অস্তাচলে কৃষ্ণ রেখা
জানায় রাতের গড়ি।
খেয়া পারে ব্যস্ত যাত্রীরা
গুটায়ে পসার পাত তাড়ি।
প্রহরে প্রহরে গড়ছে পট
জানা অজানার পটে।
ক’জনই বা খবর রাখে
সৃষ্টির কোথায় কি ঘটে।
আকাশ সাজে বাহারি সাজে
বসায় চাঁদের ঘাট।
মনের মুকুরের লালিত স্বপ্ন
বসায় সওদার হাট।
কেউবা সাজায় সুখের বাসর
সানাইয়ের সুরে।
কেউবা নিরবেই ঝরে যায়
বিউগলের সুরে।
কেউবা জানায় আগামনী বাতা
কান্নার রোলে।
কেউবা পায় অশনি সংকেত
হুঙ্কারের বোলে।
প্রহর গড়ায়, নিকশ নিরব
থম থমে চারিধার।
অশরীরা ও যেনো সেই হুজুগে
ছেয়ে যায় পারাবার।
রাতের প্রহর কাটেনা তখন
হৃদয় ভাঙ্গার জোয়ার।
ভাটির টানে হারাবে কোথায়
নিলিপ্ত হাহাকার।
কৃষ্ণ গহ্বর পাড়ী দেয়া
এক কঠিন সংগ্রাম।
তবু ও পাড়ি জমায় রাতের প্রহর
অবলীলায় নিত্য জীবন সংগ্রাম।
ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট
সাহায্য চাই
মন্তব্য করতে গেলে ব্রাউজারের ব্যাক বাটন এ প্রেস করতে বলে।
কিন্তু বাটন খুঁজে পাই নাই। সাহায্য চাই প্লিজ।
সঞ্চালকের উত্তর আপনার এই পোস্টে দেয়া হলো।
সম্প্রতি কমেন্ট ব্লক ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্লগকে সুরক্ষিত রাখতে ব্লগ ডেভলপার পরীক্ষামূলক ভাবে একটি পন্থা যোগ করে দিয়েছেন। সেটা হচ্ছে ক্যাপচা সলভ।
প্রথমে আপনি আপনার মন্তব্য ঘরে … হোক সেটা মন্তব্য অথবা প্রতি-মন্তব্য
মন্তব্য লিখুন। লিখা শেষে ক্যাপচা ঘরের বৃত্তে I’m not a robot ক্লিক করুন।
ইমেজ আসবে এবং কি নির্বাচন করতে হবে তার ইঙ্গিত থাকবে।
একই বিষয়ের ৩টি ছবিতে নির্বাচন করে দিন। দেখবেন টিক্ চিহ্ন আসবে।
এবার আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন বাটনে ক্লিক করলেই প্রকাশ পাবে।
এটা আপনার পিসি বা মোবাইল যে কোন ডিভাইস থেকে সম্ভব।
শক্তি না শান্তি
আরবের কালো মানিক, গরিবের ঘরে সুন্দরী বউ
উড়ে এসে জুড়ে বসেছে সাদারা, পিছনে রয়েছে ইহুদি ফেউ।
কারণে অকারণে খুনসুটি করে, জড়িয়ে নানা ছলনায়
বলার আগেই সন্ত্রাসের তোহমত, তোলে নানা বাহানায়।
মরুর বুকের তরল সোনা, যে করেই হোক পাওয়া চাই
আপসে হলে ভাল,না হলে B-52 দিয়ে কার্পেট বোনা চাই।
যুদ্ধবাজরা রক্তের নেশায়, হিতাহিত জ্ঞান লুপ্ত
মরিয়া হয়ে নিরীহ জনগন, নিধনে হয়েছে লিপ্ত।
মোল্লা, সাহেবের দর কষাকষিতে, বিশ্বে এল কাল মেঘ ঘনিয়ে
টাই পাগড়ির দড়ি টানা টানিতে, বিশ্ব উঠেছে হাঁপিয়ে।
টানা টানিতে খুলে পড়ে (পাগড়ির)প্যাঁচ, বন্দি হয় সব মার প্যাঁচে
টাইয়ের নট আরও আঁট হয়, আরও যায় ফেঁসে।
মোল্লার হাতে আছে বড় জোর ছোরা, মিস্টারের হাতে ছররা
বোমা ফেলে মিস্টার মারে শত শত, মোল্লা মারে সেথায় দোররা।
আসম যুদ্ধর বহু খেসারত, গুনতে হয়েছে মানবে
এত হিংস্রতা কস্মিনকালে, যায়নি শোনাও পাষবে।
ধর্মের নামে পুরোহিতরা, যুগে যুগে চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ
ক্ষমতার লোভে শক্তিধররা, দেশে দেশে চালায় ধ্বংসযজ্ঞ।
মুক্তির বানী আর পেশীর শক্তি, কভু এক কথা নয়
শান্তির দূত নিয়ে আসে পয়গাম, না হলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়।
বিনা অস্ত্রই নমরুদ, ফেরাউন, শাদ্দাদ হয়েছে ধুলিসাৎ
চাঁদ, সুরুজ আজও জেগে আছে আল্লাহর হুকুমে তাবৎ।
চাঁদ জাগা পথে
নীল গগনে দ্বাদশী চাঁদ হাসে চাঁদনী আভায়।
লুকোচুরি খেলে মেঘ সেই জোসনায়।
জোনাকীরা আলো জ্বালে মিতালী পাতায়।
চাঁদের হাটে চাঁদের বুড়ির গল্প দাদু জমায়।
হাতছানিতে ডাকে চাঁদ পথের সীমায়।
দুখু মিয়া
দরিরাম পুরের দুখু মিয়া পারেনি দমিতে।
দুঃখিদের নিপিড়ন পারেনি সহিতে।
সামাজিক বিভেদের সংগ্রামী সৈনিক।
জাতীয় চেতনায় নির্ভয় নির্ভিক।
ক্ষুরধার লেখনি তার শানিত অস্ত্র।
সাবলিল ভাষা তার ঐন্দ্রজালিক মন্ত্র।
কাব্যের ঝংকারে দূর্বিনতদের করেছেন শত কষাঘাত।
শ্রাদ্ধ্ করেছেন রূপকের ছলে করেছেন পদাঘাত।
গেয়েছেন সাম্যের গান হয়ে মহিয়ান।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে হয়ে বলিয়ান।
গানে গানে উজ্জীবিত করেছেন নির্জীব জাতিকে বিজয় মন্ত্রে।
জুজুর ভয় পেরিয়ে উদ্বেলিত করেছেন অভয় মন্ত্রে।
দূর্জয় দুর্বার কাজি নজরুল অমর রবে কোটি কোটি প্রানে।
আমার অকুন্ঠ সন্মান বিপ্লবী বিদ্রোহী জাতীয় কবির প্রয়ানদিনে।
কাক কাসুন্দি
গ্রীষ্মের খরতাপে তৃষিত কাক করছে কা কা
তৃষ্ণার জল কোথায় মেলে চারিদিক খাঁ খাঁ।
কাকেরা নাকি কর্কশ প্রাণি ভাব নেই কারো সনে
কোকিলের সাথে সদাই আড়ি বিরোধ মনে প্রাণে।
স্বজাতির তরে অন্তঃপ্রাণ নেই কোন জুড়ি
এক ডাকেই জড়ো হয় আসে সদলবলে উড়ি।
কা কা স্বরে সরব করে মাতিয়ে তোলে প্রান্তর
শত্রুরা সব ভয়েই মরে কাঁপিয়ে দেয় অন্তর।
নারিকেল গাছের মাথার ফাঁকে কাকে বানায় বাসা
লোহালক্কড় মিশেল দিয়ে কারিগরী খাসা।
ঝড়ে উড়ে যায়না বাসা থাকে ছানা সমেত
মায়ের বুকে লুকায় ছানা নিরাপদ নিশ্চিত।
কাক ছানারা বড়ই হুশিয়ার বিপদ এড়াতে
খানিক দূরে পিতা মাতা থাকে নজরদারিতে।
বাসার কাছে এলেই কেউ খবর আছে তার
ঠোকর বলে কাকে রক্ষা নেই আর।
চুরি করা কাকের স্বভাব মিলে সিডির ও সন্ধান
চোখ বুজে সব লুকিয়ে রাখে পরে খুজে খুজে হয়রান।
চুপি চুপি শোন এক গল্প বলি কাকের
আমার সাথে ভাব হয়েছে দুষ্ট দুটি কাকের।
কোথায় যেনো লুকিয়ে থাকে দেখতে না পাই পাছে
যেইনা আমি ছাদে আসি উড়ে আসে কাছে।
খাবার দিলে তর সয়না হাত থেকেই খায়
বিশ্বাস দেখেও বিস্মিত হই ছবিতে দেখ তায়।
রূপালী ইলিশ
রূপে অপরূপ
রূপালী ইলিশ
রূপের মহিমায় তুলনা হীন।
রসনার বিলাশি
নানান রেসিপি
স্বাদে আর ঘ্রানে অপ্রতিম।
ভাদ্রের স্রোতে
ছন্দে আনন্দে
ক্রোস পরিক্রমায় ক্লান্তি বিহীন
যোজন যোজনে
আশায় পাড়িজমায়
মোহনার টানে বিরাম হীন।
সে যে আমার
জাতীয় মাছ
রূপালী ইলিশ রসনায় বিলীন ।
অন লাইন প্রেম অফ লাইন ম্যাসেজ
তিলাত তিজান সম্পর্কে কাজিন বলতে গেলে একসাথে বড় হয়েছে। সমবয়সী, সব কিছু শেয়ার করে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরো বেশি অন্তরঙ্গ ও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, স্কুল পেরিয়ে কলেজ জীবনেও। ওরা প্রায়ই প্লানচ্যাট করতো। একদিন প্লানচ্যাট করার সময় তিজান প্রশ্ন করলো তিলাতের হবুর নাম কি হবে। প্লানচ্যাট এ উত্তর এল শাওন। তিলাত পাত্তাই দিলোনা। দিন যায় কলেজ পেরিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয় তিলাত।
শাওন বলে এক পাড়াতো ভাই ছিলো ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে, ওর একটি এ্যলসিশিয়ান পাপ্পী ছিল রোজ বিকেলে সেটিকে নিয়ে ঘুরতে বেরুতো, এক্সসারসাইজ করাতো। তিলাতদের ব্যালকনি থেকে দেখা যেতো। মাঝে মাঝে ওরা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ওদের কসরৎ দেখতো এ পর্যন্তই। তারপর শাওন একদিন পাড়ি জমায় কানাডায় উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে।
একদিন ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে নীলক্ষেতের বইয়ের দোকানে বই খুঁজছিলো তিলাত। কাকতালীয় ভাবে সেখানে দেখা হয়ে যায় শাওনের সাথে। এগিয়ে এসে চিনেছি এমন একটা হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো কি করছো, কেমন আছো? কুশলাদি বিনিময়ের পর দোকানে দোকানে বই দেখার ফাঁকে ফাঁকে কথা হয়, কথায় কথায় শাওন বললো ও ওর সোফোমোর ইয়ারের ফাইনাল সেমিস্টার এক্সাম দিয়ে সামারে বেড়াতে এসেছে। তিলাত ও জানায় ঢাকা ভার্সিটিতে ফিনান্সে ফাস্ট সেমিস্টারে পড়ছে সে। শাওন কিছু একটা বলতে গিয়েও বলতে পারেনা ফোন নম্বর নিতেও ভুলে যায়। বাসে উঠতে উঠতে বললো কাল বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এসো। তিলাত ভালো নাচতে পারতো, বটমূলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নেচেছে কয়েকবার। তিলাত শাওনের না বলা কথার মর্মোদ্ধারের চেষ্টা করে, বাকিটা তিজানের মতামতের উপর ছেড়ে দিলো। তিজান তো মহা খুশী প্লানচ্যাটের ভবিষৎ বানী ফলতে চলেছে। আইডিয়া তিজানেরই ছিলো তাই, আর যায় কোথা, বকবকানি আর তোড়ে জোড়ো তিলাতের কান ঝালা পালা করে তুললো, তোকে কিছু করতে হবেনা আমি সব ঠিক করে দিবো। তিজান আজও প্লানচ্যাটের বায়না ধরলো, অগত্যা তিলাত কে রাজি হতে হলো। এইবার তিজান প্রশ্ন করলো পহেলা বৈশাখে তিলাত কেমন সাজবে? কয়েকবার জিজ্ঞেস করলে উত্তর এলো ছড়ার আকারে…..
তা হলো…
অঙ্গ সাজিয়ো তব, বাসন্তি শাড়ীতে।
কপালে লাল তিলক, কাজল আঁখিতে।
শ্বেত শুভ্র বেলী, দিও খোঁপাতে।
রিনি ঝিনি সোনালী কাঁকনে, সাজিও তিলাতে।।
তিজান পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য দ্বিগুন উৎসাহে কাজে লেগে গেলো। পহেলা বৈশাখের আগের রাতে তিলাতদের বাসায় থেকে যায় তিজান। সকাল হতেই সাজানোর পর্বটা তিজান ঠিক করে দেয়। সেজে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই নিজেকে নতুন মানুষ মনে হয় তিলাতের। তিজান বলে দারুন ! আমি ছেলে হলে কারুর চোখ পড়তে দিতাম না। মার কাছ থেকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছি বলে দুজন একসাথে ঘর থেকে বের হয়। রবীন্দ্র সরোবরের কাছে আসতেই তিজান তিলাতকে বাই বলে চলে যায় পিয়ালের কাছে। ভয় শঙ্কা দূর হলোনা তিলাতের। কি শুনবে, কি বলবে, আসলেই দেখা হবে কি? রাজ্যের প্রশ্ন মাথায় ভীড় করে। এক সময় পৌছে যায় রমনার বটমূলে হাজার মানুষের ভীড়ে। এদিক ওদিক কোনদিকে খুঁজে না পেয়ে ড্রিংসের দোকান থেকে এক বোতল পানি কিনে ছায়ায় এসে দাঁড়ালো। কি প্রচন্ড গরম! বাদাম ওয়ালা এসে জিজ্ঞেস করলো বাদাম লইবেন আপা? আচ্ছা দাও বলে ৫ টাকার বাদাম কিনলো তিলাত।
অপেক্ষার সময় যেনো কাটেনা কি করবে ভেবে পাচ্ছিলনা। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে উঠে যাচ্ছিল পথে দেখা হয় তরু আপার সাথে ওর নাচের ইন্সট্রাকটর। কি খবর, কেমন আছো ? চল একটু চা খেয়ে আসি। সেই সকালে এসেছি পেটে কিছু পড়েনি। ফাস্ট ফুডের দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল শাওন। ফলো করলো শাওন। তরু আপা জিজ্ঞেস করলো নাচ কি ছেড়ে দিয়েছো? না, ঠিক সময় দিতে পারছিনা, পড়ার চাপ, টেস্ট, টিউটোরিয়াল সেরে সময় করে উঠতে পারিনা। তবে ইচ্ছা আছে চালিয়ে নেবার। তরু আপার কাছ থেকে বিদায় নেবে এমন সময় উদগ্রীব অপেক্ষার অবসান হলো।
শাওনও চাইলো দুজনার মধ্যে না ঢুকাই ভালো। তাই অপেক্ষা করেই ছিলো। বেরিয়ে আসতে আসতে বারোটার কাটা ছুঁই ছুঁই। তিলাত একটু অভিমানের সুরেই বললো এভাবে কেউ কাউকে আসতে বলে? এত মানুষের ভীড়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়? আমি আর একটু হলেই বাড়ি ফিরে যেতাম। শাওন আমতা আমতা করে সরি বললো,আমি কিন্তু খুঁজছিলাম, এতটুকু তপস্যা ভঙ্গ হয়নি। চল ওখানটায় বসি বড্ড তেষ্টা পেয়েছে। শাওন বললো কিছু নিয়ে আসি। তিলাত তাড়াতাড়ি পানির বোতলটা বের করে দেয় সাথে বাদামও। বাদাম খেতে খেতে কিছুক্ষণ গল্প করলো। এক সময় শাওন বললো, ক্ষিদে পেয়েছে, চলো, পান্তা ইলিশ খেয়ে আসি।
তিলাত বললো আচ্ছা চলো যাই, চারিদিকে কোলাহল গুঞ্জন। সবাই যেনো অন্যরকম অনুভূতিতে জেগে উঠেছে। বাংলার স্বপ্নে যেন মেতে উঠেছে। খাওয়া শেষ হতে না হতেই দমকা বাতাস সেই সাথে বৃষ্টি নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পথে পরিপাটি সাজ ভিজে চুপসে গেলো। তিলাত বিরক্ত ভরে বললো বৃষ্টি আসার আর সময় পেলো না। শাওন বললো বেশতো ভালো লাগছে, এই কয়দিন যা ভ্যাপসা গরম পড়েছে, গাছের পাতাগুলি চেনাই যাচ্ছিল না। অন্তত ধুয়ে পরিষ্কার হয়েছে। সব কিছু প্রাকৃতিক। বৃষ্টি ছাড়া কি সৃষ্টি হয়? তিলাত আঁচলে মুখ মুছতে যাবে, এসময় শাওন বললো দারুণ লাগছে, দাঁড়াও আজকের ক্ষণটা ফ্রেমে বন্দি করে রাখি। মেলার কোলাহল ছেড়ে হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে আসলো। তিলাতকে বাড়ি পৌছে দিলো শাওন। পরের সপ্তাহেই শাওন কানাডায় ফিরে যায়।
এর পর দিন গোনা, ফেইসবুকে কথা হয়। নেটের বদান্যতায় কথা হয়, ছবি বিনিময় হয়। শাওন জানালো যে, আগামী স্প্রিং এ ওর ব্যাচেলর প্রোগ্রাম কমপ্লিট হবে। এরপর বাড়ি ফেরার পালা। সেবার দেখা হয়েছিলো বৈশাখে এবার দেখা হবে বর্ষাতে। এইবার বৃষ্টিতে ভিজবো নৌকায় চড়বো মনে থাকে যেনো। আগামী ফলে মাস্টার্স এ এডমিশন নেওয়ার আগেই মিস্টার আর মিসেস হওয়ার চিন্তা থাকলো। তুমি যে কিছুই বলছো না? তাহলে কি সব দায় আমার? একটা কিছুতো বলো। তিলাত বললো, আমি আর কি বলবো। আমি তোমার কথা ভাবতেই আনমনা হয়ে যাই। আমি তোমার আজকের মনটি খুঁজবো সারাজীবন গাছ তলা থেকে চাঁদ তলা পর্যন্ত যেখানেই থাকো না কেনো। সেটাই হবে আমার অভয়ারণ্য। বাইরে বৃষ্টি দমকা বাতাস জানালা দিয়ে ভেজা ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকছে। আকাশের চাঁদ একটু উঁকি দিয়েই গভীর আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আজ আমার লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে, কিন্তু কি লিখবো কিছুই ঠিক করতে পারছিনা। নেটের লাইন ভালো না, ভিষণ স্লো। আজ আর কথা বলা হলো না। কিছুক্ষণ জানালায় দাড়িয়ে থাকে, বৃষ্টি ভেজা রাতের আকাশ দেখে। চাঁদের উঁকি ঝুঁকি দেখে মনে হয় চাঁদ যেনো কিছু বলতে চায়।
এরপর বিছানায় যায়, অনেক রাত তবুও ঘুম আসেনা। ভাবতে থাকে নানা কথা। প্রকৃতি কত বিচিত্র, বিচিত্র মন। স্যাটেলাইটের যুগ এখন বিচিত্র কত কি। ভাবতে ভাবতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে তিলাত। স্বপ্ন দেখে কবিতা লিখছে চাঁদকে নিয়ে। শুনবে শাওন কবিতাটি? কবিতাটি আমি তোমাকেই উৎসর্গ করলাম………..
অফলাইন ম্যাসেজ
আকাশের দোর খুলে চাঁদ হেসে বলে,
Hi মর্ত্য বাসীরা, আছো কি হালে।
উঁকি দিয়ে প্রতিদিন দেখি তোমাদের,
নদী নালা সয়লাব ঢেউ জোয়ারের।
মেঘেরা মাঝে মাঝে চোখে আটেঁ ঠুশি,
Then I got a dc।
রবি দার সাথে আছে বড় লেন দেন।
CPUর মতো তিনি নির্দেশনা দেন।
হামা দিয়ে এগোই পথ পাড়ি দেই,
Key board হাতড়াই surf করে যাই।
মাঝ রাতে সাধ হয় যদি পাই chance।
Log in হয়ে যায় যদি by chance।
ঝম ঝম বুষ্টি, বজ্রের হুঙ্কার,
অকেজো অসার Net Server।
সুবহে সাদেক্বের সময়, উতলা হয়ে যাই।
I ve to go good bye।
বর্ষার কালো মুখ ঢাকা ভারি নেকাবে।
আজ কথা না হলেও সহসাই হবে।
অচিরেই কাটবে মেঘ, don’t mind my dear।
Bye, and take care।
নাড়ীর বাঁধনে যুক্ত গাঁথাসুতো বিনে।
চাও যদি খুঁজে পাবে Recycle Bin এ।
ভালবাসা
ভালোবাসা এক তার হীন ঝংকার
হৃদয়ের তন্ত্রিতে।
ভালোবাসা রেডসেলের অক্সিজেন
প্রবাহমান ধমনীতে।
ভালোবাসা দক্ষিনা বাতাস
বাতায়ন খুলে রাখে।
ভালোবাসা সুরোভিত গোলাপ
কাছে পেতে ইচ্ছা করে।
ভালোবাসা অজেয় কে জয় করার
এক বুক আশ্বাস।
ভালোবাসা দ্বিগ্বীজয়ীর
উদ্দাম উচ্ছাস।
ভালোবাসা সাগর পাড়ের
উন্মুক্ত প্রান্তর।
ভালোবাসা ছড়িয়ে যায়
পাহাড় নদী গিরী কান্তার।
ভালোবাসা পুবালী বাতাস
উড়িয়ে নিয়ে যায় তেপান্তরে
ভালোবাসা মানেনা জাত
মন ছুটে যায় দেশান্তরে।
********
ভালোবাসা কখনো নীল
ধরায় নীল নেশা।
ভালোবাসা কখনো হতাশায় ঘিরে
হারায় পথের দিশা।
ভালোবাসা কখনো রক্ত গোলাপ
কাঁটা বিধেঁ রক্ত ঝরায়
ভালোবাসা উত্তরী হাওয়া
হাড়ে কাঁপন ধরায়।
ভালোবাসা কেড়ে নেয় সুপ্তি
অনিদ্রার আক্রমন।
ভালোবাসা বিষন্নতায় ঘিরে
মনোবিকারের আগ্রাসন ।
ভালোবাসা কখনো কেড়ে নেয়
কপালের ফুল চন্দন।
ভালোবাসা কখনো অকালেই কেড়ে নেয়
বাহাত্তরি স্পন্দন।
স্মরণে
আজও শ্রাবনের আকাশ কাঁঁদে,
ঢাকে শোকের ছায়ায়।
তোমার স্মরণে কাঁদে বাংলা
আছো প্রাণের মায়ায়।
ভুলি নাই তোমাকে
ভুলবোনা কোনোদিন।
বাংলার আকাশে জ্বলবে
জ্বল জ্বলে চিরদিন।
যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী বহমান
ততোদিন রবে কীতি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
আয়োজন
অপরাজিতার শুভেচ্ছা
ঈদুল আজহা
ঈদুল আযহা আনলো বয়ে
ত্যাগরই সাক্ষ্যর।
ইব্রাহীম(আ) মহান ত্যাগে
হয়ে আছেন ভাস্বর।
আল্লাহর আদেশ পেয়েছিলেন
প্রিয় বস্তু ত্যাগে।
একনিষ্ট ছিলেন তারা
আদেশ পালনের মহান ব্রতে।
চোখ বেধে ছুরি চালান
পৌছে যান অভিষ্ঠে।
আল্লাহ বলেন হয়েছে বন্ধু
ধন্য হও আমার সন্তুষ্টে।
ইসমাইলের(আ) বদলে
কোরবানী হয়েছে বেহেস্তি দুম্বা।
সারা জাহানে পালন করছে
মুসলিম উম্মাহ।
প্রতি নামাজে তার তরে
দরুদ পড়া হয়।
মুসলিমের জীবন সেই আদর্শে
যেন গড়া হয়।
ঈদ মুবারক
আযান
আযান।
youtube.com/watch?v=RFxRp5quUqQ
বাদলা দুপুর
রুম ঝুমা ঝুম বৃষ্টি ঝরে
নুপূর তালে টিনের চালে।
বৃষ্টি পড়ে দীঘির জলে
টাপুর টুপুর ছন্দতালে।
বাদলা হাওয়া শাখায় শাখায়
আন্দোলিত হরষে।
শাপলা শালুক হাসছে বিলে
ঢেউ এর পরশে।
নতুন পানিতে কৈ মাছেরা
বিহারে পাল তোলে।
নতুন সাজে টেংরা পুঁটি
নাচছে পুচ্ছ তুলে।
ডাহুক পানকৌড়ি কচুরি পানায়
সুরের খেয়া তুলে।
কাক ভেজা পাখিরা সব
করুণ সুর তোলে।
বৃষ্টি ঝরে কচু বনে
কুচ পরোয়া নাই।
ব্যাঙ বাবাজী নাইছে জলে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ভাই।
ভোগে না ত্যাগে
ছাগল গরুকে বলে
এই শোন দাদারে।
আকাশেতে জেগে উঠা
দেখ ঐ চাঁদারে।
চাঁদ যেনো নয় সে
গলা কাটা ছুরি যে।
ত্যাগে নয় ভোগে সব
উবে যাবে প্রাণ যে।
শানদার শান দেয়
দা বটি ছুরিতে।
মুগুরের সারি দেখ
তেতুলের গুডিতে।
বেপারির তোড়জোড়
গলেতে মালা মোর।
চাঁদাবাজের চালে বাড়ে
হিসাবের ঘোর।
ক্রেতা দেখে বেপারি
হাঁকে মোর দামটা।
দেখে শুনে বেছে নিন
খাসা হবে মালটা।
চপ, চাপ. কোল্ডমিট
কাবাব, গ্রীল।
বিরিয়ানি, রেজালা, রোষ্ট
খেয়ে হবে থ্রিল।
দড়ি ধরে হেটে চলে
মালদার সুদ খোর।
তার হাতে যাবে শেষে
অকালে জান টা মোর।
পথচারী যাচে তারে
কততে কিনেছ তাকে।
ঘুসের হাসিতে বলে
হাযারে নয় কিনেছি লাখে।
ব্যাপারখানা ঠিক যেনো
পাল্লা দেওয়ার মত।
কখনো ভাবনা হয়
হলো কি আদেশ মত?
তপ্ত পদে বাহন পেতে
ত্যাগের মহিমা চাই।
নাহলে হাশরে বোঝা
পিঠেতে চড়িবে ভাই।