নির্মল দাস মন্টু এর সকল পোস্ট

নির্মল দাস মন্টু সম্পর্কে

ভালবাসার মায়াজালে আছি আমি জগৎ জুড়ে।

বৈশাখী সাজে শিশু বালিকা

বৈশাখী সাজে সেজেছে এক বালিকা শিশু।
কয়েক দিন পর পহেলা বৈশাখ।
নতুন বছরে বাঙালি সাজবে নতুন সাজে।
রাবার দিয়ে কাল কালি মুছে। তারই সাথে
রং তুলি দিয়ে নতুন রং লাগাবে মনে।
সবাই নববর্ষের শুভেচ্ছা!!!!

সাকসেস পয়েন্ট আয়োজিত, শিক্ষা সফর ২০১৯

সাকসেস পয়েন্ট, গোয়ালাবাজার।

সিলেটের, ওসমানীনগর উপজেলার, গোয়ালা বাজারে অবস্থিত” প্রাইভেট কোচিং সেন্টার” সাকসেস পয়েন্ট এর আয়োজন করেছে শিক্ষা সফরের। প্রথম বারের মতো এবারও শিক্ষা সফরের আয়োজন। বিভিন্ন পূর্ব প্রস্তুতির মাধ্যমে ১৩ই মার্চ ২০১৯ রোজ বুধবার শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়।

কোথায় যাওয়া হবে? তাই নিয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে কত কি যে প্রশ্ন জাগে। প্রকৃতির লীলাভূমি দেখার যেন শেষ নেই। অনেক আলোচনার পরে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল, ভ্রমণে নাকি জাফলং যাবে। আর কোথায় যাওয়া হবে? শ্রীপুর পার্ক আর মনিপুরী রাজ বাড়ি।

বাংলাদেশের সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পাশে, একটি পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলন বলে এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোনয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মন প্রাণ শীতল হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক বালুকণা, পাথর আর পানির সংমিশ্রণ যেন মন ভুলানো অপূর্ব দৃশ্য।

বিজয়ের মন্ত্র, শেখ মুজিব

শেখ মুজিব

কবিতার নামঃ বিজয়ের মন্ত্র!
কবিঃ নির্মল দাস মন্টু 

তোমার জন্য জীবন দিয়েছে, লক্ষ বীর বাঙ্গালি। 

কে তুমি?
এত রক্তচূষী ভয়ংকরী। 

আমি আর কেউ নই,
আমি পাকিস্তানি। 

কি চাও তুমি? আমি চাই,
বাংলার শাসন, শোষণ, অধিকারহীন বাঙ্গালি। 

আমি বাঙ্গালি বলছি,
যুদ্ধ করব,কিন্তু বাংলার বুকে শাসন, শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন করতে দেব না।

পাকিস্তানি মিলিটারিরা বাংলার গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে। হত্যা করছে বাংলার মানুষকে। 

এই হত্যাযজ্ঞ কী বন্ধ হবে? দিন যায়, মাস যায়,চলছে খান্ডবদাহন।।

হঠাৎ! জনতার মঞ্চে এলেন,
এক রাজনৈতিক কবি।”শেখ মুজিব”

তিনি জনতার কণে দিলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহামন্ত্র।

বাঙ্গালিরা যুদ্ধের মহামন্ত্র শ্রবণ করে।

সবাই মিলে গড়ে তুলে সংগ্রাম পরিষদ দূর্গ

বাঙ্গালিদের যুদ্ধ শুরু, মারছে বাঙ্গালি, মরছে পাকিস্তানি। 

কি করবে পাকিস্তানি? দিশাহারা হয়ে সিদ্ধান্ত নিল। বাঙ্গালিদের কাছে মাথানত করবে বলে।

১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি জড়ো হল, আত্নসমর্পন দলিলে স্বাক্ষর দিল।

হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হল, বাংলাদেশে স্বাধীনতা এল।

প্রথম প্রকাশিত
স্বাধীন বাংলা কাব্য সমাহার

জ্ঞান বিতরণের ফেরিওয়ালা অমর

পলান সরকার
মানুষের কৃতিত্ব থাকে বেচে ইতিহাসে।
মিথ্যা নয় সত্য, কাজের মূল্য বেঁচে থাকে চিরতরে।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের থাকে ছন্দ নাম,
তাঁরই মধ্যে একজন “পলান সরকার”।

আলোর জগতে সমাজকে আলোকিত করতে তাঁরই পথ চলা।
হয়েছেন বইয়ের ফেরিওয়ালা।
কখনো গ্রামে,কখনো বিদ্যালয়ে, কখনো হাটে বাজারে করেছেন আলো বিতরণ।

তাঁরই কৃতিত্ব দেখে অনেকেই অবাক,
আজ দুনিয়া জুড়ে সমালোচিত,
বই পড়ায় উদ্বুদ্ধকারী তিনি আর নেই।

রবী ঠাকুর বলেছিলেন, নাম মানুষকে বড় করে না, নামকে মানুষ জাগাইয়া তুলে।
তিনিও তাই করেছেন, ভুলবো না তাঁরই অবদান।

অসীম নাম, দিয়েছে না-কি! তাঁরই অবদান।
বলতে গেলে সময় শেষ তবুও বলি, প্রথম আলো পত্রিকা দিয়েছিল নাম “আলোর ফেরিওয়ালা।

নামের সাথে তাল মিলিয়ে, দিলাম এক নতুন নাম “জ্ঞান বিতরণের ফেরিওয়ালা।

উনি নেই, বলা যাবে না? উনি থাকবেন উনার কৃতি নিয়ে নতুন এক মানবের মাঝে।

বই ফেরিওয়ালার আর্দশ অনুসারে,
জগতে তৈরি হবে, হাজারো হাজারো “আলোর ফেরিওয়ালা।”

সংগ্রামে দিশাহারা এক নারীর গল্প!!!

সংগ্রামে দিশাহারা এক নারীর গল্প?

সংগ্রাম এই শব্দটি শুনলে মনের মধ্য যেন আঘাত আনে। বাঙালীরা কি দোষ করেছিল যে জীবন দিতে হয়েছিল। শুধু ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য বাঙ্গালীদের প্রাণ নিয়েছিল পাকিস্তানিরা। বাঙ্গালীরা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করেছিল এই অধিকার জন্য। শুধু অধিকার নয় বাংলাকে শোষণ, শাসন থেকে মুক্ত করে, স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যান, বীর শহিদরা। শহিদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।

(১৯৭১ সালের এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
গ্রামে বাস করতেন সহজ সরল এক নারী। তাহার ৬ টি সন্তান। তিনটি মেয়ে, তিনটি ছেলে। তাহার ছোট মেয়েটির নাম দিপালী। ৬-৭ মাস বয়স হবে। বাংলার বুকে সংগ্রাম চলছে। চারদিকে রক্তাক্ত গুলাগুলি চলছে। গ্রামের মানুষ কি শান্তিতে ঘূমাচ্ছে?
না!!!
কখন কে জানে, গ্রামে আসবে ৭১ এর যমরাজ। কার মায়ের বুক খালি করবে ওরা, কার নিবে প্রাণ? গ্রামে মিলিটারি আসলে চারদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়, শুরু হয় ছুটা-ছুটি। সবাই চারদিকে পালিয়ে যায়। কেউ জঙ্গলে, কেউ নদীতে নৌকায়, কেউ হাওরে গিয়ে জীবন রক্ষা করে। মিলিটারিরা চলে যাওয়ার আবার ফিরে আসে। এভাবে চলে তাদের জীবন দীর্ঘ নয় মাস।

একদিন দিপালীর মা পালিয়ে যাবে জঙ্গলে মিলিটারিরা এসে গেছে গ্রামে। তিনি সন্তানকে নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন। তিনি জঙ্গলে গিয়ে দেখেন, সন্তান রেখে বালিশ নিয়ে এসেছেন। তাহার ছোট সন্তান দিপালী ছিল ঘুমে। তিনি হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগলেন। তখন তার ননদ দৌড়ে গিয়ে তাহার সন্তানকে নিয়ে আসে। দিশাহারা হয়ে মা সন্তানকে রেখে বালিশ নিয়ে আশ্রয় এর জন্য পালিয়েছিলেন। শান্তিতে নেই গ্রামের মানুষ কখন কাকে মারবে। ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে।

গ্রামে মানুষ মারার জন্য লাইনে দাড় করেছিল মিলিটারিরা, কিন্তু পারেনি মারতে গ্রামের একজন রাজাকার ছিল সে ছিল মানব প্রেমিক। রাজাকারে কথায় আর গ্রামের মানুষ মারে নি। ছেড়ে দিয়েছে সবাইকে। এভাবে বলা যায় কত ইতিহাস অজানা রয়ে গেছে।

_____________________
(গল্পটি বাস্তব ঘটনা থেকে নেওয়া,
আমার মায়ের কাছ থেকে গল্প শুনেছিলাম, তারপর লিখলাম)

ছবিঃ অনলাইন।

দেশবরেণ্য নবীন-প্রবীণ প্রতিভাবান কবিদের আধুনিকতার ছোঁয়া পুর্ণাঙ্গ রুপ তুলে ধরতে কাব্যগ্রন্থের আয়োজন

অমর একুশে জাতীয় গ্রন্থমেলা ২০১৯ উপলক্ষে, কে এম সফল আলী সম্পাদিত ‘স্বাধীন বাংলা কাব্য সমাহার’ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। অমর একুশে জাতীয় গ্রন্থমেলায়। দেশবরেণ্য নবীন-প্রবীণ প্রতিভাবান কবিদের আধুনিকতার ছোঁয়া পূর্ণাঙ্গ রুপ তুলে ধরতে এই আয়োজন করা হয়েছে। “স্বাধীন বাংলা কাব্য সমাহার”
দেশবরেণ্য নবীন-প্রবীণ প্রতিভাবান অর্ধশত লেখক লেখিকা অংশ গ্রহণ করছেন। প্রত্যেকের ৫টি করে কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে। বইটি পাওয়া যাবে ৩০৬ নং স্টলে লিটল ম্যাগ চত্বর ‘পাণ্ডুলিপি প্রকাশ’ এর স্টলে।

“স্বাধীন বাংলা কাব্য সমাহার” কাব্যগ্রন্থতে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের নাম কবিতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সূচিপত্র 
১/কবি গবেষক টিপু রহমান ‘
📚 জল জোছনার কাব্য 
📚 নিষিদ্ধ সুন্দর 
📚 যাপিত জীবন

২/কবি ফরিদ সাইদ ‘
📚 খাবার মেনু
📚 বিউটি বোডিং
📚 ছুটির দিনে 
📚গানের কবি প্রানের কবি 
📚আমায় কেবল টানে 
📚 চিরকালের ঘাঁটি।

৩/কবি নীলিমা শামীম ‘
📚 হাট বাজারের অলিগলি 
📚 বিরহের বার্তা 
📚 অসমাপ্ত ভালোবাসা 
📚 তুমি দিলে ছুঁয়ে
📚 কষ্টের নীলনদ।

৪/আবু কাউছার সরকার ‘
📚 প্রিয় বঙ্গবন্ধু
📚 প্রভু দয়াময়
📚 আশা – নিরাশা
📚 মা ও বাবা 
📚 ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলাম।

৫/মুহাম্মদ কিবরিয়া বাদল 
📚 নষ্টালজিক
📚 মুক্তিযুদ্ধ-যৎকিঞ্চিৎ
📚 দিশা খুঁজি
📚 একটাই সুখ 
📚 ইচ্ছে পাখি।

৬/মোঃ আতাউল মোস্তফা পান্নু 
📚 শুভ্রতার ভাঁজে ভাঁজে
📚 কবে হবে – ভেবে কি হবে 
📚 পূণ্যহীন সব আপন 
📚 হালচাল-তালে তালে বেতাল
📚 সময়ের সময়।

৭/এস এম শরীয়ত উল্লাহ 
📚 গন সংগীত 
📚 ডাক পড়েছে
📚 আমরা মানুষ
📚 ঐ গ্রামে বাড়ি 
📚 নির্বিক দূর্দান্ত।

৮/সাধকপ্রেমিক আলাউদ্দিন কাওয়াল
📚 সততার পুরস্কার 
📚 কপালের ফের 
📚 জননেত্রী শেখ হাসিনা 
📚 শুনেছি তোমার ভাষন

৯/কর্নেলিয়াস নীল হেমরম
📚 হরেক রকম বীজ
📚 অজুহাত 
📚 বাংলার চাষা
📚 আমি বীর 
📚 লাশের বিলাপ।

১০/রোকসানা সুইটি’ 
📚 কবির কবিতায় নারী
📚 মন চায় 
📚 তোমাকেই চাই 
📚 শুধুই মা
📚 জীবন মানে আমি একা।

১১/পিয়াস মাহবুব ‘
📚 রূপকের মায়াজাল 
📚 পিতার জন্ম 
📚 আল্লাহ তোমার কাছে 
📚 খোলা তালার খাঁচা 
📚 আল্লাহর খোঁজে।

১২/সুফিয়া আলম ‘
📚 তুমি আমার
📚 টুকরো সুতোয় বাঁধন
📚 ক্ষমা কর প্রভু
📚 অভিমানী 
📚নিয়তির নিয়ম ।

১৩/শাজাহান মজুমদার
📚 বিজয়ের মালা
📚 ১৬ই ডিসেম্বর
📚 রাখার ছেলে
📚 স্বপ্নের কথা
📚 অতিথি পাখি।

১৪ /মোঃ নাছির খাঁন 
📚 মাটি 
📚 মা
📚 স্বদেশ প্রেম 
📚 আর কত দেখবো
📚 হারিয়ে যেওনা তুমি

১৫/কবি এম এ সহিম উদ্দিন 
📚 অনাকাঙ্খিত 
📚 আসক্তি 
📚 মানদণ্ড 
📚 সোনার বাংলা 
📚 জয়ের গান।

১৬/কবি নীলিমা রহিম ‘
📚 তারুণ্যের জয় হবেই 
📚 কবিতায় ঘর বসতি
📚 বাংলাদেশ কথা কয় 
📚 অমানুষ 
📚 তুমিই আমার কবিতা।

১৭/মাহমুদা বেগম সিমু
📚 সুন্দর স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা 
📚 পদ-চিহ্ন
📚 আমি নারী আমি সব পারি। 
📚 নেই কোনো সুখের স্মৃতিকথা
📚 কষ্টগুলোও সুখ ছুঁবে।

১৮/পাগল জাহাঙ্গীর 
📚 পহেলা বৈশাখ 
📚 পথ শিশু (টোকাই 
📚 অপেক্ষা মানুষ প্রহর 
📚 আমরা গরীব মানুষ 
📚 ও পুরুষ।

১৯/আনোয়ার হোসেন’ 
📚 তুলনাহীন প্রিয়া
📚 ঝড়ের যামিনী
📚 ভালোবাসা দাও 
📚 জানবেনা কেউ
📚 অচিন পাখি।

২১/কনক বেলাল
📚 Magranls Agony
📚 প্রবাসী আমার ভাই 
📚 আত্ম খুশী
📚 প্রবাসীর ব্যথা
📚 এপাড় স্বপ্ন ওপাড় স্মৃতি

২২/মোঃ রাশিদুজ্জামান রাজু 
📚 দেশ প্রেম 
📚 সুখ
📚 নারী 
📚 সবুজ বাংলাদেশ 
📚 ইচ্ছে।

২৩/অপর্ণা বড়ুয়া 
📚 জাগিয়ে তোলা
📚 তোমার আমি 
📚 দাবানল 
📚 বি বেক
📚 নারী।

২৪/কবি দিপংকর দাশ 
📚 ধনের বাহার পাপের পাহাড় 
📚 বাংলা মায়ের কোল
📚 তোমাতে আমি-আমাতে তুমি 
📚 চন্দ্রমুখ
📚 সত্যের অমোঘ বাণী।

২৫/নির্মল দাস মন্টু 
📚 সাধনা 
📚 আলোর জগৎ 
📚 প্রাণের ভাষা 
📚 বিজয়ের মন্ত্র 
📚 রক্ত দান।

২৬/এস এম লুৎফর রহমান 
📚 কাব্য তোমার জন্য 
📚 যৌবনের প্রেম 
📚 সঙ্গ 
📚 আহ্বান 
📚 প্রতীক্ষায় প্রবঞ্চনা।

২৭/মিনহাজ উদ্দীন শরীফ 
📚 কুটুম পাখি 
📚 চিত্তের ভেতর কাব্য 
📚 হিংসুক মানব 
📚 ছাত্রজীবন 
📚 মিথ্যা শক্তির বড়াই।

২৮/আরজুমান পলি
📚 শীতের ছড়া 
📚কাজের বুয়া জোসনা 
📚ভালো লাগে 
📚নবান্ন 
📚 নষ্ট মানুষ

২৯/সৈয়দুর রহমান লিটন
তারকা সনেট 
📚 অনুভব 
📚 অভিমানী 
📚 ফিরে এসো

৩০/আব্দুল করিম সুমন 
📚 স্বদেশী নারী
📚 বসন্ত কোকিল 
📚 বিধ্বস্ত পৃথিবী 
📚 ব্যস্ত সময় ব্যস্ত ক্ষণ
📚 সবার সেরা ধন্যবাদ।

৩১/কবি সাজ্জাদ হোসেন 
📚 বিবর্তন 
📚 স্বাধীনতা 
📚 আমার বাংলাদেশ 
📚 তদ্দেশবাসিনী
📚 ইচ্ছে ঘুড়ি।

৩২/শেখ মাসিদ
📚 ধরনীতে শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার মা
📚 খোসা আমদেদ মাহে রমজান
📚 ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি 
📚 দুই ছেলে এক নারী 
📚 সততার এক শাখা।

৩৩/সাইফুল ইসলাম রনি 
📚 কালো মেঘ
📚 বিজয় আজো স্বপনে
📚 কালা মুখ 
📚 রজনী 
📚 তরুণী।

৩৪/তাজনিন সুলতানা 
📚 আমি সংগ্রামী নারী বিপ্লবী 
📚 বর্গাচাষী ও রক্তচোষা জোঁক
📚 নিশাচর
📚 মাটির বীর সেনা
📚 কে তুমি রূপসী

৩৫/ওবাইদুল হক 
📚 পুত্র হয়ে পিতার বিচার 
📚 ধোঁকাবাজি
📚 ভিন্নতা 
📚 অতীত।

৩৬/রাসেল আহম্মেদ
📚 প্রাচীর 
📚 তরুন_প্রজন্ম
📚 আধুনিকতা
📚 অবাক_পৃথিবী
📚 বিরহ।

৩৭/রাবেয়া আলমগীর 
📚 নতুন সঙ্গী 
📚 ইচ্ছে ভুলে 
📚 যে ললাটে নেই তুমি 
📚 কতদিন চোখে ঘুম নেই
📚 আজো ভুলিনি।

৩৮/বেলাল হোসেন লাভলু 
📚 হৃদয়ের মাঝে 
📚 আমাদের গাঁ
📚 আজকের সমাজ 
📚 পিরিত রতন পিরিত স্বপন 
📚 অতিত কোথায়।

৩৯/আবুল কাশেম
📚 সুখের ছাঁয়া 
📚 আমার মা জননী
📚 খুঁটিনাটি
📚 আমি চির ণী
📚 পল্লী গ্রাম।

৪০/মুহাম্মদ ফারহান ইসলাম নীল 
📚 ক্ষমতা লোভী 
📚 রুনুর আম্মু 
📚 বিচার হবে 
📚 আমি অন্ধকারে 
📚 ঘুম নেই দুটি চোখে।

৪১/নাসিম তৈয়্যিব
📚 শীত এসেছে 
📚 যাচাই 
📚 শাহ্ জালালের পূণ্যভূমি
📚 চেতনা 
📚 যদি হই অবনত।

৪২/কবি আইনুননাহার মজুমদার
📚 মা জননীর
📚 বিজয় দিবস
📚 সবুজ বনানী
📚 নারী তুমি
📚 মোরগের ডাক।

৪৩/মোঃ জাবেদ হোসেন জুয়েল
📚 মা
📚 রূপের মেয়ে
📚 ক্ষুধার্ত
📚 ভালোবাসা দিবস
📚

৪৪/এম নুরুজ্জামান বাচ্চু
📚 দেশপ্রেম
📚 ক্ষুধার জ্বালা
📚 শীতবস্ত্র
📚 কবি বন্ধু
📚 মমতার মনি।

৪৫/কবি ওবায়দুল হক উজ্জল, 
📚 সুখ
📚 শ্রেষ্ঠ উপহার
📚 ফসলের কারিগর
📚 কবিতা
📚 যৌবনের গান

৪৬/মোঃ মেহেদী হাসান 
📚 নির্ভয়
📚 স্বাধীনতা আজও পাইনি তোমায় 
📚 শিরোনামে তুমি তোমাতেই শেষ

৪৭/সালেহা ইয়াছমীন মিষ্টি 
📚 সন্ধান
📚 শ্রেণী বিন্যাস
📚 বাস্তবতা
📚 শিশিরের সাথে আলাপন
📚 নীল চোখ।

৪৮/মোছাঃ নুসরাত জাহান (শিলা) 
📚অতীত ক্ষুধা
📚 সৃষ্টি 
📚 রাতের পাখি (সনেট)
📚 কবর আর্তনাদ
📚 বয়স কাহারে বলে।

৪৯/আরাফাত আহমেদ রাশেদ
📚 লড়াই 
📚 যোগ_বিয়োগ।

৫০/কাজী আয়েশা আক্তার >
📚 দিবালগ্ন
📚 ক্ষনিকের প্রাণ 
📚 মৃত্যু

৫১/ আদিবা তালুকদার >
📚 শোন, মা
📚 স্বপ্ন ছোঁয়া

৫২/মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান 
📚 মায়ের চাঁদ মুখ 
📚 বউ
📚 মহান বিজয় দিবস 
📚 তিতাস নদী 
📚 ইসলামী সমাজ

৫৩/আসাদুজ্জামান সুমন 
📚 আশার তরী
📚 বিজয় কোথায় 
📚 ডোজ
📚 বুঝবে 
📚 আমন্ত্রণ

৫৪/শামীমা সুলতানা
📚 আমি উনিশ
📚 দিকভ্রান্ত 
📚 প্রভাতি আলো
📚 আশ্বাসবাণী
📚 শুভেচ্ছা আগামী।

৫৫/সাবিনা ইয়াসমিন _
📚 আমার প্রার্থনা 
📚 আবর্তন
📚 নতুন আশায়
📚 অপেক্ষমাণ হৃদয়
📚 সময়ের স্রোতে।

৫৬/কে এম সফর আলী _
📚গুণাহ্
📚 আমলনামা
📚 রক্তবর্ণ পৃথিবীর 
📚 ভালোবাসা তুমি এভাবে কাদাবে ।
সমাপ্ত।

পাথরের রাজ্য বিচনাকান্দিতে একদিন

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত বিচনাকান্দি পর্যটন এলাকা। সিলেট শহর থেকে বেশখানিক দূরে এই স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর জলপাহাড়ের খেলাভূমি বিচনাকান্দি। বিচনাকান্দির এখানে-ওখান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পাথর আর পাথর। মনে হবে যেন একটি পাথরের রাজ্যতে আছি। বিশ্রামহীন ভাবে এই রুপময় সৌন্দর্যের সৌরভ দেখে নিমিষেই ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। মেঘালয়ের পাহাড় থেকে ঝর্ণার জল দেখে মনপ্রাণ ভরে যায়।

জলধারার পানিতে নামলে মনে হয় যেন পৃথিবীর শান্তি এখানে। শুকনো মৌসুমে এখানের সৌন্দর্য চোখে পড়ে না। তবুও সৌন্দর্য্যর শেষ নেই। আমি ও আমার বন্ধুবান্ধব গিয়েছিলাম শুকনো মৌসুমে বিচনাকান্দিতে। আমরা গিয়েছিলাম গাড়িযোগে। শুকনো মৌসুম হওয়াতে নৌকায় যেতে পারিনি, যেতে হয়েছিল গাড়িযোগে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নৌকাযোগে যাওয়া যায়। দেখা যায় জলের ঝলমল খেলা। জলের এই ঢ্ল মায়াময় করে তোলে চারপাশ।

শুকনো মৌসুম হওয়া সত্তেও, অল্প স্বচ্ছ শীতল পানির তলদেশে পাথরের পাশাপাশি নিজের শরীর দেখা যায় স্পষ্ট। অবিরাম জলপাথরের ফাঁকে ফাঁকে শুয়ে বসে সেলফি তুলতে তুলতে বেলা শেষ হয়ে গেল। যেদিকে তাকাই শুধু পাথর আর পাথর বড়, মাঝরি, ছোট পাথর। শুধু তাই নয় রঙ্গিলা পাথর, কালো,সাদা পাথরের সমাহার। স্পটের শেষ সীমানা পর্যন্ত শুধু পাথর আর পাহাড়। দূর থেকে দেখলে মনে মনে হয় পাহাড়ের দলগুলো আকাশের সাথে লেগে আছে। কিন্তু যতি কাছে যাই পাহাড়গুলো আকাশ থেকে যেন দূরে যেতে থাকে। আর পাহাড়ের গায়ে মেঘ লেগেই থাকে। জল, পাথর, পাহাড় আর মেঘ নিয়েই বিচনাকান্দি। প্রশান্তি সৌন্দর্য্য ভোগ করতে হলে এখানে যেতেই হবে।

__________________
প্রথম প্রকাশিত, শিশু বার্তায়।

কবিতার নামঃ প্রাণের ভাষা

প্রাণের ভাষা

আমি জানি না, বর্ণমালা।
তবুও জানি বাংলা ভাষা।

আমি শিখেছি, বাংলা ভাষা,
মধুমাখা মায়ের কণ্ঠ থেকে।

এটা আমার মায়ের ভাষা,
এটা আমার প্রাণের ভাষা।
বাংলা ভাষা, বাঙ্গালি জাতির ভাষা।

আমি জানি, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে কথা।

ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে,লক্ষ বীর বাঙালি।

নাম না জানা লক্ষ বীর,
জানা কয়েক জন বীর, রফিক, শফিক, জব্বার,সালাউদ্দিন,
ওহিউল্লাহ সহ শহীদ হয়েছেন লক্ষ বীর।

জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে,
এনেছে ছিনিয়ে মায়ের ভাষা।

তাই আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলি।

________________________________
প্রথম প্রকাশিত “স্বাধীন বাংলা কাব্য সমাহার” গ্রন্থে।

আধুনিক কৃষি, কবিতা

আধুনিক কৃষি

কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া।
লাঙলের চাষ পদ্ধতি নেই যে আর,
ট্রাক্টর দিয়ে চাষ পদ্ধতি সমাধান।

হাইব্রিড ধান বীজে ,
একটি চারাগাছে একাধিক ফসল।

কৃষকের হাতে রোপণ পদ্ধতি নেই যে আর,
আছে রোপণ যন্ত্রের ব্যবহার।

আগাছা দমনে নেই যে পরিশ্রম,
মেডিসিন করবে তার দমন।

পোকামাকড় দমন প্রতিরোধে,
একটি ওষুধ করবে তার প্রতিরোধ।

হেইত, ধোন দিয়ে পানি সেচ ক্ষেতে,
নেই যে তার ব্যবহার, পাম্প দিচ্ছে সমাধান।

কাচি দিয়ে ধান কাটা, শেষ হল এই পদ্ধতি।
ধান কাটার যন্ত্র দিচ্ছে তার ব্যবহার।

গরু দিয়ে ধান মাড়াই প্রচলন নেই যে আর,
মাড়াই মেশিন করছে তার সমাধান।

সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে, আধুনিকতায়
হাত ধরি।