১.
দুঃখ-বেদনার বোঝা,
সোজা নয় রাজা।
২.
ক্ষমা চাওয়া ও তওবা করা,
প্রত্যেক মুসলিমেরই তাড়া।
৩.
ক্ষমতার বড়াই করতে নাই,
ক্ষমতার বড়াই টিকে না তাই।
শাফি উদ্দীন এর সকল পোস্ট
উন্নত লিখা
লেখকের লিখায় অতিরঞ্জিত কথাবার্তা না থাকলে উত্তম লিখা নিশ্চিত হবে তা। লিখা ওটাই, যে লিখা হৃদয়ে বাড়ায় প্রশস্ততা, আনে প্রাণবন্ততা এবং প্রকৃত পক্ষে দেয় সত্য দীক্ষা। লিখায় পাঠকবৃন্দ চায় বর্ণনার সত্যতা। উত্তম লিখা দ্বীন ও দুনিয়ায় যেন নিশ্চিত করে পরম উপকার।
লেখকের লিখার অভ্যন্তরে সত্য সন্ধানের পূর্ণ ইঙ্গিত অবশ্যই থাকে হবে। লিখায় পাঠক এবং পাঠিকা বৃন্দ যেন জানতে পারে এ দ্যুলোকে-ভূ্লোকে কল্যাণ হবে কি উপায়ে। এমন লিখা লিখলাম বা পড়লাম যা বাড়ায় না যেন মানুষ অন্তরে হীনতা, নোংরামি, নগ্নতা ও ভ্রষ্টতা।
বসন্তের দুরন্তপনা অবশ্যই লিখায় বর্ণিত না হলে, লিখা হলো না উত্তম লিখা। বেদনা চিত্র সুস্পষ্টরূপে ফুটে উঠবে উত্তম লিখায়। রাজাশন বা সিংহাসন পরিচালন ব্যবস্থায় সুশাসন প্রক্রিয়া বর্ণিত হলে ঐ লিখা অবশ্যই প্রকৃত লিখা।
উত্তম লিখায় শান্ত-কোমল জ্যোৎস্নারাশি, গ্রহ-তারা মনোজগতে ভাবিয়ে তুলবে মহান প্রভুর সৃষ্টি সম্পর্কে অশেষ ব্যাকুলতা। তবেই তো লিখা হবে যথোপযুক্ত লিখা। ভাষালংকার, বাকপটুতা ও ভাষা প্রয়োগের নিপুণতা নিয়ে যেন ফুটে উঠে লিখা। লিখা, আরো উত্তম হবে তখন, যখন লেখকের লিখার বর্ণনায় নিশ্চিত হবে পবিত্রতা। লিখা পড়ে অন্তরের কালিমা দূর হওয়া চাই। এই মর্মে লিখায় ফুটে ওঠে যেন লিখার মূল সুর।
সুবচন
১.
আমরা হবো সদাচারী,
আমরা হবো মর্যাদার অধিকারী।
২.
হবো একজন কল্যাণকামী,
আশা করি, হও তুমি।
বানান যেন অন্তর্যামী।
৩.
নামায শ্রেষ্ঠ এবাদত,
আদায় করলে পাবো প্রভুর রহমত।
প্রার্থনা
মনে-প্রাণে যেন নতই রই,
কাজে-কর্মেই যেন বড়ো হই।
প্রভু হে! আপনিই করেছন সৃজন,
আপনিই গড়ে দিন বৃহৎ-মহৎ মন।
অণুকাব্য
১.
হরেক রঙের ফুলেরও বাহারে,
বলি, মন নেচে, কার না ওঠেরে?
শুকরিয়া জানাই প্রভুর দরবারে,
কী না বানাইলেন প্রভু, মানুষের তরে?
২.
বাগানে নানান মুকুলের বোল!
সমুদ্রে ঢেউয়ের মহা দোল!
শ্রেষ্ঠ ভাই মায়ের সুখের কোল।
এটাও মহান আল্লাহরই অপূর্ব কৌশল!
অণুকাব্য
১.
ক্রমে ক্রমে অল্পে অল্পে,
সময় যাচ্ছে গল্পে গল্পে।
সমীচীন হচ্ছে না তা!
এতে থাকছে না সততা।
২.
আত্ম-প্রবঞ্চনা করা,
আত্মপ্রসাদ বোধ করা,
চাকচিক্য অবলম্বন করা,
আত্মগর্ব অনুভব করা,
ভালো মানুষের হতে পারে না তাড়া।
৩.
সমাজে অরাজকতা ও সমাজে উচ্ছৃঙ্খলতা,
সমাজে অসংযমতা ও সমাজে হৃদয়হীনতা,
সমাজে অসভ্যতা ও সমাজে অপ্রিয়তা,
সমাজে অপ্রকৃতিস্থতা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না তা।
প্রতিষ্ঠা করতে হবে, উন্নত সামাজিকতা।
৪.
সমাজের বর্তমান অবস্থায়,
কে যে কখন কাকে ঠকায়!
কে যে কখন কার পক্ষ নেয়!
স্বীয় সুবিধার জন্যই এমন হয়।
অপেক্ষাকৃত এরাই নিকৃষ্ট মানুষ,
এরাই শ্রেষ্ঠ নিকৃষ্টত্বের মানুষ, হারায় হুশ।
চলবে………..
আল কুরআনের বানী
১.
এটাই সন্দেহহীন আল কুরআন
আল কুরআন, মহান আল্লাহর দান।
আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান,
আল কুরআন, মহান আল্লাহর দান।
শিশু সাহিত্য / সুবচন
১.
এনে দেবো ঝুনঝুনি,
কতটা এনেছি দেখছনি!
আমার কথা শুনছনি,
এনে দেবো ঝুনঝুনি।
২.
এসো মায়ের পাশে,
বসো ভা্ই গা ঘেঁসে।
কথা বলো হেসে হেসে,
বসো মায়ের কোল ঘেঁসে।
৩.
মা, এই নাও পুরস্কার,
মা, বাহবা! খোকা তোমার।
পড়াশোনা তুমিই করেছ ,
ভালো ফলও তুমিই করেছ।
৪.
এই নাও সুগার ফ্রী চিনি,
বাবার জন্য আনছো নি?
এনেছো কী দারুচিনি-কালোজিরা?
কালোজিরা খাওয়ায় থাকতে
হবে সবারই তাড়া।
৫.
এ কথা ভুল নয়,
শ্রম দিলে জয় হয়।
৬.
মা-
খোকা একটু খানি থেমে যাও,
মায়ের কথা শুনে যাও।
খাবার দিচ্ছি ব্যাগে নাও,
খাবার সময় হলে খেও, যাও।
চলবে………
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
১.
বঙ্গবন্ধুর দেয় স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে,
মুক্তিসেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধ ময়দানে!
ওঁরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য হয়েছিলো ব্যাকুল,
ওঁরা দেশ রক্ষার জন্য হয়েছিলো আকুল।
নিজেরাই স্বতঃস্ফুর্তভাবে নেয় যুদ্ধের প্রস্তুতি,
উদ্দেশ্য- স্বাধীনতা অর্জণ করে আনবে সুখ্যাতি।
২.
দেখেছিলাম পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতন!
দেখেছিলাম কী ভাবে মুক্তিসেনারা যুদ্ধময়দানে
করেছিলো অশেষ ধৈর্য ধারণ এবং দেশ
রক্ষায় করেছিলো পণ!
একাত্তরের যুদ্ধের কলা-কৌশল
৩.
ভিন্ন ছিলো মুক্তিযুদ্ধের কলা-কৌশল,
দেহে-মনে ছিলো অনেক অনেক বল!
একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেয় মুক্তিসেনারা সাড়া,
নিজের থেকেই ওঁদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ছিলো তাড়া!
একাত্তরে পাকিস্তানিসেনাদের বাড়াবাড়ি
৪.
তারা নারীদের ইজ্জৎ হরণ করে!
ঘর-বাড়িতে আগুন দিয়ে পড়ে মারে!
শিশু এবং বৃদ্ধকেও নিদারুণ নির্যাতন করে!
দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরে
মুক্তিসেনারা পতাকা অন্তরে উঁচে ধরে
৫.
দেশের পতাকা অন্তরে উঁচে ধরে,
মুক্তিসেনারা ন’মাস তমুল লড়াই করে!
থ্রি-নট-থ্রি/এসএজিসহ আরো অস্ত্র দু’হাতে আকড়ে ধরে,
অনেকেই শাহাদতের পিয়ালা পান করে!
চলবে……………
অণুকাব্য-৮
জীবন ভর জ্ঞান চর্চা,
না করলে হবে না চাচা।
চাচা, জীবন চরিত,
হোক সবার পবিত্র।
গুণ হবে সত্যবাদিতা,
আরো থাকবে ন্যায়পরায়নতা।
চরিত্রের উন্নতি সাধন,
করতে করি দৃঢ় পণ।
অণুকাব্য / সত্য বাক্য
১.
অবান্তর কথা,
কখনোই বলা যাবে না তা।
২.
নামাজে সকল লোকে,
যেন আল্লাহর প্রতি আকৃষ্ট থাকে।
৩.
নামাজে যে সূরা এবং দোয়া উচ্চারণ করে,
সবই যেন উপলব্ধিতে থাকে অন্তরে।
৪.
যা অপ্রয়োজনীয়,
তা অবশ্যই বর্জনীয়।
যা অপছন্দনীয়,
তা অবশ্যই বর্জনীয়।
৫.
যে সব কাজে বা কথায়
লাভ না হয়, তা অবশ্যই বর্জনীয়।
৬.
দুনিয়া মূলতঃ পরীক্ষাগৃহ
অমূলক কাজে লিপ্ত হয় না যেন কেহ।
মূলতঃ দুনিয়ায় মাপা-জোখা মেয়াদ,
কোনো এক সময় নিতেই হবে মৃত্যুর আস্বাদ।
চলবে………….
ছড়া
ছড়া
চলি সামনে চলি,
সবাই সত্য বলি।
মিথ্যা পরিহার করি,
অন্যায় বর্জন করি।
সবাই গড়ি সখ্য,
সখ্য গড়াই লক্ষ্য।
জ্ঞানের আলো চাই,
আলো জ্বালো সবাই।
মন হোক উদার,
উদার হোক সবার।
জগড়া ঝাঁটি করবার,
নেই কোনো দরকার।
ভয় ভয় করে,
না জানি কী ঘটেরে!
বলার কিছুই নাই,
বাঁচার মত বাঁচতে চাই।
চলবে……………..
মানুষ, মানুষ হবার তরে
মানুষ, মানুষ হবার তরে
চলার পথে, অনেক পথিকের ভিড়ে!
আজ অনেকই অকাজের মহাঘেরে পড়ে!
দৌড়ে হাঁপাচ্ছেন কেবলিই সম্পদের তরে!
তাই, স্পষ্টই আমার অন্তরে জাগে,
ঘৃণ্য মোহে, মানুষ এতটা অন্ধ হয়নি আগে!
ফলে, কীভাবে পা ফেলছে নিজেই জানে না!
সম্পদের এহেন ঘৃণ্য তীব্র পিপাসারে,
উচিৎ সকলেই পা মাড়াক এ ঘৃণ্যতারে!
কারণ একটাই, মানুষ, মানুষ হবার তরে।
সুবচন
সুবচন (ম্যাসেজ দেওয়াই মূল লক্ষ্য)
আমি কথাটি শুনেছি বার বার, বলেওছি বারবার। উন্নতি দেখেছি প্রিয় বাবার! বাবার সময় ছিল না এক দন্ড বসবার। তিনি বলতেন, উপরে উঠার জন্য সিঁড়ি আছে স্বচ্ছতর এবং পরিষ্কার। লাভ নেই করে দাফাদাফি, লাভ নেই বৃথা করে লাফালাফি। উন্নতি পরখ করি ওঁদের, শ্রম দিয়েছেন যাঁরা তাঁদের। শ্রমশীল না হলে উন্নতি হবে কী করে?
সুবচন
১.
জ্ঞানের কিরণধারা,
বিশ্বে ছড়াব আমরা।
২.
মাকে হৃদয়ে রেখে,
খোকন, বারবার ডাকে।
৩.
দুনিয়ার মহব্বতে,
অন্ধ হই না যেন কোনো মতে।
৪.
আল্লাহর মহব্বত,
অন্তরে যবে বৃদ্ধি পাবে,
তবেই মানুষ সফল হবে।
৫.
নিরাপদে থাকা যায়,
এমন পথে থাকতে হয় সব সময়।
৬.
রুহানী ব্যধি থেকে,
আল্লাহ মুক্ত রাখেন যেন সর্বলোককে।
৭.
যারা অধিক পরিমানে অধ্যয়ন করবে,
তারাই জীবনে সফল হবে।
চলবে……….
সাহিত্য (শিশুর জন্য)
শিশুর জন্য
১.
পড়া করেছি মা সবটাই,
লিখে নিয়েছি মা পুরোটাই।
পড়া বুঝতে মা বাকী নাই,
লিখে নিয়েছি মা পুরোটাই।
২.
এনেছি মা পুরষ্কার,
মা, এটা তোমার।
এটা, মা বাবার,
এনেছি মা পুরষ্কার,
সবই তোমাদের দু’জনার।
৩.
যত শত আবর্জণা,
যথাতথা ফেলব না।
ময়লা, ডাষ্টবিনে ফেলব,
পরিবেশ পরিষ্কার রাখব।
৪.
জ্ঞানের জন্য সাধনা,
কেউ করতে ভুলব না।
৫,
বাড়ী এসেছেন অতিথিরা,
অযত্ন করবনা আমরা।
খুশী হবেন অতিথিরা,
অযত্ন করবনা আমরা।
৬.
জ্ঞানের আলোতে জ্বলব,
বিশ্বব্যাপী আলো ছড়াব।
৭.
আকাশেতে ঘনকালো মেঘমালা,
করে যেন চমৎকার খেলা!
রাতে দেখি তারার মেলা,
সবই প্রভুর লিলা খেলা।
চলবে…….