এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

বৃষ্টির আকাশে আজ রেখেছি চোখ

2842

বৃষ্টিরা ঝরে যায় অথচ আকাশে শুভ্র মেঘের আনাগোনা
আকাশের বুকে হয়ে যায় অগণিত স্বপ্ন বোনা,
উড়ন্ত মেঘে মন রেখে দেই, মন চলে যায় দূর,
বৃষ্টির আকাশে মেঘ আহা মনে সুখ এক সমুদ্দুর।

যাক মেঘ’রা উড়ে যাক, ফিরে আসুক আমার আকাশে
আমি বৃষ্টির হাওয়া টেনে নেব নিঃশ্বাসে
কী সুখ ছড়িয়ে রয় মনের বাড়ী,
ইচ্ছে হয় মেঘেদের দেশে দেই এবেলা পাড়ি।

পাখিরা যে নেই আকাশে, ওরা পাতার ছাতার নিচে
পাখি ছাড়া আকাশের রূপ যেন মিছে;
ডানা মেলা পাখিদের দেখলে মন হয়ে উঠে দুরন্ত
আকাশের বুকে মেঘেদের আনাগোনা, মেঘেদের নেই অন্ত।

নীল সাদা আর কালো মেঘের হুড়োহুড়িতে সূর্য কোথায়
ইচ্ছে করে মেঘগুলো বেঁধে রাখি ভালোবাসার সুতায়;
মেঘের নদীতে যদি দিয়ে দেই ডুব,
যদি হারাই, আমাকে দেখতে কী ইচ্ছে কারো খুব?

নীল ছুঁয়ে থাকে যে মন, সে মন আকাশ দেখলেই খুশি
মন পিঞ্জরে আমি শুভ্রতাকেই হরদম পুষি
ভালোবাসি ঐ মেঘ ভর্তি আকাশ
যেখানে কেবল শুদ্ধতার বসবাস।

মেঘ’রা আমায় রাখে ভালো
মনে দেয় ছড়িয়ে পবিত্রতার আলো;
আকাশ দেখে দেখে যদি চলে যায় বেলা;
আমি ভাসাবো তবুও নীলে আমার সুখের ভেলা।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, মতিঝিল)

ফুল নিয়ে যা পাখি তার জন্য

2924

ও পাখিরে যা না ওড়ে
ফুল নিয়ে তুই ঠোঁটে,
তারে দিবি পাখি, নইলে
মন যাবে আজ টুটে।

সাত সমুদ্দুর তেরো নদ
পার হয়ে তুই যাবি?
সেথায় গিয়ে পাখি জানিস?
তার দেখা তুই পাবি!

অদৃশ্য এক বন্ধু আমার
দেয় না দেখা এসে,
কোথায় জানি কোন সে সুখে
যাচ্ছে সে যে ভেসে।

কত কথা আছে জমে
বলতে ইচ্ছে তাকে,
তার জন্য তাই জমিয়েছি
কাব্য মনের তাকে।

ফুলের সাথে দেব চিঠি
পৌঁছিয়ে দিস তারে,
তুই ছাড়া আর এমন আবদার
রাখবো বলতো কারে?

পাখি তার জন্য ফুল রাখি
মনের জলে তাজা,
সেকী আমায় বলবে রাণী
হবে আমার রাজা।

কল্পপুরীর বাসিন্দা সে
মুখ চিনি না যে তার,
কেমনে বাজাই বল্ না পাখি
আমার প্রেমের সেতার।

এক ঝাঁক হিমু ফুল

279

ও চন্দ্রপ্রভা তোর নাম দিয়েছি হিমু ফুল
বুঝিস না ভুল,
গায়ে হলুদ পাঞ্জাবি জড়িয়েছিস, উফ কী সুন্দর
তোদের দেখে সুখে উচ্ছল হৃদ বন্দর।

আমি কী রূপা হবো? তাহলে হয়ে যায় সাদা চন্দ্রমল্লিকা
রূপালী পাড়া সাদা শাড়ি পরে, জ্বালাই প্রেমের শিখা;
খুব ইচ্ছে হয় চন্দ্রপ্রভা তোদের ছুঁয়ে দেই
আমি চন্দ্রমল্লিকা….. একটু সুখ শিহরণ নেই।

এক ঝাঁক হিমু, এক ঝাঁক রূপা,
তোরা উঠে আসিস, খুলে দিলাম খোপা;
তোদের ছিঁড়ে ঝুলাবো চুলে,
কাঁদিস নে ব্যথা পেলেও ভুলে।
রূপার চুলে চন্দ্র প্রভা…
আজ না হয় পাক শোভা।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

মন কথনিকা

tW5PeYV

মন কথনিকা-৪২৬৫

কাব্য লিখি তোমায় নিয়ে পড়লে না আর তুমি,
বিষাদ আর বিতৃষ্ণায় ভরা আমার মনের জমি,
সাহিত্যরস নেইকো মনে, নিরামিষ জন তুমি,
চিরকালই করে গেলে কেবল গুয়ার্তুমি।

মন কথনিকা-৪২৬৬

তিতে কথা বলে বলে করলে পাগল আমায়,
পাই না সাহস লিখতে, সময় মধ্যি পথে থামায়,
চুপ লুকিয়ে লিখি কাব্য খুব আনন্দে থাকি,
তোমার জন্য কাব্যের খাতায় ঘৃণা তুলে রাখি।

যাবে নাকি পদ্মা সেতু

2910

আমায় নিয়ে যাবে ঘুরতে
বন্ধু পদ্মা সেতু,
ঘুরতে আবার লাগে নাকি
বলো কোনো হেতু?

সবাই যাচ্ছে তুলছে ফটো
আমায় নিয়ে যাও না,
তোমার কাছে কত বায়না
রয়ে গেল পাওনা।

পদ্মার উপর সেতু হলো
দেখতে ইচ্ছে জাগে,
একটুখানি সুখ মুগ্ধতা
এনে দেবে বাগে?

সেতুর উপর ঠায় দাঁড়িয়ে
দেখবো পদ্মা নদী,
ইচ্ছে করে পদ্মাতে যাই
নিয়ে যেতে যদি?

এপার হতে ওপারে যাই
চলো বন্ধু নিয়ে,
ফুচকা খাবো, চা’ও খাবো
সেতুর ওপার গিয়ে।

স্মৃতি করে রাখবো ভ্রমণ
তুলবো ছবি হাজার,
আহা খুশি হবে জমা
দুজনা’র মন মাঝার।

যাও না নিয়ে পদ্মা নদী
সেতু ইচ্ছে দেখতে,
ছন্দ দিয়ে ইচ্ছে মনে
হাজার কাব্য লিখতে।

আল্লাহ তোমার আকাশ কত সুন্দর

285

ও করুণাময় তোমার সৃষ্টি এই আকাশ
আহা এখানেই যে তোমার কত নিয়ামতের বসবাস,
চোখ মেলে তাকালেই পাই শুদ্ধতার আলো,
ও মাবুদ তোমাকেই আমি বাসি ভালো।

ও আমার রব তোমার সৃষ্টির সৌন্দর্য মেঘ,
তুমিই তো অতি উত্তাপে বান্দার কল্যাণের জন্য
দাও বাড়িয়ে হাওয়ার বেগ,
তোমার আকাশে কত পাখ পাখালির বসবাস,
এক টুকরো আকাশে তাকিয়ে আমি ছাড়ি সুখের নিঃশ্বাস।

ও আল্লাহ্, তোমার আকাশে রহমত ভরা বান্দার জন্য,
তোমাকেই করি স্মরণ হরদম, তোমারে ভালোবেসে হই ধন্য;
কী সুন্দর মেঘে আকাশ রাখো ভরে,
তোমার আকাশ দেখে শান্তি রয় মন ঘরে।

ও প্রভু কত সুন্দর এই দুনিয়া তুমি করিয়াছো সৃজন
কত দয়াশীল, তুমি করুণাময় ভাবি বসে নির্জন;
তোমার আকাশে কত রঙের মেঘ উড়ে,
কখনো ভরো মেঘে কখনো রোদ্দুরে।

তোমার দয়া কত তোমার বান্দার জন্য, খুব বুঝি,
তোমার প্রতিটি সৃষ্টিতে তাই তোমার রহমতই খুঁজি,
তোমার পৃথিবীজুড়ে কত মোহ আছে ছড়িয়ে,
সুখে বেঁচে আছি তোমার দয়ায়, তোমার নিয়ামত
নিয়ে, নেই মন জুড়িয়ে।

কখনো আকাশ জুড়ে রঙধনু রঙের মেলা,
ও মহান রব তোমার আকাশ দেখে
কাটে সুখে বেলা;,
নীড়ে ফেরা পাখিদের মত আমি কল্প আকাশে উড়ে উড়ে
ফিরে যাই তোমার দান আমার ছোট্ট নীড়ে।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

আকাশে আর মেঘ নেই

285499

আকাশে মেঘ নেই, রোদ্দুর অতি,
সময় দ্রুত উড়ে, যেন সে প্রজাপতি,
আকাশ দেখতে গিয়ে হোঁচট খাই
সময় পারি না ধরতে, সময় যে আমার হাতে নাই।

আকাশের রঙ বদলায়, বদলায় জীবনের রঙ,
এই পৃথিবী যেন পেরেশানির আড়ঙ;
অফুরন্ত অবসর আর পাই না খুঁজে
আর পারি না রাখতে আকাশে চোখ গুঁজে।

যাই না কোথাও, ডুবে থাকি ব্যস্ততায়,
মন যেন পূর্ণ মুগ্ধতার দৈন্যতায়,
একঘেঁয়েমীর বুকে বসে আছি ঠায়,
ভাসছি দিবানিশি ব্যস্ততায় নায়।

মেঘের মত মন আমার হয়ে যায় চঞ্চল
ঘুরতে ইচ্ছে জাগে দূর দূরান্তে বনাঞ্চল;
কবে পাবো ছুটি কবে যাবো ঘুরতে
কবে পারবো ডানা মেলা পাখির মত উড়তে।

পেরেশানীর সুতায় বাঁধা পড়ে আছি
সময় খেলে আমার সাথে কানামাছি
আকাশে আর রাখা হয় না চোখ,
মুগ্ধতারা দাঁড়ায় না এসে সম্মুখ।

কবে যে যাই পালিয়ে সব ছেড়েছুড়ে
সুখগুলো যায় ক্রমেই আমা হতে দূরে,
কবিতার ছন্দগুলোও পালায়,
কিছু অলিখিত যন্ত্রণা আমায় এসে জ্বালায়।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

তপ্ত দুপুর, কেমন উদাস লাগে

2838

ঘুম পায় আমার ঘুম পায়, তপ্ত দুপুর বেলা,
ইচ্ছে করে ভাসাই ঘুমপুরীতে স্বপ্ন ভেলা,
অফিস কর্ম ভুলে, ঘুম এ যেন জেগে স্বপ্ন দেখা,
তার চেয়ে বরং চা খাই, চা ছাড়া সুখ ফিকা।

চোখের পাতা ভারি,
ইচ্ছে হয় ঘুমের দেশে দেই পাড়ি
ইচ্ছেগুলো গুঁড়ে বালি,
চা কোথায় পাই, চা পেলেই হাতে
বুক জমিনে সুখ রোদ্দুর এক ফালি।

এসির হাওয়ায় ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখ
কত বাধা এসে দাঁড়ায় সম্মুখ,
ঘুমের দেশে যায় না দেয়া পাড়ি,
আধ কাপ চা হলেও
সুখে ভরপুর মনের বাড়ী।

কত মানুষের আনাগোনা
এত ভিড়ে যায় না ঘুমের স্বপ্ন বোনা,
ঘুম চোখে যদি তাকায় কেউ উফ্ কেমন লাগে
এমন লগ্নে চা খেতেই বেশী ইচ্ছে জাগে।

অফিসের চেয়ারে বসে ঘুমে পড়ি ঢলে,
শান্তিগুলো ভেসে যায় ঘুমের জলে,
এদিক ওদিক করি ইতিউতি,
ধ্যৎ তার চেয়ে বরং চা হয়ে যাক
এক কাপ চা মনে ছড়ায় সুখের জ্যোতি।

আর যায় না পারা, চোখ যায় না রাখা খোলা,
এবেলা বুঝি ঘুমেই হলাম আত্মভোলা;
কেমন যেমন আলসে প্রহর ধরেছে আমায় ঝেঁকে
চোখ যায় নিদ্রাপুরী এ হয় না,
চা খেলেই যাবো চোখ ক্যানভাসে সুখ স্বপ্ন এঁকে।

বৃষ্টির আকাশে এক টুকরো মেঘ

2835

তুমি যেন বৃষ্টির আকাশে এক টুকরো মেঘ,
ছুঁয়ে ফেলো সহজেই আমার আবেগ,
তুমি যেন রঙধনূ রঙে আঁকা নীল আকাশ,
ভালোবেসে কেড়ে নাও আমার যত দীর্ঘশ্বাস।

চাই এমন আবেগী আহলাদী এই মনটারে
বেঁধে রাখো প্রেমের সুতায়, বাজাও হরদম
সুখের সুর মনের তারে!
মেঘের মত মন আমার, অল্প কষ্টেই যে ভেঙ্গে হয় খান খান,
চাই মনের সাথে দাও বাড়িয়ে মনের টান।

তুমি পাশে আছো বলেই আকাশ সম পথ পাড়ি
দিতে সাহসী হই, চাই প্রেম আলোয় ভরে রাখো মন বাড়ি,
চাই না ফেলি মুহুর্মুহু দীর্ঘশ্বাস,
চাই ভালোবাসাবাসিতেই হোক তোমার সাথে বসবাস।

তুমি আমার মেঘমুক্ত আকাশের স্বচ্ছ নীল,
আমি রঙবাহারী প্রেমে তোমার মন করে রাখবো বর্ণিল,
তুমি থেকো আমি ছুঁয়ে হরদম,
আকাশ দেখতে তুমি হেঁটো, ফেলো আমার সাথে প্রতি কদম।

চাই না আমার মন আকাশে তুমি বজ্র নিনাদ হও,
চাই না পান থেকে চুন কষলেই উচ্চস্বরে কথা কও,
তোমার মন্টা শরতের মেঘ করে রেখো
আমি কাশফুল হবো, আমায় নিয়ে মন ক্যানভাসে
ভালোবাসার ছবি এঁকো।

চাই তোমার মন আকাশে মেঘ উড়ুক থোকা থোকা,
মেঘই হোক শুদ্ধ সুন্দর শুনছো বোকা?
নরম দিনের মত থাকুক তোমার বুকের বাড়ী,
তোমায় পাশে নিয়ে দিতে চাই অনন্ত পথ পাড়ি।

মেঘে ভরা একটি আকাশ চাই

2833a

তোমাকে মেঘে ভরা একটি আকাশ দেবো। নেবে?
তোমাকে ক্ষেত ভতি কাশফুল দেব। নেবে, দেখো ভেবে!
মন রাঙিয়ে দেব রঙধনু রঙে,
সুখ শিহরণ তুলে দেব সারা অঙ্গে।

তুমি আমায় কী দেবে বলতো, দেবে কিছু?
একটা কিছু নেবোই বন্ধু, ছাড়বো না পিছু!
তুমি আমায় দাও একটি পাহাড়
দেবে ঝর্ণা, রঙধনুর রঙবাহার?

তুমি আমায় দিয়ো একটি সমুদ্দুর,
দিতে পারো দুপুরের এক মুঠো রোদ্দুর;
আমি তোমায় বনিল মেঘমালা দিতে পারি,
দিতে পারি স্বচ্ছ পুকুর জল,
সুখে ভরে দিতে পারি মনের বাড়ি।

তুমি কী নেবে আকাশের কালো মেঘ
দেবে আমায় ভালোবাসার দুফোঁটা আবেগ?
তোমাকে দিতে পারি অঝোর বৃষ্টি,
তুমি একবার চোখে রাখবে দৃষ্টি?

তোমাকে দিতে পারি প্রেম
ভালোবাসা চাই, চাই না দা্ও হেম
আকাশের মত মন আমার, করে নেবে আপন?
বিজলি যেমন চমকায়. একবার দেবে এমন
প্রেমের কাঁপন?

চাই একটি দীঘি দা্ও আমায়, অথবা ঝিল,
যেখানে জলের আয়নায় দেখবো
আকাশের উড়ন্ত চিল
একটি সান বাঁধানো ঘাট দিয়ো,
আমি তোমায় শরতের আকাশ দেব প্রিয়।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

এসো এক সঙ্গে চা খাই

2839a

মনে আর দুর্নীতি পুষো না বন্ধু, বকাঝকা আর কত
কেউ কী হতে পারে কারো মত, আমি তো আমার মত;
এতসব অভিযোগ ছুঁড়ে ফেলে দাও চায়ের কাপে
তোমার মনে প্রেম আসুক, ঠোঁট পুড়ুক চায়ের উত্তাপে।

এসো গাল গল্পে কিছু সময় কাটিয়ে দেই
দিনভর ঝগড়াঝাটি উফ! আমরা হারাই সুখের খেই;
এসো চা খাও, ঠান্ডা করে মন,
এসো চা হাতে খুঁজে নেই নির্জন!

তোমার তো রঙ চায়ে আসক্তি
আর আমার দুধ চায়েই বাড়ে দিন দিন ভক্তি;
তুমি ঠিক আছো, স্বাস্থ্যসম্মত চা খাও রোজ,
কিন্তু কী নিষ্ঠুর তুমি, রাখো না আমার মনের খোঁজ।

দুদণ্ড শান্তি পাই, মন কী আমার চায় না?
হরদম না সম্মতিতেই রাখো আমার বায়না;
কত বায়না চায়ের জলে যায় পুড়ে,
আর তুমি কীনা রয়েই গেলে দূরে।

আমাদের মাঝে আছে কি প্রেম?
এই শুন আমি চেয়েছি তোমার কাছে রূপা হীরে হেম?
চেয়েছিলাম লাল গোলাপ এনে সম্মুখে দাঁড়াও
চেয়েছি, আমায় নিয়ে দূর দূরান্ত ঘুরো, সুখে হারাও!

কিছুই করোনি, এক সমুদ্দুর দুঃখই দিলে শুধু
মাঝে মাঝে হৃদয় জমিন মরুভূমি ধুঁধুঁ
এবেলা এসো চা করি পান দুজন বসে এক সঙ্গে
কিছুটা সময় কাটাই হাসি ঠাট্টা রঙ্গে।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

যদি নিয়ে যাও স্বচ্ছ জলের ঝিলে

2792a

মন খুব উচ্ছল হতো, আনন্দে যেত ভরে,
একঘেঁয়েমীতে ধরেছে বন্ধু, মন নেই মন ঘরে;
ইচ্ছেগুলোর এবার নাও না যতন,
চলো শাপলা ফুটা ঝিলের জলে ঘুরে আসি ইচ্ছে মতন।

জলের উপর ডিঙি ফেলে
ভাসবো না হয় এলেবেলে,
একটা দুইটা শাপলা তুলে
দিয়ো না হয় আমার কোলে।

ঘুরতে যাবো, ভুলবো নাগো ছলাকলায়;
ইচ্ছে আমার; শাপলার মালা পরবো গলায়,
চলো বন্ধু উদাস দুপুর
মনে বাজে পাতার নূপুর।

হাওর বাওর বিলে ঝিলে
চলো ঘুরি দুজন মিলে,
জলের উপর হই ভাসমান
মাথার উপর নীল আসমান।

শাপলা ফুটা একটি বিলে
ব্যাঙ দৌড়াই মাটির ঢিলে;
পা ডুবিয়ে বসবো জলে;
মুখ দেখবো জলের তলে।

নিয়ে যাবে বন্ধু? নিয়ে যাবে দূর কোথাও
চলো না হই এখান হতে আজকে আমরা ঠিক উধাও
বিলে ঝিলে ঘুরে বেড়াই,
দুষ্ট লোকদের দৃষ্টি এড়াই।

শাপলা ফুলে লিখে আসি
এই যে জীবন ভালোবাসি
সন্ধ্যায় না হয় ফিরবো ঘরে,
সুখ সাজাবো ফের
থরে থরে।

.
(ক্যানন ৬০০ডি, দমদমিয়া লেক চুনারুঘাট)

উদাস আমার মন আজ

282813a

নদীর বাঁকে আছি বসে,
উদাস যে মন ভারী,
উথাল পাথাল বিষাদের ঢেউ
মারছে মনে বাড়ি!

কার কথা যে ভাবছি আমি
মন উদাস কার লাগি!
ভেবে কিছু পাচ্ছি না হায়
মন কেন বৈরাগী!

দমকা হাওয়া আসছে বয়ে
মনের হাওয়া বৈরী
কেম্নে ভাসাই মন সায়রে
আমার সুখের তরী!

অকারণে মন ভালো না,
কী যে এখন করি
কেমন করে মন জমিনে
সুখের বাড়ী গড়ি!

কোথায় যাব নাই ঠিকানা
কূল পাচ্ছি না ভেবে,
কে বা আমায় তিল সান্ত্বনা
এসে আমায় দেবে।

দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ বুক
শান্তি কোথায় হারায়
কেমন যেন মন ভালো না
স্বস্তি নেই মন পাড়ায়।

নদীর ঢেউয়ে বিষাদটুকু
ছাড়তে পারতাম যদি,
বুক সায়রে সুখেরই ঢেউ
বইতো নিরবধি।

হাওয়ায় ওড়ে যায় মেঘগুলো

28419a

দৃষ্টি ফেরাতেই দেখি আমার আকাশ খালি,
কী দমকা হাওয়া পাতার সাথে বাজায় তালি,
মেঘগুলো উড়িয়ে নিয়ে যায় দখিনা হাওয়ায়
আমি হাওয়ার খেলা দেখতে বসে থাকি চুপ দাওয়ায়।

সুনসান নিরবতার একটি দুপুর,
হাওয়ার তোড়ে বাজে পাতায় পাতায় নূপুর,
মেঘ আসে মেঘ যায়, আকাশ কখনো ফাঁকা,
বিষণ্ণ আকাশে আর দৃষ্টি যায় না রাখা।

চড়ুই আর শালিকের দল ফাঁকা আকাশেই উড়ছে,
একটি চিল নীল ছুঁয়ে ঘূর্ণিপাকে ঘুরছে,
সাংসারিক কর্ম শেষে বারান্দায় বসে আছি,
দেখছি ম্বঘ’রা খেলছে হাওয়ার সাথে কানামাছি।

মিহি হাওয়া এসে লাগলেই গায়, আরামের হয় অনুভূতি,
আজ আকাশে মেঘ নেই, চারিদিকে সাদা আলোর জ্যোতি,
মন যেন অলীক সুখের হাতছানি পায়,
এমনো দিনে ভাসি ডুবি সুখের নায়।

আকাশে তাকিয়ে থাকি, চোখে বেঘোর ঘুম
এই,যে ছুটির দুপুর, চারিদিক নিস্তব্ধ নিঝুম,
আকাশ নিয়ে কবিতা লিখবো বলে হাতে নেই খাতা,
ছন্দ যায় হারিয়ে নিমেষে, আমি তুলে রাখি সাদা পাতা।

এক আকাশ ভালোবাসা রেখে দেই কবিতার জন্য,
বুক যেন আমার কবিতার নীল সবুজ অরণ্য,
ঘুম চোখ নিয়ে আর যায় না ভাবা অল্প,
এবার হয়ে যাক তবে ঘুমের সাথে গল্প।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, স্থান অজানা)

কবিতা লিখার অভ্যাসগুলো থেকে যাক

একটা কিছু তো রেখে যেতে পারি,
থাক না কবিতা লিখার অভ্যাসগুলো
যদিও বদভ্যাস বলে কেউ করে ভৎসনা,
তবুও নিজের বলে কিছু তো থাকলো!

চাই না এমন বদভ্যাস পরিত্যাগ করি,
চাই না কবিতারা আমায় ছেড়ে পালাক,
অচেনা শব্দগুলো থাকুক আমি ছুয়ে না হয়,
কবিতার বুকে তো দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারি অনায়াসে।

আমায় কে চেনে আর, হয়তো কখনো কেউ করবে স্মরণ
বলবে কেউ লিখতো এমন অকবিতা বস্তা পঁচা শব্দে
তবুও তো কেউ রাখলো স্মরণে, খ্যাত বা কুখ্যাত হিসেবে
আমার কবিতায় তাই তুলে রাখি আমার গোপ মন কথন।

যখন আমি কবিতার পাশে বসি
তখন মনে হয় আমার আপন কবিতা ছাড়া আর কে হতে পারে,
যখন কবিতার নাকে কানে হাতে পরাই শব্দের অলঙ্কার
কবিতা হেসে উঠে খিলখিলিয়ে, বুকে পাই এক সমুদ্দুর শান্তি।

চাই না কবিতারা দূরে চলে যাক আমায় ছেড়ে,
চাই না শব্দ’রা হারিয়ে যাক দূর কোথাও,
মনের কথাগুলো তো কবিতাকে বলতে পারি,
কাউকে না বলা কথাগুলো অনায়াসে তুলে দিতে
পারি কবিতার বুকে।

আমার কবিতারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকুক মানুষের মাঝে
একবার যদি কেউ ভাবে আমার কথা
আমি ধন্য হবো, ভাববো আমি কারো না হলেই বা কী
আমি কবিতার হয়ে বেঁচে থাকবো অনন্তকাল।