শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

বলার জন্য একটি কবিতা চাই

ভালোবাসা অপেক্ষাকৃত জীবন প্রদাহ অতীব নগন্য ;
কিছু আশা বিনষ্ট হয় অঙ্কুর সৃষ্টির পূর্বে
কিছু আশা সাফল্য অর্জন করে, কোনো শক্তি
সামর্থ ব্যতিত, নিতান্তই উদ্দেশ্যহীন।

সম্ভাবত আমরা তাঁর কোনো কিছু চাই না।
সম্ভাবত আমি বাতাসের বিপরীতে ভেসে যাব, অনেকদূর ?
সম্ভাবত আমি মেঘ হব যে নীল অদ্ভুদ ভাবে অদৃশ্য হয়।
আপন উপমা বন্টন করে নির্বাক বিলীন হয়।
সম্ভাবত আমি নক্ষত্র হব …
যে নক্ষত্র আলো দেয়, রজনীর নিরবিচ্ছিন্ন আঁধারে।
সম্ভাবত এসব প্রয়োজন বোধ মানুষের জন্য।
মানুষ বেঁচে থাকে এই সব দৃশ্য দেখতে দেখতে;

পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন আরোও গভীর হয়েছে;
আশা আরোও শক্তি অর্জন করেছে!
ভাবনা আরোও স্পর্শকাতর হয়েছে!
চোখ আরোও দূরদর্শী হয়েছে!
আমরা হয়েছি তারচেয়ে ও বেশী আশাহত।
পৃথিবী সম্ভাবত অসামান্য সেই সকল প্রাণপ্রিয় শ্রাদ্ধা
পরায়ণ আশাবাদী প্রাণবন্ত মানুষের জন্য উর্বর শস্য ক্ষেত্র।
পৃথিবী এক স্বপ্ন জাগানো মানুষের বিচরণ ভূমি।

অটোমান সুলতান সোলেমান হুররাম সুলতান শাহাজাদা মোস্তফা ও আরও পাঁচ শাহাজাদার চারজনের করুন ও শেষ পরিনতী

অটোমান সাম্রাজ্যের সসবচেয়ে শীর্ষস্থানীয় ও শক্তিমান শাসক সুলতান সোলেমান, হুররাম সুলতান শাহাজাদা মোস্তফা ও আরও পাঁচ শাহাজাদার চারজনের করুন ও শেষ পরিনতী ।

প্রাচীন ইতিহাসের নথি থেকে জানা যায় হুররাম সুলতানের অভিযোগমুলক প্ররোচনায় উজিরে আযম ইব্রাহীম পাশাকে অমানবীকভাবে প্রানদন্ড দেয়া হয়।

এরপর ক্ষমতার লোভে বলি হয়ে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত শাহাজাদা মোস্তফাকেও সুলতান সুলেমান তার বিশ্বস্ত জল্লাদের দ্বারা চোখের সামনে হত্যা করে।

পরবর্তীতে সোলেমান জানতে পারেন যে মোস্তফা নির্দোষ। এর পেছনে তাঁর মেয়ে জামাই এর হাত আছে। অঅবশেষে উজিরে আযমের পদ থেকে তাকে স্রেফ ববরখাস্ত করেন। এখানেও হুররাম সুলতান সুলতান বেঁচে যান। প্রাসাদষরযন্ত্রে সবকটাতে জয়ী ও একচ্ছ ক্ষমতাধর হয়ে উঠেন হুররাম সুলতান।

পরবর্তীতে হুররাম সুলতানের পাঁচ শাহাজাদার মধ্যে একসময় ক্ষমতার দ্বন্ধ দেখা দিলে অবশেষে চার সন্তানইই ভাই ভায়ের শত্রুতায় হত্যার স্বীকার হয়।

অবশেষে ক্ষমতার একচ্ছ অধিপতি হোন সেলিম। এই শোকেই হুররাম সুলতানের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সুলতান নিজেও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মাহি দেবরানের পুত্র মোস্তফাকে যখন হত্যা করা হয় তখন মাহি দেবরান প্রাসাদের তাঁর অবস্থান হারান। ও প্রাসাদ থেকে বেড় করে দেন।

পরে দীর্ঘকাল শহরের বিভিন্ন বাড়িতে থাকতে থাকতে একদিন তার সৎ ছেলে জানতে পারেন যে শাহাজাদা মোস্তফার মা তার প্রিয় বড় ভাই (সৎ) এর মা মানবেতর জীবন যাপন করে।

তখন তাকে কিছু ভাতার ব্যবস্থা করা হয়। এভাবেই অটোমান সাম্রাজ্যের দীর্ঘকালের শাসন ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এবং সুলতান সোলেমান অটোমান সাম্রার্জের একজন দীর্ঘস্থায়ী শাসক ছিলেন।

কবি কথা

কবি কথা
যে কবি অল্পতেই তুষ্ট বলে নিজেকে প্রচার করে, বাহ্বা নেয়। সেই কবি কখনোই কোনোদিনও কবি নয়। কবি ছিলো না। কারণ প্রকৃত কবিরা কখনোই অল্পতে তুষ্ট হতে পারে না। নিজের পাশাপাশি বলার জন্য। অন্যের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিৎ করবেই করবে।

উর্বর চিন্তার মানুষ

আমরা আসলে বরাবরই উর্বর মস্তিস্কমনা জাতি।
খেলতে ভালোবাসি মানুষকে নিয়ে।
খেলতে ভালোবাসি মানুষের তর্ক বিতর্ক নিয়ে
মানুষের চিন্তাভাবনা নিয়ে খেলতে ভালোবাসি
অন্যের সমালোচনা করতে ভালোবাসি
অন্যকে আঘাত করতে ভালোবাসি
অন্যের দুর্বলতাকে নিয়ে উপহাস করতে ভালোবাসি
আর ভালোবাসি নিজেকে।
কিন্তু নিজের পার্সোনালিটিকে ভালোবাসি না।
নিজের বিবেক বিবেচনাবোধকে ভালোবাসি না।
নিজেকে নিয়ে প্রশ্ন করতে পছন্দ করিনা।
নিজের সমালোচনা শুনতে পচন্দ করিনা।
নিজের অযোগ্য ভাবনাগুলো কি তা নিয়ে
কেউ ভাবতে পারিনা।
অন্যের ময়লা নাড়াচাড়া করা আমাদের এএক অদ্ভুদ স্বভাব।
আমরা কি কখনো স্বাভাবিক হতে পারিনা ?
আমরা কি পারিনা নিজের মর্যাদাকে সম্মান করতে ?
আসলে আমরা সবই পারি পারিনা শুধু চিন্তা করতে
কেন আমার নিজের ব্যক্তিক্তভাবনাকে নিম্নগামী করি।
অথচ আমরা চাইলে সবই পারি পরিবর্তনের পরিবর্তন ঘটাতে।

মৃত মানুষের মুক্তি কি ?

মৃত মানুষের মুক্তি কি ?
মানুষ মরার পর পৃথিবীর সকল
অবয়ব তাঁর জীবনগ্রন্থ থেকে প্রত্যাবর্তন করে।
মানুষ মরার পর তাঁর কিছুই প্রাপ্তি নাই;
মাটির সাথে, মাটির মাঝে নিঃশেষ হবে
এভাবেই মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
প্রিয়তমার নাকে তাঁর ঘ্রান থাকবে না
প্রিয় বাবা মায়ের চোখে তার স্বপ্ন থাকবেনা
পাশাপাশি স্মৃতি হাতড়ানো
কোনো ছায়া থাকবেনা।
থাকবে শুধু একরাশ কান্না
থাকবে শুধু ফেলে আসা কাকতাঁড়ুয়া অতীত।

শূন্য মস্তিস্ক

তুমি কি পৌছাতে পারবে শূন্য মস্তিস্কে ?
তবে শোনো, যদি কখনো তোমার দ্বারা
সেই পথে পৌছাতে সম্ভব হয়।
তাহলে জানবে , তুমি প্রকৃতির মতোই দয়াবান।
তোমার মনে কোনো একজন অধিকারী থাকবে না।
সেখানে তুমি সবার হবে।