ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট

শাওয়ালের চাঁদ

ব্যাস্ত ঢাকা
বেজায় নিরব
কেমন যেন ফাঁকা।

হঠাৎ গাড়ীর
কী যে হলো
বন্ধ কেন চাকা।

পা দানিতে
নেইতো হাঁক
নেইতো কোন খোকা।

জন সমুদ্র
কোথায় গেলো
ভাবনাতে খায় ধোকা।

চুপসে গেছে
হকারের গলা
কই হারালো বোকা।

মস্ত মলে
ব্যাস্ত লিফট
প্রাণান্ত ছিল ঢোকা।

গাড়ীর জ্যামে
দম ফুরাতো
অসাধ্য ট্রাফিক রোখা।

গগন চুম্বি
ভবন ছাদে
ভাবছে বসে কেকা।

দিগন্ত জুড়ে
শাওয়ালের চাঁদ
হাসছে বসে একা।।

ঈদ মুবারক

দিগন্ত মিশেছে যেথায়

দিগন্ত মিশেছে যেথায়

সখি সাথে বন পথে গোধূলি বেলায়
কলসি কাঁখে নদীর ঘাটে অলস অবেলায়।
ছায়ায় ঘেরা অস্ত রাগে
জলকে চলে অনুরাগে।

কাঁকনের নিক্কনে হাসির গুঞ্জরণে
কামিনি কুঞ্জ ছড়িয়ে শিহরণে।
ফুল বেনুনিতে চঞ্চলা কিশোরী
বাসন্তী শাড়িতে মায়াবী ষোড়শী।

ছায়া পড়ে হরিন নয়নে
বাঁধা পড়ে মায়ার কাননে।
বাঁশীর সুরে রাখাল ছেলে
উদাস করা সুর তোলে।

চকিতে তার মনের কথা,
সুরের লয়ে মালা গাঁথে।
ছড়িয়ে দিয়ে বিথীকা তরঙ্গে
বিকশিত করে প্রাণ তরঙ্গে।

দিগন্ত মিশেছে রবিতে নদীতে
চাতক চাতকী ফিরেছে নীড়েতে।
গোধূলি লগ্নে সোনালী আবীরে
গড়ে তোলে মন্দির মনের মিনারে।

দুখু মিয়া

দরিরাম পুরের দুখু মিয়া পারেনি দমিতে।
দুঃখিদের নিপীড়ন পারেনি সহিতে।
সামাজিক বিভেদের সংগ্রামী সৈনিক।
জা‍তীয় চেতনায় নির্ভয় নির্ভিক।
ক্ষুরধার ‍লেখনি তার শানিত অস্ত্র।
সাবলিল ভাষা তার ঐন্দ্রজালিক মন্ত্র।
কাব্যের ঝংকারে দূর্বিনীতদের করেছেন শত কষাঘাত।
শ্রাদ্ধ্ করেছেন রূপকের ছলে করেছেন পদাঘাত।
গেয়েছেন সাম্যের গান হয়ে মহিয়ান।
জাতি ধর্ম নি‍র্বিশেষে হয়ে বলিয়ান।
গানে গানে উ‍জ্জীবিত করেছেন নির্জীব জাতিকে বিজয় মন্ত্রে।
জুজুর ভয় পেরিয়ে উদ্বেলিত করেছেন অভয় মন্ত্রে।
দূর্জয় দুর্বার কাজী নজরুল অমর রবে কোটি কোটি প্রানে।
আমার অকুন্ঠ সন্মান বিপ্লবী বিদ্রোহী জাতীয় কবির জন্মদিনে।

আমার রত্ন গর্ভা খালামণি

খালার ছয় মেয়ে এক ছেলেকে রেখে খালুজান মারা যান , ছোট মেয়েটি গর্ভেই ছিলো ।খালা সেই থেকে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ন, একহাতে ছেলে মেয়েদের মানুষের মত মানুষ করেছেন, সবাই আজ যার যার জায়গায় সুপ্রতিষ্ঠিত ।
ছেলে মেয়েরা অফিসে যাওয়ার কারনে প্রত্যেক ঘরের সব নাতি নাতনীদের নিজ হতে পেলে বড় করেছেন সবাই জিনিয়াস পড়া লেখায় অগ্রজদেরও ছাড়িয়ে গেছে । আজও যার যেখানে প্রয়োজন সামাল দিয়েই চলেছেন । আম্মা আমার মেয়ের জ্বর খালাম্মা সেখানে হাজির সেবায় নিয়োজিত।আমার ছেলের পরীক্ষা খালাম্মা সেখানে হাজির ঘরের কোন চিন্তা কাউকে করতে হয়না রান্নার তদারকি থেকে খাওয়া সময় মত রেডি। খালাম্মার এই অবদান না থাকলে মেয়েরা কিছুতেই এতদুর আসতে পারতোনা সংসার এত সুখের হয়তো হতোনা ।খালার ছেলে এন এস ইউর বি বি এর ডীন।একমেয়ে ডেপুটি সেক্রেটারি একমেয়ে ইডেন কলেজের এসোসিয়েট প্রোফেসর জামাইরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, জয়েন্ট সেক্রেটারি ,অন্যরাও যার যার জায়গায় সুপ্রতিষ্ঠিত। এখনো নাতিন যখন অফিসে যায় বাচ্চা (পুতিন)নানীর হাওলা করেই যায়। দোয়া করি দোয়া চাই খালা যেনো খালার গড়া বাগানে হেটে চলে আনন্দ আস্বাদন করতে পারেন বহুদিন । ধন্য হও খালা, ধন্য তোমার জীবন, সুখে থাকুক তোমার পরিবার।

বিশ্ব কাপ ২০১৫

111 ডিগ্রী জ্বরে কাঁপছিল যখন সারা বিশ্ব।
পূর্ব প্রস্তুতি তৈরী ছিল করবে কারে নিঃস্ব।
বাঘেরা রাজাদের তাড়া করলে পরে,
নাখোশ হয়ে নাশকতার শিকার হয়ে পড়ে।
উইলো যুদ্ধে অজিরা বিশ্ব সেরা যে।
কথায় কাজে প্রমান করলো,মওকা মরে লাজে।
বৃত্ত ছেড়ে বিত্তের দিকে আইকনরা সাজে।
ক্রিকেট বাণিজ্য জয় জয়কার বিপননের কাজে।
চিত্তের চেয়ে বিত্ত যেথায় ছুটছে মহানন্দে।
সেথায় পদদলিত হয় সুবিচার, সৌন্দর্য ,ছন্দে।

সাধনা

সত্য কথা যতই হোক
শিকারীর বান।
অকাট্য যুক্তি যতই অপ্রিয় হোক
জ্বলবে অনির্বান।
ধুলি ধুসরিত মণি মানিক্য
সাগরের নোনা জলে,
অহরিত হয় যৎকিঞ্চিত
সাধনার জালে।
সাধনার ধন কুক্ষিত নয়
বিলাবে আজলা ভরি।
হর্ষ ধ্বনি তুলবে সবাই
তোমায় স্মরণ করি।

চলমান দিবাকর

উদয়ের পথে সোনার থালাটি
সোনালী আভা ছড়িয়ে জাগিয়ে তোলে সৃষ্টি।
বুকে জাগায় সাহস প্রাণে জাগায় আশা
জানিয়ে যায় সবাইকে সমান ভাবে ভালবাসা।
অকৃপণ হাতে ছড়ায় তার দান
সাধ্য কি কারো দিতে পারে প্রতিদান।
সোনালী আলোয় দিগন্তে মাখামাখি
ঘাসের শিশিরে ছড়ানো যেন মুক্তরা রাশি রাশি।
দুপুরে তীব্র তেজে গগনে আগুন ঢালে
আবিস্কৃত হয়েছে সৌর শক্তি বলে।
যোগান দিচ্ছে উপাত্ত হিসাবে বিজ্ঞানের মহা অভিযানে
কাজে লাগাবে আগামী প্রজন্ম নিজেদের কল্যানে।
বিকেলের রোদ্র ছায়ার মিষ্ট আমেজে
ভরে উঠে সকলের মন খোশ মেজাজে।
দূর করে সারাদিনের কর্মক্লান্তি
আনে দেহ মনে শান্তি।
ধুসর গোধুলি লগ্ন দেখি দাড়িয়ে সাগর পাড়ে
কর্মক্লান্ত দীবাকর অস্তমিত সাঁঝের আধাঁরে।

আগুন লাগা বন

সূযাভায় ছড়িয়ে হাসি
খুশিতে দিলহারা।
শ্যামেল কোমলে বাহারীরূপে
চিত্ত পাগলপারা।
রোদ্রছটা ঠিকের পড়ে
চারিদিক উজালা।
রূপের আগুনে সেজেছে বন
রূপবতী কমলা।
গ্রীষ্ম দুপুরে ক্লান্ত পথিক
উদাসী বায়ে চায়।
দৃ্ষ্টিনন্দন গাছের ছায়ায়
প্রেয়সীর ছায়া পায়।
গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের তোড়া
তোমারি তরে সাজানো সযতন।
স্বাগতম গ্রীষ্ম মহাসমারোহে
তোমারি তরে কৃষ্ণচূড়ার কবিতা আলাপন।।

বাবুই সিটি

তাল গাছেতে ঝুলছে দেখ
বাবুই পাখীর বাসা।
দক্ষ কারিগর ণিপুণ হাতে
গড়েছে কেমন খাসা।
ঠাস বুনটে তৈরী খড়ের
শক্ত মজবুত করে।
ঝুলছে দেখ বার মাস
পড়ে নাক ঝড়ে।
মিলে মিশে থাকে সবা‍ই
পাড়া প্রতি‍বেশী।
আত্মীয় পরিজন নিয়ে তারা
থাকে বেজায় খুশী।
কল কাকলিতে মুখোরিত
তাদের ছোট্ট গাঁ।
খাবার খোজে যায় যে উড়ে
গাঁ থেকে ভিন গাঁ।
সযতনে রেখেছে ছানা
দ্বিতল ত্রিতলে।
ঘুম পাড়ায় দক্ষিনা বাতাস
দোদুল দোদুল দোলে।
হেমন্তের ধানে খুশির জোয়ারে‍
মেতে উঠে প্রানে।
কিচির মিচিরে ভরে উঠে
সুখের সারি গানে।
সবুজের মাঝে বাবুই সিটি
বড়ই মনোহর।
ঊষা লগ্নের হাই রাইজ প্রযুক্তি
মনোমুগ্ধকর।

কর্মক্ষেত্রে নারী

শোনা যায় বীজ বপনে নারীরাই ছিলো অগ্রযাত্রায়।
হয়ত সন্তানের জন্য নয়ত পছন্দের কারনে ধাবিত হয়েছে নতুন আভিযাত্রায়।
স্বীকৃতি ছাড়াই অহ:নিশি করতে হয়েছে ঘর গেরস্হলীর কাজ।
অর্থনৈতিক টানাপোড়েনেই জীবনের তাগিদে বাধ্য করেছে সমাজ।
আয়া বুয়ার কাজে বহুদিন ধরে রেখেছে আবদান।
পায়নি তেমন পারিশ্রমিক, পায়নি যথাযথ সন্মান।
মাটি কাটা খোয়া ভাংগা,যোগালির কাজে,
সাহসের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে করেছে সমান তালে।
শতছিন্ন ময়লা বসনে থালা হাতে যায়না দেখা আর কাকভোরে।
পোষাক শিল্পের আগমনে বদলে গিয়েছে সব এগিয়ে যাচ্ছে নতুন পথ ধরে।
এগিয়ে আসতে হবে সরকার মালিক পক্ষকে নারীর অধিকার সংরক্ষনে।
স্বস্হগত, প্রসবোত্তর,ডে কেয়ার সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়নে।
পিছিয়ে আছে লেখা পড়ায় অনেক, এগিয়ে আসতে হবে মেয়েদের।
দিতে হবে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা তাদের।
যোগ্যতার সাক্ষর রেখে চলেছে অফিস আদালতে,
স্কুল কলেজ ,হাসপাতাল গুলোতে।
আনুপাতিক হারে দিতে হবে জায়গা মেধা বিচারে।
মানুষ হিসাবে চাই কলিগ, বস, সবার নজরে।
দুই কন্যা হওয়ার কারনে অনেক পরিবারে উপার্যনে নারীরাই,
সেদিকে খেয়াল রেখে অগ্রাধিকার দেয়া চাই।
সর্বক্ষেত্রে যদি দেয়া হয় জননী, ভগ্নি, জায়া, কন্যার সন্মান।
নেপোলিয়ানের কথামত পাওয়া যাবে জাতি মহিয়ান।

প্রজাপতি

তির তিরিয়ে হাওয়ায় উড়ে
মেলে দিয়ে পাখনা।
রং বেরং এর পাখা দুটি
বাহারি আলপনা।
ঝিকি মিকি রোদে
ঝিল মিল করে।
ফুলে ফুলে উড়ে
মধু পান করে।
গুন গুনিয়ে কলির কানে
ছড়িয়ে মনের বাসনা।

বেগবতী মেঘবতী

নীল গগনের শ্যামলা পরী
যেনো ছুটলো এলা কেশে।
দুরন্ত কিশোরী উড়ছে
যেনা ডানায় ভেসে ভেসে।
অনুযোগ আর অভিযোগে মনটি তার
যেনো আছে মেঘে ঢেকে
সোনার বরন স্বর্গীয় ডিম
যেনো কালো কেশে ঢাকে।
রাগে অভিমানে ফেটে পড়ে
যেনো আছড়ে ভাঙ্গে সব।
চোখের জলে মনের জ্বালা
যেনো মেটাতে চায় সব।
ডাকছে কুহুক পাহাড় দেশে
যেনো উদাস বাঁশীর সুরে।
ছুটছে নেশায় শ্যামের দেশে
যেনো অচিন মায়া পুরে।
চোখ দিয়ে তার আগুন ঝরে
যেনো বিদুৎ এর ঝলকানি।
কালো হিরে জ্বলে উঠে
যেনো আলোর ঝলসানি।
নীল দরিয়ায় উত্তাল ঘূর্নী তোলে
যেনো নেশায় মত্ত হয়ে।
পথ হারা পথিক পথ খোঁজে
যেনো দিশে হারা হয়ে।
শ্যামল বাগে প্রেমের বাসর
যেনো আছে পেতে রাখা।
সাত সাগর পাড়ী দিয়ে
যেনো পায় সে প্রিয়ের দেখা।

সবুজ বৃক্ষ

বৈশাখী ঝড়ে
ডাল পালা উড়ে।
ধমকায় বাজ
চমকায় তাজ।

সেই সাথে শীলাগুড়ি
পিষে শীলে নোড়ায় ।
বৃষ্টির বাণে
ভাসে বন্যায় ।

পাতা গুলোয় বিলি কেটে
সাফ করে জঞ্জাল।
ঠিক যেনো টেকো মাথা
সবুজ অঞ্চল।

অফ লাইন ম্যাসেজ

আকাশের দোর খুলে চাঁদ হেসে বলে,
Hi মর্ত্য বাসীরা, আছো কি হালে।
উঁকি দিয়ে প্রতিদিন দেখি তোমাদের,
নদী নালা সয়লাব ঢেউ জোয়ারের।
মেঘেরা মাঝে মাঝে চোখে আটেঁ ঠুশি,
Then I got a dc।
রবি দার সাথে আছে বড় লেন দেন।,
CPUর মতো তিনি নির্দেশনা দেন।
হামা দিয়ে এগোই পথ পাড়ি দেই,
Key board হাতড়াই surf করে যাই।
মাঝ রাতে সাধ হয় যদি পাই chance।
Log in হয়ে যায় যদি by chance।
ঝম ঝম বুষ্টি,বজ্রের হুঙ্কার,
অকেজো অসার Net Server।
সুবহে সাদেক্বের সময়, উতলা হয়ে যাই।
I ve to go good bye।
বর্ষার কালো মুখ ঢাকা ভারি নেকাবে।
আজ কথা না হলেও সহসাই হবে।
অচিরেই কাটবে মেঘ,don’t mind my dear।
Bye ,and take care।
নাড়ীর বাঁধনে যুক্ত গাঁথাসুতো বিনে।
চাও যদি খুজেঁ পাবে Recycle Bin এ।

বান ডেকেছে

উজানের পানি প্রবল তোড়ে আসছে ভাটির দেশে
নদ নদীতে বান ডেকেছে বন্যা অবশেষে।
ডুবে গেলো ঘর বাড়ি আর ফসলের মাঠ।
ডুবে গেলো রেল লাইন যত রাস্তাঘাট।
বাড়লো কত দুর্গতি সব মানুষের।
ভোগান্তিও কম নয় সব পশুদের।
মাছেদের সবনাশ পানি দূষণেে।
হাসেরাও হল বলি সেই কারণে।
দুঃখি মানুষ ঠাই নিয়েছে ভেলার উপরে।
তাদের উপর উদার হস্ত রোদ বৃষ্টি ঝরে।
অন্ন বস্ত্র খাবার পানি পাওয়া বড় দায়।
রোগ বালাই আসে সাথে করতে অসহায়।
দুর্যোগ আজ নেমে এসেছে দুঃখির দুয়ারে
দুহাত ভরে সাহায্য কর গরিব দুঃখিরে।
সাহস নিয়ে করতে হবে সকল মোকাবেলা।
একটা প্রাণও না যায় ঝরে করে অবহেলা।