সসেমিরা সময়
গোপন কোঠরে চুপচাপ বসে থাকি ;
আমার চারপাশে গল্প তৈরি হয়
গাছের, ছায়ার, ঝরাপাতা আর শামুকের।
অঙ্গন
তার ছায়ার ভেতরে টেনে নিয়েছে,
একটি গাছ
ডালপালাসহ পাখির ছোট্ট ঘর।
পাতার উপরে পাতা ঝরে গেলে
আধো আধো নূপুরধ্বনি বাজে ;
যেন
তবলার বোলের অপেক্ষায় তৈরি নাচের মেয়েরা
আনমনা টুকছে
অস্থির আলতো পায়ের ঘুঙুর।
বৃক্ষের এই ছায়ামগ্ন বিলাসের মাঝখানে
আমারো কী কোথাও একটুখানি প্রাপ্য ছায়া
পড়ে আছে?
গল্পপাঠে – সাদা পৃষ্ঠায় নিবন্ধ উৎসুক চোখ ;
পাপড়ির নীচে জমা
হাজার বছরের প্যাপিরাসকথা,
এক অতল অন্ধকার
টানেল বিভ্রান্ত পথিকের গল্পটিও।
ক্যামেরায় ত্রস্ত শাটার টিপে
প্যানোরামার ভেতরের রহস্য রক্তিম এক ছবি
তুলতে গেলে
সমস্ত চিত্রপট উধাও, ঘোরলাল মেঘের আড়ালে।
দৃশ্য কি নিজেই নিজেকে লুকোয় আগুনের আঁচে?
জলভারে নত হয়ে আছে সসেমিরা ঘড়ির সময়।