মুরুব্বী এর সকল পোস্ট

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter

সার্ভার উন্নয়ন চলছে: আপডেট এবং সমাপ্তি

প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা জানবেন। শব্দনীড় সম্প্রতি ইমেজ অথবা মন্তব্য ঘরে লিঙ্ক স্প্যামিং এর শিকার হয়েছে। নমুনা হিসেবে উপরে একটি গ্রাফ চিত্র দেখানো হয়েছে তাতে লক্ষ্য করা দেখুন অন্যান্য মাসের তুলনায় জুলাই ২০১৫ মাসে মাত্রাতিরিক্ত লিঙ্ক স্প্যামিং হয়েছে। স্প্যামিংকে ভাইরাস বলা যেতে পারে। যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।

সার্ভার উন্নয়নের কাজ চলছে।

ডাটাবেজ এরর সমস্যার জন্য আমরা ২২ জুলাই তারিখের ডাটায় চলে গেছি। পরবর্তী সময়ের ডাটা চলতি ডাটা’র সঙ্গে সংযুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরুন। ১০.০৮.২০১৫ ইং তারিখ রোজ সোমবার রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রকাশিত সকল ডাটা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। কারণ ব্লগ উন্নয়নকর্মী বিষয়টি দেখছেন।

এই মূহুর্তে আমাদের করণীয় :

১. যাদের আইডি হারিয়েছে তাঁরা অনুগ্রহ করে নতুন কিন্তু একই নামে আইডি খুলুন। এবং সংগ্রহে থাকা শব্দনীড় এ প্রকাশিত আপনার পোস্টকে পুনরায় রি-পোস্ট করুন। যা নতুন বলে বিবেচিত হবে।

২. নিয়মিত ব্লগিং করুন। শব্দনীড় এখন থেকে প্রতিদিনের ডাটা অটো ব্যাকআপ নেবে। যাতে করে ভবিষ্যতে ডাটা হারানোর সম্ভবনা থাকবে বলে মনে হয় না।

৩. আপনার পোস্ট বা মন্তব্যে ভিন্ন কোন সাইটের লিঙ্ক ব্যবহার থেকে সাবধান থাকুন। যদি কেউ করেন আপনি সেই মন্তব্য মুছে দিন। শব্দনীড়ও সেই লিঙ্ক মুছে দেবে। কেননা একজনের জন্য শব্দনীড় ব্লগ কোন ডাটা লস্ট হুমকীর মুখে পড়তে চায় না।

৪. শব্দনীড় এখন কিছু কিছু অপশন যোগ অথবা বিয়োগ করবে। ব্লগ ব্যবহারে আপনার কোন সমস্যা হলে শব্দনীড় এডমিনকে জানান।

[email protected]

পাশাপাশি ফেসবুকে শব্দনীড় লাইক পেইজ শব্দনীড় হোমপেজ এ থাকবে। লাইক দিয়ে সম্পৃক্ত থাকুন। যাতে করে শব্দনীড় এর হঠাৎ বা অনাকাঙ্খিত কোন সমস্যা হলে সেখানে তার বার্তা এবং উত্তর পাবেন। শুভ ব্লগিং। ধন্যবাদ।

অণুব্লগবুক স্ট্যাটাস (সাময়িক) দেখি কে আমাকে মন্তব্য দেয়

বন্ধুদের সবাইকে জানাচ্ছি ভালোবাসা এবং সম্মান।

আমার জন্য দীর্ঘ একটা সময় সেই মঙ্গলবার থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা প্রায় ৪ দিনের মতো ছেলেমেয়েদের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছিলো। ক্ষণিক এই স্বেচ্ছা অবসরের কারণে শব্দনীড় বন্ধুদের অনেকের সাথেই তেমন যোগাযোগ হয়ে উঠেনি; এমনকি শব্দনীড় ব্লগেও কারও পোস্টেও আমার আসা সম্ভব হয় নি। বারবার চেষ্টা করেছি। কখনও হোমপেজ দেখতে পেরেছি বটে। মন্তব্য দূরে থাক পোস্টে প্রবেশে বেশীরভাগ সময়ই হয়েছি ব্যর্থ।

একটি বিষয় আমি বেশ ভালো করেই এবার উপলব্ধি করতে পারলাম সেটা হচ্ছে বাংলাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্কের যত উন্নতিই সাধিত হোক না কেন বা দাবী হোক না কেন কথাটা আংশিক সত্য। পুরোটা নয়। প্রয়োজনে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত।

মোবাইলে আমি সাধারণত গ্রামীন 3.9 G এবং রবি 3.5 G ব্যবহার করি। অথচ সারাদিন বহু চেষ্টা করেও আমার মোবাইলে আমি 2G কানেকশনও আনতে পারিনি। এমনকি নেট প্রোভাইডার আমাকে স্তম্ভিত করে দিয়ে নেট শূন্য করেছে বহুবার। কেমন এক অস্বস্তি এবং অস্থিরতার আঁধারে নিমজ্জিত করেছে ডিজিটাল এই ব্যবস্থা। এই হচ্ছে শহর ছেড়ে সামান্য দূরের গ্রাম্য নেট ব্যবস্থার চালচিত্র।

যাই হোক আপনারা সবাই ভালো আছেন তো !! :)

শব্দনীড় এর কৃতজ্ঞতা এবং আপনার প্রতি আহবান

বাংলাদেশের ব্লগ জগৎ সম্পর্কে আপনাদের অল্প বিস্তর পরিচয় আছে নিশ্চয়। বেশীর ভাগ ব্লগ সাইটই কর্পোরেট পয়সায় চলে বাংলাদেশের মেইন স্ট্রীম মিডিয়ার মতো। সত্যিকারের গণমাধ্যমের যে স্বপ্ন সেটি কর্পোরেট স্বার্থের কাছে খুব অসহায় ভাবে গড়াগড়ি খায়। অমুক গ্রুপের পত্রিকা বা অমুক গ্রুপের টিভি বা অমুকের মুখ না দেখালেই নয় বা অমুক গ্রুপের মালিক আবার রাজনৈতিক এবং ব্যাবসায়িক ভাবে বেশ প্রভাবশালী- এসবই আমাদের গনমাধ্যমের আপাত চিত্র। এ সব পরিচালনায় তাদের অর্থ সংকটে পড়তে হয় না।

কিন্তু সাধারণ গণমানুষের কোন মাধ্যমকে চলতে গেলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। নিজের বিবেক বা নিরপেক্ষ বিশ্বাস, কোন দল বা গোষ্ঠীকে বন্ধক না রাখলে আজকের যুগে চলা অনেকটা অসম্ভব। শব্দনীড় এসব দেখে দেখে বিরক্ত হয়েছে বলেই কারো কাছে যায়নি। কষ্টের মধ্য থেকেও স্বপ্ন দেখেছে সব সাধারণ ব্লগারদের একটা প্লাট ফর্ম হোক; যেখানে সবাই অকপটে বলতে/প্রকাশ করতে পারবে নিজের কথা/ভাবনা। এমন একটা প্লাট ফর্ম যেখানে চাষাবাদ হবে না কু রাজনীতির বিষাক্ত ধুতরা ফুলের। যেখানে ক্ষোভ আর ক্লেদের নামে গালাগাল হবে না। ভিন্নমতকে এবং তর্ককে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে বিকশিত হবার সুযোগ যেখানে অবারিত এমন প্লাটফর্মের স্বপ্নই দেখেছিল শব্দনীড়। যেখানে চোখ রাঙ্গাবে না কর্পোরেট স্বার্থের গোপন ক্যামেরা। সবার সম্মিলিত ব্লগিং এ এবং সর্বজনীন মতে চলুক শব্দনীড় সামাজিক মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ।

অনেকে অবাক হবেন কারণ কোন স্পনসর ছাড়া কেবল মাত্র কয়েকজন সাধারণ চাকুরীজীবি কিভাবে গত পাঁচ বছর ধরে এই ব্যয় বহন করে আসছে !! আসলে আজকের এই দুর্দিনে দাঁড়িয়েও শব্দনীড় গর্ব করে বলতে পারে তার সাবেক রোদ্র উজ্জল সময়ের স্মৃতিকে সামনে রেখে … আমরা পেরেছি, আমরা পারবো। কেউ বাসা ভাড়া না দিয়ে, কেউ নিজের বিলাসিতা টুকু বাদ দিয়ে এই ব্লগকে সচল রেখেছেন। সময়ও মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়ায়, সুসময় গুলোও মাঝে মাঝে হয় স্বর্ণালী অতীত। উঠে দাঁড়াতে প্রয়োজন পড়ে নবীনের শক্ত হাতের হেঁচকা টান। এই সুন্দর পরিপাটি পরিমিত ব্লগটায় কালো পর্দা নামুক নিশ্চয় কেউ চাইবেন না। এই না চাওয়ার আহবানে আপানাদের সম্মিলিত হাতের প্রয়োজন। সবার একটু একটু অবদান আমাদের এই নীড়কে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

বাংলাদেশের ব্লগ জগতে অনেক ব্লগের উত্থান পতন দেখেছে ব্লগাররা। শব্দনীড়ের জন্য আমরা পতনটা না হয় না ই দেখলাম। জানবেন শব্দনীড় এর নাক উঁচু ভাব নেই, করপোরেট গন্ধ নেই। রাজনৈতিক বিষ বাষ্প ছড়ানোর রসদ নেই, হিট হবার জন্য ক্যাচাল পোস্ট নেই, ধর্মের প্রতি আক্রমন নেই, ধর্মের বাড়াবাড়িও নেই। ফেক নিকের বমি করা পোস্ট নেই। বাকি মূল্যায়ণ আপনাদের কাছে।

শব্দনীড় এর এই চলার পথে যারা সংকটে থেকেও আর্থিক এবং শান্তনার বাণী নিয়ে এগিয়ে এসেছেন শব্দনীড় তাঁদের সবার প্রতি জানায় অসীম কৃতজ্ঞতা।

আপনারা যারা নিয়মিত আছেন আমাদের আহবান থাকবে আপনারা ব্লগ লিখুন। ভিন্ন জনের লিখা পড়ুন। সম্ভব হলে আপনার মতামত দিন। এভাবেই বেড়ে উঠুক পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সৌহার্দ্যতা। শব্দনীড় বেঁচে থাকুক ভালোবাসায়।

শব্দনীড় নতুন পুরাতন বন্ধুরা নিজ প্রোফাইলে ছবি যোগ করুন

শব্দনীড় এর নতুন বন্ধুদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ব্লগিং এ আপনার কোন সমস্যা হলে এখানে বলুন। আমরা চেষ্টা করবো পরামর্শ দিয়ে আপনাকে সাহায্য করতে। তার আগে আপনার যা করণীয় আপনাকে সবিনয়ে স্মরণ করিয়ে দেই।

আপনি যদি শব্দনীড়ে নতুন অতিথি হন তাহলে নিচের অনুচ্ছেদগুলোয় আপনার জিজ্ঞাস্যসমূহের জবাব পেতে পারেন। ব্লগে মুদ্রিত পুরাতন এপিসোড। পড়ে নিন।

মেইলে প্রাপ্ত কিছু প্রশ্নের উত্তরে নতুন অতিথিদের জন্য:

০১. প্রথমে আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে।
০২. নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ব্লগের ২য় কলাম ‘নতুন এলেন‘ ঘরে আইডি দেখা যাবে। বুঝে নেবেন প্রাথমিক পর্যায়ে শব্দনীড় এ আপনার নিবন্ধন সঠিক হয়েছে।
০৩. নিবন্ধন হলে আপনি পোস্ট লিখা শুরু করতে পারবেন এমন নয়। নিবন্ধন তথ্য পরীক্ষা করার পর দ্রুততম সময়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্টিভেট হবে। তার আগে আপনি লগইন করতে পারবেন কিন্তু লিখা শুরু করতে পারবেন না।

০৪. ব্লগ অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হলো কিনা ‘নতুন বন্ধু‘ তালিকায় আপনার আইডির পাশে যদি ঘড়ির চিহ্ন দেখা যায় বুঝতে হবে আপনি অপেক্ষমান। টিক্ চিহ্ন দেখা গেলে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করা হয়েছে। আপনি নিয়ন্ত্রন কক্ষ ও নতুন পোস্ট লিখার ঘর পাবেন। এখন ব্লগ লিখুন।

০৫. নিবন্ধন পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয় ই-মেল পাবেন। নিবন্ধনের সময় আপনি যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন তা দিয়ে লগিন করতে পারবেন। তার আগে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হয়েছে কিনা দেখে নিন।

০৬. পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে পাসওয়ার্ড উদ্ধার বাটন ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড উদ্ধার সংক্রান্ত মেইল না পেলে [email protected] এ জানিয়ে দিন। সাথে আপনার ব্লগ আইডি জানাবেন। শব্দনীড় এ ব্যবহার করা ইমেল আইডি ভুল দেয়া থাকলে আপনি আপনার একাউন্ট রিঅ্যাকটিভ করতে পারবেন না।

০৭. পাসওয়ার্ড ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকলে লগিন করে প্রোফাইল সম্পাদনায় যেয়ে আপনার পাসওয়ার্ড বদলে নিন। অথবা বিকল্প প্রোফাইল সম্পাদনা অংশে।
০৮. শব্দনীড় এ বাংলায় লিখার জন্য কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে সাহায্য দেখুন।
০৯. আপনার লিখা পোস্টে ছবি ব্যবহারে পদ্ধতি এখানে পাবেন।

ব্যানার অংশে ড্যাশবোর্ড > নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও নতুন পোস্ট বাটনে ক্লিক দিন।

আপলোড পিকচার বাটনে কার্সার নিয়ে মাউস ক্লিক করুন।

ব্রাউজ বাটনে ক্লিক করে পিসিতে থাকা ২২০x২২০ মাপের ছবিটি দেখিয়ে দিন।

এবার আপলোড বাটনে মাউস ক্লিক করুন।

সামান্য অপেক্ষার পর যেমন দেখতে চান ছবিটিকে ক্রপ করে নিন।

ক্রপ হলে নেক্সট পপ আপ মেন্যূতে ক্লোজ বাটন ক্লিক করুন।

দেখুন আপনার আপলোড করা ছবিটি চলে এসেছে।

এবার প্রোফাইলে পাতার নিচে হাতের বাঁয়ে আপডেট বাটনটি ক্লিক করুন।

১০. নিজ প্রোফাইলে ছবি অবশ্যই ব্যবহার করবেন। এটি আপনাকে সহজ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি লগিন লাইনআপেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।

শব্দনীড় হোম পেজ এ একই ব্লগারের একটি পোস্ট প্রদর্শিত থাকাবস্থায় দ্বিতীয় পোস্ট প্রকাশ করা যাবে না। চলতি পোস্ট দ্বিতীয় পেজ এ যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নবাগতদের পোস্ট সম্পাদনা শেষে প্রকাশিত হবে। সঞ্চালকের প্রতি আস্থা রাখুন। সহ-ব্লগার হিসেবে শব্দনীড় এ আপনাকে স্বাগতম। ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।

প্রদায়কের ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

r:শব্দনীড় ব্যবহারের নিয়মাবলীতে নতুন বন্ধুদের স্বাগতম …

শব্দনীড় এর নতুন বন্ধুদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ব্লগিং এ আপনার কোন সমস্যা হলে এখানে বলুন। আমরা চেষ্টা করবো পরামর্শ দিয়ে আপনাকে সাহায্য করতে। তার আগে আপনার যা করণীয় আপনাকে সবিনয়ে স্মরণ করিয়ে দেই।

শব্দনীড় ব্লগের হোম পেজ এ অনলাইনে যারা আছেন তালিকায় ব্লগটির অতিথি সময় ভেদে প্রায় ৯০০ থেকে ১৫০০ জন থাকেন। জানা কথা, এই অতিথিদের মাঝে অনেকেই নিবন্ধিত ব্লগার রয়েছেন; যারা হয়তো ব্লগে লগিন করতে চাইছেন না কিন্তু পড়ছেন। অন্যদের অ্যাক্টিভিটিজ দেখছেন। আসুন নিবন্ধিত হয়ে ব্লগিং জীবনে নিজেকে প্রকাশ করি অন্য সবার মতো। সুপ্ত প্রতিভার প্রকাশ ঘটাই। বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই। মিলি বন্ধুত্বের নিবিড় ছায়াতলে।


প্রথমে আসবে ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন। চিত্রে ইপ্সিত রেজিষ্টার বাটনে ক্লিক করুন।


বৃত্তাকার চিহ্নিত অংশের নতুন নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করুন। নিবন্ধন


এটাই হচ্ছে নিবন্ধন ফরম। লাল বৃত্তাকার ঘর লক্ষ্য করুন। নিবন্ধন ফরম
_______________________________
০১. যে নামে লগিন করতে চান তা ইংরেজীতে টাইপ করুন।
০২. ইমেইল ঠিকানাটি লিখুন। ভুল দিলে নোটিফিকেশন যাবেনা।
০৩. যে নামে লিখতে চান বাংলায় লিখুন। নিক নেম সহজ সুন্দর বাঞ্ছনীয়।
০৪. দুইবার একই পাসওয়ার্ড এখানে বসিয়ে আপনার নিবন্ধন সম্পন্ন করুন

আপনি যদি শব্দনীড়ে নতুন অতিথি হন তাহলে নিচের অনুচ্ছেদগুলোয় আপনার জিজ্ঞাস্যসমূহের জবাব পেতে পারেন। ব্লগে মুদ্রিত পুরাতন এপিসোড। পড়ে নিন।

নতুন অতিথিদের জন্য:

০১. প্রথমে আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে।
০২. নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ব্লগের ২য় কলাম ‘নতুন এলেন‘ ঘরে আইডি দেখা যাবে। বুঝে নেবেন প্রাথমিক পর্যায়ে শব্দনীড় এ আপনার নিবন্ধন সঠিক হয়েছে।
০৩. নিবন্ধন হলে আপনি পোস্ট লিখা শুরু করতে পারবেন এমন নয়। নিবন্ধন তথ্য পরীক্ষা করার পর দ্রুততম সময়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্টিভেট হবে। তার আগে আপনি লগইন করতে পারবেন কিন্তু লিখা শুরু করতে পারবেন না।

০৪. ব্লগ অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হলো কিনা ‘নতুন বন্ধু‘ তালিকায় আপনার আইডির পাশে যদি ঘড়ির চিহ্ন দেখা যায় বুঝতে হবে আপনি অপেক্ষমান। টিক্ চিহ্ন দেখা গেলে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করা হয়েছে। আপনি নিয়ন্ত্রন কক্ষ ও নতুন পোস্ট লিখার ঘর পাবেন। এখন ব্লগ লিখুন।

০৫. নিবন্ধন পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয় ই-মেল পাবেন। নিবন্ধনের সময় আপনি যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন তা দিয়ে লগিন করতে পারবেন। তার আগে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হয়েছে কিনা দেখে নিন।

০৬. পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে পাসওয়ার্ড উদ্ধারবাটন ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড উদ্ধার সংক্রান্ত মেইল না পেলে [email protected] এ জানিয়ে দিন। সাথে আপনার ব্লগ আইডি জানাবেন। শব্দনীড় এ ব্যবহার করা ইমেল আইডি ভুল দেয়া থাকলে আপনি আপনার একাউন্ট রিঅ্যাকটিভ করতে পারবেন না।

০৭. পাসওয়ার্ড ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকলে লগিন করে প্রোফাইল সম্পাদনায় যেয়ে আপনার পাসওয়ার্ড বদলে নিন। অথবা বিকল্প প্রোফাইল সম্পাদনা অংশে।

০৮. পোস্টে ভিডিও যোগ করার পদ্ধতি।
০৯. ফটোবাকেট থেকে অনেক ছবি সহজে যোগ করার পদ্ধতি।
১০. বাংলায় লেখার জন্য কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে সাহায্য দেখুন।
১১. বাংলায় লিখার জন্য পড়ুন। এই ব্লগে বাংলা লিখবেন যেভাবে।
১২. লিখা বা মন্তব্য শুরু করার আগে দয়া করে অনুগ্রহ করে ব্লগবিধি পড়ুন।
১৩. ফটো শেয়ারিং সাইট থেকে নিজ পোস্টে ছবি আনার জন্য দেখুন এখানে।

১৪. নিজ প্রোফাইলে ছবি অবশ্যই ব্যবহার করবেন। এটি আপনাকে সহজ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি লগিন লাইনআপেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নিয়ম : ড্যাশবোর্ড > নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও নতুন পোস্ট > আপনার প্রোফাইল। আপলোড। ph5

শব্দনীড় হোম পেজ এ একই ব্লগারের একটি পোস্ট প্রদর্শিত থাকাবস্থায় দ্বিতীয় পোস্ট প্রকাশ করা যাবে না। চলতি পোস্ট দ্বিতীয় পেজ এ যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নবাগতদের পোস্ট সম্পাদনা শেষে প্রকাশিত হবে। সঞ্চালকের প্রতি আস্থা রাখুন। সহ-ব্লগার হিসেবে শব্দনীড় এ আপনাকে স্বাগতম। ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।

প্রদায়কের ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

একটি সুসংবাদে আমার দুটি ঈদ … ঈদ মোবারক

ঈদের এই আনন্দের সাথে যোগ হয়েছে আর একটি সু সংবাদ। কিছুক্ষণ আগে শব্দনীড় ব্লগ কর্তৃপক্ষ তাদের সঞ্চালক নির্বাচিত পোস্টে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন আমাদের প্রিয় শব্দনীড় আরও একমাস প্রাণ লাভ করেছে। পাশাপাশি এটাও তারা বলেছে আমাদের ছোট বড় অনুদান যদি অব্যহত থাকে নীড় তার অবারিত সেবা প্রিয় ব্লগারদের জন্য উৎসর্গ করে যাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমরা আনন্দিত হতে পারি। বিষাদের যে অন্ধকার মনে নেমে এসেছিলো বোধকরি আপাতত হলেও সেখানে পারিজাত আনন্দের ফল্গু ধারা এলো। ভালো লাগলো।

ঈদ আনন্দের দিন, খুশির দিন, উৎসবের দিন। ঈদ আমাদের জন্য বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ, খুশির বারতা। ঈদের গুরুত্ব আমাদের কাছে যেমন ধর্মীয় তেমনি সামাজিক। প্রতি বছরই ঈদ আসে নতুনের মত। এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে খুশীর সওগাত পবিত্র ঈদুল ফিতর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল তার কবিতায় লিখেছেন, ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। আপনাকে তুই বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’ আনন্দের সওগাত নিয়ে আসা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা ঈদ উৎসবে মিলিত হই সকল ভেদাভেদ ভুলে। চাওয়া পাওয়ার হিসাব না মিলিয়ে এক কাতারে সামিল হই। বুঝি মানুষ মানুষের জন্য।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শব্দনীড় এ আমার সকল সহব্লগার, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী, সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। যে যেখানে আছেন সবাই ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ঈদ মোবারক।

অনুষ্ঠিত হলো শব্দতরী মিলনমেলা, প্রকাশনা এবং শব্দনীড় সৃজনশীল লিখা পুরস্কার বিতরণী সহ শব্দতরী লিখক সূচী

প্রিয় বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানবেন।
প্রথমে সনির্বন্ধ ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। শব্দনীড় সৃজনশীল লিখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ এবং শব্দতরী মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের সচিত্র পূর্ণাঙ্গ পরিচিতি আপনাদের হাতে তুলে দিতে না পারার জন্য। বিলম্বের কারণ বিড়ম্বনা।

এই সুযোগে দুটো কথা বিনয়ের সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভীষণ ইচ্ছে করছে আজ। … আমি ব্যক্তি মুরুব্বী রাজধানী শহরের কেউ নই। অখ্যাত মফস্বল এলাকার মধ্যবিত্ত ঘরানার মানুষ। রাজধানীর মতো মহা জনসমুদ্রে আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষও কখনও হারিয়ে যাবার উপক্রম হয়। যেমনটা এবার হয়েছিল। ঠাঁই থাকে তো প্রিয় জিনিসটিই থাকেনা। যার সাথে আমার আঠারো ঘন্টার নিত্য সহবাস; তাকে মিস করতে হয়। উদ্বাস্তুর মত এখান থেকে সেখানে ঘুড়ে ফিরতে ফিরতে নিজের ঘর নিজের মানুষ ভালোবাসার পরিবেশ প্রতিদিনের আলাপনের যে শব্দভূমি সব যায় হারিয়ে। ইতিউতি খুঁজে ফিরি পরিচিত আবাস। আজ স্বভূমে।

বহুল আকাঙ্খিত শব্দনীড় পুরস্কার বিতরণী উৎসব
এবং সম্পাদিত শব্দতরী মোড়ক উন্মোচন সম্পন্ন হলো।

গত ৩রা জুন ২০১৪ রোজ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার হলে (নিচতলা) শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী, ৫ম বর্ষ. প্রথম সংখ্যার প্রকাশনা উৎসবের যে আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছিল তা অনুষ্ঠিত হলো আপনাদের সকলের সার্বজনীন অংশগ্রহণে এবং আন্তরিকতায়। যারা শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে এসেছেন এসেছিলেন সঙ্গ দিয়েছেন শব্দনীড় এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি নিরন্তর ভালোবাসা।

দেরীতে হলো বলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। আমি শেয়ার করতে চাই কিছু ছবি কিছু ক্ষণ কিছু স্মৃতি। আসুন দেখি।

আয়োজনের অপেক্ষায় মঞ্চ প্রস্তুত।

সম্মানিত প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি বৃন্দ।
কিছু কথায় : ডা. দাউদ এবং অনুষ্ঠান উপস্থাপক: সেতু।

মঞ্চে উপবিষ্ট প্রধান এবং বিশেষ অতিথি সহ সম্মানিত সভাপতি।

ব্লগারস ফোরাম, শব্দতরী এবং শব্দতরী নিয়ে স্বাগত এবং সূচনা বক্তব্যে জনাব জিয়া রায়হান।

বক্তব্য রাখছেন : জনাব মালেক টিপু। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক।

বক্তব্য রাখছেন : জনাব গোলাম মোহাম্মাদ কিবরিয়া। বিশিষ্ট সমাজসেবক, সভাপতি বাংলাদেশ সমিতি, রোম, ইতালী।

বক্তব্য রাখছেন : জনাব আনজীর লিটন। বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক।

বক্তব্য রাখছেন : জনাব মাহফুজুর রহমান। নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক। সাহিত্যিক এবং উপদেষ্টা চন্দ্রাবতী একাডেমি।

উপস্থিত থেকে অনুভূতি শেয়ার করছেন ব্লগার কবি কবীর হুমায়ূন।

উপস্থিত বন্ধুদের একাংশ।

শব্দতরী ৫ম বর্ষ. প্রথম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন।

ক্যাটাগরি- ০১ এর প্রথম পুরস্কার : জনাব মহাকালের প্রতিচ্ছবি।

ক্যাটাগরি- ০১ এর দ্বিতীয় পুরস্কার : জনাব কে এম রাকিব।
ক্যাটাগরি- ০১ এর তৃতীয় পুরস্কার : জনাব নাহিদ ধ্রুব।

ক্যাটাগরি- ০২ এর প্রথম পুরস্কার : জনাব মিশু মিলন।

ক্যাটাগরি- ০২ এর দ্বিতীয় পুরস্কার : জনাব জিয়াউল হক।

ক্যাটাগরি- ০২ এর তৃতীয় পুরস্কার : জনাব মাহাফুজুর রহমান।

ক্যাটাগরি- ০৩ এর প্রথম পুরস্কার : সম্মানিত ব্লগার ছবি।

ক্যাটাগরি- ০৩ এর দ্বিতীয় পুরস্কার : জনাব কবীর হুমায়ূন।

ক্যাটাগরি- ০৩ এর তৃতীয় পুরস্কার : জনাব মাসুম বাদল।

প্রতিযোগিতার সম্মানিত বিচারক : জনাব সীমান্ত প্রধান।

প্রতিযোগিতার সম্মানিত বিচারক : জনাব অ্যারেস শঙ্খবীর।

প্রতিযোগিতার সম্মানিত বিচারক : জনাব এমদাদুল হক তুহিন।

ব্লগ পরিচালক বিশেষ সম্মাননায় : আজাদ কাশ্মীর জামান।

সম্মানিত প্রধান অতিথি সাহিত্যিক জনাব মাহফুজুর রহমান নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক এর হাতে সৌজন্য সম্মাননা তুলে দেন আজাদ কাশ্মীর জামান।

বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজধানী রোম ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং শব্দতরী উপদেষ্টা হোসনে আরা বেগম এর হাতে সৌজন্য সম্মাননা তুলে দেন : এবিএম শিবলী।

সম্মানিত অতিথি জনাব আনজীর লিটন এর হাতে সৌজন্য সম্মাননা তুলে দেন জনাব জাকির হোসেন।

সম্মানিত অতিথি জনাব প্রতীক করিম এর হাতে সৌজন্য সম্মাননা তুলে দেন জনাব জিয়া রায়হান।
সম্মানিত অতিথি জনাব মালেক টিপু’র হাতে সৌজন্য সম্মাননা তুলে দেন জনাব আবু সাঈদ আহমেদ হরবোলা।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব আ, শ, ম, এরশাদ।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে চা চক্রের আড্ডায় গরম চা সহ ছোট খাটো আপ্যায়ন।

: ০১. মাহবুব আলী। ০২. ইমেল নাঈম। ০৩. মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ। সৃজনশীল লিখার চূড়ান্ত বিচার কার্য সম্পাদনে সম্মানিত বিচারক মণ্ডলী আপনারা যারা ছিলেন যাদের হাতে আমরা সম্মাননা স্মারক তুলে দিতে পারিনি; আমি পরে জানিয়ে দিতে পারবো তাঁরা কিভাবে সংগ্রহ করবেন। শব্দতরী নতুন পুরাতন যে কোন সংখ্যার বেলায়ও একই ভাবে তা প্রযোজ্য।

সৃজনশীল লিখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ এবং শব্দতরী প্রকাশনায় সহ সম্পাদক জনাব সুমন আহমেদ এবং নেপথ্যের সুহৃদ সহ শত ব্যস্ততার মাঝেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরো এই আয়োজনকে যারা শোভিত করেছেন তাঁদের সবার প্রতি আমার এবং শব্দনীড় পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা। সবাই ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন। নিরাপদে থাকুন। সর্বোপরি শব্দনীড় এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ এবং শুভ হোক ব্লগিং।

শব্দতরী পঞ্চম বর্ষ, ১ম সংখ্যায় যাদের লিখা প্রকাশিত হয়েছে – সম্পাদকীয় : জিয়া রায়হান। কবিতা : ফকির ইলিয়াস। আজাদ কাশ্মীর জামান। ফরিদ সুমন। সুমন আহমেদ। নাহিদ ধ্রুব। শাকিলা তুবা। মহাকালের প্রতিচ্ছবি। নাসরিন চৌধুরী। আফরোজা হক। রিয়া রিয়া। নাজমুন নাহার। ফাতিন আরফি। দাউদুল ইসলাম। ইসমাইল রফিক। মোকসেদুল ইসলাম। সেতু বন্ধন। স্বপ্নবাজ মেঘদূত।
গল্প : রেজা নুর। মাহবুব আলী। জুলিয়ান সিদ্দিকী। জসীম উদ্দিন মুহম্মদ। শাপলা। সেলিনা ইসলাম। আ, শ, ম, এরশাদ। তাহমিদুর রহমান। খালিদ উমর, আমির হোসেন। অনুবাদ : কে এম রাকিব। প্রবন্ধ : ইলা মুৎসুদ্দি। কবির হুমায়ুন। মাসুম বাদল। পিপীলিকা। কামরুল আলম। জাহাঙ্গীর আলম। কবিরনি। মুক্তগদ্য : বাবুল হোসেইন। অরুদ্ধ সকাল। রুখসানা কাজল। মুক্তিযুদ্ধ : মিনার হাসান। রসরচনা : মাহফুজুর রহমান। জাজাফী। প্রবাস : রাজিন। চিঠি : নম্রতা। সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল। সাহিত্য আলোচনা : সৌমিত্র চক্রবর্তী।

যাদের লিখা প্রকাশিত হয়েছে এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে লিখক কপি সংগ্রহ করতে পারেননি, বিনীত অনুরোধ আপনাদের সৌজন্য কপি ১৩২, দারুস সালাম রোড, কল্যাণপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

লিঙ্ক : শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ ই-লিটলম্যাগ। জনাব সুমন আহমেদ এর এক অনবদ্য সৃষ্টি। নামিয়ে নিন আপনার পিসিতে। পিডিএফ ফরমেটে পড়তে অসাধারণ লাগবে। ফাইল সাইজ: ১১.৪ এমবি। ই-লিটলম্যাগ পিডিএফ ব্যবহার নির্দেশীকা : ১। পরবর্তী পৃষ্ঠায় যেতে – ডান পাশের পৃষ্ঠা নম্বরে ক্লিক করুন। ২। পূর্বের পৃষ্ঠায় যেতে – বাম পাশের পৃষ্ঠা নম্বরে ক্লিক করুন। ৩। নির্দিষ্ট লেখায় যেতে- সূচিপত্রে লেখকের নামের উপর ক্লিক করুন। ৪। সূচিপত্রে ফেরত আসতে – লেখার শিরোনামের উপর ক্লিক করুন।

* কিছু ছবি হাতে না থাকায় শেয়ার করা গেলোনা। আপডেট এ সংযোজিত হবে।

আজ শব্দনীড় উৎসব … আপনি সবান্ধবে আমন্ত্রিত

অবশেষে বহুল আকাঙ্খিত শব্দনীড় পুরস্কার বিতরণী উৎসব
এবং সম্পাদিত শব্দতরী মোড়ক উন্মোচনের অপেক্ষায়।

আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আজ ৩রা জুন ২০১৪ রোজ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার হলে (নিচতলা) শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী, ৫ম বর্ষ. প্রথম সংখ্যার প্রকাশনা উৎসবের যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্খিত সার্বজনীন এক মিলন মেলা।
যার আংশিক অথবা অনেকটাই ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি :

মাহফুজুর রহমান
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক, উপদেষ্টা চন্দ্রাবতী একাডেমি।

বিশেষ অতিথি :

আনজীর লিটন
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার।

গোলাম মোহাম্মাদ কিবরিয়া
বিশিষ্ট সমাজসেবক, সভাপতি বাংলাদেশ সমিতি, রোম, ইতালী।

প্রতীক করিম
জেনারেল ম্যানেজার, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড।

মালেক টিপু
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক।

অনুষ্ঠান সূচি :
শব্দতরী প্রকাশনা উৎসব
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
চা চক্র ও আড্ডা।
অনুষ্ঠান স্থলের বারান্দার দিকে একটা টেবিলে থাকবে –
খাবার প্যাকেট। গরম পানির ফ্লাস্ক। টি ব্যাগ। ওয়ান টাইম গ্লাস। চিনির পাত্র। পানির জার। পানির গ্লাস। টিস্যু এবং চামচ থাকবে।
_______________________________________________

খাবার প্যাকেট :
এক পিছ কেক (গ্রান্ড সুইটস)
এক পিছ সমুচা (গ্রান্ড সুইটস)
এক পিছ মিষ্টি (রসের)
এবং ৩ পিছ ঘি’য়ে ভাজা রেশমী জিলাপী থাকবে।
_______________________________________________________

অতঃপর ব্লগার এবং অতিথিদের আড্ডা।
এর বাইরেও কোন পরামর্শ থাকলে সাদরে গ্রহণ করা হবে।

আয়োজনে : ব্লগারস ফোরাম। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া : শব্দনীড়।

লিখক সূচি শব্দতরী সম্পাদকের অনুমতি না থাকায় প্রকাশ করা সম্ভব হলোনা।

শব্দতরী নির্দ্ধারিত মূল্যঃ ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ টাকা) মাত্র।
লিখক তাঁর সৌজন্য সংখ্যা পাবেন। বাকি যে কেউ ইচ্ছে করলে বাড়তি বা সংগ্রহের জন্য অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিনিময় মূল্যে কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। যারা আসতে পারবেন না শব্দতরী সম্পাদক তাঁর নিজ পোস্টে জানিয়ে দেবেন কিভাবে বা কোন মাধ্যমে পরবর্তীতে শব্দতরী’র কপি সংগ্রহ করা যাবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আপনার সবান্ধব উপস্থিতি কামনা করছি। ধন্যবাদ।

বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম … জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি …

কাজী নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি। কালপুরুষ এই মহান প্রাণ একাধারে কবি সঙ্গীতজ্ঞ দার্শনিক সাহিত্যিক দেশপ্রেমী সাংবাদিক রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক। যিনি আজীবন মানুষের অত্যাচার এবং দাসত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন প্রতিবাদ করেছেন।

ইংরেজী ১৯২১ সাল। তখন দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। নজরুল কুমিল্লা থেকে কিছুদিনের জন্য দৌলতপুরে আলী আকবর খানের বাড়িতে থেকে আবার কুমিল্লা ফিরে যান ১৯ জুনে। এখানে যতদিন ছিলেন ততদিনে তিনি পরিণত হন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীতে। তাঁর মূল কাজ ছিল শোভাযাত্রা ও সভায় যোগ দিয়ে গান গাওয়া। তখনকার সময়ে তার রচিত ও সুরারোপিত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “এ কোন পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়, আজি রক্ত-নিশি ভোরে/ একি এ শুনি ওরে/ মুক্তি-কোলাহল বন্দী-শৃঙ্খলে” প্রভৃতি। এখানে ১৭ দিন থেকে তিনি স্থান পরিবর্তন করেছিলেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে আবার কুমিল্লায় ফিরে যান। ২১ নভেম্বর ছিল সমগ্র ভারতব্যাপী হরতাল। এ উপলক্ষে নজরুল আবার পথে নেমে আসেন; অসহযোগ মিছিলের সাথে শহর প্রদক্ষিণ করেন আর গান করেন, “ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী”। নজরুলের এ সময়কার কবিতা, গান ও প্রবন্ধের মধ্যে বিদ্রোহের ভাব প্রকাশিত হয়েছে। এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বিদ্রোহী নামক কবিতাটি। বিদ্রোহী কবিতাটি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় এবং সারা ভারতের সাহিত্য সমাজে খ্যাতি লাভ করে। নজরুল নিজেকে বর্ণনা করেন –

আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ জ্বালা, চির লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর !

আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালবাসা তার কাকন চুড়ির কন-কন।

মহা- বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।

আমি চির বিদ্রোহী বীর –
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির !

১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করে। এটি সপ্তাহে দুবার প্রকাশিত হতো। ১৯২০-এর দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন এক সময় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর পরপর স্বরাজ গঠনে যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের আবির্ভাব ঘটে তাতে ধূমকেতু পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল। এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে কবিগুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন –

কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু।
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।

পত্রিকার প্রথম পাতার শীর্ষে এই বাণী লিখা থাকতো। পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং একই দিনে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারি নজরুল বিচারাধীন বন্দী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক জবানবন্দী প্রদান করেন। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে এই জবানবন্দী দিয়েছিলেন। তার এই জবানবন্দী বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে। এই জবানবন্দীতে নজরুল বলেছেন:

আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজ বিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত। … আমি কবি, আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সে বাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায় বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে …।

১৬ জানুয়ারি বিচারের পর নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। নজরুলকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে যখন বন্দী জীবন কাটাচ্ছিলেন তখন (১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি ২২) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তার বসন্ত গীতিনাট্য গ্রন্থটি নজরুলকে উৎসর্গ করেন। এতে নজরুল বিশেষ উল্লসিত হন। এই আনন্দে জেলে বসে আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে রচনা করেন।

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে

আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।

আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে –
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার – ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে –
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,

আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;

আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!

আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।

মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!

কাজী নজরুল ইসলাম।
জন্ম : ২৪শে মে ১৮৯৯ ইং। ১১ই জৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ।
মৃত্যু : ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ ইং। ১২ই ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ। তথ্যসূত্র : অন্তর্জাল।
কবি’র ১১৫তম শুভ জন্মদিনে শব্দনীড় পরিবারের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী প্রকাশনা উৎসবে আপনি আমন্ত্রিত

সুপ্রিয় ব্লগার বন্ধুরা। শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে! আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ পোস্টের মাধ্যমে শব্দনীড় বন্ধুদের স্বতস্ফূর্ত এবং আন্তরিকতায় আস্থা রেখে সৃজনশীল লিখা আহবান করা হয়। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে প্রচুর লিখা আমাদের হাতে এসেছে। বিধায় লিখা প্রাপ্তির ঘরে আমরা প্রাপ্ত লিখার লিঙ্ক নিয়মিত প্রকাশ করতে থাকি। পাশাপাশি সকল পাঠক এবং ব্লগারদের প্রতিটি লিখায় ভোট দেবার আহবান জানানো হয়। লিখা প্রাপ্তি থেকে পাঠক ভোট প্রদান পর্যন্ত সকলের অভূতপূর্ব সাড়ায় আমরা বিমোহিত হয়েছি। আমরা কৃতজ্ঞ।

প্রদত্ত ভোট সতর্কতা এবং স্বচ্ছতার সাথে গণনার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের প্রাপ্ত ভোট ঘোষণা আনুযায়ী গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে প্রতিযোগিতায় পাঠকের বহুল অংশগ্রহণ থাকলেও ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায় নি! প্রকাশিত হয় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ ভোটের ফলাফল এ পাঠক ভোটে নির্বাচিত মোট ত্রিশটি লিখা। যা অপেক্ষমান থাকে চূড়ান্ত বিচার কার্য সম্পাদনে সম্মানিত বিচারক মণ্ডলীদের বিচার কার্যে প্রতিটি লিখায় নাম্বার প্রদানের। পরিশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিচারক মণ্ডলী তাঁদের রায় দেন। উঠে আসে তিন ক্যাটাগরির তিন জনের তিনটি করে সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ চূড়ান্ত ফলাফল। দেখুন।

চূড়ান্ত বিজয়ী: ক্যাটাগরি- ০১ (কবিতা, ছড়া, সঙ্গত, অনুবাদ) : ০১. কবি, কবিতা ও বিবেকের কথা – মহাকালের প্রতিচ্ছবি। ০২. ইয়েটস ও একটি প্রিয় কবিতা – কে এম রাকিব। ০৩. আমি পাগল হয়ে যাওয়ার আগে – নাহিদ ধ্রুব।

ক্যাটাগরি- ০২ (ছোটগল্প, অনুগল্প, শিশুতোষ, চিঠি) : ০১. গাওয়াল – মিশু মিলন। ০২. হাজতী – জিয়াউল হক। ০৩. আইল্যা – মাহাফুজুর রহমান।

ক্যাটাগরি- ০৩ (প্রবন্ধ, সমসাময়িক, রম্য রচনা, ভ্রমণ) : ০১. আহসান মঞ্জিল – ছবি। ০২. রবির উপর বাউলের ছায়া – কবীর হুমায়ূন। ০৩. মানবতাবোধে উজ্জীবিত সৃজনশীল ও সফল মানুষের পৃথিবী দেখতে চাই – মাসুম বাদল।

চূড়ান্ত ফলাফলে যারা বিজয়ী হলেন তাদের সবাইকে আয়োজক কর্তৃপক্ষ এবং শব্দনীড়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এবং চূড়ান্ত ফলাফল বাছাইয়ে সহযোগিতার জন্য সম্মানিত বিচারক মণ্ডলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা বিজয়ী হতে পারেন নি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ সহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একে সার্থক করে তোলার জন্য এবং যারা ভোট প্রদান করেছেন এবং প্রতিযোগিতাকে সুন্দরভাবে সমাপ্তির পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন তাদের সহ সকল ব্লগার, পাঠক দের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান স্বেচ্ছা দায়িত্ব নেয়া সুমন আহমেদ।

উদ্যোগ নেয়া হয় সৃজনশীল এবং চমৎকার আঙ্গিকের একটি অনন্য ই-লিটলম্যাগ এর। প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত লিখা গুলো সম্পাদনা হীন ভাবে সেখানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। উদ্দেশ্য বহুদিন পর কোন এক অলস দুপুরে কিংবা সন্ধ্যায় যখন লেখক তাঁর লেখালেখির স্মৃতি রোমন্থনে যখন খুলে বসবেন এই ই-লিটলম্যাগ, হয়ত সেদিন পুরনো লিখাটি পুনরায় পাঠ করে অতীত এবং বর্তমানকে সামনে রেখে নিজেই নিজের লিখাকে মূল্যায়ন করতে সমর্থ হবেন যা কোন নবীন লিখিয়েকে পথ দেখাবে। প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে সার্থক হয়ে উঠে। অভিনন্দন সকল বিজয়ীকে। আশা করা হয় সৃষ্টির এ হাত কখনও থেমে যাবে না। শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ ই-লিটলম্যাগ। ফাইল সাইজ: ১১.৪ এমবি।

আহবান করা হয় শব্দতরী পঞ্চম বর্ষ, প্রথম সংখ্যার জন্য লেখা আহ্বান। সেরা সৃজনশীল লিখা গুলোন সহ স্বপ্রণোদিত হয়ে যারা শব্দতরী সম্পাদক বরাবর লিখা পাঠিয়েছেন; সম্পাদিত সেই লিখা গুলোন নিয়ে অবশেষে বহুল আকাঙ্খিত শব্দতরী মোড়ক উন্মোচনের অপেক্ষায়। এই মহোৎসবে আমরা আপনাকে চাই।

সুধী।
অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আগামী ৩রা জুন ২০১৪ বিকেল ৫ টায় পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার হলে (নিচতলা) শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী, ৫ম বর্ষ. প্রথম সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আপনার স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে জিয়া রায়হান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি :

মাহফুজুর রহমান
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক, উপদেষ্টা চন্দ্রাবতী একাডেমি।

বিশেষ অতিথি :

আনজীর লিটন
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার।

গোলাম মোহাম্মাদ কিবরিয়া
বিশিষ্ট সমাজসেবক, সভাপতি বাংলাদেশ সমিতি, রোম, ইতালী।

প্রতীক করিম
জেনারেল ম্যানেজার, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড।

মালেক টিপু
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক।

অনুষ্ঠান সূচি :
শব্দতরী প্রকাশনা উৎসব
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
চা চক্র ও আড্ডা।

আয়োজনে : ব্লগারস ফোরাম। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া : শব্দনীড়।

সৃজনশীল লিখার চূড়ান্ত বিচার কার্য সম্পাদনে সম্মানিত বিচারক মণ্ডলী যারা ছিলেন : ০১. মাহবুব আলী। ০২. অ্যারেস শঙ্খবীর। ০৩. নাজমুল হুদা। ০৪. ইমেল নাঈম। ০৫. সীমান্ত প্রধান। ০৬. মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ। ০৭. এমদাদুল হক তুহিন। আমরা আশা করবো বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অবশ্যই আপনারা উপস্থিত থাকবেন। আপনাদের জন্য থাকবে সম্মাননা স্মারক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী প্রকাশনা এই উৎসবে আপনি সবান্ধবে আমন্ত্রিত। সম্ভব হলে ফেসবুক আইকনে sc14 ক্লিক করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

শব্দনীড় বন্ধুদের কারা ঢাকায় বাস করছেন জানতে দিন (নামের তালিকা আপডেট)

প্রিয় শব্দনীড় বন্ধুরা। শুভেচ্ছা সহ সম্মান জানবেন।

বিশেষ একটি কারণে আমার সহ শব্দনীড় এর জানা প্রয়োজন যে, শব্দনীড় ব্লগে ব্লগিং করছেন এমন কতজন বন্ধু আছেন যারা নিয়মিত অথবা অনিয়মিত, স্থায়ী অথবা অস্থায়ী, চাকুরী শিক্ষা কিংবা পারিবারিক সূত্রে ঢাকা অথবা ঢাকার পার্শ্ববতী এলাকায় বসবাস করছেন।

যারা রয়েছেন অনুগ্রহ করে এই পোস্টে আমাকে নিশ্চিত করুন।
একটি সুসংবাদ অচিরেই আপনাদের জানাতে চাই।
যেখানে আমরা মিলিত হতে পারবো।
মতবিনিময় করতে পারবো।
আড্ডা দিতে পারবো।
হালকা নাস্তাও হবে।

মূল আয়োজনে দূরের বন্ধুরা নিশ্চয়ই থাকবেন। তবে ঢাকায় যারা আছেন বিশেষ করে তাদের স্বল্প সময়ের নোটিসে পাবো এই প্রত্যাশাতেই পোস্টটি সাময়িক ভাবে দেয়া হলো। সবাই ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন।

শব্দনীড় এর সাথে থাকুন। এগিয়ে যাই সৌহার্দ্য আর ভালোবাসায়। ধন্যবাদ।
ফেসবুক যোগাযোগ : আজাদ কাশ্মীর জামান।

অতঃপর ঢাকায় থাকি’তে যাদের পেলাম। :)

০১. দীপক সাহা।
০২. কবিরনি।
০৩. মহাকালের প্রতিচ্ছবি।
০৪. কে এম রাকিব।
০৫. গাজী তারেক আজিজ।
০৬. শামীম আনসারী সুমন।
০৭. ইকবাল হোছাইন ইকু।
০৮. মোকসেদুল ইসলাম।
০৯. চারুমান্নান।
১০. মোঃ খালিদ উমর।
১১. অবিবেচক দেবনাথ।
১২. এস. এম. কামরুল আহসান।
১৩. স্বপ্নবাজ মেঘদূত।
১৪. উড়োচিঠি।
১৫. বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।
১৬. আফরোজা হক।
১৭. শাকিলা তুবা।
১৮. শামীম সুজায়েত।
১৯. জাকিয়া জেসমিন যূথী।
২০. কবীর হুমায়ূন।
২১. আজিম হোসেন আকাশ।
২২. বখতিয়ার শামিম।
২৩. সীমান্ত প্রধান।
২৪. একজন নিশাদ।
২৫. রাজিব সরকার।
২৬. আল আমিন ডলার পাঠান।
২৭. শেহজাদ আমান।
২৮. আ,শ,ম,এরশাদ।
২৯. মোঃ আমিনুল ইসলাম।
৩০. মাসুম বাদল।
৩১. আলীম হায়দার।
৩২. সালমা টুটুল।
৩৩. ডা. দাউদ।
৩৪. সোহেল মাহামুদ।
৩৫. মাহাফুজুর রহমান।
৩৬. হাসান মেহেদী।
৩৭. তাহমিদুর রহমান।
৩৮. কুহক।
৩৯. নাহিদ ধ্রুব।
৪০. দুর্জয় অভি।
৪১. সুমন আহমেদ।
৪২. জাফর পাঠান।
৪৩. বলন কাঁইজি।

দাওয়াত পোস্টে ফোন নাম্বার দেয়া হবে। যিনি অভ্যর্থনায় থাকবেন।
তালিকা থেকে কেউ বাদ পড়লে আওয়াজ দেবেন। আমি যোগ করে নেবো।

বিস্তারিত ইভেন্ট জানতে এবং জানাতে এবার মূল পোস্টে চলে আসুন :
সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী প্রকাশনা উৎসবে আপনি আমন্ত্রিত। ফেসবুক লোগোতে ক্লিক করে শেয়ার করুন।

কবি গুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথের ১৫৩ তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সঙ্গীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

রবীন্দ্রনাথ কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তাঁর “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তাঁর পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ জীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তাঁর মৃত্যু হয়।

রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র জনসাধারনকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শন চেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেব বিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথে গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তাঁর রচিত আমার সোনার বাংলা ও জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গান দুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত।

জীবনঃ মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)

শৈশব ও কৈশোর (১৮৬১ – ১৮৭৮) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫) এবং মা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫)। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা। ১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতৃবিয়োগ ঘটে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে অতিবাহিত করতেন। তাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে। শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয়-শিক্ষায় তাঁর মন না বসায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর ও পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ।

১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন। প্রথমে তাঁরা আসেন শান্তিনিকেতনে। এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি দেখেন। শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই (অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়। এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন। দেবেন্দ্রনাথ তাঁকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবনী, কালিদাস রচিত ধ্রুপদি সংস্কৃত কাব্য ও নাটক এবং উপনিষদ পাঠেও উৎসাহিত করতেন। ১৮৭৭ সালে ভারতী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এই রচনাগুলো হলো মাইকেল মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ এবং ‘ভিখারিণী’ ও করুণা নামে দুটি গল্প। এগুলির মধ্যে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই কবিতাগুলি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে “ভানুসিংহ” ভণিতায় রচিত। রবীন্দনাথের ‘ভিখারিণী’ গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প। ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথক কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কবিকাহিনী। এই পর্বে তিনি রচনা করেছিলেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) কাব্যগ্রন্থটি। বিখ্যাত কবিতা ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

SUBHA  3a যৌবন (১৮৭৮-১৯০১) ১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে তিনি ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইন বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন শেক্সপিয়ার ও অন্যান্য ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। এই সময় তিনি বিশেষ মনোযোগ সহকারে পাঠ করেন রিলিজিও মেদিচি, কোরিওলেনাস এবং অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা। এই সময় তাঁর ইংল্যান্ড বাসের অভিজ্ঞতার কথা ভারতী পত্রিকায় পত্রাকারে পাঠাতেন রবীন্দ্রনাথ। পত্রিকায় এই লেখাগুলি জ্যেষ্ঠভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচনাসহ প্রকাশিত হত য়ুরোপযাত্রী কোনো বঙ্গীয় যুবকের পত্রধারা নামে। ১৮৮১ সালে সেই পত্রাবলি য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র নামে গ্রন্থাকারে ছাপা হয়। এটিই ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রথম গদ্যগ্রন্থ তথা প্রথম চলিত ভাষায় লেখা গ্রন্থ। শেষে ১৮৮০ সালে প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে এবং ব্যারিস্টারি পড়া শুরু না করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।

১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী (১৮৭৩–১৯০২ )। রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর পাঁচটি সন্তান হয়েছিল: মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১), রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩), মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) ও শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭)। এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে।

robi2 ১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে নদিয়া (নদিয়ার উক্ত অংশটি অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা), পাবনা ও রাজশাহী জেলা এবং উড়িষ্যার জমিদারির তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছিলেন। জমিদার রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে “পদ্মা” নামে একটি বিলাসবহুল পারিবারিক বজরায় চড়ে প্রজাবর্গের কাছে খাজনা আদায় ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে যেতেন। গ্রামবাসীরাও তাঁর সম্মানে ভোজসভার আয়োজন করতো।

১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের অপর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ মানসী প্রকাশিত হয়। কুড়ি থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তাঁর আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও গীতিসংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলি হল প্রভাতসংগীত, শৈশবসঙ্গীত, রবিচ্ছায়া, কড়ি ও কোমল ইত্যাদি। ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের সম্পাদিত সাধনা পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশিত হয়। তাঁর সাহিত্যজীবনের এই পর্যায়টি তাই “সাধনা পর্যায়” নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ গ্রন্থের প্রথম চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই এই পর্যায়ের রচনা। এই ছোটগল্প গুলিতে তিনি বাংলার গ্রামীণ জনজীবনের এক আবেগময় ও শ্লেষাত্মক ছবি এঁকেছিলেন।

মধ্য জীবনঃ মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৯০১–১৯৩২)

১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে। এখানে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৮ সালে একটি আশ্রম ও ১৮৯১ সালে একটি ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্রমের আম্রকুঞ্জ উদ্যানে একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চালু করলেন ‘ব্রহ্মবিদ্যালয়’ বা ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামে একটি পরীক্ষামূলক স্কুল। ১৯০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী মারা যান। ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কন্যা রেণুকা, ১৯০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ১৯০৭ সালের ২৩ নভেম্বর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়।

এসবের মধ্যেই ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ করেন আধুনিক কৃষি ও গোপালন বিদ্যা শেখার জন্য। ১৯০৭ সালে কনিষ্ঠা জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কেও কৃষিবিজ্ঞান শেখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

এই সময় শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ে অর্থসংকট তীব্র হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পুত্র ও জামাতার বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়ভারও রবীন্দ্রনাথকে বহন করতেন। এমতাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর গয়না ও পুরীর বসতবাড়িটি বিক্রি করতে বাধ্য হন।

ইতিমধ্যেই অবশ্য বাংলা ও বহির্বঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯০১ সালে নৈবেদ্য ও ১৯০৬ সালে খেয়া কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি (ইংরেজি অনুবাদ, ১৯১২) কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে প্রদান করে। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “স্যার” উপাধি (নাইটহুড) দেয়।

১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনের অদূরে সুরুল গ্রামে মার্কিন কৃষি-অর্থনীতিবিদ লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনের আরও কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রের সহায়তায় রবীন্দ্রনাথ “পল্লী সংগঠন কেন্দ্র” নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতিসাধন, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা এবং সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে রাখেন “শ্রীনিকেতন”। শ্রীনিকেতন ছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রতীক ও প্রতিবাদ সর্বস্ব স্বরাজ আন্দোলনের একটি বিকল্প ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ গান্ধীর আন্দোলনের পন্থাটির বিরোধী ছিলেন। পরবর্তীকালে দেশ ও বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ, দাতা ও অন্যান্য পদাধিকারীরা শ্রীনিকেতনের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন।

১৯৩০-এর দশকের প্রথম ভাগে একাধিক বক্তৃতা, গান ও কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় সমাজের বর্ণাশ্রম প্রথা ও অস্পৃশ্যতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

শেষ জীবনঃ মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৯৩২–১৯৪১)

জীবনের শেষ দশকে ১৯৩২ থেকে ১৯৪১ রবীন্দ্রনাথের মোট পঞ্চাশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তাঁর এই সময়কার কাব্যগ্রন্থ গুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পুনশ্চ (১৯৩২), শেষ সপ্তক (১৯৩৫), শ্যামলী ও পত্রপুট (১৯৩৬) – এই গদ্যকবিতা সংকলন তিনটি। জীবনের এই পর্বে সাহিত্যের নানা শাখায় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর এই পরীক্ষা নিরীক্ষার ফসল হল তাঁর একাধিক গদ্যগীতিকা ও নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা (১৯৩৬; চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২) কাব্যনাট্যের নৃত্যাভিনয়-উপযোগী রূপ), শ্যামা (১৯৩৯) ও চণ্ডালিকা (১৯৩৯) নৃত্যনাট্যত্রয়ী। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ তিনটি উপন্যাসও দুই বোন (১৯৩৩), মালঞ্চ (১৯৩৪) ও চার অধ্যায় (১৯৩৪) এই পর্বে রচনা করেছিলেন। তাঁর অধিকাংশ ছবি জীবনের এই পর্বেই আঁকা। সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শেষ বছরগুলিতে বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন বিশ্বপরিচয়। এই গ্রন্থে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের আধুনিকতম সিদ্ধান্তগুলো সরল বাংলা গদ্যে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে তাঁর অর্জিত জ্ঞানের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তাঁর কাব্যেও। সে (১৯৩৭), তিন সঙ্গী (১৯৪০) ও গল্পসল্প (১৯৪১) গল্পসংকলন তিনটিতে তাঁর বিজ্ঞানী চরিত্র-কেন্দ্রিক একাধিক গল্প সংকলিত হয়েছে। পরবর্তীতে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায় এবং সমাদৃত হয়।

জীবনের এই পর্বে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্রতম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ বিহার প্রদেশে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুকে গান্ধীজি “ঈশ্বরের রোষ” বলে অভিহিত করলে, রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজির এহেন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেন এবং প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেন। কলকাতার সাধারণ মানুষের আর্থিক দুরবস্থা ও ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক অবক্ষয় তাঁকে বিশেষভাবে বিচলিত করে তুলেছিল। গদ্যছন্দে রচিত একটি শত-পঙক্তির কবিতায় তিনি এই ঘটনা চিত্রায়িতও করেছিলেন।

জীবনের শেষ চার বছর ছিল তাঁর ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়। এই সময়ের মধ্যে দুই বার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি ছিল মৃত্যু চেতনাকে কেন্দ্র করে সৃজিত কিছু অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা। মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

httpv://youtu.be/vD8GeZ7jnEo
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে এ জীবন পূণ্য করো দহন- দানে।
বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন : সুব্রত হোতা।

কবি গুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন পঞ্জিকা শেষ অংশ।

প্রদায়কের ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

সুকান্ত ভট্টাচার্যের তিনটি কবিতা

হে মহাজীবন

হে মহামানব, আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন কঠোর গদ্যে আনো,
পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।
প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়ঃ
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।।
_________________________________

লেনিন

লেনিন ভেঙেছে রুশে জনস্রোতে অন্যায়ের বাঁধ,
অন্যায়ের মুখোমুখি লেনিন প্রথম প্রতিবাদ।
আজকেও রাশিয়ার গ্রামে ও নগরে
হাজার লেনিন যুদ্ধ করে,
মুক্তির সীমান্ত ঘিরে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে।
বিদ্যুৎ-ইশারা চোখে, আজকেও অযুত লেনিন
ক্রমশঃ সংক্ষিপ্ত করে বিশ্বব্যাপী প্রতীক্ষিত দিন,-
বিপর্যস্ত ধনতন্ত্র, কন্ঠরুদ্ধ, বুকে আর্তনাদ;
-আসে শত্রুজয়ের সংবাদ।

সযত্ন মুখোশধারী ধনিকেরও বন্ধ আস্ফালন,
কাঁপে হৃৎযন্ত্র তার, চোখে মুখে চিহ্নিত মরণ।
বিপ্লব হয়েছে শুরু, পদানত জনতার ব্যগ্র গাত্রোত্থানে,
দেশে দেশে বিস্ফোরণ অতর্কিতে অগ্নুৎপাত হানে।
দিকে দিকে কোণে কোণে লেনিনের পদধ্বনি
আজো যায় শোনা
দলিত হাজার কন্ঠে বিপ্লবের আজো সম্বর্ধনা।
পৃথিবীর প্রতি ঘরে ঘরে,
লেনিন সমৃদ্ধ হয় সম্ভাবিত উর্বর জঠরে।
আশ্চর্য উদ্দাম বেগে বিপ্লবের প্রত্যেক আকাশে
লেনিনের সূর্যদীপ্তি রক্তের তরঙ্গে ভেসে আসে;
ইতালী, জার্মান, জাপ, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, চীন,
যেখানে মুক্তির যুদ্ধ সেখানেই কমরেড লেনিন।
অন্ধকার ভারতবর্ষঃ বুভুক্ষায় পথে মৃতদেহ-
অনৈক্যের চোরাবালি; পরস্পর অযথা সন্দেহ;

দরজায় চিহ্নিত নিত্য শত্রুর উদ্ধত পদাঘাত,
অদৃষ্ট ভর্ৎসনা-ক্লান্ত কাটে দিন, বিমর্ষ রাত
বিদেশী শৃঙ্খলে পিষ্ট, শ্বাস তার ক্রমাগত ক্ষীণ-
এখানেও আয়োজন পূর্ণ করে নিঃশব্দে লেনিন।

লেনিন ভেঙেছে বিশ্বে জনস্রোতে অন্যায়ের বাঁধ,
অন্যায়ের মুখোমুখি লেনিন জানায় প্রতিবাদ।
মৃত্যুর সমুদ্র শেষ; পালে লাগে উদ্দাম বাতাস
মুক্তির শ্যামল তীর চোখে পড়ে, আন্দোলিত ঘাস।
লেনিন ভূমিষ্ট রক্তে, ক্লীবতার কাছে নেই ঋণ,
বিপ্লব স্পন্দিত বুকে, মনে হয় আমিই লেনিন।।
_________________________________

কলম

কলম, তুমি কত না যুগ কত না কাল ধরে
অক্ষরে অক্ষরে
গিয়েছ শুধু ক্লান্তিহীন কাহিনী শুরু করে।
কলম, তুমি কাহিনী লেখো, তোমার কাহিনী কি
দুঃখে জলে তলোয়অরের মতন ঝিকিমিকি?

কলম, তুমি ধুধু বারংবার
আনত করে ক্লান্ত ঘাড়
গিয়েছ লিখে স্বপ্ন আর পুরনো কত কথা,
সাহিত্যের দাসত্বের ক্ষুধিত বশ্যতা।
ভগ্ন নিব, রুগ্ন দেহ জলের মত কালি
কলম, তুমি নিরপরাধ তবুও গালাগালি
খেয়েছ আর সয়েছ কত লেখকদের ঘৃণা,
কলম, তুমি চেষ্টা করো, দাঁড়াতে পারো কি না।

হে কলম! তুমি কত উতিহাস গিয়েছ লিখে,
লিখে লিখে শুধু ছড়িয়ে দিয়েছ চতুর্দিকে।
তবু ইতিহাস মূল্য দেবে না, এতটুকু কোণ
দেবে না তোমায়, জেনো ইতিহাস বড়ই কৃপণ
কত লাঞ্ছনা, খাটুনি গিয়েছে লেখকের হাতে
ঘুমহীন চোখে অবিশ্রান্ত অজস্র রাতে।
তোমার গোপন অশ্রু তাইতো ফসল ফলায়
বহু সাহিত্য বহু কাব্যের বুকের তলায়।
তবু দেখ বোধ নেই লেখকের কৃতজ্ঞতা,
কেন চলবে এ প্রভুর খেয়ালে, লিখবে কথা?

হে কলম! হে লেখনী! আর কত দিন
ঘর্ষণে ঘর্ষণে হবে ক্ষীণ?
আর কত মৌন-মূক, শব্দহীন দ্বিধান্বিত বুকে
কালির কলঙ্ক চিত্ন রেখে দেবে মুখে?
আর, কত আর
কাটবে দুঃসহ দিন দৃর্বার লজ্জার?
এ দাসত্ব ঘুচে যাক, এ কলঙ্ক মুছে যাক আজ
কাজ করো-কাজ।
_________________________________

শুভ জন্মদিন … সুমন আহমেদ

জলে সন্তরণ

ক্লান্তির ঘোর হতে উঠে আসি
তোমার হাওড়ের জলে সুচতুর করি স্নান।
চৈত্র খরায় তোমার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে
তৃষ্ণা মেটাই।

আমাদের অন্তর জানে উত্তাপের ভাষা
জানে শীত গ্রীষ্ম বিষয়ক অনুক্ত শব্দমালা।
আমরা নেমে পড়ি, নিবিড় আলিঙ্গনে
খসে পড়ে স্বর্গ ও মর্তের আচ্ছাদন।

এরপর পরষ্পর পরষ্পরে হত্যা লিখি,
এবং পুনরায় জীবিত করি। অতঃপর
যৌথ নদীর স্রোতে নৌকা ভাসাই।

আমার বৈঠা জানে জলের গভীরতম উচ্ছ্বাস
জানে প্রবল প্লাবনে ঢেউয়ের ব্যাকরণ।
তোমার বুকের ভূমধ্য আল বেয়ে
যে জোয়ার ছুটে গেছে গোপন অভিমুখে
আমার নৌকা জানে –
সে জোয়ার ও জলে সন্তরণ।

আমি জলের মাঝি,
জেনো হাঙ্গরেও নেই কোন ভয়।

strong>জীবন বৃত্তান্ত

কি রকম সুদৃশ্য
ঝুলে থাকে জীবনের দেয়ালে
মানুষের বৃত্তান্ত গুলো-
কত শত জনে, কত কী!

আমি উঠে এসেছি হাওরের জল হতে
গায়ে মেখে মাছেদের আঁশটের ঘ্রাণ,
শালুকের লালা!

কাদার শিলালিপি দেখে
আমাকে ডেকেছে ভদ্রমহোদয়
‘গেয়ো ভুত কোথাকার’!

আমার একটি শূন্যস্থান ছিল
জীবনের অমোঘ নিয়তি ছিল,
অথচ সেখানে শব্দ সেঁটে দিয়ে কিছু
লিখবার মতো কোন বৃত্তান্ত ছিল না।

এ ইতিহাস প্রকাশ্যে হয়েছিল লেখা দেশপ্রেম ছিল তার নাম :: পাখিদের ডানায় রাখা ছিল বিগত দিনের খতিয়ান অথচ আমরা পালকের বুনন শিল্পে মোহাবিষ্ট হয়ে শিখতে চেয়েছিলাম কারুশিল্প। অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে তাই দানব বধের গল্প গাঁথা বরং অধিকতর আজ তা হয়ে গেছে পৌরাণিক তত্ত্ব পুরাণ! আমাদের কেউ বিংশ শতাব্দীতে এসে সে তত্ত্ব পুরাণ ঘেঁটে একদিন আবিষ্কার করেছিলাম বধ্যভূমির কঙ্কাল, বুলেটের তিলক আঁকা বিচ্ছিন্ন খুলি! বাম পাঁজরে অগণিত স্প্রিন্টারের ক্ষত। আমাদের ইতিহাস প্রিয় কেউ কেউ বিজ্ঞানাগারে কঙ্কাল, খুলি, হাড়ের ব্যবচ্ছেদে নিমগ্ন হয়ে খুঁজে দেখতে চেয়েছি কতোটা তীব্র ছিল আঘাতের ক্ষত অথচ আমরা জানি নি, কতোটা ভেতরে জাগলে রক্তে রক্তে দ্রোহ, ত্রিশ লক্ষ দক্ষ কারিগরের নিপুণ বুননে, একটি পতাকা লাল সবুজে শিল্প হয়ে ছিল। প্রিয় ব্লগার সুমন আহমেদ। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন। আসুন জানাই আমাদের প্রিয় ভালোবাসা এবং অভিনন্দন। দীর্ঘজীবি হোন।

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ হোক ব্লগিং।

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

শব্দনীড় ব্লগ ব্যবহারে আপনার সমস্যা বা ত্রুটি এখানে জানান

সাইট আপডেট চলছে – এই পোস্টে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। এমন আহ্বানের মাধ্যমে সম্মানিত টেক প্রশাসক যিনি কারকুন নিক এ ইতিমধ্যেই আপনাদের সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। আপনার প্রিয় শব্দনীড় ব্লগ এর ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন হালনাগাদ করণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন এবং নিরলস শ্রম দিয়ে প্রায় সকল প্লাগইন ইতিমধ্যেই আপডেট সম্পন্ন করে সাইট আপডেটের কাজ শেষ – আপডেট পরবর্তী সাইট ব্যাবহার জনিত কোন সমস্যা আমাদেরকে জানান শীর্ষক পোস্ট দিয়ে ব্লগ ব্যবহারীদের ব্লগ ব্যবহারে ব্যক্তিগত সমস্যা জানতে চেয়েছেন।

মি. কারকুন টেক প্রশাসক আমারই করা প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন … চলমান এই কর্মপরিকল্পনা মুলত সাইটের সফট্ওয়্যার আপডেট, বিজ্ঞাপন বরাদ্দ এবং অভ্যন্তরীন কোড উন্নয়ন এর উদ্দেশ্যে।

সুতরাং ব্লগের চেহারা আমূল পাল্টে যাবে বা ব্লগকে আরও ব্লগ বান্ধব করা হবে এমন প্রত্যাশা এবং দাবি আমার মতো সাধারণ ব্লগারদের জন্য অমূলক এবং অতি চাওয়া। অযথা শব্দক্ষয়। সুতরাং চলমান ব্লগ ব্যবহারে আপনার সমস্যা বা ত্রুটি এখানে জানান। উন্নয়নের শেষ ধাপের এই সময়ে আপনার সমস্যা আপনার হয়ে আমি জানিয়ে দেবো।

আপনার সমস্যা আমি ক্রমানুসারে এখানে সাজাবো।

০১. ধীর গতির ব্লগ আপলোড ব্লগিংকে নিরুৎসাহিত করছে।
০২.
০৩.

নতুন যা যুক্ত হলো :

আপনার প্রোফাইল ছবি এখন শব্দনীড় ব্লগে আপনার ড্যাশবোর্ড > নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও নতুন পোস্ট > আপনার প্রোফাইল অংশ থেকে আপলোড করতে পারবেন।

ফেসবুক এ শব্দনীড় | বাংলা ব্লগ পেজ এ লাইক দিন।
ফেসবুক হোম পেজ এ শব্দনীড় এ প্রকাশিত সর্বশেষ পোস্টটির আপডেট পাবেন।

মন্তব্য অথবা পোস্টে ইউটিউব শেয়ার করতে চাইলে ইউটিউবের এড্রেস বার থেকে লিঙ্ক কপি করে এনে শুরুর http:// পরে শুধু একটি v যোগ করে httpv:// (পরবর্তী অংশ হুবহু ঠিক রাখুন)।

পরীক্ষামূলক লোগো তৈরী করেছেন মি. সুমন আহমেদ।