মোঃ সাহারাজ হোসেন এর সকল পোস্ট

মোঃ সাহারাজ হোসেন সম্পর্কে

জীবন বিস্তারিত পরে দিবো।

এসব আজ একেকটি শিল্প

পোড়া মুখ, জননীর শোক,
আর রক্তমাখা কতগুলো শার্ট!
এসব আজ একেকটি শিল্প!
একেকটি রংতুলির আর্ট!

এসবের কথা ভুলে যাও!
এখন দেখো, কি করে ইতিহাস ইতিহাসের গলাটিপে হত্যা করে!
সেকি নির্মম হত্যা!
বিস্ময়কর অত্যাচার!
খুন, গুম , লুণ্ঠন!!!
এসবের কথা ভুলে যাও!
এসব আজ একেকটি শিল্প!

শিল্পকাররা এখন একেকজন ইতিহাসবিদ ,
ইতিহাসের কারখানায় একেকটি ইতিহাস ভিন্ন ভিন্নভাবে তৈরি করে!
কালের ইতিহাসের পাতা উল্টে-পাল্টে
আঁকে ভিন্ন এক ছবি!
এভাবেই ইতিহাসের ইতিহাস জন্ম।

আর এভাবেই হলো চরিধিক অন্ধকার! ধূসর অন্ধকার!
এখন আলোর সর্দার কেবল অন্ধকার,
ইচ্ছে মতো সে আলো গিলে গিলে খায়!
জব্দ করে আলোর অলিগলি,
আর হয়ে উঠে এসব আজ একেকটি শিল্প!

আলোর স্কুল

অনেকেরই আলোর বড্ড অভাব!
তাই একজন শক্তিশালী আলোর স্কুল খুলেছেন,
যার ইচ্ছে আসবে, যার ইচ্ছে নেই আসবে না!
তবে দরোজা সবসময় খোলা থাকে,
কেউ ইচ্ছে করলে থাকবে মাসকয়েক!
কেউ চাইলে কাছাকাছি এসে মুখ ফিরিয়েও নিতে পারে!
আবার কেউ চাইলে পুরো জীবন কাটাতে পারে এই আলোর স্কুলে।

তাই বলছি কি?
সময় আর নেই বাকি।
সবাই এসো দলে দলে
এই আলোর স্কুলে।
যার যার আলোর অভাব,
এসো আলোতে
ছেড়ে দাও মন্দ সভাব।

এই স্কুল সবার জন্য,
এখানে দুঃখের চর্চা হয়,
সুখের চর্চা হয়,
ভালোবাসার চর্চা হয়,
বন্ধনের চর্চা হয়,
বেদনার চর্চা হয়,
যুদ্ধের চর্চা হয়,
সাম্যবাদ এর চর্চা হয়,
সত্যের চর্চা হয়,
সভ্যতার চর্চা হয়,
মানবতার চর্চা হয়।

এসো ভর্তি হবে,
এই আলোর স্কুলে।

এখন রাত হলেই ঘুম

একসময় রাত, দিন, সন্ধ্যা, আমার দখলে ছিলো।
সময় ছিলো। সময়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠতা, যেমন কাছে থাকলে যেভাবে ইচ্ছে খেলা যায়, সেভাবে খেলেছি।
তাদেরও কোন আপত্তি না থাকায় অতি প্রিয় হয়ে উঠেছিলো, কি গভীর পারসপারিক সম্পর্ক ছিলো আমাদের।

এখন আর নেই!
এখন কতিপয় কটিরাত আমার দলে,
তাও গুপ্তঘাতকের মতো কটি রাত কাকুতিমিনতি করে এনেছি,
তাদের সাথে একটু সুন্দর রাত কাটাবো বলে, মুখোমুখি বসে আনন্দে মুখরিত থাকবে আমার নগর,
আর জ্যোৎস্না এসে গিরে রাখবে আমার নগরের চারিপাশ।

এখন জ্যোৎস্নাও নেই!
কিযে এক দুর্ভিক্ষ আমার নগরে!
এখন হারিকেনের মিনমিনে আলো,
তাতেও এখন কালো ধোয়া!
চিমনীটা একদম কালো হয়ে গেছে!
মুছে মুছে কতো আর পরিষ্কার করা যায়?

তবুও মিছেমিছি মুছি!
শান্তনা দেই মনকে এইভাবে যে,
আগের মতো আনন্দে মুখরিত না থাকলেও ক্ষতি নেই,
অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে চাই।
কারণ বেশি ক্ষতি বাঁচাতে হলে অল্প ক্ষতি হওয়া শ্রেয়,
অল্প ক্ষতি হলে হোক,

তাই কতিপয় কটি-রাত এনেছিলাম।
তারাও শেষমেশ থাকলো না!
সব-কটি সেসব রাত পলাতক!

এখন আমার নগর নিরব!
এখন আমার নগরে সন্ধ্যার পরপরই রাত নামে,
আগের মতো ওদের সাথে হাঁটু গেড়ে বসতে পারিনা!
এখন রাত হলেই ঘুম!

মানুষের মতো দেখতে

কানে কম শুনি, চোখে কম দেখি!
কথাও বলি কম!
কিছু বুঝিনা বলেই হয়তো এমন!

না, না,
এলোমেলো বাতাস এসে চোখ গেলো ভেসে!
প্রকাশ্যে রক্তমাখা মানুষ! ধর্ষিতার হৃদয় গ্রাসি চিৎকারে কান হয়েছে বেহুশ!

আমি কি মানুষ!?
হাত আছে, প্রতিবাদ নেই! মুখ আছে জবানবন্দী ! অন্তর আছে, ঘৃণা নেই!
অথচ আমি মানুষ! জলজ্যান্ত মানুষ! বিবেকবুদ্ধি’ওয়ালা মানুষ!
সুখ জিনিশটা কি বুঝি, দুঃখ কি, তাও বুঝি!
জয় পরাজয়ও বুঝি,
কেনো তবে কানে কম শুনি? চোখে কম দেখি?
কথাও বলি কম!
যাহা সত্য তাহা বলতে কেনো যায় দম?

আমি কি মানুষ?
চিলে কান নিলো কিনা হাত দিয়ে দেখি না! আছে কিনা কান?
কেবল দূর থেকে দেখি রক্তাক্ত পাখিগুলোর প্রাণ!
আমি কি মানুষ?
নাকি মানুষের মতো দেখখতে?

রক্ত খাবি? রক্ত

রক্ত খাবি? রক্ত!
আয়—রক্ত খেয়ে খেয়ে নিস্তেজ করে ফেল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ!
মোশা যেমনটি খেয়ে ক্ষুদা নিবারণ করে,
তোরাও ক্ষুদা নিবারণ পর্যন্ত খা,
এই রক্তের ক্ষয়ক্ষতি দিতে হবে না!
এই রক্তের জন্য রাজপথে কেউ মিছিল করবে না, জনসভা হবে না!
প্রতিবাদ নেই! কোনো বিপ্লব নেই!
সব রাজত্ব তোদেরই।

এখানে মোশামাছির জন্য কেউ আসবে না!
তোরা ইচ্ছে মতো শিকল দিয়ে বন্দী করে রাখ কারাগারে !
উপহাস কর, রক্তের হলী খেল!

এখানে রক্তাক্ত দেহের জন্য কেউ মুক্তির ধাবি নিয়ে আসবে না!
তোদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারী দাঁড় করাবে না!
রক্ত খাবি! খা,,,,,!!!!!
পেপার পত্রিকা, কিংবা টিভির পর্দায় শিরোনামও হবে না!
কোনো আইনজীবীও এই নির্মম ঘটনা লিপিবদ্ধ করে
কোটকাচারি করবে না!

কেবল তোরা একটি গুজব ছড়িয়ে দিস!
দেখবি নির্দোষ তোরা, দোষী কেবল আমিই!

রক্ত খাবি! খা,,,,,!!!!!
খেয়ে নে যত পারিস, সাথে পিপড়েও লেলিয়ে দে,
আমি কাউকে বলবো না! কিছুই করবো না!

তোদের একবিন্দুও ভয় নেই,
জয় তোদের রাজত্বের, ক্ষমতার! টাকার!
পরাজয় কেবল আমার!
আমি কাউকে বলবো না এ পরাজয়ের কথা!
হয় যদি হউক রক্তে লাল জনপথ !

এই বেশ ভালো আছি

কেউ ঘুমায় দামি খাটে
কেউ বা ফুটপাত,
ঘুম তো হয় দু”পক্ষেরই
নেই তো কোনো তফাত।

এই বেশ ভালো আছি।

খাট নেই পালন নেই
তাতে কি আসে যায়,
ঘুম তো হয় আরামে
এই মাটির বিছায়।

এই বেশ ভালো আছি।

বিছানা যেমন তেমন
হোক তা এলো-মেলো
আমার তো ঘুম হয়
কি-বা এলো গেলো।

এই বেশ ভালো আছি।

আমার নেই গাড়ি বাড়ি
নেই কোটি কোটি টাকা,
তবু বেশ সুখে আছি
এই তো বেঁচে থাকা।

এই বেশ ভালো আছি।

বেঁচে থাকার সংগ্রাম
করছি আমি দিনরাত,
হয়তো একদিন আসবে
আলোকময় প্রভাত।

এই বেশ ভালো অাছি।
স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি।

তাওহীদ

আকাশে বাতাসে জেগেছে আজ
চারিদিক মজলুম,
হবেনা আর জালিম শাসকদের
অত্যাদর জুলুম।

ওহে জালিম- ভেবোনা ঘুমে মোরা
আমাদের কিছু নাই,
সময় হলেই জাগি ধিকে ধিকে
আমরাই বিপ্লব ঘটাই।

খালিদ ইবন্ ওয়ালিদ এর মতো
লক্ষ খালিদ ভাসে,
একেকটি বিপ্লব, একেকটি হুঙ্কারে
বাতিল প্রাসাদ গ্রাসে।

আমরা মজলুম, আমরা বিদ্রোহী
আমরা করিনা ভয়,
লক্ষ খালিদের কণ্ঠে বজ্রধ্বনিতে
তাওহীদের হবে জয়।

আকাশে বাতাসে শ্বাসে নিশ্বাসে
ছড়াবো কালিমার বাণী,
যতো করিস চক্রান্ত হবো না ক্ষান্ত
আসুক যতো গ্লানি।

আমার

আমার যায়গা আমার জমি
আমার ঘরবাড়ি,
আমার আমার করতে করতে
দিবো একদিন পাড়ি।

আমার ছেলে আমার মেয়ে
আমার মা বাবা,
আমার আমার করতে করতে
মুছবে সুখ সভা।

আমার ভাই আমার বোন
আমার আত্মীয়স্বজন,
আমার আমার করতে করতে
যাবে এ জীবন।

অমার অহংকার আমার হিংসা
আমার লোভ লালসা,
আমার আমার করতে করতে
নিস্তেজ হবে আশা।

আমার টাকা আমার অট্টালিকা
আমার জনতা,
আমার আমার করতে করতে,
রবেনা কোন ক্ষমতা।

আমার জীবন আমার মরণ
সবই তো আল্লার,
কেনো তবে করো তোমরা
আমার আমার?

আমার বলতে নেই তো কিছুই
সবকিছুর মালিক তিনি,
এ শারা বিশ্ব জাহান তাহার
প্রজ্ঞাময় যিনি।

আমি মানুষ দেখি মানুষ

আমি মানুষ দেখি, মানুষ…
মানুষের ভেতর দেখতে কুকুরের মতো ল্যাজামুড়ো দিয়ে বসে থাকি, মানুষের পায়ের কাছে!
তাদের ভেতরের কুকুরটা দেখবো বলে।
আমি মানুষ দেখি, মানুষ….

আমি প্রতিনিয়ত মানুষ দেখি হরেকরকম মানুষ,
একেকজন মানুষ এতোই নির্জন!
যেন হাজার অন্ধকার ঘিরে রেখেছে!
আবার একেকজন মানুষ যেন অস্তিত্বহীন!
আমি মানুষ দেখি, মানুষ…

আমি মানুষের ভেতর খুঁজতে মানুষের পায়ের কাছে হামাগুড়ি দেই,
কখনো দেখি- মানুষ নির্মম এক ঘাতক!
আমি ঘাতকের হাতে বিধ্বস্ত হই! ঘাতকের ভেতরের কুকুরটা দেখবো বলে।
আমি মানুষ দেখি, মানুষ…

মানুষ, সে তো শ্রেষ্ঠ মানব,
সব সৃষ্টির শেরা,
অথচ মানুষের ভেতরেই দেখেছি একেকরকম দাম্ভিকতা! পশুত্ব! হৃদয়হীন!
আমি সেব মানুষ দেখি, মানুষ….

মানুষের ভেতর দেখতে যদিও আমি অক্ষম,
তবুও আঁকারে ইঙ্গিতে দেখতে থাকি, মানুষের অসহায়ত্ব! মানুষের অশ্রুসিক্ত আঁখি!
আমি মানুষ দেখি, মানুষ….

প্রতি সন্ধ্যাবেলায় আমার বুকের ভেতর কুয়াশায় ভরে উঠে বহুরূপে গুণান্বিত মানুষগুলো দেখে।
আমি মানুষ দেখি, মানুষ…
আমি কেবল বিধ্বস্ত হই! মানুষ দেখে।

ফিরে এসো

হে যুবক সম্প্রদায়,,,,

ক্ষনিক সময় পেয়ে
ভুলে গেলে প্রভুকে,
জেনা ব্যভিচারে লিপ্ত
ভয় নেই কি বুকে?

সারাদিন দু-চোখ দিয়ে
দেখো অশ্লীল ছবি,
কেটে যায় দিনরাত
উদয় হয় রবী।

হাত, পাও দিয়েও
করছো তুমি জেনা!
মুখে, অস্তরে, ভাবনায়
জেনা করে আনাগোনা।

পাপের সমুদ্রে তুমি
হারিয়ে হাবুড়ুবু খাও!
পাপ করতে লাগে ভালো
তাই তো, করে বেড়াও!

মন খারাপ হলেই
মদ্যপানে লেগে যাও!
মাতাল হয়ে ভকভক করে
শান্তি নাকি পাও।

গানবাজনা, সেক্স, নাচ
করো আরও কতো কি?
বিস্ময়কর বিশ্ব জুড়ে
হরেক ঘটনাবলী দেখি!

হে যুবক সম্প্রদায়,,,,

তোমার দৃষ্টি-শক্তি
কি কাজে করছো ব্যয়?
বিবেক, মনুষত্ব থেকেও
কেনো করো অন্যায়?

হাত, পাও, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
পুরো দেহটা যে পাপিষ্ঠ!
তোমার খেয়ালখুশির আনুগত্য
করতে করতে হলে পথভ্রষ্ট!

ফিরে এসো, ফিরে এসো
তোমার রবের কাছে,
যত-সব পাপসমুহ
দয়াময় দিবেন মুছে।
ফিরে এসো, ফিরে এসো।

জাগো মুসলিম জাগো

আজ মুসলিম জাতির হয়েছে
হরেক অধঃপতন!
ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে দ্বীন
ইসলামের চেতন।

তাই তো আজ সমাজ, দেশ
পচন ধরেছে,
পথহারা মুসলিম জাতি
ধুকে ধুকে মরছে!

মদ্যপানে তরুণ-তরুণী
হয় দিশেহারা,
পথে-ঘাটে অশ্লীল যৌনাচারে
লিপ্ত তারা।

খেলা-ধুলায় জাতিকে আজ
ব্যস্ত রাখছে,
ফেইসবুক, ইন্টারনেটে তরুণ-তরুণী
বিপথগামী হচ্ছে।

দেশী বিদেশী চ্যানেলগুলো দেখে
পরকিয়া শিখছে,
যতই বলি দেখিসনারে এসব চ্যানেল
তবুও দেখছে!

বি-পথে হেটে হেটে আজ
অন্ধকার চারিধার!
এখন সামনে পিছনে নেই
আলোকিত আধার।

জাতিকে আজ জিম্মি করছে
ভিন্ন এক চক্র দল,
এভাবেই হারালো মুসলিম জাতির
ঈমানী শক্তি-বল।

আজ মুসলিম জাতির এক ইমাম প্রয়োজন
করি ঐক্যের আহ্বান,
যতসব চক্র হবেই হবে ধূলিসাৎ
আছে মোদের কুর-আন ।

ওহে মুসলিম জাতি, ভয় নেই ভয় নেই
এসো ছেড়ে অন্ধকার!
ঘুরে দাঁড়াও ঘুরে দাঁড়াও অপসংস্কৃতি মোচনে
করি দীপ্ত অঙ্গীকার।

জাগো মুসলিম জাগো
হয়ে জ্বিহাদী,
আমরা বীর সৈনিক
আমার আজাদী।

অশ্লীল চলন

রফিকের বউটা বেশ নাটুসনুটুস
দেখতেও চমৎকার,
পড়নে তাহার চকচকে শাড়ি
দেখা যায় এপারওপার ।

ঈদ আনন্দে সেঁঝেগুঝে দুজন মিলে
যায় হাত ধরে,
বউয়ের সৌন্দর্য দেখিয়ে সবাইকে
ধন্য মনে করে।

বউটা ও বেশ আধুনিক, ডিজিটাল
ঘোমটা নেই মাথায়,
এমন সুন্দর শাড়ি পড়েছে সে
পাহাড় পরবত দেখা যায়।

এসব দেখে পাড়ার লোকে বলে
যাচ্ছেরে এক ডানাকাটা পরী,
যুবকগুলো একটা আরেকটা”কে বলে
চল যাই চল যাই ধরী।

অতঃপর ইভটিজিঙের হলো শিকার
বেপর্দার কারণে,
বউয়ের রূপ দেখাতে রফিক বাবু হলো কাবু
অশ্লীল চলনবলনের ধরনে।

সময়

এখন সময়ের সাথে আমার তুমুল সংঘর্ষ হয়,
সকাল হতে না হতেই সন্ধ্যা, সন্ধ্যা হতে না হতেই গভীর রাত, তখন আমার ভাবনাগুলো একত্র করে সময়ের সাথে যোগফল কষি। আর বিয়োগ, ভাগ পূরণ, এসব আমার আয়োত্বে নেই!
কেবল যোগফল একটু-আধটু পারি, তাও মাঝেমধ্যে ভুল করে বসি গণ্ডমূর্খের মতো,
হিসেব কষে কষে যেন তালমিল পাই না!
এদিক দিয়ে সময়ের সাথে আমার তুমুল সংঘর্ষ আর সংঘর্ষ, কেবল সংঘর্ষ গাঢ় থেকে গাঢ়তর হতে থাকে।
ঘড়ির কাঁটায় বিস্ফোরণের মতো একেকটি শব্দ এখন আমার হৃদয় ভেদ করে!
যেন পাঁজরের রক্ত পুঁজ জমাঠ হয়ে গেছে!

যে জীবন পাড়ি দিয়ে এসেছি, সে কালের সমস্ত সময় তছনছ করেছি!
এ যেন নিজের পায়ে নিজেই কুড়োলের আঘাত!

একটা সময় ছিলো- সময়ের সাথে আমার খুব গাঢ় ভালোবাসাবাসি,
সেই সমস্ত সময় উইপোকারা খুঁড়ে খুঁড়ে খায়, সুড়ঙ্গ করে।
আর এখন সময়ের সাথে আমার তুমুল সংঘর্ষ!

এখন আমার রাত কেবল অন্ধকারে ঘেরা,
যৌবন ভরা টগবগে যে নদীগুলো ছিলো, সময়ের ছলবলে সে-সব নদী শুকিয়ে গেছে!
এখন আমার নদীগুলো নিরাপত্তাহীন!
কখন কে হানা দেয়, কোন দখলদার দখল করে কে যানে?

দুর্ভিক্ষ

এখন আমি কেবল দুর্ভিক্ষ দেখি চারিদিক!
হতাশার বেড়াজাল আমাকে গিরে রেখেছে মাকড়শার জালের মতো!
হাওয়া এলেই উড়ে ভীষণ নড়বড়ে !

তবুও আমি চেয়েছি এসব ভেদ করে জেতে, দূরের আকাশ, দূরের পৃথিবী দেখতে।
জেতে চেয়েছি আরো দূরের সমুদ্র সৈকত,
জেতে জেতে দেখবো এবড়ো থেবড়ো বিস্তৃতঅঞ্চল, পাহাড়ের পর পাহাড় পাড়ি দিবো।
তারপর পথের দেখাদেখি পথ খুঁজতে খুঁজতে হয়তো পেয়ে যাবো সহজ সরল অতি কাছের জীবন,
সেই চেনা কাছের দ্বীপ আর বিশাল জগৎ।

আমি কিছুই দেখিনি, কিছুই পারিনি! কেবল আরো দুর্ভিক্ষ!
তবুও এক দুই পা করে হাঁটি, হাঁটতেই থাকি মুঠোভরতি সম্ভাবনা নিয়ে,
এর ভেতরেই দেখি ধুলোবালির জড়াজড়ি মাখামাখি!
কোথায় যাই, কেমনে চলি ভেবে পাই না কিছুতেই!
এখন আমার একেকটি দীর্ঘশ্বাস যেন একেকটি মৃত্যু!
এখন আমি প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সম্মুখে পড়ি!
মৃত্যুর অতি কাছাকাছি দাঁড়িয়ে হামাগুড়ি দেই!

যেন কেউ নেই আমার! কেউ নই আমার!
যানি- একদিন চলে যাবো, আমার সব দুর্ভিক্ষ আর হরেক হতাশা রেখে!
কেবল আমি চির একা, চির একা!!!!
এসব ভাবতে ভাবতে এখন ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে আমার ভেতর!

বৈশাখ

বৈশাখ এলেই আজ ভাঙালী খায়
ইলিশ পান্তা-ভাত,
রমনার বটমূলে বেহায়াপনার মতো
কাটায় নববর্ষের রাত।

নারী পুরুষ ভেদাভেদহীন রঙিন রঙঢঙে
এখানে সেখানে উৎপাত,
এ যেনো যুবক যুবতীর মিলন মেলা
চলছে রেখে হাতে হাত।

ভিনদেশী নানান সংস্কৃতির আয়োজনে
নিজস্ব সংস্কৃতি কুপোকাত!
ওহে মুসলিম, কেনো তোমরা অপসংস্কৃতির
আয়োজনে হয়েছো ওস্তাদ?

বৈশাখ এলেই নতুন সাঁঝে সাজাতে
ব্যস্ত হও দিনরাত,
মুসলিম হয়ে কেমন করে আজ
করো বৈশাখের পক্ষপাত?

এটা কোনো মুসলিমের সংস্কৃতি নয়
ভুলে গেছো কি রীতিনীতি?
কোন আয়োজনে করো আনন্দের মিছিল
নেই কি তোমাদের ভয়ভীতি?

লিখো বৈশাখের কবিতা, বৈশাখের নাটক
বৈশাখের হরেক গীতি,
টিভির পর্দায় দেখি বৈশাখের কতো কি
এটা কি আমাদের সংস্কৃতি?