নূর ইমাম শেখ বাবু এর সকল পোস্ট

নূর ইমাম শেখ বাবু সম্পর্কে

রোজ কবিতা রচি কবিতার মাঝে বাঁচি, কিন্তু আমি বসত করি মৃত্যুর কাছাকাছি!

সুমধুর সূর


আমি যে চরম নেশায় মাতি
তোমার ও মধুর সূরে,
আজীবন আমায় শুনিয়ে যেও
যেওনা কখনো দূরে।

এমনি বুকের মাঝেতে রেখে
শুনিও প্রেমের গান,
তোমার আমার এ পথ চলা
যেন না হয় অবসান।

প্রজাপতিরা পাখনা মেলে
বাগানেতে ফোটে ফুল,
ঠিক তেমনি কূল হারা নদি
যেন খুঁজে পায় কূল।

জীবনের শেষ মুহূর্তেও হোক
এক সাথে পথ চলা,
কোন দিন যেন ফুরিয়ে না যায়
হৃদয়ের কথা বলা।

বেদনা দুঃখ যাক দূরে সরে
দূর আরো বহু দূর,
সারাক্ষণ যেন শিহরিত হই
শুনে সুমধুর সূর।

আমায় নিয়ে ভেবো না


আমার মতই আছি আমি আমায় নিয়ে ভেবো না,
কষ্ট পুষে রাত্রি জেগে দুই চোখে জল এনো না।

আকাশ জুড়ে মেঘের সারি তাই ঝরে যায় বৃষ্টি,
আমায় ভেবে তোমার মনে কষ্ট হলে সৃষ্টি।
তাতে আরো দিগুণ হবে ব্যথী প্রাণের যন্ত্রণা।
বৃষ্টির মত ঝরব আমি আমায় বাঁধা দিও না।

হয়তো নদীর সোহাগ পেতে ঝরনা ঝরে অঝরে,
আমার বুকে তোমার অভাব তেমনি প্রতি প্রহরে।
নদীর সে স্রোত কোথায় হারায় ঝরনা মনে রাখে না,
ঝরনার মতই ঝরে যাবো ধরে রাখতে পারবে না।

পূর্ণিমাতে রাত্রি জুড়ে চন্দ্র ছড়ায় যে আলো,
ভেবেছো কি সে আলো চাঁদ কোথা হতে পেলো?
আলোর মতই আঁধার ঢাকি চেপে বুকের যন্ত্রণা,
আঁধার ভালোবাসি আমি আমায় আলোয় ডেকো না।

বাগান জুড়ে হরেক রঙের হাজারো ফুল ফুটে রয়,
শুনেছো কি ফুলের কানে ভ্রমরে কি কথা কয়?
তেমনি মধুর কথা শুনে ভুলে থেকো যন্ত্রণা,
ফুলের মতই ঝরে যাবো হয়তো কেহ জানবে না।

যখন আমি থাকবো না


যখন তোমায় থাকতে হবে
আমায় ছাড়া একলা,
দিশা হারা মনে হবে
সেই একাকী পথ চলা।

ধৈর্য দিয়ে নিঃসঙ্গতা
দূরে ঠেলে দিও,
নিজের মতন নতুন পথের
দিশা খুঁজে নিও।

গভীর রাতে একলা ঘরে
আমায় মনে হলে,
ওই আকাশের চাঁদকে দেখো
জানলা টাকে খুলে।

দূর আকাশের তাঁরার মাঝে
খুঁজে নিও আমায়,
কালের বিবর্তনে যখন
বদলে যাবে সময়।

হয়তো তখন মুছে যাবে
স্মৃতি গুলো আমার,
নতুন স্বপ্ন নতুন আশা
সঙ্গী যখন তোমার।

নতুন ভুবন


এই আকাশকে পেছনে ফেলে
নতুন কোন আকাশে,
দূষিত এই বাতাস ছেড়ে
বিশুদ্ধ কোন বাতাসে।

অগ্নিগিরির উদগিরনের
উত্তাপকে ছাড়িয়ে,
পবিত্র এক নতুন ভুবন
রয়েছে হাত বাড়িয়ে।

দাবানলের স্ফুলিঙ্গের
নেই সেখানে আবির্ভাব,
ভূমিকম্প জলোচ্ছাস বা
রোগ বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব।

বজ্রপাতে অপমৃত্যু
হয়না সেখানে কোন দিন,
নির্মল বায়ু বয়ে চলে
সুখ অফুরান অমলিন।

চলো দুজন সেই ভুবনে
আজ হারিয়ে যাই,
সুখের রাজ্যে করব বসত
কোন দুঃখ নাই।

মাত্র একটি বার


তোমায় সাথে কাটাতে চাই
মাত্র একটি রাত,
মাত্র একটি বারের জন্য
ধরতে চাই ওই হাত।

একটি চুমু দিতে চাই ওই
লাল গোলাপি ঠোঁটে,
যখন তোমার ও চাঁদ মুখে
মধুর হাঁসি ফোটে।

সে হাঁসিতে পৃথিবীর সব
দুঃখ ভুলে যাই,
মাত্র একটি বারের জন্য
শিহরিত হতে চাই।

মায়াবী ওই ডাগর চোখের
দৃষ্টি আর একবার,
এই আমাকে নিয়ে যাবে
সাত সমুদ্রের পার।

দুজন মিলে আর একটি বার
জ্যোৎস্না মাখতে চাই
তার পর যদি মরণ আসে
কোন দুঃখ নাই।

নির্বাক দর্শন


এমনি পথে চলতে চলতে
হয়তো দেখা হবে,
দুটি কন্ঠ নীরব থেকে
চোখে চোখে কথা কবে।

মুহূর্তে এক যুগের স্মৃতি
সামনে এসে গেলে,
দুটি মনেই প্রশ্ন জাগবে
কতটা শান্তি পেলে?

এখন অনেক শাসন বারণ
সমাজ সামাজিকতা,
চির চেনা মুখ নতুন রুপে
বাড়াবে প্রাণের ব্যথা!

ঠুনকো ভুলে দুটি মানুষের
দুই প্রান্তে নিবাস,
বহুদিন পরে সামনে দাঁড়িয়ে
শুধুই দীর্ঘশ্বাস!

ঘর সংসার দায়িত্ব বোধ
এলোমেলো হয়ে যায়,
চোখে চোখ রেখে সময় কাটে
কন্ঠ নির্বাক রয়!

হাজার বছর পরে


চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলে, কেউ কি আমায় ডাকবে?
হাজার বছর পেরিয়ে গেলে, কেউ কি মনে রাখবে?
আসল ঘরের অন্ধকারে, থাকবো যখন একাকী,
ইচ্ছে হলেই এমনি করে, পাবো তোমার দেখা কি?

হয়তো কোন ভূমি ধ্বসে, ভাঙবে সে শেষ ঠিকানা,
হাজার বছর পেরিয়ে গেলে, রবে কোন নিশানা?
এমনি মাথায় হাত বুলিয়ে, ঘুম পাড়াবে কেউ কি?
রোজ ফজরের আযান হলে, কেউ আমাকে ডাকবে কি?

কেউকি তখন পায়ে পড়ে, করবে এমন ঝগড়া?
সে দিন কি আর পারবো করতে, যা খুশী তা মন গড়া?
চাঁদর টাকে টেনে দিয়ে, ছাড়বে কি কেউ মশারি?
হাজার বছর পরে কেহ, থাকবে প্রাণের প্রহরী?

বদলে যাবে এই পৃথিবী, বদলে যাবে মানুষ জন,
এমনি করে ভালোবেসে, করবে স্মরণ কেউ তখন?
হতে পারে এই পৃথিবী, ভুলে যাবে লাজ শরম,
তাই বলে কি সে লজ্জাতে, থেমে যাবে এই কলম?

হয়তো তখন ভুবন হতে, বিদায় নেবে বিশ্বাস,
ক্লান্ত হয়ে তোমার বুকে, ছাড়বো না আর নিঃশ্বাস!
তখন কি কেউ আড়াল হতে, উকি দিয়ে দেখবে?
হাজার বছর পরে কি কেউ, আমায় মনে রাখবে?

তোমায় ছাড়া


সঙ্গী ছাড়া একলা একা, বেঁচে থাকা যায় কি?
তোমায় ছাড়া বেঁচে থাকা, মরণ সম নয় কি?
নিঃস্ব আমার সরল প্রাণে, তুমি হলে বিশ্বাস,
শয্যাশায়ী মরণ কালে, ফিরে পাওয়া নিঃশ্বাস!

তোমার দূরে দূরে থাকা, অবুঝ প্রাণে সয় না,
দিন চলে যায় ভেবে ভেবে, রাতগুলো শেষ হয় না!
কষ্ট গুলো কোন ভাবেই, চায় না দিতে মুক্তি,
এক মুহূর্ত যায় না সওয়া, তোমার এই বিভক্তি!

ব্যথী হৃদয় ব্যকুল থাকে, পেতে তোমার সন্ধান,
আবার ভাবি ভুলে যাবো, চেষ্টা করি আপ্রাণ!
কোন ভাবেই ওই হাঁসি মুখ, ভুলে থাকা যায় না,
অহর্নিশি প্রাণ করে যায়, খুঁজে পাবার বায়না!

উজাড় করে ভালোবাসার, এটা কেমন প্রতিদান?
ঝরে গেছে অশ্রু আমার, এক সমুদ্র পরিমান!
আমার প্রতি পলকেতে, প্রতিচ্ছবি ভেসে রয়,
ব্যথায় কাতর আমি তোমায়, কবে খুঁজে পাবো হায়!

আজো যেমন চাঁদ উঠে যায়, ফুল ফুটে রয় বাগানে,
দহন জ্বালার অপেক্ষা আর, সয় না যে এই পরাণে!
ভালোবাসার প্রতি ধাপে, এমন কষ্ট হয় কি?
তোমায় ছাড়া একলা একা, বেঁচে থাকা যায় কি?

সম্প্রদান


শূন্য প্রাণকে পূর্ণ করতে হঠাৎ তুমি এলে,
রিক্ত ব্যাথায় সিক্ত আমায় ধন্য করে দিলে।
নগন্য এই বন্য আমায় বুকে টেনে নিলে,
ব্যাথি প্রাণের সাথী আমায় ঋণী বানালে?

এই আত্মার আত্মীয় হয়ে করছ প্রাণে বাস,
স্বত্বাটাকে সাথী করে আনন্দের উদ্ভাস।
ক্লান্ত দেহের প্রান্ত ছুয়ে পরম সুখের উচ্ছাস,
দুরন্ত বনে ফুটন্ত ফুল পাখ পাখালির উল্লাস।

ভগ্নদেহী নগ্ন প্রাণের আমায় করলে সবল,
চিত্ত জুড়ে নিত্য তুমি গহীন স্মৃতির অতল।
পুণ্য বীণে ধন্য আমি পাচ্ছি তারি সুফল,
চিরন্তন আবেদন ভরা তোমার নয়ন যুগল।

বিষণ্ণ জঘন্য আমায় দিলে অশেষ শান্তি,
অজস্র সহস্র ক্ষমায় সংশোধিত ভ্রান্তি।
দুরন্ত ছুটন্ত আমার দূর হয়েছে ক্লান্তি,
উগ্রবাদী জেদি হলাম ঘৃণার পরিপন্থী।

যত্রতত্র ঘৃণার পাত্র পেলাম অশেষ সম্মান,
অনন্য তারুণ্যে ভরা স্বর্গসুখের সন্ধান।
উত্তপ্ত বিলুপ্ত আমার প্রাণে তুমি কল্যাণ,
নগন্য এ বন্য জীবন তাই করে যাই সম্প্রদান।

তোমায় নিয়ে


তোমায় নিয়ে পাখীর মত ডানা মেলে উড়ে,
হারিয়ে যাওয়া যেত যদি মেঘের ভেলায় চড়ে।
তুমি আমি হতাম না আর চোখের বালি কারো,
কি আনন্দ হত তবে ভাবতে কি তা পারো?

দূর দিগন্তে হারিয়ে যেতাম শুন্যে করে ভর,
এই পৃথিবীর সব বিপত্তি করে দিয়ে পর।
লজ্জা ভুলে হারিয়ে যেতাম দুজন দুজনাতে,
হারিয়ে যেতাম চাঁদের দেশে জ্যোৎস্না মাখা রাতে।

ইচ্ছে হলেই পাড়ি দিয়ে সমুদ্রের ও পারে,
ধূধূ মরু প্রান্তর শেষে কাশ বনের ও ধারে।
খর স্রোতা নদীর কূলে ভরা পূর্ণিমায়,
কিংবা মেঠো পথে হেঁটে নতুন কোন গাঁয়।

তোমার মনের মতন করে সাজিয়ে নিতাম বাসর,
ফুল, পাখীদের সঙ্গে নিয়ে জমিয়ে দিতাম আসর।
সব বাগানের সকল গোলাপ গুজে দিতাম খোঁপায়,
হাঁসি খুশী দু জন মিলে কাটিয়ে দিতাম সময়।

আকাশ তোমার আমার পানে থাকত শুধু চেয়ে,
ধন্য হতো দুটি জীবন দু জনাকে পেয়ে।
এক দিন ও না এই শহরের বেপরোয়া ভীড়ে,
যদি যেত হারিয়ে যাওয়া পাখীর মত উড়ে।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি


নিদ্রাহীনকে নিদ্রা দেবো, স্ত্রী হীনকে বউ,
নিঃসন্তান কে সন্তান দেবো, দেয়নি আগে কেউ।
অসুস্থরা সুস্থ হবে, অশান্তিতে আরাম পাবে,
খর তাপে পোড়ে যারা তাদের ঘরে এসি হবে।

কাঁদছে যারা হাজার দুখে, ফুটবে হাঁসি তাদের মুখে,
অর্থ দেবো অভাবী কে, মরে গিয়েও থাকবে সুখে।
জ্ঞানী হবে মূর্খ ব্যক্তি, দুর্বল দেহে আসবে শক্তি,
কষ্ট নামের আপদ হতে, সকল লোকে পাবে মুক্তি।

পায়ে হেঁটে চলছে যারা, গাড়ীর মালিক হবে তারা,
মুশলধারে বৃষ্টি দেবো, নামবে যখন দারুন খরা।
করব যুবক বৃদ্ধ হলে, কবর হতে টেনে তুলে,
লাশ গুলোকে বাঁচিয়ে দেবো, শুধু আমায় ভোটটা দিলে।

মুখটা ফুটে যে যা চাবে, এক মুহূর্তে সে তা পাবে,
কাঁচা মাটির ঘর গুলো সব, পাকা ইটের দালান হবে।
যারা খাঁটে মাঠে ঘাটে, শুতে পারবে সোনার খাটে,
চালাক চতুর বানিয়ে দেবো, যে বোঝেনা হিসেব মোটে।

ঘরে ঘরে কলেজ হবে, গরু ছাগল ডিগ্রী নেবে,
চললে আমার কথা মত, মরবে না কেউ বেঁচে রবে।
সবার মনের সকল চাওয়া, কথা দিলাম হবে পাওয়া,
আপনাদের দায়িত্ব শুধু, আমার বাক্সে ভোটটা দেওয়া।

অবুঝ মনের প্রশ্ন


ভালবাসতে লাগে নাকি
পূর্ব অভিজ্ঞতা?
বিষয়ভিত্তিক ডিগ্রী কিংবা
পর্যাপ্ত যোগ্যতা?

নাকি লাগে মনি মুক্ত
অর্থ বিত্ত অশেষ?
ভালোবাসা জিনিসটা কি
কোন পন্য বিশেষ?

বীরত্ব বা কায়িক শক্তি
এসব লাগে নাকি?
নাকি বিচক্ষণ হতে হয়
দিতে কাউকে ফাঁকি?

মিথ্যা প্রতিশ্রুতির নেশা
নাকি সত্য স্বভাব?
মূল্যায়নের মানসিকতার
থাকতে হয় কি অভাব?

কেমন করে একে অন্যের
মনের কথা বোঝে?
অবুঝ এ মন সে প্রশ্নের
জবাব শুধু খোঁজে!

রাষ্ট্র নায়ক


নয় রাষ্ট্রের অসঙ্গতি,
নেতা নেত্রীর অসম্মতি।
ডাক্তাররাই অনভিজ্ঞ,
ড্রাইভারে কি হবে বিজ্ঞ?

মৃত্যু কিনি চড়া দামে,
বিশৃঙ্খলা সেবার নামে!
আরাধনার নেতৃত্ব,
গুপ্ত পথে গড়ে বিত্ত!

অন্তরালে কুত্তা পালা,
রাষ্ট্র নিয়ে ধংস খেলা!
বজ্রকন্ঠের প্রতিধ্বনি,
বাজে প্রাণে নিত্য শুনি।

প্রতিনিধির চোরা স্বভাব,
স্বর্ণে মোড়া দেশের অভাব!
অদৃষ্টের নয় অনটন,
অসৎ অধিপতির ভোজন!

ধনতৃষ্ণার সংকীর্ণতা,
অপকৃষ্টের বিচ্ছিন্নতা!
নীতি নিষ্ঠায় সজ্ঞাবাচক,
তত্ত্ব করি রাষ্ট্র নায়ক!

দীর্ঘশ্বাস


হয়তো আমি চলে যাবো
আসবোনা আর ফিরে,
দেবো না আর সাড়া যতই
ডাকো মধুর সূরে!

অন্য কোন পৃথিবীতে
করব বসবাস,
আমায় ভেবে ছেড়ো সেদিন
একটা দীর্ঘশ্বাস!

অতৃপ্ত এ আত্মা তাতে
পরম শান্তি পাবে!
আমি বীনা তোমার জীবন
অপূর্ণ কি রবে?

সময় হলে যেতেই হবে
প্রাণ তো বাঁধন হারা,
স্মৃতি গুলো ধুয়ে নিও
নামলে বৃষ্টি ধারা।

তাতেই তুমি খুঁজে পাবে
নতুন ফুলের সুবাস,
আমার কথা পড়লে মনে
ছেড়ো দীর্ঘশ্বাস!

একলা জীবন


কেউ কোন দিন বলেনি তো
হাতটা আমার ধরো,
সব কিছুকে দূরে ঠেলে
আমায় আপন করো।

কিংবা কেহ বলেনি গো
তাকিয়ে আমার চোখে,
সারা জীবন কাটিয়ে দাও
নিজের ভুবন দেখে।

অথবা কেউ আসেনি রে
নিবিড় ছোঁয়া দিতে,
স্পর্শ করে দেহে প্রাণে
শিহরণ জাগাতে।

হয়নি কারো খোপায় গোঁজা
আমার প্রেমের ফুল,
হয়তো আমার এ ভাগ্যতে
সুযোগ অপ্রতূল!

ব্যাথায় পাথর কেউ মমতায়
মোমের মত গলে,
দুঃখ সুখের মাঝে একলা
জীবন বয়ে চলে।