ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট

খানায়ে ক্বাবা

জন মানব শ‍ুন্য মর‍ু প্রান্তরে বানিয়েছেন কা’বা হযরত ইব্রাহীম।
আদেশ করেছিলেন আ‍ল্লাহ রহমানু‍র রহীম।
আজান দিয়েছেন অনাগত মানুষকে আ‍ল্ল‍াহর ঘর জিয়ারতে।
দে‍খিয়েছেন পথ একাত্ববাদের ধ্যানে জ্ঞানে ফিতরতে।

ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে হজ্ব উত্তম এবাদত।
ইসলামের অমীয় বানী শোনাতে বিশ্ব ভাতৃত্ব রক্ষার্থেই এই জমায়েত।
রাসুল সঃ বিদায় হজ্বে পূরণ করেছেন দ্বীনের সব হুকুম আহকাম।
নিষ্ঠার সাথে পালন করলে, হবে সে সফলকাম।
সেলাই বিহীন কাপড় পরে হাজিরা আ‍ল্লাহর ধ্যানে মশগুল।
পরিবার পরিজনে‍র কথা ভুলে গিয়ে বিলকুল।
মনে হয় যেন কেয়ামতের মাঠে অগনিত মানব ঢল।
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গি‍য়ে আমীর ফকির সব আজ এক দল।
বিগলিত হৃদয়ে তোয়াফ করে আ‍ল্লাহকে পাবার মানসে।
পৌছাতে চায় মনে‍র আর্জি আ‍‍ল্লাহর আরশে।
মিনা আরাফার গগন ভেদে বলে হাজিরা ‍লাব্বায়েক।
মাফ কর ‍হে মালিক আমি না লায়েক।
হযরে আ‍সওয়াদে চুমু খেয়ে সাফা মারা‍ওয়া সাঈ করে।
আবে জমজমে তৃষ্না ‍মি‍টিয়ে কায়মনে দোয়া করে তেষ্টা‍ মেটাও হাউজে কাউসারে।
ইব্রাহীমের সুন্নত কোরবানী করে সেই সাথে নিজের নফসে‍র পশুকে।
শয়তানে ঢিল মেরে মাফ চায় খোদা দ্রোহিতার প্ররোচনা থেকে।
এই‍ সেই হজ্ব, আদর্শ ছিলেন পরিবার সহ (হঃ) ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ।
নিজের সত্বা‍কে বি‍লিয়ে দিয়ে‍‍‍ছেন রাহে ফি সাবিলিল্লাহ।

দুরাশা

এস এস সি পাশ করে কলেজের সোপানে।
ভর্তি হতে গিয়ে লড়াই প্রাণ পণে।
যদিও বা পেলাম সিট কোন এক কলেজে।
বছরের শেষেও ঢুকলোনা কিছু এই নলেজে।

টেনে টুনে যদিও বা কলেজ পেরুলাম।
ভার্সিটির কালে ভয়ে ভয়ে থাকি হয় যদি বিধি বাম।
ভাগ্যক্রমে খুলে গেলো ভার্সিটির দোর।
আহা, কত কাংখিত ভার্সিটির এই করিডোর।
লেখা পড়ার নাম নেই আছে শুধু হরতাল ধর্মঘট।
এরপর চাপলো ঘাড়ে সেশনের জট।
দলা দলি, মারামারি রাজনীতির ঘন্ট।
খরচ চালাতে গিয়ে বুড়ো বাবা ঋণে ডোবা আকণ্ঠ।

চারিদিকে কেবল বেকার হতাশা নিরাশা।
উপায়ান্তর না দেখে কেউ করে নীল নেশা।
এই হলো আমাদের যুব শ্রেনীর দশা।
প্রকৃত মানুষ হয়ে বের হওয়া যেন আজ দুরাশা।
নেতারা ছাড়ো এবার, তোমাদের গদি লোভী মন।
লালসার শিকার করিওনা বাঁচাও শত মায়ের প্রাণের ধন।

বানিওনা তোমরা চসেস্কু, হিটলার, স্ট্যালিন।
জেনে রেখ তবে, দেশ হবে ছারখার হবে বিলীন।
দেশটা তোমাদের নয় শিশুদের থেকে নেওয়া ধার।
ওদের আমানত যথাযথ ভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে আবার।

নির্ঘুম রাত

মশার প্যান প্যানিতে
কান ঝালা পালা।
কামড়ে কামড়ে নাভিশ্বাস
বাড়ছে অন্তরজ্বালা।
আন্তর্জালে বুদ হয়ে রই
টের পেয়েছে মশা।
গুন গুনিয়ে শোনায় গান
করছে তামাশা।

আন্তর্জালে বাইটগুলি
যেমনি শুষে নেয়।
মশাও যেন সেই সুযোগে
বাইটে শুষে নেয়।
ডেঙু, ম্যালেরিয়া
জানান দিয়ে যায়।
লেট নাইটের সুখগুলি সব
শূন্যে মিলায়।
অসহায়ের মত তাকিয়ে দেখি
বাইটের কারবার।
আমি, আমার পার্সের দশা
বড়ই জেরবার।
আন্তর্জালে বাড়ছে অন্তর জ্বালা
রাতকে রাত কাটছে নির্ঘুম।
অলিক প্রেমে বিভোর হয়ে
গুম হয়েছে ঘুম।

শাখা মৃগ

সৌরভে গৌরবে
মধুমাস জমেছে।
মৌ মৌ গন্ধে
সব কূল জুটেছে।
দু পেয়ে চার পেয়ে
তার স্বাদ চেখেছে।
উড়ে আসা ডানা মেলা
সুরে গান ধরেছে।
শাখা মৃগ বাদ নাই
চুরি করে ( মধুমাস) উদযাপন করছে।

ঝরাবে ঝর্নাধারা

আকাশ আজ সেজেছে মেঘে
ঝরাবে ঝর্নাধারা।
রুমুর ঝুমুর নাচের তালে
ছড়াও ফল্গুধারা ।

পরীর ডানায় আয়রে ভেসে
সাজিয়ে নীল আকাশ ।
ছন্দ তালে কিশলয়ে
খেলরে দুরন্ত বাতাস।
সাত সাগর দুর হতে
মোর ছোট্ট বুবুটি ।
ডাকছে তোমায় আয়লো উড়ে
ভিজাবে চরন দুটি।

শ্রাবনের গান

গোমরা মুখো শ্রাবন আকাশ
কাঁদছে থেকে থেকে।
বিষন্নতায় ছেয়েছে নীলিমা
ডুমরু যায় ডেকে।

মেঘরাজিরা চলছে ছুটে
পাহাড় নদী আঁকি।
ঝর্ণাধারা ঝরছে অঝোরে
টল মল আঁখি।
পাহাড় নদী নাইছে জলে
প্লাবনের আর নাই বাকি।
সলিল সমাধী সোনালী ফসলের
দুর্দিনেরে যায় ডাকি।
প্রলয়ের গান গাইছে নদী
কূল ভাঙ্গনের সুরে।
পাহাড় ধ্বসে হচ্ছে সমাধী
বাজছে করুন স্বরে।
ভাঙ্গা গড়ার বড় কারিগর
সাগর পানে দেয় উঁকি।
নদীর পাড়ের স্বপ্ন গুলো
বিষন্নতায় ঢাকি।

ডেঙ্গু জ্বর

লোক লোকালয়ে ছড়াচ্ছে জ্বর ডেঙ্গু মহা ত্রাস।
দিন দুপুরে এডিস মশা চালাচ্ছে সন্ত্রাস।
সচেতনতা খুবই জরুরী যেন সবাই সজাগ রয়।
আস্তাকুঁড়েই বিনাশ করতে যেন সচেষ্ট হয়।

হঠাৎ করেই উচ্চ জ্বর মাথা ব্যাথা সাথে
জোড়ায় ব্যাথা পেশী ব্যাথা চোখের পিছনটাতে।
ক্লান্তি, বমি, র‌্যাশ জ্বরের পরেই হয়।
ক্ষেত্র বিশেষে রক্তপাত জটিলতর হয়।
প্রথমবারে ফ্লু বলে ভ্রমে মনে হয়।
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে অনেক প্রকট হয়।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিবার যাকে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রম কয়।
লিভার, লিম্ফ, ব্লাড ভ্যাসেলের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
পরিত্রাণে সবার আগে মশারী ব্যবহার চাই।
মশক নিধনে যা করণীয় সবই করা চাই।
ঔষধপাতি, পথ্য, বিশ্রামে চাই সঠিক নিয়ম মানা।।
ডেঙ্গু জ্বরে হোমিও ঔষধ নাক্স, ইউপেটো, আস, বেলাডোনা।‍‌

কৃষ্ণচূড়ার আলাপন

সূর্য আভায় ছড়িয়ে হাসি
খুশিতে দিলহারা।
শ্যামলে কোমলে বাহারীরূপে
চিত্ত পাগলপারা।

রৌদ্র ছটা ঠিকরে পড়ে
চারিদিক উজালা।
রূপের আগুনে সেজেছে বন
রূপবতী কমলা।
গ্রীষ্ম দুপুরে ক্লান্ত পথিক
উদাসী বায়ে চায়।
দৃষ্টিনন্দন গাছের ছায়ায়
প্রেয়সীর ছায়া পায়।
গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের তোড়া
তোমারি তরে সাজানো সযতন।
স্বাগতম গ্রীষ্ম মহাসমারোহে
তোমারি তরে কৃষ্ণচূড়ার কবিতা আলাপন।।

বঞ্চিত শিশু

আমাদের রাসুল সঃ বলেন, শিশুরা জান্নাতের ফুলের মত
এত অগ্রগতির পরেও তৃতীয় বিশ্বের শিশুদের যন্ত্রনা শত
কত শিশু রাত ক‍াটায় খোলা আকাশের নিচে
কত‍ শিশু কাড়া কাড়ি করে খায় কাক কুকুরের সাথে।

আদুল গায়ে গলি গলি ঘোরে পেটে নেই খাওয়া
রোগে শোকে ধুঁকে ধুঁকে মরে জোটে নাতো দাওয়া
কেউবা পাতছে ভিক্ষার হাত কেউবা সস্তায় শ্রম বিকায়
কেউবা ছেলে ধরার খপ্পরে পড়ে উটের গতি বাড়াতে জীবন বিলায়।

স্বার্থান্ধ মানুষ সস্তা শ্রম দিয়ে গড়ে তোলে প্রাচুর্যের প্রাসাদ
পক্ষান্তরে একদিকে ‍গড়ে উঠে চরম দারিদ্র্য অন্য দি‍কে বিত্ত বিলাস
ওদের জীবনে নেই লেখা পড়া ,নেই কোন আশা
দারিদ্র্য ওদের কেড়ে নিয়েছে স্বপ্নিল শৈশব দিয়েছে শুধু হতাশা।

এক বিংশ শতাব্দিতেও দাস পদ্ধতিতে শিশু বিক্রি হচ্ছে
নিকৃষ্ট করুণ বেদনা ক্লিষ্ট পশুর মত ওরা জীবন যাপন করছে
জাতিসংঘ আইন করেছে শিশুর অধিকার রক্ষা করবে তার দেশের সরকার
বিজ্ঞ জনেরা আদর করে টোকাই পথকলি নাম দিয়ে এড়িয়ে যায় দায়ভার।

কুসুম কলিরা ফোটার আগেই মাটিতে ঝরে পড়ে
সেমিনার সিম্পোজিয়াম সবই হয়, তবুও ওদের পৃথিবী রয়ে যায় নড়বড়ে।

ঝড়

বৈশাখী ঝড়ে
ডাল পালা উড়ে।
ধমকায় বাজ
চমকায় তাজ।

সেই সাথে শীলাগুড়ি
পিষে শীলে নোড়ায় ।
বৃষ্টির বাণে
ভাসে বন্যায় ।

পাতা গুলোয় বিলি কেটে
সাফ করে জঞ্জাল।
ঠিক যেনো টেকো মাথা
সবুজ অঞ্চল।

শুভ নববর্ষ

শুভ নববর্ষ

নববর্ষের উদাত্ত আহবান।
প্রেম প্রীতি থাক অফুরান।
মুছে যাক ক্ষোভ জ্বালা অপমান।
লোভ মোহ হিংসা হোক অবসান।
এসো হে বৈশাখ ঘূর্ণিতে তোল ঐক্যের তান।
বার বার নিয়ে এসো জীবনের জয়গান।

__________________________
দেরীতে শুভেচ্ছা জানানোয় দুঃখিত বন্ধুরা।

চুল তার কবেকার

চুল তার কবেকার
অন্ধকার বিদিশার নিশা।
কুচ কুচে কালোমেঘ
যেন ঘোর অমানিশা।
যত্ন আত্তি কত,
সারা দিনমান।
আমলকি হরিতকি
কত কি যে শান।
কবির বন্দনা তুমি,
প্রেমিক হারায় দিশা।

বর্ষা

বর্ষা এলো ভরলো জলা।
উঠলো বেজে ব্যাঙের গলা।
ব্যাঙ ডাকে ঘ্যাঙর ঘ্যাং।
শিকারী ছোটে নিতে ঠ্যাং।
ব্যাঙের ঠ্যাং বিদেশে যায়।
শিকারীরা ডলার পায়।
ব্যাং বাবাজী থাকলে পরে
কীটনাশক লাগে নারে।
কীট নাশকের নিমিত্তে।
মাছের বংশ বিলুপ্তে।
ছিল বাঙালী মাছে ভাতে।
এখন স্লোগান ডাল ভাতে।