শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

ভাবনায় আশ্রিত স্মৃতি …

ভাবনায় আশ্রিত স্মৃতি …

দীর্ঘ এই বটগাছ ,
উত্তরের বাতাসে ছড়াবে উত্তাপ
শনশন হাওয়া ছুঁয়ে যাবে জীবনের নতুন স্বপ্ন ,

এসবই কল্পনা।
আজ স্মৃতির আকাশে তেমন কোনো উচ্ছাস নেই
দৃষ্টির স্বীমানায় চোখের কোনো লঙ্ঘন নেই।

স্পর্শের হাতধরে পৃথিবী এগিয়েছে অগনিতকাল …
তোমার স্মরণেই রয়ে যায় জীবন আমার বেজায় বেসামাল।

অপরাধীর সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, অপরাধী ও ভুক্তভোগি জনগণ কি উপভোগ করবে ? ভুক্তভোগি কি এদেশের জনগণ নয় ? নাগরিক নয় ?

অপরাধীর সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, অপরাধী ও ভুক্তভোগি।
জনগণ কি উপভোগ করবে ?
ভুক্ত ভোগি কি এদেশের জনগণ নয় ? নাগরীক নয়?

যাহারা ধর্ষকগংদের এরেস্ট করতে বিরত আছেন যাহারা টাকার ব্যাগ দিয়ে ধর্ষনকে সমর্থন করছেন চেপে যাওয়ার বাসনায় মন চনমন করছেন তাহাদিগের পরিবারের কোনো মাইয়া “বউ মেয়ে মা ” ধর্ষন হইলে কতোটা দ্রুত ধর্ষকগং এরেস্ট হইতেন বলে আপনি মনে করেন ?

মজার ব্যাপার হইল পুলিশ এখনো শনাক্ত করতে পারে নাই ধর্ষকরা কোথায় আছে !!!
আসলে মজাটা তখনই হইত যখন দেখতাম পুলিশ পরিবারের কেও ধর্ষন হইছে …

মজা দেখতাম আমিন জুয়েলার্স এর মাইয়া বউ ধর্ষন হইলে
মজা দেখতাম ওই এমপির মাইইয়া বউ ধর্ষন হইলে
মজা দেখতাম ওই ব্যবসায়ীর মাইইয়া বউ ধর্ষন হইলে।

(কোনধরণের বিপদে কেউ পড়ুক তা আমার কাম্য নয়)
তুলে ধরার জন্য ক্ষমা প্রার্থী

যাহারা অর্থের বিনিময়ে অপরাধীকে বাঁচানোর যুদ্ধে নামে তাহাড়া কতোটা উদ্গ্রীব হয়ে আসামীকে ধরার তোরজোর শুরু হতো। সেটাও দেখা যেতো।

প্রত্যেকটি অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিৎ। টাকার বিনিময়ে কোনো অপরাধের সাজা হবেনা সেটা হতে পারেনা। তাহলে আপনি বিচারের যোগ্যতা রাখেন না।

আইনের পোশাকের মর্যাদা রাখতে পারলেন না। আইন যদি ন্যার্য্যভাবে অপরাধের শাস্তি দিতে না পারে তাহলে সে আইন না মানাইই মহৎ কাজ হবে। বরং অপরাধীকে শাস্তি আপনি দিতে পারেন।

আপনি দুর্বল কিংবা ক্ষমতাসিন হোন সেটা বড় কথা নয়। আপনার সাথে অপরাধ হয়েছে আপনি অবশ্যই তাকে শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার রাখেন।

যাহারা ভাবছেন অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন তাদের বিবেচনাবোধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবশ্যই কেউ একজন জেগে উঠবে আর যখন সেইই একজন জেগে উঠবে তখন চারপাশের কেও আর বসে থাকবে না। তৈরি হয়েই পথে নামবে। তখন আঁতাতকারী আর অপরাধী যেই হোক রক্ষা নাই।

অতএব আইনের লোক ও অপরাধী সাবধান।
সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি তাদের বিচারের আওতায় নিন।

বিচার পাবার অধিকার সবার আছে। আইনের সাহায্য পাবার অধিকার সবার আছে। জনগণের টাকায় ভাত খেয়ে জনগণের টাকায় পোশাক পড়ে জনগনের টাকায় পাওয়া ছাদের নীচে থেকে অপরাধীর সাথে হাত মিলিয়ে আঁতাত করা বন্ধ করুন।

মনে রাখবেন
যায় দিন ভালো আর আসে দিন খুবই খারাপ খুবই ভয়ঙ্করও হতে পারে।

এমন দুর্লভ জগৎ

orca-image-1491545104962.jpg_1491545105295

এমন দুর্লভ জগৎ

অনন্ত থাকবে প্রাণের পদচারণমুখর ;
এমন বিষ্ময় জাগানিয়া পৃথিবী
সৃষ্টির সমৃদ্ধিতে স্বতস্ফূর্ত থাকবে

শুধু গত হবে লেবাস ধারীরা;

টিকে যাবে তারাই যারা কোনো
ধর্মের আবদ্ধতা বিশ্বাস করেনা।
তারা বিচরণ করবে অসংখ্য
নব্য জগতের সন্ধানে …

মানুষও প্রকৃতি একই নিঃশ্বাস
আদানপ্রদান করবে এই নশ্বরে/অবিনশ্বর
প্রান্তিক পৃথিবীর দৈবকূল-
যারা কোনো প্রচলিত ধর্মীয়
বিধানের আভিধানিক কিছু বিশ্বাস করেনা।

বড়ই অচেনা হয়ে যায় এই মত্যের সভা
বড়ই অবাঞ্চিত লাগে দুর্বোধ্য কিছু।

এই দুর্লভ সময় একদিন
মানুষের হাতের মুঠোয় এসে থমকে যাবে
হেরে যাবে তিরিশ হাজার বছর
কিম্বা হাজার কোটি আলোকবর্ষ ;
হ্যাঁ, এটাই হবে এমনটাই হবে এই ধরিত্রী

মানুষ চলে যাবে অমরতার দিকে
তিলে তিলে টিকে যাওয়া আর বেঁচে যাওয়া
মানুষেরা চষে বেড়াবে এই ভ্রম্মান্ড।

মানুষ দ্রুতগামী হবে বিজ্ঞানের বিজয়ে
জগতে নব্য নির্বাণের মধ্যদিয়ে আবিস্কার
হবে নতুন একটি ধর্ম ;

যেখানে মানুষ যা চাইবে তাই হবে
স্বাধীনতা যেখানে কারো শেকলের
বাউন্ডুলে হাতকড়া হয়ে হুংকার দেবেনা।

দাসত্ব যেখানে অচেনা শরীরের পচন-
নারীপুরুষ যেখানে সমালোচিত হবেনা
অধিকার অনধিকারের যুদ্ধে।
আমি সেই বেঁচে যাওয়া মানুষের কথা বলছি ;

৮:৩৪/ ২৯.৪.১৭

সময় পেরিয়ে …

চল্লিশ [রূপক] পেরিয়ে গেল আর কদিনই বা বাকি !
অদ্ভুত যৌবন বেলা, ছেড়ে এসেছি
বিশটি বসন্ত হয়েছে, এখন কি অদ্ভুদ মুখোচ্ছবি
শরীরের মধ্য অনেক ভাজ
দৃঢ় দৃষ্টির চোখ দুটো এখন থেকে
থেকে ভুল দেখে-
কেঁপে কেঁপে উঠে প্রগতির দীপ্ত হাত
যে হাত সম্মান জানানোর জন্য বরাবর
মিলিয়েছে আরেক হাতে।

যে হাত বিশটি বসন্তধরে কলম ধরেছে …
প্রকৃতির জন্য, অপরাধীর বিরুদ্ধে ;
প্রেমিকার জন্য, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ;
ন্যায়ের জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
খুনের বিরুদ্ধে খুনির বিরুদ্ধে অন্ধকার রাজনীতির বিরুদ্ধে …
অথচ বয়ে গেছে সুদীর্ঘকাল
হায়, নদী ভেঙ্গে গড়েছে আরেক নদী
বৃক্ষ কেটে রোপিত বৃক্ষ।
মানুষের মৃত্যু হয়ে জন্ম নিচ্ছে শিশু।

সম্পর্ক ভেঙ্গে তৈরি হচ্ছে সম্পর্কের মিলিত বন্ধন।
পৃথিবীর এই উন্মুক্ত সবুজাভ সৌন্দর্য
নষ্ট হয় ধীরে ধীরে আবার উঠেছে গড়ে।
আমাদের স্বপ্নগুলো বিদ্ধস্ত স্নোফলের ভিতরে
যখন কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘ অন্ধকার গলি
থেকে বাইরে এসে আলোকে গ্রাস করে।

আমরা তখন উষ্ণ করিডোর ধরে হাটতে
হাটতে ভুলে যেতাম হিমাঙ্কের ভয়।
চল্লিশটি বসন্ত পেরিয়ে এসে এখন ভীষন ক্লান্ত
শরীরের বিদ্রোহ মনের আকুতি পথের বিপত্তি ভেঙ্গে
তবুও এগিয়েছে সময় এগিয়েছে প্রকৃতি এগিয়েছে জীবন।

যেখানে যেভাবে যতোটুকুই আছি
ভালো মন্দের সকল হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে
পারি দেয়া এই পৃথিবীর পথ-

১৯.৩.১৭, সকাল।

সাবধান!

সাবধান ! …

দস্যুরা তোমার সবকিছু ছিনিয়ে নেবে না। মনে রাখবে এই সমাজে দস্যুদের চেয়েও দুর্ধর্ষ মানুষ নামের প্রাণী আছে।
যারা তোমার জীবনের সবকিছুই গ্রাস করার জন্য সদা প্রস্তুত। স্বরণ রেখো, তোমার কোনো সহযোগিকেও ওরা ছাড়বে না।

যখন তুমি

যখন তুমি …

দগ্ধ সময়ের ফোঁড়ে মানুষ যখন
ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে যায়…
তখন নিজেকে তুমি শান্ত ও ধীরস্থির রাখো ।

কারো প্ররোচনায় তুমি খামখেয়ালী হইওনা
না হয় একটু বেশীই ধৈর্য্যশীল হও…

মনে রেখো জীবন যেখানে
সেখানে ক্ষতিগ্রস্থ প্রণালীর সকল
উপকরণ মর্মে-মর্মে বিদ্যমান,

যেহেতু এই বিদ্যমান বিষয়গুলো
বিশাল অট্টালিকা কিংবা বিস্তৃত
পাহাড়ের মতো দৃঢ় এবং শক্তিশালী।

তুমি দূর্বল হলে এইসব অপশক্তি তোমাকে
নিজে থেকেই অত্যন্ত নিঁখুত এবং গাঢ় ভাবে
গ্রাস করতে থাকবে, এমনকী তাই হবে।

তুমি নম্র হও, কোনো বাকবিতণ্ড নয়
উত্তর খোঁজো এবং খুঁজতে থাকো…
খুঁজতে থাকো জীবন এবং যকৃত সময়ে মানে;

যে সকল প্রাচীন পাথুরে প্রাচীর
তোমার অভিমুখে ছুটে আসছে
বিশাল দেয়াল সৃষ্টি করছে
সেখানে তুমি অপেক্ষা করণা!

তুমি অপেক্ষা করো একটি জোয়ারের
একটি জলোচ্ছাস হয়তো তোমাকে
নবীন কোনো পথ দেখাবে, যেটা
তোমার জন্য প্রয়োজন ও অপেক্ষমান ।

সে তোমাকে তোমার গন্তব্যে নিয়ে যাবে
এবং খুব সুন্দর ভাবেই পৌছাবে
যেখানে একটি ভবিষ্যতের বাগান তৈরি
সেখানে তোমার মুক্তি অনিবার্যভাবে।

আর তোমার ভিতরে যেসব
মৌলিকগুণাবলি আছে
তাকে তুমি বিকশিত করো
তুমি তখন উড্ডীয়মান হবে

প্রস্ফুটিত রাতের তারকাদের মতো
অথবা রূপালী চাঁদের মতো
নয়তো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে

সোনালী সূর্যের মতো
কোনো সঙ্কা নাই, তুমি আটকে পড়বে না।

যে বিভাবরী ভোর দেখেনা
যে সূর্য বোঝেনা বিকৃত রাতের মানে
সেখানে তোমার হস্তগত রয় সমস্ত সম্ভাবনা…

তুমি উপেক্ষিত হতে পারনা কোনো কিছুই
পারনা নিজেকে অবহেলিত ভেবে
একদম দূরে সরে যেতে,

তারচেয়ে বরং তুমি যুক্ত হও
উন্মুক্ত করো তোমার অন্তরের আবদ্ধতা
কোনো অধরাই তোমাকে ছুঁতে পারবেনা।

ফিরে দেখা সেইদিন

ফিরে দেখা সেইদিন

এখানকার মানুষগুলো
আমার পরিচিত নয়।
এইখানের, এইসব বাড়ি
এই রাস্তা, ঐ মাঠ, বৃক্ষ আর
হলুদ কোয়ার্টারগুলো
আমার খুব পরিচিত!
যেসব মানুষকে এখানে
দেখেছি, সেদিনের সেইসব
মানুষেরা আজ আর নাই।
যেসব বৃক্ষকে দেখেছি
তারা বেশী দৃঢ় চেতা
দীর্ঘ মাস্তুল তুলে তার
জমাট বদ্ধ ছায়া শরীর
ভোরের ফড়িঙের দল
এখন অদেখা প্রাণ হয়ে গেছে
পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস।
শৈশবের সেই দিঘীটি ছিলো
ঢিল ছুঁড়ে ছুটাছুটি করার।
বশ্যির ছিপে মাছ ধরে
উন্মাদনায় আনন্দ করার।
যেখানে একটি ছয়তলা
দালান উঠেছে এখানে
আর জল নেই, দিঘী নাই
ঢিল ছোড়ার কেউ নেই,
মাছ ধরার কেউ নেই।
এই জলের উপর এখন
মুক্তবাক দালান উঠেছে
এই দালানে এখন মানুষ থাকে
উন্মুক্ত পাখির ভিটায়
এখন আর সেই দিন নাই।
এখানে আর কোনো শিশুর
ছটফট করা মন আসেনা ছুটে
এখানে শিশুদের বেড়ে উঠা
থমকে গেছে দালানের আঘাতে
বুড়োদের হাটাচলা নেই
হাতধরে ছুটছুটি নাই
স্বপ্ন চোখের যুবক যুবতীদের।

আনন্দও বেদনা

* জীবন থেকে একদিন, একটি বছর, একটি যুগ কমে যাওয়া মানে; আপনার বৈষয়িক জীবনের নির্দিষ্ট একটি গন্তব্যের দিকে ধাবিত হওয়া। অথচ আমরা প্রত্যেকটি জন্মদিন শোকের বদলে পালন করি গভীর আনন্দের মধ্যদিয়ে।

নির্ঝর নিঃশব্দে বুনট যে স্বপ্ন

নির্ঝর নিঃশব্দে বুনট যে স্বপ্ন

দ্রুততর গতিতে আজ
এ নিশিথে যেই স্বপ্ন আঁকি
হৃদয়ের দাবানলে কিছুটা
ভরিয়ে জল, দুঃখ সব পোষ্য করে রাখি।

আঁখিতে যে আশার বুনট
বেঁধেছে নীড় নীরবতায়
তোমারে সুধিতে চলে
আমার এই অনন্ত জীবন
বারংবার পুড়ে পুড়ে যে হয়েছে খাঁটি।
১৫/০২/১৭

কোথাও একবিন্দু সৌন্দর্য নেই

অপরাধীর নিশ্চয়তার নামই অপশাসন;
বিচার কে চাইবে আর কে করবে বিচার;
সাধারণ খুঁজে চলে একচিলতে আশ্রয়
সাধারণ খুঁজে ফেরে মহান এক মানুষ
কোথাও শান্তি নাই, শানিত আঁধারে থমকে গেছে
আধিপত্য বেজে তোলে অপরাধের দামামা
শুভ্রতার বিলম্ব প্রতীক ঢেকে গেছে সাগর জলে।
কোথাও সুস্থতা নাই কোথাও সুস্থতা নেই
কোথাও একবিন্দু সৌন্দর্য নেই ;
কোথাও নেই সততার প্রলুব্ধ নিয়ম ;
অপরাধীর বিবেকহীনতার নাম বিচার
অপরাধীর অপশাসনের নামই হয় সরকার
অসুস্থ রূপ তোমার কোনোকাল সুস্থতা দেখেনি।

সোনালী রোদ্দুর

আজকাল তুমি
জোসনার আলোর মতো হয়েছো।
তোমায় খুঁজে পাওয়া কার সাধ্যি।
ফারাক যেনো আমার
থেকে তোমার দূরত্ব।
সেটাও যেনো মনে হয়
কয়েক হাজার আলোকবর্ষ।

আমার মেঘরাজ
বৃষ্টির জল হয়ে তোমাকে স্পর্শ করে ?
সেখানেও কি তুমি করো দূরের কোনো সন্ধি ?
পড়ন্ত বিকেল
সোনালী মেঘের রেখা।
সূর্যের লুকোচুরি
বালিকার ধূসর তুষার
সবই লাগে ভালো।
ভেবে দেখি যতদূর তুমি
মনের অরণ্যে ঢাকা গুড়িগুড়ি মেঘ
যতো ঘোর অন্ধকার।
রূপালী আলোয় ধরো তুমি নিকটদূর।

আজকাল তুমি অনেকটা অদ্ভুত
অদৃশ্য বস্তুর মতো ধরাছোঁয়ার বাইরে
তোমায় খুঁজে ফেরা অনর্থক
সাত রাজ্যির ধন।
তবু যেনো মনে হয় যতদূর যাও
ভুলে যাওয়া পথচলা বেখেয়ালি দ্বার
বলে মাঝে মধ্যে অযাচিত
জেগে ওঠা সকালের সূর্যোদয়ের মতো
পাখির ডাকে সাড়া দেয়া ভোর।

ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান

ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান।

ধর্ম নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার মানে এই নয় যে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা।
ধর্মের মধ্যে ভালো দিক আছে যেমন তেমনি বিপরীত দিকও বিদ্যমান। তবে অধিকাংশ মানুষ বিপরীতমুখি চিন্তাচেতনা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে। এর সঠিক কি তা বিজ্ঞানের যুগে কারো অজানা নয়।
তবে বিপরীতমুখী চিন্তা আপনি না করলেও আরেকজন যে করবেনা তা কিন্তু নয়। অবশ্যই একজন মানুষের বিপরীতমুখী চিন্তা করার অধিকার আছে এবং তার কথা বলার হক আছে। যে অধিকারটা আসে সেটা অসঙ্গতিপূর্ণ বার্তা বাদানুবাদের উপর ভিত্তিকরে।

একজন ব্যক্তি কি বলছে কিংবা সে কি বলতে চায় আগে তার কথাগুলো শোনো এবং বোঝার চেষ্টা করো তারপরেই তুমি তোমার জানা অজানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করো। বা শেয়ার করতে পারো। তুমি কি জানো এবং সে কি জানে এই সম্বন্ধে তার কি ধরনের জ্ঞান আছে তার ওপরই নির্ভর করতে পারে সেই সমস্ত জানা অজানা বিষয়ের ওপর কথা বলা। কারো এমন কোনো একটি বিষয় সম্বন্ধে কম অভিজ্ঞতা থাকলে সেই বিষয়ের উপর পান্ডিত্য ফলানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলেই মনে করা যায়। তবে সেই অজানা বিষয়টা যদি না জানা মানুষটি জানতে চায় তবে সে জানতে পারে এতে কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা তখনই সৃষ্টি হবে কিংবা হতে পারে যা জানিনা তার উপর অযাচিত একটি মন্তব্য করা, এধরণের মন্তব্য মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত না করাই শ্রেয় পন্থা বলেই আমি মনে করি। যা আপনাকে জানার জন্য ভবিষ্যতে অনেক অনেক গুনে সাহায্য করবে। শিক্ষা নেয়া এবং জ্ঞান অর্জন করা নিজের চেতনাশক্তিকে এগিয়ে নেয়া এবং তার বিকাশ করা। প্রত্যেক মানুষের অনশ্রীকায্য

যুক্তি-বিজ্ঞান “দ্বান্দ্বিকবাদ”

দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান হচ্ছে প্রজ্ঞাও অলংকার শাস্ত্রের ব্যবহার যা ধর্ম বিশ্বাসের সত্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করে তাই ইবনে খালদুস বলেন। দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান ও যুক্তিবিদ্যার ন্যায় একটি সহায়ক বিজ্ঞান মাত্র। যাকে অবহেলাও করা যায়না এমনকী ছুড়ে ফেলেও দেয়া যায়না।

যে মানুষ যত বেশি এর ব্যবহার কিংবা প্রকাশ করতে পারবে সে ততো-বেশি অগ্রসর হবে। এবং মানব মনের মধ্যে বন্ধ থাকা সভাব-সুলভ অপরিপক্ক অকায্যকর অভিজ্ঞতাহীন মস্তিস্কের কোষগুলো ধীরে ধীরে জেগে উঠবে এবং তা বিস্তির্ন হতে হতে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যায় যার চিন্তা চেতনা আর সাধারণ মানের থাকেনা, হয় অনেক উচ্চমানের। যে এই বিষয়টাকে তাচ্ছিল্যরুপে দেখবে এবং খারাপ দৃষ্টিকোন থেকে অবজ্ঞা করলো সে কখনোই তার মেধা যাচাইয়ের অপরিসীম ফল উপভোগ করলোনা বরং সবকিছু না জেনে অন্ধকারের মধ্যে থেকে নিজের ভুল চিন্তা চেতনার কারণে বঞ্চিত হলো।এবং নিজের চিন্তাচেতনার বাইরে আর কিছুই সে জানলো না, বুঝলোনা উপলব্ধি করলোনা যা সম্পূর্ণরুপে জানার প্রয়োজন সে তার সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জিদ্দিধরা শিশুর মতো করলো অথচ এই মহাপৃথিবীতে জানার কোনো শেষ নেই বোঝার কোনো শেষ নেই বলার কোনো শেষ নেই তেমনি না জানা মানুষেরও কমতি নেই, পৃথিবী যেভাসে অগ্রসর হচ্ছে তাতে করে কোনো কিছুকে না জানা বা অবহেলা করা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ নয় এটা সত্যিই তার নিবুদ্ধিতার কাজ এর চর্চা যে যতবেশি করবে সে ততই সেকেলে জীবনযাপনের আদীঅন্তপথগুলো অনুস্মরণ করলো। যা একজন মানুষের জন্যে কখনোই সহায়ক ভুমিকা পালক করেনা এবং এমনটি হওয়ার সঠিক কারণ হচ্ছে ধর্মের কোনো বিষয় বস্তু না জেনে না বুঝে ধর্মের প্রতি আনুগত্য থাকা যা সত্যিই উচিৎ নয়। আর থাকলেও কট্টরভাবে চিন্তা করা যুক্তি সঙ্গত নয়। তাই বলা বাহুল্য যে কোনো কিছুর উপর সঠিকভাবে আস্থা অর্জন করতে হলে সেই বিষয়ের উপর সামান্যতম জ্ঞান না রাখলে সেই ধর্মভিরু মানুষটা পথেপ্রান্তে বিভিন্নধরনের
ফতোয়ার শিকার হবে এবং একজন ব্যক্তি ফতোয়ার কবলে পড়েছে কি কারণে কিসের ভিত্তিতে তার সঠিক তথ্য সঠিক ব্যাখ্যা কি ধরণের হতে পারতো সেসমস্ত বিষয়াদি থেকে সেই মানুষটা অজানা থেকে গেলো যা সত্যিকার অর্থেই তার জন্যে এটা খুব একটা ভালো দিক নয়। “যুক্তিবিজ্ঞান” এধরণের মেধা মানুষকে অনেক বিপদের হাত থেকে খুব সহজ ভাবে রক্ষা করতে পারে। যার ভাবধারা প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে থাকা আজকের এই সমাজে অত্যান্ত প্রয়োজন বা জরুরী। তাই এই বিজ্ঞানটাকে তাচ্ছিলের দৃষ্টিকোন থেকে না দেখে খুব সহজভাবে দেখাই উত্তম। যুক্তিবিজ্ঞান শুধু ধর্ম নয় সবদিক দিয়েই মেধা রাখে এর পরিব্যপ্তি অত্যন্ত বিশাল পরিসরে অগ্রসরমান। এই বিজ্ঞান মানুষ যখন জ্ঞান অর্জন করেছে তার পর থেকেই প্রচলন। এর চিন্তাধারা অত্যান্ত প্রাচীন। যাকে মানব জীবনের অংশ বললে একটুও ভুল বলা হবেনা। প্রত্যেকটা মুহূর্তে প্রত্যেকটা স্থানে প্রত্যেকটা সময়ে যার ব্যাবহার অবসম্ভাবি একে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নাই। এসমস্ত জ্ঞানের ফল সবাই ভোগ করতে পারে যার শিক্ষা নাই সেও ভোগ করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে শিক্ষাও মানুষের জীবনে কল্যানকর কিছুই বয়ে আনতে পারেনা তারমানে এই নয় যে শিক্ষা ব্যাবস্থার কোনো প্রয়োজন নাই এটা নিহায়েত ভুল ধারনা। নারীদের ক্ষেত্রে ধর্মে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ঘরের মধ্যে বন্ধকরে রাখা আছে শুধু ঘর কেন্দ্রিক হলে তো জীবন চলবেনা তাহলে জীবনের প্রত্যেকটা পথে তাকে অবহেলার শিকার হতে হবে যা অত্যান্ত দুঃখজনক কিন্তু সেটা নারীদের ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হতে পারে ? এটা কি ধর্মের নিষ্ঠাবান মানুষেরা জানেন? যদি জানতো তাহলে এই ধরণের আমল তারা কখনোই করতো না কিংবা করার চেষ্টাও করতোনা। এখনকার যুগে শিক্ষা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনিবায্য এর কোনো তুলনা নাই। একে হাছিল না করতে পারলে বেশিরভাগ মানুষই জীবন সংসারে এসে অধপতনের স্বীকার হবে। যার দায়ভার সেই ব্যক্তি মানুষটি এবং সমাজ দুইয়েই ভোগ করবে। শুধু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বিশ্বকে এবং নিজের দেশকে বা তার অবস্থানকে কখনো পূর্ণগঠিত করতে পারেনা। সেখানে নারীপুরুষ দুটি লিঙ্গেরই প্রয়োজন। তাই বেঁচে থাকা আর মৃত্যুবরণ করা এই দুটি চিন্তার মধ্যে থেকে মানুষ কোনো ক্রমেই চিন্তাহীনভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারেনা। বেঁচে থাকতে হলে আমাদের এই পৃথিবী শাসন করতে হলে একজন মানুষের মধ্যে থাকা চাই বহুমাত্রিক জ্ঞান। যা সত্যকে জানার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।

বখতিয়ার শামীম
বুকঃ
Religious thought
The idea of ​​God
And Science.
ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান
সংক্ষেপিত!।