জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

প্যালেস্টাইনের কোনো এক মা

খোকা বাড়ির উত্তর পাশের ফুল গাছটা তো
ফুলে ফুলে ভরে গেছে,
সে তুমি কবে গেছো
আজও তো আমি তোমার প্রতীক্ষায়
চেয়ে থাকি স্রোতস্বিনীর পাশে ভগ্ন পথটা।
তোমার কোনো খরব নেই
কোথায় আছ, কেমন আছ, কি খাচ্ছো।
সেদিন তো রকেট হামলা হয়েছিল, কোথায় ছিলে তুমি,
খোকা ঐ আল আকসা মসজিদে ইহুদীরা
বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল
তাতে তো অনেক শিশু, যুবক বৃদ্ধ প্রাণ হারিয়েছে
তুমি কি সেখানে ওদের মতো প্রাণ দান করেছো।
তা ভেবে আমি কখনো কষ্ট পায় না
শুধুই গর্বে বুকটা ভরে ওঠে।
আপন জন্মভূমি রক্ষার জন্য যে প্রাণ হয় বলিদান
জগতে সেই প্রাণখানি হয় শুধু মহান।
আমি তো মা তবুও সন্তানের নিরাপত্তা কথা মনে জাগে
খোকা তুমি যেখানে থাকো, সুখে থাকো।
আমি থাকব খোকা শুধু তোমার প্রতীক্ষায়,
শুধু তোমার প্রতীক্ষায়।

রচনাকালঃ
২০/০৫/২০২১

মামার বাড়ি

983490

আমি আর খুকি মিলে
যাব মামার বাড়ি,
আছে আমার মামার বাড়ি
মস্ত মধুর হাড়ি।

মামার বাড়ি যেয়ে আমরা
খেলব নানা খেলা,
আম জাম ডুমুর ফলের
হরেকরকম মেলা।

ফলের সমাহার মামার বাড়ি
খেয়ে জুড়াবে প্রাণ,
নিত্য বিকেলে গেয়ে বেড়াব
হর্ষে করে গান।

কাজিনদের সঙ্গে রাত্রি বেলা
করব নানা গল্প,
হৈ হৈহল্লা করলে মামা
বকা দেবে অল্প।

রোজ প্রভাত ঘুম ভাঙবে
শুনে দোয়েল শিস,
বাড়ি ফিরে এসে আমরা
করব তা মিস।

রচনাকালঃ
২৬/০৫/২০২১

রক্তাক্ত কাব্য প্যালেস্টাইন

Gaza_Attacked_01

আমি প্যালেস্টাইনের হামজার মা বলছি
আর কত বোমা বিস্ফোরণ হব
আর কত রকেট দিয়ে নিক্ষেপ করবে ক্ষেপণাস্ত্র।
আর কত আমার হামজার মতো ঝরে পড়বে অকাল প্রাণ,
আমার মেয়ের মতো আর কত মেয়ের লুণ্ঠন হবে ইজ্জত,
আর কত গাঁজায় লাশ পড়ে থাকবে ধ্বংসস্তূপের নিচে ।
আমার জন্মভূমি প্যালেস্টাইন তা আজ
বিস্ফোরণে বিস্ফোরিত হয়ে তামাতামা হয়েছে
ঐ ট্রয়নগরীর মতো
নেই জনজীবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস,
সদা ভয়,শুধু আতঙ্ক চারদিকে,
আবার কখন নিক্ষেপ হয় ক্ষেপণাস্ত্র।

নেই কি তেমন কেউ শুনবে এই ছোট্ট শিশুর আর্তনাদ
আর নিপীড়িত মায়ের করুণ আহাজারি,
রক্ষা করবে এই নরক থেকে,
সকলে আজ বিবেক বর্জিত হয়ে বসে আছি।
দেখছে ইহুদিদের মুসলমান নিশ্চিহ্ন করার খেলা
কোথায় জাতিসংঘ, কোথায় ওআইসি,কোথায় নিরাপত্তা পরিষদ।
সকলে স্তব্ধ হয়ে গেছে আজ
আমাদের এই করুণ দৃশ্য দেখে।
ইহুদিদের ধ্বংসলীলায় প্যালেস্টাইন পরিণত হয়েছে রক্তাক্ত কাব্যে।

রচনাকালঃ
১২/০৫/২০২১

বৃষ্টি

নীল আকাশে মেঘমালা জমেছে
নেই কো তার শেষ,
অভিলাষ হল ঘুরে বেড়ায়
নানান রঙের বেশ।
টাপুর টুপুর পড়ে বৃষ্টি
ঝুমঝুম তার রুপ,
বজ্রের শব্দে লুকায় সবাই
কেউ দেবে না ডুব।
বৃষ্টির পর রংধনু রং ফ্যালে
নীল দীঘির ঐ ধারে
তরুলতা নব সাজে সজ্জিত হয়ে
পথের ধারে ধারে।
বৃষ্টি শেষে বর্ষাকালে নদে
থৈথৈ করে জলে,
কদম কেয়া ফুল ফোটে রে
মৌসুমের ফলে।

একটি মৃত্যু

আমি এজন্য খুব মৃত্যুকে ভয় করি
কারণ আমি খুব কাছে থেকে একটি মৃত্যু দেখেছি।
যে মৃত্যু মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে,
এক ছোট্ট বুভুক্ষা পথশিশু খাদ্য নিয়ে দৌড়েতে
অকস্মাৎ ট্রেনের তলে পড়ে আপাদমস্তক ছিন্নভিন্ন।
পরক্ষণেই শুনতে পেলাম খাদ্য তার না, তার বাবার জন্য
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নাকি তার বাবা কিডনি রোগী
পথশিশুটির ছিন্নভিন্ন কায়া ট্রাফিক পুলিশ কফিনে
তুলতে না তুলতে এলে বাবার মৃত্যুর বার্তা।
চারদিকে শিশুটির স্বজনের করুন আহাজারিতে মুখর
এত লোক দেখে পরে মনে হল
শিশুটি পথশিশু নয়, সম্ভান্ত্র বংশীয় হবে ।
বাবার চিকিৎসার জন্য সব শেষ
বাবার শেষ অভিলাষ অনুযায়ী খাদ্যের সন্ধান।
রাস্তার পাশ দিয়ে আমজনতার দীর্ঘলাইন
সকলের আঁখি অশ্রু গঙ্গায় পরিণত হয়েছে।
এমন একটি ফুটফুটে শিশুর অকাল মৃত্যু
আমার মনে মৃত্যুর দাগ কেটেছে, আমিও তো তার চেয়ে বড়
তাই মৃত্যুর কথা আমাকে সতত ভাবায়।

রচনাকালঃ
২৪/০৫/২০২১

মহামতি নজরুল

ghunpoka13_1401025738_1-481537_10200500780736484_582983662_n

বন বাদাড়ে ঘুরে ফিরে তোমার
কেটেছে সারাবেলা,
ছিন্নমূলে হয়েছে বড় তাই
পেয়েছ কত হেলা।

অনাহারে থেকে তুমি ঘুরছে
মানুষের দ্বারে দ্বার,
জানেন শুধু ঐ সৃজনকারী
বুভুক্ষা থেকেছ কত বার।

কৈশোরে তুমি লেটো দলের সাথে
ঘুরে গেয়েছ কত গান,
মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাজ করে
বাঁচায়েছ তোমার প্রাণ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যোগ দিয়েছিলে
ঐ সেনাবাহিনীর দলে,
সেখান থেকে ফিরে সাহিত্য চর্চা করেছ তুমি
দৃঢ় মনোবলে।

লিখছ কাব্য শৈলী সাহিত্যের ঐ
সকল শাখায়,
সৃজনকারী দিয়েছিল বুদ্ধি বাবরি দোলানো
ঝোকড়া মাথায়।

রহস্যময় বসুন্ধরা

রহস্য রহস্য রহস্য,
রহস্যময় বসুন্ধরাতে
সকল স্থানে রয়েছে অজস্র রহস্য
জন্ম জন্মান্তর এ রহস্য অনুসন্ধান করলে,
কিন্তু সেই রহস্য উদঘাটন করা যায় না।
এ রহস্য কি কঠিন থেকে কঠিনতর?
যার সন্ধান পেতে পেতে শেষ হয় জীবনের দীর্ঘ খানি।
মাত্র মৃত্যু এনে দেয় সকল কাজে বিষন্নতা,
শেষ হয় সব অভিযান,সব রহস্য উদঘাটনের পথ।

মৃত্যু অতি রহস্যময় বসুন্ধরাতে,
কেউ এর রহস্য উদঘাটন করতে পারে না,
আধুনিক সভ্যতার যুগে।
এ বসুন্ধরাতে এত জ্ঞানী গুণী মনীষী আছে
যারা বিচরণ করে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে।
আবিষ্কার করে বিস্ময়কর জিনিস
তারাও কি উদঘাটন করতে পেরেছে এ রহস্যের
কেউ এ অবধি মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পারে নাই।
মৃত্যু শুধু রহস্যে ভরা এই বসুন্ধরায়।

রচনাকালঃ
১৭/০৪/২০২১

সুখী হতে ভালোবাসা লাগে

যদিও সে মন খুলে হাসে, প্রাণ খুলে গায়
তবুও কেন সুখী নয়,
সুখী হতে চাইলে ভালোবাসা লাগে,
সত্যিকারে ভালোবাসা
যে ভালোবাসা থাকবে জন্ম জন্মান্তর।

বুকে গিরি সমতুল ব্যথা নিয়েও তো মানুষ হাসে,
হেসে যায় নিরবে নিভৃতে,
তবুও কেন সে বা তারা সুখী নয়
কারণ তারা প্রকৃত অর্থে ভালোবাসা পায়নি।

সুখ ও ভালোবাসা একই বৃক্ষের শাখা
যা বিহীন বৃক্ষ তরুলতা অসম্পূর্ণ।
তাই সুখ যেখানে আছে সেখানে ভালোবাসা আছে
সুখ নেই ভালোবাসা নেই ।
তাই প্রকৃত সুখী হতে অর্থ আর প্রাচুর্য লাগে না
লাগে সত্যিকারে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।

রচনাকালঃ
০৫/০৫/২০২১

জন্ম – মৃত্যু

যেদিন আমি সদ্য প্রস্ফুটিত ছিলাম
গগনের তারকারাজি মতো উজ্জ্বল হাসিররেখা ছিল
অজস্র মানুষের বদনখানিতে ।

শুধু আমার জন্মদাতা জন্মদাত্রী
এপাড়া ওপাড়া কত না কত মিষ্টি বিলিয়েছ,
এ খবর দেবে শুধু, লোক থেকে লোকান্তরে।

জীবন দীর্ঘ নয়,
সময়ে পরিক্রমায় শৈশব কৈশোর কাটিয়ে
যৌবনে পদার্পণে পেলাম জীবন সাথী
কিছুকাল যৌবনের মহাসঙ্গীতের রঙ্গ।

দেখতে দেখতে নিমেষেই সময় বাষ্পীভূত হয়
এই রঙ্গের দুনিয়ার মোহ বোঝার আগে,
মৃত্যুর দূত আসে চলে।

যেদিন আমি চলে যাব,
সেই দিনে লোকে বলবে,
ঐ সেই দিনে প্রস্ফুটিত ছেলেটা, এমন অকাল পক্ক হল।
দুনিয়াতে চরম এক সত্য সে হল মৃত্যু,
প্রভাব, প্রতিপত্তি, খ্যাতি সব শেষ মৃত্যুর কাছে,
অবশেষে হার মানতে হবে মৃত্যুর কাছে
সত্যি এই হল জন্ম – মৃত্যু।

রচনাকালঃ
০৬/০৫/২০২১

মা আমার মা

পৃথিবীর সবচেয়ে মমতাময়ী নারী,
সেই হলে মা,
সন্তানের কোনো আপদ এলে তার
অন্তরে লাগে ঘা।

সুখের সাথী দুঃখের সাথী
মা তার নাম,
এই বসুমতীতে তার সমতুল্য
নেই কারো দাম ।

নিজে বুভুক্ষা থেকে যে
খাওয়ায় সন্তানে,
বুঝতে দেয় না কাউরে
আছে সে কেমনে।

মায়ের অন্তর আছে সন্তানের জন্য
অসংখ্য অগণিত মায়া,
পিতৃহীন হলে মা সন্তানের দেয়
পিতৃরূপের ছায়া।

রচনাকালঃ
০১/০৪/২০২১

সত্যের জয়

গায় সত্যের জয় গান
ধরনীর বুকে সত্য বড় মহীয়ান।
সত্যের পথ ধরে চলে গেছে আলা রাসূল নবী
আরও চলছে কত সাধু সন্ন্যাসী দার্শনিক কবি।
সরল সঠিক পন্থায় বিধাতা তুমি আমাদের দাও গো বলি
যে পন্থা দিয়ে আসবে ধরণীতে সত্যের মহাগ্রন্থের নিয়মাবলি।

সত্য চির অম্লান –
ধরণীতে সকলে করে সত্যের জয় গান।
সত্যের অনুসন্ধানে বুদ্ধ করলেন কত ধ্যান
তাতে সে পেয়ে মহাসত্যের অজস্র জ্ঞান।
সত্যের খোঁজে কৃষ্ণ গেল গয়া কাশী বৃন্দাবন
তবুও দীর্ঘদিন ঘুরে বেড়ায় শান্ত হয়নি মন।

সত্য যে ভীষণ ভীষণ ভালো
মিথ্যা যে জনম জনমের কালো।
হয় না কো কখনো মিথ্যার জয়
চড়াই-উতরাইয়ের সদা সত্যের জয়, সত্যের জয়।

রচনাকালঃ
১৮/১১/২০১৯

আলোর ফেরিওয়ালা

সাঁঝ হলো আঁধার ঘনিয়ে এলো
বসেছে আলোর মেলা,
জোনাকিরা তৈরি আছে
দেখাবে আলোর খেলা।

বাজলো তোমার আলোর বেণু
জগৎ মাঝারে,
জগতটা যে ভরে গেছে
অশুভের আঁধারে।

সত্যের আলো জ্বালিয়ে দূর করব
তাই না রে,
অশুভর কালো ছায়া নিয়েছে আঁকড়ে
জগতের সব কাজে রে।

কি ভাবে রক্ষা করব জগতকে
পথ দেখাও প্রভু,
চড়াই-উতরাই বাইতে দাও আমারে
আমি তা বাইনি কভু।

সত্যের আলো দিয়ে
সব করব জয়,
সত্য যে সর্ব গমনের সোপাংশ
কোনো সন্দেহ নাই।

রচনাকালঃ
১২/১২/২০১৯

মেঘকুমারী

মেঘ কুমারী, মেঘ কুমারী
তোর বাড়ি কই,
স্বপ্নে আমি দেখেছি তোরে
তুই আমার সই।

আমার বাড়ি আসিস যদি
বসতে দেব পিড়ে,
শরতকাল তোকে নিয়ে ঘুরব আমি
কাশফুলের ভীড়ে।

আমার বাড়ির আতা ডালিম
তোকে দিব খেতে,
চলে যেতে চাইলে তুই
আমি যাব সাথে ।

গগন জুড়ে ভেসে বেড়াস
নানা রঙের বেশে,
তা আমি দেখি ওরে
দিনের ঐ না শেষে।

রচনাকালঃ
২৭/১০/২০২০

প্রাণ পাখি

হায় প্রাণ পাখি, তুমি তো একদিন চলে যাবে,
চলে যাবে আমার এই চঞ্চল পিঞ্জিরা ছেড়ে।
তখন আমি পড়ে রব হরিৎ দূর্বাঘাসের উপর,
ক্লান্ত দুপুরে মাঠে ভিতর জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায়।
শত চেষ্টা করে কেউ প্রাণ পাখি প্রতিস্থাপন করতে পারবে না,
আধুনিক সভ্যতার যুগে।
হায় পাখি, তুমি একবার চলে গেলে,
না আস তাতে আবার তাতে ফিরে।
জনম জনম সাধনা করেও ব্যর্থ নিরাশ।

হে পাখি যতদিন তুমি এ পিঞ্জিরাতে বিরাজ করবে
ততদিন থাকবে এই পিঞ্জিরার বাহার,
গেলে চলে তুমি থাকবে না কিছু আর।
সৃজনকারীর লীলা বোঝা বড় দায়,
কেন পাঠালেন, আবার কেন নিবেন?

রচনাকালঃ
৩০/০৪/২০২১

আমার অভিলাষ হয়

আমার অভিলাষ হয় কোনো পড়ন্ত বিকেলে,
প্রেমিকার হস্তে হস্ত রেখে ঘুরতে।
আমার অভিলাষ হয় পুষ্পকাননগুলোতে,
সুগন্ধি যুক্ত পুষ্পের শাখে পুষ্প মঞ্জরি হয় ধরতে।
আমার অভিলাষ হয় আন্ধার রাতে গগনের তারকারাজি,
আর জোনাকির আলোর মেলার সাথে খেলতে।
আমার অভিলাষ হয় শরতকালে নীল আকাশের
শুভ্র মেঘের ভেলা সাথে ভাসতে।
আমার অভিলাষ হয় বৃষ্টির দিনে ময়ূরের যেমন পেখম তুলে নাচছে
সেভাবে নাচতে।

আমার অভিলাষ হয় পাহাড় পাদদেশ হতে
ঝর্ণা হয়ে ঝরতে।
আমার অভিলাষ হয় বিহগের মতো গগন পথে উড়ে
গগনের ঐ নীল ধরতে।
আমার অভিলাষ হয় ভ্রমর হয়ে ঐ পুষ্প কাননের,
সদ্য প্রস্ফুটিত কোমল পুষ্পের মধু খেতে।

আমার অভিলাষ হয় বসুমতীর সকল অশান্তির,
মূল কারণ জানতে।
আমার অভিলাষ হয় জৈষ্ঠ্য কেন মধুমাস
সেই ইতিহাস জানতে।
আমার অভিলাষ হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি আদিবাসীদের
ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ছোঁয়া পেতে।

.
রচনাকালঃ
১৪/০৫/২০২১