নূর ইমাম শেখ বাবু এর সকল পোস্ট

নূর ইমাম শেখ বাবু সম্পর্কে

রোজ কবিতা রচি কবিতার মাঝে বাঁচি, কিন্তু আমি বসত করি মৃত্যুর কাছাকাছি!

জ্যোতিষ বাবা জেলে

চোখ দেখে বলে দেয় সকালে কি খেয়েছো,
হাত ধরে বুঝে নেয় কটা বিয়ে করেছো।
সরাসরি শনিতে ফেলেছে প্রভাব?
বাবা হাত বুলালে রবেনা অভাব।

ছেলে নাকি মেয়ে হবে কার ঘরে কবে?
পাথরটা নিলে সব সমাধান পাবে।
যাদুর এই আংটি তো সুখের প্যকেজ,
প্রাণঘাতী শত্রুও হবেই ম্যানেজ।

আরো আছে ব্রেসলেট করলে ধারণ,
সব কিছু পেয়ে যাবে যা চাও যখন।
যদি কেউ থেকে থাকে সন্তানহীন,
এক রাতে মা হবেন রত্নটা নিন।

প্রেম করে ছ্যাকা খেয়ে যায় যায় প্রাণ?
এসো বাবা বেঁধে দিবে প্রেয়সীর মন।
ধৈর্য ধারণ করো পেয়ে যাবে ফল,
এই কালে না পেলেও পাবে পরকাল।

ভূতভবিষ্যৎ জানেন এই বাবা
মনে প্রাণে করে যান ভক্ত সেবা।
জানাই ছিলনা তাঁর পুলিশ আসবে,
টেনে হিচড়ে নিয়ে জেলে পুরবে।

বেবি বাই চ্যাট

মেয়ে থাকে মেরিকায়
ছেলে বাংলাদেশে,
অজস্র রাত চ্যাট হয়েছে
নির্জন পরিবেশে।

কনফারেন্সে উভয় পক্ষের
পাকা কথা হলো,
জাকজমকে বিয়ে নামের
বন্ধনে জড়ালো।

ভিডিও চ্যাটে বাসর হলো
বইলো প্রেমের ঢেউ,
হয়নি তাঁরা সামনা সামনি
কোনও দিনও কেউ।

এমনি করে চলতে থাকে
ডিজিটাল সংসার,
স্বামী স্ত্রী দুয়েই খুশী
সুখী পরিবার।

কদিন পরে পেলো তাঁরা
ফুটফুটে সন্তান,
অবাক হবার নয়তো কিছু
বিজ্ঞানের কল্যাণ।

উল্লাস

বিষণ্ণতা তুমি ফিরে যাও
আমার সঙ্গী হবে উল্লাস,
একঘেয়ে নিয়মের কারাগার ভেঙে
নামবে আনন্দের উচ্ছ্বাস।

অলসতার সাথে হবে যুদ্ধ
বিপত্তির সাথে মহা সংঘাত,
নিয়মের আলিঙ্গনে
অনিয়ম করে দাও উৎখাত।

সংশয় কাঁটিয়ে অনাগত সফলতা
খুব শীঘ্রই হোক উদ্ভব,
হারাবার ভয় তো সবখানে থাকবেই
চেতনা জাগলে সবই সম্ভব।

সমতার ছায়াতলে নিয়ে আশ্রয়
মানবিকতার হোক গুঞ্জন,
ঘৃণা অবহেলা নিয়ে উদ্দীপনায়
পূজারীর শেষ হবে প্রহসন।

খ্যাতি যশ না থাক
খুব সাধারণ হোক অভিলাষ,
পরিতাপ কিছু নয় যদি অনুভূত হয়
অন্তরে ভরপুর উল্লাস।

ভেজাল

মাছে ভেজাল মাংসে ভেজাল মনেও ভেজাল ভাই,
বিয়ে ভেজাল বউয়েও ভেজাল আসল কোথাও নাই।
প্রেমে ভেজাল ডেটে ভেজাল ভেজাল জেনে শুনে,
ব্যাংকে ভেজাল র‍্যাংকে ভেজাল ভেজাল গুণে গুনে।

ভাইয়ে ভেজাল বোনে ভেজাল ভেজাল চাচায় মামায়,
সোনায় ভেজাল রুপায় ভেজাল ভেজাল পয়সা টাকায়।
নেতা ভেজাল মন্ত্রী ভেজাল ভেজাল বুদ্ধিজীবী,
ধনে ভেজাল মানে ভেজাল ভেজাল শিল্পী কবি।

মাজার ভেজাল পীরে ভেজাল ভেজাল ভন্ড বাবা,
বিবেক ভেজাল বুদ্ধি ভেজাল আসল কুরআন ক্বাবা।
শীতে ভেজাল গরম ভেজাল ভেজাল বৃষ্টি জলে,
ভেজাল চাষীর ভেজাল সারে ভেজাল ফসল ফলে।

রাতে ভেজাল দিনে ভেজাল ভেজাল চাঁদের আলোয়,
সাদায় ভেজাল লালে ভেজাল ভেজাল আধাঁর কালোয়।
গ্রহ ভেজাল তাঁরায় ভেজাল ভেজাল সময় ক্ষণ,
ভেজাল শক্তি ভেজাল ভক্তি ভেজাল মানুষ জন।

শাস্ত্র ভেজাল গণিত ভেজাল ভেজাল কবিরাজ,
ওষুধ ভেজাল সেবা ভেজাল ভেজাল শরম লাজ।
শুরু ভেজাল শেষেও ভেজাল ভেজাল জ্ঞান গরিমা,
আসল আমার আল্লাহ তায়ালা, জনম দুঃখী মা।

বিয়ে করলে বাচ্চা ফ্রি

সাবান কিনলে শ্যাম্পু ফ্রি
পেষ্ট কিনলে ব্রাশ,
শার্ট কিনলে গেঞ্জি দিচ্ছে
জগের সাথে গ্লাস।

মহিষ কিনলে গরু আর
গরু কিনলে ছাগল,
মুরগী পাবেন ছাগল কিনলে
খুশী ক্রেতা সকল।

মুরগীর সাথে ডিম ফ্রি
ডিমের সাথে খাঁচা,
একটা ধরলে আরেকটা ফ্রি
চলছে কেনাবেচা।

বিরোধীদের মাইর ফ্রি
চামচামিতে পদ,
হিরো কিনলে বাবা ফ্রি
বাবার সাথে মদ।

চা কিনলে কাপ ফ্রি
কাপের সাথে চামচ,
ভর্তি হলেই বই ফ্রি
চলছে ধোলাই মগজ।

জুতা কিনলে মোজা দিবে
মোজায় ফ্রি গন্ধ,
ফোন কিনলে মেমোরি সিম
খরচা নিয়ে দন্ধ।

কিনতে কিনতে পকেট ফাঁকা
প্রেমে টেনশান আচ্ছা,
সংসার করলে খাটনি ফ্রি
বিয়ে করলে বাচ্চা।

জঘন্য স্বার্থপর


নেবার বেলায় লাগে ভালো
দেবার সময় ফাটে,
সুযোগ পেলে গলায় ছুরি
দুর্দিনে পা চাটে!

সহোদরের মৃত্যুশয্যা
কে খাওয়াবে জল?
খোকার মামার গায়ে হলুদ
কত লাগবে বল?

মায়ের আছে মরণ ব্যধি
মরতে শুধু বাকী,
বাবার ওষুধ কিনতে হবে
পয়সা পেলে দেখি!

আজ এনেছে বউয়ের জন্য
দামী হিরের গয়না,
ভালোবাসে অনেক বেশী
পূরণ করে বায়না।

বলে, দেখতে যাবো মাকে কখন?
কাজের চাপে থাকি,
আপন শালী দাওয়াত দিছে
না গেলে হয় নাকি?

আয় ফিরে আয়

যাসনে চলে আয় ফিরে আয়
আমার ভাঙা ঘরে,
মন ছাড়া আর নেইতো কিছু
বল কি দেবো তোরে?

সোনা দানা গয়না গাঁটি
কিছুই আমার নেই,
বাগান জুড়ে অসংখ্য ফুল
বল কি তোরে দেই।

আকাশ ছোঁয়া পাহাড় বেয়ে
যখন নামে ঢল,
স্মৃতির দ্বারে কড়া নাড়ে
দুঃখের কোলাহল!

একলা চলার পথে তোরে
সাথী করে পেলে,
দিব্যি জীবন অনায়াসে
ভরবে ফুলে ফলে।

একলা ফেলে এমন দিনে
যাসনে ফিরে আয়,
হাসনাহেনা টগর গোলাপ
বুলিয়ে দেবো গায়।

বাসন্তী ক্ষুধা

কোকিলরে তোর মধুর ডাকে,
চমকায় বুক থেকে থেকে!
ফুলের সুবাস নাকে আসে,
ব্যকুল হৃদয় স্বপ্নে ভাসে।

বসন্তের এই বিকেল বেলা,
ভেতর জুড়ে স্বপ্ন ভেলা।
স্মৃতি আঁকা ঝরা পাতায়,
লিখে রাখা মনের খাতায়।

হাজার কথা মনে পড়ে,
হারাই স্মৃতির ভেলায় চড়ে।
রক্তিম লাল সূর্য ডোবে,
রাত্রি কাটে বেদম ক্ষোভে।

মাতাল হাওয়ার মৃদু ছোঁয়া,
দেধ আত্মা বেপরোয়া।
শিহরণে শরীর কাঁপে,
সুখের পরশ পরিমাপে।

কোকিলরে তুই এমন দিনে,
ডাকিসনে আর স্বপ্ন বুনে।
উদাস ব্যকুল আমার হৃদয়,
মরিয়া হয় তৃষ্ণা ক্ষুধায়!

আমি ধর্মের রক্ষক

না, নেই।
চলন্ত যানবাহনে
ছাত্রীকে গণধর্ষণ নিয়ে
আমার একেবারেই মাথাব্যাথা নেই।

নাবালিকা
নিষ্পাপ শিশুকে
শেয়াল শকুনের মত রক্তাক্ত করে
রেল লাইনের পাশে ফেলে রেখেছে, তাতে আমার কি?

কিন্তু যখন,
ওরা গবাদি পশুর মাংস
নিষেধ করার পরও রান্না করে খায়
সত্যি বলছি তখন আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়।

আমি তখন
আর স্থির থাকতে পারি না।
ঠিক তখনই আমি মানুষ মারি নৃশংস ভাবে।
দিনে দুপুরে জন সম্মুখে ইচ্ছামতো প্রাণ ভরে পিটিয়ে।

হা! হা! আইন?
আমার লোমও ছিড়তে পারেনা।
আমি দম্ভভরে চলি, মন যা চায় করি।
প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলি, আমি ধর্মের রক্ষক।

কথা দাও

আমি শুনতে চাইনা কারো মুখ থেকে
ক্রাইষ্টচার্চের নৃশংস আক্রমনের
জঘন্য ঘটনার ঘৃণ্য লোমহর্ষক বর্ণনা!

গুলিবিদ্ধ প্রবাসী ভাইয়ের বীভৎস চেহারা
আর একটি বারও দেখতে চাইনা
সোশ্যাল নেটওয়ার্কের বিস্তীর্ণ পাতা জুড়ে!

ওই মুসলিম অধ্যুষিত সম্ভ্রান্ত রাজ্যের
কোন বিলাশবহুল অট্টালিকার কোনে বসে
আর যেন ডুকরে না কাঁদে পেটের দায়ে পাড়ি জমানো
রূপসী এই বাংলার, আমার কোন মা বা বোন!

খুব তো বিজ্ঞাপন দিয়েছো নিজেই নিজের!
পৃথিবীর কোথায় কোন প্রান্তে সহজ সরল বাঙ্গালী
প্রতারকের খপ্পরে পড়ে বন্দী দশায় ঢলে পড়ছে
অনাকাঙ্ক্ষিত অকালমৃত্যুর কোলে
এবার তাঁর হিসেব দাও আমাকে!

এক বুক স্বপ্ন নিয়ে সুদূর সাম্রাজ্যে পাড়ি জমানো
ফুলের মত পবিত্র বাঙ্গালী মেয়ে
ব্যভিচারের শিকার হয়ে কেন আজ গর্ভবতী?
আজ তোমাকে বলতেই হবে!

তোমার আধুনিকতার যান্ত্রিক অশ্রুতে
আর আমি ভিজতে চাই না!
আমি শুধু শুনতে চাই শান্তির বানী!
কথা দাও, আর কারো চোখ ভিজবেনা
কেউ আর কাঁদবে না স্বজন হারা কষ্টে!

নিষ্পাপ মানুষের পদধূলিতে নিশ্চিহ্ন হবে পাপ
আর তাঁদের চরণতলে মাথা লুটাবে পাপীরা
প্রতিজ্ঞা করো, কথা দাও আমায়!

উল্লাসের হাহাকার

উল্লাস জুড়ে সেদিন ভীষণ
নেমেছিল হাহাকার,
আনন্দরা কষ্টে যেদিন
করেছিলো চিৎকার!

শান্তি সেদিন অশান্তিকে
জানায় নিমন্ত্রণ,
সুখের পরশ দুখের সাথে
করলে আলিঙ্গন।

ভালোবাসা ডুকরে কাঁদে
ঘৃণা ভালোবেসে,
সফল হওয়া সফলতা
বিফল অবশেষে!

লজ্জা অতি সস্তা তখন
ক্ষণিক সুখের কাছে,
জীবন শুধু মৃত্যুশয্যায়
মরার জন্য বাঁচে!

উল্লাসেরা অশ্রুজলে
ভেসে চলে যায়,
প্রাণের ভয়ে দাম্ভিকতা
পার তলে লুটায়!

আরো চাই আরো চাই

ব্যাংকে কাড়ি কাড়ি টাকা,
তবু আমার পকেট ফাঁকা।
ঘর ভরেছি সোনা দানায়-
মেলেনা তিল ঠাই,
আমার আরো চাই আরো চাই!

চড়ি সবচে দামী গাড়ী,
মেঘের ও উপরে বাড়ি।
অসংখ্য দাস দাসী আছে-
তবু কিছুই নাই,
আমার আরো চাই আরো চাই!

খেতে খেতে সব খেয়েছি,
যা দেখেছি যা শুনেছি।
তবু আমার পেটটা খালি-
চরম খিদে ভাই,
আমার আরো চাই আরো চাই!

বন্দী করে সূর্যের আলো,
তাতে তাড়াই আঁধার কালো।
কিনারাহীন সমুদ্রতেও-
খুঁজে নিলাম ঠাই,
আমার আরো চাই আরো চাই!

জগত চালাই ঘরে বসে,
ভিন্ন গ্রহের বসবাসে।
পাতাল ফুড়ে তুলে নিলাম-
প্রয়োজন যা তাই,
আমার আরো চাই আরো চাই!

বেঁধে রাখতে বয়সটাকে,
ছুটে চলি কল্পলোকে।
অচল অসাড় দেহতে প্রাণ-
দিতে পারি নাই,
আমার আরো চাই আরো চাই!

ছোবল


উজাড় করে ভালোবেসে অশ্রু চিরসাথী,
ঘাম ঝরিয়ে পর হাসিয়ে কাঁদা দিবস-রাতি।
হাসির প্রতিদানে পাওয়া কান্না উপহার,
অনিয়ম দুর্নীতির কাছে বন্দী এ সংসার।

আজ করেছো যার উপকার কাল সে ঠকাবেই,
মানুষ নামের মানুষ আছে কৃতজ্ঞতা নেই।
যার কারণে রাখো বাজি আপন প্রিয় প্রাণ,
তার আঘাতেই দেহ হতে প্রাণের অবসান।

প্রখর রোদে মাটি ফেঁটে আকাশ পানে চেয়ে,
স্বপ্ন দেখে প্রাণ জুড়াবে বৃষ্টি ভিজে নেয়ে।
ওই সুদূরের আকাশসীমা ছুঁয়ে জলরাশি,
প্লাবন এসে পাপ ধুয়ে দেয় পুণ্য ও যায় ভাসি।

চোখ ভিজে যায় ঠিক সে সময় অনুভূত সুখে,
কষ্ট যায়না মুছে ফেলা পাথর বাঁধা বুকে।
বিন্দুমাত্র হাসির জন্য কষ্ট আজীবন,
দুঃখ পেয়েও সুখে থাকার মিথ্যা প্রহসন।

পরিণামে কঠিন শাস্তি তবু করা পাপ,
সারাজীবন দুখের পাল্লায় সুখের পরিমাপ।
মানুষ শ্রেষ্ঠ মানুষ মহৎ মানুষ অতি সরল,
সুযোগ বুঝে সেই মানুষকে মানুষ মারে ছোবল।

সমস্যা ও সমাধান

সমস্যাটা জটলা পাকায়
ডুকরে কাঁদে সমাধান,
সারাজীবন চেষ্টা করেও
পায়নি কেহ পরিত্রাণ।

একই সরল রেখায় থেকেও
সমস্যাটাই বেশী,
জীবন দিয়েও অনেক সময়
সমাধান অখুশি।

হাসি মুখে কিংবা ভুলে
তৈরি সমস্যার,
সৃষ্টি যারা করছে দিব্যি
পেয়ে যাচ্ছে পার।

সমাধানের চিন্তাধারা
অর্পিত যার উপর,
তাঁরা কিন্তু একে অন্যের
অন্তরঙ্গ দোসর।

ভয়ংকর সমস্যা হতে
পেতে সমাধান,
সমস্যা তাই নিজে এসে
খোঁজে সমাধান।

দুঃখের নদী

দুঃখের আছে বিশাল নদী কূল কিনারা নাই,
সঙ্গী সাথী নেই সেখানে একলা তরী বাই!
দমকা হাওয়া এসে তরীর ছিড়ে দিলো পাল,
বেপরোয়া খরস্রোতে টেনে নিলো হাল!

মাথার উপর অসীম আকাশ নীচে জলরাশি,
চোখের জলে নদীর জলে দুঃখ রাশি রাশি!
শুরু থেকেই শুধুই ভাটা জোয়ার দেখা নাই,
তবু জোয়ার, কিনার পেতে স্বপ্ন দেখে যাই।

বন্ধু স্বজন আপনজনা সবাই গেলো দূরে,
সুখগুলোকে নিয়ে আমায় দুঃখে দিলো ভরে!
অশ্রু ঝরে অকাতরে একলা একা হায়,
দুঃখের নদে ভাসি আমি বৈঠা বিহীন নায়!

চলছি ভেসে স্রোতের টানে চলছি ভেসে ভাটায়,
ইচ্ছে খুশী জলাঞ্জলি হাসি নিয়ে কাঁদায়!
চলছে বয়ে এঁকে বেঁকে এমনি জীবন নদী,
দুঃখ সেথায় দিনে রাতে সঙ্গী নিরবধি!

সবাই বুঝি চলছে এমনি দুঃখের নদে ভেসে,
অশেষ কষ্টে কাঁদেন লোকে ন্যুনতম হেসে।
পাশাপাশি প্রবাহমান থাকলে খুশীর নদী,
পাল তোলা নায় বৈঠা হাতে মাঝি হতাম যদি!