সৈয়দ হিলাল সাইফ এর সকল পোস্ট

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

2752388

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাতাসে ওড়ায় স্বর
উত্তাল মার্চ উত্তেজনায় মাটি কাঁপে থর থর!
কানায় কানায় রেসকোর্স মাঠ জনতা স্বাধীনচেতা
তার মাঝে এসে আসন নিলেন জননন্দিত নেতা।
লক্ষ চোখের তারায় তারায় কী যেন কী কথা কয়
স্বাধীনতার ঘোষণা পেলেই কেটে যাবে সংশয়।
মুক্তি পাগল জনতা জানায় সাদর সম্ভাষণ
অধীর চিত্ত শুনবে কখন কাঙ্খিত সেই ভাষণ!
বজ্রকণ্ঠে জানান দিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ বীর
ভায়েরা আমার….হাত তুললেন চির উন্নত শীর।
উদাত্ত সেই ঘোষণায় ছিল জনতার মহামুক্তি
‘এবারের সংগ্রাম–স্বাধীনতার সংগ্রাম’ অকপট স্বীকারোক্তি।
নেতার হুকুম ‘প্রতি ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো’
যার যা আছে তাই নিয়েই লৌহ কপাট খুলো!
সময়মতো হুকুম যদি নাও দিবার পারি
বন্ধ করবে সব যোগাযোগ জন্মের মতো আড়ি!
প্রধানমন্ত্রী চাই না হতে–অধিকার শুধু চাই
সেনাবাহিনী ব্যারাকে থাকো! তোমরা আমার ভাই!
মহাকাব্যিক মোহনীয় সুর শুনি নি তো কেউ আগে
প্রতিটি বাক্যে ছত্রে ছত্রে চেতনার ছোঁয়া লাগে।
ভাষণ তো নয়, ঘাড়ের ওপর ভূত ভাগানোর মন্ত্র
বজ্রকণ্ঠে কেঁপে ওঠে তাই পাকের স্বৈরতন্ত্র।

আজো শুনি সেই জয় বাংলা! বঙ্গবন্ধুর জয়
প্রাণ জাগানিয়া সেই সুর আজ বিশ্বের বিস্ময়!

বিজয়ের শুভেচ্ছা

266456

স্বাধীনতার যুদ্ধ হলো ছাব্বিশে মার্চ শুরু
সাতকোটি প্রাণ ভয়াতংকে তখন ধুরুধুরু…
লক্ষলক্ষ মা-বোনেদের সম্ভ্রম-শান-মান
দেশের জন্য বিলিয়ে দেওয়া তিরিশ লক্ষপ্রাণ!
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে খতম পাকবাহিনীর…’কেচ্ছা
ডিসেম্বরের ষোল তারিখ, ‘বিজয়ের শুভেচ্ছা’।

গর্দিশ

হঠাৎ করে পা’ মচকে
চিৎপটাং রাস্তায়
আশেপাশে কেউ ছিলোনা
তুলে ধরবে– আস্থায়!

অগত্যা ঘর ফিরতে হলো
কাজের কাজ ভুলে
ঘরে পৌঁছে বুঝতে পারি
পা’টাও গেছে ফুলে।

খানিকটাপর শীতে শরীর
কাঁপলো থরথর
থার্মোমিটার জানান দিলো
গায়ে ভীষণ জ্বর।

এখন আমি সজ্জাসায়ী
বন্ধুরা সব কাজে
মোবাইল ফোনে টিপেটিপে
লিখছি আজেবাজে।

মা’র তুলনায় ‘মা

কেউ কখনো জিজ্ঞাসিলে
বলব আপন মতে
মায়ের মত কেউ ছিলনা
কেউ পারেনা হতে!
মায়ের মত আপন হয়ে
কেউ আসেনি ধরায়
আমার সুখে হাসি ফোটে
দুঃখে অশ্রু ঝরায়!

অস্থিরতায় মা জননীর
গুটি কয়েক বানী
এক নিমিষে দূর’যে হত
বিষাদ যত গ্লানি!
আমার মায়ের মত করে
কে করে আর আদর
নিখাঁদ ভালোবাসায় বুনা
আস্ত একটা চাদর।

মা’র কোলেতে বসলে পেতাম
শান্তি জনম ভরা
তাঁর শরীরের গন্ধ যেমন
মেশকে আম্বরা
মা’র তুলনায় শুধুই’যে ‘মা
বিশাল অবদান
হে-পরোয়ার আমার মাকে
জান্নাত কর দান।

একগুচ্ছ অণুছড়া

5936.855

এক।।
ঘরে মিল্ক কফি নাই
নাই সুগার, নাই টি
মন চায় গিন্নির
ছিড়ে খাই নাইটি।

দুই।।
পাওনা টাকা খোঁজতে গেলে
দেবো দেবো বলেন মাসি
মাসির আশায় পথ চেয়ে
আমারতো ভাই গেলো মাস-ই।

তিন।।
বাবা মায়ে যত্ন করে
নাম রাখিলা আশীষ
একবার কেউ আদর করে
কয়না ঘরে আসিস।

চার।।
মেয়ে আমার বিয়ে দিলাম
শুনে জামাই কারবারী
এখন শুনি জামাই আমার
লিল্লাহ খুঁজে কার বাড়ি।।

পাঁচ।।
আমার যখন জব ছিলো
হাতি ঘোড়া সব ছিলো
এখন আমার নকড়িও নাই
গাই বাছুর কী! বকরীও নাই।

পরচর্চা

বড় ছেলে হাবা-গুবা
মায়ের মত কালো-শোভা।

তার পরেরটা ল্যাংড়া
সভাবে জাত চ্যাংরা…

একটা যে রাত কানা
কারো নাই তা জানা !

যেই ছেলের নাম গাজী
আস্ত একটা পাজি।

ছোট ছেলে লাল্টুস
বাপের মতই পাল্টুস।

কাঁঠাল

197692305_10

ঐযে গাছে ঝুলে আছে
এত্তো এত্তো কাঁঠালও
খাইতে ভীষণ মজা হলেও
খুলতে বড্ড আঠালো!

লটকে থাকা কাঁঠাল গুলো
একটাও যে আমার নয়
অন্যের কাঁঠাল দেখেদেখে
এই মনে আর কত সয়।

শর্সে তেলে হাত মেখে রই
তাতে মোটেই ক্লান্তনা।
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
দেখেই মনের শান্তনা।

যাদের আছে কাঁঠাল গাছ
পেট ভরে যেন সবাই খায়
গরীব-দুঃখি প্রতিবেশী
তারাও যেনো ভাগ পায়।

বিড়ম্বনা

hilal

দেশে যাবার ইচ্ছে হলো, দেশে গেছি
হাওয়াই জাহাজ চড়ে হাওয়ায়, ভেসে গেছি
গাল-গল্পে, মেতে-মেতে, হেসে গেছি
পাশাপাশি বা দূরত্বে…
কোথাও আবার ঘেসে গেছি!

দেশে এসে বুঝতে পারি, ফেঁসে গেছি
এসব কারণ বলতে মানা, কেশে গেছি
যেখানে যাই সেইখানে সেই বেশে গেছি
সবার আগে গিয়ে দেখি…
আমিই সবার শেষে গেছি!

হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন

149815844_10

ভালবাসা মানে নয় শুধু খাই, খাই !
কেনাকাটা ঘোরাঘুরি এটা ওটা চাই?
গিফ্টবক্স ঢেকে রাখে ভালবাসা বন্ধি
অঘোষিত লেনাদেনা পূলকিত সন্ধি।

ফেব্রুয়ারী চৌদ্দ বিশেষ এই দিনে
ভালেবাসা সেলহয় যে পারে কিনে।
বারোমাসী ভালোবাসা একদিনে সেটিং
প্রেমিক-প্রেমিকার কাঙ্খিত ডেটিং।

ভালবাসা কবু যেন ঘৃণাতে না ভরে
ভালোবাসা নিয়ে থাক যুগযুগ ধরে।
ভালবাসার খামারে ভালবাসা চাষ
শুধু এইদিনে নয় হোক বারো মাস।

ভাইটাল গাঙের মাঝি

VROM

উজান গাঙে না যাও মাঝি
বৈঠা ভাংবায় চাইও
তবু যদি ভাঙ্গে খাড়াল
হালধরি নাও বাইও!
সঙ্গে থাকা মাঝি মাল্লায়
গাইতনায় আর সারি
ভাঙ্গামনে উজান গাঙে
কেমনে দিবায় পাড়ি!

আন্ধাইরাতে অই তোফানে
পথচিনি নাও বাইতায়
ইয়া নফসী, ইয়া নফসী পড়ি
কেমনে বাড়ি যাইতায়।
ভাইটাল গাঙে আছ মাঝি
স্রোতের ভাইটাল বাও
ঝড় তোফানে ছুঁইবার আগে
বাঁচাও তোমার নাও।

মৃত্যুবোল

মৃত্যুর বোল ফুটেছে বাতাসে, বাতাসে।
এ-যেন মৃত্যুর কাল! অকালে ঝরার মৌসুম।
আমি গন্ধ পাচ্ছি, –তুমিও কী পাও?
ওহে বৈরী বাও, নির্মলে নাও
উড়ায়ে; যেখানে
রুহ-এর সাথে ‘যম’ করেনা লুকোচুরি।
মৃত্যুভয়ে মরেনি কেউ আগে।
অসময়ে ফোটেনা শাদাশাদা শবফুল
আকাশ হয়না ভারি বিষাদে ! গগণবিদারী মাতমে!
মৃত্যু যেন আসে পরিণত বেলায়
এক জীবনের দুঃখ ঘুচে দিয়ে যায়!

যেতেই তো এসেছ!

যাও!
তুমি তো কেবল যেতেই এসেছিলে।
মিছেই শুধু থেকে গেলে কিছুকাল।
এতো আয়োজন; এতো জঞ্জাল!
মিছেই বাড়ালে মায়া!
গড়ালে জল যতটুকু, জড়ালে তারো অধিক।
পথের বাঁকে বাঁকে চিহ্ন পরে রয়। অস্ফুট হাসি,
বেদনার রাশি, মায়ার ঝাড়বাতি শূন্যেই নিভে যায়।
তুমি সেই ছায়াহীন কায়া।
হয়তো থেকে যাও গভীর ক্ষতে…
আরো কিছু কাল, কিছু সময় কোন মতে;
শান্ত দিঘীর বুকে ঢিলে জাগা ঢেউ, কতো আর
তরঙ্গে ভাসে! গ্রহণের চাঁদ পূর্ণ আলোয় কী হাসে!
কালের গহবরে সব মুছে যাবে।
বাতাসে উড়া ধূলিকণার কেউ কী রেখেছে খবর।
থাকতে আসনি তুমি! থাকবেনা এই ধরনীও
যাও …
ক্ষতি কী! একদিন তুমিও অনিচ্ছায় হয়েছিলে বরণীয়!

উগ্রবাদী

94174_n

ভাঙছো তুমি বঙ্গবন্ধু ভাঙছো তুমি লালন
করছো তুমি ঠিকই জানি কাদের আজ্ঞা পালন।
রোজই দেখি গর্জে ওঠে করেছ ঘেউ ঘেউটে
সময় মতো ফণা তোলে বিচ্চুরা আর কেউটে!
একটা সময় কথায় কথায় ভয় দেখাতে বোমার
ধর্মালয়ের মূর্তি ভেঙে হাত বেড়েছে তোমার।
ভুলে গেছো জঙ্গিবাদীর চেপে ধরা টুটি
বঙ্গবন্ধুর দেশে হবে উগ্রবাদীর– ছুটি।
মূর্তি ভেঙে ফূর্তি করে হয়তো বা পার পাবে
হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম কী মুছা যাবে?

বিজয়দিনে

image-199536

বছর ঘুরে আবার এলো
বিজয়ের মাস ফিরে
কথকতা হাজার স্বপ্ন
কোটি মানুষ ঘিরে।
যাঁদের আত্মত্যাগের কথা
ভুলতে না কেউ পাই
আমার আত্মার আত্মীয়জন
সকল শহীদ ভাই।

সেদিন তাঁদের প্রাণ বিসর্জন
মোটেই ছিলনা ভুল
লক্ষ প্রাণের দামে এদিন
ফুটলো বিজয় ফুল।
লাল সবুজের এই পতাকা
বিজয় নিশান উড়ে
আমার সোনার বাংলা গান-গাই
গর্বে সুরে সুরে।

বেফাঁসের লাগাম

লাগাম নেবে লাগাম।
উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলবে যারা আগাম।
তাদের জন্য উপদেশ।
হরেক রকম লাগাম আছে ব্যবহারেও বেশ।
পরে দেখুন হোফা।
এতেও যদি কাজ না করে নিয়ে দেখুন ফুঁ-ফা।
বড় রশির ফাগা।
গলায় ঝুলে রাখতে পারেন নিজকে ভেবে ছাগা।
কাণ্ডজ্ঞানের অভাব?
তেল মালিশে জীবন কাটান এমন যাদের স্বভাব।
ভেবে খাবার সুসী।
গরুর মতো চিটার সাথে মিশে খাবেন ভুষি।