বিভাগের আর্কাইভঃ বিজ্ঞান

জানা অজানা মানব মস্তিষ্ক

জানা অজানা মানব মস্তিষ্ক

মস্তিষ্ক নিয়ে আমাদের উৎসাহের কমতি ছিল না কোনো কালেই। এখনও নেই। শুধু কেবল ক্যালকুলেশন বা সিনাপ্সিস না, ব্রেনের অজানা কিছু তথ্য যা শুনলে আসলেই আপনি অবাক হবেন-

· আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের পুরো শরীরের ওজনের ২% কিন্তু মস্তিষ্ক শরীরের ২০% total energy এবং অক্সিজেন ব্যবহার করে।

· মস্তিষ্কের ৭৩% হলো পানি। কেবল মাত্র ২% পানিশূন্যতা ( dehydration) হলেই মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞানেন্দ্রীয় ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ে।

· ৯০ মিনিটের ঘাম, মস্তিষ্কের সংকোচন ঘটায় যা এক বছরের বয়ষ্কালের অনুরূপ।

· মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৩ পাউন্ড ( ১.৩৬ কেজি), যার ৬০% dry weight হলো ফ্যাট। ফলে ব্রেন বা মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সবচেয়ে fatty organ।

· আমাদের শরীরের ২৫% Cholesterol ব্রেনে থাকে। এই Cholesterol হলো ব্রেন সেল (নিউরন) এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। পর্যাপ্ত পরিমাণ Cholesterol ছাড়া ব্রেনের সেলগুলো মারা যায়।

· আনুমানিক ৮৬ বিলিয়ন ব্রেন সেল দিয়ে আমাদের এ মস্তিস্ক গঠিত।

· এক একটা নিউরন প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ স্নায়ু উদ্দীপনা (nerve impulse) সৃষ্টি করে/ পাঠাতে পারে এবং ২০০০০ থেকে ১০০০০০ অন্যান্য নিউরনের সাথে সংযোগ করতে পারে।

· একটি ব্রেন টিস্যুর সাইজ একটি বালির কণার মতো যাতে থাকে ১০০০০০ নিউরন এবং ১ বিলিয়ন সিনাপ্স, যারা প্রত্যেকেই একে অপরের সাথে সংযোগায়ন করে থাকে।

· সকল ব্রেন সেল কিন্তু একরকম নয়। আনুমানিক ১০০০০ ধরনের নিউরন রয়েছে আমাদের এই ক্ষুদ্র ব্রেনে।

· ব্রেনের মধ্যে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সাপ্লাই থাকা বাঞ্ছনীয়। কেবল মাত্র ৫মিনিট অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ থাকলে কিছু ব্রেন সেল মারা যেতে পারে, যা ব্রেনের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর।

· বাচ্চাদের ব্রেন দ্রুত বেড়ে উঠে। মাত্র ২ বছরের শিশুর ব্রেন, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ব্রেনের প্রায় ৮০ ভাগ হয়ে থাকে।

· ২৫ বছর বয়সে মানব মস্তিষ্ক পূর্ণতা লাভ করে।

· ব্রেনের ইনফরমেশন ঘণ্টায় প্রায় ২৬৮ মাইল বেগে ভ্রমণ করে। ২৪০ মেইল বেগে ছুটে চলা একটা রেসিং কার থেকেও দ্রুত চলছে এই ক্ষুদ্র ব্রেন।

· আপনার ব্রেন ১২-২৫ ওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করে যা একটি low-wattage LED light জ্বালানোর জন্যে যথেষ্ট।

· ব্রেনকে random thought generator বলা হয়। মানব মস্তিষ্ক দিনে আনুমানিক ৫০০০০ চিন্তা তৈরি করতে পারে।

· ব্রেনে প্রতি মিনিটে ৭৫০-১০০০ মিলিলিটার ব্লাড প্রবাহিত হয়।

· আপনার ব্রেন একটা ইমেজ বা ছবি প্রসেস করতে পারে যা আপনি মাত্র ১৩ মিলি সেকেন্ড দেখেছেন, চোখের এক ঝাপটা ফেলার চেয়েও কম সময়ে।

· সাধারণত, পুরুষের ব্রেন মহিলার থেকে ১০% বড়। কিন্তু হিপ্পকেম্পাস যেখানে স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে, তা মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি থাকে।

· Albert Einstein এর ব্রেনের ওজন ছিল ২.৭১ পাউন্ড (১.২৩ গ্রাম) যা সাধারণ মস্তিস্কের চেয়ে ১০% ছোট। কিন্তু নিউরন ডেনসিটি বেশি ছিল।

· Neanderthal (আদিমানব) brains আমাদের Homo sapiens ব্রেন থেকে প্রায় ১০% বড়।

· অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় মানব ব্রেন বড় হলেও সবচেয়ে বড় না। sperm whales যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তার মস্তিষ্কের ওজন ছিল ১৭ পাউন্ড।

· বিগত ১০-২০০০০ বছরে ব্রেনের সাইজ গুরুত্বপূর্ণভাবে কমে গেছে। কমে যাওয়া সাইজের পরিমাণ একটি টেনিস বলের সমান।

· hippo-campus কে ব্রেনের memory center বলা হয়। একে সাধারণত লন্ডনের ক্যাব ড্রাইভারের সাথে তুলনা করা হয়। কারণ লন্ডনের ক্যাব ড্রাইভাররা লন্ডনের প্রায় ২৫০০০ স্ট্রিট প্রদক্ষিণ করে।

· বর্তমানে ক্রনিক স্ট্রেস আর ডিপ্রেশন আমাদের জীবনে প্রচণ্ডভাবে বিদ্যমান। এর যেকোনো টাই ব্রেনকে সংকোচন করতে পারে।

· মডার্ন ডায়েটে essential fatty acid ওমেগা-৩ কম থাকে। বয়সের সাথে সাথে যেভাবে ব্রেনের অবকাঠামোর ক্ষয় হয় ঠিক তেমনভাবে ২ বছরের ক্ষিয় ব্রেনের পরিমাণ হলো লো ওমেগা-৩ এর ফলাফল।

· ভিক্টোরিয়ান এরা থেকেই, এভারেজ আইকিউ কমে যাচ্ছে যা প্রতি যুগে ১.৬ পয়েন্ট এবং এ পর্যন্ত টোটাল ১৩.৩৫ পর্যন্ত কমে গেছে।

· আমরা যুগের সাথে মাল্টিটাস্কার হয়ে গেছি ঠিকই কিন্তু আমাদের ব্রেন একই সাথে ২টা কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না। ব্রেন আসলে যা করে, দুইটা কাজের মধ্যে toggle হয়ে যায় – একবার এটা আরেকবার ওইটা! কিন্তু এতে করে আপনার এটেনশন দেয়ার ক্ষমতা কমে যায়, নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা কমে যায়, আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যায়, তদুপুরি ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমে যায়।

· সাধারণত বাচ্চাদের থেকে মাইলেনিয়াল বা পূর্ণ বয়স্ক মানুষের (১৮-৩৪ বয়স) মনে রাখার ক্ষমতা কম। যেমন- আজ কী বার কিংবা চাবিটা সে কোথায় রেখেছে!

· দিন দিন মানুষের মনযোগায়ন কমে যাচ্ছে। ২০০০ সালে যেখানে মানুষের মনোযোগের সময়কাল ছিল ১২ সেকেন্ড বর্তমানে তা প্রায় ৮ সেকেন্ড যা গোল্ডফিশের attention span থেকেও কম।

· ব্রেনের সেলগুলো ডায়েটিং (লো ফ্যাট ডায়েট) এর ফলে এনার্জি কম পায়, এবং অনেকদিন যাবত এমন চলতে থাকলে ক্ষুধা মেটাবার জন্যে নিজেদেরকে খেয়ে ফেলে।

· ব্রেনে রয়েছে ১৪০ ধরনের প্রোটিন, যা electromagnetic frequencies এর ফলে নেগেটিভলি চার্জ হয়ে যায়। আর এই electromagnetic frequencies নিঃসৃত হয় সেল ফোন বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে।

· জিপিএস এর উপর নির্ভর করার ফলে মানুষ innate sense of direction হারিয়ে ফেলে। ব্রেনের যে অংশ ন্যাভিগেশন এর কাজ করে, তা যদি বন্ধ হয়ে যায় তখন সেই নিউরাল কানেকশনগুলো ফেড হয়ে যায় অনেকটা সবকিছু কেটে সাফ করার মতো।

· ব্রেন স্ক্যান করার ফলে দেখা গেছে আমরা আমাদের ব্রেনের বেশিরভাগ অংশই ব্যবহার করে থাকি, এমনকি আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনও।

· লেফট ব্রেন অথবা রাইট ব্রেন পারসোনালিটি অথবা স্কিল বলে কিছুই নাই। আমরা whole-brained

· এলকোহল ব্রেন সেলকে মেরে ফেলে না বরং এক নিউরনের সাথে অন্য নিউরনের সংযোগকে ছিন্ন করে।

· মোজার্ট (ব্রেনে উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী মিউজিক) এফেক্টকে ঘৃণ্য করা হলেও, কিছু কিছু মিউজিক স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগায়ন বৃদ্ধি করে।

· ধারণা করা হয়ে থাকে জ্যোতির্মণ্ডলে তারকারাজির থেকেও আমাদের নিউরনের সংখ্যা বেশি, কিন্তু সেটা মোটেই সত্য নয়। আমাদের রয়েছে ৮৬ বিলিয়ন নিউরন আর জ্যোতির্মণ্ডলে রয়েছে ২০০-৪০০ বিলিয়ন তারকারাজি।

· আমাদের ব্রেনে রয়েছে ব্লাড ভেসেল যার সংখ্যা প্রায় ৪০০ মাইল।

· high cholesterol লেভেল আপনার হার্টের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এটা dementia (স্মৃতিশক্তি লোপ)এর ঝুঁকি কমায়।

· এতদিন মনে করা হতো, মানুষ এটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মেধা এবং ব্রেন সেল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক রিসার্চে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে পুরা জীবনকালেই ব্রেনের ক্ষমতা রয়েছে পরিবর্তন হবার এবং এই ঘটনাকে brain plasticity বলা হয়। শুধু তাই নয়, নিউরজেনেসিসের মাধ্যমে ব্রেন নতুন নতুন সেল তৈরি করতে পারে।

· মেমোরি হলো এক ধরনের কর্মক্ষমতা, কেবল মাত্র ব্রেনের একটা অংশ নয়। যেকোনো মেমোরি বা স্মৃতিকে নতুনরূপে সাজানো এবং ব্রেনের বিভিন্ন অংশে পাঠানো সংরক্ষণ করা যায়। এরপর আপনি যেই স্মৃতিটা চান সেটাই মনে রাখতে পারবেন।

· ২৪ বছরের মধ্যে ব্রেনের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে কিন্তু বিভিন্ন জ্ঞানীয় বা তত্ত্বীয় জ্ঞান বিভিন্ন বয়সে বিভিন্নভাবে তীক্ষ্ণ হয়। মজার কথা হলো, জীবদ্দশায় এক সময় আপনি কোথাও অনেক ভালো করবেন আবার কখনো অনেক খারাপ।

· এলকোহল পান করার সময় আপনি শেষবার কী করেছেন তা মনে রাখতে পারছেন না কারণ মদপানের সময় আপনার ব্রেন স্মৃতি বা মেমোরি তৈরি করতে পারে নি।

· ধারণা করা হয়, অবিশ্বাস্য তীক্ষ্ণ মেমোরি নিয়েই কিছু মানুষ দুনিয়াতে এসেছে, জন্ম নিয়েছে। কিন্তু আসলে সেই memory master দের জিজ্ঞেস করলে বুঝবেন তারা এই দক্ষতা অর্জন করেছেন বিভিন্ন টেকনিক প্রয়োগের মাধ্যমে।

· মানব মস্তিস্কের টিস্যুগুলো dense না। এরা ব্যাপক ভঙ্গুর, হাল্কা এবং তুলতুলে, ঠিক জেলাটিনের মতো।

· ব্রেন প্রতিদিন হাফ কাপ পরিমাণ ফ্লুয়িড তৈরি করে। এই ফ্লুয়িড cerebrospinal fluid এর মাঝে ভেসে বেড়ায়, যার ফলে এটা একটা shock absorber এর মতো কাজ করে যেন ব্রেন নিজের ওজনের ভারেই নষ্ট হয়ে না যায়।

· মাঝেমাঝে অর্ধেক ব্রেন সম্পূর্ণ ব্রেন থেকে ভালো। যখন সার্জন, খিঁচুনি বন্ধ করার জন্যে অপারেশন করেন, hemispherectomy এর মাধ্যমে ব্রেনের অর্ধেক অংশ কেটে ফেলে বা অকেজো করে দেয়। আশ্চর্যের কথা হলো, এতে করে রোগীর ব্যক্তিত্বে বা স্মৃতিশক্তিতে কোনো পরিবর্তন হয় না।

· প্রতিটা মানুষেরই আলাদা আলাদা pattern of connectivity আছে, ঠিক fingerprints মতো।

· যদিও ব্যথা ব্রেনে সৃষ্ট হয়, ব্রেনে এমন কোনো পেইন রিসেপ্টর নেই যাতে ব্যথা অনুভব করা যায়। এর থেকেই বোঝা যায়, ব্রেনের অপারেশন কীভাবে সম্ভব হয়, যখন রোগী সজাগ থাকেন কিন্তু কোনো ব্যথা অনুভব করেন না। মাথাব্যথা- মনে হতে পারে এর উৎপত্তি ব্রেন থেকে কিন্তু আসলে এর কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের sensations যা সৃষ্টি হয়- আশেপাশের চামড়া, জয়েন্ট, সাইনাস, ব্লাড ভেসেল বা মাসেল থেকে।

· অনেকেই মনে করেন Brain freeze (ঠাণ্ডা খেলে মাথা ধরা বা ব্যথা করা) এর উৎস ব্রেন কিন্তু না! এটা মুখের উপরিভাগ থেকে উৎপন্ন হয়। ভাগ্যক্রমে Brain freeze এর সময়ে ব্রেনের সেলগুলো ঠাণ্ডায় জমে যায়না, নচেৎ ভেঙ্গে যেত!

· বহির্মুখী ও অন্তরমুখী ব্যক্তিদের ব্রেনের গঠন একেবারেই আলাদা। MRIs এর মতে, বহির্মুখী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে dopamine reward network বেশি সোচ্চার আর অন্তরমুখী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে gray matter।

· Cambridge University এর এক রিসার্চ মতে, ব্রেনের ক্ষেত্রে শব্দের বিন্যাস জরুরী নয়। যতক্ষণ প্রথম আর শেষ অক্ষরটি সঠিক অবস্থানে থাকে, আপনার ব্রেন শব্দগুলোকে রিএরেঞ্জ করে নিতে পারে, দ্রুত পাঠ করার জন্যে। যেমন-

Aoccdrnig to a rscheearch at Cmabrigde Uinervtisy, it deosn’t mttaer in waht oredr the ltteers in a wrod are, the olny iprmoetnt tihng is taht the frist and lsat ltteer be at the rghit pclae. The rset can be a toatl mses and you can sitll raed it wouthit porbelm. Tihs is bcuseae the huamn mnid deos not raed ervey lteter by istlef, but the wrod as a wlohe.

· আপনার ব্রেনের ধারণ ক্ষমতা সীমাহীন। এটা আপনার কম্পিউটারের RAM এর মতো ক্লান্ত হয়ে যায় না।

· সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক রিসার্চ মতে, ব্রেনের memory capacity quadrillion or 1015 bytes।

· মানব মস্তিস্ক প্রতি সেকেন্ডে ১০১৬ ক্যালকুলেশন করতে পারে যা যেকোনো কম্পিউটার থেকে বহুগুণে বেশি।

· AI Impacts project এর রিসার্চারগণ এমন একটা উপায় বের করেছেন যা দ্বারা supercomputer কে ব্রেনের সাথে তুলনা করা যায়, যেখানে পরিমাপ করা হয় কত দ্রুত কম্পিউটার ইনফরমেশন আদান প্রদান করতে পারে। এই মানদণ্ড মতে দেখা গেছে মানব মস্তিস্ক IBM Sequoia থেকে ৩০ গুণ শক্তিশালী যা কিনা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম supercomputer।

· জাপানের K computer পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারগুলোর একটি। যখন তাকে মানব মস্তিষ্ককে নকল করতে বলা হয়, এর মোট সময় লাগে ৪০ মিনিট যা কিনা মানব মস্তিষ্কের ১ সেকেন্ডের কাজের সমান!

· ব্রেনের আনুমানিক ২০০ ধরনের কগনিটিভ গোঁড়ামি ও বিকৃতি আছে যার ফলে আমরা অযৌক্তিক চিন্তা ও ব্যবহার করে ফেলি।

· মেমোরি বা স্মৃতির সময়ের পরিবর্তিত হয়। অনুভব, অনুভূতি, আবেগ, প্রেরণা, ইঙ্গিত, অনুষঙ্গ, ব্যবহার নির্ভর করে কতটা সঠিকভাবে আপনি কিছু মনে রাখতে পারছেন কিনা। যেমন flashbulb memories (ফটোগ্রাফিক মেমোরি) যার ফলে আপনি কোনো দুর্ঘটনা বা দুঃখের কাহিনী হুবহু মনে রাখতে পারেন কিংবা কোনো সুখানুভূতি।

· মানুষ প্রতিদিন হাজার হাজার জিনিস নিয়ে চিন্তা করে। দেখা গেছে প্রায় ৭০% mental chatter (inner conversation) ই হলো নেতিবাচক- আত্ম সমালোচনামূলক (হেয়, সন্দেহ), হতাশাজনক এবং ভীতিজনক।

· মনে করছেন আপনার জীবনের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে? ৯৫ ভাগ সিদ্ধান্ত মানুষ তার অবচেতন মনে নেয়।

· ব্রেনে blood-brain barrier আছে যা বাইরের কোনো ক্ষতিকারক পদার্থকে ব্রেনের ভাস্কুলার সিস্টেমে প্রবেশ করতে দেয় না। কিন্তু এই বেরিয়ার ঠিক মোট কাজ করে না। Nicotine মাত্র ৭ সেকেন্ডে ব্রেনে প্রবেশ করে আর এলকোহল মাত্র ৬ সেকেন্ডে!

· আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় মানসিক উত্তেজনার আকাঙ্ক্ষায় থাকে।

· মানব মস্তিষ্ক অস্বাভাবিক রকম জটিল এবং মাঝেমাঝেই বেঁকে বসে বৈকি! কিছু কিছু অদ্ভুত বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে exploding head syndrome disorder (হেলুসিনেশন), Capgras syndrome ( যখন মনে হয় আপনজনগুলো হারিয়ে গেছে বা বদলে গেছে কিছু ছদ্মবেশী, রোবট বা এলিয়েন দ্বারা), Cotard’s syndrome (মনে হবে আপনি নিঃশেষ হয়ে গেছেন)

· মহাপণ্ডিত ব্যক্তিরা যুগে যুগে কালে কালে জন্মেছেন ঠিকই কিন্তু মাঝে মাঝে কোনো আকস্মিক আঘাত বা দুঃখ মানুষকে মহাপণ্ডিত বানিয়ে ফেলে অর্থাৎ সে নিজেকে অন্যভাবে বা নিজের মধ্যে এমন কিছু গুণের আবিষ্কার করে যা আগে তার ছিল না।

· ব্রেন সেলের সার্বক্ষণিক ফুয়েল সাপ্লাই দরকার বেঁচে থাকার জন্যে, কিন্তু তবুও এমন কোনো ব্যবস্থা নেই যে এই এনার্জি মজুদ করে রাখা যায়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে একটা ব্যাকআপ সিস্টেম আছে। লিভারের ফ্যাট গুলো ভেঙ্গে কিটোন বডিস তৈরি করে যা ব্রেনের জন্যে substitute fuel হিসেবে কাজ করে যখন কিনা ব্রেনে গ্লুকোজের ঘাটতি সৃষ্টি হয়।

· আপনার মস্তিষ্কই আপনার একমাত্র ব্রেন নয়! (The brain in your head isn’t your only brain)। আপনার intestines এ রয়েছে ১০০ মিলিয়ন নিউরন। Gut bacteria আনুমানিক ৩০ ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি করতে পারে যার মধ্যে রয়েছে সেরোটোনিন হরমোন বা হ্যাপি হরমোন।

· Apple এর ডিভাইস আর Android ডিভাইস ইন্তু একদমই আলাদা। MRIs মতে Apple এর ডিভাইস তাদের ব্রেনে god spot এর উত্তেজনা বা উদ্দীপনা তৈরি করে ঠিক আস্তিকের ঈশ্বর ভক্তির মতোই।

_________________
লেখক : নাবিলা আফিয়া
কোয়ান্টাম ফাউণ্ডেশন।

কখনো ভেবেছেন শিশুদের দৈত্য, ভূত-প্রেতের গল্প কেন পড়ানো হয়?


শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি প্রত্যয় হচ্ছে Maxims of Learning. এই প্রত্যয়টিতে শিক্ষাটা কেমন হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা করে। অনেকগুলো নীতির সমন্বয়ে এটি গঠিত। যেমন: শিক্ষা হবে সহজ থেকে কঠিন, জানা থেকে অজানা ইত্যাদি। তো সেরকমই একটি নীতি।
হলো : মূর্ত থেকে বিমূর্ত। অর্থ্যাৎ ধরা ছোয়া স্পর্শ করা যায় এমন বস্তু থেকে শিশুকে ক্রমশঃ বিমূর্ত বস্তুর কল্পনার করার দিকে এগুতে হবে। অর্থ্যাৎ শিশুর কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটবে।

শিশুদের বইগুলোতে কৃষকের গল্প, রাখালের গল্পের পরে সম্ভবত সেই জায়গা থেকেই ভুত, রাক্ষস,দৈত্য, রূপকথার গল্প এসবের গল্প পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি। রাক্ষসের গল্প পড়তে গিয়ে শিশু কল্পনা করে নেয় তিন চোখওয়ালা অদ্ভুত এক প্রাণী, ধরে ধরে মানুষ খেয়ে নিচ্ছে, তার এক নিঃশ্বাসে চারিদিকে ধুলিবালিতে ঢেকে যায়, মেঘের মত কুণ্ডলী পাকাতে থাকে, হুংকার তোলে স্বর্গ মর্তে আমার মতো শক্তিশালী কেউ নাই, আয় আয় আয়…. সহ নানা রকমের গল্প। শিশু কল্পনা করতে থাকে দৈত্য, ভুত, রাক্ষস, শাকচুন্নীকে….

লক্ষ্য করবেন শিশুরা দু’একটা গল্প পড়ার পর নিজের মত করে গল্প সাজানো শুরু করে, রাজকন্যার জন্য পাখির পিঠে চেপে আসে রাজকুমার। রাস্তায় যুদ্ধ হয় এক চোখওয়ালা দৈত্যের সাথে। অর্থ্যাৎ তাদের কল্পনাশক্তি বিকশিত হতে থাকে। যা তার পরবর্তী জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তাছাড়া গল্পগুলো অনেক বেশী আকর্ষনীয় হওয়া শিশুদের বই পড়তে উদ্ভুদ্ধকরণের জন্য, বই পড়ায় আনন্দ পাইয়ে দেওয়া, পাঠ্যাভ্যাসের বিকাশ ইত্যাদি তো থাকছেই……

শিক্ষার্থী
শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

চেরনোবিল: এইচবিও টিভি সিরিজ

প্রথম প্রথম ল্যাব করতে গিয়ে এ্যাসাইনমেন্ট পড়লো ইউরেনিয়াম, আর্মেসিয়াম সহ বেশ কিছু তেজস্ক্রিয় পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা নিরূপনের জন্য। সারাজীবন শুধু ইউরেনিয়াম, এটমিক বোমার নামই শুনে গেছি কিন্তু কখনো ইউরেনিয়াম নিয়ে নাড়াচাড়া করবো সেটা ভাবিনি। এরপর আরেকটা পড়লো ঘরের কোনায় লুকিয়ে থাকা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা নিরূপনের জন্য একটা সিস্টেম বানানো। তখন এটমেল এভিআর ৩২ এর চল ছিলো, বাজারে রাসবেরীর সিস্টেম সবে আসতে শুরু করেছে। এরপর আরেকটা এ্যাসাইনমেন্ট এলো যে রেডিয়েশন ব্লক করার সিস্টেম এবং তাদের কার্যকরীতা। লেড মানে প্লামবাম থেকে শুরু করে এলউমিনিয়াম গ্রাফাইট, মোটা পুরু কংক্রীটের স্লাব সবই ছিলো সেই বিকিরন টেস্টে। সে এক লম্বা তেজস্ক্রিয় টাইপের ইতিহাস। যদিও প্রফেসর সুপারভাইজার গন আমাদের আশ্বস্ত করতেন যে আসলে আমাদেরকে পিউর ইউরেনিয়ামের সংস্পর্শে নেয়া হবে না। এমন কিছু ধাতব পদার্থ যাদের ওপর ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয় বিকিরন ফেলা হয়েছে সেসব দিয়ে এই প্রজেক্ট গুলো করানো হবে।

সে যাকগে, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কখনো যদি মেল্ট ডাউন বা দুর্ঘটনা ঘটে তখন সবচে বিপদজ্জনক যে জিনিসটা হয় তেজস্ক্রিয়তার ছড়াছড়ি। এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সবাই যেটা জানি না কোরিয়ামের ভয়াবহতা। নিউক্লিয়ার রড যখন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চেইনরিএকশন ঘটে তাকে ঘিরে থাকা কন্ট্রোলড মডারেটর আর কিছু করতে পারে না। প্রচন্ড তাপে, এই মোটামুটি ২৭০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে (১০০ ডিগ্রিতে পানি বাস্পীভূত হয়, ইস্পাতের গলনাংক ১৫১০ ডিগ্রী), মডারেটর ধরে রাখতে পারে না। সেখানে প্রচন্ড তাপে ইউরেনিয়াম ফুয়েল রড গলতে শুরু করে এবং আশেপাশের সবকিছু গলিয়ে লাভাতে পরিনত করে। পানির সংস্পর্শে এসে বোরিক এসিড, ইন্ডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, সিজিয়াম আয়োডাইড এবং পরে জিরকোনিয়াম ডাইঅক্সাইডের সৃষ্টি করে। পানির সংস্পর্শে প্রচুর বাস্পের সৃষ্টি করে এবং সেই বাস্পে এসব তেজস্ক্রিয় পদার্থ বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে আর তখন শুরু হয় তুষার পাত। দুর্ঘটনাস্থল হতে ১৫০-২০০ কিলোমিটার দূরে জানালার শার্সিতে যে ধূলো লেগে আছে তাতে পাবেন তেজস্ক্রিয় আয়োডিন ১৩১ এর আইসোটোপ। সেই কোরিয়াম ঠান্ডা করতে সারা সোভিয়েত ইউনিয়নের যত বোরন ছিলো অথবা হিট এক্সচেন্জারের জন্য যত লিকুইড নাইট্রোজেনের মজুত সব এক অর্ডারে চেরনোবিলে জড়ো করা হয়েছিলো। সুইডেনের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের মিটারে আয়োডিন ১৩১ এর আইসোটোপ ধরা দিচ্ছিলো। তখনও সারা বিশ্ব জানতে পারে চেরনোবিলের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে দুর্ঘটনা হয়েছে। সাদা তুলোর পেজার মতো পড়তে থাকা তুষারপাত মানুষ ভুল ভেবে যদি চোখে মুখে লাগায়, অথচ এটাই তেজস্ক্রিয়তা তখন কি কেউ ভেবে দেখেছে তার কি হবে?

সুন্দর একটা পয়েন্ট! তেজস্ক্রিয়তা আসলে ব্যাপারটা কি? মানুষ যখন তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসে তখন আমাদের কংকালের হাড়ের ক্যালসিয়াম খুব দ্রুত তেজস্ক্রিয় বা আয়োনাইজড হয়ে যায় এবং সেগুলো বিকিরন করা শুরু করা। ফলে শরীরে রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিন বা রেড সেলের অক্সিজেন স হজেই নস্ট হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ও হিলিং ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কোষের ডিএনএ গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মিউটেটেড হওয়া শুরু করলে হাড় থেকে মাংস গুলো খসে পড়ার যোগাড় হয়। বড় ভয়ংকর সে মৃত্যু। তবে আপনাকে সে পরিমান রেডিয়েশনের শিকার হতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে বছরে আপনি বছরে সর্বমোট মাত্র ৩ রয়েন্টজেন্ট রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসতে পারেন। আপনি যদি নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন তাহলে বছরে ৫ এর বেশী না। এখন আপনি যদি হেজমেট স্যুট পড়ে রিএক্টরের সামনে নাচানাচি করেন, তাহলে আপনার মৃত্যু হয়তো তার পরের দিন সকালে লিখিত হবে। চেরনোবিল রিএ্যাক্টরে যখন মেল্ট ডাউন হয় তখন দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে ১৫০০০ রয়েন্টজেন্ট এবং কেন্দ্রে প্রায় ১ মিলিয়ন রয়েন্টজেন্ট ছিলো।

এইচবিও চেরনোবিলের ওপর অসাধারন সিরিজ তৈরী করেছে। প্রথম দুটো এপিসোডে এমনও দৃশ্য আছে যখন রেডিয়েশনের মেঘ লোকালয়ের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে তখন তার নীচে ছোট ছোট শিশুরা পনিটেইল বেধে স্কুলে খেলা করছে। কিশোরীরা গরম থেকে রক্ষা পাবার জন্য আইসক্রীমে কামড় দিচ্ছে। উঠতি বয়সী যুবকেরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাস্কেটবল কোর্টে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক দৃশ্য ছিলো যখন রেডিয়েশনে আক্রান্ত সবাইকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন প্রিয় পোষা কুকুরটি সে গাড়ীর পিছে দৌড়াচ্ছে। কুকুরটির শরীরের অর্ধেক পশম নেই, রক্ত ঝরছে। তার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। সে তার মালিকের গাড়ীর পিছু নিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, সরকার পক্ষ নিজেদের এহেন ব্যার্থতাকে ঢেকে রাখবার জন্য যে অসুস্থ অস্বীকার ও ঘটনা ধামাচাপা দেবার প্রবনতা সেটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। যেসব কয়লা শ্রমিকদের রিএ্যাক্টরের নীচে থাকা পানি সরানোর জন্য পাম্প ও হিট এক্সচেন্জার বসানোর কাজে নিয়োজিত করা হয়, তাদের ছিলো না কোনো হেজমেট। ওপরে ইউরেনিয়াম অক্সাইডের কোর গলছে, মিলিয়ন মিলিয়ন রয়েন্টজেন্ট পরিমান তেজস্ক্রিয়তা নির্গমন হচ্ছে আর নীচ দিয়ে পুরো উলঙ্গ অবস্থায় সূড়ঙ্গ গড়ছে। যদিও জানে না এই আত্মঘাতী কাজের জন্য তাদের কোনো ক্ষতিপূরন দেয়া হবে কিনা কিন্তু তারা এটা করছে এই গলিত কোরিয়াম যদি পানির সাথে গিয়ে থার্মোনিউক্লিয়ার ব্লাসট ঘটায় অথবা পার্শ্ববর্তী নদীর পানিতে মেশে তাহলে ৫০ লক্ষ মানুষের খাবারের সুপেয় জলের উৎস বহু বছরের জন্য তেজস্ক্রিয় হয়ে থাকবে।

সমালোচনা করা যায় গর্বাচেভের আদলে যিনি অভিনয় করছেন। ছোটবেলায় গর্ভাচেভের ভারী কিউট পার্সোনালিটির সাথে এ চরিত্রটা তেমন যায় না। কিন্তু তাতে এক অথর্ব দুর্নীতিগ্রস্থ ও অযোগ্য সরকারের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলতে এতটুকু কার্পন্য নেই কারো অভিনয়ে বা শুদ্ধ বয়ানে।

কি যেনো মসৃন কালো পাথরের মতো ছিলো! বেশ উৎসাহভরেই দমকল কর্মী সেটা হাতে নিলো। পাশের সহকর্মী বলে উঠলো,”ওটা গ্রাফাইট, ফেলে দে!” একটু সন্দেহ দেখা দিলো, হাত থেকে ফেলে দিলো,”কংক্রিটও হতে পারে!” কিন্তু তার মিনিট কয়েকের মধ্যে তার হাত ঝলসে গেলো। আসলে ওটা গ্রাফাইট ছিলো, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে তেজস্ক্রিয়তম পদার্থটি সে হাতে নিয়ে নিজের ওপর পৈশাচিক মৃত্যুকেই যেনো ডেকে এনেছিলো। রক্তাক্ত, কষ্টকর, যন্ত্রনাকাতর মৃত্যুর চাইতেও ভয়াবহ ছিলো এক অথর্ব স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের চরম ব্যার্থতার রূঢ় শিকার!

আমরাও কিছু দিন পর নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করছি। চেরনোবিলের আরবিএমকে নিউক্লিয়ার রিএক্টর থেকে হাজার গুন নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী ও যুগোপোগী এই রিএ্যাক্টর। যদি দক্ষ হাতে চালানো যায়, আমাদের আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে। ভুল হলেও এরকম ক্ষতি হবার সম্ভবনা নেই। তারপরও আমাদের হয়তো তখন একটা করে আয়োডিন ট্যাবলেটের কৌটা সাথে করে ঘুরতে হবে। তার আগে এই সিরিজটা একটা ভালো শিক্ষা হতে পারে।

অবশ্য আমরা মনে সান্তনা পাবার জন্য ফুকুশিমা দুর্ঘটনার দিকে তাকাতে পারি যেখানে তেজস্ক্রীয়তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আনা গেছে যদিও দুর্ঘটনাস্থলে এখনো ভয়াব হ মাত্রা তেজস্ক্রিয়তা বিদ্যমান। সেই পুরো প্লান্ট স্ক্রাপ করার জন্য ৪০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যের শুধু প্লান করার জন্য হাতে ৫ বছর রাখা হয়েছিলো। কিন্তু ৮ বছর পর রোবট দিয়ে এখন ধারনা পাওয়া যাচ্ছে চেরনোবিলের ফুকুশিমার রিএ্যাক্টর পুরোপুরি ধ্বসে যায়নি এবং কোরিয়াম এখনো রিএ্যাক্টরের ওপরের দিকেই আছে। পুরোপুরি রোবট নিয়ন্ত্রিত উদ্বার কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে তবে সেই টেকনোলজি এখনো কারো হাতে আসেনি। তাই বলে গবেষনা থেমে নেই। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভূমিকম্প রিখটার স্কেলের ৬-৭ ঠেকাবার জন্য সিভিল ইন্জিনিয়াররা পন্থা বের করতে পারলেও ৮ এর ওপর বা ৯ হলে তার কোনো পন্থা কারো জানা নেই। হতে পারে প্রকৃতির একটা ধাক্কা তাই বলে এটা আশীর্বাদ ধরা যায় এ জন্য যে এর ফলে টেকনোলজিক্যাল যে উন্নয়ন ঘটবে তা কাজে লাগানো যাবে গ্রহান্তরী অভিযান বা আরো বড় কোনো কাজে।

বিজ্ঞান আসলেই উত্তর দেয়, বলা হয়নি যে সবকিছু স হজে মিলবে। প্রকৃতির গুপ্তধন আরাধ্য বলেই মানুষের এগিয়ে যাওয়া।

ফেসবুকে কী লিখবেন কী লিখবেন না

শেষ পর্বঃ
যা লিখবেন নাঃ
ফেসবুকে যেমন আপনার লেখার স্বাধীনতা রয়েছে, তেমনি এমন কিছু না লেখারও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চান না তার কোন ইউজার পোস্ট করে বিপদে পড়ুক। শুধু ফেসবুক কেন, কেউ চান না আপনি বিপদে পড়ুন। কারণ আপনার একটি পোস্ট বা লেখা সর্বাধিক মানুষের যেমন উপকার হতে পারে, আবার তার বিপরীতে চরম বিপদও ডেকে আনতে পারে। রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী, কটূক্তি, নগ্ন ছবি প্রকাশ, ব্যক্তিগত আক্রোশ, আবেগতাড়িত কোন পোস্ট, মিথ্যা প্ররোচনা, তথ্য বিম্ভ্রাট জাতীয় কোন পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করবেন না।

সতর্ক থাকতে অনুভূতি প্রকাশেঃ
হয়তো মনে হতে পারে ফেসবুকে আবার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কেন সতর্ক থাকতে হবে? প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে আইন রয়েছে। সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে যেমন ধারণা থাকতে হবে, তেমনি তথ্যপ্রযুক্তি আইন সম্পর্কেও আপনাকে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। তা নাহলে আপনাকে যেকোন সময় বিপদে পড়তে হতে পারে। ফেসবুকে যে আপনি কমেন্ট, লাইক, শেয়ার, রিয়েক্ট বাটন ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, অন্যের পোস্টে কমেন্ট, লাইক, শেয়ার ও রিয়েক্ট এর মাধ্যমে আপনার রূচিবোধ ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। কোন ধরণের পোস্ট বা লেখা আপনি পছন্দ করেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোন বিতর্কিত পোস্ট আপনি লাইক,শেয়ার কিংবা রিয়েক্ট দিয়ে সমর্থন করলেন। এই পোস্টের সমর্থনের কারণেও আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।

অসতর্কতায় ফেঁসে যেতে পারেন সাইবার অপরাধেঃ
ফেসবুকে মানহানিকর বা বিভ্রান্তিমূলক কিছু পোস্ট করলে, ছবি বা ভিডিও আপলোড করলে, কারও নামে একাউন্ট খুলে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট দিলে, কোন স্টেটাস দিলে কিংবা শেয়ার বা লাইক দিলেও সাইবার অপরাধে ফেঁসে যেতে পারেন। আবার মেসেঞ্জারে মেসেজ, ভিডিও কল, অডিও কলে অশালীন বাক্যালাপ, হুমকি, দেশবিরোধী কোন কিছু করলে, ভাইরাস ছড়ালে সাইবার অপরাধ হতে পারে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৭ ধারায় বলা আছে, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কোন মিথ্যা, বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃংখলার অবনতি হয় অথবা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, তাহলে সাইবার বা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অভিযুক্ত হবে। যার শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং সর্ব নিম্ন ৭ বছর এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।

কী করবেন সাইবার অপরাধে ফেঁসে গেলেঃ
আপনি যদি সাইবার অপরাধে গুরুতর শিকার হন এবং এর প্রতিকার চান তাহলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আশ্রয় নিতে হবে আপনাকে। এ জন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ থানায় এজাহার/জিডি দায়ের করতে পারেন। আপনার ফেসবুক একাউন্ট কেউ হ্যাক করলে, ফেসবুক কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে হ্যাক হলে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করলে কিংবা অন্য কোন অপরাধের শিকার হলে দেরি না করে নিকটস্থ থানায় জানিয়ে রাখতে হবে। যদি সাইবার অপরাধের অভিযোগে মিথ্যাভাবে ফেঁসে যান, তাহলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বুঝিয়ে বলতে হবে আপনি পরিস্থিতির শিকার। যদি আদালতে আপনাকে প্রেরণ করা হয় তাহলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে যেতে হবে।

ফেসবুকে কী লিখবেন কী লিখবেন না-১ম পর্ব।

7 - Sonakand Durgo (68) - Copy - Copy

আকাশে গ্রহের হাট

আজ রাতে যারা আকাশ দেখতে চান তাদের জন্য সুখবর।
গত ১৫ বছরের মধ্যে আজ রাতে মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে।
ছবিতে আজ রাত ৮টায় ঢাকার আকাশপট দেখানো হয়েছে।
সেখানে পশ্চিম আকাশ থেকে শুক্র, বৃহস্পতি, শনি ও মঙ্গলের অবস্থান দেখানো হয়েছে।
অর্থাৎ একই সাথে ৪টি গ্রহ এখন দেখার সুযোগ আছে।

সন্ধ্যার পরে পশ্চিম আকাশে সবচেয়ে বড় তারাটিই আসলে তারা নয় শুক্র গ্রহ।
তার কিছুটা উপরে জুপিটার।
মাথার উপরে থাকবে শনি।
আর পূবাকাশে উঠবে লালচে মঙ্গল।

Lunar eclipse 18 - (11)

পূর্ণগ্রাস চন্দগ্রহণ ২০১৮

পূর্ণগ্রাস চন্দগ্রহণ ২০১৮

আগামী ২৭শে জুলাই রাতে পূর্ণগ্রাস চন্দগ্রহণ হবে। আসলে ভুল বলা হল। যে সময় চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে তখন আমাদের দেশে ঘড়িতে সময় হবে রাত ১২টা ২৪ মিনিট, ফলে ক্যালেন্ডারের নিয়মে তখন ২৮ তারিখ হয়ে যাবে।

অন্যদিক থেকে আবার বলা যায় ২৭ তারিখ রাত ১১টা ১৪ মিনিটে চাঁদ পৃথিবীর উপচ্ছায়ায় ঢুকে প্রাথমিক উপচ্ছায়া গ্রহণ শুরু হবে, যদিও একে ঠিক গ্রহণ বলা যায় না। এই সময় চাঁদের আলো ধীরে ধীরে কমতে থাকবে কিন্তু সত্যিকারের গ্রহণ শুরু হবে রাত ১২টা ২৪ মিনিটে। তখন থেকে চাঁদ পৃথিবীর প্রচ্ছায়ায় ঢুকা শুরু করবে আর ধীরে ধীরে চাঁদ ঢেকে যেতে শুরু করবে অন্ধকারে। একে বলে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ । রাত ১টা ৩০ মিনিটে চাঁদ পুরপুরি অন্ধকারে ঢেকে গিয়ে শুরু হবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। রাত ৩টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে এই পূর্নগ্রহণের কাল। অর্থাৎ ১০৩ মিনিট পর্যন্ত আকাশে কোন চাঁদ থাকবে না। তারপর চাঁদ ধীরে ধীরে বের হতে শুরু করবে অন্ধকার থেকে। শুরু হবে আবারও আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। ভোর ৪টা ১৯ মিনিটে চাঁদ আংশিক চন্দ্রগ্রহণ থেকে মুক্ত হবে। তখন চাঁদের পুরটা দেখা গেলেও উপচ্ছায়ার ভিতরে থাকার কারণে চাঁদের আলো কিছুটা ম্লান থাকবে। ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে চাঁদ গ্রহণের সমস্ত প্রভাব কাটিয়ে ৬ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পরে বেরিয়ে আসবে স্ব-মহিমায়। কিন্তু তার অনেক আগেই ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে ঢাকার আকাশে সূর্যোদয় হয়ে আলো ফুটতে শুরু করবে।

উপরের অংশটুকু পরে থাকলে কয়েকটা জিনিস হয়তো কেউ কেউ জানতে চাইতে পারেন। আমার ভাসা ভাসা জ্ঞানে যতটুকু সম্ভব সহজ ও সরল ভাষায় বলার চেষ্টা করছি।

চন্দ্রগ্রহণ কি?
পৃথিবী উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, আবার চাঁদও উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। কক্ষপথ পরিভ্রমণের এক পর্যায়ে পূর্ণিমার রাতে চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী এসে যায়।

সেই সময় যদি সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ এই তিনজন এক সমতলে এবং এক সরলরেখায় চলে আসে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে বাঁধা পড়ে মহাকাশের বিশাল এলাকা জুড়ে পৃথিবীর ছাড়া পরে। পূর্ণিমার চাঁদ যখন সেই ছায়াতে ঢুকে তখনই ঘটে চন্দ্রগ্রহণ।

প্রতি মাসে পূর্ণিমা হয় কিন্তু চন্দ্রগ্রহণ হয় নাকেন?
প্রতি মাসে একবার করে পূর্ণিমা হয় এবং চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী এসে যায়। পৃথিবীর ছায়াও ছড়িয়ে পরে। কিন্তু তবুও প্রতি পূর্ণিমাতে চন্দ্রগ্রহণ হয় না। এর কারণ হচ্ছে সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ এই তিনজন সব সময় একই সমতলে অবস্থান করে না।

চন্দ্র গ্রহণ হতে হলে সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ এই তিনজন এক সমতলে এবং একই সরল রেখায় আসতে হবে পূর্ণিমার দিনে। ঠিক সেই সময় চাঁদের কক্ষপথের নির্দিষ্ট দুটি অংশে যদি চাঁদের অবস্থান হয় তখনই কেবল চন্দ্রগ্রহণ ঘটে।

পৃথিবীর ছায়ার কয় প্রকার?
সূর্যের আলো পৃথিবীতে বাধা পেয়ে মহাকাশে তার যে ছায়া পরে তা দুই রকমের। এক উপচ্ছায়া এবং দুই প্রচ্ছায়া।

প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া কি?
চন্দ্রগ্রহণ কত প্রকার?
কোন চন্দ্রগ্রহণ কখন হয়?

ছায়ার কেন্দ্রী অংশে থাকে প্রচ্ছায়া অঞ্চল। এই অঞ্চলে সূর্যের আলো একদমই পৌঁছতে পারে না। চাঁদ যখন এই অঞ্চলে থাকে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদ যখন আংশিক প্রচ্ছায়া অঞ্চলে থাকে তখন আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয় আর চাঁদ যখন সম্পূর্ন প্রচ্ছায়া অঞ্চলে থাকে তখন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়।

অন্যদিকে প্রচ্ছায়া অঞ্চলের দুই দিকে অনেকটা এলাকা জুড়ে থাকে উপচ্ছায়া অঞ্চল। উপচ্ছায়া অঞ্চলে সূর্যের আলো কিছু পরিমাণ পৌঁছায়। ফলে চাঁদ যখন শুধুমাত্র উপচ্ছায়ায় অবস্থান করে তখন কোন গ্রহণ ঘটে না, চাঁদকে শুধু কিছুটা ম্লান দেখায়।

খালি চোখে কি চন্দ্রগ্রহণ দেখা উচিৎ?
চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য কোন প্রস্তুতির দরকার নেই। খালি চোখে কোন সমস্যা ছাড়াই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়।

বি.দ্র. উপরের সমস্ত চিত্র নেট থেকে সংগ্রহীত ও সামান্য পরিমার্জীত করা হয়েছে।

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy - Copy

২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয়

২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয়

সূর্যের এই বর্ণবলয় তৈরি হতে কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ও উপাদানের সুসম উপস্থিতী বিদ্যমান থাকতে হয়।

প্রথমত, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ১০ কিলোমিটার উপরে মেঘ থাকতে হয়।

দ্বিতীয়ত, সেই মেঘ কেটে গেলে আকাশে ষড়ভুজাকৃতির লাখ লাখ স্ফটিক বরফ কণা ভেসে বেড়াতে হয়। এবং সেই সব স্ফটিক বরফ কণা আকাশে নির্দিষ্ট ভাবে সজ্জিত থাকতে হয়।

তৃতীয়ত, সূর্যের সঠিক অবস্থান থেকে সেই সব স্ফটিক বরফ কণার ভিতর দিয়ে সূর্যের আলো যেতে হয়।

স্ফটিক বরফ কণা তখন প্রিজমের কাজ করাতে, সূর্যের আলোর প্রতিসরণ ঘটে। ফলে সূর্যকিরণের সাদা আলো সাতটি রঙে ভেঙ্গে যায়। আর সেই ভেঙ্গে যাওয়া সাতটি রং কে আমরা পৃথিবী থেকে ২২ ডিগ্রী ব্যাসার্ধের একটি বর্ণময় সৌর বলয় হিসেবে দেখতে পাই। যেভাবে জলকণার ভিতর দিয়ে সূর্যের সাদা আলো ভেঙ্গে গিয়ে সাত রং এর রংধনু তৈরি করে এটিও অনেকটা একই রকম বিষয়।

উপরের কারণ গুলির কথা বিবেচনা করলে মনে হতে পারে এটা খুবই দূর্লভ একটা ঘটনা। আসলে তা নয়। বরং ২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয় বছরে প্রায় ১০০ বার দেখতে পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ রংধনুর চেয়েও বেশী দেখা যায় এই ২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয়।

আগামী সৌর বর্ণবলয় দেখার শুভকামনা রইলো সকলের জন্য।

বি.দ্র. সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়।

ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : বাড্ডা, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১২/০৭/২০১৮ ইং

ক্রিপ্টকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি কী?

আজ আমি আপনাদের এমন দুটি কারেন্সি বা মুদ্রার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, যার মূল্যের সাথে সোনা, রূপা, হীরা, মতির মূল্য খুবই নগণ্য। তো চলুন জেনে নেই সেই মুদ্রা গুলো সম্পর্কে…

ক্রিপ্টকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি এমন এক ধরনের মুদ্রা যা কোন থার্ড পার্টি ছাড়াই কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বা মোবাইল থেকে মোবাইলে লেনদেন করা যায়।
যেমন- BTC বা TCC।

প্রথমে জেনে নেই BTC র সম্পর্কে.. BTC বা Bitcoin হচ্ছে একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা ২০০৯ইং সালে চালু হয়েছিল এক একটি কয়েন শুধুমাত্র ২০ পয়সা দামে। আর সে সময় এর গ্রাহক ছিল কয়েক হাজার মানুষ। আর এখন ২০১৭ইং সালে মাত্র ৮ (আট) বছরের মধ্যে এক একটি Bitcoin এর মূল্য ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা প্লাস হয়েছে। এটি আপনাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, আপনি নিজেই এটির প্রমাণ দেখতে পারেন। এর জন্য আপনার মোবাইলের Play store থেকে Easy বা All Currency Converter নামে একটি Apps Install করে সেখানে একপাশে BTC আর একপাশে BDT দিয়ে প্রমাণ দেখতে পারবেন। অথবা গুগল থেকেও দেখতে পারেন। ইতিমধ্যে Bitcoin এর প্রচলন পৃথিবীর অনেক দেশে চালু হয়েছে, এমনকি সেই দেশ গুলোতে Bitcoin এর ATM বুথও বের হয়েছে। আর সরাসরি এই Bitcoin দিয়ে সেই দেশ গুলোতে খুব সহজেই ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।

২. TCC বা The Champ Coin চালু হয়েছে শুধুমাত্র ৩৫ পয়সা করে ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ যা Champ Cash নামক একটি Advertising আউটসোর্সিং কোম্পানি বের করেছে। আর ইতিমধ্যে এই কোম্পানিতে ১.৫ কোটিরও বেশি মানুষ যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে TCC র মূল্য ৪০/৫০ টাকা হয়ে গেছে এবং আগামী ৫ বছরের মধ্যে এক একটি TCC র মূল্য Bitcoin এর মূল্যকে পিছিয়ে ফেলে দিবে। তার কারণ BTC র চেয়ে TCC র মূল্য প্রতি মাসে ১০০% বেড়ে যাচ্ছে।

………………..
হাফেজ মাসউদ

এই উদ্ভিদ-প্রাণীদের গণিত শেখালো–শিক্ষকটা কে

গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছিড়েছেন কখনো?
ছিঁড়লেও নিশ্চয়ই গুণে দেখেন নি, কয়টা
পাপড়ি থাকে। ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫ কিংবা ৮৯ টা।
কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া প্রায় সব ফুলই এই নিয়ম
মেনে চলে। অদ্ভুত মনে হচ্ছে? আসুন আরো সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। আপনি সায়েন্স হোন আর আর্টস হোন, অঙ্কে দুর্বল হোন, আর সুপার ডুপার হোন খুব সহজেই হিসাবটা করতে পারেন।
.
০, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯, ১৪৪, ২৩৩, ৩৭৭…… এই যে সংখ্যাগুলো, এদেরকে বলা হয় ফিবোনাচ্চি সংখ্যা। অর্থাৎ, আগের সংখ্যার সাথে পরের সংখ্যাটা যোগ করলেই আরেকটি ফিবোনাচ্চি সংখ্যা পাওয়া যায়।
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ফুল এই নিয়ম মেনে চলে।
শুধু ফুল নয়, প্রকৃতির অনেক জায়গায় এ সংখ্যা পাবেন। ফলেও ফিবোনাচ্চি সংখ্যা দেখা যায়। আনারসের “চোখ” গুণে দেখুন। এক সারিতে ৮ টা কিংবা ১৩ টা থাকে।
.
নাম লিওনার্দো ফিবোনাচ্চি। জন্ম ইটালিতে। তিনি-ই সর্বপ্রথম এটি আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারেই এই ধারার নাম হয়েছে, ফিবোনাচ্চির ধারা! ১২০৩ খ্রিষ্টাব্দে খরগোশের প্রজননে তিনি সর্বপ্রথম এই ধারার অস্তিত্ব দেখতে পান। অর্থাৎ দুটি খরগোশ থেকে যদি প্রজনন হয়, আর একটা খরগোশও না মরে, তাহলে যদি ১০ মাস পর ৫৫ টা খরগোশ হয় ১১ মাস পর হবে ৮৯ টা, ১২ মাস পর হবে ১৪৪ টা।
.
এখানেই শেষ না। পাশাপাশি দুটি ফিবোনাচ্চি সংখ্যার যদি পরেরটাকে আগেরটা দিয়ে ভাগ করেন ১.৬১ হয়। অর্থাৎ ২৩৩ কে ১৪৪ দ্বারা কিংবা ৩৭৭ কে ২৩৩ দ্বারা ভাগ করলে ১.৬১ পাওয়া যাবে। একে বলে গোল্ডেন রেশিও। মানবদেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গে এই গোল্ডেন নাম্বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। একটা অঙ্গের দৈর্ঘ্যকে ১.৬১ দ্বারা গুণ করলে আরেকটা অঙ্গের দৈর্ঘ্যের সমান হয়।
.
বর্তমানে মিউজিকে এর বহুল ব্যাবহার দেখা যায়। বড় বড় ব্যান্ড দলগুলো বিভিন্ন মিউজিকে ফিবোনাচ্চির ছন্দ ব্যাবহার করেছে। এ মিউজিকগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

.
চমক শেষ হয়নি।
পাখিরা যখন দলবেঁধে আকাশে ওড়ে, গণণা করে দেখবেন। প্রতি দলে হয় ১৩ টা নাহয় ২১ টা নাহয় ৩৪ টা…….অর্থাৎ ফিবোনাচ্চির সংখ্যানুযায়ী এরা দলে বিভক্ত থাকে। যদি শিকারীরা কোনো একটা পাখিকে মেরে ফেলে, এরা দল ভেঙ্গে আবার ফিবোনাচ্চি সংখ্যানুযায়ী দলবদ্ধ হয়।
সত্যি-ই এটি প্রকৃতির এক অদ্ভুত রহস্য!
এই উদ্ভিদ-প্রাণীদের গণিত শেখালো কে?

সংগূহিত

বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো

বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশের বিশাল সম্ভবনা আছে। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম অত্যান্ত মেধাবী আর জাতিগতভাবে পরিশ্রমি। যদিও রাজনীতিতে ক্ষমতার দ্বন্ধে অবৈধ উপায়ে নির্বাচন করে তাকে বৈধতার প্রলেপ দেয়ার জন্য সরকার কর্তৃক নানাবিধ পদক্ষেপ দূর্ণীতির ধাবিত করছে তথাপিও এই সরকার এই শিল্প বিকাশের কথা বলছে বারবার। কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও এই শিল্পের বিশাল সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ
মহল।

প্রতিবন্ধকতাসমূহঃ
দক্ষ সফটওয়ার ডেভেলপারের অভাব।

দক্ষ সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে হলে দরকার প্রচুর অনুশীলন। তাই প্রথম সেমিস্টার থেকেই তা শুরু করতে হবে। পাঠ্যক্রমে যা আছে শুধু তার ভেতর সীমাবদ্ধ থাকা যাবেনা। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের সাথে ভালো সফটওয়্যার ডেভেলপারের কোনো সম্পর্ক নাই। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য লেখা পড়া করার বাইরে অতিরিক্ত সময় বের করে প্রোগ্রামিং অনুশীলন করতে হবে।

অনেক শিক্ষার্থীই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে কাজ করছে, বিষয়টিকে পজেটিভে ভাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু তারা উন্নত দেশের কাজগুলো করছে সেহেতু মার্কেটে টিকে থাকতে তাদেরকে প্রফেশনাল হতে বাধ্য করছে। বিশ্ববাজার এ নিজের অবস্থানকে তুলনা করার সুযোগ পাচ্ছে। যা তাদের এবং বাংলাদেশের ভবিষৎতের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

অবকাঠামো উন্নয়নে যে দুই-তিনটি বিষয় এ এখন খুব বেশী গুরুত্ব দেয়া দরকার বলে মন করা হচ্ছে তা হলোঃ
১. সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎত নিশ্চিত করা
২. বিভাগীয় সহর গুলোর সর্বত্র সার্বক্ষণিক উচ্চগতীর ইন্টারনেট নিশ্চিত করা (ভুলে যেতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ নাই বলে কোনো বিষয় আছে)
৩. কপিরাইট আইনের সঠিক বাস্তবায়ন (পাইরেসি)
৪. ইন্টারন্যাশনাল ব্যাঙ্কিং কে আরো সহজ করা
৫. বড় বড় IT কোম্পানিগুলোর জন্য IT পার্ক করা এবং শহরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা

হয়ত সবই হবে, তবে যত তাড়াতাড়ি হবে তত আমরা তাড়াতাড়ি এগোব।
বর্তমান সরকার যদি শুধু উন্নযনের শ্লোগানে না থেকে সঠিক পদক্ষপে এগিয়ে আসেন তবে সকল প্রতিবন্ধকতা সহজে উৎরে যাওয়া সম্ভব।

মোবাইলেই সম্পাদনা করুন ছবি ও ভিডিও চিত্র

মোবাইল দিয়েই ছবি ও ভিডিও চিত্র সম্পাদনা বা এডিটিং? কথাটা শুনতে অবাক হলেও এখনকার স্মার্টফোনে মিলছে এই কাংখিত সুবিধা। সময়ের প্রয়োজনে হাতের মুঠোফোনকে প্রযুক্তিসম্পন্ন সেবা দিতে উদ্যোক্তা বা কোম্পানীগুলো তৈরি করছেন বিশেষ সফটওয়্যার বা অ্যাপস। কম্পিউটার বা মোবাইল হচ্ছে হার্ডওয়্যার বস্তু। এটিকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ইনপুট করতে হয় সফটওয়্যার। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আরও বিকাশমান করতে মোবাইল ফোনকে কম্পিউটার ভার্সন করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে মাইক্রোসফট মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে। এসব মোবাইলে কম্পউটারের মতো উইন্ডোজ ব্যবহার করে করা যাচ্ছে কম্পিউটারের মতোই কাজ। তাই এই অংশে মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসলাম কিভাবে মোবাইলে সহজেই ভিডিও ও ছবি এডিটিং করে আকর্ষনীয় রূপ নেয়া যায়। শখের ফটোগ্রাফি কিংবা ভিডিও গ্রাফিই হোক না কেন, তা যদি নিজের মতো করে নিজের হাতেই সম্পাদনা করা যায় সে আনন্দ হয়ে উঠে সীমাহীন।

যারা সংবাদপত্রে বা সাংবাদিকতায় পেশায় নিয়োজিত আছেন, তারা এখন ক্যামেরার স্থলে ভালো মানের মোবাইল অর্থাৎ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। আপনি কি জানেন? মোবাইলই এখন অল ইন ওয়ান! একের ভিতর অনেক!! মোবাইল ঘিরে আজ জার্নালিজম, ব্যাংকিং, ই-শপ, বিল পেমেন্ট, তথ্য আদান প্রদান, অডিও, ভিডিও, মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারনেট, ইমেল, ভিডিও কনফারেন্স, লাইভ, ইবুক, অনলাইন, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং যাবতীয় কর্ম সম্পাদন করা হচ্ছে এই মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে।

সংবাদমাধ্যমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা। ছবি ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সংঘটিত ঘটনার আলোকচিত্র প্রদর্শনে বাস্তবতা তুলে ধরা হয়। তাই প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে মোবাইল জার্নালিজম অর্থাৎ মোবাইল সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক ঘটনার ছবি ও ভিডিও মোবাইলে সংগ্রহ করা সম্ভব। সংগৃহিত ছবি বা ভিডিও মোবাইলে ধারণ করা হলেও এটার এডিটিং বা সম্পাদনার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যেমন-মোবাইলে তোলা ছবিটির রেজ্যুলেশন, কালার সেটিং, কাটিং ঠিক করতে প্রয়োজন হয় এডিটিং এর। ঠিক এরকম ভিডিও চিত্রের ক্ষেত্রে।

ভিডিওটির কতটুকু অংশ দর্শকের সামনে তুলে ধরা হবে তার সময় নির্ধারণ, ভিডিও করার সময় হয়তো খন্ড খন্ডভাবে ধারণ করা হয়। সেটা কিভাবে এডিটিং এর মাধ্যমে ক্রপ বা কাটিংয়ের মাধ্যমে খন্ডখন্ড অংশগুলো একত্র করে একটি ভিডিও চিত্র করাই হচ্ছে সম্পাদনার কাজ। এক্ষেত্রে যারা মোবাইলে ছবি ও ভিডিও চিত্র করে থাকেন তাদের জন্য সুসংবাদই বলা যায়। আর যারা মোবাইল দিয়েই সংবাদমাধ্যমের কাজ সম্পন্ন করছেন তাদের জন্য এখন স্মার্টফোন বা টার্চ এন্ডুয়েড মোবাইল ফোনগুলোতে ফটোশপ অ্যাপস ব্যবহার করে এসব কাংখিত কাজগুলো করে দ্রুত সংবাদমাধ্যমপ্রেরণ করতে পারবেন এবং কাংখিত প্রয়োজনীয় কাজ করে রাখতে পারবেন।
স্মার্টফোনে ছবি তোলার জন্য যে ক্যামেরা রয়েছে তার চেয়ে অতিরিক্ত হাই রেজু্লেশন ক্যামেরার বিভিন্ন সফটওয়্যার বা অ্যাপস রয়েছে। এসব ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো তাৎক্ষনিকভাবে এডিটিংয়ের মাধ্যমে আকর্ষনীয় করে তোলা যায়। আসুন দেখা যাক অ্যাপস দিয়ে ভিডিও ও ছবি এডিটিং করার দুটি প্রয়োজনীয় অ্যাপস বা সফটওয়্যার
ভিডিও এডিটর : InShot Inc
ভিডিও এর জন্য ইনশট In Shot Inc নামের একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপসটি চমতকার। অ্যাপসটি দিয়ে Video Editing, Music, Cut, Text, Crop, None Crop, Blur, Emoji ব্যবহার করে ভিডিওটি আকর্ষনীয় করে তুলতে পারবেন।

Photo Editor New Version 2017
যাঁরা ছবি সম্পাদনা করতে জানেন না বা ফটোশপ শিখতে আগ্রহী তাঁদের জন্য এ অ্যাপটি দারুণ কার্যকর হবে। এই ফটোশপ অ্যাপসটি দিয়ে ফটোশপের চমৎকার কিছু কাজ করা যাবে। অ্যাপসটিতে রয়েছে stickers, effect, enhance, frames, overlays, vignette, crop, focus, orientation, lighting, color, bluch, sharpness, splash, draw, text, redeye, whiten, blemish, and blur, blush, lipstick, concealer, mascara, blusher অনেক কিছু।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.photoeditor.newversionns
এছাড়া এখনকার স্মার্টফোনগুলোতে অটো সিস্টেমের ফটো এডিটর হিসেবে বিউটি প্লাস দেয়া রয়েছে। মোবাইলে ছবি তুলে ছবিটি বিউটিতে ক্লিক করে আকর্ষনীয় করে তোলা যায়। প্রয়োজনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Photo/Image Editor লিখে সার্চ করলে চলে আসবে। এজন্য ইন্টারনেট ডাটা অবশ্যই থাকতে হবে। বিশেষ করে দিন যতই যাচ্ছে ততোই স্মার্টফোনগুলোতে রূপ দেয়া হচ্ছে কম্পিউটার ভার্সন। যার কারণে স্মার্টফোনগুলোকে বলা হচ্ছে মিনি কম্পিউটার।
তবে সংবাদমাধ্যমে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রফেশনাল জার্নালিস্ট হিসেবে কাংখিত ফলাফল উপহার দিবে নিশ্চিত। অল ইন ওয়ান অর্থাৎ যার হাতে একটি স্মার্টফোন রয়েছে তার আর দ্বিতীয় উপাদান হিসেবে ল্যাপ্টপ, ডেক্সটপ ও আলাদা কোন ক্যামেরার প্রয়োজন পড়বে না। যেখানেই ঘটনা, সেখান থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করা যাবে যেকোন সংবাদ। আর সে সংবাদ পৌছে দেয়া যাবে কাংখিত স্থানে। আজ মোবাইল দিয়েই কাজ সারা যাচ্ছে সব কিছু।

উদ্যোক্তা ও চেয়ারম্যান
মোবাইল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (মোজাব)

ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান

ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান।

ধর্ম নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার মানে এই নয় যে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা।
ধর্মের মধ্যে ভালো দিক আছে যেমন তেমনি বিপরীত দিকও বিদ্যমান। তবে অধিকাংশ মানুষ বিপরীতমুখি চিন্তাচেতনা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে। এর সঠিক কি তা বিজ্ঞানের যুগে কারো অজানা নয়।
তবে বিপরীতমুখী চিন্তা আপনি না করলেও আরেকজন যে করবেনা তা কিন্তু নয়। অবশ্যই একজন মানুষের বিপরীতমুখী চিন্তা করার অধিকার আছে এবং তার কথা বলার হক আছে। যে অধিকারটা আসে সেটা অসঙ্গতিপূর্ণ বার্তা বাদানুবাদের উপর ভিত্তিকরে।

একজন ব্যক্তি কি বলছে কিংবা সে কি বলতে চায় আগে তার কথাগুলো শোনো এবং বোঝার চেষ্টা করো তারপরেই তুমি তোমার জানা অজানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করো। বা শেয়ার করতে পারো। তুমি কি জানো এবং সে কি জানে এই সম্বন্ধে তার কি ধরনের জ্ঞান আছে তার ওপরই নির্ভর করতে পারে সেই সমস্ত জানা অজানা বিষয়ের ওপর কথা বলা। কারো এমন কোনো একটি বিষয় সম্বন্ধে কম অভিজ্ঞতা থাকলে সেই বিষয়ের উপর পান্ডিত্য ফলানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলেই মনে করা যায়। তবে সেই অজানা বিষয়টা যদি না জানা মানুষটি জানতে চায় তবে সে জানতে পারে এতে কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা তখনই সৃষ্টি হবে কিংবা হতে পারে যা জানিনা তার উপর অযাচিত একটি মন্তব্য করা, এধরণের মন্তব্য মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত না করাই শ্রেয় পন্থা বলেই আমি মনে করি। যা আপনাকে জানার জন্য ভবিষ্যতে অনেক অনেক গুনে সাহায্য করবে। শিক্ষা নেয়া এবং জ্ঞান অর্জন করা নিজের চেতনাশক্তিকে এগিয়ে নেয়া এবং তার বিকাশ করা। প্রত্যেক মানুষের অনশ্রীকায্য

যুক্তি-বিজ্ঞান “দ্বান্দ্বিকবাদ”

দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান হচ্ছে প্রজ্ঞাও অলংকার শাস্ত্রের ব্যবহার যা ধর্ম বিশ্বাসের সত্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করে তাই ইবনে খালদুস বলেন। দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান ও যুক্তিবিদ্যার ন্যায় একটি সহায়ক বিজ্ঞান মাত্র। যাকে অবহেলাও করা যায়না এমনকী ছুড়ে ফেলেও দেয়া যায়না।

যে মানুষ যত বেশি এর ব্যবহার কিংবা প্রকাশ করতে পারবে সে ততো-বেশি অগ্রসর হবে। এবং মানব মনের মধ্যে বন্ধ থাকা সভাব-সুলভ অপরিপক্ক অকায্যকর অভিজ্ঞতাহীন মস্তিস্কের কোষগুলো ধীরে ধীরে জেগে উঠবে এবং তা বিস্তির্ন হতে হতে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যায় যার চিন্তা চেতনা আর সাধারণ মানের থাকেনা, হয় অনেক উচ্চমানের। যে এই বিষয়টাকে তাচ্ছিল্যরুপে দেখবে এবং খারাপ দৃষ্টিকোন থেকে অবজ্ঞা করলো সে কখনোই তার মেধা যাচাইয়ের অপরিসীম ফল উপভোগ করলোনা বরং সবকিছু না জেনে অন্ধকারের মধ্যে থেকে নিজের ভুল চিন্তা চেতনার কারণে বঞ্চিত হলো।এবং নিজের চিন্তাচেতনার বাইরে আর কিছুই সে জানলো না, বুঝলোনা উপলব্ধি করলোনা যা সম্পূর্ণরুপে জানার প্রয়োজন সে তার সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জিদ্দিধরা শিশুর মতো করলো অথচ এই মহাপৃথিবীতে জানার কোনো শেষ নেই বোঝার কোনো শেষ নেই বলার কোনো শেষ নেই তেমনি না জানা মানুষেরও কমতি নেই, পৃথিবী যেভাসে অগ্রসর হচ্ছে তাতে করে কোনো কিছুকে না জানা বা অবহেলা করা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ নয় এটা সত্যিই তার নিবুদ্ধিতার কাজ এর চর্চা যে যতবেশি করবে সে ততই সেকেলে জীবনযাপনের আদীঅন্তপথগুলো অনুস্মরণ করলো। যা একজন মানুষের জন্যে কখনোই সহায়ক ভুমিকা পালক করেনা এবং এমনটি হওয়ার সঠিক কারণ হচ্ছে ধর্মের কোনো বিষয় বস্তু না জেনে না বুঝে ধর্মের প্রতি আনুগত্য থাকা যা সত্যিই উচিৎ নয়। আর থাকলেও কট্টরভাবে চিন্তা করা যুক্তি সঙ্গত নয়। তাই বলা বাহুল্য যে কোনো কিছুর উপর সঠিকভাবে আস্থা অর্জন করতে হলে সেই বিষয়ের উপর সামান্যতম জ্ঞান না রাখলে সেই ধর্মভিরু মানুষটা পথেপ্রান্তে বিভিন্নধরনের
ফতোয়ার শিকার হবে এবং একজন ব্যক্তি ফতোয়ার কবলে পড়েছে কি কারণে কিসের ভিত্তিতে তার সঠিক তথ্য সঠিক ব্যাখ্যা কি ধরণের হতে পারতো সেসমস্ত বিষয়াদি থেকে সেই মানুষটা অজানা থেকে গেলো যা সত্যিকার অর্থেই তার জন্যে এটা খুব একটা ভালো দিক নয়। “যুক্তিবিজ্ঞান” এধরণের মেধা মানুষকে অনেক বিপদের হাত থেকে খুব সহজ ভাবে রক্ষা করতে পারে। যার ভাবধারা প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে থাকা আজকের এই সমাজে অত্যান্ত প্রয়োজন বা জরুরী। তাই এই বিজ্ঞানটাকে তাচ্ছিলের দৃষ্টিকোন থেকে না দেখে খুব সহজভাবে দেখাই উত্তম। যুক্তিবিজ্ঞান শুধু ধর্ম নয় সবদিক দিয়েই মেধা রাখে এর পরিব্যপ্তি অত্যন্ত বিশাল পরিসরে অগ্রসরমান। এই বিজ্ঞান মানুষ যখন জ্ঞান অর্জন করেছে তার পর থেকেই প্রচলন। এর চিন্তাধারা অত্যান্ত প্রাচীন। যাকে মানব জীবনের অংশ বললে একটুও ভুল বলা হবেনা। প্রত্যেকটা মুহূর্তে প্রত্যেকটা স্থানে প্রত্যেকটা সময়ে যার ব্যাবহার অবসম্ভাবি একে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নাই। এসমস্ত জ্ঞানের ফল সবাই ভোগ করতে পারে যার শিক্ষা নাই সেও ভোগ করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে শিক্ষাও মানুষের জীবনে কল্যানকর কিছুই বয়ে আনতে পারেনা তারমানে এই নয় যে শিক্ষা ব্যাবস্থার কোনো প্রয়োজন নাই এটা নিহায়েত ভুল ধারনা। নারীদের ক্ষেত্রে ধর্মে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ঘরের মধ্যে বন্ধকরে রাখা আছে শুধু ঘর কেন্দ্রিক হলে তো জীবন চলবেনা তাহলে জীবনের প্রত্যেকটা পথে তাকে অবহেলার শিকার হতে হবে যা অত্যান্ত দুঃখজনক কিন্তু সেটা নারীদের ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হতে পারে ? এটা কি ধর্মের নিষ্ঠাবান মানুষেরা জানেন? যদি জানতো তাহলে এই ধরণের আমল তারা কখনোই করতো না কিংবা করার চেষ্টাও করতোনা। এখনকার যুগে শিক্ষা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনিবায্য এর কোনো তুলনা নাই। একে হাছিল না করতে পারলে বেশিরভাগ মানুষই জীবন সংসারে এসে অধপতনের স্বীকার হবে। যার দায়ভার সেই ব্যক্তি মানুষটি এবং সমাজ দুইয়েই ভোগ করবে। শুধু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বিশ্বকে এবং নিজের দেশকে বা তার অবস্থানকে কখনো পূর্ণগঠিত করতে পারেনা। সেখানে নারীপুরুষ দুটি লিঙ্গেরই প্রয়োজন। তাই বেঁচে থাকা আর মৃত্যুবরণ করা এই দুটি চিন্তার মধ্যে থেকে মানুষ কোনো ক্রমেই চিন্তাহীনভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারেনা। বেঁচে থাকতে হলে আমাদের এই পৃথিবী শাসন করতে হলে একজন মানুষের মধ্যে থাকা চাই বহুমাত্রিক জ্ঞান। যা সত্যকে জানার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।

বখতিয়ার শামীম
বুকঃ
Religious thought
The idea of ​​God
And Science.
ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান
সংক্ষেপিত!।

মৃত মানুষের মুক্তি কি ?

মৃত মানুষের মুক্তি কি ?
মানুষ মরার পর পৃথিবীর সকল
অবয়ব তাঁর জীবনগ্রন্থ থেকে প্রত্যাবর্তন করে।
মানুষ মরার পর তাঁর কিছুই প্রাপ্তি নাই;
মাটির সাথে, মাটির মাঝে নিঃশেষ হবে
এভাবেই মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
প্রিয়তমার নাকে তাঁর ঘ্রান থাকবে না
প্রিয় বাবা মায়ের চোখে তার স্বপ্ন থাকবেনা
পাশাপাশি স্মৃতি হাতড়ানো
কোনো ছায়া থাকবেনা।
থাকবে শুধু একরাশ কান্না
থাকবে শুধু ফেলে আসা কাকতাঁড়ুয়া অতীত।

শূন্য মস্তিস্ক

তুমি কি পৌছাতে পারবে শূন্য মস্তিস্কে ?
তবে শোনো, যদি কখনো তোমার দ্বারা
সেই পথে পৌছাতে সম্ভব হয়।
তাহলে জানবে , তুমি প্রকৃতির মতোই দয়াবান।
তোমার মনে কোনো একজন অধিকারী থাকবে না।
সেখানে তুমি সবার হবে।