জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

ইচ্ছে করে

স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪+৪/৪+২

ঐ দেখো মা আকাশে তে
উড়ছে কত ঘুড়ি,
ইচ্ছে করে তেমন করে
আমিও যেন উড়ি।

নীল আকাশ ছোঁয়ার জন্য
মনে কত আশা,
পাখির সাথে গাইতে আমার
জাগে মনে ভাষা।

ছায়ার সাথে ইচ্ছে করে
লুকোচুরি খেলতে,
আকাশে তে পাখির মতো
মুক্ত ডানা মেলতে।

রচনাকালঃ
০৮/০৬/২০২১

যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে

স্বাধীনতা চাই,
যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
শিশু মায়ের কোলে নিরাপদে দুগ্ধ পান করতে পারব।
কেউ চাইলে বোমা বিস্ফোরণ করতে পারে না
সেই টুকু স্বাধীনতা ।

যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
রাখাল উদাস মনে বাঁশি বাজাতে পারবে খোলা মাঠে
শঙ্কাহীন ভাবে প্রকৃতির সাথে ।
যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে,
কৃষক গ্রীষ্মের দুপুরও বিরতিহীন ভাবে কাজে করে পারবে ।

যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
মানবতাহীন মানুষের কাছে মানবতা ফিরে আসবে
শুধু চাওয়া টুকুন স্বাধীনতা।

যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
জমির মালী নির্বিঘ্নে কাননে ফুল ফুটাতে পাটবে
মনে ভয় থাকবে না।
যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
টেপির মা উঠোনে দাঁড়িয়ে খইয়ের ধান
সুন্দর করে শুকাতে পারবে।

যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
অবুঝ শিশু মাছরাঙার নিত্য শিকার দেখতে পারবে।
যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে সুন্দর তৈরি করতে পারবে।

যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
মুয়াজ্জিন মসজিদে গিয়ে নির্বিঘ্নে আযান দিতে পারবে।
যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
আবার শোকার্ত মায়ের একটু স্বস্তি ফিরিয়ে আসবে।

যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার ঔপন্যাসিকেরা
সুন্দর সুন্দর কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস
লিখে জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে
সেই টুকু স্বাধীনতা চাই ।

রচনাকালঃ
১৫/০৬/২০২১

স্ত্রী

কবুল বলে এনেছিলাম আমার ঘরে
আঠারো বছর বয়সের এক মেয়ে,
আঁখি ছলছল করছিল অজস্র স্বপ্নতে,
আমি দেখছিলাম শ্যেন দৃষ্টিতে চেয়ে।

বদনখানিতে সহজ সরল বহতা কি
দারুন কাব্য শৈলীর ন্যায় মধুর ভাষা,
তার সাথে আমার জন্ম জন্মান্তর বন্ধন
আর মনে অজস্র ছিল আমার আশা।

দোয়েলের শিসে ভাঙাত ঘুম নিত্য সকালে
হেলেদুলে করতে একা সকল কাজ,
মনের ভুলে কোনো দিন তার হয়নি তো করা
নিত্য প্রভাতের মনের অভিলাষে সাজ।

নানা ঘাত প্রতিঘাতে আমারে দিত সে
উপমা দিয়ে কত যে বিচিত্র শান্তনা,
চড়াই-উতরায়ে সমভাবে অংশ গ্রহণ
আর সহ্য করত কত না, কত যন্ত্রনা।

তার সাথে আমার হয়নি মন মালিন্য
অজস্র ছিল না তার চাওয়া পাওয়া,
চানিক্য মানিক্যের প্রতি ছিল না কোন
আশা,শুধু ভালোবাসা ছিল তার চাওয়া।

কচি শসার ফুলের মতো তার ছিল মুখে গড়ন
দুধ সাদা ফুলের মতাে তার ছিল গায়ের-বরণ ,
গ্রীষ্মের দুপুরে ধান মাড়াইয়ের কাজ করত, আর
বলত ওগো রেখো আমারে তুমি স্মরণ।

এ ধরা ছেড়ে যদি চলে যায় কখনো আমি
তোমারে ছাড়া আমি থাকব অনেক দূর,
আমারে পড়লে মনে দুপুরে পলাশের বৃক্ষের
শাখায় বসে থাকা শুনবে পাখির সুর।

রচনাকালঃ
১৫/০৫/২০২১

কদম কেয়া

স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪+৪/৪+১

ওরে খোকা, ওরে খুকি
দেখবি তোরা আয়,
কদম গাছে কেয়া গাছে
ফুল ধরেছে হায়।

ফুলের সাথে পাখির সাথে
ভ্রমর গাইছে গান,
ওরে খোকা ওরে খুকি
শুন ফেলে কান।

কদমের সাথে কেয়া ফুলের
মধুর হাসি হয়
খোকা খুকি মন খুশিতে
নদে নৌকা বয়।

কদম কেয়া তুলে এনে
নানা খেলা হয়
বর্ষারাণী কদম কেয়া
নানা জনে কয়।

রচনাকালঃ
০৫/০৬/২০২১

আমি হব

আমি হব রোজ প্রভাতের সেই চঞ্চল পাখিটা
যে সবচেয়ে বেশি সপ্ত হর্ষে গান গায়।
আমি হব রোজ নিশির সেই তারকাটা
যে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়ায় অন্ধকারে।
আমি হব রোজ তটিনীর সেই কলকল ধ্বনিটা
যে সবচেয়ে বেশি শ্রুতি মধুর।
আমি হব রোজ শাদ্বল দূর্বাদলের সেই ঘাসটা
যে সবচেয়ে বেশি ধেনুর কাছে অতি প্রিয়।
আমি হব রোজ মৌচাকের সেই মৌমাছিটা
যে সবচেয়ে বেশি মধু আহরণ করে।
আমি হব রোজ পাখির সেই ডানাটা
যে সবচেয়ে বেশি ক্লান্তিহীন উড়তে পার।
আমি হব রোজ শরৎকালের সেই কাশ আর শিউলি ফুলটা
যে সবচেয়ে বেশি হাওয়ায় দোল খায়।
আমি হব রোজ স্বাপ্নিকদের সেই স্বপ্নটা
যে স্বপ্ন সবচেয়ে বেশি পূরণ।
আমি হব রোজ মাছরাঙাদের মধ্যে সেই মাছরাঙাটা
যে সবচেয়ে বেশি শিকার করে তাতে সফল হয়।
আমি হব রোজ মধুমাস জৈষ্ঠ্যের সেই ফলটা
যে ফল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

রচনাকালঃ
০২/০৬/২০২১

মুসাফির

এই নদী নক্ষত্র দেশে,
আমি তো এসেছি অচিনপুর থেকে
মুসাফিরের বেশে।
থাকব কয় দিন,
সৃষ্টিকর্তা আয়ু রেখেছে যতদিন ।
তারপর চলে যাব যে কোথায়,
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে যাবে যেথায়।
যেখানকার খবর কেউ নেই নেবার
সুখ বা দুঃখের নেই কেউ শোনার।

রচনাকালঃ
২৯/০৪/২০২১

নির্ঘুম কালোরাত

সে এক নির্ঘম থম থম কালো রাত,
মৃদু হাওয়ায় ভর করে জোনাকিরা চলে,
জীবন সংগ্রামের হাজারো পথ।
মিটমিট করে গগনে জ্বলছিলো তারা,
তুষারের ছেলেকে ধরেছে ছেলে ধরা।
শুরু হলো গোলমাল লোকে ভরা বাড়ি,
এলো থানা থেকে পুলিশ ভর্তি গাড়ি।
জনতা ছেলে ধরাকে করে প্রহর এলোপাতাড়ি,
দূর গ্রামে খবর এসেছে এই ব্যক্তি করে ছেলেধরা সর্দারি।

ওহে ছেলে ধরা তোমার অন্তরে নেই কো কোনো মায়া,
সকলকে কষ্ট দেও, তার জন্য কি কাঁদে না তোমার হিয়া।
তোমার কাছে মানুষের জীবন নেই কি কোনো মূল্য,
তোমার কাজের জন্য হাজারোও জীবন হয় ধুলোতুল্য।
হে ছেলেধরা এ কাজ ছেড়ে তুমি হও ভালো,
না হলে তোমার জীবনে সদা থাকবে ভীষণ কালো।

পদ্মা নদীর তীরে

পদ্মা নদীর পাড়ি, হাঁস সারি সারি,
করছে ওরা স্নান,
পদ্মার কালো জল, করছে যে টলমল,
হয়নি তো ম্লান।
নদীর তীরে সব, বিহগের কলরব
মনোরম দৃশ্য,
চলন্ত পথযাত্রী, গভীর হল রাত্রি
গ্রীষ্মের স্বচ্ছ দৃৃশ্য।
পূর্ব দিগন্তের শেষে, নানান রঙের বেশে
শিশুরা করে খেলা,
শাপলা শালুক তুলে, বাহারি রকমের ফুলে
বিকেলে প্রজাপতি মেলা।

রচনাকালঃ
২৭/০৪/২০২১

দীর্ঘ নিদ্রা

এই তো সেই দীর্ঘ নিদ্রা
যে নিদ্রা কারো কভু হবে না শেষ
যে নিদ্রা মানুষকে স্বজন থেকে নিয়ে যাবে
দূর থেকে দূরের স্থানে
থাকতে দেবে না আর পরিবার পরিজনের সাথে
আর দেখতে দেবে না সেই নানা উৎসব
শুনতে দেবে না আর পাখির কন্ঠের গান
দেখতে দেবে না দেখতে বাংলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতি
সকল কিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে,
সেই দেশে নেই কোনো আমার স্বজন
থাকতে হবে একা নির্জনে।

রচনাকালঃ
২৩/১২/২০২০

স্বপ্নের দাম

একটি স্বপ্ন কিনতে চাই
স্বপ্ন বিক্রি করবে কেউ ,স্বপ্ন, তবে
ছোট্ট একটা শর্ত আছে।
স্বপ্নটা হতে হবে চাঁদের মতো উজ্জ্বল
স্রোতস্বিনীর মতো প্রবাহমান, গিরি ন্যায় স্থীর নয়।
প্রজাপতির ডানা বা কচি লাউয়ের জালির মতো কোমল,
আছে কি সন্ধান,কেউকি বলতে পারবে।
দাম নিয়ে হবে না কোনো হেরফের, যা চাই তাই পাবে।
দাম হিসাবে আমি দেব শাদ্বল দূর্বাঘাসের অজস্র ফুল,
যদি কম হয় তার সঙ্গে দেব ঐ দ্বীপের সুভাষিত পুষ্প কুঞ্জ।
তাতেও যদি নাই হয়, তোমার স্বপ্নের দাম
আমি তোমায় আরও দেব মিষ্টি চাঁদের আলো,
যা আমার কাছে এই অবনীর মাণিক্য চাণিক্যের চাইতে অতি অতুলনীয়,
সাথে দেব আরও বিস্তর জোনাকি অন্ধকারের মোহ দূর করার জন্য।
তবুও আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে কিনতে চাই একটি নির্মূল স্বপ্ন।
যে স্বপ্ন কভু কারো স্পর্শ বা সর্পিল গতিতে চললেও নুয়ে যাবে না ,
যেমন কারো স্পর্শে লজ্জাবতী নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
সেই স্বপ্নখানিকে নিয়ে জীবনের ঘাত প্রতিঘাত
যেন অনায়াসে পারি দিতে পারি
সামান্য বজ্রাঘাতেও যেনো তা ভস্মীভূত না হয়।
সুন্দর জীবনের জন্য চাই অবাধ বিচরণ,
সূর্যের ঝলকের মতো মনের অভিলাষে স্বপ্ন পূরণ।

রচনাকালঃ
২৬/০৫/২০২১

খোকা – খুকি

images

আয় খোকা, আয় খুকি
নাইতে মোরা যাই,
নাইতে গিয়ে মোরা সবাই
শাপলা শালুক পাই।

শাপলা শালুক তুলে মোরা
খেলব নানা খেলা,
বিকেল হলে সবাই মিলে
কাননে বসব মেলা।

বিকেলে প্রজাপতি দলের সাথে
ছুটব মোরা ক’জন,
বিদীর্ণ প্রহরে পল্লব ঘনে ডালে
পাখি করে কুজন।

গোধূলি লগ্নে লুকোচুরি
পড়তে বসা ফাঁকা,
খেতে গেলে মামুনির কাছে
শুনতে হবে বকা।

রচনাকাল
২৭/০৫/২০২১

যুদ্ধে যাব

পুঁইয়ের মাচার নিচে
মায়ের পিচে পিচে
ঘুরছি বারে বার
জিজ্ঞেস করলাম দেখ না, মা
এটা কি আবার –
বল না মা, বল – এটা কি?
মা বলল “কবর”
বল না মা – বল, কবর কি?
মরণ হলে মাটির নিচে যেথায় মানুষ করে সম্প্রদান
উত্তর দিতে কেঁদে উঠল আমার দুঃখিনী মায়ের প্রাণ।

কাঁদিস কেন মা? কাঁদিস নে –
বল না মা – বল
শোনরে, খোকা
এটাই রে তোর দাদার করব
সোনার মতো ছেলে
কি হয়েছিল মাগো দাদার
বল না একটু খুলে।

গিয়েছিল তোর যুদ্ধে দাদা
মানেনি তো সে কারো বাঁধা
যেই গেল সেই দুদিন পরে ফিরে এলো
মাথায় খেয়ে গুলি
অকস্মাৎ আমার হৃদয় জুড়ে
উড়ে উঠেছিল ধুলি।

আরো শোনরে খোকা-
যখন তোর দাদার ওরা ঝরায়েছে রক্ত
তাই না দেখে সপ্ত কোটি বীর বাঙালি
হয়েছে আগের চেয়ে শক্ত।

বল না মা- বল, যুদ্ধ কি?
ওরে খোকা শোন –
যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেল
উত্তর দিতে আমার দুঃখিনী মায়ের হৃদয় জুড়ে
ভাসল দুখের ভেল।
তাহলে মাগো আমিও খেলবো
দাদার মতো শত্রু শত্রু খেল।
মাগো, আমি যুদ্ধে যাব
রাহু বিনাশ করব
মাগো, আমি যুদ্ধে যাব।

কথাটি কর্ণগোচরে আমার দুঃখিনী মা বলে –
তোর দাদাকে হারানো ব্যথায় আজও ঝরছে
অবিরাম নয়নের নীর
আবার তুই যুদ্ধ যুদ্ধ করছিস, চুপ রহ।

বিষাদ সমুদ্রে আনন্দের স্রোত
এলো ম্যাটিক পরীক্ষার ফল
মা বলে-
তোর দাদা ছিল রে খোকা জ্ঞানের কল।

আমি বার বার বললাম, মাগো –
আমি যুদ্ধে যাব,
আমি যুদ্ধে যাব
যায়-
তখন ছিল স্বাধীনতা উত্তর
তাই মা বলল আমায়
তুই যাবি যা –
তাই আমি তখন হেসে বললাম
মাগো, আমি যুদ্ধে যাব
আমি যুদ্ধে যাব
যায় -।

তখন আমি কি করলাম
খেলনা একখানা পিস্তল নিয়ে
হলাম নীড়ের বাহির
পিচে থেকে মাগো ডাকে
খোকা রে-
ঘরে ফির ঘরে ফির।

স্বল্প কিছু সময় দিলাম
সান্ত্বনা দিলাম মাকে
বললাম মাগো –
আমিও যদি দাদার মতো হই
হৃদয়ে দিয়ো তুমি সবুর
আমায় এনে দাদার পাশে
মাগো দিয়ো তুমি কবুর।

এই বলে খোকা ঘুমিয়ে পড়ে
মুখে একটা বুলি
বার বার বলছে, মাগো
আমি যুদ্ধে যাব,
আমি যুদ্ধে যাব
যায়-।

—–+++++
রচনাকালঃ
২৮-০৪-২০২০

বৃষ্টি পর্ব -২

245f8

টাপুর টুপুর পড়ে বৃষ্টি
দেয়ার একটু ডাক,
পুকুর ডোবাতে সদা চলে
সোনা ব্যাঙের হাঁক।

সোনা ব্যাঙ, কুনোব্যাঙ
ব্যাঙের নানা জাত,
লাফালাফি করে তারা
ছোট্ট দু’টা হাত।

দেয়ার ডাকে ময়ূর নাচে
ঐ না ঘরের কোণে,
গাছ পালা সব ভেঙে শেষ
ঐ না গহিন বনে।

বৃষ্টির পর রংধনুর সপ্ত রঙ
আকাশ থেকে পড়ে,
তা দেখার জন্য শিশুরা
দীর্ঘ লাইন ধরে।

বৃষ্টির পর প্রকৃতি আবার
নতুন রুপে সাজে,
নতুন মেঘের আগমনে ব্যাঙদের
নতুন বাদ্য বাজে।

আমার কাছে শেখ মুজিব

1580

আমার কাছে শেখ মুজিব
বাংলার ধ্রুবতারা,
তাঁকে বিহীন বাঙালির জীবন
ভীষণ ছন্নছাড়া।

আমার কাছে শেখ মুজিব
মলিন মুখের হাসি,
ক্লান্ত দুপুরে রাখালের
মন ছুয়ে যাওয়া বাঁশি।

আমার কাছে শেখ মুজিব
বাঙালির অজস্র আশা,
তাঁর থেকে বাঙালি পেয়েছে
অগণিত ভালোবাসা।

আমার কাছে শেখ মুজিব
শোকার্ত বাবার মুখ,
যার মুখনিঃসৃত বাণী শ্রবণে
দূর হয় বাঙালির দুখ।

আমার কাছে শেখ মুজিব
দুঃসাহসী সংগ্রামী নেতা,
রেসকোর্স ময়দানে পাঠ করেছিলেন
দীর্ঘ একখানা কবিতা।

আমার কাছে শেখ মুজিব
স্বপ্নহীনে আশা,
তার নেতৃত্ব জন্য বাঙালি পেয়েছে
৫২ সালেতে ভাষা।

আমার কাছে শেখ মুজিব
বাঙালি জাতির শক্তি,
তাঁর জন্য বাঙালির অন্তরে আছে
অনন্ত অসীম ভক্তি।

রচনাকালঃ
২৮/০৫/২০২১

পথশিশু

জানিনে আমি কে আমার বাবা আর কে মা
এই ফুটপাতে বসে আমার কাটে সারাবেলা
যে দেখে আমায় করে শুধু অবজ্ঞা পোষণ
চাইলে কোনো কাজ করে সবাই হেলা।

এ কেমন সমাজ আমি তো পায় না
মানুষ হিসাবে কোনো অধিকার,
সবাই তো আমায় দূর দূর করে তাড়িয়ে
পরিচয় নেই কি করব আমি তার।

সেই দোষ কি আমার বল জগদীশ
বোঝে না তো কেউ তা,
মনের আকিঞ্চনের আমায় বলে যায়
যে যখন পারে যা।

ফুটপাতেই আমার জীবন মরন
এই ফুটপাতেই সব,
সামান্য খাবারের জন্য করতে হয়
আমায় সর্বদা কলরব।

এ কেমন যেন জগৎ সংসার
বুঝি তো আমি কিছু,
সমাজের উচু তলার মানুষেরা শুধু
অবজ্ঞা করে পথশিশু।

রচনাকালঃ
০৪/০১/২০২১