স্পন্দিত অভিসারের নিপুণ ছায়ায় …
আমাদের অপেক্ষমান উত্তরসুরি যেন না হয় বিপন্ন।
.
.
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
স্পন্দিত অভিসারের নিপুণ ছায়ায় …
আমাদের অপেক্ষমান উত্তরসুরি যেন না হয় বিপন্ন।
.
.
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
যদি থেমে যায় শান্ত জীবনের সকল বসন্ত; জীবন ঘেরা স্বপ্নাঙ্গন-স্থির এই পুষ্প-শূন্যে…
শীত বৃক্ষের মতো। আসি যাই ফেরে সে; প্রান্তিক তটরেখার এই অবগুণ্ঠিতা মহাকালে !!
.
.
শব্দশিল্পী প্রিয় সুনয়ন অনুভব থেকে অনুপ্রাণিত।
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
তবুও তুমি. তবুও সেই তুমি আমি; জীবন সেই এক জীবনই. একই চাঁদ একই নদী …
ভালোবাসার একই রঙ. একই কাছে আসা. একই বয়ে যাওয়া … এক দুই তিন নিরবধি।
.
.
শব্দশিল্পী প্রিয় সুনয়ন অনুভব থেকে অনুপ্রাণিত।
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
মারিতে মারিতে কহিবে মিষ্ট. মারিয়া কহিবে আরো
মাথাটা কাটিয়া কাঁদিয়া উঠিবে. যতটা উচ্চে পারো
সুখ বা হোক দুখ বা হোক. প্রিয় বা অপ্রিয় …
অপরাজিত হৃদয়ে সব. বরণ করিয়া নিয়ো।
আদি : প্রহরিষ্যন্ প্রিয়ং ব্রূয়াৎ. প্রহৃত্যাপি প্রিয়োত্তরম্ –
অপি চাস্য শিরশ্ছিত্ত্রা. রুদ্যাৎ শোচেৎ তথাপি চ;
সুখং বা যদি বা দুঃখং. প্রিয়ং বা যদি বাপ্রিয়ম্.
প্রাপ্তং প্রাপ্তমুপাসীত. হৃদয়েনা পরাজিতঃ।
– মহাভারত, আদিপর্ব ১৪০.৫৬
– মহাভারত, শান্তিপর্ব ১৭৪.৩৯।
* মহাভারত মনুসংহিতা থেকে।
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
স্মৃতি- বিহঙ্গী চৈতন্যের নভে. মুক্তপক্ষে উড্ডীন বেগবতী …
কণ্ঠ মূর্ত অমরাবতীর স্তবে… চোখে স্বপ্নের মূর্চ্ছনা যেন শাশ্বতী।
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
তমসার নীল জলশয্যায় এখনও বাজে অনন্ত বিটোফেনের চেনা সিম্ফনি …
… তৃষ্ণার্ত রঙের গরল ধরায় তুমি আমিতে উচ্ছল; রঙিন তবু বিষণ্ন প্রকৃতি।
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
আশ্রয়হীনে মেলে দাও নির্জন অন্ধকারের আলোকিত শিখা …
পাশে নাও; আধো করোটিতে জ্বালো ভরসার বুনো গন্ধের বিভা।
________________________
___ রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন।
চাওয়ার স্বপ্ন সমীকরণ যখন মানুষের ক্ষেত্রে পজেটিভ হতে থাকে … তখন তার অন্তরটা যদি দেখা যায় … দেখি হৃদয়ের প্রতিটি কণিকা উদ্বেল আনন্দে নাচে; দেখি অনিন্দ্য সুন্দর।
মানসচক্ষে কর্মের স্বাক্ষরে; আজন্ম লালিত রোপিত শব কায়া …
যায় আমাদের দিন যায়; কর্ষিত প্রার্থনায় থাকে স্বপ্নহীন সব মায়া।
জ্যোৎস্নার কাছে রাত্রি সমর্পিতা মহার্ণবে অলৌকিক আল্পনা …
কল্পনা নয় শিল্পের আশ্রিতা অন্ধ প্রান্তর উচ্ছল এই নিঃশর্ত মূর্চ্ছনা।
তুমি বরুনা হলে হবো আমি সুনীল
তুমি আকাশ হলে হবো শঙ্খচিল
তুমি নদী হলে হবো আমি জল
তুমি শ্রাবণ হলে হবো শ্রাবণ ঢল।
তুমি পাহাড় হলে আমি সবুজ
তুমি শাসন করলে হবো আমি অবুঝ
তুমি অরণ্য হও হবো পাখি
তুমি অশ্রজল হলে হয়ে যাবো আঁখি।
তুমি জীবন হলে হয়ে যাবো আমি প্রেম
তুমি নকশি কাঁথা হলে হবো কারু হেম।
নারে না না না।
তুমি রাত্রি হলে হবো নিরবতা
তুমি দুঃখ পেলে হবো তারই ব্যাথা
তুমি প্রকৃতি হলে হবো তারই ছবি
তুমি কবিতা হলে হবো তার কবি
তুমি জীবন হলে হয়ে যাবো আমি প্রেম
তুমি নকশি কাঁথা হলে হবো কারু হে।
নারে না না না।।।
———————-
আর্টিস্টঃ মাহদি
অ্যালবামঃ বন্দনা।
httpv://youtu.be/sIdPLeBFOe0
মি. স্পর্শহীন অনুভূতি‘কে চলতি শব্দনীড় এ নিবন্ধন করার আহবান জানাচ্ছি।
অস্থায়ী ব্লগে তাঁর শেষ লিখাটি প্রদায়ক হিসেবে আমি স্বেচ্ছায় শেয়ার করলাম।
বিচ্ছিন্ন অনুভূতি
বরং অন্ধ হয়ে যাওয়াটাই অনেক ভালো…
বধির আর বোবা হয়ে,সমস্ত ধার করা স্মৃতিশক্তি আর
জমে ওঠা অনুভূতিগুলো নির্জন বিসর্জন দিয়ে
নিজের কাছ হতেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাই;
তবু,
ভাবনাগুলোকে দমিয়ে রাখা যায়না,
ভালোবাসাগুলোও জীবন্ত হয়ে দেখা দেয়,
অনুভূতিগুলো অবিরত সুরসুরি দিতে থাকে,
কল্পনার ক্যানভাসে রংধনুর সাত রঙ এসে খেলা করে …
_______________________________
পোস্ট প্রকাশের সময় : অগাষ্ট ১৭, ২০১৫ | ২৩:৪৩
ইমেইল আইডি : [email protected]
যাত্রা শুরু : ২০১৫-০৮-১৬
এস এম হৃদয় রহমান‘কে চলতি শব্দনীড় এ নিবন্ধন করার আহবান জানাচ্ছি।
অস্থায়ী ব্লগে তাঁর একমাত্র লিখাটি প্রদায়ক হিসেবে আমি স্বেচ্ছায় শেয়ার করলাম।
বাংলার সোহরাওয়ার্দী পরিবার
কিছুদিন আগে পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে বই ঘাটাঘাটি করছি। এরমধ্যে এই সেল্ফ ঐ সেল্ফ ঘাটতে ঘাটতে একটি বই পেলাম। বইটির নাম গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। বইটির লেখক আনু মাহমুদ। বইটি পড়ে প্রতারিত হলাম কিনা জানি না। যদি এই বইয়ের ইতিহাস সত্য হয় তাহলে এটা আমাদের গর্বের ইতিহাস। বইটির প্রথম অংশে ‘ জীবন নয়, ইতিহাস ’এই অধ্যায়টিতে সোহরাওয়ার্দী সাহেবের পূর্ব পুরুষ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে লেখক লিখেছেন, এক অসাধারণ ঐতিহ্যবাহী পরিবারে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জন্মগ্রহণ করেন।
এই পরিবারের প্রতিষ্ঠাতার নাম হজরত শেখ শাহাবউদ্দীন ওমর বিন মোহাম্মদ উস সোহরাওয়ার্দী। শেখ শাহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দী ছিলেন হজরত বড় পীর সৈয়দ শেখ আব্দুল কাদের জিলানীর প্রধান শিষ্য। শেখ শাহাবউদ্দীন ¯^য়ং অসামান্য পন্ডিত ও দার্শনিক ছিলেন। ‘আওয়ারেফুল মা’রীফ’ নামে তিনি এক পুস্তুক রচনা করেন। শেখ শাহাবউদ্দীনই সোহরাওয়ার্দীয়া সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা। শেখ শাহাবউদ্দীন সারা জীবন নিয়োজিত ছিলেন ইসলামের সেবায়। দিকে দিকে ইসলামের বাণী পৌছে দেয়াই ছিল তাঁর সারা জীবনের সাধনা। তিনি তাঁর পুত্র ও খলিফাদের ইরান, তুরান, তুকিস্তান, সিন্ধু, হিন্দুস্তান ও বাংলাদেশে প্রেরণ করেন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। শেখ শাহাবউদ্দীন ওমর বিন মোহাম্মদ উস সোহরাওয়ার্দীর পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস অধিকতর ঐতিহ্যপূর্ণ। পিতার দিক থেকে শেখ শাহাবউদ্দীন ছিলেন হযরত রাসুলে করিম (স) এর প্রথম খলিফা হযরত সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিকের এবং মাতার দিক থেকে ছিলেন হযরত ফাতেমা ও হযরত আলীর বংশধর। সুতরাং সোহরাওয়ার্দী পরিবার একই সঙ্গে সৈয়দ ও সিদ্দিকী উভয়েরই বংশধর। ভারত উপমহাদেশে সোহরাওয়ার্দীদের আগমন সম্পর্কে বইটিতে বলা হয়েছে- ভারত উপমহাদেশে সোহরাওয়ার্দীদের আগমন ঘটেছিল চিশতিদেরও আগে। দিল্লির নিজামউদ্দীন আউলিয়ার দরগা কমিটির সভাপতি শামসুল উলেমা খাজা হাসান নিজামী চিশতী এ প্রসঙ্গে লিখেছেন- “ইতিহাস থেকে দেকা যায় যে, ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চিশতী শেখদের ভারতে আগমনের আগেই সোহরাওয়ার্দী -শেখদের আগমন ঘটেছিল।“ সোহারাওয়ার্দী সিলসিলার অন্যতম প্রধান নেতা হযরত বাহউদ্দীন জাকারিয়া মুলতানির পৌত্র মওলানা রুকুনুদ্দীন সোহরাওয়ার্দীকে অভ্যর্থনা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজী তাঁর অমাত্য ও পরিষদ সমভিব্যাহারে দিল্লির প্রবেশদ্বারে হাজির হয়েছিলেন এবং সোহরাওয়ার্দী-শেখ সেখানে উপস্থিত হলে সম্রাট তাঁর রাজকীয় অশ্ব-শকট থেকে নেমে এসে তাঁর পদচুম্বন করেছিলেন। খাজা হাসান নিজামী চিশতির লেখা থেকে আরো জানা যায় যে, শেখ শাহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দীর দুই তনয়া বিহি নূর ও বিহি হুরকে দিল্লির চিশতী বস্তিতে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁদের সমাধির ওপর যে দরগা নির্মিত হয়, এখানে তা বিহি নূর কা দরগা নামে পরিচিত। সোহরাওয়ার্দী সিলসিলার আরেকজন কৃতি সন্তান আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী দিল্লির সুলতান বাহলুল লোধীর কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন। এছাড়া শেখ শাহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দীর অপর এক পুত্র মওলানা শামসুল আরেফিন ওরফে তুর্কমান শাহ্ দিল্লিতে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তুর্কমান গেটের কাছে তাঁর সমাধি রয়েছে। তাঁর নামানুসারেই এই গেটের নামকরন হয় তুর্কমান গেট। এছাড়া মানের শরিফ, বিহার শরিফ, গৌর ও পান্ডুয়ার সুফি বংশরাও সোহরাওয়ার্দীয়া সিলসিলার অন্তর্গত।
শেখ শরফুদ্দীন বিহারি ঢাকার অদূরে সোনারগাঁয়ে শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। তিনিও ছিলেন সোহরাওয়ার্দী বংশেরই সন্তান। মি এইচ ই স্টেপলটোন, আই ই এস তাঁর ‘গৌর ও পান্ডুয়ার স্মৃতিকথায়’ লিখেছেন, সিলেটের শাহ্জালালও সোহরাওয়ার্দী বংশ থেকেই উদ্ভুত। কথিত আছে, শেখ শাহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দীর নির্দেশক্রমে শাহ্জালাল ৩৬০ জন সুফি ও সাধু নিয়ে বাংলাদেশে আগমন করেন এবং তাঁরা গৌর, পান্ডুয়া, রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট ও অন্যান্য স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। কিংবদন্তি আছে, শেখ শাহাবউদ্দীন ¯^য়ং একবার বাংলাদেশ সফর করেন এবং সেই সফর শেষে বাগদাদে পৌছে দেহরক্ষা করেন। শেখ শাহাবউদ্দীন বাগদাদে সমাহিত রয়েছেন। ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে শেখ শাহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দীর অসামান্য অবদানের কথা বলতে গিয়ে প্রবন্ধটির লেখক বলেন, ১৯৫৭ সালে আমি সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরে যাই। সেখানে তুর্কিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় সোহরাওয়ার্দী – শেখদের বাগান, দরগা, খানকা, মসজিদ ও স্মৃতিস্তম্ভ দেখেছি। সেগুলোর মধ্যে চিলাবার গার্ডেন মসজিদ এবং উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দের ঠিক বাইরেই শেখ জয়েনউদ্দীন সোহরাওয়ার্দীর খানকা রয়েছে। আমি সেখানে ফাতেহা আদায় করেছিলাম। তাছাড় দক্ষিণাত্যের হায়দরাবাদ রাজ্যে নিজাম বংশের প্রতিষ্ঠাতা (১৭২৪) নিজামুল-মুলুক আসফ জা- ও শেখ শাহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দীর বংশধর ছিলেন।
_______________________________
পোস্ট প্রকাশের সময় : অগাষ্ট ২৬, ২০১৫ | ০৬:৫২
ইমেইল আইডি : [email protected]
যাত্রা শুরু : ২০১৫-০৮-২৫
আলোকমণ্ডিত পৃথিবী থেকে দ্রুত অন্ধকার সরে যায়
জাগতিক বৃক্ষের বুক থেকে বিদায় নেয় রাত্রি. আমি সৃষ্টির
দর্পণে রাখি হাত; পরিবর্তনশীল বিশাল ব্রহ্মাণ্ড ছুঁয়ে দেখি শূন্য।
ক্যানভাসের স্পষ্ট অহংকারে যোগাকার হয় রঙ জল তুলি …
যেন ফেভিকল বাস্তবতার অলংকারে সময়ের অবিন্যস্ত সন্ন্যাস।
আমি সেই আমি … নেই শুধু আমিতে।
শিরোনামটি হঠাৎ করেই মনে এলো। কোন কারণ বা অকারণের ব্যাখ্যায় যাবো না। সরল ভাষায় বললে বলে দিই আমি এই মুরুব্বী আদিনমান কোন না কোনভাবে আপনার এবং আপনাদের পাশাপাশি আছি। স্তুতিকথায় কার মনে কতোটা প্রভাব পড়ে জানি না; তবে আমি আপনাদের লিখায় লিখা শিখি। চেতনা প্রসূত হয়ে কখনও আবেগ তাড়িতও হই। ফলাফল আমার নিজের হাত মন্তব্যেই সীমিত হয়ে গেছে। মাঝেসাঝে খুব কষ্ট ধরে দুইয়েক লাইন অথবা পুরোনো কথারই গায়ে নতুন সুবাস চড়াই। এফবি’র পাতায় অনিয়মিত চাপিয়েও দেই। খুব একটা সাড়া মেলে তা নয়, মোটামুটি। পরীক্ষামূলক একটা প্রয়াস নিচ্ছি।
আমি সেই আমি পরিচয়টি বন্ধুদের উৎসাহ পেলে অনুমান হবে যাবে।