মোঃ সাহারাজ হোসেন এর সকল পোস্ট

মোঃ সাহারাজ হোসেন সম্পর্কে

জীবন বিস্তারিত পরে দিবো।

চেনা অচেনা মানুষ

একবার মানুষ চিনতে কুকুর হয়েছিলাম। ছটাক খানেক ক্ষোভ নিয়ে ঘেউ-ঘেউ করে হয়েছিলাম অমানুষও!
মানুষের রূপ রং ঢং দেখে কতো ভেবেছি! কতো যে হয়েছি মুগ্ধ।
তবে খোলসের ভেতর যে খোলস দেখে পেয়েছি আকস্মিক ভয়!
সেরকম খোলসের ভেতর একটা অন্ধকার আকাশ আজো হয় উদয়! তাদের এখনো হয়নি সুবোধোদয়।

সময় এখন সত্য মিথ্যার পার্থক্য করে দিয়েছে।
এখন মানুষ চিনতে খুব একটা ঘোলা জল ঘাটতে হয়না,
এখন কারো একটা পুণ্য কাজ দেখে বুঝি, তার আরো পুণ্যবান কাজ আছে।
এখন কারো একটা অকল্যাণকর কাজ দেখে বুঝি, তার আরো অকল্যাণকর কাজ আছে।

এই মানুষ শব্দদ্বয়ের আজো ঘুম ভাঙেনি, কেউ কেউ জেগে জেগে ঘুমায়, কেউ কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জাগে, কেউ কেউ রাতকাণা, কেউ কেউ দিনকানা।

একদিন ঠিক দেখিয়ে দিবো

অনেক দিন হয়ে গেছে আলোর সাথে মাখামাখি খেলিনা! মনের কোনে আলোর চটা দাগ কাঁটে না! কেমন যেনো অন্ধকার নিয়ে খুব ভালো আছি, দিব্যি বেঁছে আছি।
খাচ্ছি দাচ্ছি, গুরছি ফিরছি, সুডেট বুডেট পোশাগ, গাড়ি বাড়ি, সব মিলে আলিশান একটা জীবন।

তবুও কোথায় যেনো একটা অপূর্ণতা……!

অনেক দিন ধরে খুব বেদনা অনুভব করছি!
আগে আলোদের দেখে জান্নাতের কথা যেমন মনে পড়তো, তাদের সাথে দিনের পর দিন কাটিয়ে খুউব ভালো হয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা এখন জাগেনা!
দাঁড়ি টুপি জুব্বা ছেড়ে দুনিয়ার রংচঙে মাটি কামড়ে ধরেছি বলেই হয়তো এমন!

একদিন আমি ঠিক দেখিয়ে দিবো তোমাদের, আমার বারান্দার সুখের সব বাতাস, রোদ, যেমন ইচ্ছে তেমন চলার আকাশ’টা বিক্রয় করে দিবো তোমাদের কাছে,
সুডেট বুডেট সাহেব ভাব টাইপের জীবন ছাড়াও যে দিব্যি বেঁচে থাকা যায়।

একদিন ঠিক দেখিয়ে দিবো…
যে জীবন দুনিয়ার লোভে মোহাচ্ছন্ন হয়ে তোমাদের সুন্দর হৃদয়গুলো বিবর্ণ করে ডুবিয়ে রেখেছ মুখ!
সে জীবনের চেয়ে অধিক উত্তম বকরির দুধ আর খেঁজুরের ঐ জীবন’টাতে সুখ।
একদিন ঠিক দেখিয়ে দিবো..
সে জীবন’টাই অনন্য অসাধারণ জীবন।

দুর্নীতির বালিশ

আমি “নীতি” শব্দটি বানান করি
বানান করতে করতে দিস্তা দিস্তা কাগজ শেষ করি, কালি শেষ করি। কেবল ভুল হয়! ভুলে দুর্নীতি লিখে ফেলি! কলম দোষ ধরে আমার, আমি দোষ ধরি কলমের।

এভাবে “নীতি দুর্নীতি” লিখতে লিখতে কতো “সময়” নষ্ট করেছি, আর আজ “সময়” নষ্ট করছে আমাকে। দোষ ঘুরেফিরে আমার’ই।

একদিন “নীতি দুর্নীতিকে” জিজ্ঞেস করেছি, কার সুখ বেশি?
“নীতির” বিছানায় বেদনার রাত!
আর দুর্নীতির বিছানায় সুখের প্রভাত।
সেই থেকে আমার দুর্নীতি বানান ভুল হয় না।
দুর্নীতির বালিশে নাক ডেকে ঘুমাই।

ভীতু

ইদানিং “ভীতুর” সাথে আমার বসবাস!
পেট থেকে মুখে কিছু আসেনা!
আসলেও মুখে সেফটিপিন লাগিয়ে দেই

এমন নীরবতায় কতো রক্ত সুনামি ধেয়ে আসছে আমার দিকে! তবুও আমার হুশ ফেরেনা
কেবল ঘরের কোণে বসে আমি সাহায্য চাই রবের কাছে

এ যেনো কাজ ছাড়াই ফলের আশা
অথচ সাহায্য এমনি এমনি আসবেনা
সাহায্য পেতে হলে রক্তস্রোতে পা দিতে হয়

জুতো

হাঁটতে হাঁটতে জুতো ক্ষয় হয়ে যায়! সেলাই করি অভাবে, স্বভাবে নয়। সেলাইও ক্ষয় হয়, মাঝে মাঝে সুই-ও ঝঙ্কৃতি…!! তবুও হাঁটি, হাঁটতে পারি। হাঁটতে হাঁটতে পথও ক্ষয় করি! এভাবে ক্ষয়ে যেতে যেতে শেষ হয়!

তবুও নিত্যনৈমিত্তিক স্বপ্নের বিছানায় শুয়ে স্বপ্ন দেখি নতুনত্বের, দেখতেই পারি সেই স্বাধীনতা তো আমার আছে।
জুতো নেই, জুতো নেই, এই নিয়ে মনে আক্ষেপ।
অতঃপর একদিন আক্ষেপ ঘুচল। কেনো-না দেখলাম এক জনের পা-ই নেই!
অতঃপর তৃপ্ত চিত্তে পথ হাঁটি।

বিচারের বিচার

ইদানিং “বিচার” শব্দটি খু্উব অসহায়, নিরীহ, মজলুম,
হয়ে জুলুমে নির্যাতনে আক্রান্ত!
তাকে নিয়ে কতো পক্ষের দল, কতো মতের অমতের বুদ্ধিজীবীরা করে যায় চক্রান্ত!

কেউ একজন এর দায়িত্ব নিয়ে যে সংস্কার করবে তার কোনো সাড়াশব্দ নেই! নিঃস্বন্দে তার দিন যায় রাত যায়।
অথচ কতো দায়িত্বশীল স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ করে গরম,
তাদের কি একটুও নেই চোখের লজ্জা-সরম……?

এই যে বিচারহীনতায় তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেবলি রক্তাক্ত!
এই যে বারবার কাঁটা গায়ে নুনের ছিটে! এমন আর কতো চলবে?

এর একটা বিহিত না করলে হবে না,
“বিচার” শব্দটির “বিচার” করতে হবে।
দা, রামদা, কুড়োল যে যা পারিস নিয়ে আস।
আর না হয় অভিধান থেকে বিচার শব্দটি গুম করে দে!
তারপর যুদ্ধাপরাধী সাঁজ, তখন হয়তো বিচার করবে।

ফটো জেনা

– অমন গভীরভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে কি দেখিস চোখ?
-দেখছি আবোলতাবোল!
-আবোলতাবোল কী?
-এই যে দেখ।
-ছিঃ ছিঃ!
– ছিঃ ছিঃ করিস ক্যান?
-এসব কি দেখিস তুই?(!)
– কি এমন হইছে, একটা ফটো মাত্র। দেখলে ক্ষতি কি?
-তুই তো নিজেকে খুন করছিস! তোর চোখ একটা খুনী!
যে চোখ খুনি! সেখানে তো খুন হয় আলো প্রতিদিন।
-কেমনে কী?
– এই যে উলঙ্গ ফটো’কে আবোলতাবোল চোখে দেখিস! তোর কাছে তো এই ফটোর রঙ ও নিরাপদহীন’রে!
-আরে না, নিরাপদ আছে, একা একা লুকিয়ে দেখছি। কেউ দেখছে না।
– না কেউ একজন তো দেখছেন।
– কে?
– আল্লাহ্।

পরকালের হাল

বছর ঘুরে বছর আসে
ফাল্গুনে হও সবাই হলুদ,
এতো রঙে রঙিন করলে
ঈমান করলে না মজবুত।

ঈমানের রঙে সাজালে না
ভ্যালেন্টাইন’ডে হলে লাল!
দুনিয়ার রঙে রঙিন হলে
সাদা’র জন্য প্রস্তুত তো কাল?

সময় থাকতে ছেড়ে দাও
দুনিয়ার এই মায়াজাল,
আজ নয় কাল গড়িমসি ছেড়ে
এখন’ই ধর চিরস্থায়ী হাল।

ভালোবাসার অত্যাচার

ইতিহাসের পাতা যখন এপিঠ ওপিঠ করে উল্টাই, দেখি কেবল কতো সকালের করুণ চিৎকার! কতো দুপুরের হাহাকার! কতো বিকেলের কান্না! কেউ লাঞ্ছিত! কেউ বঞ্চিত! কারো রাত নেই! কারো দিন নেই!
কারো কারো কিছুই নেই!

এমন অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন অনেক তো দেখেছি, সুনেছি, সয়েছি!
ওহে মানুষ, এবার অন্তত থামো। অন্তত এবার একটু ভালোবাসা নিয়ে মাঠে নামো।
মনে বড়ই স্বাদ আমার, একটু ভালোবাসার।
মনে বড়ই স্বাদ, ক্ষমার রুমালে মুছে দিবে সব অপরাধ!
অনেক তো হলো যুদ্ধ দামামা খয় ক্ষতি!
এবার না হয় জ্বালবে একটু মায়ার জ্যোতি।

অনেক সয়েছি অত্যাচার, নির্যাতন! নিপীড়ন!
আমার খুব ইচ্ছে করে এবার ভালোবাসার অত্যাচারে অত্যাচারিত হই।
এ অত্যাচারে হয়তো একদম শেষ হয়ে যাবো, না হয় বাঁচবো। তবুও ভালোবাসার অত্যাচার চাই।
একটু ভালোবাসলে’ই তো ভালোবাসা পাওয়া যায়, একটু ভালোবেসে দেখই না, তোমার জন্য জীবন দিয়ে দিবো হে মানুষ।

আমার খুব ইচ্ছে করে জালিম হই

আমার খব ইচ্ছে করে জালিম হই!
আর দাঁড়িয়ে থাকা তরতাজা মেহগনি, সেগুন, আকাশমনি সব বৃক্ষগুলো চিবিয়ে চিবিয়ে খাই!
বৃক্ষের বংশ সুদ্ধ খেয়ে একদম নির্বংশ করে দেই!
যেমন করে খায় তিলে তিলে ঘুনপোকা’রা কাঠ,
আমারও তেমন করে ইচ্ছে করে খাই সোনালী সব মাঠ!

নীড়হারা পাখিদের যেমন উড়তে না পারার শোক!
মেঘ যেমন ঢেকে দেয় হঠাৎ যুবকযুবতির সব জ্যোৎস্না! তাদের হাহাকার!
পথ-ভোলা যেমন ফুল ভেবে ভুল করে!…তার সর্বনাশ!
আমার খুব ইচ্ছে করে জালিম হয়ে তাদের ভুল, শোক, কান্না, আরো বাড়িয়ে দেই!
আগুনের সাথে আগুন দিয়ে জ্বালা যন্ত্রণায় মেরে রক্তাক্ত করি!
ঘর বাড়ি লুটপাট করে ছারখার করে দেই সব!

কারণ আজকাল জালিমের খুব বেশি কদর,
যে যতো বেশি পোড়াতে জানে,
যে যতো বেশি রক্ত খেতে জানে,
যে যতো বেশি খেলতে পারে মিথ্যে মায়ার খেলা,
তাকেই আদরে ঘিরে ধরে তার চারিপাশ।
আজকাল আমার খুব ইচ্ছে করে জালিম হই!

স্বার্থপর

উইয়ে-খাওয়া নগরে এখন বিপ্লবী জেগেছে
ঢুকতে দেয় না কোনো কূটনৈতিক দূত!
অঃতপর যখন স্বার্থ উদ্ধার করতে পারেনি,
তখন কালা-মিয়ারা বলে শালারপুত!
/
তাই স্বার্থের সাথে স্বার্থের সংঘর্ষ হয় রোজ
হয় সতেজ পাতার করুণ হাহাকার!
অগ্রদূত’রা সভামঞ্চ করে নগরে নগরে
প্রতিশ্রুতির তোলে হরেক ঝংকার!
/
এখনো শেয়ালের কাছে মুরগী জমা রাখার
গল্প বলে আমাদের! বদলাবে নগর!
অথচ এখনো চিকন সুতোর জাল বুনে বুনে
অন্যের হাতে কলা ছুলে খায় স্বার্থপর!

কালোর রাজত্ব

যদিও অন্ধকার ছুঁতে পারেনি আলো, আলো ছুঁতে পারেনি অন্ধকার!
তবুও জোনাকিগুলো খোলা মাঠে ম্যাজিক দেখাচ্ছে আলো দিয়ে তার।
আলো নেই! কালো আছে! কালো ছুঁতে ছুঁতে সুন্দরও এখন কালোর মিছিল করে!
তুমুল স্লোগানে স্লোগানে অন্ধকার করে চারিদিক!
যে কালো কৈ মাছ উল্টে খেতে জানতো না,
সে আজ তুমুলকাণ্ড করে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খায়! কাটা দিয়ে কাটা তোলে!
যে পানের স্বাদ কেমন কোনদিন জানতো না!
সে আজ অন্যের পান থেকে চুন খসিয়ে সুপারি ও মিষ্টি জর্দা দিয়ে পান খায়!

তবুও সুন্দরের পথ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যে জোনাকিগুলো আশার আলো নিয়ে এদিক সেদিক উড়োউড়ি করতো,
তারা আজ ককটেলের আঘাতে ছিন্নভিন্ন!
দিকভ্রান্ত জোনাকিগুলো এখন আসে না সাগর কুলে খুঁজতে ঝিনুক!
তারা যে নগরের আল পথ দিয়ে আসতো সে আল পথের খুব অসুখ!

জীবন মৃত্যু জীবন

(জীবন)
-এই যে থামুন, থামুন। কেনো দৌড়ান?
-টাকার পিছু
-টাকাই কি সব?
-পরিস্থিতি তো তাই বলে!

(মৃত্যু)
-এই যে থামুন, থামুন। কেনো দৌড়ান?
-মৃত্যুভয় আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়!
-দৌড়ে কি লাভ? বাঁচতে কি পারবেন?
-না, তবুও কেনো জানি দৌড়াচ্ছি একটি আশ্রয়ের জন্য।
-বাঁচার জন্য যদি পুরো পৃথিবীও দৌড়ান, ক্ষতি ছাড়া কিঞ্চিৎ পরিমাণও লাভ হবে না!!!!!
বরং যদি জাহান্নামের ভয়ে দৌড়াতেন, তবে অবশ্যই অবশ্যই লাভ হতো। আশ্রয় পেতেন।

(জীবন)

(জীবন মৃত্যু জীবন) এই তিন শব্দের শেষের শব্দ নিয়ে যদি ভাবতেন
যেমন রাতে ঘুমালেন, গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মৃত্যু আপনাকে প্রতিরাতেই ডাকছে! ঘুম ভাঙলে হয়তো হবে সকাল, না হয় (পরকাল)
এই পরকাল নিয়ে যদি ভাবতেন….

মৃত্যু আমাকে আপনাকে তো কেড়ে নেবে’ই!
নেবে না বিশ্বের মানবতাবাদী কোনো জাতিসংঘ!

আসুন, পথ’টা বদলে দেই, যে পথ সহজ-সরল।
আসুন সহজের দিকে দৌড়াই। যে পথ সহজ ও চিরস্থায়ী শন্তিময়।

পুরুষ ধর্ষণ

এখন আর তোমাদের শুনতে হবে না নারী ধর্ষণের চিৎকার!
এখন আর যুবতী মেয়েটি কাউকে বলবে না আমি ধর্ষণের শিকার! আমাকে বাঁচাও বাঁচাও!

এখন সময় বদলেছে উলটো স্রোতে
এখন পুরুষ ধর্ষণের কাল!
নারী এখন ধর্ষিতা নয় ধর্ষক হয়েই
দুর্দান্ত গতিতে ধরছে হাল।

এখন আমি পুরুষ নির্যাতনের কথা ভাবি!
এখন আমি পুরুষ ধর্ষণের আত্ম-চিৎকারের কথা ভাবি!

হঠাৎ কখন শুনি একদল নারী ধর্ষকের হাতে ধর্ষিত জনৈক ব্যক্তি অমুক তমুক!
হয়তো প্রকাশ্যেই ঘাঁটাঘাঁটি দুর্গন্ধময় বাতাস নিয়ে!
লজ্জা কি করে ঢাকি এই পোড়া মুখ!

সুন্দর

তোমরা যারা সুন্দরকে ভালোবাসতে শেখালে,
সুন্দরকে সুন্দর বলতে শেখালে,
আমি আজও সেই সুন্দরকে ভালোবাসি।
সুন্দরকে সুন্দর বলি।
সুন্দরের হাত ধরেই রোজ রোজ আকাশ দেখি,
পাখি দেখি, ফুল ও ফল সবুজ স্যমল শষ্যখেত দেখি। সুন্দর সকাল দেখি, গোধূলি বেলার সূর্যাস্ত দেখি। জোছনা দেখি। কি অপরূপ সুন্দর সব!
কেবল উপরে ফিটফাট ভেতরেটা সদরঘাট!

এখন আর আগের মতো সুন্দর দেখা হয় না!
সুন্দরের ভেতরে যে আরেকটা সুন্দর থাকে,
সেরকম গভীরভাবে এখন দেখি না তাকে।
সুন্দরের দেয়ালে দেয়ালে এখন সেওলা জমাট!
মসৃণ দেয়ালে টিকটিকিগুলো এখন নিরাপদহীন!

আজ সুন্দর নেই কেউ…..!!
সুন্দর আজ ধর্ষিত হয়…..!!
সুন্দর আজ রক্তাক্ত হয়…!!
সুন্দর আজ পতিতালয়….!!

সুন্দর আজ নিষিদ্ধ পল্লির চটি গল্পগুজব!
সুন্দর আজ নির্যাতিত একটা শিল্পের উৎসব!

তাই এখন বেলা শেষে দেখি বিষন্ন আকাশ ঢেকে আছে মেঘে!
যে সুন্দরেরা প্রফুল্লহৃদয় নিয়ে শহর জুড়ে উঠতো জেগে,
সে সুন্দর এখন রোজ বেদনার হাত ধরে বাড়ি ফিরে….!!!