মোঃ সাহারাজ হোসেন এর সকল পোস্ট

মোঃ সাহারাজ হোসেন সম্পর্কে

জীবন বিস্তারিত পরে দিবো।

প্রেমহীন কবি

কবি- প্রেম কবিতায় পদক পেলেন
প্রেম গেলো কই আজ?
পদক দিয়ে কি হবে, যদি না থাকে
ন্যায়নিষ্ঠার প্রেমময় কাজ!
/
যদি শাসকের ভয়ে চুপটি করে
গাও শাসকের জয়গান!
তবে তুলবে কে জনতার হয়ে
সেই বিপ্লবী স্লোগান?
/
তুমি টাকায় কেনা গোলাম নয়
সত্য রাখবে চেপে,
কেনো সত্য বলতে হিসেব কষো
কথা বলো মেপে?
/
দুর্দিনে-ই বলতে হবে সঠিক কথা
তুলতে হবে আওয়াজ,
কবিতায় যেমন প্রেম তেমন প্রেমে
সাঁজাতে হবে সমাজ।
/
যদি ভয়ে থরথর কাঁপে অন্তর
তবে তুমি নয় বিপ্লবী,
তোমার প্রেম কবিতার পদক বৃথা
তুমি প্রেমহীন কবি!

অযোগ্য এখন যোগ্য

এই যে সোনার দেশে এখন
যোগ্য ব্যক্তি মূল্যহীন!
দেশ জুড়ে অযোগ্যরা এখন
ক্ষমতায় হয় আসিন।
/
যোগ্য ব্যক্তি দুমড়ে কাঁদে
হয় ক্ষমতাচ্যুত!
অযোগ্য উচ্চাসনে বসে এখন
খেলে কুতকুত!
/
ক্ষমতা লোভি ক্ষমতা দেখায়
শিক্ষার দেয়না দাম!
শক্তি দিয়ে তারা যুক্তি ঢাকে
ছড়ায় শিক্ষার বদনাম!
/
চুরি চাদাবাজি, খুন ধর্ষণের
এরাই করে সেন্ছুরি!
দেশ ও জাতির সম্মানহানি করে
করে ছলচাতুরি!

এসো ইতিহাস হই

যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধাচার না করো
তবে হারাবে অধিকার!
যদি ন্যায় ও সত্যের কথা না বলো
তবে সব অন্ধকার!

যদি বুকে ভয় নিয়ে চলো তুমি
তোমার হবে সর্বনাশ!
যদি মনোবল নিয়ে রুখে দাঁড়াও
তবে তুমি ইতিহাস।

এসো তবে ইতিহাস হয়ে আমরা
ইতিহাস গড়ব আজ,
চড়ই পাখির হুংকারের ভয়েই
পালাবে সব ঈগল-বাজ।

এসো ইতিহাস হই আজ, ইতিহাস।

সুবোধের ত্যাগ

আমার সোনার দেশ এখন
হচ্ছে প্রগতিশীল,
পথে ঘাটে চলছে ওপেন
ঘুরছে অশ্লীল!

এগুচ্ছে প্রগতির দিকে!
দেখ চেয়ে ওই,
ঘষাঘষির দুম পড়েছে
চুমোচুমির খই!

পার্কে পার্কে যুবকযুবতী
করছে সেক্স খুব!
সভ্যতা আজ দিলো বুজি
গভীর জ্বলে ডুব?

হায়! আগের শালীনতা নেই
নিবে গেছে বাতি!
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে
চলে সোনার জাতি!

সুবোধ তুমি এই সমাজে
থেকো না আর!
এই অসভ্য সমাজ এখন
কেবল অশ্লীলতার!

তুমি যদিও কখনো জাগো
বলবে ওরা ধ্যাৎ!
এই প্রগতির যুগে কোত্থেকে
এলো এই খ্যাত?

এই যে সোনার দেশে এখন
অসম্ভবের কিছু নেই,
দেখো, গোপনে নেই কিছুই
যৌনাচার প্রকাশ্যেই!

এগুচ্ছে দেখো সোনার দেশ
ও সোনার জাতি,
ক্রমশ যতো বেশি অশ্লিলতা
ততোই দেশের খ্যাতি!

সুবোধ তুমি নিবিয়ে দাও
তোমার সেই বাতি!
চলে যাও অন্য কোনো গ্রহে
না থাক সঙ্গী সাথী!

অভিমান

আমি এখন জ্যোৎস্নার কথা ভাবি না!
জোনাকির কথা ভাবি না! বৃক্ষের কথা ভাবি না!
পাখপাখালিদের কথাও ভাবি না!
বাতাসের কথা ভাবি না! নদীর কথা ভাবি না!
স্রোতের কথাও ভাবি না!
তারা কে কেমন আছে, কেমন চলছে, ভালো মন্দ কিচ্ছু জানিনা!
আমি এখন কারো কথাই ভাবি না!

আমি এখন বন্ধ রাখি চোখ!
নগরে নগরে যা হবার হোক!
নগরের অলিগলিতে যার যেমন ইচ্ছে চলুক!
যেমন ইচ্ছে বলুক!
নগরে ফুল ফুটুক আর নাইবা ফুটুক!
প্রজাপতি আসুক আর নাইবা আসুক!
আমি কিচ্ছু বলবো না, কিচ্ছা না!

স্রোত যেদিক ইচ্ছে সেদিক যাক!
বাতাসও যেদিক ইচ্ছে সেদিক যাক!
উড়িয়ে নিক সবটুকু সভ্য বাতাস!
আর চেয়ে দেখুক ঐ দূর আকাশ।

আমি এখন কারো কথাই ভাবি না!
ময়লা চাদরের কথা! এবং ফর্শা সার্ট,
আর হরেক রংচঙে আঁকা রংতুলির আর্ট ,
এসব কিচ্ছুই ভাবি না!

সভ্যতা এখন অশ্লীল বাতাসে যতো ইচ্ছে উড়ুক!
শুদ্ধ জলে কেউ স্নান করুক আর নাইবা করুক!
আমি কিচ্ছু বলবো না, কিচ্ছু না!

যার খুশি হাঁসুক, যার বেদনা সে কাঁদুক!

এভাবেই চলুক যেমন ইচ্ছে তেমন এই বিশ্বকোষ!
তোমরা চাইলেই দিতে পারো আমায় দোষ,
তবু কাউকে কিচ্ছু বলবো না, কিচ্ছু না !!!!!

দুনিয়া

হে প্রিয় বন্ধুগণ, তোমরা সবাই কেমন আছো? নিশ্চই ভালো, কেউ হয়তো ভালো নেই! কেউ হয়তো ভালো, ভালো মন্দ মিলে ভালো থাকার চেষ্টা করছো সকলেই।

যেমন- কেউ ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ গাড়ি বাড়ি , ব্যাংক ব্যালেন্স বেশি বেশি করে অর্জন করার চেষ্টায় ব্যস্ত। কেউ বড় ড়র অট্টালিকা নির্মাণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
অথবা
কেউ হবে গায়ক , কেউ হবে নায়ক , কেউ হবে কবি, কেউ হবে ইতিহাসের ছবি। কেউ হবে বিশিষ্ট শিল্পপতি,
কেউ নিজের ধ্যানজ্ঞান দিয়ে করবে খ্যাতি।
মোট কথা হলো সবাই পৃথিবীর সেরা একজন ব্যক্তি হতে চায়। সেরার চেয়ে সেরা।
আমাদের কাছে এইসব মানেই দুনিয়া। এসব হলেই যেনো আমাদের আর কিছু লাগে না!

সকল খ্যাতির পেছনে একটাই কারণ, একটু সম্মান, একটু বিলাসিতা, একটু আরাম আয়েশ। এমন করেই ভোগবিলাসে মত্ত থাকতে চাই আমরা সকলেই, কিন্তু না, এসব হলেই চলবেনা!

আজ আমরা এমন হয়ে গেছি, দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন!
দুনিয়ার ভোগবিলাসে এতোটাই মনোযোগ দিয়েছি আমরা, ডাইনিং টেবিল ছাড়া খেতে পারি না! খাওয়ার আইটেম দেখে মাঝে মাঝে অবাক হতে হয়! খেতে খেতে গলা পর্যন্ত খাই, খেয়ে এমন অবস্থা করে ফেলি নড়তে চড়তে পর্যন্ত পারি না!

আবার
আরামদায়ক বিছানা না হলে তো আমাদের চোখে ঘুমই আসতে চায় না! শীতের সময় দামী দামী কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাই, আবার গরমের সময় এসি ছাড়াও ঘুম হয় না!
এই হলো আমাদের অবস্থা!

কিন্তু আমাদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর চোখে দুনিয়া কেমন ছিলো ?
তিনি কি দুনিয়ার এসব নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন? কখনোই না।

#তাহলে_কেমন_ছিলেন_তিনি?

আবদুল্লাহ(রাঃ)বর্ণনা করেছেন

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন একসময় খেজুর পাতার মাদুরে শুয়েছিলেন। তিনি ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে দাঁড়ালে দেখা গেল তাঁর গায়ে মাদুরের দাগ পড়ে গেছে। আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা আপনার জন্য যদি একটি নরম বিছানার (তোষক) ব্যবস্থা করতাম। তিনি বললেনঃ দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক? দুনিয়াতে আমি এমন একজন পথচারী মুসাফির ছাড়া তো আর কিছুই নই, যে একটি গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিল, তারপর তা ছেড়ে দিয়ে গন্তব্যের দিকে চলে গেল।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১০৯)।

জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৭৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

এই হলো আমাদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবন।
যাকে কখনোই বিলাসিতা ছুঁতে পারেনি,
ইসলামের জন্য কতো ত্যাগ শিকার করেছেন!
কতো অত্যাচার! কতো নির্যাতন! সয়ে গেছেন জীবনভর!
তিনি তো আমাদের আদর্শ।
আজ আমরা কি করছি? কি শিক্ষা পেয়েছি তার-কছ’থেকে?
আমরা কয়জনে ইসলামের জন্য অত্যাচার নির্যাতন সয়েছি?
আমরা তো কেবল দুনিয়ার ভোগবিলাসে’ই মত্ত! দুনিয়া দুনিয়া করেই জীবন শেষ!

অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া মু’মিনের জন্য কয়েদখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাততুল্য। (ই.ফা. ৭১৪৯, ই.সে. ৭২০১)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩০৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন।

নাস্তিক আস্তিক

নাস্তিক — আল্লাহ্ কে তো চোখে দেখি না, চোখে না দেখে কি ভাবে বিশ্বাস করবো? যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না তা কি বিশ্বাসযোগ্য?

আস্তিক — আচ্ছা ধর তুই খুব বুদ্ধিমান, বিবেক আছে, আরও অাছে অনেক জ্ঞান, ও মন।
বল তো -তোর জ্ঞান কি দেখা যায়? বিবেক কি দেখা যায়? মন কি দেখা যায়? যে মন দিয়ে কল্পনা করিস, সেই কল্পনা কি দেখা যায়? যেমন তুই চীনে থাকাকালীন যে’সব স্মৃতি রেখে এসেছিস, এখন তুই বাংলাদেশে থেকে কল্পনার শক্তি দিয়ে মুহূর্তেই চীনের কতো কি কল্পনায় দেখিস।

আরেকটু খেয়াল করে দেখ, যেমন তোর জ্ঞান, যে জ্ঞান দিয়ে তুই চাইলেই সত্য’কে মিথ্যা আর মিথ্যা’কে সত্য করতে পারিস! যেমন তোর আছে চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি, এবং বিবেক। ধর বিবেক দিয়ে তুই ভালো ও মন্দ বিচার করতে পারিস।
এবার বল- তোর বিবেক, বুদ্ধি, জ্ঞান, মন, এসব কি দেখা যায়? ছোঁয়া যায়? কখনো কি দেখেছিস? বা ছুঁয়েছিস?

নাস্তিক — না! তবে কি সব আবোলতাবোল প্রশ্ন করিস? এসব কি দেখা যায় নাকি?
আস্তিক — হুম একদম তাই, এসব দেখা যায় না!
তবে এসব যদি দেখা না যায়, ছোঁয়া না যায়,
তাহলে কি করে বলিস যে, যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না তা কি বিশ্বাসযোগ্য?

তোর বিবেক, জ্ঞান, মন, এসব তো দেখা যায় না! তাহলে কেনো এসব না দেখে বিশ্বাস করিস?

তোর জ্ঞান থাকা সত্বেও তুই কি কখনো বলবি, তোর কোনো বিবেক নেই, জ্ঞান নেই, মন নেই?
তুই জানিস এসব কিছুই তোর মাঝে আছে , বিশ্বাসও করিস, অনুভবও করিস তাই না ?
নাস্তিক— হুম অবশ্যই বিশ্বিস করি।
আস্তিক— তাহলে কেনো আল্লাহ্ কে না দেখে বিশ্বাস করবি না?

নাস্তিক — তোর আর কোনো প্রশ্ন আছে? থাকলে আরও কর।
আস্তিক— আগে জবাব দে , তারপর।
নাস্তিক—পরে দেবো, তোর যুক্তিকর বকবকানি শুনি।

আস্তিক —আরও শুনবি শোন।
তুই নাক দিয়ে যে নিঃশ্বাস ফেলিস, মানি যে বাতাস বাহির হয় , সেই অদৃশ্য বাতাস কখনো কি দেখেছিস?
নাস্তিক — না, এবং না, তুই বলতে থাক।
আস্তিক — আচ্ছা ধর তোর হঠাৎ করে একদিন নিঃশ্বাস ফেলতে খুব কষ্ট হয়! তুই ধীরে ধীরে খুব খুব অসুস্থ হয়ে পড়লি! ধর বড় বড় ডাক্তার, কবিরাজ, সব দেখানো হলো, দেশ’বিদেশ সবখানে।
কোনো ঔষধপাতি কাজ করছে না! একদম মৃত্যুমুখী তুই! কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না! পৃথিবীর কেউ’ই না!! তোর হতাষাগ্রস্ত মন কেবল বাঁচার জন্য কাকুতিমিনতি করছে! তখন তুই কার কাছে সাহায্য চাইবি?
নাস্তিক — আল্লাহর কাছে ।
আস্তিক — তুই আল্লাহ্ কে চোখে দেখিস না! চোখে না দেখার কারণে বিশ্বাস করিস না!
তাহলে কেনো সাহায্য চাইবি?
নাস্তিক — ইয়ে মানি! আল্লাহ্ বলে হয়তো কেউ একজন আছে!
আস্তিক — হয়তো নয় রে নাস্তিক, অবশ্যই অবশ্যই আছে।
তোর এই সামান্য দৃষ্টিশক্তি দিয়ে কি ভাবে আল্লাহ্ কে দেখতে চাষ?

সেদিন নাস্তিকটা কোনো জবাব না দিয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে সেই যে গেলো!

জেগে উঠ মজলুম

ইহুদী নাসার হাতে যখন
মুসলিমের হয় রক্তপাত!
তখনো কি বলবে তোমরা
মুসলিম সন্ত্রাসীর জাত?

আজ যদি মুসলিমের হাতে
বিধর্মীর হতো রক্তপাত!
তখন বিশ্ববাসীর বকবকানি তে
বেড়ে যেতো উৎপাত!

মজলুল মুসলিম বারে বারে যখন
বর্বরতায় হয় কুপকাত?
তখন বিশ্ব বিবেক ঘুমিয়ে কেনো
মুসলিমের যায় কালো রাত?

আফসোস! তবুও মোদের বলে

সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নাকি
কেবল মুসলিমের হাত?
বিশ্ব জুড়ে অপপ্রচার চলে
মিডিয়া করে পক্ষপাত!

শান্তিপ্রিয় মুসলিম যুগে যুগে
ভালোবেসেছে যে কেতাব,
অবশেষে জুটলো তাদের
জঙ্গি নামের খেতাব !

আর নয় অপবাদ ,এবার জাগ
দে সকলে জ্বিহাদের ডাক।

রক্ত যখন চায় রক্ত
জুলুম যখন চায় জুলুম!
দুনিয়ার দিকে দিকে
জেগে উঠ মজলুম।

উঁচু শির

বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
রক্তাক্ত আফগান!
বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
কাঁদছে আরাকান!

বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
জ্বলছে মায়ানমার!
বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
আর্তনাদ হাজার!

বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
দুলছে কাশ্মীর!
বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
বেদনায় চৌচির!

বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
রক্তে লাল ফিলিস্তিন!
বন্ধু তুমি তাকিয়ে দেখো
নেই তারা স্বাধীন!

বন্ধু তোমার হবে কি এবার
এভাবেই কি যাবে দিন?
বন্ধু তুমি কেনো যে বসে
মুখ করে মলিন!

বন্ধু আমার থাকলে বসে
আসবে না-যে সুদিন!
বন্ধু আমার কেঁদে কেঁদে
শোধ হবে না ঋণ!

বন্ধু আমার নিতে প্রতিশোধ
হও বিপ্লবী বীর,
ও বন্ধু আমার এগিয়ে দুর্বার
নয় আর স্থির।

বন্ধু আমার লড়তে হবে
বুকে নিয়ে তীর!
হও একেকজন সুলতান
সালাহ উদ্দিন আইউবীর।

আসুক ঝড়, আসুক বাঁধা
বুলেটে বুক হোক চৌচির!
তবুও আমরা চলবো দুর্বার
থাকবেই উঁচু শির।

বৌদ্ধ জঙ্গী

জ্বিহাদ মানি সন্ত্রাস নয়-রে
সন্ত্রাস দমনে জ্বিহাদ,
কেনো রে তবে দিস তোরা
শুধু মিথ্যা অপবাদ?

মুসলিম জ্বিহাদ করলে বলিস
সন্ত্রাস, জঙ্গী উগ্রবাদ,
বিশ্বজুড়ে মিথ্যাচার চড়িয়ে
নিচ্ছো আনন্দের স্বাদ ।

তুমি মানুষ হয়ে মানুষ মারো
ছিন্ন করো ফুলের কলি!
খেলছো তুমি রক্তের হলি খেলা
মানবতার বুকে করে গুলি!

ওরে বৌদ্ধ ন্যাড়া জঙ্গি তুমি
তোমার চৌদ্দগোষ্ঠী বাপ,
খুন, ধর্ষণ, করে বলে বেড়াও
মানুষ মারা পাপ!

থু তোদের চৌদ্দপুরুষের মুখে
চোবল কাটুক সাপ,
আজ হোক কাল হোক কেউ
পাবে নাতো মাফ।

ওরে বৌদ্ধ ন্যাড়া কতো বলবি আর
আমাদের জঙ্গী?
মনে রাখিস আখিরাতে হবি তোরা
আবু জাহেলের সঙ্গী!

জ্বিহাদ ২

বিশ্ব-জুড়ে শোসিত নিপীড়িত
মজলুম মুসলমান,
আর কতকাল থাকবে চুপ
সইবে অপমান?

সত্য ন্যয়ের যোদ্ধারা দাও এবার
জ্বিহাদের ওই ডাক,
ইন্টারন্যাশনাল টেররিস্ট গোষ্ঠী
হবেই এবার নির্বাক!

এবার জাগার সময় হলো
নিক্ষেপ কর তীর,
সুচীর মতো জানোয়ারগুলো
শেষ হবে উঁচু শীর।

হাতে এবার নাও তলোয়ার
এগিয়ে যাও দুর্বার,
পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের বাঁধার প্রাচীর
ভেঙে কর চুরমার।

চল চল বাড়িয়ে মনোবল
জ্বিহাদের ময়দানে,
এবার সত্য মিথ্যার যুদ্ধ হবে
বাতিলের সনে।

জ্বিহাদ যুদ্ধ জ্বিহাদ আন্দোলন
জ্বিহাদ মিথ্যে নয়,
না থাক অস্ত্র না থাক ক্ষমতা
মজলুমানের জ্বিহাদেই আশ্রয়।

জাগো এবার মজলুল মুসলিম
জ্বিহাদে মোদের জয়,
আর নয় নিপীড়িত নিঃশেষিত
জ্বিহাদ চির অক্ষয়।

সোনার ছেলে

সোনার ছেলেরা কই?
এসো দ্বীনি ছায়াতলে রই,
জনকল্যাণে থাকবো মোরা
মানুষ হয়ে ঐক্য হই।

রক্তের খেলা খেলতে
দেবো নারে আর,
জাগো সোনার ছেলে
ছাড়ো বীরের হুঙ্কার।

বাঁচাতে হবে আজ
পৃথিবীর মজলুম মুসলমান!
বিশ্ব মুসলিম জাগো
দেখো কাঁদছে আরাকান!

জাগো সোনার ছেলে
কণ্ঠে তুলে শ্লোগান,
বিশ্বজুড়ে জানোয়ার সঙ্গ
করতে হবে অবসান।

হুঙ্কারে হুঙ্কারে কাঁফুক
উঠুক জয়ের তুফান,
পৃথিবীর সব নাস্তিক মুরতাদ
হবেই এবার পেরেশান !

চলবে লড়াই শেষ জামানার
আয়রে আয় মুসলমান,
ঘরে বসে তছবীহ গুনে
ঠিক হবেনা ঈমান।

জ্বিহাদ

আজ পৃথিবীর দিকে দিকে
জ্বলছে আগুন!
বিশ্ব বিবেক, মানবতা মনুষত্ব
হচ্ছে খুন!

এ ধরণীতলে আগুন জ্বলবে
আর কতকাল?
জ্বিহাদী নেতারা গর্জে উঠ
ধরতে হবে হাল।

আজ পৃথিবীর দিকে দিকে
জ্বলছে আগুন!
চলরে চল জ্বিহাদী সেনাদল
ছেড়ে তোর ঘুম।

ভয় নেই কোনো পরাশক্তির
যতো হোক বর্বর!
ছুট আল্লাহ্ হু’আকবার ধ্বনিতে
কাঁপবে বিশ্ব থরথর।

রক্তখোরের বদলা নিতে জাগো
তাকিয়ে দেখুক বিশ্ব,
ছড়াও জ্বিহাদী হুঙ্কার চারিধার
মোরা মুহাম্মদের শিষ্য।

জ্বিহাদ শক্তি— জ্বিহাদ মুক্তি
জ্বিহাদ হলো সংগ্রাম,
পৃথিবীর সব অপশক্তি রুখতে
জড়ুক রক্ত ঘাম।

আবার উঠে দাঁড়াই

যার নুন আনতে পান্তা পুরায়!
তার আবার উচ্ছাকাঙ্খা!
আমি তো সুখের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি কবেই!
দুঃখ আমার মেহমান, এখন তার সাথেই কাটাই বারমাস,
দুঃখ আমার বারমাস ঘরের মেহমান,
তার কাছে শিক্ষা পাই জীবনের।
পদে পদে বিপদ! একেকটি ঝড়ো হাওয়া উড়িয়ে নেয় সব!
তখন উচ্ছাকাঙ্খার জমিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দেয় একদম!
উচ্ছাকাঙ্খার স্টেশন ফাঁকা, কোনো যানজট নেই,
আমি একা!,,,,,,,,,একদম একা!!!
একা একা দুঃখ ফেরী করি আরও!

ওরা এখন আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে!
ওদের নিয়েই আমি আবার উঠে দাঁড়াই!

ভাল্লাগেনা আর

ভাল্লাগেনা আর!
চারিদিক এতো আহাজারি! এতো কান্না!
এতো রক্ত! এতো বর্বরতা!
কিযে করি! কিচ্ছু ভাল্লাগেনা!
তাকালেই দেখি ক্ষুদায় কাতর কতো বৃদ্ধ লোক,
আকাশসম দুঃখ বুকে নির্বাক চোখ!
ভাল্লাগেনা আর…! কিচ্ছু ভাল্লাগেনা!!

বিপদ-আপদে আশ্রয়দান করে যিনি রাখতেন সদা নিরাপদ,
আজ তাকালেই দেখি বৃদ্ধাশ্রমে জনমদুখিনী মায়ের বিপদ!

সেই মর্মান্তিক কষ্ট……..!!!!!
আমার ভাল্লাগেনা আর! কিচ্ছু ভাল্লাগেনা!
এখন ভালোবাসার নগরে কেবল আগুন আর আগুন!
ভালোবাসার হাতে হাতকড়া আর হাতকড়া!

আজকাল ভালোবাসার দাম বেড়ে গেছে!
কেউ দিতে চায়না!
সবাই কিছু একটার বিনিময়ে দিতে চায়,
এমনি এমনি না!
অবহেলিত ভাবে যদি চলতে থাকে দিন, পথে-ঘাটে, হাট-বাজারে,
রাতে দিনে, মাসের পর মাসে,
বছরের পর বছর, কতো চলবে এভাবে আর?
ভালোবাসার বাজারে কি উঠবেনা আলোয় ভরে?
ভালোবাসা ছাড়া এভাবে কতো প্রাণ যাবে ঝরে?

তোমরা এতো নিরব কেনো?
কেউ কিছু একটা বলো?
উঠো এবার আলসেমি ছড়ে,
অন্তত কিছু একটা করো?
এভাবে আর কতোদিন বধির হয়ে থাকবে?
আমার ভাল্লাগেনা আর! কিচ্ছু ভাল্লাগেনা!