এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

আমাদের সম্পর্ক বিষাদের সুতায় গাঁথা

আমাদের সময়গুলো বিষাদের সুতায় গাঁথা,
সময়ের বুকে মনোমালিন্যের পাটি পাতা,
তাতে তুমি একাই থাকো শুয়ে, ঠোঁটে নেই মধু বুলি,
আমায় নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবনা বুঝি, বুকে খেলে হোলি!

কী বিষণ্ণতায় কেটে যায় তোমার প্রহর, হাসীহীন
ইচ্ছে করে, কী আছে খুলে দেখি তোমার বুকের গহীন,
আমার স্মৃতিশক্তি অল্প, তাই ভুলে যাই বিবাদ
তুমি জ্ঞানী,প্রখর স্মৃতি তোমার, মনে তাই করে যাও ঘৃণার আবাদ!

কী করে সময় হেঁটে যায় বুকের উপর মর্মর সুর তুলে,
শুনতে কী পাওনা? নিজের মাঝেই বাঁচো, দিন দুনিয়া ভুলে,
আমার ভিতর হাহাকার সময় চলে যাওয়ার আক্ষেপ পুষি,
দোষী না হয়েও হই সদা সর্ব দোষে দোষী!

কর্কশ সুর আমার, এমন তো আল্লাহর দান,
মেনে নিতে পারো নি তুমি নাদান,
তোমার সুরেও কী আর আছে মধু মিশানো? করো অনুভব,
মনে যদি না থাকে সুখ, থাকলেও কী! বিত্ত বৈভব!

এত কাছে আমরা, অথচ যোজন যোজন দূরে,
আমরা ঠোঁট খুললেই বাজে কথা বেসুর সুরে,
ঠোঁট উল্টিয়ে দূরে সরে গিয়ে একা থাকি,
আর এদিকে সময় আমাদের দিয়ে যায় ফাঁকি।

কী এমন বাতচিত, যে একটুতে রেগে গিয়ে সম্পর্ক ভুলি,
সাজাতে পারিনি আর জীবন পাতা, হাতে আমাদের বিষণ্ণ রঙ তুলি,
আর কখনো পাবো না ফিরে ফুলেল সময়, নৈরাশ্যের জলে ভাসি,
বেঁচে থাকতে সময় দেখবে না আর আমাদের ঠোঁটে তুষ্টির হাসি।

বিবর্ণ আকাশ ঝুলে আছে মাথায়

314

বন্ধ আকাশটা তোমার মত, রঙ নেই অল্প,
আকাশের সাথে শরতের নেই কোনো গল্প,
কেমন বিষণ্ণ আলোয় ছেয়ে আছে ধরা,
বন্ধু মন খারাপের চিঠি নিয়ে আসছে বৃষ্টি হরকরা!

আজ আকাশটা তুম হয়ে আছে, দেখো তাকিয়ে,
আকাশ হেমন্ত হয়ে তাকাচ্ছে চোখ পাকিয়ে,
পেঁচা মুখি বন্ধু, আকাশটাও আজ তাই,
এমন উপকরণ সম্মুখে আমার, মনে শান্তি নাই।

তোমার ঠোঁটেও মেরেছো তালা,
আকাশটাও তাই, একি জ্বালা!
আকাশের বুকে শরত এসে হাসলো না,
তোমার মত আকাশও সুখের নায়ে আমায় নিয়ে ভাসলো না!

তুমি হেসে ফেলো তো, কথা বলো অনর্গল,
খুলে দাও বন্ধু মনের আগল,
মন আকাশে ওড়াও আজ শরতের মেঘ, আমি মুগ্ধ হই,
এক বিন্দু উচ্ছলতা পেতে মনে উতলা রই।

এমন মেঘলা আকাশ আমার মন হয়ে যায় বিষণ্ণ
তুমিও রোজ বিষাদ রাখো আমার জন্য,
ভালো লাগে না বন্ধ দিনের আলো নিভে গেলে,
কেমন যেন বিতৃষ্ণা মনে, লাগে এলেবেলে।

তুমিও বদলে যাও, শরত হয়ে এসো আমার সম্মুখ,
চাই এক পাহাড় স্বস্তি, সাত সমুদ্দুর সুখ,
বিবর্ণ রেখো না আর মনের আকাশ,
দিয়ো না প্লিজ আর দীর্ঘশ্বাস।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, বুড়িগঙ্গা নদী, ঢাকা)

বেলা যে যায় বয়ে আলগোছে

32n

চোখ বন্ধ করে ছেড়েই দেখি বেলা গড়িয়েছে, সূর্য উপরে
কী করে যেন হেলায় হেলায় কেটে যায় সময়
কী করে যেন বিতৃষ্ণা এসে দাঁড়ায় মনের সম্মুখে
কিছুতেই সময় না ধরতে পারার আক্ষেপ থাকি ছুঁয়ে।

বেলা যে যায় বয়ে, হাসি গান ঠাট্টা আর আনন্দে
কোথায় যেন ছন্দহারা হই নিমেষেই
ভুলে যাই সুখ ছুঁয়ে আছি এবেলা
কী হারানোর খেলায় নিতে যাচ্ছি অংশগ্রহণ, কে জানে!

কেমন যেন লাগে, মন করে কেমন কেমন
কী নেই আমার, কী হারিয়েছি অবলীলায়
ভাবতে গেলে দেখি ভাবনার দেয়ালে অপূর্ণতার বিষণ্ণ ছবি
যে ছবি চাইনি ছুঁতে কখনো।

দীর্ঘশ্বাস কেন উড়বে বুকে অযথা
আমি ভুলে যেতে চাই বিগত দুঃখবোধ
মনের কিনারে বসে ঘূণপোকা কাটে মন কচকচ
হাসি মজা আনন্দের মাঝে আমি হয়ে যাই বিষণ্ণ।

এমন কেন আমি, উচ্ছল মন আমার তবুও বিষাদ পুষি
বেহুদাই মনের বাড়ি রোপন করি কাঁটা ঝোপঝাড়
আমি চাই ফুলেল সময় ঘুরুক ঘূর্ণিপাকে আমার চতুর্দিকে
চাই না বিষাদ টুটি চেপে ধরুক বারবার।

এই তো ভালোই তো আছি, কীসের অভাব মন ছুঁয়ে?
তবুও আগাছাই রাখি বুক জমিনে রুয়ে
সন্তুষ্টি আসবে কবে তবে জীবনজুড়ে,
কীসের এত চাহিদার হাপিত্যেশ বুক খায় কুরে কুরে!

বসন্তের হাওয়া লেগেছে গায়

3309

বন্ধু তুমি কই গো, তুমি কই আজ
মনের বাড়ি কুহু পাখি তুললো যে সুখ আওয়াজ;
শুনবে নাকি কাছে এসে ভালোবাসার গল্প
চা দেব সাথে যে টা, দেবে সময় অল্প?

কুহু পাখি হয়ে আসবে, বসবে মনের ডালে?
নাচবে নাকি সঙ্গে বসে ফাগুন হাওয়ার তালে?
হলুদ রঙা চা দেব গো, মিশাবো প্রেম চিনি
এসো তবে ফাগুন হতে নেই, ভালোবাসা কিনি।

মন কি তোমার দুলছে সুখে, একলা আছো বসে?
প্রেম হাহাকার বুকের বাড়ি যাচ্ছে কি আজ ধ্বসে?
এসো তবে গল্প করি, ঘুরি বনে বনে
লাগবে ভালো এই বসন্তে থাকলে আমার সনে।

আড্ডা হবে গল্প হবে সঙ্গে থাকবে চা
হোক না তবে মনের মাঠে প্রেমের কেনাবেচা;
না করো না, কাজ করো না আজকে তোমার ছুটি
মধুবনে এসো না যাই, খাই সুখে লুটোপুটি।

মনের বনে উড়ছে বন্ধু ফাগুন হাওয়ার সুর
এমন দিনে তুমি কেন রয়ে যাবে দূর;
মনের তারে বাজে শুনো ফাগুন দিনের বাঁশি
রং বসন্তে যাক না হয়ে অল্প ভালোবাসাবাসি।

ঠোঁট উল্টিয়ে না করো না, রাখো আমার বায়না
দেখো চেয়ে খুলে দিলাম আজকে মনের আয়না
মনের আয়নায় সুখোচ্ছবি, কীযে সুখের দিন
এক কাপ চা খাই টঙে বসে, কেটে যাবে সব দুর্দিন।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

শীতে এক কাপ চা আহা

328

দেহমনে শীতল অনুভূতি নিমেষেই উষ্ণতা আনে,
চায়ের কাপ হাতে বারান্দায়, রোদ্দুর বামে ডানে,
ফুলগুলো হলুদ আলো উঠে হেসে,
ঐ যে ধুলিকণারা হাওয়ায় যায় ভেসে।

সুখের অনুভূতি কেউ দেবে না এনে
সুখ নিজেকেই নিতে হয় কাছে টেনে,
আলগোছে জড়াতে হয় সুখ বুকের খাঁচায়,
স্বস্তির রোদ্দুর ঠিক তখনি জ্বলে ওঠে দেহ মাঁচায়।

কেউ কষ্টে থাকতে করতে পারে না বাধ্য
বাজাতে পারে না কেউ কারো মনে বিষাদের বাদ্য,
এসব ধুর ছাই বলে উড়িয়ে দিতে হয়,
বিষণ্ণ থেকে লাভ কী, শুধু সময়ের ক্ষয়।

এক কাপ চায়েও সুখ খুঁজে নিতে পারি
আলহামদুলিল্লাহ বলে দুঃখের সাগর দিতে পারি পাড়ি,
কেউ ব্যথা দিলেই মুষড়ে কেন পড়বো,
নিজের হাল আমি নিজেই ধরবো।

আমারও ভালো থাকার আছে অধিকার
কেন থাকবো বুকে পুষে ব্যথা নির্বিকার,
চায়ের উষ্ণতায় এবেলা দেহ সাজিয়েছি ফুরফুরে আলোয়,
ইনশাআল্লাহ সময় আমার কাটবে ভালোয়।

এই যে এত হা হুতাশ, দম ফুরোলেই সব শেষ,
নিজেই সুখি করি নিজেকে, এইতো আছি বেশ,
হিম দিন ছুঁয়ে ভাবনার অতলে ডুবে আছি
চা হাতে আমি আর রোদ্দুর খেলছে কানামাছি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

ভাবনার সমুদ্দুরে ডুবে আছি

323

ডুবে আছি ভাবনাতে আজ
বিষণ্ণতা চোখে
সময় যেন দিল মুখে
ব্যথার হাওয়া ফুঁকে।

সুখ পাচ্ছি না খুঁজে কোথাও
হলো না কেউ আপন,
পাশের মানুষ পর হলো হায়
বুকে ব্যথার কাঁপন।

আমার কথা তিতে নাকি
বলি কর্কশ সুরে?
মিষ্টি বুলি নাই বলে কী
সুখ’রা সরলো দূরে!

ভাবনার নদী আমায় নিয়ে
খেলছে নিরিবিলি,
বোবা সেজে নিত্যদিনই
তিতে কথা গিলি।

ভাবনার সাথে বলি কথা
বিড়বিড়িয়ে রোজই,
কেমন আছি কোথায় আছি
রাখলো না কেউ খোঁজই।

স্বার্থ নিয়ে সবাই যেন
মাথার উপর খাড়া,
দীর্ঘশ্বাসের হাওয়া এসে
মনকে যে দেয় নাড়া।

ডুবে আছি একা আমি
ভাবনার সমুদ্দুরে,
আর বাজে না মনের তারে
সুখ’রা সুরে সুরে।

সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলো

31219

নানা রঙের দিনগুলো সেই
পেতাম যদি ফিরে
কত যে সুখ ধরা দিত
আবেগী মন নীড়ে।

মেঘ বালিকা ডানপিঠে এক
সময় আমার ছিল,
ভবিতব্য এসে আমার
সুখ ছিনিয়ে নিলো।

যেখানটাতে দূর্বাঘাসে
বসতো শিশির বিন্দু
সেখানটাতে সুখ ছিলো যে
সাত নদী সাত সিন্ধু।

গোধূলিয়ায় রক্তিম মেঘ’রা
করতো নীলে খেলা,
চুপ তাকিয়ে মুগ্ধতা ছুঁই
কেটে যেত বেলা।

ফড়িং ছিল ফুলের উপর
ছিল প্রজাপতি,
সেখানটাতে থাকলে আমি
কী বা হতো ক্ষতি!

পুকুর ভরা জলের ভিতর
টেংরা পুটির মেলা,
ইচ্ছে করে ভাসাই আবার
কলাগাছের ভেলা।

খাঁচায় বন্দি পোষা পাখি
বলতো কানে কানে,
আমরা না হয় ভাসবো সুরে
সুখের গানে গানে।

যাস না চলে অতীত রেখে
বলতো সময় ডেকে
তবু আমায় আসতে হলো
সুখগুলোকে রেখে।

দেখতে দেখতেই সূর্য যায় ডুবে

32

এইতো পশ্চিমে রক্তিম আভা নিয়ে সূর্য
বাজে হাওয়ায় হাওয়ায় বেলা চলে যাওয়ার তূর্য,
দিনের বুক আঁধারে ছেয়ে যায়,
আকাশও তার রঙ বদলাবে।

এইতো সূর্যটা আকাশের গায় আছে ঝুলে
সে কেন হাঁটে পশ্চিমে আলোর কথা ভুলে,
বেলা কেন চলে যায় আমায় ফেলে,
আমার আটকায় বেলা বয়সের জেলে।

এইতো সূর্যটা রক্তিম আলো ছড়িয়ে,
আকাশকে আছে জড়িয়ে
সে কেন ঘুমোতে যায় দুনিয়া আঁধারে ভরিয়ে,
আলো নিয়ে সাথে এই যে সূর্য পশ্চিমে যায় গড়িয়ে।

কেমন যেন বিষণ্ণ আলোয় আমি আটকে থাকি
একেকটি দিন যায় আমায় দিয়ে ফাঁকি,
বয়স তবে কোথায় রেখে যাই,
মুখ ঘুরিয়ে দেখি উচ্ছল সময়গুলো আর আমার নাই।

আলো আঁধারের এই খেলা ঘরে
ডুবে যাই এবেলা ব্যথার বালি চরে,
পশ্চিমের রক্ত রঙ আমার সুখ গিলে খায়,
দিন চলে যায়, সময় দিয়ে যায় জড়তা পায়।

এইতো সূর্যটা পশ্চিমে ছড়ায় কী মিহি আলো
হায় গোধূলিয়া আমার বড় লাগে ভালো,
আক্ষেপগুলো ছুঁড়ে ফেলে
আমি মুগ্ধতা নিয়ে চোখে উড়ি সুখে ডানা মেলে।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

মন কথনিকা-৪৬২৭

সত্য কথা লিখে আবার ব্যাকস্পেইসে মুছি,
বললে শুনবো কটু কথা, শুনতে যে নেই রুচি,
সত্য বললে বেজার মানুষ, স্বীকার করতে কষ্ট,
মিথ্যে মোহে মানুষের বাস স্বভাব করে নষ্ট।

মন কথনিকা-৪৬২৮
সত্য বলি তাই বলে তো, কয় না সকল কথা,
বলে দিলে হয় সর্বনাশ, ঝামেলা অযথা,
কাছের মানুষ লুকায় কথা, কীযে কষ্ট লাগে,
মিথ্যেগুলো পারি নাতো আনতে আমার বাগে।

আকাশ তোর বুকে লিখে রাখি কষ্ট কাব্য

326

কষ্টে সাগরে ডুবে আছি আকাশ জানিস
চাই তুই আমায় কেবল তোর কাছে টানিস,
তোর বুকে চোখ রেখে আমি হতে চাই সুখী,
আমি আল্লাহকে ডাকি এবেলা হয়ে উর্ধ্বমুখী।

আকাশ জানিস কী? তোর বুকে লিখে রাখি কষ্ট কবিতার ছন্দ
তোর বুকে মেঘ রাখি, দিস দুই দন্ড আনন্দ
আমি যে অবহেলার জলে যাচ্ছি ভেসে,
আকাশ শুভ্র মেঘ নিয়ে তুই থাকিস পাশে।

আমি কষ্ট পাই, বলি না কাউকে, তোকে বলি
তুইও যেন আপনজন আমার, তোর আলোয় উঠি জ্বলি;
কত বিষণ্ণতা রেখে বুকে তোর
তুই আমার একমাত্র ভালো লাগার ঘোর।

তোর বুকে যে শুদ্ধ মেঘ, মন তেমন রাখতে চাই সাদা
হয় না, চারিদিকে স্বার্থের ধাঁধা
আমায় তুই সুখী করে দিস, মেঘে মেঘে বুক ভরে;
আমা তুলিস টেনে আমি ডুবে আছি ব্যাথার বালিচরে।

দীর্ঘশ্বাসের প্রহরগুলো দিতে চাই ছুটি
আমি মেঘের বুকে খেতে চাই সুখে লুটোপুটি
আকাশ তুই কল্প ডানা দিস আমায় ছুঁড়ে
আমি আসবো তোর বুক হতে ঘুরে।

কেমন যেন সময়গুলো, পাথরে হয়ে আছে পূর্ণ
চারিদিকে বিষণ্ণতার রেণূ ঘূর্ণ
এসব থেকে পেতে চাই মুক্তি,
আকাশ মন করে দিস, মনে জোগাস শুদ্ধতার শক্তি।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

মন কথনিকা

মন কথনিকা-৪৬২৯

লিখে এত লাভ কী আমার, ভাবি নাকো এসব,
বুকের ভিতর লেগে থাকে শত শব্দের উৎসব
লিখতে আমার লাগে ভালো, মনে লাগে শান্তি,
লিখতে পারলে পাতা ভরে যায় মুছে যায় ক্লান্তি।

মন কথনিকা-৪৬৩০

এত যে সুখ চারিপাশে, শান্তি আমার মনে নাই,
কত কথা মনে জমা বন্ধু আমার সনে নাই,
রাগ করে সে দূরে থাকে, কথা অল্প বলে না,
তারে ছাড়া আমার কী আর একটুখানি চলে না?

নিজের স্বার্থে যায় না খোলা ঠোঁট

3252

কাছের মানুষগুলো নিজ স্বার্থে ব্যস্ত, নিতেই অভ্যস্ত,
একবার খুললেই ঠোঁট, পাশাপাশি থাকতে হয় ভীত সন্ত্রস্ত;
আপনজন’রা সব কেড়ে নিতে ওঁৎ পেতে বসে থাকে,
কখন কোন ফাঁকে সব হাতিয়ে নেবে, সে চিত্র আঁকে।

দিতে পারলেই তুমি মহা ভালো, দয়ায় ভরা দেহ
যদি ফেরত চাও তবেই তাদের ঠোঁটে উঠে হেলার দ্রোহ
তুমি কষ্ট করে কামাচ্ছো সে যেন তোমার জন্য নয়,
চারিদিকে হা করে থাকে তোমার সব গিলে খাবে, বাড়াবে প্রণয়।

ইনিয়ে বিনিয়ে কত আবদার, চোখ মানিব্যাগে
বায়নাতে না সূচক সম্মতি দিলেই দেখবে গেছে রেগে,
তোমার যা আছে তোমার জন্য যেন সেসব না
স্বার্থের বুকে না শব্দটি করলেই ব্যবহার আর হয় না বনিবনা।

কেমন যেন মানুষগুলো দেবার বেলায় নাই এক সিকি
অন্যের অর্থের উপর ল্যুলোপ দৃষ্টি, মন যেন আলোয় ঝিকিমিকি
নিজের মনের করে নিয়ে যায় কেউ কেউ ধার,
ফেরত দিতে কতই না কার্পণ্য, টাকা হয় না পকেট হতে বার।

দিতে না পারলেই তোমার কত বদনাম, তুমি হেন তেন, অমানুষ
অথচ তোমার টাকা নিয়ে উড়াবে রঙ আকাশে রঙিন ফানুস
অন্যের টাকা পকেটে গেলেই বুক ফুলিয়ে হাঁটে কেউ,
দেদারসে টাকা উড়ায়, বুকে ভাঙ্গে চাকচিক্যতার ঢেউ।

আপন’রা কেন হবে এত স্বার্থপর, কেন চাইবে কেবল নিতে
দিতে কেন উদাসীন, অবহেলা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতা
কেন দেবে আঘাত মনের ভিতে;
মানুষ কেন এত স্বার্থপরতা নিয়ে পথ হাঁটে আনন্দে
কেন পতন ঘটাতে চায় অন্যের আনন্দ সুখ চলার ছন্দে।

মন বাগানে ফুল ফুটেছে

32

মন বাগানে ফুটেছে ফুল, উড়ছে প্রজাপতি রঙিন ডানায়
সুখ হাওয়ার তোড়ে যদি যাই হারিয়ে অজানায়,
খুঁজবে আমায় খুঁজবে, নাকি যাবে ভুলে,
স্মৃতিগুলো রাখবে বন্ধু বুক দেরাজে তুলে?

তুমি বিষাদ দাও তাই বলে মন হবে না প্রজাপতি
মন জমিন মুগ্ধতায় উর্বর করলে কী বা এমন ক্ষতি,
বাঁকা চোখে তাকিয়ো না বন্ধু, তাকিয়ো না বাঁকা চোখে
যদি না বাসো ভালো তবে রয়ো না সম্মুখে।

আমি প্রজাপতি, আমি ফুল বাগান
আমি ঠোঁটে তুলি সুখে বেঁচে থাকার গান
থাকো নিরামিষ হয়ে, তিতে বুলি থাকুক ঠোঁটে,
আমার চুপচাপ থাকতে ভালো লাগে না মোটে।

মনের ভিতে রুয়ে রাখি মুগ্ধতার চারা
সেখানে পাপড়ির ডানা মেলে সুখ ফুল ফুটে আমি উচ্ছাসে আত্মহারা
তুমি একঘেঁয়েমী লেজ ধরে বেঁছে আছো হরপল,
আমি মুগ্ধতা সুখ আর উচ্ছলতা ছিনিয়ে আনতে হয়েছি সফল।

আকাশেই থাকো, জমিতে আর হবে না নামতে
হবে না আর হাসি খুশির উত্তাপে ঘামতে,
আমি প্রজাপতির ডানায় উড়ি একা আকাশে
তুমি হয়ো না পরিণত বেদম দীর্ঘশ্বাসে।

যা যায় গেল, ফিরে তাকাবো না আর
এবেলা প্রজাপতির ডানায় হয়েছি সওয়ার
গিয়ে থামবো শৈশবে যেখানে আমার কৈশোর বেলা
সুখি থাকি ধুর ছাই বলে উড়িয়ে দিয়ে তোমার যত অবহেলা।

ফড়িং দিনগুলো হারাচ্ছি ধীরে

31

সেই যে উড়ে বেড়ানোর দিনগুলো
অতীত হলো বর্তমান পথের উড়িয়ে ধুলো
সেই যে আমার ডানা মেলা দিন
সু দিন ছিলো…….. ধীরে ছুঁয়ে রই দুর্দিন।

কী সবুজাভ মন নিয়ে উড়ে বেড়িয়েছি দিনভর
মনের জমিন প্রেমে ভালোবাসায় সুখে কতই না উর্বর
বুড়ো হয় সময়… ভেঙ্গে যায় ডানা,
এবেলা এসে দেখি উড়তেই আমার শত মানা।

সেই যে পুকুর পাড় অথবা ডোবার কিনার ঘেঁষে
ছিপ ফেলে ধরেছিলাম মাছ, গান গয়ে হেসে
উড়ন্ত বেলা আমার গিয়ে ঠেকলো পড়ন্ত বেলায়,
কত ভুলভাল কষেছি জীবনের অঙ্ক, জীবন রেখেছি অবহেলায়।

অগোছালো জীবনের বাঁকে জমা হয় জরাজীর্ণতা
টের পেলাম না কখন নেমে এলো জীবনের পরতে সুখের দৈন্যতা
এখানে ফড়িং হতে গিয়ে দেখি ডানা নেই,
হোঁচট খেয়ে জীবনের পথে হারাই স্বস্তির খেই।

কখন যে বেলা পড়ে গেল, কখন যে ডানা হলো অদৃশ্য
আহা আমার ফড়িং বেলা সুখগুলো আজ অস্পৃশ্য
দুঃখ সুখে তবুও হেসে উঠি, কেঁদে ফেলি নিদ্বির্ধায়,
অমোঘ সত্য সময়কে জানাতে হবেই তো বিদায়।

আমার ফড়িং দিনগুলো স্মৃতি হয়ে আছে মনের কোণে
সেই সব স্মৃতি নিয়েই মন ঘরে যাই স্বপ্ন বোনে;
সবুজ মন আজও অবুঝ…. অশীতিপরেও আছি কুড়ি,
এখনো আমি নবাগত মন নিয়ে সুখ আকাশে ডানা মেলে উড়ি।

(ক্যানন ডি৬০০, চুনারুঘাট)

দুনিয়ার মোহতেই আটকে আছে মন

দুনিয়ার মোহ জয়ে বাহবা দিচ্ছি, সুর তুলছি নিত্য
দুনিয়ার রঙ তামাশায় রাখছি সুখি চিত্ত;
কেউ জানি না কত না পাপ তুলছি আমলনামায়,
গেয়ে যাচ্ছি সুখেরই গান, ঠোঁট রেখেছি সারেগামায়।

উল্টে রাখছি পাল্টে দিচ্ছি ধর্মীয় বিধি বিধান,
জীবন জুড়ে আসছে নেমে পাপের নিদান;
কোথায় কী আর বলি, নিজের মতামত নিয়েই চলি,
মত বিরুদ্ধ হলেই আগুন হয়ে জ্বলি।

কেউ হিজাব নিয়ে করছে হাউকাউ, কেউ বোরখা
জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলে শয়তানগুলো দিচ্ছে ধোকা,
কেউ বুঝেও না বুঝার ভান ধরে থেকে গেলাম চুপ,
কেউ জানে না অসুর গুলার ভয়ঙ্কর রূপ।

কত যুক্তি তর্ক কত জ্ঞানের ভান্ডার ওদের বুকে
কেবল ইসলামের জ্ঞান নেই, আল্লাহ দেন না হেদায়েতের মন্ত্র ফুঁকে
সমাজে ছড়াচ্ছে বিষ হরদম,
ইসলামকে অপমান করতেই যেন ওরা ফলে প্রতিটি কদম।

ভুল শুদ্ধ যাচাই না করেই আমরা লাফিয়ে বেড়াই সমাজে,
কেউ কেউ ইসলামের পক্ষে সাফাই গেয়েও দাঁড়ায় না জায়নামাজে;
মুখে ভালো কথা অন্তর কারো মন্দ,
এরাই সমাজে বাঁধিয়ে দেয় দ্বন্দ্ব।

কেউ কেউ মোহ উপেক্ষা করতে পারে, কেউ পারে না
মুসলিম হয়েও ইসলামের বিধি বিধানকে হেয় করতেও ছাড়ে না;
অনুতাপে হয় না কাতর
এদের দিল আল্লাহ করে দিয়েছেন পাথর।