ফারজানা শারমিন মৌসুমী এর সকল পোস্ট

ভালোবেসে যাবো অনন্তকাল………….

ভালোবেসে যাবো অনন্তকাল…………..

শত ব্যস্ততায় কাজে ফাঁকে যদি মনে পড়ে আমার কথা
নিরবে ঝড়ে পড়ে চোখের জল,
যদি প্রচন্ড কষ্টে ব্যথা জাগে বুকের ভিতর
তবে চোখ বন্ধ করে একবার তোমার বুকের বাঁ পাশে স্পর্শ করো,
আমাকে পাবে সেই হৃদস্পন্দনের মাঝে
যেখানে আমার আজন্ম বসবাস,
তোমাকে লিখতে গেলেই থেমে যায় আমার কলম
বিষন্নতায় ডুবে যাই আমি
তোমার স্মৃতি ভেসে আসে কল্পলোকে,
কখনো তোমায় দেখি কোন সাহিত্য আড্ডায় কবিতার স্মৃতি চারন,
কখনো বা দেখি তোমার নির্ঘুম রাত্রি জেগে কবিতা লিখন,
আমি কান পেতে শুনি তোমার কবিতা আবৃত্তি,
আমি থমকে যাই যখন চোখ বন্ধ করে শুনি শুকনো পাতায় তোমার একাকী পথে হেটে চলা,
আমি স্থির চোখে তাকিয়ে দেখি তোমায়
ঐ দুচোখে তাকিয়ে তোমার হৃদয় পড়েছিলাম সেদিন প্রথম দেখাতেই,
বাহিরটা যেমন পড়েছিলাম তেমন ভেতরটাও
তোমাকে আমি অন্য সবার থেকে বেশি চিনি হয়তো তোমাকে তোমার চেয়েও বেশি,
তোমার সুখ দু:খ তোমার প্রেম বিরহ তোমার চাওয়া পাওয়া সবটুকু,
সাতপাকে ঘুরে সিঁদুর সঙ্গী মেনে নিয়েছি সেই কবেই তোমাকে,
কল্পনায় তোমার হাতে সিঁদুর পড়িয়ে নিয়েছি,
সব সীমা অতিক্রম করে ভালোবেসেছি,
ভালোবেসে যাবো অনন্তকাল…………………

— ফারজানা শারমিন
২৩ – ১২ – ২০১৯ ইং

আমি আমার মতো…………

আমি আমার মতো……….

এই যে খুব তো বলো ভালোবাসো আমাকে
পারবে তো আমাকে মানিয়ে নিতে ?
আমি কিন্তু অন্য দশজন মেয়ের মতো নই
অন্য মেয়েদের মতো নিজের রুপের ছবি দিয়ে ঘুরে বেড়াই না,
আমি খুব সাধারণ একজন
আমি আমার মতো ।
আমি অন্য মেয়েদের মত এত গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা
যা মনে আসে সোজাসুজি বলে দেই,
পারবে তো বুঝে নিতে ?
আমি অন্য মেয়েদের মতো প্রতিদিন ভিডিও কলে চ্যাট করতে পারবো না,
দেখার ইচ্ছে হলে বাস্তবে এসে দেখে যেও,
পারবেতো আসতে সুপ্রিয় ?
আমি সাজতে খুব ভালোবাসি
চোখে গাঢ় কাজল কপালে টিপ হাত ভর্তি চুড়ি ঠোঁটে কড়া লিপস্টিক,
তোমার মনের মতো হবে কিনা জানিনা,
তোমার জন্য সাজি তুমি পছন্দ করবে তো ?
কিন্তু আমি অন্য মেয়েদের মতো নই
আমি আমার মতো ।
অন্য মেয়েদের মতো আমার কন্ঠ এতো সুরেলা নয়,
গান গেয়ে তোমাকে মুগ্ধ করতে পারবোনা কবিতা আবৃত্তি করে শুনাতে পারবোনা,
তবে লিখতে ভালোবাসি,
আমার সকল ভালোবাসার কথা কবিতায় লিখে দিবো
পারবে তো তুমি বুঝে নিতে ?
তোমার প্রতিদিনের মনোবাসনা পূরণ করতে পারবো না
তবে তুমি যখন বলো এসে বৈষ্ণবী ছুঁয়ে দেই তোমাকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে,
তখন নিজেকে উজার করে বিলিয়ে দেই তোমার মাঝে,
তুমি রাজি তো ?
আমি অন্য মেয়েদের মতো নই,
আমি আমার মতো ।
তোমার কথায় রোজ রোজ আকাশ নীল শাড়ী পড়ে খোঁপায় বেলি ফুলের মালা গেঁথে কফি হাউজে দেখা করতে পারবোনা,
আমি এমনি, আমি অন্য মেয়েদের মতো নই,
আমি আমার মতো ।
আমি রাগ করলে অন্য মেয়েদের মতো চাঁদ তারা এনে দিতে হবে না,
শুধু জড়িয়ে ধরে আদর দিয়ে বলো ভালোবাসি খুব ভালোবাসি,
তুমি পারবে তো বলতে ?
শুধু তোমার হৃদয়ের পুরো আকাশটা দিও
যে আকাশটা সারা জীবনের জন্য একান্ত শুধু আমার হবে,
আমি মুক্ত আকাশে পাখি হয়ে উড়ে বেড়াবো,
যদি সব মেনে নিতে পারো তবেই ভালোবাসবো,
আমি এমনি, আমি অন্য মেয়েদের মতো নই,
আমি আমার মতো………..

— ফারজান শারমিন
১৮ – ১২ – ২০১৯ ইং

এনেছি বিজয়………

এনেছি বিজয়…………

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করেছি
ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্তের লেখা
একটি নাম বাংলাদেশ |
দেখেছি নীরহ মানুষের ছোটাছুটি
গোলা বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধ চারদিকে,
অগনিত মানুষের লাশ
দেখেছি রাজাকারের উল্লাস,
মা বোনদের ত্যাগ
ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্তের লেখা
একটি নাম বাংলাদেশ |
পেয়েছি স্বাধীনতা
এনেছি বিজয়
লাল সবুজের পতাকা,
আমার অহংকার আমার গর্ব………

— ফারজানা শারমিন

আশার কিরণ……….

আশার কিরণ………….

কথা দিয়েছো জীবন ভর
তোমার ভালোবাসার পরশে জড়িয়ে রাখবে
প্রতিদিনই সিক্ত করছো তোমার ভালোবাসার জোয়াড়ে,
কথা দিয়েছো এক সাথে পাড়ি দিবে জীবনের প্রতিটি পথ হাতে হাত রেখে,
এক সাথে ভিজে যাবো কোন এক রোমাঞ্চিত রিমঝিম বর্ষাতে,
কথা দিয়েছো আমার কন্ঠ না শুনে ঘুমাতে যাবেনা যতোই আসুক ক্লান্তি,
কথা দিয়েছো আমৃত্যু পাশে থাকবে যতোই আসুক বাঁধা,
অমন করে কেন এতো ভালোবাসো আমায় ?
অযুত লক্ষ কোটিবার ভালোবেসেছো অবলীলায়,
কেন হৃদয়ের সমস্ত জায়গাতে লিখেছো আমার নাম ?
কেন রাঙিয়েছো ভালোবাসার রঙে এ সিঁথি ?
কথারা নির্বাক —
তবু কাছাকাছি থাকা অনন্তকাল
অস্থিরতা, অপেক্ষা, নীরবতা, কল্পনা, প্রেম মিলেমিশে এক স্বর্গীয় অনুভূতি,
আমিও সীমাহীন আকাশের মতো তোমাকে ভালোবাসি
সমুদ্রের বিশালতার মতো গভীর ভাবে তোমাকে ভালোবাসি,
প্রণাম করি তোমায় চরণ ছুঁয়ে
আমি যেন হারিয়ে যাই একান্তই তোমার মাঝে,
তোমার আমার প্রেম বিজয় গাঁথা রইল কবিতার ভাঁজে ভাঁজে,
দীর্ঘস্থায়ী কিছুই নয় জানা সত্তেও হৃদয় প্রতি মুহুর্তে গড়ে যায় এক স্বপনের তাজমহল,
সেটা প্রেম হোক কিংবা বাস্তব !
আশার কিরণ যেন কখনো না যায় মুছে………….

— ফারজানা শারমিন
১১ – ১২ – ২০১৯ ইং

ভালোবাসা……….

ভালোবাসা সে তো নদীর স্রোতের মতো আবহমান ধারা,
সীমাহীন নীল আকাশের মতো বিস্তৃন আবার কখনো
শ্রাবনের মেঘলা আকাশ…………
.
ভালোবাসা সে তো বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে রবীন্দ্রনাথের গান
ভোরের বেলা শিশিরের বিন্দু মেশানো শিউলী ফুলের একটি মালা…………
.
ভালোবাসা সে তো সন্ধ্যা তারার কাছ থেকে নেয়া রুপালী অক্ষরে তোমায় লেখা একটি প্রেমের চিঠি………
.
ভালোবাসা সে তো কবির সুণিপুণ হাতের লেখা কোন প্রিয় কবিতা……….
.
তোমায় এতো ভালোবাসি বলেই আকাশ ও প্রকৃতি জুড়ে চলছে এতো উৎসব……….
.
দুর থেকে মনে হয় আর একটু কাছে গেলেই তোমার হৃদয় ছোঁয়া যাবে অথচ যতোই কাছে যেতে চাই ততোই যেনো আরো দুরে সরে যাই……….

— ফারজানা শারমিন
০৯ – ১২ – ২০১৯ ইং

অনুকথন……..

অনুকথন :

পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা। সন্তুষ্ট করা যায় সাময়িকভাবে, তবে পুরোপুরি সন্তুষ্ট রাখা যায় না। আমরা প্রিয়জনদেরকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য কত প্রচেষ্টাই না করে থাকি ফলাফল কিন্তু সেই শূন্যই………
খুব কাছের বলতে কি আসলেই কেউ আছে ?
কতো কাছের মানুষের কথায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় অন্তর। কতো গভীর সম্পর্ক ভেঙে চুরমার হয়ে যায় মুহুর্তেই, পাহাড়সম বিশ্বাস থাকে যার প্রতি, অবিশ্বাসের দেয়াল উভয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে যায় সহসাই………
মানসিক কষ্ট যাই আসে এই জীবনে, তার সিংহভাগই তো আসে এই কাছের মানুষদের থেকে। প্রচন্ড বিপদে দিকবিদিকশুন্য এক সময় অবাক হতে হয় ভালোবাসার মানুষগুলোর অনেকেই সেদিন না চেনার ভান করছে, তখন এ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিষ্ফোরন হয়, মানুষের এই ছোট্ট অন্তরেই। আর তা হয় কাছের মানুষের কারনেই………
গেঁথে নিয়েছি অন্তরে, এ কষ্টগুলোও চিরস্থায়ী নয়, কষ্টগুলো একসময় আর অসহ্য মনে হবে না, কষ্টগুলো আমার মনকে শক্তিশালী করে তোলে সব কষ্টকে পরাজিত করে বলতে পারবো সহজেই “আলহামদুলিল্লাহ” খুব ভালো আছি। এবং বিশ্বাস করি তা গভীরভাবে……..

— ফারজানা শারমিন
০৫ – ১২ – ২০১৯ ইং

অতঃপর অন্ধকারে………..

আমার নি:শব্দে কান্না কি তোমার কর্ণকুহর ভেদ করেছে ?
তোমার দৃষ্টিসীমা থেকে যোজন যোজন দূরে থাকা
এই আমার বেদনার নীলচে আলোকরশ্মিটা কি তোমার কর্ণিয়া ভেদ করেছে ?
হৃদয় জুড়ে নেমেছে শ্রাবণ বইছে অঝোরধারা,
তোমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে কি ছুঁয়েছে আমার দীর্ঘশ্বাস ?
তুমি কি বুঝতে পারো আমার ব্যথা বেদনা ?
মনের উঠোনে ভরে আছে এক সমুদ্র ঢেউ জোয়ার ভাটা
তুমি কি তা দেখতে পেয়েছো ?
তারপরও ক্লান্তহীন সামনে চলা পৃথিবীর রথে
প্রতিনিয়ত যুদ্ধরত জীবনের সাথে নিয়তির নিষ্ঠুর বিষাক্ত ছোবল জ্বালা ধরায় বুকে,
স্নিগ্ধ ভোরের আলোয় কুয়াশার ফাঁকে দেখি তোমাকে ,
অস্পষ্ট আল্পনায় ভালবাসার সাঁঝে
ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে ছুটে চলি অফুরন্ত দিগন্তের মাঝে,
ছটফটে অবুঝ মন আমায় তাড়া করে ভালবেসে যাকে কখনো দেখিনি চোখে তারই আহ্বানে,
অথচ তোমার বুকের গভীরে নিস্পাপ প্রেমের মৃত্যু দেখেছি অগণিতবার,
আমাকে আর আকৃষ্ট করো না তোমার প্রেমে,
নিষ্ঠুর তুমি, তুমি হৃদয়হীন পাষাণ,
আমার মনি মুক্তা খচিত জীবনে চাইনি চাঁদ সূর্য ,
চেয়েছিলাম শুধু তোমার সান্নিধ্য,
যদি আমায় উপলব্ধি করতে তাহলে বুঝতে আমার হৃদয়ের গহীনের শব্দ,
শুনতে পেতে আমার হৃদয়ের হৃদ স্পন্দন যেখানে শুধু তোমার বিচরণ,
খুঁজে পেতে কারনে অকারনে অঝর শ্রাবণ বুঝে নিতে,
কতো গভীর ভালোবাসায় এই হৃদয়ে করেছি তোমাকে ধারন,
নিষ্ঠুর তুমি, তুমি হৃদয়হীন পাষাণ,
আমারই হয়তো সব ভুল ছিলো
আমি বেমালুম হেরে যাই নিয়তির স্বার্থপরতার কাছে
অত:পর অন্ধকারে সমর্পণ করি আমি নিজস্ব সত্ত্বাকে…………

— ফারজানা শারমিন
২৫ – ১১ – ২০১৯ ইং

সিঁদুর সঙ্গী………

হে সন্ন্যাসী আমাকে নদীর মোহনা পেরিয়ে সমুদ্রে স্নানে নিয়ে যাবে ?
আমি তোমাকে প্রেমের কবিতা শোনাতে চাই,
সাগরের গর্জন গভীর জলের সুরেলা সংগীত তোমাকে শোনাতে চাই,
সমুদ্র ও আকাশ আমাদের ভালোবাসার গল্প বলে,
ঝাউবনে উদাসী বাতাস বয়ে যায় আনমনে,
জ্যোৎস্নাভেজা রাত স্বপ্নের জাল বোনে,
আজ তোমাকে অনেক নামে ডাকতে ইচ্ছে করছে
আমি স্বপ্নের দ্বার খুলে দিয়ে তোমার কথা ভাবি
স্বপ্নে জোছনায় তোমার হাত ধরে হাঁটি ,
তুমি আমার প্রেম আমার সকল সুখের দিনরাত্রি
জীবনের সব লেনদেন সেরে স্মৃতিরা সব স্বপ্নে ফেরে,
স্বপ্ন গুলো বুকে সোনালী খাঁচায় তোমাকে আগলে রাখি,
শত কাজের মাঝেও আমি আবার একটা দিনের শেষ প্রহরের দিকে আনমনে চেয়ে থাকি,
তুমি এসে কথা বলে মন প্রাণ উজার করে ভালোবেসে যাও,
ভোর হলে স্বপ্ন বাতাসের ঢেউয়ের মতো মিলিয়ে যায়,
যাবার আগে বলে যাও তুমি
তুমিই আমার অবাধ্য প্রেমের একমাত্র নারী প্রেমিকা জাফরানী মৌচাক সিঁদুর সঙ্গীনী,
আমিও তোমাকে সীমাহীন আকাশের মতো ভালোবাসি
সমুদ্রের বিশালতার মতো গভীর ভাবে তোমাকে ভালোবাসি,
প্রণাম করি তোমায় চরণ ছুঁয়ে
হে সুপ্রিয় সিঁদুর পড়িয়ে দাও
ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দাও এ সিঁথি……………

— ফারজানা শারমিন
২৩ – ১১ – ২০১৯ ইং

সুখের এই পৃথিবী…………

সুখের এই পৃথিবী……….

আজকের দিনটা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে
আকাশে নীল জ্যোৎস্না উত্তাল সমুদ্র চারদিকে হৈমন্তি বাতাস হাল্কা কুয়াশা
আমার শাড়ীর আঁচল সাগরের বেলায় বাতাসে উড়ছিল,
এমন জ্যোৎস্নায় আমি তোমার সাথে হাঁটবো কখনো ভাবিনি,
তুমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছো আমার দিকে,
কি দেখছো অমন করে এই চোখে তাকিয়ে ?
তুমি বললে —
বৈষ্ণবী তোমার ঐ চোখে রয়েছে সুখের পৃথিবী
ঐ বাঁকা ঠোঁটে রয়েছে রহস্যময় হাসির ঝিলিক,
তুমি এক জীবন্ত প্রেম জলজ্যান্ত যৌনতার দেবী আফ্রোদিতি।
তোমার আঙুল স্পর্শ করে যায় আমার শরীরের প্রতিটি ভাঁজ,
তোমার প্রেমানুভব বড্ড আনমনা
আমি লজ্জায় হই অপ্সরী,
আমি যেন ক্রমশ হয়ে উঠি আহ্লাদি,
এমন শীতে নিয়ন ভেজা রূপসী রাতে তুমি আমি ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিলাম,
ততক্ষণে তুমি আমাকে তোমার বাহুর আলিঙ্গনে বন্ধি করলে,
খুব কাছে একেবারে নি:শ্বাসের ও কাছাকাছি
চুম্বনে চুম্বনে প্রণয়সিক্ত হই দুজন দুজনে,
বুকের ধমনি শিরা উপশিরা হৃদয় পর্যন্ত ছুঁয়ে দাও তুমি,
তুমি বললে —
আমার বুকে সমুদ্রের যে গর্জন আছে তুমি কি তা শুনতে পাওনা বৈষ্ণবী ?
তোমার প্রেমে এ বুকে ধারন করেছি ভালোবাসার পাহাড়,
তুমি শুধু পাপড়ি মেলে দেখো উজাড় করে ভালোবেসে তোমার হৃদয়ে গোলাপ ফুটিয়ে দিবো,
এই আকাশ তোমাকে দিলাম এই সুখের পৃথিবী তোমাকে দিলাম,
এ জীবন ক্ষণকালের তুমি আমায় অনেক সুখী করেছো বৈষ্ণবী
জীবনের কাছে আমি ঋণী এই ঋণ শোধ হবার নয়……..

— ফারজানা শারমিন
০৫ – ১১ – ২০১৯ ইং

শ্রাবণী মেঘের ঠিকানা………

শ্রাবণী মেঘের ঠিকানা………
বুকের গভীরে কতো যে রয়ে যায় না বলা গল্পকথা
স্বপ্নময়ী মায়াবী জগতে হঠাত্‍ ফুলের সৌরভে ভরিয়ে যায় সমস্ত শুন্যতা,
যথারীতি করে যায় লুকোচুরি
ওই চোখের মাঝে ছিল অথৈ জলের গভীরতা,
সময়ের ছায়া লিখে যায় কিছু মৌন ইতিহাসের তালিকা,
অন্তর্লীন দুঃখগুলো কেবলই কাঁদায়,
মায়াবী করুন আর্তনাদে কেঁপে ওঠে আত্মা ঘোর অমাবস্যায়,
গোটা পৃথিবী নিমগ্ন একাকার তবুও প্রানে জ্বলছে রহস্যময়ী প্রনয়ের সঞ্চার
হৃদয়ের অদৃশ্য আগুন ক্ষনিকের ব্যপার
সবকিছুই শেষ হয়ে যায় সময়ের স্রোতে
সমস্ত ব্যথা বেদনার অবসান ঘটে
জীবন বহে যায় জীবনের নিয়মে পড়ে রয় কিছু স্মৃতি হৃদয়ের গহীনে,
এ কেমন সম্পর্ক যার কোন নাম দেয়া যায়না
এ কেমন প্রেম ধরা যায় না ছোঁয়া যায়না ভেসে আছে বিমূর্ত আয়না,
এ কেমন চাওয়া দূর থেকেই অনেক গভীরে পাওয়া
এ কেমন ফাগুন নাকি প্রেমের আগুন
কোথায় এর শুরু কোথায় গিয়ে শেষ শুধুই অনুভবে কেন ছুঁয়ে থাকা ?
এলোমেলো আঁচল উড়িয়ে খুঁজি শ্রাবনী মেঘের ঠিকানা,
যেমন মিহি রেশমী সুতোয় এক জীবন গাঁথা,
আর লিখে যায় তোমার আমার আবছা বিহানের হেঁটে যাওয়া এক বৃতান্ত……….

— ফারজানা শারমিন
০৪ – ১১ – ২০১৯ ইং

স্বপ্নের তাজমহল…

স্বপনের তাজমহল…………….

ওই সাদা ও কালোর চিরন্তন সত্য আজও রইলো অজানা
চারদিকে অন্ধকার আলো ছায়ার খেলা চলে সারা রাত,
হাসনাহেনা কুঞ্জে বেজে ওঠে অলৌকিক সুরভি তরঙ্গ
আর উন্মুক্ত আকশের বুক হতে ঝরে বিন্দু বিন্দু হিমকণা,
নিশিপুষ্পের গন্ধ ছড়িয়ে যায় চারদিকে,
না তুমি পার করেছ কোনো সীমান্ত রেখা না আমি ও গিয়েছি ডিঙিয়ে কোনো নৈসর্গিক কল্পনা,
শুধু মুহুর্ত গুলো মধ্যে ছিল খুশির দীর্ঘ অভিলাষের তৃপ্তি,
কিন্তু বিশ্বাস করো মনের খুব গভীরে তুমি আছো মিশে
শিকড় জালের মত অদৃশ্য কিন্তু বাস্তবিক রূপে,
কেন তুমি ডাক দিয়ে যাও অজানা কোনো এক সাগরমুখী নদীর তীর হতে,
আর আমি যথারীতি হয়ে উঠি অস্থির যেন তীরে বাঁধা নৌকা,
খুলে দিতে চাই সমস্ত শৃঙ্খল অদৃশ্য তোমার প্রেমের জলোচ্ছ্বাসে,
দীর্ঘস্থায়ী কিছুই নয় জানা সত্তেও হৃদয় প্রতি মুহুর্তে গড়ে যায় স্বপনের তাজমহল,
এখানেই হয়তো জীবনের সার্থকতা খুঁজে হৃদয়,
রোদ ছায়ার মধ্যখানে লুকিয়ে রয় তোমার আমার হারানো হাসির ঝিলিক,
সেটা প্রেম হোক কিংবা স্বপ্ন !
আশার কিরণ যেন কখনো না যায় মুছে………….

— ফারজানা শারমিন
২৪ – ১০ – ২০১৯ ইং

আমি স্বপ্ন বিলাসী……….

আমি স্বপ্ন বিলাসী…………..

গোধুলীর লাল আলোয় বিভাসিত পদ্মা নদীতে সূর্যাস্তের ছবি আমার মন টানে,
বিকেলের উদাসী আলোয় পাখিরা ঘরে ফিরে,
দিন শেষে রোদ্দুর ভাটিয়ালি সুর
আজকাল আমার স্মৃতিগুলো প্রজাপতির ডানায় ভেসে বেড়ায়,
আমি স্বপ্ন বিলাসী, সপ্ন ওড়াই সপ্নে ভাসি
আমার স্বপ্নগুলোর কোন লাগাম নেই ঠিকানা বিহীন
পেরিয়ে যায় আলোকবর্ষের সীমানা ছাড়িয়ে,
আমি স্বপ্নের দ্বার খুলে দিয়ে তার কথা ভাবি
স্বপ্নে জোছনায় তার হাত ধরে হাঁটি,
সে আমার প্রেম আমার সকল সুখের দিনরাত্রি
জীবনের সব লেনদেন সেরে স্মৃতিরা সব স্বপ্নে ফেরে,
স্বপ্ন গুলো বুকে সোনালী খাঁচায় আগলে রাখি,
শত কাজের মাঝেও আমি আবার একটা দিনের শেষ প্রহরের দিকে আনমনে চেয়ে থাকি,
ভালোবাসার মানুষ আসে কথা বলে মন প্রাণ উজার করে ভালোবেসে যায়,
গ্রীষ্ম হয়ে শরীরে উত্তাপ ছড়ায় বৃষ্টি হয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যায়,
শরতের কাশফুল হয়ে শুভ্রতা ছড়ায়,
হেমন্তে শিষ দিয়ে দোলা দিয়ে যায়
শীতের উষ্ম পরশে ভালোবাসার চাদর হয়ে শরীরে জড়ায়
আমি স্বপ্ন বিলাসী, সপ্ন ওড়াই সপ্নে ভাসি
আমার স্বপ্নগুলোর কোন লাগাম নেই ঠিকানা বিহীন
পেরিয়ে যায় আলোকবর্ষের সীমানা ছাড়িয়ে,
ভোর হলে স্বপ্ন বাতাসের ঢেউয়ের মতো মিলিয়ে যায়,
যাবার আগে বলে যাও তুমি
তুমিই আমার অবাধ্য প্রেমের একমাত্র নারী প্রেমিকা জাফরানী মৌচাক………..

— ফারজানা শারমিন
২২ – ১০ – ২০১৯ ইং

বৈষ্ণবী………..

বৈষ্ণবী………

আকাশ নদী ও সমুদ্রকে সাক্ষী রেখে
ভোরের শিউলি ঝরা হাওয়ায় আঁচল উড়িয়ে
আমি বাতাসে কান পেতে শুনেছিলাম তোমার ভালোবাসার কথা
তুমি কি চাঁদের পালকি নিয়ে আমার দুয়ারে এসেছিলে ?
কাল রাতে শুধু নয়,
প্রতি রাতেই প্রতি মধ্যরাতে যেন তুমি হৃদয়ের দরজায় কড়া নাড়ো হে সন্ন্যাসী,
এসে বলো এই যে আমি এসেছি বৈষ্ণবী আমি এসেছি,
তোমার ভালোবাসার গেরুয়া আঁচলে জড়িয়ে নাও আমায়
অনন্ত আকাশ সারা রাতে চেয়ে দ্যাখে,
তোমার আমার নিরব প্রেমের ইতিকথা
চুপিচুপি বিনি সুঁতোর মালা গাঁথা,
লাইট হাউসের আলো সমুদ্র জলস্রোতে ভেসে যায়
সময়ের স্রোত নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে ইস্তাম্বুলে পৌঁছায়,
পরিযায়ী পাখিরা ভোররাতে বিলীন হয় শেষ দিগন্তে,
কাল রাতে শুধু নয়,
প্রতি রাতেই প্রতি মধ্যরাতে যেন তুমি হৃদয়ের দরজায় কড়া নাড়ো হে সন্ন্যাসী,
আর পায়ের চিহ্ন রেখে পথ হেঁটে যাও তুমি
যাবার আগে বলে যাও
আবার আসবো রাতে দরজা রেখো খোলা রেখো বৈষ্ণবী………

— ফারজানা শারমিন
১৯ – ১০ – ২০১৯ ইং

ভালোবাসার অঙ্গীকার………….

আকাশ জুড়ে জোছনার উৎসব
শান্ত চাঁদ, নারকেল গাছের ফাঁকে ফাঁকে তাঁরাদের মেলা
এই জ্যোৎসনায় সমুদ্রের হাওয়া কি যে মিষ্টি !
আমার শাড়ীর আঁচল সাগরের বেলায় বাতাসে উড়ছিল,
তুমি আর আমি সাগরের বালিয়াড়িতে হাঁটছিলাম।
তুমি আমার হাতটা ধরলে,
বললে চিরদিন আমায় এমন করে ভালোবাসবে তো ?
এই সমুদ্র এই আকাশ বাতাস চাঁদ কে সাক্ষী রেখে চিৎকার করে বললাম আমাদের ভালোবাসা চিরদিনের ভীষণ ভলোবাসি তোমায়,
চিরদিন তোমায় ভালোবেসে যাবো এই আমার তীব্র অঙ্গীকার,
মনে হলো তুমি আমি ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিলাম
ততক্ষণে তুমি আমাকে তোমার বাহুর আলিঙ্গনে বন্ধি করলে,
খুব কাছে একেবারে নি:শ্বাসের ও কাছাকাছি
চুম্বনে চুম্বনে প্রণয়সিক্ত হই দুজন দুজনে,
বুকের ধমনি শিরা উপশিরা হৃদয় পর্যন্ত ছুঁয়ে দাও তুমি,
কামনার শিহরণ জাগে প্রতিক্ষণে
জড়িয়ে নাও ওগো মায়ার বাঁধনে,
সবটুকু সুখ তোমায় দিয়ে হারিয়ে যেতে চাই তোমার মাঝে,
ভালোবেসে আমায় রূপান্তরিত করো সদ্য ফোঁটা আগুনের গোলাপে,
যেন তুমি নি:শ্বাসে ছুঁয়ে দিলেই ফুটবে কবিতা,
কখনো বা রূপান্তরিত করো ভোরের শিশির ভেজা শিউলি ফুলের স্নিগ্ধতা,
কখনো হৃদয়ে ঘটাও বজ্রপাত ঘর্ষণ বৃষ্টি ভীষণ উথাল পাথাল ঢেউ,
এ কেমন জলস্রোতের মায়ার লহর
আহ্ —
নিশিথে ভালোবেসে তুমি করাও জোছনায় স্নান,
তোমার প্রেমের অমিয় সুধা পান করে পৌঁছে গেছি সাগরের মোহনায়,
আমার অস্তিত্ব জুড়ে কেবল শুধুই তুমি……………

— ফারজানা শারমিন
১৭ – ১০ – ২০১৯ ইং

প্রণয় অভিলাষ……….

স্নিগ্ধ বিকেল হিমেল হাওয়া
উইনচাইমস এর টুংটাং শব্দ
বেলকুনিতে আমি কফি হাতে দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষায়,
কফিতে চুমুক দিতেই মনে হলো তুমি ঠোঁট ছুঁয়ে দিলে
বুকে জড়িয়ে নিলে,
আমি শুধু তোমার নিঃশ্বাসটুকু টের পাই,
এই যেনো ছুঁয়ে গেলে আমার এলোমেলো চুলে,
জেগে ওঠে হটাৎ দাবানল,
তখন সুপ্ত স্বপ্নগুলো বুকের মাঝে জাগায় জ্বলন্ত অভিলাষ,
সাতপাকে ঘুরে সিঁদুর সঙ্গী মেনে নিয়েছি
সেই কবেই তোমাকে,
কল্পনায় তোমার হাতে সিঁদুর পড়িয়ে নিয়েছি,
সব সীমা অতিক্রম করে ভালোবেসেছি,
ভালোবেসে যাবো অনন্তকাল……..

.
— ফারজানা শারমিন
১১ – ০৯ – ২০১৯ ইং