মিতা এর সকল পোস্ট

মিতা সম্পর্কে

দিন ফেলে রাতে দৌড়াই; রাত ফেলে দিনে। শরীর ফেলে মনে দৌড়াই; মন ফেলে শরীরে।সব পাই,আবার কিছুমাত্রও পাই না। স্বপ্ন ঊড়ে বারে বারে,তবুও স্বপ্ন দেখি লেখাপড়া ক্লাস ফাইভ ।

এলেবেলে-২৮

সুইস ব্যাংকই নিরাপদ

প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে, এনিয়ে চিন্তিত অর্থমন্ত্রী। প্রবাসীরা এখন সুইস ব্যাংকে টাকা রাখছে (সুত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক )। প্রবাসীরা এতদিনে বুঝে গেছে ঐ টাকা বাংলাদেশের চেয়ে সুইস ব্যাংকে রাখাই নিরাপদ।

বাংলাদেশের প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি দরকার হয় না। বৈধপথে সে টাকা প্রবাসে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জটিল দেয়াল পার হতে না পেরে হুন্ডি ব্যবসায়ীর শরণাপন্ন হতে হয়।

আবার যারা রেমিটেন্স বিদেশে পাঠান তাঁদের তো এসব ঝামেলা নেই। আন্ডার ওয়ারের ভিতর দিয়েই উনারা এসব সেষ করেন। একবার বিদেশ যাবার সময় বিমানবন্দর থেকে ডলার কেনার পর উনারা আমার পাসপোর্টে লিখে দিলেন কত ডলার আমি কিনেছি। এটা বাংলাদেশ আর ভারতে দেখেছি … অন্য কোন দেশের ব্যাংক বা মানি একচেঞ্জের পাসপোর্টে লিখার ক্ষমতা নেই (অন্তত আমি যে কটা দেশে গিয়েছি সেখানে দেখি না)।

সুইস ব্যাংকই ভালো। এক লক্ষ টাকায় এক হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয় না।

আমাদের দেশের কয়েকজন উচ্চপদস্ত ব্যাংকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত ফিরে পাওয়া যাবে। উনারা বলতে পারেন নি। বিশ্বাস না হয় তো আপনার সঞ্চিত অর্থ যে ব্যাংকে আছে সে ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইতে পারেন।

সুতরাং সুইস ব্যাংকেই ভালো। সুইস ব্যাংকে হিসাব খোলা বাংলাদেশের ব্যাংকে হিসাব খোলা থেকে অনেক সহজ (সুত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক)। শুধুমাত্র পাসপোর্ট থাকলেই আপনি বিদেশের ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন।

এলেবেলে -২৭

প্রবাস জীবনের দুদশক পার হয়ে গেছে, কত দ্রুত সময় চলে যায়। যে কোন কারনেই হোক এই ২১ বছরে কম করে হলেও ১২ বার দেশে আসা হয়েছে … আসা যাওয়ার এই ব্যয় সঞ্চয়ের দিকে গেলে হয়তো অনেক বদলে যেত জীবন। যাক সে সব কথা এ নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই … আমি কখনো বড় লোক হতে চাইনি, এখনো না। জীবন চলে গেলেই হয়।

দেশে আসার সময় আমার একটা অভ্যাস হচ্ছে কাছের এবং এমন কি দূরের মানুষের জন্য কিছু নিয়ে আসা যাকে আমরা গিফট বলে থাকি। এই গিফট দেওয়া নিয়ে আমার কিছু মজার অভিজ্ঞতা আছে।

আমার সেই সব কাছের বা দূরের মানুষদের একজন একবার বললেন “এসব তো এ দেশেই পাওয়া যায়।”

কিন্তু আমি উনাকে কি করে বোঝাই টাকায় বাঘের চোখ কেনা গেলেও, কেনা যায় না এমন অনেক কিছু আছে ? আমার আন্তরিকতাটুকু উনার চোখে পড়ে না। আবার এমন কিছু প্রোডাক্ট আছে সেই গুলো এই বাংলাদেশে বিক্রী হবে না। যেমন জাপানের Sony/Toshiba/Hitachi কোম্পানী জাপানে যে TV বিক্রী করে তা বাংলাদেশে করে না। গ্রামীন UNIQLO যে সব কাপড় বাংলাদেশে বাজারজাত করে তা জাপানে পাওয়া যায় না।

পরের বার আবার উনার কাছে আমার গিফট নিয়ে গেলে উনি যে গল্পটা বললেন তা শুনে আমি থ …। উনার অন্য এক আত্নীয় নাকি বলেছেন বিদেশ থেকে যে সব গিফট নিয়ে আসে তা নাকি Bargain Sale এর সময় কেনা। হোক না ক্ষতি কি? কিছু কিছু কথা আছে যা কখনো বলতে নেই।

এবার আসি আবার অন্য ধরনের কাছে বা দূরের মানুষের কথা। উনারা গিফটটি হাতে পাওয়ার পর জানতে চাইবেন এর দাম …। আবার আর কেউ পরীক্ষা করবেন প্রোডাক্টটি কোন দেশের তৈরী। Made in China হলে তো উনাদের কাছে এটি খুব সস্তা বলে মনে হবে। (পৃথিবীর নামী দামী ব্রান্ড গুলোর ৮০ ভাগই তৈরী হয় চীনে, আমাদের দেশের EPZ এ উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশে কিনতে পাওয়া যায় না)। হয়তো এই কারনেই আমার এক ইউরোপ প্রবাসী আত্মীয় আমার মায়ের জন্য বাংলাদেশের স্থানীয় বাজার থেকে গিফট কিনে বিদেশ থেকে পাঠানো বলে চালিয়ে দিলেন কদিন আগে … । মায়ের কাছে শুনে হাতে নিয়ে প্রোডাক্টিতে বাংলাদেশী দোকানীর হাতে লেখা বিক্রয় মুল্যের কোড দেখি আর নিশ্চিত হই প্রোডাক্টটি দেশ থেকেই কেনা এবং প্রোডাক্টটি কোন দেশের তৈরী লিখা নেই শুধু ইউরোপের এক কোম্পানীর নাম ঠিকানা লেখা, জানি না কেন এই মিথ্যাচার। হয়তো বা আমরা Made in… খুঁজি বলেই।

আমরা যখন বিদেশে কোন জিনিস কিনি তা কোন দেশের তৈরী তা দেখি না, আমরা ব্রান্ড দেখি …। আর উনারা Made in …দেখেন। কেনার পর কতো বার আবিস্কার করেছি সেটা বাংলাদেশে তৈরী। বেশ কয়েক বছর আগে জাপানের Sony কোম্পানীর এক নির্বাহীর ইন্টারভিউ তে বেশ মজার কথা শুনেছিলাম উনি যা বলেছিলেন তার বাংলা করলে দাঁড়ায় … “আমরা একই প্রোডাক্ট বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তৈরী করি, ইউরোপের অধিবাসীরা ডিজাইন দেখেন, মধ্য প্রাচ্যের লোকজনের এমন প্রোডাক্ট তৈরী করতে হবে তা যেন ওজনে ভারী হয়। আবার ভারতের জন্য হলে তাতে খুব জোরে শব্দ হয় ( ভারত, বাংলাদেশ সহ আফ্রিকার অনেক দেশেই যেখানে সেখানে অনেক শব্দে গান শোনার অভ্যাস আছে )।”

তারপরও আমি প্রতিবারই কিছু না কিছু নিয়ে আসি হাতে তুলে দেওয়ার সময় ভাবতে থাকি এবার তিনি কি বলবেন ?

জাপানীদের কাছ থেকে একটা জিনিস শিখেছি, উনারা তর্ক করেন না, বক্তৃতা বা বিতর্কে জাপানীরা খুবই কাঁচা। উনারা মাঝে মাঝে কারো কথা শুনে বিতর্কে না গিয়ে বলেন “তাই”। আর এই “তাই” শুনে আমার মত বাঙ্গালীদের ধারনা হতে পারে তিনি আমার কথার সায় দিচ্ছেন বা মেনে নিছেন। আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়। প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা। আমিও এখন উনাদের মত বিতর্কে না গিয়ে “তাই ” বলার চেষ্টা করি, যদিও তা মাঝে মাঝে সম্ভব হয় না (হয়তো বাংলাদেশী বলেই অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি )।

জীবনের কোন অভিজ্ঞতাই ফেলনা নয়।
এপ্রিল ২০১৫।

এলেবেলে -২৬

আমদের দেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারী কর্মকর্তাদের চেয়ারে একটি টাওয়াল দেখা যায় … খুবই চোখে লাগে …। টাওয়ালের সঠিক ব্যবহার জানলে উনাদের নিজেদেরই হাসি পাবে। (গামছা আর টাওয়ালের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ,তবে আমাদের দেশের আবহাওয়াতে গামছাই উপযুক্ত)। টাওয়াল বাদ দিয়ে চেয়ারে গামছা ব্যবহার করুন …ওটা তাড়াতাড়ি শুকাবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। এতো দামী চেয়ারে টাওয়াল যে বড়ো বেমানান।

প্রায় ২১ বছর আগে চাকুরী ছেড়ে ছিলাম। আমি যখন চাকুরী করতাম তখনও দেখেছি। এই টাওয়াল কেনার জন্য খুব মজার কিছু নিয়ম আছে। অফিসের কর্তাদের অবস্থান (পজিশন) অনুসারে টাওয়ালের মুল্য নির্ধারিত হতো। অর্থাৎ ছোট কর্মকর্তার টাওয়ালের মুল্য বড় কর্তার চেয়ে কম হতে হবে।

শুধু কম হলেই চলবে না।একই রঙ বা ডিজাইনের হওয়া যাবে না। বছরে একবার টাওয়াল কেনা হতো, নতুন টাওয়াল আসার পর পুরনোটা কর্তা নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। নিয়মগুলো অলিখিত। এখনো চেয়ারে টাওয়াল রয়েই গেছে !

প্রিয় গান (আমার মতে তোর মতন কেউ নেই)

কতবার তোর বাড়ি গিয়ে ফিরে, ফিরে এলাম
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই !
কতবার তোর জানলা দিয়ে গলে’ হলুদ খাম ….
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই !

তোর বাড়ির পথে যুক্তির সৈন্য
তোর বাড়ির পথে যুক্তির সৈন্য
যতটা লুকিয়ে কবিতায়,
তারও বেশি ধরা পড়ে যায়।

তোর উঠোন জুড়ে বিশাল অঙ্ক ,
কষতে বারণ ছিল তাই,
কিছুই বোঝা গেলনা প্রায় !

কখনো চটি জামা ছেড়ে রেখে রাস্তায় এসে দাঁড়া !
কখনো চটি জামা ছেড়ে রেখে রাস্তায় এসে দাঁড়া !

কতবার তোর বাড়ি গিয়ে ফিরে, ফিরে এলাম
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই !
কতবার তোর জানলা দিয়ে গলে’ হলুদ খাম ….
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই !
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই !

লিরিকঃ অনুপম রায়
শিল্পীঃ রুপঙ্কর বাগচী

প্রিয় গান(তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস)

তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস –
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস?
সাক্ষাৎ আলাদীন তোর প্রদীপ ভরা জ্বিনে –
কেন বুঝতে যাস আমায় সাজানো ম্যাগাজিনে?

ভেজা রেলগাড়ি হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে,
আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে।
তারপর বেরোয় মেঘ আর তারায় ভরা স্টেশান,
একটু থামতে চায় প্রেমিকের ইন্সপিরেশন।

তোর এ সকাল ঘুম ভেঙে দিতে পারি,
তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি।
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি,
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি ।

আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং।

ছুঁড়ে ফেলে দে তোর গল্প বলা ঘড়ি,
শূন্যে ঘুরোর কল সব মিথ্যে আহামরি।
একটু শুনতে চাই তোর পাঁজর ভাঙ্গা চিৎকার,
অন্য গানের সুর অদ্ভুত এ অহংকার।

তোর এ সকাল ঘুম ভেঙে দিতে পারি,
তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি।
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি,
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি ।

আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং।
লিরিকঃ অনুপম রায়
শিল্পীঃ শিলাজিৎ মজুমদার

আমি বড়লোক নই

লাবণ্য,
কেমন আছ। অনেক দিন লিখা হয় না। লিখার বিষয়ও নেই।

ব্যস্ত আছ তাই না। ব্যস্ত থাকা ভালো। আমিও খুব চেষ্টা করছি ব্যস্ত থাকতে, পারছি না। কাজ নেই তেমন। তাই হাতে অনেক অলস সময়।

আজ যে কারনে লিখতে বসা, অনেক দিন হয়ে গেল তুমি আমার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছিলে। ফেরত দেব দেব করে দেরি হয়ে গেল। আজ মনে হলো আর দেরি করা চলে না। তোমার কাছে পরিমাণটা অল্প হতে পারে, আমার কাছে অনেক। তা ছাড়া খরচ এর আয়োজনটা আমিই করতে বলেছিলাম। সে কারনে তার ভার বহন করাও আমারই দায়িত্ব। আমি তখনই ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম তুমি নিতে চাওনি।

ইদানিং মনে হলো “যে ঋণ শোধ করার ক্ষমতা যদি কারো থেকে থাকে, তা ঋণ হিসাবে রাখা ঠিক নয়”। বলতে পারো এতদিন পরে কেন সে বিষয়টা নিয়ে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কোনদিন না কোনদিন বলতেই হতো, তাছাড়া ইদানিং আমি …। তোমাকে বলেওছিলাম তোমার কাছে আমার কিছু ঋণ আছে একদিন শোধ করবো। হয়তো মনে নেই তোমার। আমার সব মনে থাকে সেটাই সমস্যা। ভালোমন্দ সবই। ভুলতে পারি না কোন কিছুই — চেষ্টা তো কম করছি না ভুলতে।

বলবে আমি বড়লোক হয়ে গেছি ? ঠিক তা নয় বড় আমি কখনোই হতে পারিনি, পারবোও না। তাই বলে নিজেকে ছোটলোকও ভাবিনা।

কথা দিচ্ছি এর পর যেদিন তুমি নিজ থেকে আয়োজন করবে সেদিন আমার কোন দ্বিধা থাকবে না। তুমি যদি আমার ঋণ পরিশোধ থেকে বঞ্চিত করো তো আমি নিজেই ছোট হয়ে রইবো নিজের কাছে, এমনকি তোমার কাছেও।

আশাকরি তুমি আমাকে ভুল বুঝবে না। মন খারাপ করো না, আমি আসলে এমনই। নিজেই নিজেকে বুঝতে পারি না।

ভালো থেকো শুধু নিজের জন্যে —
অমিত
০৯.০৩.২০১৭।
________________

(ভেবেছিলাম এই চিঠিটা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবো না। সে কারনেই নিজের কাছেই রেখেছিলাম। তিন দিন আগে বন্যার কাছ থেকে যে জবাব এসেছে !! তারপর মনে হলো প্রকাশ করি… ০৬.০৪.২০১৭)

প্রিয় গান (আমরা এমনই এসে ভেসে যাই)

আমরা এমনই এসে ভেসে যাই –
আলোর মতন, হাসির মতন,
কুসুমগন্ধরাশির মতন,
হাওয়ার মতন, নেশার মতন
ঢেউয়ের মতো ভেসে যাই।
আমরা অরুণ-কনক কিরণে চড়িয়া নামি;
আমরা সান্ধ্য রবির কিরণে অস্তগামী;
আমরা শরৎ ইন্দ্রধনুর বরণে
জ্যোৎস্নার মতো অলস চরণে,
চপলার মতো চকিত চমকে
চাহিয়া, ক্ষণিক হেসে যাই।
আমরা স্নিগ্ধ, কাণ্ড, শান্তি-সুপ্তিভরা
আমরা আসি বটে, তবু কাহারে দিই না ধরা
আমরা শ্যামলে শিশিরে গগনের নীলে
গানে, সুগন্ধে, কিরণে-নিখিলে
স্বপ্নরাজ্য হতে এসে, ভেসে
স্বপ্নরাজ্য দেশে যাই
আমরা এমনই এসে ভেসে যাই –
আলোর মতন, হাসির মতন,
কুসুমগন্ধরাশির মতন,
হাওয়ার মতন, নেশার মতন
ঢেউয়ের মতো ভেসে যাই।

লিখেছেনঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
শিল্পীঃ জয়তী চক্রবর্তী।

এলেবেলে -২৫

ফ্রেণ্ড লিস্ট আবারো কাট ছাঁট করলাম …। ছোট হয়ে আসছে লিস্ট। তারপরও ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছি প্রতিদিন। রিকোয়েস্ট পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। আমার ষ্ট্যাটাসে মন্তব্যের দরজা সবার জন্য খোলা। বন্ধু না হয়েও আপনি বন্ধুর সব সুবিধা পাবেন।

বন্ধু হবার আগে একে অন্যকে জানা কি জরুরী নয় ?

রিকোয়েস্ট পাবার পর অন্তত একবার হলেও উনার সম্পর্কে জানার জন্য উনার পেইজে ঢুঁ দিয়ে আসি। আপনি না হয় আমার ষ্ট্যাটাস দেখে আমার সম্পর্কে জেনেছেন, আমি কি করে আপনাকে জানবো … !!

আলাপের আদিতে পরিচয়,তারপর সে সম্পর্ক বন্ধুত্বের দিকে গড়াতেও পারে, এমনকি আরো গভীরেও যেতে পারে। সম্ভাবনা তো থেকেই যায় ।

ফেসবুক, টুইটার এসব আসার অনেক আগে থেকেই আমি স্যোশাল মিডিয়াতে ছিলাম সেসব এস এন এসের অনেক বন্ধু আছেন। আমরা নিক নেমেই একে অন্যকে চিনি, জানি। এখনো মাঝে মাঝে তাঁদের সাথে কথা হয়। কয়েক জনের সাথে দেখাও হয়েছে। এখনো হয়। এই হচ্ছে বন্ধুত্ব।

ফেসবুক,টুইটার আগে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতাম সে গুলো হচ্ছে আই আর সি চ্যাট, ইয়াহু চ্যাট। আমি খুব একটা যেতাম না ভয়েস চ্যাট হলে এর বাংলা গ্রুপ গুলোর বেশীর ভাগই সমস্যা সংকুল ছিল), ইউনিভয়েস উইন্ডোজ এম ই, এক্স পি তে এটি ব্যবহার করা যেতো।

২০০০ সালের দিকে খুব কম সংখ্যক ব্লগিং সাইট ছিলো, বাংলায় ব্লগিং করেছি বলেও মনে পড়ছে না। তখন আমরা দেশী আড্ডা, দেশী চ্যাট নামক সাইটে ইউনিভয়েস ব্যবহার করে চ্যাটিং করতাম। আড্ডা গল্প গান কতো কিছু ছিলো। উইন্ডোজ ভিসতা আসার পর ইউনিভয়েস নির্ভর চ্যাট বন্ধ হয়ে যায় আর সেখানে স্থান করে নেয় “Visichat”। এটিও ভয়েস চ্যাট। এছাড়া Paltalk নামের ভয়েস চ্যাট ও করেছি সেখানে ফ্রীতে নিজের গ্রুপ খোলা যায়। Paltalk এ আমাদের সেতুবন্ধন নামের চ্যাট রুম ছিলো। নিজেদের মধ্যে এডমিন নিয়ে রুমের নিয়ন্ত্রনও বজায় রাখা যায়। উল্লেখিত সমস্ত এসএনএস এ টেক্সট এবং ভয়েস চ্যাট করা যায়।

এলেবেলে -২৪

দালালির একটা সীমা থাকা উচিত। চীন বাংলাদেশের সম্পর্ক নাকি ঐতিহাসিক, আমি তো বলি ঠিকই; তবে আপনারা কি প্রকৃত সত্য গোপন করতে চান !!

১৯৭৪ পর্যন্ত জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদের বিরোধিতা করেছে চীন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতার কথা সবার জানা। ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত চীন বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতিই দেয়নি।

চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয় ১৯৭৬ সালে।
এই হলো ইতিহাস।

এলেবেলে -২৩

যে সময় বাংলাদেশের ফুটবলের মর্মান্তিক পরিণতির সংবাদ দেখছি, ঠিক সে সময় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের চুড়ান্ত বাছাই পর্বের লাইভ খেলা দেখছি।

ইরাক বলতে আমাদের চোখের সামনে যে চিত্র ভেসে উঠে অথচ ফুটবলে তার বিপরীত সম্ভাবনা দেখা যায়। সদ্য সমাপ্ত অলিম্পিকে ইরাক ব্রাজিলের সাথে ড্র করে সবার নজর কেড়েছে। এখন তারা বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে র বাছাইয়ে ব্যস্ত। গত সপ্তাহে তারা জাপানের সাথে প্রায় ড্র করে ফেলছিল।

উল্লেখ্য নিরাপত্তার কারনে অলিম্পিক থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ খেলার জন্য নিজের দেশের মাঠ ব্যবহার করতে পারে না। বিদেশে গিয়ে হোম ম্যাচ খেলতে হয়।

আর আমরা এত সুবিধা পেয়েও পিছিয়ে যাচ্ছি।
সবকিছুকে রাজনীতি করন ঠিক নয়।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ভার সামলাতে প্রতিদিন হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের ফুটবল মাঠ গুলোতে কৃষি কাজে ব্যবহার করা হোক (গরুর বাজারের মতো )। শহরের মধ্যে যে সব মাঠ আছে সেখানে বহুতল বাড়ি তুলে খোলাবাজারে বিক্রীর ব্যবস্থা করা হোক।

বছর খানেক আগের লিখা …।

এলেবেলে -২২

মন খারাপ করো না, এই আমার কথাই ধরো পড়ালেখা তেমন হয়নি। তাই বলে কি আমার ক্ষতি হয়েছে ? আমি নিজেও নিজেকে ছোট মনে করি না। আমি কারো সমস্যা হয়ে নেই, থাকবো না।

তোমার কাছে টাকা থাকলেই কেও তোমাকে নিয়ে প্রশ্ন করবে না। এমনকি তুমি কি ভাবে এত টাকা ওয়ালা হলে তা নিয়েও কেও প্রশ্ন করবে না। এই হচ্ছে আমাদের দেশের সমাজ। আমাদের দেশের অনেক বড় বড় পাশ দেওয়া বউ গুলো স্বামীর উপার্জন নিয়ে গর্ব করে দিনাতিপাত করতে দেখেছি। আবার কোন কোন মহিলাকে প্রতিটি ক্ষণ নিজের শ্রম দিয়ে উপার্জন করে জীবন পার করতে দেখছি। তুমি কাঁকে সন্মান করবে !!

আমাদের সমাজটাই এমন।
এ সমাজে আমার নিজের চেয়ে অন্যরা আমার সম্পর্কে বেশী জানে, আমি/তুমি এই সমাজকে অস্বীকার করতে পারবো বলো। তুমি যাই বলো না কেন আমি পারি, আমাকে পারতে হবে।

তোমার যদি কোন দিন সময় হয় কাহলিল জিবরান এর “দ্যা প্রফেট” কবিতাটা পড়ে দেখো।

এলেবেলে -২১

ইংরেজী ভাষাতে বেশ কিছু শব্দ আছে খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে “you” বাংলাতে আপনি, তুমি, তুই … কতো বিপদ। আপনি থেকে তুমি পৌঁছতে আমাদের অনেক সময় চলে যায়। আবার কোন সময় “তুমি”তে পৌঁছার আগেই সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে।

হিসাব করে দেখলাম তুমি আমার অনেক ছোট হবে, সেটা কোন কারন নয়; বয়সে ছোট হলেই তুমি বলতে হবে এমনও নয় (বয়স এর হিসাবে কাউকে তুমি বলা আমার খুব অপছন্দ)।

এখন মনে হচ্ছে আমরা একে অন্যকে তুমি বলতে পারি, তুমি কি বলবে জানি না। একটা সময়ের মধ্যে আপনি থেকে তুমি তে আসতে না পারলে সেই সম্পর্ক আপনি তেই থেকে যায়।সকালে তুমি যখন “শুভ সকাল” বললে তখন কেন জানি উনিশে শোনা একটা গান মনের মধ্যে গুন গুন করে উঠলো “তুমি আমার প্রথম সকাল, একাকী বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা … ”

আচ্ছা সে সময় তোমার বয়স কতো ? তোমার কথা যেমন কিছু জানা হয়নি, তেমনি তুমিও জান না আমাকে।

এভাবেই একটা গল্প শুরু হয়, তারপর কোন পরিণতি ছাড়াই শেষ হয়। তুমি যে আমার গল্পের নায়িকা তা তোমাকে বলাই হয়নি। কোন দিন বলা হবে কিনা তাও জানি না। স্বপ্ন দেখতে আমি ভয় করি, দেখাতেও তাই তো দূরে থাকি। সে কি তুমি বোঝও না, অবুঝ বালিকা আমার।

এলেবেলে -২০

ফেসবুকে বিতর্কিত ছবি ব্যবহার করে রামুতে হামলা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে হলো, এরপরো হবে না তার নিশ্চয়তা নেই। রামুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট কপি করে বিলি করার কথাও বিবিসি মারফত জেনেছি।

রামুর ঘটনার বিচার কি হচ্ছে তা তো জানাই।
বলি কি বাংলাদেশে ফেসবুক না থাকলে ক্ষতি কি ? যে প্রযুক্তি কে দেখভাল করার ক্ষমতা নেই, তা দিয়ে এভাবে বারবার ক্ষতিই ডেকে আনবে। কেউ ইউটিউব দেখেছেন !! ইউটিউবে বাংলাদেশের নোংরা ছবি আর ভিডিওতে ভরে গেছে। একজনের ছবিতে অন্য জনের ফোনালাপ।

এসব দেখার কেউ নেই ।
আমাদের নীতি নির্ধারকেরা বলে থাকেন তাঁদের মডেল নাকি চীন, যদি তাই হয়ে থাকে চীনের মতো ইউটিউব, গুগল,ফেসবুক বন্ধ রাখলেই হয় (যদি ক্ষমতা থাকে)।

সবচেয়ে ভালো হয় দেশীটিউব, দেশীবুক, দেশীগুল বানালে।
আমাদের দেশের প্রখ্যাত কেউ একজন দায়িত্ব নিলেই হয়।

এলেবেলে -১৯

আমার বাড়িতে তিনটি একুইরিয়াম আছে। একটিতে আছে তিন বছর আগে বর্শি দিয়ে ধরা রুই মাছ। সেই মাছের সাথে অন্য দুই প্রজাতির মাছ রেখেছিলাম। একটি হচ্ছে গোল্ড ফিশ অন্যটি হচ্ছে উগুই (এর ইংরেজী বা বাংলা নাম কি হবে জানি না)। এই উগুই মাছটিও লেক থেকে বর্শি দিয়ে ধরেছিলাম (ইদানিং আমাকে catch and release এর নেশায় ধরেছে)।

এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেছিলাম একটি গোল্ড ফিশের দুটি চোখই নেই, চোখ উপড়ে ফেলেছে (আমি উগুইকে সন্দেহ করেছিলাম)। এর দুই দিন পর গোল্ড ফিশটি মারা যায়। আমি সাথে সাথেই গোল্ড ফিশকে অন্য একটি একুইরিয়ামে সরিয়ে নেই।

কিছু দিন পর প্রাকৃতিক ভাবেই উগুই মরে যায়।
একা হয়ে যায় রুই মাছটি। রুইয়ের একাকীত্ব দূর করতে আমি চারটি গোল্ড ফিস কিনে রুইয়ের একুইরিয়ামে দেই। আমার ধারনা ছিলো রুই মাছ তো গোল্ড ফিশ খাবে না। একসাথে রাখার ঘন্টা চারেক পর দেখি সেই মাছ গুলো রুইয়ের পেটে চলে গেছে।

সেই থেকে রুই একাই আছে।
গোল্ডফিসের জন্য অন্য একটা একুইরিয়াম।
বাকী একুইরিয়ামে খুব ছোট মাছ লেক থেকে ছোট নেট দিয়ে ধরে আনা।

এই মাছের গল্পের সাথে কোন কিছু মিলে গেলে তার দায় আমার নয়।

ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ৪টি জিনিস অবিলম্বে ডিলিট করুন

2Facebook

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা আপনার বিশেষ কয়েকটি তথ্যকেই তারা আপনার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

এই খবর কি ফেসবুকে পড়ছেন? যদি তা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। আর যদি তা না হয়, তাহলে অবিলম্বে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল খুলুন, আর ডিলিট করে দিন চারটি বিশেষ তথ্য। না হলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা।

যতই প্রাইভেসি ফিল্টার ব্যবহার কাজে লাগাক ফেসবুক, আদপে হ্যাকারদের পরাস্ত করা অত সহজ নয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা আপনার বিশেষ কয়েকটি তথ্যকেই তারা আপনার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এই সমস্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে তারা শুধু যে আপনার প্রোফাইল হ্যাক করতে পারে তা-ই নয়, আপনার আইডেন্টিটি জাল করে তারা গড়ে তুলতে পারে আপনার ডুপ্লিকেট আইডেন্টিটিও। সুরক্ষিত থাকার জন্য অবিলম্বে ডিলিট করুন এই চারটি তথ্য—

১. জন্মদিন: আপনার জন্মদিন ফেসবুকে উল্লেখ করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ভেবে দেখুন, প্যান কার্ড হোক বা ভোটার আইডি কার্ড কিংবা আধার কার্ড(বাংলাদেশে NID ) সর্বত্রই আপনার বয়স অথবা জন্মদিনের উল্লেখ থাকে। কাজেই আপনার ডুপ্লিকেট আইডেন্টিটি তৈরি করতে হলে আপনার জন্মদিন অপরিহার্য তথ্য।

২. নিজের চেক ইন: কখন কোথায় যাচ্ছেন, কোন রেস্তরাঁয় খাচ্ছেন কিংবা কোন সিনেমা হলে সিনেমা দেখছেন— তা ফেসবুকে জানাবেন না। আপনার পরিচিতি জাল করতে চায় যারা, তারা কিন্তু এই তথ্যগুলোই কাজে লাগাবে।

৩. নিজের ঠিকানা: নিজের বাসস্থানের ঠিকানা কখনোই জানাবেন না ফেসবুকে। এতে শুধু যে নিজের আইডেন্টিটি ডুপ্লিকেসির সম্ভাবনা বাড়বে তা নয়, কেউ চাইলে সরাসরি আপনার বাসস্থানে হামলাও চালাতে পারে।

৪. আপনার কর্মক্ষেত্র: আপনার অফিসের ঠিকানা শেয়ার করাও একই রকম বিপজ্জনক। দিনের একটা বড় অংশ সেই ঠিকানাতেই আপনি কাটাচ্ছেন। কতক্ষণ আপনি সেখানে থাকছেন, আপনার অফিস থেকে বাড়িতে যেতেই বা কতটা সময় লাগে- ইত্যাদি তথ্য আপনার প্রোফাইল হ্যাকিং-এর সম্ভাবনা বাড়ায়। কাজেই এই তথ্যও গোপন রাখাই ভাল।

সূত্র: এবেলা