আবু মকসুদ এর সকল পোস্ট

উনিশের ঘাট পেরিয়ে

এই গাছের পিছনে যে মাঠ, তার পাশে নদী
নদীর পাড় ঘেসে যে রাস্তা নাক বরাবর গেছে
আমি হাঁটছি সে রাস্তায়, নাড়ী পোঁতা টানে
হেঁটে যাচ্ছি, পায়ের দাগে দাগে অনুভব করছি
কোমল মায়া, টানছে নিকানো উঠানের কোন
লাগানো টগর গাছ, কোন এক ভোরে পিতা
মমতা মাখানো হাতে রেখেছিলেন প্রাণের
মায়া টগরের চারা মেলেছিল ডালপালা

উনিশের ঘাট পেরিয়েছি গতকাল, কতকাল
হাঁটি নি উঠানের কোনে, দুলি নি দোলনায়
টগরের গন্ধমাখা বাতাসে কতকাল উড়ে নি
ওড়না, প্রাণের আবেগে কণ্ঠ খোলা স্বরে
ডাকে নি কতকাল কেউ আমারে, আমার
উঠোন, নাড়ী পোঁতা উঠোন, আরেকটি বার
ক্ষমা করে ডেকে নাও, টগরের ডালে ডালে
লিখে রাখা হাতের ছাপের কসম, হারাবো না
কোনদিন আত্মঘাতী সময়ের স্রোতে, চোরাপথে
মাড়াব না পা, নিজেকে আর বিকাবো না
ভুলের বাজারে, পরিশুদ্ধ সময়ের পাড়ে নিজের
বোঝাপড়ায় নিজেকে পোড়াব, ফিরে যাবো
নিজস্ব সত্ত্বার কাছে, নাড়ী পোঁতা মাটির কাছে
আগুনের ছাইয়ে পুড়ে ভুলেরাও পরিশুদ্ধ হয়

ভেজা সন্ধ্যা

ভেজা সন্ধ্যা

হাতে হাত রেখে
দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে
হাঁটার প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে

দূরের সংগীত
ধীরে ধীরে বোধগম্য হতে থাকে
বাতাসের ধাক্কায় শিরিষ পাতাগুলো
তিরতির কাঁপতে থাকলে
আমি ভাবি
কাটানো যাবে
একটা লঘুকরণ সন্ধ্যা

শেষ স্টপের এখনও ঢের বাকি
সূর্য তার গেরুয়া বসন সদ্য খুলেছে
ফুলের পাপড়িরা খুলেছে
নির্ভাবনার খোঁপা

সন্ধ্যার প্রাক্কালে হঠাৎ বিস্ময়াবিষ্ট বৃষ্টি
তুমি বললে— এসো ভিজি
বললাম— আমি তো ভিজেই আছি…

মেঘ কুমারী

মেঘ কুমারী

মেঘ গিয়েছে মেঘের বাড়ি
মেঘ গিয়েছে মেঘে
মেঘের মেয়ে মেঘ রাজ্যে
একলা থাকে জেগে…

ঘুম কেড়েছে দস্যি বাদল
দমকা হাওয়ায় উড়ে
মেঘ রাজ্যের রাজকুমারী
তার বিহনে পোড়ে…

দস্যি বাদল মন ছুঁয়েছে
কিন্তু গেছে ছেড়ে
একলাপনায় ডাকছে না সে
মেঘের কড়া নেড়ে

মেঘ বালিকা ঘরের কোনে
বিষণ্ণ তার মন
দস্যি বাদল নেয় না খবর
করে না যতন

মেঘ বালিকা একলা জাগে
রাত পেরিয়ে যায়
দস্যি বাদল অন্য মেঘে
নিজেকে হারায়

কোথায় কারা বসে আছে
সময় কোথায় ভাবার
মেঘ কুমারী মুখিয়ে থাকে
বৃষ্টি পাড়ে যাবার…

শুদ্ধ সুদূরের কবি

শুদ্ধ সুদূরের কবি

কবিতায় সুরের ঝংকার ধ্বনিত হলে
প্লুত মানুষ বিশুদ্ধতার পাঠ নেয়
তাড়িত মানুষ দিনের অন্তে গোধূলি
পাড়ি দিয়ে ফিরে নিজের ডেরায়
ঘামা-সক্ত জামাকাপড়ে লেগে থাকা রাগ
মুছে ফেলার বদলে জমিয়ে রাখে

পরদিন জমিয়ে রাখা রাগ গুনগুনাতে শুরু করলে
তাড়িত মানুষের প্রার্থনা বিশুদ্ধতায় পৌঁছায়
কবিতার অপর পাড়ে শেষাবদি কবিতায় থাকে
এই সিদ্ধান্তে উপনীত মানুষ আহমদ ময়েজ
পাঠ শেষে শুদ্ধ সুদূরে তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়…

মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে কবিতা কতটুকু দরকারি
কবিতা পাঠান্তেই এর সমাধা হতে পারে… এই ভেবে
মানুষ পড়ে যায় কিচ্ছার বাহারি, তুলারাইয়া, অর্থহীন ফেরিকথা…

বদলে যাওয়া সময়

বদলে যাওয়া সময়

সময় বদলে গেছে
টের পাই, দু সপ্তাহের মেহমানের দূরত্ব অনেক

একদা আন্ত মহাদেশের খরব ভালই রাখতাম
দূর প্রদেশে ছিটকানোর পর কেউ ডাকে না
আপনায়িত হতে চাইলেও জড়তা থেকে যায়
ভাবি- আমিও তেলে জলে বড় হওয়া কেউ
পুকুরের গভীরতা এক ডুবে মাপার রেকর্ডে
কেউ তো ছাড়িয়ে যেতে পারে নি কোনদিন

সন্ধ্যা হবো হবো সময়ে আটাশ টাকার ফুটবল
ডিসির বাঁশঝাড়ে হারিয়ে গেলে
ভূতের ভয় উপেক্ষা করে আমিই গিয়েছে
পশ্চাতে দাঁড়িয়ে যারা উৎকণ্ঠার উৎসাহ যুগিয়েছে
তারা ভাবে আমি সত্যি তাদের পশ্চাতে ফেলেছি

তাদের ভাবনার বিপরীতে স্মৃতিকাতরতাময়
আবুলের আখনির অমৃত স্বাদ এখনও জিহ্বায়
লেগে আছে জানালে তারা ভাবে নিদারুণ অসুখে
ঠাট্টার নৌকায় সওয়ারী করছি, আখনির
দূরত্ব অতিক্রমের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে

আস্তুম উল্লার আধ কাপ চা মনে উথলে উঠে
আমার কাকুতি মিনতিতে তারা সামান্য
তরল হলে তিন চাকার বাহন দুমিনিটে
যেথায় পৌঁছায় সেথায় উল্লা স্মৃতি বিজড়িত
টি স্টলের পরিবর্তে দেখি পঞ্চ তারকা বিশিষ্ট
প্রমোদ ঘর, ক্যাপাচিনোর উৎকট গন্ধে প্রাণ অতিষ্ঠ
দেড়শ টাকা পেয়ালার কফি হজমে অপকারী জানালে
তারা আশাহত হয়, দূর প্রদেশে টাকার গাছের অস্তিত্ব
আছে এ ভাবনা যাতে স্থায়ী না হতে পারে এই ভেবে
আমি তাদেরে চানা পিঁয়াজুর নিমন্ত্রণ পাঠাই

একশ টাকা সৎকার অন্তে পদযুগল ভরসার
গৃহের প্রান্তে পৌঁছালে তারা বিদায় জানায়
আমি দেখি বালক বেলা ক্রমেই দূরে হারিয়ে যাচ্ছে
চেষ্টা করেও আমি তার নাগাল পাচ্ছি না…

বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

ওখানে বর্ষাক্রান্ত রাত, এখানে তুষারে পুড়ি
আহা মেঘমালা একবার দেখা দিয়ে যাও

অনেকদিন ছুঁই না তোমার শরীর, অবরুদ্ধ
সকল ভাবনার ডানা, মেঘের আড়ালে লুকাবে
সুন্দরী চাঁদ; প্রতীক্ষার পরে জোনাকিরা গাইবে
আহ্লাদী গান, শরীর দিগন্ত ভিজিয়ে নেমে যাব
পৃথিবীর মাঠে। আহা মেঘ, মেঘমালা
আর একবার হুজুগে মাতাও; আমাকে উড়িয়ে নাও
বৃষ্টির দেশে; আঁচলে জড়িয়ে পুনরায় প্লুত হবো

আহা মেঘ ফিরিয়ে দাও অশান্ত ট্রেনের জানালায় তোমার
ঝাপটা, স্মৃতি পাঠে এসো পেরিয়ে যাই মেঘমল্লার রাত…

ডিজিটালিয় উন্নয়ন

ডিজিটালিয় উন্নয়ন

রমজান মাসে সংযম করি
আল্লাহ পাবার আশায়
পাহাড় প্রান্তে সোনার ছেলেরা
লাশের বন্যা ভাসায়

তাহাদের নাই সংযম কোন
তার নাই প্রয়োজন
তাহাদের আছে উন্নয়ন আর
আছে ডিজিটাল মন

উন্নয়নের ভেলায় চড়িয়া
ডিজিটাল দেবে পাড়ি
খানিকটা না হয় পুড়লে পুড়ুক
উপজাতি ঘরবাড়ী

সোনার পুত্র কন্যা তাহারা
করে তারা সোনা চাষ
দেশটা মোড়াবে সোনায় সোনায়
এই তাহাদের আশ

উপজাতি যদি পোড়ে দুইচার
তেমন তো ক্ষতি নাই
সোনা ডিজিটাল উন্ন-নয়ন
আমরাও এটা চাই…

উন্নয়ন…

উন্নয়ন…

এতো উন্নয়ন রাখব কোথায়
তেমন যোগ্য ডিজিটাল কই
হাওরে বাড়িতে রাস্তা দোকানে
তিস্তার জলে ভিজি, টাল হই

উন্নয়নের ঠেলায় মরছে
হাওরের যত মৎসও হাঁস
ডিজিটাল খেলো ক্ষেতের ফসল
বন্ধ হয়েছে কৃষকের শ্বাস

ভাঁওতাবাজি থামাও এবার
খোল চোখ, খোল দুই কান
হাওর পাড়ে মাথা ঠুকো গিয়ে
যদি চাও তুমি বাঁচাতে মান

অনেক হয়েছে গাল গল্প
খানিকটা কাজ এবার হউক
সত্যিকারের উন্ন নয়ন
জনগণ ও সেবার হউক…

মা-দিবসে

মায়ের জন্য রাখা একটি দিনই
আদিখ্যেতায় এটা ওটা কিনি
অন্য যে সব দিন গড়িয়ে যায়
সে সব দিনে আমরা সবাই
মাকে কি ঠিক চিনি!

খোঁজ কি রাখি মা কি চায়
মায়ের হৃদয় কোথায় হারায়
কিসের লাগি কাঁদে মায়ের মন
সময় কোথায় এসব জানার
অফিস পার্টি ঘর সংসার নিয়ে
আমরা থাকি ব্যস্ত সারাক্ষণ।

লোক দেখানো মা দিবসে
হয় না দেয়া মায়ের সঠিক মান
মা যদি-রে প্রাণে থাকে
যদি থাকে হৃদয় বাঁকে
ব্যস্ত সময় একটু যদি
করিস মাকে দান
তবেই সবে নিজ হৃদয়ে
পাবি মায়ের স্নেহ এবং
ভালবাসার ঘ্রাণ…

মানুষের রাজা…

কেউ আগে কেউ পরে
চলে যেতে হবে ভাই
মহাঘুমে যেতে হবে
ছেড়ে এই দুনিয়াই
মায়া আর মমতার
ছেড়ে ছুড়ে বাহুডোর
চলে যেতে হবে ভাই
দূর থেকে বহুদূর
পাখির পালক তবু
দিয়ে যাবে ছায়া তার

কারো কারো অন্তরে
রয়ে যাবে মায়া তার
জীবনে জীবন দিয়ে
কিছু যদি করে থাক
মহাঘুমে পেতে পারো
জীবনের সেই ডাক
মানুষের সাথে যদি
হেটে থাকো মাঠটাতে
শুনবে তাদের স্বর
মহাঘুম রাতটাতে

তাদের প্রার্থনাতে
চিরকাল থেকে যাবে
তোমার গুণের কথা
তারা ঠিক একে যাবে
প্রাণ দেহে যদি তুমি
মানুষের করো কাজ
তবেই করবে তুমি
মহাঘুম ঘরে রাজ…

রঙ নাম্বার-৬

ঝিলের ধারে বসে ছিলাম
মুখটা করে ভার
হঠাৎ কেঁপে উঠল মোবাইল
অচেনা নাম্বার
ধরব কি না ধরব দ্বিধায়
হচ্ছে সময় ক্ষয়
শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল
কৌতূহলের জয়

অপর প্রান্তে সুরেলা এক
কণ্ঠ শুনা গেলে
আমার মনের পায়রা গুলো
আবার ডানা মেলে
সুরের জাদু কণ্ঠে রেখে
অচেনা নাম্বার
বলতে থাকে নড়ে গেছে
তার হৃদয়ের পাড়
তার পুকুরে ঢেউ উঠেছে
আমার ছুড়া ঢিলে
ঢিলের ব্যাপার জানি না তো
কেমনে এটা মিলে

বলি আমি ভুল করছেন
আমি তো সে নই
কণ্ঠ বলে আমার হৃদয়
আপনি নিশ্চয়ই
কি আর করা মেনে নিয়ে
হাঁটি প্রেমের পাড়
যদিও জানি মোবাইল আমার
বড় ভাইয়ার

প্রেমালাপে কাটছে সময়
লাগছে ভাল বেশ
ভুল হলেই পাচ্ছি খানিক
সত্যি প্রেমের রেশ
ভাইয়ার কথা পরলে মনে
খেয়ে ফেলি খাবি
মুখ ফসকে বলেই ফেলি
আপনি আমার ভাবি
যেই বলেছি ঐ পাড়েতে
নামলো নীরবতা
মোবাইল দিয়ে ঘসতে থাকি
আমার কপাল যথা…

স্বৈরাচার পতন দিবস

যা করেছে লেজে হোমো
যা করেছে স্বৈরাচারী
সে সব কিছু তুচ্ছ এখন
আমরাও তা কইর‍্যা ছাড়ি
হত্যা গুম চাকায় পিষন
এসব এখন ডাল ভাত
আমাদেরও গজিয়ে গেছে
স্বৈরাচারীর দাঁতাল দাত
স্বৈরাচারী মাড়িয়ে গেছি
ছাড়িয়ে গেছি তাহার কাজ
লেজে হোমো গোটাকয়েক
নিত্য করি আহার আজ…

রঙ নাম্বার-৫

ট্রেনের সিটে বসা ছিলাম
জানলা দিয়ে চেয়ে
পাশের সিটে বসল এসে
সুন্দরী এক মেয়ে
সুবাসিত সুগন্ধি তার
লাগল এসে নাকে
আশার আলো দেখা দিলো
মরা নদীর বাঁকে
সমাজবিধি খুলে গেলে
সহজ হই দুইজনা
জানা গেল প্রেমের পাঠে
খুব সে মুক্তমনা

প্রেমের মাঠে হেঁটেছে সে
জানা গেল আরও
রঙ নাম্বার দু একবার
ঘটছে নাকি তারও
সরল মনে কথার পিঠে
বলছি দুজন কথা
ট্রেন যেন নয় বসা আছি
প্রেম কাননে যথা

ভালোর সাথে আলোর কথা
আশার কথা বলি
ভাবছি মনে প্রেমে প্রেমে
হচ্ছে গলাগলি
কথায় কথায় বাড়তে থাকে
কথার ডালপালা
আমার মনের প্রেম ডিঙা
ছুটছে নদীনালা
এবার বুঝি হয়েই গেল
তার সাথে প্রেম মোর
এতো দিনের খরার পরে
খুলেই গেল দোর

এতো দিনের পরে বোধহয়
জুটি মোরা হলাম
দীর্ঘ কালের সাধ সাধনায়
পেলাম প্রেমের দাম
কথায় কথায় পথ ফুরাল
পথের শেষে বাড়ি
বললাম আমি চাইলে তারে
পৌঁছে দিতে পারি
বলল আমায় লাগবে না ভাই
আসবে নিতে স্বামী
অমাবস্যার রাতের পাড়ে
দাঁড়িয়ে থাকি আমি…

ফুটন্ত গোলাপ

ফুটন্ত গোলাপের সাথে আচমকা ধাক্কায়
ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল অনাচারের শপথ
আজন্ম পাপী, নষ্ট পথের পথিক
তার স্পর্শে সংবিৎ ফিরে পেলাম

আপাদমস্তক অবগুণ্ঠনের প্রেমে
আমার জীবন তাড়িত হলে
ধীরে ধীর পরিবর্তিত হতে থাকে
জীবনের পাড়, কোন অন্ধগলি
আঁটকে রেখেছিল আমার অতীত
ভাবতেই দেখি মূর্খ আত্মম্ভরিতায়
আচ্ছন্ন ছিলাম

ক্ষিয়তকাল পরে অবগুণ্ঠন অন্ধকারে পর্যবসিত হল
পুনরায় নিজেকে প্রতারিত মনে হয়
যে সম্ভাবনা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলাম
উপলব্ধ সময়ে দেখলাম তা নিতান্তই মামুলি
পর্দা বা আড়ালের ওপারেই নন্দনকানন
এমন ভাবনা পোক্ত হতে না হতেই

নিজেকে পতনোন্মুখ পথ থেকে
সরিয়ে নিলাম… অবগুণ্ঠনের গোলাপ
অর্ধস্ফুটিত, প্রস্ফুটিত জীবনের সাথে
তাদের দেখা হয় না… জীবনের পাড়ে
পৌঁছানোর পূর্বেই তারা ঝরে পরে…

অবগুণ্ঠিত জীবনেও স্বস্তি আসুক
আলোর দেখা মিলুক এই কামনায়
আমিও গেয়ে উঠি বাকারীয় প্রশস্তি…

একালের কালিদাস

বাবার একটা সাইকেল ছিল
মায়ের ছিল দক্ষিণা জানালা
চুলের চিরুনি প্রতিক্ষার প্রহরে
ক্লান্ত হতে হতে ঘুমিয়ে পরবে
এমন সময় সাইকেল ধ্বনিতে
মুখরিত হতো মধ্যাহ্ন কাল
পাপোষে উঠোনের বালি
প্লেটে তাল পিঠা
ঝকঝকে কাচের জগে
বেলের শরবত…

ইহকাল আর পরকালের
কথোপকথনের মাঝে
কালিদাস কালিদাস উচ্চারণ
কি পরিবেশ সৃষ্টি করত
ভাবতে গিয়ে দেখি
কোন এক সুবর্ণগ্রামে ভোরের বেলায়
শিশির ভাঙছে যে যুগল
তারা আমার মাতা এবং পিতা…

আমার আছে ফোর হুইলার
রেঞ্জ রোভার, আমার স্ত্রী
তার ব্রেন্ড নিউ ফোর্ড ফোকাসে
করে ব্রাইটন গেছে
বয়ফ্রেন্ডের সাথে দুদিনের
ছুটি কাটিয়ে সোমবার ফিরবে
মনিকার সাথে বারে দেখা
তরলায়িত আমন্ত্রণ জানাতেই
রাজী হয়ে গেল, রাতের আসরে
তরল সঙ্গীনি হলে মন্দ হয় না
একাপনা কুরে কুরে খাওয়ার আগে
আমি মনিকা খাবো…