১.
অন্যের কান কথা,
কখনই শোনা যাবে না তা।
২.
কখনোই করা যাবে না
অনিহা এবাদতে, প্রভু
আপনি নিন সৎ পথে।
৩.
অহংকার নিয়ন্ত্রিত থাকে,
এমন কাজ করে যেন লোকে।
৪.
অনর্থক কথাবার্তা থেকে,
নীরব থাকে যেন লোকে।
৫.
দ্বীনের উপকার নেই,
এমন কথা বলে লাভ নেই।
৬.
অহেতুক কথা বার্তায়,
জানবেন গুনহা হয়।
চলবে……….
শাফি উদ্দীন এর সকল পোস্ট
চিঠি (১)
চিঠি (১)
প্রিয় আলেয়া,
অনেক দিন হয় তোমার খবর থেকে আমি বঞ্চিত। সেই গ্রীষ্মকালীণ ছুটি হলো! আশা করি মহান আল্লাহর অশেষ দয়ায় ভালো আছ। এরপর যা বলতে চাই আলেয়া, আমি প্রাণের গোপন গহিন থেকে, ভালোবাসী তোমাকে। কেনো ভালোবাসী তোমাকে তা কী জানো? বিষয়টি আমি খোলাসা করেই বলি, তুমি শোনো। আমি চোখে দেখেছি তোমার আল্লাহ ভীতি, অপূর্ব ও অতুল তোমার চলা-ফেরায় ও ওঠা-বসায় বলিষ্ঠ নীতি। শুধু কী তাই? পোশাকে-আশাকে তোমার যে অতুল পবিত্রতা তা প্রসংশনীয় এবং সর্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য। সব কিছু মিলিয়ে, আমি যার পর নাই মুগ্ধতা নিয়ে আছি তোমার প্রতি। দেখেছি তোমার জ্ঞানদ্বীপ্ত চোখের স্বচ্ছ জ্যোতি। এর পর আরো যা বলতে চাই তা হলো, নিজের আত্মশক্তিকে ও মর্যাদাকে সংযমি রাখতে চাই বিধায়, যতটা সম্ভব নিজেকে তোমার কাছে থেকে আড়াল করে রাখি! এভাবেই তোমাকে কাছে পাওয়ার সদিচ্ছাকে হিসেবের স্বচ্ছ খাতায় পাকা করে রাখি তাও মনে মনে এবং একান্ত সংগোপনে, এমন কি অন্যদেরও চোখের আড়ালে।
আলেয়া, সেদিন তুমি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তোমার বক্তব্যের সময় যখন সূরা ফাতিহার চমৎকার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলে এবং নামাজে আল্লাহর সাথে কথপকথনের বিষয়টি বিষদভাবে মনের মাধুরি মিশিয়ে তুলে ধরছিলে, তখন দেখলাম উপস্থিত প্রায় সকল লোকই যেন মহান প্রভুর আসক্তিতে অশ্রুসিক্ত হয়ে কাঁদতে ছিলো! লোকগুলো ভাবছিলো, এ দুনিয়া আর ক’দিনের? এক্কেবারেই ক্ষণস্থায়ী! তাই মানুষ এই দুনিয়ার লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষের কলুষতা বা ক্লেদাক্ততা এবং সম্পদের অলিক প্রত্যাশা দূর করে সম্পদ না পাওয়ার অতৃপ্তি মন থেকে সমুলে মুছে ফেলে পবিত্রতা আনার প্রত্যাশায় মগ্ন ছিলো। এ কারনেই তোমার প্রতি আমার প্রেমের আসক্তি এতটা দৃঢ়-গ্রাঢ়-প্রগাঢ়। এখানেই শেষ নয় আলেয়া, এরপর আরো যা দেখলাম, তুমি জান্নাত-জাহান্নাম নিয়ে যখন বক্তব্য উপস্থাপনা বা অবতারণা করছিলে তখনও লোকগুলো আল্লাহ ভীতি ছাড়া অন্য কিছুই অন্তরে ধারণ বা পোষণ করতে পারে নি! তুমি এত মহৎ গুণের অধিকারী! এর পরও কী বলতে পার যে তোমার ন্যায় অশেষ গুণবতীকে আমি ভালো না বেসে নিজেকে দূরে সরে রাখতে পারি? না পারি না।
প্রিয় আলেয়া, আমি তোমাকে চলার পথে দূর এবং কখনো কখনো খুব কাছে থেকে যতটুকু পরখ করেছি, তাতে দেখেছি তুমি সদা সর্বদা মুখে উচ্চারণে ‘সুবহানাল্লাহী’,‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘লা-ই-লাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে মহান আল্লাহর দরবারে সতত একমাত্র তাঁরই প্রসংশা কর, ফলে তোমার মনে তিলমাত্র হতাশা বা নিরাশা নেই। সবচে’ তোমার প্রতি আমার অগাধ-অফুরন্ত ভালোবাসার উৎস স্বরুপ বললে অত্যুক্ত হবে না যে, তুমি যেভাবে আল্লাহর উপর আত্মসমর্পণ কর তা তুলনাহীন ও অনন্য! মহান আল্লাহর উপরেই সম্পূর্ণ ভরসা। দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তোমোকে পূর্ণ হেদায়াত দেন, অন্তরে তাকওয়া আরো বাড়িয়ে দেন এবং বরকতময় জীবন দান করেন।
ইতি শাফি
বিচিত্র ধরণী ও মানুষের মূর্খতা
বিচিত্র ধরণী ও মানুষের মূর্খতা
অরণ্য ভরেছে অসংখ্য ফুলে ফুলে,
অপূর্ব বাতাসে খেলে হেলে দুলে!
মহান প্রভু! মানুষের তরে সদা খেলে!
অরণ্য ভরেছে অসংখ্য ফুলে ফুলে!
বন মেতেছে আহা! বিচিত্র রুপ লয়ে!
প্রভুর দয়ায়, কত আনন্দ হৃদয়ে হৃদয়ে!
ফুল শোভা-সুগন্ধ ছড়ায় কত নির্ভয়ে!
বন মেতেছে আহা! বিচিত্র রুপ লয়ে!
কানন ভরেছে ঐ কত মুকুলে মুকুলে!
নদ-নদী ছুটে চলেছে কুল ঝেঁপে জলে!
ফুল শোভা-সুগন্ধ ছড়ায় কত নির্ভয়ে!
বন মেতেছে আহা! বিচিত্র রুপ লয়ে!
প্রকৃতির মাঝে কত শত দেখ বর্ণচ্ছটা!
অনিমেষ চেয়েও ভরে না! আঁখি দু’টা!
বন মেতেছে আহা! বিচিত্র রুপ লয়ে!
প্রভুর দয়ায়, কত আনন্দ হৃদয়ে হৃদয়ে!
প্রকৃতিকে প্রভু ভরেছেন রুপ-রস-গন্ধে-
নানা বর্ণে, শ্রেষ্ঠ ঐ মানুষেরই তরে!
মানুষ রেখেছে কেন? পুষে নীচুতা
অন্তরে অন্তরে তাও অতি যত্ন করে?
চলবে………..
অণুকাব্য – ৫
শাক-সবজি
ভাতের সাথে খাই সবজি,
সবজি খুবই পুষ্টিকর বুঝি।
শাক-সবজির তৈরি খিচুড়ি,
অনেক বেশী উপকারী!
সবুজ শাক-সবজিতে,
প্রচুর ভিটামিন আছে এতে!
শাক-সবজি ফল-মূল,
খেতে যেন না করি ভুল।
জায়গা আছে এক চিলতে,
ভরেছি শাক-সবজিতে।
প্রচুর ভিটামিন শাক-সবজিতে,
ভুলি না যেন খেতে।
চলবে…………….
আদা চা
আদা চা
এক কাপ আদা-চা,
বসুন খেয়ে নিন চাচা।
কফ কমায় আদা চা,
বসুন খেয়ে নিন চাচা।
উপকারিতা অনেক গুণ,
চাচা, আদা-চা খেয়ে নিন।
চায়ের সাথে আছে আদা,
খেতে ভালই লাগবে চাচা।
আদাতে প্রচুর সি-ভিটামিন,
চাচা আদা চা খেয়ে নিন।
বাদাম কেন খাবেন?
বাদাম কেন খাবেন?
বাদামে আছে প্রোটিন। সবাই খাদ্য ভ্যালু জানুন এবং রোজ বাদাম খান। বাদাম যারা নিয়মিত খাচ্ছেন। তারা যথারীতি রক্তে লিপিড কমাচ্ছেন। কাঠবাদামে আছে ই-ভিটামিন, খাবারের সাথে বাদাম মিশিযে খেয়ে নিন। বাদাম খাওয়া একান্ত দরকার। খাওয়ার দায়িত্ব আমার-আপনার-সবার।
সবাই সুস্থ থাকতে চাই, তাই আসুন বাদাম খাই। যারা নিয়মিত বাদাম খাচ্ছেন, তারা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনছেন। বাজারে আছে চিনাবাদাম, আখরোট-কাজু-পেস্তাবাদাম। সবাই খাবারে বাদাম মিশিয়ে খান, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমান।
(সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বাদাম নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন।)
সুবচন -১(৪)
অণুকাব্য -৪

অণুকাব্য -৩
১.
মায়ের কোলেই খেলছি,
মাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছি!
তবুও মাকে হাসতে দেখছি!
মায়ের কোলেই খেলছি।
২.
মায়ের চুমো ভুলতে,
পারি না কোনো মতে!
মায়ের বুকের অতুল মধুতে,
মানুষ হলেম সুখেতে!
কখনো মায়ের তুলনা,
হয়না, হবেও না!
চলবে……
অণুকাব্য -২
১.
অশেষ খ্যাতির মুকুট,
থাকে যেন প্রভু মাথায়।
মহান প্রভু, তুমিই হয়ো
এর তরে একমাত্র সহায়।
২.
চলার পথে সত্যই বর্ম,
নেক কর্মই মূল কর্ম।
নেক কর্মই প্রকৃত কীর্তি,
নেক কর্মেই সুখ্যাতি।
চলবে………
প্রভু, তোমাকে পাওয়ার টানে
প্রভু, তোমাকেই পাওয়ার টানে,
ক্রন্দন ওঠে যেন সদা সবার প্রাণে।
কেউ আত্মখুশিতে না হয়ে আত্মহারা,
তেমারিই তরে হয় যেন পাগলপারা।
তোমাকেই ডাকে যেন সদা অটল মনে,
ডাকে যেন প্রভু, তোমাকেই সর্বক্ষণে।
প্রভু, তোমাকেই পাওয়ার টানে,
ক্রন্দন ওঠে যেন সদা সবার প্রাণে।
কেউ আত্মখুশিতে না হয়ে আত্মহারা,
তেমারই তরে হয় যেন পাগলপারা।
শিশুকে ক্রমেই বেড়ে ওঠার জন্য সুষম খাদ্যের উপকারিতা
শিশুকে ক্রমেই বেড়ে তোলার ক্ষেত্রটি দেখার সার্বিক দায়িত্ব মূলতঃ পিতা ও মাতার। শিশুকে ক্রমেই বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে দরকার পুষ্টিকর খাবার। তাই শিশুর বেড়ে ওঠার ব্যাপারে সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে শিশুর পিতা-মাতাকে। পরিবারে প্রত্যক্ষভাবে শিশুর সুসম খাদ্যের ব্যবস্থা করা পিতা-মাতারই তাড়া। দুধই পরিমিত পরিমাণ খাবার এবং এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশেষ করে মাতার। সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা পরিবারে সবার জন্যই প্রয়োজন। এতে স্বাস্থ্য থাকবে অটুট ও সুঠাম। স্বাস্থ্য সুঠাম থাকলে দেশ ও জাতির জন্য বয়ে আনবে সুনাম এবং ঘুচাবে জাতির যত সব বদনাম।
সুষম খাদ্যে দৈহিক শক্তি পূরণ হয়। এ জন্য খাদ্য তালিকায় সুসম খাদ্য রাখা উত্তম, একথা ডাক্তাররা কয়। সদা সুসম খাবার, খাদ্য তালিকায় থাকা একান্ত দরকার। স্মরণ রাখতে হবে যে, সব সময় মাছ, মাংস বা ডিম খাওয়ার স্থলে, ডাল, সিমের বিচি বা ছোলাও খেতে পরামর্শ দেয়। দেখা যায় অনেক শিক্ষিত পরিবারে, খাওয়ার বিষয়ে অনেকটাই অবহেলা করা হয়! খাবারে আমিষ, লবণ ও ভিটামিন জাতীয় খাবার অভাব হলে শরীরের ক্ষয়পূরণ হয় না এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি-সাধন হয় না।