জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

কবিতার কথা

আমি কবির ভাষায় ছন্দে ছন্দে,
কবিতার কথা বলি।
গাঁয়ের সহজ পথটা বেয়ে
দীঘল সবুজ শ্যামল প্রকৃতির পথটা চলি।

আমি ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ন্ত পাখির মতো,
বিকেলে কলরব করি,
স্রোতস্বিনীর মোহনায় জেলেদের সাথে
রুই, কাতলা কত মাছ ধরি।

আমি শরতের আকাশে ভাসমান,
শুভ্র মেঘের ভেলা
পদ্মার তীরে স্নিগ্ধ দুপুরে দূরন্ত কিশোরা
করে কত রঙের খেলা।

আমি চলন্ত নাটাইয়ের সুতোয় গাঁথা,
শিশুর আনন্দময় কবিতা,
তৃষ্ণাতুর পথিকের মরুভূমিতে প্রাণসঞ্চারণের
সেই কষ্টের জীবনের ছবিটা।

আমি রাখালের বাঁশির সুরে আমজনতার
আনন্দঘন মূহুর্ত,
পড়ন্ত বিকেলে পথিকের ক্লান্ত ভাবে
চলার কত শর্ত।

রচনাকালঃ
০২/০৪/২০২১

আমি লিখব

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব –
লিখব আমি প্রেমিকের বিরহ আর বেদনার কথা,
লিখব আমি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সাধারণ জনতার বিদ্রোহের কথা।

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব-
লিখব আমি বীরের বীরত্বের কথা,
লিখব আমি শান্তি আর সাম্যের কথা।

আমি আপনাকে তোমাকে তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব
লিখব আমি বাংলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কথা,
লিখব আমি বাঙালির পশ্চাতের ইতিহাস আর সংস্কৃতির কথা।

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব –
লিখব আমি এই বিভীষিকাময় সভ্যতার কথা,
লিখব আমি ধর্ষক আর ধর্ষিতার কথা।

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব –
লিখব আমি যাযাবরের স্বপ্নের স্বর্গরাজ্য কথা,
লিখব আমি পথশিশু করুন দৃশ্যের কথা।

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব –
লিখব আমি শস্যদেবীর বরে ক্ষেতে ফলে সোনা ধানের কথা,
লিখব আমি কৃষকের বদনখানির অম্লান হাসির কথা।

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব –
লিখব আমি সাদা কালোর ভেদাভেদের দীর্ঘ শোষণের কথা,
লিখব আমি উচু নিচু, বর্ণ গোত্রের কথা ।

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব –
লিখব আমি সুখী জনের সুখের উল্লাস মেদিনী কাঁপানোর কথা,
লিখব আমি দুঃখী মানুষের কষ্টে জর্জরিত কষ্টের দিনগুলোর কথা।

আমি আপনাকে, তোমাকে, তোকে বলছি
আমি লিখব, আমি লিখব –
লিখব আমি জয়নুল আবেদীনের ম্যাডেনা-৪৩ চিত্রকর্মের কথা ,
লিখব আমি পাবলো পিকাসোর গুর্নিকা চিত্রকর্মের কথা ।

রচনাকালঃ
০৯/০৫/২০২১

সকল কবিকে ঈদের শুভেচ্ছা
“”ঈদ মোবারক “”

আমি বলছি

আমি নির্মল সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কথা বলছি,
আমি ধর্ষিতা বোনের আত্মা চিৎকারের কথা বলছি,
আমি ক্ষুধার্ত কৃষকের কথা বলছি।
আমি অভিজাত শ্রেণির আত্ম অহামিকার কথা বলছি,
আমি শোষক শ্রেণির শোষণের কথা বলছি,
আমি জীবনানন্দ দাশের রূপসী বাংলার কথা বলছি।
আমি নাগরিকদের সকল অধিকার স্বাধীকারের কথা বলছি,
আমি সংগ্রামী বিপ্লবী জনতার কথা বলছি,
আমি অধিকার বঞ্চিত রোহিঙ্গাদের কথা বলছি।
আমি বিভীষিকাময় সভ্যতার কথা বলছি,
আমি মসজিদুল আকসার হামলার কথা বলছি,
আমি সুখীদের সুখ উল্লাসে মেদিনী কাঁপানোর কথা বলছি।
আমি প্যালেস্টাইনের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কথা বলছি,
আমি মাতৃস্নেহ ও পিতৃ স্নেহের কথা বলছি,
আমি বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতির কথা বলছি।

রচনাকালঃ
২৫/১২/২০২০

এক বন্ধুর আত্মকাহন

4521

ক্লাসের সবচেয়ে চঞ্চল জেদি একঘেয়ে কৃষ্ণবর্ণের ছেলেটা,
স্মৃতিকে এক পলক দেখবার জন্য চেয়ে থেকেছে ঐ পথটা।
মনের আকিঞ্চনে ঐ পথটার ধারে করেছে কতবার পায়চারী,
তা জানেন শুধু বিভো,আর করেছে কত আহাজারি।
স্মৃতির মুখনিঃসৃত বাণী শ্রবণের জন্য, কেঁদেছে তার মন প্রাণ,
সাইন্স ল্যাবের কাছে দাঁড়িয়ে ছেলেটা গাইত বেদনা বিধুর গান।
সেই এক ঝড়ের দিন অপরাহ্ণে মনে জাগল ছেলেটার আশা,
হঠাৎ দেখা স্মৃতি সাথে তার বদনখানিতে নেইকো কোনো ভাষা।
তখন স্মৃতির আঁখি ছলছল করছিল বেশ,
আঁখিতে তেমন একটা স্বপ্ন ছিল না কিন্তু,
যার ছিল দীঘল কালো কেশ।
স্মৃতির বাহুদ্বয় সতত লাগত নকশা করে মেহেদি,
চরণ যুগলে পড়তো নূপুর আরও যেন কি কি।
কোনো এক বৈশাখী মেলাতে স্মৃতি ছিল মঞ্চের কাছে দাঁড়িয়ে,
তখন সে ছেলেটা স্মৃতির প্রাণে তাকিয়ে দুহাত দিয়েছিল বাড়িয়ে।

যদি হতো না কোনো কারণে স্মৃতির সাথে দেখা,
ছেলেটা সেই দিন থাকত বুভুক্ষা।
বলত না কো কভু কারো সাথে কোনো কথা,
উদাস মনে ঐ পলাশ বৃক্ষের নিচে বসে থাকত নিয়ে বিরহ ব্যথা।
সেই কি মান অভিমান শেষ হবার নয়,
যতক্ষণ না পর্যন্ত স্মৃতির দেখা হয়।
নিত্য নতুন চিঠি লিখে ঘুরত নানা জন,
তারা কেউ ছিল না স্মৃতির সেই ছেলেটার মতো সুজন।

.
উৎসর্গ : (রাসেল স্মৃতি )

রচনাকালঃ
২৪/০৪/২০২১

দূর্বাঘাস

একদিন দূর্বাঘাসের ওপর ভর করে আমি এসেছিলাম,
জীবনানন্দ দাশের জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলায়।
শুধু বাংলাকে নয়ন ভরে দেখার জন্য,
দূর থেকে দূরের কোনো দেশ থেকে,আমি এখানে এসেছি।
এ যাবৎ কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস পড়ে জেনেছি
বাংলা সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কথা,
আরও জেনেছি বীরের বীরত্বের কষ্ট জর্জরিত বেদনার কথা,
তবু জানার কৌতূহলের সমাপ্তি হয়নি।

তাই পিছনে হাজারো চরণ ফেলে এসেছি,
ইতিহাস ঐতিহ্যে ঘেরা দেশে।
এত সুন্দর ঐতিহাসিক স্থাপত্য শৈলী গুলো,
যা কবিতা, গল্প, নাটক উপন্যাসের বর্ণনার থেকে অতি অতুলনীয়, আহা মনে ভরে যায়।
দূর্বাঘাসের ওপর ভর করে আসা আমার সার্থক।

রচনাকালঃ
০৭/০৫/২০২১

চিঠি পর্ব -২

ওগো প্রেয়সী,
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ জানতে পারলাম,
তুমি নাকি অন্যের ঘরের ঘরণী হয়েছ।
তোমাকে এক পলক দেখবার মনে অভিলাষ হয়েছে,
তোমায় তো পারব না দেখতে,
বুকে গিরি সমতুল ব্যাথা নিয়ে এই চিঠি খানা,
আমি তোমাকে লিখছি, সত্যি তোমাকে লিখছি,
প্রেয়সী, জানি তুমি আছ ভালো,
তোমার সম্বন্ধে জানতে বড় অভিলাষ হয়।
আমার সম্বন্ধে, তোমার জানতে অভিলাষ হয় না বুঝি।
আমি কেমন আছি, কি করছি।

ও তুমি তো আমার সম্বন্ধে জানবে কেন?
আমার স্থান তো আজ অন্যের দখলে।
তুমি কি আজও তাকে সাথে নিয়ে পার্কে যাও,
এবং মিষ্টি হেসে কথা কও,
একটু দেরিতে গেলে আজও কি তোমার মান অভিমান হয়,
জানতে বড় অভিলাষ হয়,
তবে আমার তো জানার কোনো অধিকার নেই।
তবুও তা আমার জানতে বড় অভিলাষ হয়।

.
রচনাকালঃ ২৮/০৪/২০২১

প্রতীক্ষিত সময়

করোনায় মৃত্যুর দীর্ঘ মিছিল
চারদিকে লাশ আর লাশ,
স্বজনের করুণ আহাজারিতে,
মেতে ওঠেছে ঐ শ্মশান, কবরস্থান।

ঐ সাদা, কালো চামড়ার মানুষেরা আজ,
নিঃস্ব হয়ে বিষাদ মনে তবুও বসে নেই,
সদা ব্যস্ততা প্রতিষেধকের অনুসন্ধানে,
কিভাবে মহামারী পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করা যায়।
সেই প্রতীক্ষা একটু নিস্তার পাওয়ার জন্য।

লকডাউনের বন্দী জীবন, প্রতীক্ষিত সময়,
কখন হবে উন্মুক্ত সব, কখন হবে সব স্বাভাবিক।
শুধু সেই সময়ের প্রতীক্ষা।

বসুমতীর সকল জিনিস আজও উল্টো,
নেই মানুষের সাথে মানুষ আলিঙ্গন,
নেই কোনো মনের অভিলাষে মুক্ত জীবন।
মুক্ত জীবন আজ সময়ের প্রতীক্ষা।
শুধু সময়ের প্রতীক্ষা।

রচনাকালঃ
১৪/০৪/২০২১

আরেক ফাল্গুনে জন্ম নিব

মাগো আমি তোমাকেই বলছি
আরেক ফাল্গুনে পল্লবঘন বৃক্ষের ছায়া,
হরিৎ দূর্বাঘাস হয়ে জন্ম নিব বাংলার পথ প্রান্তে।
ঐ বিহগের হর্ষের গান হয়ে জন্ম নিব,
মানব মনের উদাসীনতা দূর করে,
আত্ম তৃপ্তি দেবার জন্য ।
শস্যদেবীর বর নিয়ে নতুন রূপে জন্ম নিব,
সুজলা সুফলা সবুজ শ্যামলা সোনার ফসলের ক্ষেতে।
স্বপ্নবিহীন ছোকরার নতুন স্বপ্নের অঙ্কুরোদগম হয়ে জন্ম নিব,
স্বপ্নবিহীন ছোকরার আঁখিতে।
আমি মেঘাচ্ছন্ন দিনে গগনটাতে জন্ম নিব,
উজ্জ্বল তারকারাজি হয়ে ।
আমি ক্লান্ত দুপুরে কৃষাণীর পায়ের ঘুঙুর হয়ে বাজব,
ঐ ফাল্গুন মাসের প্রথম প্রহরে।

রচনাকালঃ
২৯/০৪/২০২১

আমি সেই পর্ব -৩

ei-samay

আমি প্রেমিকের হাতের ভগ্ন পৃষ্ঠার সেই ডায়েরিটা,
যেথায় আছে প্রেম বিরহের কষ্টের কথা,
তার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা রোমান্টিকতা।

আমি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের,
স্বজন হারানোর জর্জরিত বেদনার সেই দৃশ্যটা।
আমি প্যালেস্টাইনের আমজনতার দীর্ঘশ্বাস,
ইজ্জত কেড়ে নেওয়া বোনের সেই আত্মা চিৎকারটা।

আমি ঐ নীল আকাশের সুধাকরের
সেই রাতের আলোটা,
যা চির অম্লান হয়ে রবে,
অন্ধকারের দুর্দিনের যাত্রীর সেই দৃশ্যটা।

আমি দুর্ভিক্ষের ক্ষুধার্ত তৃষ্ণা কঙ্কালের,
সেই বুভুক্ষা কায়াটা।
আমি ধেনুর সেই শাদ্বল দূর্বাঘাসটা,
যা তার কাছে অতি অতুলনীয় খাদ্য।

রচনাকালঃ
০৪/০৫/২০২১

সূচয়না

সূচয়না, তুমি কি জানো কতদিন দেখিনি তোমায়,
হয়তো জানো না, আর জানতেও তুমি চাওনা।
জানে ঐ নদী নক্ষত্রের দেশের, নীল আকাশের নক্ষত্রগুলো।
আরও জানে ঐ অমাবস্যার রাতে বিস্তর জোনাকি।

সূচয়না, তুমি বিহীন এ আমার জীবন স্পন্দনহীন,
তোমার পরশ পেলে আমার এই নিথর দেহে প্রাণ ,
স্পন্দনে স্পন্দিত হয়,
তোমাকে বিহীন আজ আমার হৃদয়, বিধস্ত ট্রয়নগরীর মতো।

তোমার কথা মনে পড়লে প্যালেস্টাইনের শোকার্ত জননীর মতো,
চিৎকার করে কাঁদত আমার ইচ্ছে করে।
সূচয়না, তুমি হয়ো না কো পাষাণী,
পত্র ঝরা বৃক্ষের নিচের বিদীর্ণ প্রহরে একটু দেখা দিয়ো।

সূচয়না, তুমি হয়ো না কো হৃদয়হীনা,
তাহলে আমি হয়ে যাব ঐ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মতো,বাস্তুচ্যুত।
সূচয়না, তুমি আমারে ফেরারি জীবন দিয়ো না,
আমি তোমায় নিয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পারি দেব,
এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিলাষ ।

রচনাকালঃ
১২/০৪/২০২১

আমি বাস করি

যেথায় স্নিগ্ধ ভোরে করে
পাখি ডাকাডাকি,
সেই নীল কমল দীঘির ধারে
আমি নিত্য থাকি।

যেথায় আছে অজস্র বৃক্ষের
মনোরম শীতল ছায়া,
সেথায় লেগে আছে আমার
শৈশব কৈশোরের মায়া।

যেথাকার মানুষের অন্তরে আছে
একে অপরের জন্য ভালোবাসা,
সেথায় আমি থাকতে চাই
জীবনের শেষ আশা।

অভিমান

বসন্তের আগমনে পত্র ঝরা বৃক্ষের
নিচের আমি সেই বিদীর্ণ প্রহরে তোমায়,
পুষ্পরিত ভালোবাসা নিবেন করেছিলাম,
তুমি তো আমাকে শিখিয়েছিল প্রেয়সী,
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কাকে বলে,
সত্যি তুমিই শিখিয়েছিল,ওগো প্রেয়সী।

আজ বসন্তের আগমনে কোকিল গায়
চারদিকে পত্র শূন্যে বৃক্ষের শাখে পুষ্পশোভা পেয়েছে ,
সেই আনন্দ ঘন মূহুর্তে
শুধু তুমি নেই, গো প্রেয়সী,
শুধু তুমি নেই।
সামান্য আবদার না পূরণ করায় আমার তোমার
সম্পর্কে ফাটল ধরেছে ,
তুমি তো আমাকে শিখিয়েছিলে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,
সেই তুমি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে,
সামান্য স্বার্থের জন্য অভিমান করে চলে গেলে
জানি না কেন তোমার এত অভিমান,
কিসের জন্য আমায় ত্যাগ করলে
সত্যি আমি জানি না ।
আমার ভালোবাসা কি তোমার কাছে ছিল
স্বার্থ আদায়ের উৎকৃষ্ট মাধ্যম,
নাকি তুমি মুখোশ পরেছিল,
আজ আমার সত্যি জানতে বড় ইচ্ছে করে
ওগো প্রেয়সী।
জানি তোমার অভিমান শেষ হবার নয়,
কারণ তুমি তো স্বার্থপর ,প্রেয়সী।
আমার কোনো অভিমান অভিমত নেই,
চাইলে আসতে পারো,
তা তোমার ইচ্ছে।

রচনাকালঃ
০১/০৩/২০২১

স্বাধীনতার স্বাদ

অন্ধকার ভেদ করে পূব আকাশে উদিত হয়
মুক্ত দিনমণি, মুক্ত পথ পেয়ে,
আলো দেয় সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে।

মুক্ত গগন পেয়ে বিহগ মেলে পাখা,
নেই কো কোনো ভয়,
স্বাধীনতার স্বাদে আনন্দে আনন্দে
গেয়ে যায় গান দিনের পর দিন।

মুক্ত স্রোতস্বিনী পেয়ে মাঝি যায়, স্বাধীনতার স্বাদে
মনের অভিলাষে গান গেয়ে,
অসুর দৈত্যাের নেই কো কোনো ভয়।

যা আসলে যে খাইনি সে কি বুঝবে তার স্বাদ,
যে খেয়েছে তাকে জিজ্ঞেস কর,
আসলে তা কি বিস্বাদ ।

যে পরাধীন সে কি বুঝবে স্বাধীনতার স্বাদ,
যে স্বাধীন তাকে জিজ্ঞেস কর না ,
স্বাধীনতা কি স্বাদ?

রচনাকালঃ
২৩/০৩/২০২০

ভালোবাসার আরেক নাম স্বপ্ন

ওগো প্রেয়সী,
ভালোবেসে সৃষ্টিকর্তা সৃজিয়েছে এই ধরা।
ভালোবেসে কবি লেখে কবিতা,
শিল্প আঁকেন কত শত ছবি।
যেদিন তোমার হাত আমি ধরেছি
সেইদিন থেকে আমি খুঁজে পেয়েছি অজস্র স্বপ্ন
তোমার স্পর্শ আমার হৃদয়ে সুপ্ত স্বপ্নগুলো
আজ জাগ্রত হয়েছিল।
আমি তোমায় কেন প্রপোজ করেছিলাম জানো,
কারণ আমি তো তোমার চোখে রঙিন স্বপ্ন দেখেছিলাম,
তুমি ছিলে স্বাপ্নিক বলে আমি তোমায় ভালোবেসে ছিলাম।
আমি জানি ভালোবাসার আরেক নাম স্বপ্ন।

রচনাকালঃ
১৪/০২/২০২১

আলিঙ্গন

দৃপ্ত প্রহরে পল্লবঘন বাসন্তী লতার নিচে,
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, প্রিয়জনে একটু আলিঙ্গনের জন্য।
কখন আসবে সেই কাঙ্ক্ষিত প্রিয়জন,
মনের মাধুর্য মিশিয়ে কখন করবে আলিঙ্গন,
শুধু সেই প্রতীক্ষা।

কত জন এলো গেল এই পদ্ম দীঘির ধারে,
আর কত জনই বা আসবে,
ঐ পদ্ম দীঘির জলের ধারে দাঁড়িয়ে থেকে
আলিঙ্গনের অপেক্ষায় বিরহ অনলে বুকে নিয়ে
আর কত জনই বা হাসবে,
শুধু সেই প্রতীক্ষা, একটু আলিঙ্গনের জন্য।
বিরহ অনলে পুড়ছে কচি কাঁচার অজস্র মন,
প্রিয়জনের সাথে দেখা আর একটু আলিঙ্গন,
প্রশমিত করতে পারে সেই বিরহ ব্যথা।

রচনাকালঃ
১৭/০৪/২০২১