্তর পাশের প্রাচীরে উত্তরমুখী একটি মজবুত প্রবেশ তোরণ রয়েছে। এটিই দূর্গের একমাত্র প্রবেশ তোরণ। প্রবেশদ্বারটি একটি আয়তাকার তোরণ কাঠামোর মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।

এই দুর্গ নির্মাণের তারিখ সম্বলিত কোন শিলালিপি পাওয়া যায় নি তবে ঐতিহাসিকদের মতে এটি ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ খৃষ্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°36’25.0″N 90°30’43.5″E

পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে নবীগঞ্জ হয়ে সোনাকান্দা দূর্গ।

তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে রিকসা নিয়ে চলে আসা যায় সোনাকান্দা দূর্গ।

তথ্য সূত্র : উইকি

6 - Siraj Shah'r Astana (11)

ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ – সিরাজ শাহির আস্তানা

গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানই পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি মদনপুর চৌরাস্তায়। রাস্তা পার হয়ে সকালের নাস্তা করে নিয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করি ৩০০ টাকায় গোটা আটেক স্থানে যাবো বলে।

প্রথম লক্ষ্য ছিল “বন্দর মসজিদ” (মিলের মসজিদ) বলে একটি পুরনো ৩ গম্বুজ মসজিদ দেখার। কিন্তু সেটি খুঁজে বের করতে না পেরে চলে যাই কাছাকাছি থাকা “১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দিরে”। মন্দিরটি দেখে আমরা চলে আসি নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত “T Hossain House” দেখতে। শত বছররে পুরনো কিন্তু এখনো ঝকঝকে চমৎকার বাড়িটি দেখে আমরা চলে আসি “কদম রসুল দরগা”তে। দরগার সুউচ্চ তোরণ এবং আশপাশটা দেখে আমরা চলে যাই “বন্দর শাহী মসজিদ” দেখতে। প্রাচীন এক গম্বুজ মসজিদ দেখা শেষে আমরা বন্দর সমরক্ষেত্রের পাশে “নির্মাণাধীন মাজার” দেখতে। সেখান থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল “সিরাজ শাহির আস্তানা”

সিরাজ শাহির আস্তানা

এটিও একটি মাজার। তবে এটি বিখ্যাত বাউল সাধক সিরাজ সাঁই এর আস্তানা কিন্তু নয়। এটি চিশতিয়া তরিকার একজন পীরের মাজার। বেশ বড় একটা এলাকা নিয়ে সুন্দর সাজানো গোছানো একটি যায়গা। মাজারের স্থাপত্য খুবই আকর্ষণীয়। অর্থাৎ সিরাজ শাহির কবরের উপরে যে ইমারতটি তৈরি করা হয়েছে আমি সেটির কথা বলছি। খুবই সুন্দর সেটি। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম যেদিক থেকেই আপনি দেখেন না কেন আপনার কাছে সব পাশ থেকে একই মনে হবে। অর্থাৎ ইমারতটি চারপাশ থেকে দেখতে একই রকম। উঁচু এক প্লাটফর্মের উপরে এর অবস্থান। বেশ কিছু সিঁড়ি টপকে উঠতে হয় উপরে।


চারপাশ থেকে দেখতে একই রকম হলেও এর প্রধান ফটক দক্ষিণ মুখী। এইখানে সিঁড়িটা শুধু দুই ভাগে বিভক্ত এবং উপরে একটি কাঠগোলাপের গাছ রয়েছে। আমি আরো বেশ কিছু মাজারেই কাঠগোলাপের গাছ দেখেছি। এর বিশেষ কোন মাহাত্ব আছে নিশ্চয়। এখানে আরো দেখেছি কয়েকটি খাওয়ারা অযোগ্য বোম্বাই বেল বা তানপুরা ফলের গাছ। পাশেই পীর পরিবারের বাসস্থান অংশের গেটে ছিল লতা পারুল, ভিতরে একটি চমৎকার হাসনোহেনার ঝোপ। পুকুর পারে বিশাল এক আমলকী গাছে দেখেছি প্রচুর আমলকী ধরে আছে। তাছাড়া সামনের বাগান অংশে নানান ধরনের মৌসুমি ফুল করা হয়। দেখেছি পঞ্চমুখী জবাও।

জানা যায় কিছু দিন পরে ফেব্রুয়ারির ৪ ও ৫ তারিখে উরস হবে, তাই কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে। প্রচুর লোক নাকি হয় উরসের সময়। আমাকে দাওয়াত দিয়ে দিলের ওখানকার এক খাদেম প্রচারপত্র সহ।

যাইহোক, আস্তানায় বেশ কিছুটা সময় কাটাই, এর ফাঁকে ছোট মেয়ের খাবারও খাওয়ানো হয়। এবার আমাদের ফিরতি পথে চলতে হবে। এবার যাব ঐতিহাসিক সোনাকান্দা দূর্গ দেখতে। সেখানেই দেখা হবে ঝটিকা সফরের আগামী পর্বে।


জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°37’18.5″N 90°32’01.8″E
পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে সিরাজ শাহির আস্তানা।
তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে ইজি বাইক নিয়ে সিরাজ শাহির আস্তানা।

বি.দ্র. : বেড়াবার সময় চুইংগাম মুখে রাখা অনেকের অভ্যাস। চুইংগাম আনন্দে বিশাল বাঁধা হতে পারে আপনি যেখানে সেখানে তা ফেললে। কোন কাজগে মুড়ে ডাস্টবিনে ফেলাটাই উত্তম।

DSC_6890 - Copy

আতা কাহিনী

আতা ফল কোনটি?
আতা আর সীতা কি একই ফল?
আতা আর সরিফার পার্থক্য কি?
আতার আরেক না কি নোনা?

এই প্রশ্নগুলি মাঝে মাঝেই দেখতে পাই। মাঝে মাঝে বেশ ভালো রকমের যুক্তি-তর্কও দেখার সুযোগ হয়। অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে ছিল এই বিষয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করবো, আজ তাই করছি। মনে রাখতে হবে আমি শুধু কয়েকটি বইয়ের তথ্য এখানে উপস্থাপন করছি। লেখার শেষ অংশে আমার উপলব্ধি প্রকাশ করবো। আপনাদেরও তা প্রকাশের সমান সুযোগ রইলো।

আতা বিষয়ে কয়েকটি বইয়ের আলোচনা
১। কালীপদ বিশ্বাস ও এককড়ি ঘোষ লিখিত “ভারতীয় বনৌষধি” প্রথম খণ্ডের ১৩ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা। বইটির ১১ ও ১২ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে – ফলটির বাংলা নাম – আতা, হিন্দি নাম – সীতাফল আর তামিল নাম – সীতা, বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L.।
মাঝারী আকারের গাছ, ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু। পাতা ২-৩ ইঞ্চি লম্বা, আধ ইঞ্চি চওড়া।

২। শ্রীহরিমোহন মান্না প্রণীত “ফলের বাগান” বইতে ৪ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা বইটির ১৪০ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আতা সম্পর্কে সেখানে বলা হয়েছে –
“ফলগুলির গাত্রদেশ খাঁজকাটা বন্ধুর। ভিতরে শাঁস অতি কোমল।”

৩। নলিনীকান্ত চক্রবর্তী প্রণীত “ত্রিপুরার গাছপালা” বইতে ৫ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা। বইটির ১৩ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম -আতা, অন্য নাম – সীতা ফল, বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L.
“squamosa” অর্থ অসমান, এতে ফলের অসমান গায়ের কথা বুঝায়। এই ছোট বৃক্ষটি আমেরিকার উষ্ণ মন্ডলের আদিবাসী। ফল অসমান গাত্র বিশিষ্ট গোলাকার। ফলত্বকের একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উহা নরম সবুজাভ রঙের কতগুলি গোলাকার আঁশ জুড়ে যেন তৈরি। পাকা ফলে এই আঁশের মত অংশগুলি আলাদা করা যায়। ফলের মধ্যে মিষ্টি সাদা রঙের আঁশ থাকে।”

৪। শ্রীঊর্ণচন্দ্র সাহার সঙ্কলিত “আয়ূর্ব্বেদোক্ত উদ্ভিদ সংগ্রহ” বইতে ১৬ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা বইটির ১৬ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম -আতা, সংস্কৃত নাম – আতৃপ্য, হিন্দি নাম – সরিফা, তৈ নাম – সিতাফলম। (“তৈ” তে ভারতের কোন একটা প্রদেশের নাম বুঝানো হয়েছে।) ইংরেজি নাম – custard apple এবং বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L.।

নোনা বিষয়ে কয়েকটি বইয়ের আলোচনা
১। কালীপদ বিশ্বাস ও এককড়ি ঘোষ লিখিত “ভারতীয় বনৌষধি” প্রথম খণ্ডের ১৪ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে নোনা। বইটির ১২ নাম্বার পাতায় নোনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম – নোনা আর সাঁওতালি নাম – গম, ইংরেজি নাম – true custard apple এবং বৈজ্ঞানিক নাম – Annona reticulata L.
মাঝারী আকারের গাছ, ২০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু। পাতা ৫-৮ ইঞ্চি লম্বা, দেড় থেকে ২ ইঞ্চি চওড়া।

২। শ্রীহরিমোহন মান্না প্রণীত “ফলের বাগান” বইতে ২৬ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে নোনা। বইটির ১৯৭ নাম্বার পাতায় নোনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নোনা সম্পর্কে সেখানে বলা হয়েছে –
“নোনা আতা জাতীয় ফল, কিন্তু গুণে ইহা আতা হইতে নিকৃষ্ট। ইহা আতার মত অত রসাল ও সুগন্ধি নহে। আতা হইতে নিকৃষ্ট হইলেও খাইতে এ ফলও বিশেষ সুস্বাদু। এ ফলগুলির উপরিভাগে আতার মত খাঁজ নেই। ইহা পাকিলে পীতাভ লালবর্ণ হয়।”

৩। নলিনীকান্ত চক্রবর্তী প্রণীত “ত্রিপুরার গাছপালা” বইতে ৪ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে নোনা বইটির ১২ নাম্বার পাতায় নোনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম -নোনা, অন্য নাম – রাম ফল, নোনা আতা, বৈজ্ঞানিক নাম – Annona reticulata L.
reticulata অর্থ জালিকাকার, ইহা ফলের উপরের অস্পষ্ট জালিকার বুঝায়। আতা গাছের সাথে এর পার্থক্য এর পাতা অনেক লম্বাটে, ফলের গা সমান,অবশ্য তাতে অস্পষ্ট জালিকাকার খাঁজ রয়েছে। ফলের ভেতরটা অনেকটা আতার মত তবে শাস অনেকটা বালির মত দানাদার এবং এর গন্ধ ততোটা ভাল নয়। ফলের আকার প্রাণীর হৃৎপিণ্ডের মত।

উপরের সূত্রগুলি মোতাবেক আমার ধারনা হয়েছে “যাহা লাউ, তাহাই কদু।” থুক্কু, “যাহা আতা, তাহাই সীতা বা সরিফা।” কারণ সীতা ও সরিফা নামগুলি শুধুমাত্র আতার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে, নোনার সাথে কখনোই ব্যবহার করা হয়নি। আর আতার বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L. এর squamosa থেকে এবং বইগুলির আলোচনা থেকে সহজেই বুঝা যায় যে আতার পৃষ্ঠদেশ হবে অসমান অমসৃণ।

অন্যদিকে নোনার ক্ষেত্রে সকল বইতেই তার নাম নোনা পাওয়া যাচ্ছে। নোনাকে কোন বইতেই সীতা বা সরিফা বলা হয়নি। আর নোনার বৈজ্ঞানিক নাম – Annona reticulata L. এর reticulata থেকে এবং বইগুলির আলোচনা থেকে সহজেই বুঝা যায় যে নোনার পৃষ্ঠদেশ হবে মসৃণ এবং অস্পষ্ট জালিকাকার।

7 - Sonakand Durgo (66) - Copy

১০টি ফুলের ছবি – ৫

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে বেশ কিছু ফুলের ছবি আমি তুলেছি আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত ফুলের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। পরে সেই সমস্ত ফুলের ১০টি করে ছবি নিয়ে একটি করে পর্ব আকবারে প্রকাশ করেছি। এখনো সেই ধারাবাহিকতা চলছে….

১। ফুলের নাম : ড্যানডেলিওন

ইংরেজী নাম : Dandelion
বৈজ্ঞানিক নাম : Taraxacum
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : আরু ভ্যালী, পেহেলগাম, কাশ্মির, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/৫/২০১৫ ইং

২। ফুলের নাম : বাগানবিলাস

অন্যান্য নাম : কাগজ ফুল।
ইংরেজী নাম : Bougainvillea, Puti Tai Nobiu ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Bougainvillea Spectabilis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : হাতিরঝিল, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৫/০৩/২০১৭ ইং
বাংলা বাগানবিলাস নামটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেয়া। আর বাগানবিলাশ Guam এর জাতীয় ফুল।

৩। ফুলের নাম : রক্তকাঞ্চন

ইংরেজী নাম : Orchid Tree, Varigated Bauhinia ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Bauhinia variegata
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ০৬/০৩/২০১৭ইং
কাঞ্চন হংকং এর জাতীয় ফুল।

৪। ফুলের নাম : দুই শিমুল

ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : দিল্লী, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ১৫/০৩/২০১৪ ইং
দিল্লী শহরের প্রাণকেন্দ্রে পাশাপাশি দুটি শিমুল গাছে ফুল ফুটেছিলো। একটিতে লাল শিমুল, অন্যটির রং কিছুটা কমলা রঙ্গের। চলন্ত গাড়ি থেকে ক্লিক করেছিলাম।

৫। ফুলের নাম : শিবজটা

অন্যান্য নাম : শিবঝুল, ব্রহ্মজটা, হারিটামুঞ্জুরি, বিলাই লেজা।
ইংরেজি ও কমন নাম : Acalypha Cat Tail, Caterpillar Plant, Chenille Plant, Philippines Medusa, Red hot cat’s tail, Fox tail, Hispid Copperleaf, Redspike Copperleaf, Chenille Copperleaf ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Acalypha hispida
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলদা গার্ডেন, টিকাটুলি, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/৩/২০১৭ ইং

৫। ফুলের নাম : শিবজটা

অন্যান্য নাম : শিবঝুল, ব্রহ্মজটা, হারিটামুঞ্জুরি, বিলাই লেজা।
ইংরেজী নাম : Acalypha Cat Tail, Caterpillar Plant, Chenille Plant, Philippines Medusa, Red hot cat’s tail, Fox tail, Hispid Copperleaf, Redspike Copperleaf, Chenille Copperleaf ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Acalypha hispida
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলদা গার্ডেন, টিকাটুলি, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/৩/২০১৭ ইং

৭। ফুলের নাম : শ্বেতপদ্ম

অন্যান্য নাম : পুণ্ডরীক
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : ইছাপুর ইউনিয়ন, সিরাজদিখান, মুন্সিগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/৫/২০১৭ ইং

৮। ফুলের নাম : র‌্যাভেনিয়া

ইংরেজী নাম : Lemonia, Limonia, Pink Ravenia
বৈজ্ঞানিক নাম : Ravenia spectabilis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলদা গার্ডেন, টিকাটুলি, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/৩/২০১৭ ইং

৯। ফুলের নাম : নাগলিঙ্গম

অন্যান্য নাম : হাতি জোলাপ, কামান গোলা।
ইংরেজী নাম : Cannonball Tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Couroupita Guianensis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বটানিক্যাল গার্ডেন, কলকাতা, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৩/০৫/২০১৫ ইং

১০। ফুলের নাম : ????

ইংরেজী নাম : Black locust, false acacia flowers
বৈজ্ঞানিক নাম : Robinia pseudoacacia
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : জম্মু থেকে পেহেলগাম যাওয়ার পথে।
ছবি তোলার তারিখ : ২৬/০৫/২০১৫ ইং

7 - Sonakand Durgo (66) - Copy

ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ – নির্মাণাধীন মাজার

গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানই পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি মদনপুর চৌরাস্তায়। রাস্তা পার হয়ে সকালের নাস্তা করে নিয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করি ৩০০ টাকায় গোটা আটেক স্থানে যাবো বলে।

প্রথম লক্ষ্য ছিল “বন্দর মসজিদ” (মিলের মসজিদ) বলে একটি পুরনো ৩ গম্বুজ মসজিদ দেখার। কিন্তু সেটি খুঁজে বের করতে না পেরে চলে যাই কাছাকাছি থাকা “১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দিরে”। মন্দিরটি দেখে আমরা চলে আসি নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত “T Hossain House” দেখতে। শত বছররে পুরনো কিন্তু এখনো ঝকঝকে চমৎকার বাড়িটি দেখে আমরা চলে আসি “কদম রসুল দরগা” তে। দরগার সুউচ্চ তোরণ এবং আশপাশটা দেখে আমরা চলে যাই “বন্দর শাহী মসজিদ” দেখতে। প্রাচীন এক গম্বুজ মসজিদ দেখা আমরা এগিয়ে চলি আমাদের পরবর্তী গন্তব্য “নির্মাণাধীন মাজার” দেখতে।

মাজারটির অবস্থান নারায়ণগঞ্জের বন্দর সমর ক্ষেত্রের উত্তর পাশে। মাজারটির নাম সম্ভবত “কুতুববাগ মোজাদ্দেদীয়া মাজার”

মাজার বলতে সুউচ্চ একটি প্লাটফর্মের উপরে রয়েছে একটি কবর। এটা নিশ্চই কোন পীরের কবর। অনেকগুলি সিঁড়ি টপকে উঠতে হয়। কবরের উপরে তৈরি হচ্ছে একটি ইমারত, যার কেন্দ্রে রয়েছে একটি বড় গম্বুজ। দুই ধারে দুটি সুউচ্চ মিনার, যা অনেক দূর থেকেও নজরে আসে। আশা করা যায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে একটির কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে একটি দৃষ্টিনন্দন মাজারে পরিণত হবে।

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°37’14.4″N 90°31’18.2″E
পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে বন্দর সমর ক্ষেত্রের সামনের মাজারে।

তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে রিকসা নিয়ে চলে আসা যায় বন্দর সমর ক্ষেত্রের সামনের মাজারে।

বি.দ্র. : বেড়াতে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলি। চিপস, চকলেট, বিস্কিটের খালি প্যাকেট রাস্তায় ছুড়ে ফেলা থেকে বিরতো থাকি।

Dost T Fuler Chobi_3_ (13)

১০টি ফুলের ছবি – ৪

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে বেশ কিছু ফুলের ছবি আমি তুলেছে আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত ফুলের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। পরে সেই সমস্ত ফুলের ১০টি করে ছবি নিয়ে একটি করে পর্ব আকবারে প্রকাশ করেছি। এখনো সেই ধারাবাহিকতা চলছে….

১। ফুলের নাম : পলাশ

অন্যান্য নাম : কিংশুক
ইংরেজি নাম : Flame of the Forest
বৈজ্ঞানিক নাম : Butea monosperma
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : গাজীপুর।
ছবি তোলার তারিখ : ০২/০৩/২০১৭ ইং

২। ফুলের নামা : রক্তকাঞ্চন

ইংরেজি নাম : orchid tree, camel’s foot tree, kachnar and mountain-ebony
বৈজ্ঞানিক নাম : Phanera variegata
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং
একটা মঠ দেখে ফিরে আসছি, হঠাৎ করেই গ্রামে পায়েচলা সরু রাস্তায় দেখা মেলে বড় একটি রক্তকাঞ্চন গাছের। যদিও আমরা দেবকাঞ্চনকে রক্তকাঞ্জন হিসেবে গুলিয়ে ফেলি। আসলে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ফুল।

৩। ফুলের নাম : শ্বেত শিমুল

অন্যান্য নাম : সাদা শিমুল
ইংরেজি নাম : Java cotton, Java kapok, silk-cotton, Samauma, or ceiba.
বৈজ্ঞানিক নাম : Ceiba Pentandra
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং

৪। ফুলের নাম : শ্বেত শিমুল

অন্যান্য নাম : সাদা শিমুল
ইংরেজি নাম : Java cotton, Java kapok, silk-cotton, Samauma, or ceiba.
বৈজ্ঞানিক নাম : Ceiba Pentandra
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং

৫। ফুলের নাম : শিমুল

অন্যান্য নাম : রক্তশিমুল, লালশিমুল।
সংস্কৃত নাম : শাল্মলী, মোচা।
ইংরেজি নাম : Silk Cotton
বৈজ্ঞানিক নাম : Bombax ceiba
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং

৬। ফুলের নাম : কদম

অন্যান্য নাম : নীপ, বৃত্তপুষ্প, মেঘাগমপ্রিয়, কর্ণপূরক, ভৃঙ্গবল্লভ, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, প্রাবৃষ্য, ললনাপ্রিয়, সুরভি, সিন্ধুপুষ্প।
ইংরেজি নাম : burflower-tree, laran, Leichhardt pine
বৈজ্ঞানিক নাম : Neolamarckia cadamba
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : সিরাজদিখান, বিক্রমপুর।
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং

৭। ফুলের নাম : বরুণ,

অন্যান্য নাম : বন্যা, বইন্যা, বালাই, লামক, অবিয়ুচ, বর্না, বিদাসি।
ইংরেজী নাম : Sacred Garlic Pear, Temple Plant
বৈজ্ঞানিক নাম : Crateva Religiosa
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং

৮। ফুলের নাম : বাসক

অন্যান্য নাম : আডুসা, বানসা, ভাসিকা
বৈজ্ঞানিক নাম : Justicia adhatoda
ইংরেজী নাম : Malabar nut, adulsa
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং

৯। ফুলের নাম : লাল শাপলা

অন্যান্য নাম : রক্ত কমল
বৈজ্ঞানিক নাম: Nymphaea Pubescens
ইংরেজী নাম : Red Water Lily, Nymphaea Rubra
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ
ছবি তোলার তারিখ : ২৫/১১/২০১৬ ইং

১০। ফুলের নাম : ডেইজি

ইংরেজী নাম : Paris Daisy, Marguerite, Marguerite Daisy
বৈজ্ঞানিক নাম : Argyranthemum Frutescens
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বেতাব ভ্যালি, পেহেলগাম, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০৫/২০১৫ইং
এটি ডেনমার্ক এর জাতীয় ফুল।

4 - Bondor Shahi Mosjid (31)

ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ – বন্দর শাহী মসজিদ


গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানী পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি মদনপুর চৌরাস্তায়। রাস্তা পার হয়ে সকালের নাস্তা করে নিয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করি ৩০০ টাকায় গোটা আটেক স্থানে যাবো বলে।

প্রথম লক্ষ্য ছিল “বন্দর মসজিদ” (মিলের মসজিদ) বলে একটি পুরনো ৩ গম্বুজ মসজিদ দেখার। কিন্তু সেটি খুঁজে বের করতে না পেরে চলে যাই কাছাকাছি থাকা “১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দিরে”। মন্দিরটি দেখে আমরা চলে আসি নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত “T Hossain House” দেখতে। শত বছররে পুরনো কিন্তু এখনো ঝকঝকে চমৎকার বাড়িটি দেখে আমরা চলে আসি “কদম রসুল দরগা” দেখতে। দরগার সুউচ্চ তোঢ়ণ এবং আশপাশটা দেখে আমরা এগিয়ে চলি আমাদের পরবর্তী গন্তব্য প্রাচীন “বন্দর শাহী মসজিদ” দেখতে।


পূর্ব পাশ থেকে বন্দর শাহী মসজিদ

বন্দর শাহী মসজিদ
মসজিদটি সম্পর্কে “বাংলাপিডিয়া” বলছে –

“বন্দর শাহী মসজিদ নারায়ণগঞ্জ জেলার কদম রসুল থেকে প্রায় এক মাইল দক্ষিণ-পূর্বে বন্দর পৌর এলাকায় অবস্থিত। সুলতান জালালুদ্দীন ফতেহ শাহের পদস্থ শাহী কর্মকর্তা মালিক আল-মুয়াজ্জম বাবা সালেহ কর্তৃক ১৪৮২ খ্রিস্টাব্দে (৮৮৬ হিজরি) মসজিদটি নির্মিত হয়।

বর্গাকার এ মসজিদের পরিমাপ অভ্যন্তরভাগে ৬.২০ মিটার এবং বহির্ভাগে ৯.৭০ মিটার। চার কোণে রয়েছে অষ্টভুজাকৃতি মিনার এবং দেয়ালে প্রোথিত কালো পাথরের দুটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত গোলার্ধ আকৃতির বৃহৎ গম্বুজ। এ স্তম্ভ দুটির ভিত বর্গাকার, শীর্ষভাগ কারুকার্যখচিত ও মধ্যভাগ অষ্টভুজাকৃতির। স্তম্ভের শীর্ষভাগে বসানো স্কুইঞ্চের উপর গম্বুজটি স্থাপিত। গম্বুজের গোড়ার দিকে চারপাশ ঘিরে রয়েছে পদ্মফুল ও কলসের নকশা-বেষ্টনী। শীর্ষভাগ মারলান শোভিত ড্রামের উপর গম্বুজটির স্থাপনা মুগল আমলে মসজিদটির সংস্কারের একটি অংশ বলে মনে হয়। মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথের মধ্যবর্তীটি প্রশস্ততর এবং এটির উচ্চতা ২.২০ মিটার ও চওড়া ১.৩৭ মিটার। দক্ষিণ ও উত্তর দিকে অপর দুটি প্রবেশপথ ২ মিটার উঁচু ও ১ মিটার প্রশস্ত। পার্শ্বের প্রবেশপথগুলো সম্মুখের মধ্যবর্তী প্রবেশপথের সমান আকৃতির। মসজিদটিতে তিনটি অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব আছে। এদের মধ্যবর্তীটি সবচেয়ে বড়। উত্তর পাশের মিহরাব এখন আলমারি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। মসজিদটি পুনর্নির্মিত হয়েছে এবং পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তর দিকে বারান্দা সংযোজন করে এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে। মসজিদটি এখন জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে।
[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]”

দেখতে পেলাম এই অতীপ্রাচীন মসজিদটির ধারনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এর চারপাশে এমন ভাবে সম্প্রসারন করা হয়েছে যে প্রাচীন স্থাপত্যের প্রায় সবচাই ঢেকে গেছে। তবুও স্থাপনাটিকে যে ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে দালান করেনি সেইটাই সান্তনা। অনেক যায়গায় দেখেছি এমনটা হতে।


বন্দর শাহী মসজিদের গম্বুজ


বন্দর শাহী মসজিদের গম্বুজের চূড়া


দক্ষিণ দিক থেকে বন্দর শাহী মসজিদ


দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বন্দর শাহী মসজিদ


দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থেকে বন্দর শাহী মসজিদ


দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থেকে বন্দর শাহী মসজিদ


পশ্চিমের একটি বারান্দা থেকে বন্দর শাহী মসজিদের গম্বুজ


বন্দর শাহী মসজিদের একটি মিনার


বন্দর শাহী মসজিদের ভিতরে প্রবেশে পথ


বন্দর শাহী মসজিদের ভিতরে প্রবেশে পথের উপরে শিলালিপী


বন্দর শাহী মসজিদের ভিতরে তিনটি মেহরাব


বন্দর শাহী মসজিদের ভিতরে কেন্দ্রীয় মেহরাব


বন্দর শাহী মসজিদের ভিতরে কেন্দ্রীয় মেহরাবের কারুকাজ


গুগল ম্যাপ

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°36’45.9″N 90°31’00.7″E

পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে নবীগঞ্জ। নবীগঞ্জ থেকে রিকসায় “বন্দর শাহী মসজিদ”।
তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে রিকসা নিয়ে চলে আসা যায় “বন্দর শাহী মসজিদ”।

বন্দর শাহী মসজিদ দেখে আমরা চলে যাই বন্দর সমর ক্ষেত্রের পাশে নির্মানাধীন একটি মাজার দেখতে। আগামী পর্বে তার কিছু ছবি থাকবে।

বি.দ্র. : আমি ওখানকার একজন খাদেমকে অনুরোধ করার সাথে সাথে তিনি তালা খুলে অব্যবহিত প্রাচীন মসজিদটির ভিতরে ঢুকে ছবি তুলতে দিয়েছেন। তবে লক্ষ করেছি পাশের এক চিলতে যায়গায় ছোট্ট বাগনটিতে নানা ধরনের ময়লা আর প্লাটিকের প্যাকেটের উচ্ছিষ্টে সায়লাব। আমরা যেন একটু সতর্ক থাকি, যাতে আমাদের চারপাশটা পরিষ্কার থাকে।